বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানকর্মী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাথে সমাজের সংলাপ, সম্পর্ক এবং এগুলোর মিথস্ক্রিয়া নিয়ে চর্চা করে আসছে ১৯৭৭ সাল থেকে। প্রথমে ‘পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞানকর্মী সংস্থা’ নামে একটা সংগঠনের মুখপত্র হিসেবে এটি প্রকাশিত হতো। পরে সংগঠনের অস্তিত্ব না থাকলেও পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়ে আসছে। আগে দু’ মাসে একটি বেরত, বর্তমানে বছরে একটি, কখনো দুটি বের হয়।
বর্তমান সংখ্যাটি ২০১৯ সালের একমাত্র সংখ্যা। এই সংখ্যায় রয়েছে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়কে নিয়ে একটি লেখা,এর প্রকাশ ভঙ্গি তীর্যক। একটি লেখায় বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের প্রকৃত চরিত্রের আলোয় ‘বিজ্ঞান মনস্কতা' নিয়ে প্রচলিত ধারণাকে নতুনভাবে দেখার চেষ্টা করা হয়েছে। বন জঙ্গল যে মানুষের খাবারের উৎস হতে পারে সেটা মনে করিয়ে দেওয়া একটি লেখা রয়েছে, স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে পুরুলিয়ার মানুষের জীবিকা সন্ধান নিয়ে একটি লেখা, বদ্ধ জায়গার পরিবর্তে খোলা জায়গায় মল ত্যাগের উপযোগিতা নিয়ে একটি লেখাও রয়েছে। এর সাথে বিজ্ঞান জগতে সুপরিচিত ব্রিটেন থেকে প্রকাশিত নেচার পত্রিকার সম্পাদকীয় প্রবন্ধ অনুবাদ করা হয়েছে, সেখানে নতুন নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে ভারতের নামকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীদের আন্দোলন এবং সেখানে সরকারের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। লেখাটিতে পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করা হয়েছে। রয়েছে আলোর দূষণ নিয়ে একটি আলোচনা, সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নীতির অস্থিরতা ও শিল্পায়ণে তার প্রভাব বিষয়ে একটি আলোচনা, কুসংস্কার বিরোধী বিতর্ক, এবং পত্রিকাটির আত্ম সমালোচনা মূলক একটি বিজ্ঞাপন।
কলকাতা বইমেলা ২০২০ লিটিল ম্যাগাজিন প্যাভিলিয়নের ১০৬ নম্বর টেবিলে ‘বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানকর্মী’ পাওয়া যাচ্ছে, সাথে থাকছে পুরনো সংখ্যা এবং প্রাসঙ্গিক সামাজিক বিষয়ে প্রকাশিত আরও কিছু বইপত্র। আমাদের টেবিলে আসুন, পত্রিকাটি পড়ুন এবং মতামত জানান।