এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা  বিবিধ

  • পুলিশঃ "পৌরুষ" এর মাৎসর্য পীড়িত ও অবসাদগ্রস্ত হাওয়া মোরগ শ্রেণি-চরিত্র

    সৈকত মিস্ত্রী
    আলোচনা | বিবিধ | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ১৭৪০ বার পঠিত
  • পুলিশঃ পৌরুষ ও না পাওয়ার হতাশাগ্রস্ত হাওয়া মোরগ শ্রেণিচরত্র।

    গত কয়েকদিন ধরে পুলিশের ভূমিকা ও নানা প্রতিক্রিয়া নিয়ে ভাবতে বসে মনে এলো চেখভের বহু পঠিত " বহুরূপী " গল্পটার কথা। ইনস্পেকটর ওচুমেলভ গুজবেরি বাজেয়াপ্ত করে ফিরছিলেন। পথে শুনতে পেলেন পিচুগিন দোকানীর কাঠগোলার সামনে হইচই। তিনি এগিয়ে এসে জানতে পারলেন স্যাকরা খ্রিউকিনকে একটা বার্জোই জাতের কুকুর কামড়েছে। কুকুরিটকে ধরে খ্রিউকিন প্রাণান্ত চিৎকার করছেন। ওচুমেলভ গর্জন করে স্মরাণ করান - কুকুর ছেড়ে পোষার মজা তিনি দেখাবেন। এরপর কনস্টেবল তাকে জানায় কুকুরটা জেনারেল ঝিগালভের। পরক্ষণেই ওচুমেলভ খ্রিউকিনকে ধমকাতে শুরু করেন ছোট কুকরটিকে ধরার জন্য। একটু পরে কনস্টেবল তাকে জানান এমন কুকুর জেনারেলের না। ইনস্পেকটর সমেজাজে ফেরেন।কুকুর মালিকের শাস্তির নানা ফরমান শোনান। অনতিকাল পর জেনারেলের বাবুর্চি এসে বলেন জেনারেলের ভাই এসেছে। তারই কুকুর এটা।ওচুমেলভ জল হয়ে যান গলে। কুকুরটি নিয়ে যেতে যেতে খ্রিউকিনকে বলে যান - "তোকে দেখাচ্ছি... "

    এমন একটি শ্রেণিচরিত্রের দোদুল্যমান অবস্থান পুলিশের।

    আদালত কক্ষে বিচার চলছে। সিঙুরের জমি আন্দোলনের মামলা। অভিযুক্তরা কোর্টে দাঁড়ানো। আই ও সাহেব স্বাক্ষী দিতে এসেছেন। ম্যাজিস্ট্রট আই ও জিজ্ঞেস করলেন "এদের চেনেন? এরাই কি আসামী?" আই ও স্পষ্ট জানালেন -" স্যার এদের চিনতে পারছি না।" সাথে সাথে নেক্সট ডেট। অন্য স্বক্ষীরা পরের ডেটে আসবে। কোর্টরুম থেকে বেরিয়ে সাহস্যে আই ও প্রশ্ন করলেন - "কেমন আছেন?" চলছে বলে নিয়ে, অভিযুক্ত প্রতিপ্রশ্ন করলেন - "আপনি কেমন আছেন? বদলি হয়েছেন বুঝি? তিনি উত্তর করলেন দূরে তার বদলি। স্বাক্ষী দিতেই এসেছিলেন। ঘটনাটি বাস্তব। তবে পাত্রপাত্রী আপাতত তোলা থাক।

    গতরাতে বইমেলা থেকে ফেরার পর পুলিশ ও পৌরুষ নিয়ে লিখেছিলাম। সকালে আমার বন্ধু স্থানীয়, সহোদর জনৈক কলকাতা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ফোন করে দেখা করতে চাইলে আমি আসতে বলি। পুলিশ ছাড়াও তার একটা পরিচয় আছে।পুঁজি নিয়ে তার ভাবনা আছে। ওর কাছ থেকে বেলাতার, কুরোশোভা,পরিডো কাস্ত্রোর মতো পরিচালকের ছবির সন্ধান পাই। সমতার কথা বলে। তার কথা কতটা সত্যি, কতটা রাষ্ট্রের খোচরবৃত্তি সে প্রশ্ন কেউ করতেই পারেন। তবে " - মানুষ্যত্বের অন্তহীন পরাভবকে সত্য বিশ্বাস করাটাকে পাপ ও অন্যায় বলে মনে করি।" আমার লেখার প্রেক্ষিতে নীচু তলার পুলিশের কতগুলি পাওয়া না পাওয়া নিয়ে আলোচনা করে। আমি নিজের পর্যবেক্ষণের সাথে মিলিয়ে এখানে বলার চেষ্টা করছি।

