এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ঈদ সন্খ্যা নতুন গতি

    h
    অন্যান্য | ২৮ অক্টোবর ২০১৬ | ৫৩৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • h | 212.142.***.*** | ২৮ অক্টোবর ২০১৬ ০৮:৫৮726663
  • সৈকত সি এর অনুপ্রেরণায় কয়েক বছর ধরে পুজোর অল্প আগে প্রতিবার কলেজস্ট্রীট যাওয়ার চেষ্টা করি। তো এবারের ফাইণ্ডিঙ্গ হল এই পত্রিকাটি। শহুরে ঘেটো র যা অবস্থা তাতে যে দেশে মুসলমানরা কেবল ই সন্খ্যয় বেড়ে যাচ্ছে বলে ভয় দেখানো হয় সেদেশে সারাদিনের দশকর্মায় একজন মুসলমান এর না দেখা পেলেও চলে যায়। তদুপরি পুজো পুজো গন্ধে র মধ্যে মুসলমান বুদ্ধিজীদের পরিচালিত পত্রিকাটি যে হাতে পেয়েছি এই অনেক। এবারের সেরা পুজো সন্খ্যা এইটেই এমনিতেই , কেন সেটা বলছি।
  • h | 212.142.***.*** | ২৮ অক্টোবর ২০১৬ ০৮:৫৮726674
  • সৈকত সি এর অনুপ্রেরণায় কয়েক বছর ধরে পুজোর অল্প আগে প্রতিবার কলেজস্ট্রীট যাওয়ার চেষ্টা করি। তো এবারের ফাইণ্ডিঙ্গ হল এই পত্রিকাটি। শহুরে ঘেটো র যা অবস্থা তাতে যে দেশে মুসলমানরা কেবল ই সন্খ্যয় বেড়ে যাচ্ছে বলে ভয় দেখানো হয় সেদেশে সারাদিনের দশকর্মায় একজন মুসলমান এর না দেখা পেলেও চলে যায়। তদুপরি পুজো পুজো গন্ধে র মধ্যে মুসলমান বুদ্ধিজীদের পরিচালিত পত্রিকাটি যে হাতে পেয়েছি এই অনেক। এবারের সেরা পুজো সন্খ্যা এইটেই এমনিতেই , কেন সেটা বলছি।
  • h | 212.142.***.*** | ২৮ অক্টোবর ২০১৬ ০৯:০৪726676
  • দুটো চমত্কার প্রবন্ধ প্রথমেই উল্লেখ করি। মহম্মদ আলি কে নিয়ে একটা আরেকটা অ্যালবার্ট হুরানীর অনুবদ দারুণ লেগেছে।
  • h | 213.132.***.*** | ২৮ অক্টোবর ২০১৬ ১৩:১৪726677
  • এমদাদুল হক নূর সম্পাদিত পত্রিকাটি সাময়িকির ইতিহাস বিষয়ে নানা তথ্যের আকর এবং ৪৮২ নং পৃষ্ঠায়, অসামান্য মূল্যবান তথ্য রয়েছে। ১৯৫৬ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত মুসলমান বুদ্ধিজীবি দের সম্পাদিত পরিচালিত সাময়িকীর স্মরণীয় ঈদ সংখ্যার একটা অতি সংক্ষিপ্ত তালিকা রয়েছে, তথ্য বিভাগ টির নাম দেওয়া হয়েছে, 'নতুন গতি ঘরাণার কয়েকটি স্মরণযোগ্য সাল'। আমি ধরে নিচ্ছি, 'ঘরানা' বলতে ধর্মবিশ্বাসী মুসলমান দের সম্পাদিত পরিচালিত পত্রিকার কথা বলা হয়েছে, কারণ নানা নোটে