ইতিহাস চর্চা করতে গেলে কিছুটা নির্মহ দৃষ্টির তো প্রয়োজন।এলেবেলে বহু জায়গায় লিখছেন ,আম্বেদকর, জিন্না, এঁরা গান্ধীকে ধুইয়ে দিয়েছেন। অনেক রূঢ় কমেন্ট করেছেন। করতেই পারেন।এঁদের ভক্তরা গান্ধী কে আরো অবমুল্যায়ন করেছেন।করতেই পারেন।বিভিন্ন লোকের পারসেপশন আলাদা ! তো,তাই বলে,এনারা গান্ধীর এই এই অবমুল্যায়ণ; এই এই জায়গায় করেছেন,তাই গান্ধী খারাপ।এটাকেই খণ্ডিত দর্শন বলে।
সাউথ আফ্রিকা থাকাকালীন গান্ধীর কার্যকলাপ নিয়ে ম্যান্ডেলা এট অল যথেষ্ট অবহিত ছিলেন।জানতেন গান্ধী স্থানীয় দের কি নামে ডাকতেন,জুলু দের ওপর কতোটা আন্তরিক ছিলেন,ব্রিটিশ দের কতোটা অনুরক্ত ছিলেন। এরপরেও জীবনের শেষদিন অবধি গান্ধীর প্রশংসা করে গেছেন।কারণ গান্ধীর এই নন ভায়োলেন্ট মুভমেন্ট এঁদের পরবর্তী কালে এপার্থেইড সরকারের বিরুদ্ধে কাজে এসেছিল।
আম্বেদকর,জিন্না,এনারা বাস্তব বাদী নেতা।নিজেদের কম্যুনিটির উন্নতির জন্য লড়ে গেছেন।গান্ধী আক্ষরিক অর্থে বাঁধা সৃষ্টি করেছেন।কিন্তু গান্ধীর উদ্দেশ্য ছিলো আলাদা।
গান্ধীর চরিত্র ভীষণ কমপ্লেক্স। মরালিটি ও বাস্তব বাদী গান্ধী যেন আলাদা ব্যক্তি।উনি ব্রিটিশ দের ডিভিসিভ রাজনীতি ভালো করে বুঝতেন।দলিত রিপ্রেজনটেশন নিয়ে অসুয়া ছিলো না।কিন্তু সেপারেট ইলেকটরেট নিয়ে ছিলো।
প্রশ্ন উঠতেই পারে কে ঠিক কে ভূল?কিন্তু কারোর উদ্দেশ্য ই অসৎ ছিলো না।
গান্ধী প্রথম জীবনে প্রেজুডিসড ছিলেন।আজকের বিচারে রেসিস্ট লাগতেই পারে।কিন্তু রেসিস্ট বলে কোন ইতিহাসবিদ দাগিয়ে দিলে,সেটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত মনে হয়।
ভুল জায়গায় পোস্ট হয়েছে , দুঃখিত।