    মনে পড়ে আমার সাথে একজন কনস্টেবল প্রায়ই ডেকে কথা বলতেন। নিজে থেকেই বলতেন - "তোমাদের লড়াইকে সম্মান করি।" পরে তার নাম জেনেছিলাম। কোর্টে পরে তার পোস্টিং হয়। ব্যক্তিগত কাজে তিনি সাহায্যও করেছিলেন। পরে বামপন্থী আন্দোলনের দক্ষিণী আঁতাত দেখে তার হতাশার কথাটাও বলেছিলেন।

    এবার পুলিশের জবানিতে তাদের হতাশার ন্যরেটিভগুলো শোনা যাক-

    ১। তৃনমুল ও মুসলিমকে অনেক পুলিশ এক বলে মনে করে।ফলত তৃনমুল বিরোধীতা থেকে তারা বিজেপি।এবার মুসলিম বিরোধীতার কারণ খোঁজা যাক।মুসলিমদের মধ্যে অপরাধ প্রবণতা বলে পুলিশের ধারণা। যেহেতু পুলিশ কর্মী কম তারউপর কোন বিশেষ গোষ্ঠীর জন্য তাদের ব্যস্ত থাকাটা মুসলিম নির্বিশেষে নীচুতলার পুলিশকে নাকি মুসলিম বিরোধী করে তোলে।

    ২। ডি এ না পাওয়া।লোক সংখ্যা কম। ২০১৫ সালের পর থেকে নিয়োগ বন্ধ। ঘরে যেতে না পারা।ফলে পুলিশকে প্রতিষ্ঠান বিরোধী বলা ভালো তৃণমূল বিরোধী করে তোলো।

    ৩। তৃনমূল বিরোধী শক্তি হিসেবে বামপন্থীদের পরাজয়, আরও বড় প্রতিষ্ঠান বিজেপির দিকে তাদের ঝোঁকায়।যারা হিন্দুত্ব ও দেশপ্রেমের বিষ ছাড়ায়।

    ৪। আই পি এস রা হাওয়া মোরগের মতো তাদের " বায়াসনেস একজিস্ট ক্ষমতায়"। আপোষ করে চলার বিদ্যে তাদের আছে।নিচুতলার পুলিশের সে বিদ্যে নেই।

    ৫। উচ্চমাধ্যমিক দেওয়া ছেলেরা গরিব পরিবার থেকে আসে।পড়াশুনার সুযোগ তাদের নেই।তার উপর চিন্তা করতে না পারা।

    ৬। নিচুতলার পুলিশরা চরম অসম্মানের শিকার।হিন্দুত্ব ডোজ হিসেবে কাজ করে।অসম্মানের মলম হিসেবে কাজ করে।বামপন্থী ছাত্ররা একদিকে বিজেপির হিন্দুত্বকে নাকচ করে, দুই নীচুতলার পুলিশকে ব্যঙ্গ করে, খেলো করে। ফলে তৈরি হচ্ছে দূরত্ব।

    এই ন্যারেটিভগুলোর সারবত্তা নিশ্চই আছে। তার সাথে আরও কতগুলি ফ্যাক্টর কাজ করে।সেটায় এবার আসা যাক।