এই ধর্মবিশ্বাসের অবস্থান পরিষ্কার করা হয়েছে, যদিও খুব পরিষ্কার ভাবেই, লেখক দের ব্যক্তিগত ধর্মবিশ্বাসের কোন খবর নেই, বিষয় বস্তু র দিক ধর্মের আচারের সঙ্গে সম্পর্করহিত প্রচুর লেখা রয়েছে এবং প্রচুর হিন্দু কর্মী দের উল্লেখ বা বুদ্ধিজীবি দের লেখা রয়েছে। মেজরিটারিয়ান লিবেরেল শর্ত সমূহ একটু বেশি মাত্রাতেই পূরণ করা হয়েছে।
  • h | 213.132.***.*** | ২৮ অক্টোবর ২০১৬ ১৩:৫৪726678
  • বস্তুত বাংলা সাময়িকী র ইতিহাসের উল্লেখ অথবা আলোচনা রয়েছে অন্তত তিনটি প্রবন্ধে।

    হাবিব আর রহমান - বাঙালি মুসলমান সমাজ ঃ ইতিহাসের ঘুমভাঙা
    কুতুবউদ্দিন বিশ্বাস - স্বাধীনতাপূর্ব এবং স্বাধীনোত্তর নদিয়ার কবি সাহিত্যিক রচনায় সমাজ ও স্বদেশ ভাবনা
    ড সাইফুল্লা - বাঙালি মুসলমান সমাজ সম্পাদিত - পরিচালিত বাংলা সংবাদ-সাময়িকপত্রের ইতিবৃত্ত

    এছাড়া মুসলিম পুঁথি নিয়ে একটি প্রবন্ধ রয়েছে ডঃ সুরঞ্জন মিদ্দে র লেখা।

    এত কিছু জানতে পেরেছি, আমার মুগধতা কমছেই না। তবে যেহেতু স্বভাবে খুঁতখুঁতে, তাই কয়েকটি সমস্যার কথা বলবো। তবে সেটা ব্যক্তিগত অপিনিয়ন মাত্র।
  • de | 24.139.***.*** | ২৮ অক্টোবর ২০১৬ ১৫:০৯726679
  • ইস, পড়তে ইচ্ছে করছে এমন একটা পত্রিকা! যদিও কলেজস্ট্রীট গিয়ে উঠতে পারার কোন সুদূর সম্ভাবনাও নেই!
  • h | 212.142.***.*** | ২৯ অক্টোবর ২০১৬ ১২:১৫726680
  • গঠন , সংগঠন সবটাই বলতে হয়। ৮ নং পাতায় খুব ই সুলিখিত সম্পাদকীয়টি রয়েছে। 'চোখ মেলে দেখ হে - আমরাও আছি' এই তার শীর্ষ। প্রথমে একটা দীর্ঘ কোটেশন দেই, বানান/যতি ব্যাবহার/শৈলী অপরিবর্তিত।

    "... এযুগে অর মুসলিমদের আলাদা করে চর্চার জায়গার কোন প্রয়োজন নেই - এমত অনেক বিদ্বৎজনের। একথা আমরা অনেকটা মানি। কিন্তু বহু ফাঁক ফোকর থেকে যাচ্ছে বহু আলোচনায়। ফলে বহু মুসলিম ব্যক্তিত্ত্ব ব্রাত্য হয়ে যাচ্ছেন। সেই ফাঁক ভরাট করবে কে? কে দায়ীত্ত্ব(বানান অপরিবর্তিত) নেবে? একটি উদাহরণ দেওয়া যায়, নজরুলের শতবর্ষে সরকারি টাকায় বাংলা অয়কাডেমির তরফে একটি বৃহৎ অজরনুল সম্পর্কিত সংকলন করা হয়। নাম করণ করা হয় - 'কাজী নজরুল ইসলাম শতবর্ষ স্মারক।' পৃষ্ঠা সংখ্যা প্রায় হাজার। রয়েল সাইজ। বাংলাদেশের বহু লেখকের বহু পুরাতন এবং নতুন লেখায় পূর্ণ করা হয়। লেখক তালিক দীর্ঘ। কিন্তু কলকাতায় বসে যিনি নজরুল রচনাবলী সম্পাদনা করেছেন, নজরুলের হারিয়ে যাওয়া বহু গান সংগ্রহ করেছেন, নজরুলের বহু চিঠি পত্র সংগ্রহ করে সচনাবলীতে সন্নিবেশিত করেছেন। (যতি চিহ্ন অপরিবর্তিত) 'অপ্রকাশিত নজরুল' শীর্ষক একটি গ্রনথ সম্পাদনা করে প্রকাশ করেছেন -তাঁর নাম আবদুল আজীজ আল আমান। নজরুল সম্পর্কিত তাঁর দুটি গ্রন্থও আছে - ১। নজরুল পরিক্রমা ২ - ধুমকেতুর নজরুল। তাঁর লেখা থেকে দুপাতার একটি লেখাও নেওয়া হয় নি। এর অর্থ দাঁড়ায় নিকট প্রতিবেশী কে অবহেলা করা দূরকে আপন করা। আশির দশক নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত এ বাংলায় নজরুল নিয়ে তেমন চর্চা হোত না। কবিপএ নজরুল রচনাবলী এবং নজরুল সম্পর্কিত বইয়ের বিজ্ঞাপন দেওয়া হোত সর্বাধিক প্রচারিত আনন্দ বাজার পত্রিকায়। তা দেখে বাংলার মানুষ জানতে পারত নজরুলের জন্মজয়ন্তী আগত।
    একবার আবদুল আজীজ আল-আমান সম্পাদিত কাফেলা পত্রিকার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত নজরুল জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে কবির পুত্রবধু কল্যানী কাজি এই নিয়ে আক্ষেপ করছিলেন। নজরুল কে যিনি এই বাংলায় জাগিয়ে রেখেছিলেন সেই আবদুল আজীব আলা আমানের দুপৃষ্ঠার একটি লেখাও নেওয়া হয় নি শতবর্ষের সংকলনে - এ আক্ষেপ কোথায় জানাবে মুসলমান্রা? বিভাগোত্তর বাংলায় মুসলিম সমাজের সংস্কৃতিচর্চা বিষয়ক আলোচনায় আবদুল আজীজ আল-আমানের নাম বাদ দিয়ে আলোচনা হতেই পারে না। তিনি সুসাহিত্যিক, পন্ডিত এবং যোগ্য সম্পাদক ছিলেন। আবদুল আজীজ আল আমানের একটি দোষ ছিল। তিনি প্রথাগত ইসলাম পালন করতেন/ অর্থাৎ নামাজ রোযা পালন করতেন। তারপরেও তিনি তাঁর প্রকাশনা সংস্থা হরফ প্রকাশনী থেকে প্রকাশ করেছিলেন - বেদ, ভাগবত, উপনিষদ, গীতা। তারপরেও তিনি ব্রাত্য থেকে গেছেন। কি করলে এ বাংলায় একজন মুসলমান লিবারাল তকমা পাবেন- তাও এখন পি।এইচ।ড থিসিসের বিষয় হতে পারে। বিভাগোত্তর বাংঅলায় অবহেলিত মুসলমান যে জাগছে তা জানান দেবার দিন আগত। নতুন গতি-ঈদ সংখ্যা-মাসান্তিকে সেই জানান দিয়ে চলেছে। এখানে কোনো বিরোধ পর্ব নেই-কেবল এইটুকু বলা আমাদের একটু চোখ মেলে দেখ গে - আমরাও আছি। এই ভীরু উচ্চারণ তুকুও বোঝার মানুষ কই?..."
