গত কয়েক বছর ধরে আর পাঁচটা উৎসবের মত মহালয়ার দিন সকালেও মোবাইলে শুভেচ্ছাবার্তায় ফোন ভরে ওঠে৷ শুধু তাতেই রক্ষে নেই, কিছু মানুষ আবার মহালয়াকে দুর্গাপুজোর সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়ায় অর্বাচীন বাঙালীর ওপর যারপরুনাই বিরক্ত হন। মহালয়া যে কেন "শুভ" হতে পারে না এবং মহালয়ার সঙ্গে যে দুর্গাপুজোর কোন সম্পর্ক নেই তার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়ে তাঁরাও বার্তা দিতে থাকেন। আসলে মহালয়ার শাস্ত্রীয় তাৎপর্য যাই হোক, বাঙালীর কাছে মহালয়া মানে ভোর চারটেয় উঠে রেডিওতে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রর মহিষাসুরমর্দিনী শোনা আর হিসেব কষে দেখে নেওয়া, ঠিক সাতদিন বাদেই পুজোর ঢাকে কাঠি পড়বে। এবারের পুজো নানা কারণেই স্বতন্ত্র৷ একে তো করোনার কামড়ে পুজোর পনেরো আনাই মাটি। তার ওপর এবার আর সাতদিন নয়, মহালয়ার পাক্কা ৩৫ দিন পর আসছে দুর্গাপুজোর ষষ্ঠী৷ ভদ্রমশাই বেঁচে থাকলে হয়ত বাণীকুমারের লেখাটা একটু পালটে নিয়ে বলতেনঃ "কার্তিকের হেমন্তপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোকমঞ্জির ..."। এই সৃষ্টিছাড়া কাণ্ডের গোড়াটা খুঁজতে গিয়ে বিগত বছরগুলোর মহালয়া আর পুজোর দিনক্ষণ তল্লাশ করতে বসলাম।
https://bengali.mahanagar24x7.com/the-science-behind-rituals-mahalaya-and-durga-puja/