    শ্রেণিবিভক্ত সমাজে পুলিশ রাষ্ট্রের রক্ষক। এই বিষয়ে সংশয় থাকার যেমন কোন কারণ নেই, আবার বাহিনীতে যে নিচুতলার অংশটি কাজ করে তারা সাধারণ পরিবার থেকে উঠে আসা অংশ। যাদেরকেই আমরা সামনে দেখতে পাই। পুলিশের এই শ্রেণি চরিত্র বিশ্লেষণ প্রসঙ্গে একদল বামপন্থী সটান সহজ সমাধানে পৌঁছে যান - এতো ক্ষয়িষ্ণু পুঁজিবাদের সমস্যা। সমাজতন্ত্র এলে সব ঠিক হয়ে যাবে। আর কোন দায় নেই যেন। মার্কসবাদী সমাজদর্শনে অর্থনীতি বেস বা ভিত্তি হলে, বাকি সবটা উপরি কাঠামো। ঘটনা হল অর্থনৈতিক ভিত্তি বদলানোর সাথেই সামাজিক উপরি কাঠামোর বদলটা আসে না। তার জন্য সাংস্কৃতিক মান বদলের নিরলস কাজ করতে হয়। বাবুবৃত্তান্ত বইতে সমর সেন এই ফাঁকটি লক্ষ করে লিখেছিলেন - "রুশ পত্রপত্রিকায় গল্প উপন্যাসে ক্রমাগত যে 'নতুন মানুষ' সৃষ্টির কথা শুনেছি সেই নতুন মানুষ চোখে পড়েনি।" সুতরাং কাজটি কঠিন। তাই পুঁজিবাদী রাষ্ট্র ও তার "রক্ষক" পুলিশ নামক শ্রেণিটির বিচার - বিমর্শ জরুরি হয়ে পরে।

    যাকে আমরা অভিযুক্ত করি তার মন কেন বুঝতে চাইনা? এই নিয়ে দীর্ঘ সময় নানা গবেষণা থেকে উঠে আসে নিজের ভিতরকার অন্তর্লীন ভয়ের প্রসঙ্গটি। সাধারণত পুলিশের নিচুতলায় কাজ করতে আসা ছেলে - মেয়েরা এমন পারিবারিক পরিসরে বড় হয়েছে, যাদের ভিতর না পাওয়া, হতাশা কাজ করে। চরম দারিদ্র্য, নিত্য বঞ্চনার একটু টিকে থাকা,ছোটা ছুটি, ব্যর্থতা পার করে যখন কেউ পুলিশ হয়ে উঠেও "কাঙ্খিত" কোন রোমাঞ্চকর জগত পায় না, বরং নানা বিদ্রুপ ও অসম্মান পায় তারা একরোখা হয়ে ওঠে। শেষ ভরসা থাকে অবদমিত "পৌরুষ", যার বহিঃপ্রকাশ তখন তারা আকছার করতে শুরু করে।রবীন্দ্রনাথের "বোষ্টমি" গল্পের সূচনায় দেখি এক অনবদ্য মানসিক বিশ্লেষণ - "যে লোক গালি খাইয়া মানুষ হয় সে আপনার স্বভাবকে ঠেলিয়া একঝোঁকা ইহয়া পরে - আপনার চারিদিককে ছাড়াইয়া আপনাকেই কেবল তাহার মনে পড়ে- সেটা আরামও নয়,কল্যাণও নয়।" এরকম অবস্থানে থেকে পুলিশ হিসেবে কাজকরা কারো মধ্যে যে বিষয়গুলি তখন কাজ করে -

    ১) প্রেমিক-প্রেমিকা দেখলে ভিতর থেকে "চিড়বিড়ানি" হতে থাকে। প্রশাসনিক ক্ষমতা কিছুটা থাকায় তাদের হেনস্তা করে শ্লাঘা লাভ করা।

    ২) দীর্ঘ দিন বাড়ি যেতে না পারার জন্য, যারা দিনান্তে ঘরে ফেরে তাদের প্রতি ক্ষোভ।তাদের শত্রু হিসেবে দাঁড় করানো। অথচ রাষ্ট্রের নীতি যে তাদের জীবন যন্ত্রণার পিছনে দায়ী সেটা ভুলে, অপর কোন "সুখী" মানুষকে শত্রু হিসেবে দাঁড় করানো।