  • h | 212.142.***.*** | ২৯ অক্টোবর ২০১৬ ১২:৩৪726681
  • পত্রিকার পরিচালকেরা বোঝাই যাচ্ছে চ্যালেঞ্জ হিসেবে পাচ্ছেন বেশ কয়েকটা জিনিসকে। যেটা বাংলার মুসলমান সংস্কৃতি চর্চার মূল চ্যালেঞ্জ, এবং সবটাই স্থানীয় এবং জাতীয় ইতিহাসের সঙ্গে জড়িত। প্রথমত বাংলার সব মুসলমানেরা বাঙলাভাষী নন, অতএব বাংলা কোন পত্রিকা সবার কাছে পৌঁছনো মুশকিল। এর পরে স্বাধীন ভারতে মুসলমান দের যে সামান্য কালচারাল স্পেস তৈরী হচ্ছে, সেটা বাংলাভাষী মুসলমান দের জন্য যে হচ্ছে তা বলা মুশকিল, এই কন্টেস্ট ঐতিহাসিক, কংগ্রেস এবং লীগ রাজনীতির এই ভাষার সীমাবদ্ধতা উর্দুর পুনরুত্থান, শুধু বাংলাতেই নয়, আজকের পাকিস্তানের পঞ্জাব, কাশ্মীর বা অন্যত্র প্রতিদিন প্রতিভাত। আবার হিন্দু উর্দু বিতর্কে হিন্দীর উত্থান ভারতের ভুখন্ডে সেটাও বিভাগউত্তর ভারতীয় বাঙ্লাভাষীদের সমস্যায় ফেলেছে, অন্য ভাশার জীবন্পঞ্জীও প্রায় এক। এর পরে ৫৬ র ভাষা আন্দোলন থেকে একাত্তরে র বাংলাদেশের জন্ম র যে রক্তক্ষয়ী কাহিনী তাতে বাংলা ভাষা একটা প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে ঠিক ই কিন্তু তাতে পশ্চিম বঙ্গের বাঙালি মুসলমান আখ্যান প্রতিফলিত হওয়ার সুযোগ কিছুটা কম। খুব স্বাভাবিক ভাবেই ৮০-৯০-২০০০ এর দশকে র রাজনইতিক ইতিহাসের প্রস্ঙ্গ আসছে খুব তাড়াতাড়ি ই, এবং পশ্চিম বংগের মুসলমান বুদ্ধিজীবিরা নিজেদের মত করে নিজেদের অবস্থান নিয়ে আসছেন, এবং তার প্রয়োজন অনুভব করছেন। এর পরেও সমস্যা থাকছে, বাংলাদেশের জন্মের পরে সেখানে সেকুলার ভাষা চর্চায় বা পশ্চিম বংগের বামপন্থী রাজনীতির আবহাওয়ায় ধর্মবিশ্বাসী মুসলমান বুদ্ধিজীবি দের একটা নতুন চর্চার ক্যাটিগোরির প্রয়োজন হচ্ছে, এবং জ্ঞানচর্চা কে রক্ষা করতে হয়েছে, পোলিটিকাল ইসলামের বিপজ্জনক দিক গুলি থেকে। এ একেবারে আমাদের জীবৎঅকালের সমস্যা। সম্পাদকের বক্তব্যে শুধু না, প্রায় প্রতিটি নিবন্ধে এই আপাত সীমিত পরিসরে সাংস্কৃতিক উচ্চারণের লড়াই টা মূলত লিবেরাল অনাগ্রহ র বিরুদ্ধে , অনুযোগ ও সেইখানেই। কারণ ধর্মনিরপেক্ষতার অন্তরালে সেখানে তো বাংলাভাষার মাধ্যম টি অটুট থাকলেও, উচ্চবর্ণ বাঙালি হিন্দু সংস্কৃতির পুজো পুজো গন্ধ টি ব্যাপৃত। দুগাপুজা মূল ধারাঅর সাংস্কৃতিক লোকযাপন হয়ে ওঠে, ঈদ সংখ্যার পত্রিকাকে রাজনইতিক হতে হয়, কারণ পরিসর যতটুকু সেটি সাংঅবিধানিক-রাজনইতিক। তাও অতি সাবধানে পা ফেলতে হচ্ছে অনেক প্রবন্ধকারকে, এবার সে কথায় আসব।
  • h | 212.142.***.*** | ২৯ অক্টোবর ২০১৬ ১৩:২২726682
