
Shomita Banerjee লেখকের গ্রাহক হোনএসে গেল শারদোৎসব, পূজোর তোড়জোড় শুরু, এদিকে লকডাউনের ফলে বহু মানুষ কর্মহীন, আক্রান্তের সংখ্যা পন্চাশ লক্ষ ছাড়িয়েছে, মৃৃৃত্যুও হচ্ছে, রাতের অন্ধকারে বেওয়ারিশ লাশের মতো করে স্তুপীকৃত মরদেহ চুল্লির আগুনে পুড়ে যাচ্ছে৷৷ পরিবার পরিজনএর চোখের আড়ালে৷৷ এত কিছুর পরও নিয়মের তোয়াক্কা না করেই মানুষ পথে নেমে গেছে, আক্রান্তের উর্ধমুখী গ্রাফ তারই প্রমান৷৷
তার মধ্যে আবার পূজো, ক্লাবকর্তারা হাসিমুখে প্যান্ডেলের তদারকী করছেন৷৷ পূজো শুরু হলে করোনা আতঙ্ককে মাথায় রেখে বেশ কিছু ভাটের নিয়ম তৈরী হবে পূজো দেখার জন্য৷
"মাস্ক পরুন—পূজো দেখুন"— নোটিশ ঝুলবে প্যান্ডেলের আনাচে কানাচে৷৷ প্যান্ডেলের মুখে অল্পবয়সী ক্লাবকর্মী একটা স্যানিটাইজারের বোতল নিয়ে ফুসফাস করে শুদ্ধিকরন কর্মসুচী চালাব৷৷ নতুন জামা কাপড়ে সেজে জনগন লাইনে দাড়াবে সোস্যাল ডিসটেন্সকে পকেটে পুরে৷৷
অথচ এই অবস্থাতে কোনমতেই বারয়োয়ারি পূজো করার অনুমতি দেওয়া উচিত ছিল না৷৷ ক্লাবকর্তাদেরও মনুষ্যত্ববোধ থেকে রাজনীতির উর্দ্ধে উঠে পূজোর অর্থে আরো কিছু কমিউনিটি কিচেন এবং আরোও কিছু স্বনির্ভর গোষ্টি তৈরীর উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল৷৷
শিবজ্ঞানে জীবসেবা করাই যেত৷৷
যদিও আমার এই লেখা পড়ে আমায় তেড়ে গাল দেবেন মানুষ জন৷৷