    ৩) পরিবার পরিজন বিচ্ছিন্ন অবস্থায় উৎসব, মেলা - খেলায় ডিউটি করা। সামনে থেকে, কখনো সারা রাত হাসি খুশি নারীপুরুষকে সামনে দিয়ে চলে যেতে দেখে জন্মায় অবসাদ,হতাশা ও "উৎক্রোশ"।চটজলদি সামনের লোকটাকে শত্রু বানানো। তার সাথে উপরওয়ালার অসম্মান ও মানুষের তীর্যক মন্তব্য ও ঘৃণা তাদের সুস্থ - শোভনের সাথে যোগ বিচ্ছিন্ন করে, উগ্র নেতিবাচকতার দিকে ঝোঁকায়।
    হতাশ লোক বর্তমান অপেক্ষা ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশি চিন্তিত। বহুদিন বহু পুলিশের সাথে কথা বলে একটা ন্যারেটিভ বার বার শুনেছি - "এর পর কি যে হবে? " এখানেই ফ্যাসিস্ট ও বিজেপির উত্থানের বড় কারণ নিহিত। নিজে বাস্তুচ্যুত হয়েও ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত করা এমন একটা বিজেপির প্রবচন সহজেই হতাশ মানুষকে আকৃষ্ট করে।

    পুলিশি ব্যবস্থার আর একটি বড় কারণ "পুরুষ" বা পুরুষতান্ত্রিকতার মাৎসর্য দংশন। ধর্মতলা চত্বরে যে সব যৌনকর্মী (নারী ও পুরুষ বা তৃতীয় লিঙ্গের) ও সমাকামী সন্ধ্যের পর বের হন, কলকাতার অন্যান্য অঞ্চলের থেকে তাদের সামজিক কৌলিন্য তলানিতে,বলা ভালো নেই।এদের প্রায় অনেকেই স্বেচ্ছায় বা "ঘুষ দিতে" পুলিশের সাথে যৌনকর্ম করে। কান পাতলে এদের যে ভার্সানগুলো প্রায়ই শোনা যায় তা হল - "এরা কাজ করে, আবার হয়ে গেলে রেন্ডি বলে খিস্তি করে।" ধর্মতলা চত্বরে দুজন সমকামীকে বেদম পিটতে দেখেছিলাম(তার একটা কারণ ছিল অবশ্য। যদিও কাউকে পেটানো আইন সঙ্গত কাজ না, আবার এই বেআইনি কাজটা না করলে পুলিশের পৌরুষ রক্ষা পায়না), তারপর তাদের প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়।একটু দূরে দাঁড়ানো দুজন নিজেদের মধ্যে অনুচ্চস্বরে বলাবলি করতে থাকে - "এখন নিয়ে গেল, দূরে নিয়ে কাজ করে টাকা পয়সা নিয়ে ছেড়ে দেবে। আবার সামনে 'হোমো' বলে ক্যালাবে। "দুজন নিচু তলার পুলিশকর্মীর কথোপকথন শুনে মনে হচ্ছিল, তারা কে কতটা নির্মম ভাবে পিটেছে তা নিয়ে ভিতরে ভিতরে প্রতিযোগিতা চলে।পাছে অপরের কাছে নিজের "পৌরুষ" খাঁটো না হয়। প্রতিপক্ষের প্রতি নমনীয় মনোভাব দেখালে নিচুতলায় অপর পুলিশ সহকর্মীর কাছে "হ্যাটা" হওয়ার ভয় কাজ করে। তাই গণআন্দোলনে লাঠি চালানোর পর একজনকে, আর একজনের কাছে বলতে শোনা যায় - "যা গুছিয়ে দিয়েছি না।"

    এখানে দুটি ফ্যাক্টর লক্ষ করার মতো-

    (১) ত্রিশ বছরের নীচের নিচুতলার পুলিশ কর্মীদের মধ্যে এই বেপরোয়া পৌরুষ দেখানোর জাহির করার ভাব প্রবল।এর মোটামুটি কারণগুলি -

    ক। বড় হওয়ার মধ্যে ঠেলা খেয়ে, নানা অসম লড়াই, পড়াশুনা ঠিকমতো না করতে পারার ক্ষোভ, হতাশা তাদের একরোখা করে দেয়।

    খ। অবদমিত যৌনতার পীড়ন।দীর্ঘ দিন সঙ্গীনি বা সঙ্গীর থেকে দূরে থাকা।সুস্থ যৌনজীবন ব্যহত হওয়া।

    গ। সমবয়সীরা দলের বেঁধে সামনে দিয়ে ঘুরে বেড়ালেও, নিজের না পারার ক্ষোভ হতাশায় পরিণত হয় একসময়।তখন ভরসা " পৌরুষের " প্রকাশ।

    ঘ। আর একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক হিরোইজম।নায়ক হয়ে উঠতে চাওয়া।কিন্তু প্রতিদিনের যাপনের সাথে হিরো ইজমের সংঘাতে হিরোইজমকে পরাজিত হতে দেখা

    (২) ত্রিশ বছরের উপরের পুলিশের নিচুতলার কর্মীদের হতাশার ডোজ হিসেবে আসে "পুরুষ" কে আশ্রয় করার চেষ্টা।

    ক। দীর্ঘ দিন বাড়ি ঘর, স্ত্রী, সন্তান থেকে দূরে থাকা।স্ত্রী কারে সাথে কিছু করছে নাতো - ভিতরে ভিতরে এর পীড়া তাদের দহন করে।

    খ। বেতন না বাড়া, অন্যথানায় বা ওয়েটিং এ গেলে উপরি বন্ধ হবে না তো!

    গ। কমবয়সীদের সামনে উপর তলার আধিকারিক দের অসম্মান।

    ঘ। একই পদে না থাকা, কেউ মানছে না - " পৌরুষে" বার বার আঘাত করে।

    ঙ।উচুঁতলার আধিকারিককে খুশি করা, আমলা, নেতার নেক নজরে থাকা, শাসকের বিরাগভাজন না হওয়া,বাজে পোস্টিংয়ের ভয়। ফলে তাকে বার বার " পৌরুষ" জাহির না করে উপায় নেই।
    এমন বহু কারণ লক্ষনীয়।

    বিজেপির বক্তব্য, বিশেষত মোদীর উত্থান এক পুরুষতান্ত্রিক নায়ক হিসেবে।ব্যক্তিজীবনে হতাশা থাকলেও পুরুষতান্ত্রিক স্বরকে বয়ে নিয়ে যাওয়া শক্তি এমন হতাশ, বিষন্ন অংশের বাহিনীকে আকর্ষণ করে।যাদের এই নায়কের অনুসারী হয়ে "পৌরুষ" জাহির করা ছাড়া জীবনে আর কিছু নেই।

    বিজেপি নামক ফ্যাসিস্টের অস্ত্র হিরোইজম ও "পৌরুষ", যা একই সাথে হতাশ ও "বঞ্চিত" অংশের ভরসাস্থলও বটে।যাকে আশ্রয় করে বাঁচতে চাওয়া রাষ্ট্রীয় বাহিনির কাছে নেশন বা জাতীয়তার অসুখকে সমান তালে সংক্রমিত করা হয়।যার বিরুদ্ধে একমাত্র প্রতিস্পর্ধী স্বর বামপন্থী ছাত্ররা। সুতরাং রাষ্ট্রের ন্যাশানালিজম ও " পৌরুষের" ডোজে সক্রিয় এই বাহিনীটির সামনা সামনি চ্যালেঞ্জ ছাত্ররা, বিশেষত মেয়েরা।যারা তাদের পৌরুষকে চ্যলেঞ্জ ছুঁড়ে আড়াআড়ি প্রতিরোধে সামিল হয়।

    এই বাহিনীর নীচুতলার অংশটিকে শত্রু না মেনে, "পৌরুষের " বিপরীতে সহনীয়, রোহনীয় ও সৌভ্রাতৃত্বের পরিসর গড়ে তোলা জরুরি।এই কাজটি কঠিন।প্রক্রিয়াকরণটিও সহজ সাধ্য নয়। তবু কাজটি করা দরকার।পুঁজির শোষণে জর্জরিত,ফ্যাসিবাদের সর্বাত্মক আক্রমণের দিনে শত্রুর এলাকাকে প্রসারিত না করে, সাধারণ, নীচুতলার হতাশ,বিভ্রান্ত "পুলিশকে"ও শত্রুতার পরিসর পার করে বন্ধুতার এলাকার কাছাকাছি না আনতে পারলে সমুহ বিপদ।সেটা বোঝাটা আমাদের আশু কর্তব্য।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সে | 162.158.***.*** | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৮:৪৩729620
  • ভালো লেখা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন