তুলে দিলাম এবছরের বিশ্লেষনের janye
কে জিতবে সেটা তো আসলে স্পেকুলেশান। তবে পোলগুলো নাকি এবারে মেরামত করেছে। স্যাম্পেলে রুরাল নন কলেজ গ্র্যাজুয়েটদের ওয়েট বাড়িয়েছে। তাতেও প্রচুর ডাইভারজেন্স। আইবিডি-টিআইপিপি (এরা গতবার ঠিক পোলিং দিতে পেরেছিল) গ্যাপ ক্রমশ কমিয়ে কমিয়ে আজ দু পয়েন্টে নিয়ে এসেছে। অন্যান্যরা বাইডেণকে কমফর্টেবল মার্জিন দিচ্ছে। থাম্বরুল বলছে বাইডেণ ৪ পার্সেন্টেজ পয়েন্টে এগিয়ে থাকলে ইলেকটোরাল কলেজও জিতে যাবে।
তার উপর কালকে থার্ড ডিবেট।
এর মধ্যে বাইডেনের ছেলের ল্যাপটপ নিয়ে কিছু লোকজন প্রচুর চেঁচামেচি করছে। সেই ল্যাপটপে কি আছে, সেটা নাকি রুডি জুলিয়ানি জানে। রুডি চ্যানেলে চ্যানেলে চোখ বড় বড় করে মিথ্যা কথা বলেই চলেছে। এফবিআই নাকি কিসব খতিয়ে দেখছে। এতদিন অবধি একটা লিখিত নিয়ম ছিল যে ইলেকশানের আগে কয়েক সপ্তাহে এফবিআই এমন কোনওরকম ঘোষণা করতে পারবেনা যাতে ইলেক্শানে ইমপ্যাক্ট হতে পারে। এবারে এজি উইলিয়াম বার সেই নিয়ম তুলে দিয়েছে। কিন্তু বাইডেনের নামে কোনও খারাপ ইনভেস্টিগেশান কেন করা হচ্ছে না (অনেকটা), এই মর্মে ট্রাম্প নিজেরই এজির উপর ক্ষেপেছে। ট্রাম্পের মনমতন চললে ইলেকশানের আগে বাইডেনকে অ্যারেস্ট করতে চায় (হিলারীকে যেমন চেয়েছিল)। এতবড় আস্পর্দ্ধা, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইলেক্শানে লড়া। দেখাচ্ছি। অবশ্য হিলারীকে তো গুলি করে মারার কথাও বলেছিল। সেটা এখনও বলেনি। শুধু সিএনেনকে বাস্টার্ড বলেছে, সারাক্ষণ কোরোনাভাইরাস নিয়ে খবর দেওয়ার জন্য।
অন্যদিকে ট্রাম্প যে ট্যাক্স দেয়নি আর প্রচুর দেনা করে রেখেছে (সম্ভবত বিদেশি ইনাভেস্টরদের কাছে), সেটা আপাতত চাপা পড়েছে। নো ওয়ান্ডার ২০ বিলিয়ন ডলার দিয়ে দেওয়াল তুলতে চেয়েছিল।
ট্রাম্প খুব তাড়াতাড়ি মার্কেটে ভ্যাকসিন আনতে চলেছে। নিউ ইয়র্ক আর ক্যালিফোর্নিয়া বলেছে যে রাজ্য সরকার আগে টেস্ট করে দেখবে, তারপর সেসব ব্যবহারের প্রশ্ন আসছে। ট্রাম্পের কথায় কেউ বিশ্বাস করছেনা। এমনকি রিপাব্লিকান স্টেটগুলো বেশ সময় নিয়েই সেইসব ভ্যাক্সিন জনগণের মধ্যে ছাড়বে।
ক্যাম্পেইন কনট্রিবিউশানে ট্রাম্প অনেকটাই পিছিয়ে আছে। কালকের একটা র্যালিতে বলেছে যে চাইলেই নাকি ডোনেশান জোগাড় করতে পারে। এক্সন মোবিলের সিইওকে ফোনে করে বলবে যে ও তোমার দুটো জিনিস স্যাংশান করে দিতে হবে, দেখছি। আচ্ছা আমাকে ২৫ মিলিয়ন ডলার দাও।
এগুলো নিয়েই কালকের ডিবেট হবে। ট্রাম্প নাকি কালকে ভদ্র ব্যবহার করবে। জোকসও বলবে শোনা যাচ্ছে। সাবার্বান মহিলাদেরকে নিজেই বলেছে প্লিজ আপনারা আমাকে একটু পছন্দ করুন।
একটাও জোক্স নয়। আপাতত আমেরিকার গণতন্ত্রের অবস্থা এইরকমই। কালকের ডিবেটটা কোনওমতে পার করে দিতে হবে।
দুদিকের মধ্যে পার্থক্যটা হলঃ
বাইডেণের ছেলের একটা ল্যাপটপে নাকি ভয়ন্কর জিনিসপত্তর লেখা আছে। কি লেখা আছে, কেউ জানেনা। সেই ল্যাপটপ যে বাইডেনের ছেলের সেটাও কেউ কনফার্ম করতে পারছে না। যে দোকানদার ল্যাপটপটা দিয়েছেন, তিনি লিগালী ব্লাইন্ড, তাই কিছুই কনফার্ম করতে পারেননি। এমনকি তিনি নিজেও কনফার্ম করতে পারেননি যে ল্যাপটপটা বাইডেণের ছেলের।
কিন্তু তাই নিয়েই প্রথমে হইচই হল। হিলারীর ইমেইলের মতন, যদিও বিগত চারবছর ধরে কোনও খোঁজ ছিলনা। আবার কয়েকদিন আগে শোনা গেল যে সেইসব ইমেইল নাকি সব জনসমক্ষে আসতে চলেছে। তা সেই নাটক যখন জমলো না, তখন এই ল্যাপটপের গল্প এলো।
এবারে তিনদিনেই বোঝা গেল যে রুডি জুলিয়ানি তার কয়েকজন রাশিয়ান সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে এই বজ্জাতিটা করেছে। এমনকি নিউ ইয়র্ক পোস্টের জার্নালিস্টরা নিজেদের নাম জড়াতে চায়নি। বলেছে যে যথেষ্ট প্রমান নেই।
তখন এলো কেন টুইটার এরকম একটা আনকনফার্মড নিউজকে ব্লক করছে। অপাতত সেই নিয়েই গোলমাল চলছে।
আর ট্রাম্প নিজেই বলে দেয় যে অমুককে মারো, তমুককে ধরো। তোমায় সাহায্য করবো, যদি বাইডেনের ছেলের নামে ইনভেস্টিগেশান শুরু করো। বাইডেন বা হিলারী বা ওবামাকে কেন অ্যারেস্ট করা হচ্ছেনা, ওরা আমার নামে খুব খারাপ খারাপ কথা বলে, আমাকে ইলেকশানে হারাতে চায়। ট্যাক্স দেবোনা। ইলেকশানে বিদেশের সাহায্য নেবো। হোয়াইট হাউসে নিজের ফ্যামিলি নিয়ে বসে নিজের ব্যবসায় লাভ করে। শুধু নিজের গল্ফ কোর্সে খেলতে যায়, আর আমেরিকার সরকারকে কয়েক লাখ ডলার বিল করে দেয়। মহিলাদের ঐখানটা ধরবো। বাচ্চা এবং নিজের মেয়ের সম্বন্ধে যা বলেছে, সেসব ছেড়েই দিলাম।
যাগ্গে এইবারে আসল অ্যানালিসিসে আসা যাক।
২০০৮এ ভোট পড়েছিল ১৩ কোটির ১৩ লাখ।
২০১২তে ভোট পড়েছিল ১২ কোটি ৯০ লাখ।
২০১৬তে ভোট পড়েছিল ১৩ কোটি ৭০ লাখ।
এবারে ভোট অনেক বেশি পড়বে সেটা আশা করা যায়। কত? ১৫ কোটি?
ইতিমধ্যে প্রায় তিন কোটি মেইল-ইন-ব্যালট পড়েছে। আর ১ কোটি ১৫ লাখ ইন-পার্সন আর্লি ভোট পড়েছে। সব মিলিয়ে ৪ কোটি ১১ লাখ আর্লি ভোট। মোট মেইল ব্যালটের রিকোয়েস্ট এসেছে প্রায় ৮ কোটি ৪০ লাখের।
সবথেকে বেশি রিকোয়েস্ট গেছে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে। টেক্সাস, ফ্লোরিডা কাছাকাছিও নেই। অথ্চ টেক্সাসে আর্লি ভোট পড়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার থেকেও বেশি। ফ্লোরিডাও পিছিয়ে নেই। দেখা দরকার যে কারা দিচ্ছে এই আর্লি ভোট। কেন?
ডেমোক্রাটরাই তো এবার আর্লি ভোটের জন্য আওয়াজ বেশি তুলেছে! এটা মানতেই হবে এবার যে পরিমান গ্র্যাসরুট লেভেলে ডেমোক্রাট এনার্জি দেখা যাচ্ছে, ২০১৬ এ তার ধারেকাছে ছিল না!
আচ্ছা, ট্রাম্পের না কি একটা চীনে ব্যান্ক অ্যাকাউন্ট আচ্ছে? এটা কি বাইডেনের মেলের মত ব্যাপার?
ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল বলে "
এদিকে ৮০০,০০ পুলুশ ও তাদের বিভিন্ন রাজ্যের নানাবিধির সংগটন - কেউ তো বাইডেন্কে এনডর্স করল না! এইটে একটা বড় ও ইম্মিডিয়েট টাস্ক হবে বাইডেনের, জিতলে