  • লোকে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় কালীপুজো করছে, আমি সৈকত (দ্বিতীয়) র অনুপ্রেরণায় লেখাপড়া করছি, ভাবলে ভালো-ই লাগে ;--) যাই হোক কাজের কথায় আসি। সেকুলারিজম জিনিসটা কে নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে, তবে, একটা ইতিহাসের গতির জিনিস বোঝা দরকার। জ্ঞানচর্চা জিনিসটা বহুদিন ধর্মাচরণের পরিসরের মধ্যেই ছিল, এবং রাষ্ট্রপরিচালনার প্রয়োজনেই তার বাইরে যাত্রা, স্বাধীন অনুসন্ধিৎসা এবং disinterested query র যে সংস্কৃতি সেটা অনেক পরের ব্যাপার হলেও, সে যে একেবারে শক্তিহীন তা নয়। সা`স্ম্কৃতিক সংগঠনের পরিচালকদের ও তাই জ্ঞানচর্চার প্রয়োজনেই পশ্চিমি আধুনিকতার আদর্শকে কিছুটা লালন করতে হয়।

    যে সম্পাদক মনে করছেন, আশি বা নব্বইয়ের দশকে দূরের মানুষকে আপন করছে সরকারী নীতি, তাঁক ভেবে দেখুন তিনটি অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক কেয়কটি প্রবন্ধ কে জায়গা দিতে হচ্ছে, কারণ বিষয়ের সীমা নির্ধারণ বা ব্যক্তি পাঠকের কৌতুহলের সীমাহীনতাই তাঁর মূলধন।

    অ্যালবার্ট হুরানি - আরব জনতার শহুরে জীবন (অনুবাদ শানজিদ অর্ণব)
    আহমদ মমতাজ - সূর্য সেনের নেতৃত্ত্বে চট্টগ্রামে যুব অভ্যুত্থান ও তৎকালীন মুসলিম সমাজের ভূমিকা
    মুহ ইব্রাহীম আলী - অসমের বঙ্গমূলীয় মুসলমানদের প্রতি অশনি সংকেত
    খায়রুল আনাম - ভারতের ভূস্বর্গ প্রসঙ্গ - ঐতিহাসিক-সামাজিক-রাজনৈতিক
  • h | 212.142.***.*** | ২৯ অক্টোবর ২০১৬ ১৩:৫২726664
  • *বিষয়ের সীমা নির্ধারণ তাঁর কাজ না
  • h | 212.142.***.*** | ২৯ অক্টোবর ২০১৬ ১৫:৩১726665
  • এর মধ্যে কাশ্মীর প্রস'ম্গে প্রবন্ধটি দুর্বলতম। জানি না বিচ্ছিন্নতাবাদের সমর্থক হিসেবে পরিগনিত হওয়ার ভয় যা অবশ্যই অমূলক না, নাকি সমবেদনার অভাব নাকি তথ্যের অভাব প্রবন্ধটি কে দুর্বল করেছে।
  • h | 212.142.***.*** | ২৯ অক্টোবর ২০১৬ ২৩:০২726666
  • সম্প্রতি স্ক্রোল এ বেরোনো একটি প্রবন্ধ থেকে আমরা জানতে পেরেছি যে রবীন্দ্রনাথ ইরান সফরে স্মরণ করছেন দেবেন্দ্রনাথ কে, এবং বলছেন যে হাফিজ দেবেন্দ্রনাথের প্রিয় কবি ছিলেন, আর এই পত্রিকাটিতে রয়েছে 'মৌলানা' গিরিশচন্দ্র সেন এর খবর, মুহম্মদ হেলালউদ্দিনের লেখা একটি প্রবন্ধে। জানতে পারছি যে গিরিশচন্দ্রের পূর্বপুরুষ রা আলিবর্দী র সভায় কোনো পদে ছিলেন। তারপর্দ পূর্ববংগে বসতি স্থাপন করেন। গোটা পরিবারে ফারসী চর্চা র একটা সংস্কৃতি ছিল। প্রাপ্ত বয়সে, বাংলা,ফারসি, সংস্কৃত, উর্দু, হিন্দু ভাষা জানতেন। কেশব সেন এর উৎঅসাহে লক্ষনৌ তে গিয়ে আরবি শেখেন। গিরিশচন্দ্র উর্দু তে বই লিখেছিলেন, এবং বাংলায় ইসলাম বিষয়ক প্রচুর বইপত্র লেখেন, একটি গ্রন্থতালিকা রয়েছে প্রবন্ধের মধ্যেই। রত্ন প্রকাশনী থেকে বেরোনো অমলেন্দু দে লিখিত 'বাংলা ভাষায় কোর আন চর্চা' বইটি সূত্র হিসেবে উল্লেখিত হয়েছে। ঊনবিংশ শতকের যে ইতিহাস পাঠ্য বা ইতিহাসের যে ছবি সংখ্যাগুরু দের মনের মধ্যে রয়েছে, সেই ছবি কিছুটা ধাক্কা খাবে, ঊনবিংশ শতকের বাংলাভাষী ব্রাহ্ম দের ইসলাম ও আরবি ফারসী চর্চার এই সংবাদে। খবর বলতে এই যে একা রামমোহন নন, অনেকেই ফারসী চর্চা কে বা আরবী ভাষা শিক্ষা কে উচ্চশিক্ষা সংস্কৃতির অঙ্গ হিসেবেই ধরতেন তখনো, ইংরেজি র মুঠি তখনো হয়তো অত শক্ত হয় নি, সিপাহী রা হেরে যাওয়ার পরে বিদ্যাচর্চার প্রধান ভাষা হিসেবে ইংরেজিকে হয়তো আর পিছন ফিরে তাকাতে হয় নি।
  • T | 212.142.***.*** | ২৯ অক্টোবর ২০১৬ ২৩:৫৪726667
  • আজ্ঞে, ১৮৩৭ সালের আগে অবধি সরকারী কাজে এবং আদালতে ফারসির চল ছিল। তাই বাবুরা দায়ে পড়ে শিখতেন। সংস্কৃতির অঙ্গ, মোস্ট প্রবাবলি এইরম অ্যাঙ্গেল ছিল না। অবশ্য ব্রতকথা অবধি ছিল, আরশি আরশি, আমার স্বামী পড়ুক ফারসি। হিন্দু কলেজে ১৮৪১ অবধি পড়ানো হয়েচে। কিন্তু ওই সময় থেকেই সংবাদপত্র গুলোতে রীতিমতো সওয়াল করা হয়েছে ফারসি ব্যবহার বন্ধের জন্য। মুসলমানদের চাইতে হিন্দু ছাত্রেরাই বেশি সংখ্যায় ফারসি শিখত। অভিভাবক গণ ইংরেজী শিক্ষায় বেশী ভালো ভবিষ্যত বুঝেছিলেন। ভাগ্যিস এই টা দ্রুত ঘটেছিল।
  • h | 212.142.***.*** | ৩০ অক্টোবর ২০১৬ ০৯:১২726668
  • অ্যালবার্ট হুরানি (অথবা হাউরানি) র প্রবন্ধটির অনুবাদ সম্পর্কে দু কথা বলা প্রয়োজন। এই ভদ্রলোক, হয়তো সকলেই জানেন, অক্সফোর্ডে ইতিহাসে অধ্যাপক ছিলেন, লেবানিজ ক্রিশ্চিয়ান অ্যানসেস্ট্রি ছিল। আর এক প্রখ্যাত ঐতিহাসিক এলিজাবেথ মনরো র সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ে গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ স্মরণীয় হয়ে রয়েছে। প্রতিটি কাজ ই প্রায় লিজেন্ড। এর কোন প্রবন্ধের কোন বাংলা অনুবাদ আমি আগে পড়িনি। তাই নতুন গতি র সম্পাদক কে ধন্যবাদ এই লেখা বাংলায় আনার জন্য। এই অনুবাদটির আরেকটা তাৎঅপর্য্য রয়েছে, ভারতে যাঁরা আর্বান হিস্টরি চর্চা করেন, তাঁদের একটা আলোচনার মূল বিষয় হল, কলোনী শুরু হওয়ার আগেকার শহর এবং তাদের নাগরিকতার চিহ্ন গুলি নিয়ে আলোচনা করা এবং নগর মানেই কলোনিয়াল সিটি এই ধারণা কে খানিকটা চ্যালেঞ্জ করা। হুরানির মত তাবড় ঐতিহাসিকের ইসলামিক শহর গুলিতে নগর জীবন সংক্রান্ত কাজকে অনুবাদ করার তাৎঅপর্য্য ও তাই। তবে নতুন চিঠি তে এই লেখা বেরোতে দেখে খুব ই খুশি হয়েছি, কারণা বাঙালি মুসলমানের বিষয়ে আলোচনা যে মানুষের জীবন দর্শন কে অ্যাড্রেস করে প্রধানত কৃষিজীবি বা ছোটো শহরের মধ্যবিত্ত বুদ্ধিজীবি মুসলমান দের। আবার উর্দু সংস্কৃতি র মূল আধার রাজন্য জীবন বা আশরফি সংস্কৃতি, সেই আবহে, নাগরিক জীবনের পূর্ণাংগ ইতিহাস রচনা পদ্ধতি র অন্যতম শ্রেষ্ঠ উদাহরণগুলির অনুবাদ বাংআলি মুসলমান দের আর্বান হিস্টরি চর্চা কে সমৃদ্ধ করবে। খুব ই ভালো উদ্যোগ। আগে একটি কথা বলছিলাম, রাজনইতিক মত যাই থাকুক, ইতিহাসের ধারার যাই বিশ্লেষণ করুন না কেন, বিষয়ের সীমা নির্ধারণ করা সম্পাদকের কাজ না, এবং পাঠকের অসীম ঔতসুক্য ই তাঁর মূল ধন, এই পরীক্ষায় নতুন চিঠি সসম্মানে উত্তীর্ণ।
  • h | 212.142.***.*** | ৩০ অক্টোবর ২০১৬ ০৯:৩২726669
  • এইবার শেষ করতে হবে, কারণ বিষয় অসীম হলেও, সময় নয়, তার উপরে অনেক শুভানুধ্যায়ী আমি সময় পাই কি করে তাই নিয়ে চিন্তিত;-) , শুধু প্রবন্ধ ই যে আছে এই ঈদ সংখ্যায় তা না। গল্প রয়েছে, উপন্যাস রয়েছে, কবিতা রয়েছে। আর রয়েছে বিজ্ঞাপন, সেগুলো ও কম ইন্টারেস্টিং না। আমার কয়েকটা গল্প ভালো লেগেছে, কয়েকটা গল্প ভালো লাগে নি। কবিতার সিরিয়াস পাঠক নই আমি, কবিতার অংশটা আমায় খুব স্পর্শ করে নি। তবে বিজ্ঞাপনে বা ক্রোড়পত্র গোছের প্রবন্ধ গুলিতে কয়েকটি কথা স্পষ্ট। প্রধাণত পতাকা গোষ্ঠীর প্রখ্যাত কর্ণধারের অসংখ্য যে চ্যারিটি র কাজ রয়েছে, তার অন্যতম এই পত্রিকা। স্কুল ও হাসপাতাল এবং ক্লিনিকের বিজ্ঞাপন ই প্রধান, মুসলমান মানুষেরা নিজেদের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার দায়িত্ত্ব খানিকটা নিজেরাই নিতে বাধ্য হচ্ছেন , শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের ব্যাপক প্রাইভেটাইজেশনের এই আমলে এটাও পরিষ্কার, এগুলি ই জীবিকা হয়ে উঠছে অসংখ্য মানুষের সেটাও ঠিক। বিভিন্ন চ্যারিটির মধ্যেকার ঝগড়া ঝাঁটির আভাস ও পাওয়া যাচ্ছে, অনেকেই তাতে অন্তত আমার চেয়ে বেশি আগ্রহ পাবেন, শিক্ষা ও সংস্কৃতির জগতে মতানৈক্যে তো আমরা অভ্যস্তঃ-))) আমাদের দেশের মুসলমানদের ক্ষেত্রে মতানৈক্য আমার খুব খারাপ লাগে না, কারণ আর কিছু না, রক্ষনশীল সংখ্যাগুরু রা সাধারণত সংখ্যালঘু দের হেটেরোজেনিটি কে অস্বীকার করেন, এটি আধুনিক রেসিজম এর একটি পরিচিত চিহ্ন। তো দুই বা একাধিক জাতীয়বাদী বাঙালি মুসলমান পরিচালিত চ্যারিটি নানা বিষয়ে তীব্র মতানৈক্য প্রকাশ করছে দেখলে, সংখ্যাগুরু রা অন্তত এই শিক্ষা পাবেন, ব্যক্তি মানুষ যে ধর্মপালন করুন না কেন, মানব জীবন দর্শনের বৈচিত্র তাতে কমে না।
  • h | 212.142.***.*** | ৩০ অক্টোবর ২০১৬ ০৯:৩৯726670
  • এই লেখাটার একটা বিশেষ উদ্দেশ্য আছে। উদ্দেশ্য এই যে কিছু লোক উদ্যোগী হয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুসলামান দের পরিচালিত বিভিন্ন পুরানো বা নতুন সাময়িকীর অনলাইন আর্কাইভিং করবেন, এবং এই পত্র পত্রিকার লেখকদের নানা অনলাইন পত্রিকায় আরো নিয়মিত লেখানোর উদ্যোগ নেবেন। conversations won't happen, because social networking just does not have strong enough traditions of civilised discussion, but the effort to continuously enrich the media with serious writing from unknown writers must continue.
  • For (Natun Gati) | 127.194.***.*** | ৩১ অক্টোবর ২০১৬ ০৪:০২726672
  • Natun Gati--A Bengali News&Views Weekly from 1984.Office:88 Taltala Lane,Flat 1D,Kol-14.Editor-Imdadul Haque Noor(M-9830155243)
  • de | 69.185.***.*** | ০১ নভেম্বর ২০১৬ ১৬:০৫726673
  • এরকম আলোচনা আরো হোক, ভালো বইপত্র পড়া হলেই হোক -
  • h | 11.39.***.*** | ০২ নভেম্বর ২০১৬ ১২:০৭726675
  • বাই দ্য ওয়ে এটা বলে দেই এই বইয়ে তৃণমূলের নেতাদের শুভেচ্ছা বার্তা ইত্যাদি আছে, তাছাড়া নজরুল স্মৃতি রক্ষা প্রসঙ্গে যে সম্পাদকীয় বক্তব্য তার সঙ্গে ক্লিয়ারলি টি এম সির বক্তব্যের মিল আছে। তাই যারা বই পড়বেন জারা বইয়ের রাজনৈতিক জিনিসটা অপ ছন্দ করেন তাদের খারাপ লাগতে পারে কিন্তু ব্যক্তিগত মত হল বই পড়ার সময়ে অত ভাইবা লাভ নাই এটুকুই যথেষ্ট যে এটা অনেক ভালো লেখা সম্বলিত অপেক্ষাকৃত স্বল্প পঠিত পত্রিকা। বঙ্গ এটা কদ্দূর আন্দাজ কোন দলের পত্রিকা না যে অর্থে দেশহিতৈষী বা গণশক্তি একটা পার্টির পত্রিকা। আমার পত্রিকাটা ভালো লেগেছে তাই বললাম এবঙ্গ মনে করি এই সোশাল নেটোয়ার্কে যে অনন্ত হিন্দু জাতীয়তা আর সেকুলার রাজনীতির খানাখন্দ আর ক্যাচাল তাতে এই বইটি সুচিন্তিত প্রবন্ধ গুলির জন্যই অনল্য়্সিস আর্কাইভ হওয়া উচিত ওরা যদি উত্সাহ পান। আর গল্প লেখক মনুসের তো সুধু আরো এক্সপোজার হলে ভালো হয়
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন