এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শরীর শরীর, তোমার মন নাই, কুসুম?

    Yashodhara Raychaudhuri লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ৩৮৭১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Yashodhara Raychaudhuri | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:১৮721896
  • পুতুলনাচের ইতিকথায় মাণিক বন্দ্যোপাধ্যায় এই বাক্যটি লিখেছিলেন কি, তার ৪০ -৫০ বছর পর তা নিয়ে আলোচনা জমে উঠবে বলেই? সম্প্রতি এক ধীমন্ত আসরে, প্রখ্যাত লেখিকা নবনীতা দেবসেনের পরিচালনায় সই –এর মেলায়, বিতর্ক সভার আসর জমে উঠল ( ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬) এই বাক্যটির পক্ষে ও বিপক্ষে।

    শশী ডাক্তারকে কুসুমের ভাল লাগত। কুসুম এক সাধারণ বধূ, স্বামীসঙ্গে অতৃপ্ত। শশীকে দেখলে কুসুমের শরীরের মধ্যে কেমন যেন করে। কুসুম তা স্পষ্ট করে শশীকে বলেছিল। কিন্তু শশী তো শিক্ষিত , সামান্য উচ্চবর্গীয় পুরুষ কুসুমের চেয়ে। এক পরস্ত্রী নারীকে নিজের শরীর বাসনার কথা বলতে শুনে তাই গুটিয়ে গিয়েছিল সে। যদিও আকর্ষণ তারও ছিল। তবু।

    পুরুষ শাসিত সমাজের বিধি এটাই বলে। এক হাতে বলে, নারী , তুমি নিজের শরীরবাসনা বলবে না। অন্যদিকে অকাতরে, স্বতঃসিদ্ধের মত ভাববে, প্রেমের চরিতার্থতা তো শুধুই শরীরী প্রেমে। পুরুষের চোখে তো, বস্তুত, কুসুমের শুধুই শরীর। মন নাই।

    আসলে এখানে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যাচ্ছে বিষয়। এক, কুসুম পুরুষের চোখে নারী হলে তার মন নাই। কারণ পুরুষ শুধু শরীরলোভী। অন্তত এই সময়ে শরীরী বিভংগ ছাড়া নারীর আর কোনো রূপই তো বাইরে চোখ খুলে দেখি না আমরা।

    দুই, নারী যখন নিজে নারীকে দেখে।তখন সে শরীর দেখে , না মন? মানে কুসুম নিজেই নিজেকে শরীর ভাবে, না মন?

    আসলে মন নিয়ে এখন আমরা শিক্ষিত নারীবাদীরা ভাবিনা। মন একটা সে-যুগীয় কল্পনা। মনের বিরুদ্ধে এই ফুঁসে আর রুষে ওঠাও তো আসলে পুরুষতন্ত্রের উল্টোদিকে দাঁড়িয়ে। কেননা পুরুষ বলেছে, নারী , আমি তোমাকে শরীর হিসেবে দেখি, চাই। পুত্রার্থে ক্রিয়তে ভার্যা থেকে অন্য সব মনুর বিধানে নারী একটি ভোগ্য ও ব্যবহার্য শরীর শুধু। মূলত সন্তানধারণের জরায়ু একটি, চলে ফিরে হেঁটে বেড়ানো প্রোডাকশন মেশিন। তার বাইরে আকর্ষণীয় স্তন ও যোনির মধ্যে সীমায়িত। অন্যদিকে, পুরুষই নারীকে বলে, চুপ কর, নির্লজ্জা, তোমার নিজের শরীরের কথা বলবে না, শরীরের চাহিদার কথাও না। ছিঃ। বেহায়া মেয়েমানুষ ছাড়া কেউ নিজের বাসনা জানায় না। এত শরীর শরীর কর কেন? কেন এত আঁশটে গন্ধ বের হয় তোমার সমস্ত চলাফেরায়! শুদ্ধ পবিত্র হও, ঘোমটা হিজাবে ঢাকো নিজেকে।

    এর বিপরীতে, আজকের কুসুম বলে, আমার শরীর তো আমার। আমার শরীরকে সাজাবোও আমি, নিজের আনন্দে, পুরুষের মনোরঞ্জনের জন্য শুধু নয়। নারীবাদের এটাই বয়ান।

    তাই আজ সর্বত্র শরীরের জয়জয়কার। কোথাও মন নেই। মন থাকা আনফ্যাশনেবল। মন থাকা জলচল নয়। শরীরে ভাল থাকা জরুরি।

    এটা যারা বলে, তারা তো শশী ডাক্তারের মুখোমুখি বিবাহে অসুখী সমাজের নিচুতলার অপরিশীলিত, নিজের আঁতের কথা বলে ফেলা কিন্তু কিছু বুঝতে না পারা, তর্ক করতে না পারা কুসুম নয়। এ তো শশী ডাক্তারের চেয়েও শিক্ষিত , এখনকার নাগরিক সভ্যতার হাত ধরা , দুপাত ইংরিজি পড়া কুসুম। সুতরাং দেকার্ত নামে এক ফরাসি সাহেবের কথাও কুসুম জানে। মাইন্ড বডি ডুয়ালিজমের কথাও শুনেছে।

    কিন্তু আজকের বাজার সংস্কৃতির হাত ধরা এই নব্যা ললনা কুসুম তো জেনে গেছে কার্টেসিয়ান ডুয়ালিসম আর জল চল নয়। মন বলে আলাদা কোন বস্তু যেখানে নেই, যে মন , শরীর স্পর্শবিহীন , মগজের এক কোণে বাসা করে বসে পিনিয়াল গ্ল্যান্ডের মাধ্যমে শরীরের সঙ্গে বাতচিত চালাচ্ছে, আর মাঝে মাঝে শরীর খুব আবেগতাড়িত কামতাড়িত ক্রোধতাড়িত হয়ে হাল ছেড়ে দিচ্ছে, শরীরের পরাধীনতা স্বীকার করে নিয়ে তাকে যা ইচ্ছে তাই করতে দিচ্ছে।

    সে বিতর্কে প্রখ্যাত সাংবাদিক সুমন চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন গোপাল আর রাখালের গল্পে বাঙালিকে , ভিক্টোরিয়ান শুচিবাইগ্রস্ত বাঙালিকে, বোঝানো হয়েছিল, গোপাল হও। সুবোধ বালক, লেখা পড়া করা, ফার্স্ট হওয়া। সাত চড়ে রা না কাড়া। মনের দাসত্ব মানো। শরীরকে হাওয়া করে দাও। আর রাখাল মাসির কান কেটে নেয়, রাখাল ইস্কুল পালায়। রাখাল হল শরীরের ভাষায় দক্ষ। বাঙালি তার পর থেকে মনের দাসত্ব করছে। সেদিন শাশ্বতী ঘোষ বলেছিলেন, এর পর থেকে যৌনতা নিয়ে মৌনতার যুগ। সবাই চুপ। কেউ শরীরের কথা বলবে না!

    তা, যে মন গোপালের মত সুবোধ, কেবলি ইন্দ্রিয়তাড়িত শরীরের ওপর শাসন কায়েম রাখছে, এরকম একটা আলাদা, শরীরবিচ্ছিন্ন মনের কল্পনা সেযুগের ডুয়ালিস্ট রা করতেই পারতেন, কিন্তু এযুগে মেটিরিয়ালিস্ট সাইকোলজির যুগ পড়েছে, সুতরাং শরীরাধীন হয়েই আজকে কুসুমকে থাকতে হয়। জেনে গেছে কুসুম । জেনে গেছে আনন্দের অনুভূতি ডোপামিনের উত্থানপতনের সঙ্গে জড়িত, জেনে গেছে প্যানজিপে ডিপ্রেশন বেদনা সব কমে যায়। জেনে গেছে মগজের এক একটা এলাকায় এক এক রকমের অনুভূতির জন্ম হয়। অনেক হর্মোন মিলে তার মনকে শাসন করছে এটাও জেনে গেছে কুসুম। কুসুম এও পড়েছে, বইতে, যে বিহেভিয়রিস্ট রা বলে থাকেন, স্টিমুলাস আর রেসপন্স এই দুটোর বাইরে কোন মন নেই। স্টিমুলাস, আমি চোখ দিয়ে দেখলাম মিষ্টি, আমি নাক দিয়ে শুঁকলাম মিষ্টির গন্ধ, রেসপন্স, আমার হাত উঠল মিষ্টির দিকে। অর্থাৎ শরীরী ক্রিয়াকর্মের পেছনে আছে স্টিমুলাস। এবং প্রেমের ক্ষেত্রে এই শরীরী স্টিমুলাস কী কী , এটা এবার আপনারা কল্পনা করে নিতেই পারেন। এখানে মনের কোন ভূমিকাই থাকছে না।

    এই সব জেনে গিয়ে যে কুসুম রোজকার জীবন চালায় সে একরকম আছে বটে। ওই আর কি, প্যানজিপ খেয়ে খেয়ে নিজেকে ভাল রাখার চেষ্টা করে, এই ওই বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে সময় কাটিয়ে আর প্রেমে-কামে-তেলে-ঝোলে নিজের শরীরিতাকে উদযাপন করে।

    আর এসবের ধার ধারেনা যে কুসুমেরা, তাদের, তাদেরও বুঝি মন নেই। তাদের যদি মন না থাকে, তাহলে তো চিন্তাও থাকে না। চিন্তা যে আছে তার প্রমাণ, বিহেভিওরিস্ট রা বলেছেন, কর্মেই শুধু । কর্ম না থাকলে মনের অস্তিত্বও নেই, কারণ যা চোখে দেখা যাচ্ছে না, তার অস্তিত্ব প্রমাণ করার ব্যাপারে অনেক খাটাখাটুনি।

    যেমন হাওয়া চোখে দেখা যায়না, তাই বেল জারে ইঁদুর রেখে হাওয়া বার করে নিয়ে ইঁদুরটাকে মেরে ফেলে প্রমাণ করতে হয় হাওয়া ছিল, তেমনই মন যে ছিল, তা প্রমাণ করতে গেলে একটা মেয়েকে আগে শরীরের দিক থেকে মেরে ফেলতে হয়!

    এইবারে তাহলে পথে এসো, শরীর ! তোমার জয়জয়কার চতুর্দিকে, তবু। সেই মেয়েটির কথা ভাবুন, যার পক্ষাঘাতে প্যারালিসিস হয়ে গেছে। সে জানে শরীরে পাবে না কারুকে। তবু কিন্তু মন দিয়ে কল্পনা করে নেয় তার প্রেমিককে। সেও কিন্তু প্রেমের কথা ভাবে। সুখের কথা ভাবে। ওটুকু ভাবনা না থাকলে সে যে মরেই যেত, ওইজন্য ভাবে। তার মন না থাকলে চলে?

    বা, যে কুসুমের উদয়াস্ত বাবুদের বাড়িতে কাজ করে কাটে, শরীরটা গতর খাটিয়ে পয়সা রোজকারের জন্য নিবেদিত, সকালে তিন বালতি কাপড় কেচে আটজন লোকের রান্না করে বাড়ি ফিরে নিজের ছেলেমেয়েদের জন্য রান্না করে তারপর বিকেলে ঘরের কোণে বসে ছোট্ট একটা জানালা দিয়ে চাঁদ দেখে । সেই কুসুমের যদি মন না থাকে, চলে? তার ঘর সলিটারি সেলের মত, সেকথা খানিক ক্ষণ ভুলে যেতে পারে মন আছে বলে। স্বামী মাতাল হয়ে এসে খিস্তি করে , মারধোর করে, তারপর জবরদস্তি আদরসোহাগ করে, তারপর ভোঁসভোঁস করে ঘুমিয়ে পড়ে, এই কুসুমের তখন মন কাজ করে, মন বলে একদিন ভাল থাকবে, একদিন বাচ্চারা স্কুল যাবে, একদিন ভালবাসবে তার মরদ।

    যে কুসুমের নিঃসঙ্গতা ক্রমশ বাড়ছে সেও কিন্তু মন আছে বলে ডুবে যায়না, সে কাল্পনিক পুরুষদের সঙ্গে কথোপকথন করে।

    যে কুসুমের বাবা খাপ পঞ্চায়েতের গাঁও বুড়া, সে কুসুমের প্রেমিক হাজার মেইল দূরে থাকলেও মনে মনে সে সেই প্রেমিকের সঙ্গে কথা বলে, তার কাছ থেকে পালিয়ে যাবার সাহস জোগাড় করে।

    যে কুসুমের প্রেমিক ঝাঁঝরা হয়ে গেছে তার বাপ জ্যাঠার গুলিতে, সেও প্রেমিকের স্মৃতি মনের ভেতরে পুষে রেখে বেঁচে থাকার রসদ খোঁজে।

    অর্থাৎ, কিছু একটা না থাকলে কিছু একটা দিয়ে সে অভাব পূরণ করার সময় কুসুমদের কাজে আসে মন। অন্যথায়, বাজারি সংস্কৃতি তার মনকে তো হাওয়া করে দিয়েইছে, শরীরকেও তার থেকে অ্যালিয়েনেট করেছে। তার শরীরের বিশেষ কিছুই আর পড়ে নেই, শুধু নিখাদ কামকলার জন্য, দিনশেষে একটু কোপুলেট করার জন্য , সঙ্গম করার জন্য, তার যোনিক্ষেত্রটুকুই যেন সব। তার হাত পড়ে নেই। তার পা নেই। তার চুল গেছে, তার চোখের মায়াবী চাহনি গেছে, তার ঘাড়ের কাছের তিল টার মাধুর্যও গেছে।

    ভ্যালেন্টাইন ডের লাল বেলুন যেরকম একমাত্রিক, সেরকমই এই শরীরকে শুধু যৌনক্রিয়ার জন্য একটা ছিদ্রমাত্র ভাবাটাও একমাত্রিক। আমাদের দেশের বহুমাত্রিক সংস্কৃতিতে অনেক রকমের মুগ্ধতার উপাদান ছিল, এখন সে বিবরণ যৌন সুড়সুড়িও আর দেয়না। একটি মেয়ের পায়ের পাতা দেখে জয়দেব বলতে পারেন দেহি পদপল্লবমুদারম। এখন পায়ের পাতা নিয়ে পুরুষ আদিখ্যেতা করলে মেয়েটিই মুখ মটকে হাসবে।

    সাড়হীন, স্পর্শহীন, খুব উদাসীণ শরীর নিয়ে আমরা বসে আছি। এই সাড় আর স্পর্শও যে আসলে মন থেকেই আসত, মনই বলে দিত কোন বস্তুটি কাম্য, কোনটি সুন্দর, মনই কিছু কিছু জিনিসকে দূরে সরিয়ে দিয়ে বেশি বেশি করে অপ্রাপ্য করে তার প্রতি আকর্ষণ বাড়াত, সেগুলো কিছুই আর নেই, মন হাওয়া হয়ে গিয়ে আমরা যে এখন কাম বলতে শুধু জাপানি তেল আর রকেট ক্যাপসুল বুঝি, আর খাট ভাঙা কর্মসূচীও, এটা আমাদেরই লস। আর কারুর না।

    শেষ করি দেহি পদপল্লব মুদারম –এর একটি ইদানীন্তন বর্ণনা দিয়ে। লিখেছেন বিপুল দাস। পায়ের দুটোপাতা ছুঁতে চেয়েছি আমি,

    আমার চোখে জল, তুমি অপ্রস্তুত।

    ভেবেছ চরণের কোথায় মোহঘোর,

    কোথায় কামরেখা, কোথায় চিতচোর।

    পুরুষ বড় বোকা, কখনও অদ্ভুত।

    তুমি কি ভেবেছিলে তোমার জানেমন

    পাগল? ন্যালাখ্যাপা? নয়তো মতলবি

    কামুক, শরীরের স্পর্শ পাবে বলে

    পাদুটো ছুঁতে চায়। আসলে ডালে ডালে…

    এসব দ্যাখা আছে, পুরুষ মধুলোভী।

    আমার সোনামন আমার চোখে জল

    ক্রমশ বেড়ে যায়। তোমার ঘরবাড়ি,

    তোমার দেশকাল, শাড়ি ও পেটবু্‌ক,

    কোথায় ভেসে যায় দীঘার সেই সুখ।

    জোয়ারে ভেসে আসে রাতুল দুটি দল।

    তুমি কি ভেবেছিলে রক্তমাংসের

    ভেতরে আমি খুঁজি প্রণামপল্লব?

    পায়ের দুটি পাতা ছুঁতে চেয়েছি আমি।

    ছোঁয়া কি যায় বলো অলীক পদতল?

    বিপুল দাস।

    ওই অলীক পদতলেও যে মন বসতে পারে, প্রেমের বসতি যে মনের মধ্যে পুষে রাখা শরীরের ভাবনাতেও , নানা অনুষঙ্গ স্মৃতিরেখার আনাচে কানাচে, এইটে ভুলে আমরা বড় কষ্টে আছি। আমাদের শরীর ও মন দুইই কষ্টে আছে।
  • avi | 113.24.***.*** | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৮:৫৫721907
  • ভালোই লাগলো। কিন্তু মনকে কিভাবে দেহাতীত ভাবা হচ্ছে বুঝলাম না। মানে মন নিয়ে যতই কাব্য সাহিত্য করি, ব্রেইনের নিউরনগুলোর পারস্পরিক ইন্টার‍্যাকশনের বাইরে মনের অস্তিত্ব কিভাবে আসবে? আর তার বহিঃপ্রকাশ শুধুই স্টিমুলাস আর রেসপন্সে নয়, এখানে একটা টার্ম লোকজন হাওয়া করে দেয়, স্মৃতি এবং তা থেকে শেখা, যা থেকে গড়ে ওঠে লজিক ও রিজনিং। স্মৃতির সাথে তুলনা করে সম্ভাব্য পরিণতি বুঝে মানুষ প্রতিক্রিয়া দেয়, এবং এখানেই একরৈখিক স্টিমুলাস রেসপন্স কার্ভ পাল্টে যায় বেশি ইভলভড জীবদের ক্ষেত্রে। বিভেভিয়রলজিস্টদের ওইসব ইঁদুর বাদুড় নিয়ে পরীক্ষা মন বুঝে ফেলার নয়, লার্নিংএর একদম প্রাথমিক, প্যালিওকর্টেক্সের কাজ বোঝার মডেল ওগুলো। তাই 'তার বাইরে মন নেই' ব্যাপারটা খুব প্রাথমিক ধারণা মনে হয়, এটা অতটাও লিনিয়ার নয়।
  • | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৮:৫৮721918
  • পড়লাম। কিন্তু মন হাওয়া করে দেওয়া হবে কেন? মন দিব্বি আছে তো। ইচ্ছে, অনিচ্ছে, সুখ দুঃখ নিয়ে দিব্বি দৈনন্দিনে উঁকি মেরে জানান দেয় সে আছে।
  • সিকি | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:০৬721919
  • বক্তব্য আছে। তবে তার আগে, মাসির কান কেটেছিল ভুবন, রাখাল নয়।
  • Ekak | 53.224.***.*** | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:০৮721920
  • রাখাল কীকরে শারীরতাত্বিক হলো তাও বোঝা গ্যালোনা । সেই তো বরং মনের অধীন , রাদ্দিন যা মনে হতো তাই করে ব্যারাতো ।
  • cm | 127.247.***.*** | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:৩৫721921
  • বেশ ভাল লাগল। কবিতাটি পড়ানোর জন্য আলাদা করে ধন্যবাদ।
  • Yashodhara Raychaudhuri | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:৪১721922
  • অভি, সত্যিই প্রাথমিক ধারণা। স্পষ্টীকরণের জন্য অনেকটা বড় থ্যাঙ্কু। কিন্তু আরেকটু খোলসা করে মন ইজ ইকুয়াল টু কী কী , যদি বলেন। এখানে থেকে প্রস্থানবিন্দু হতে পারে পরবর্তী অনেক আলোচনার।
    শরীর বনাম মন ডিকোটমি নিয়ে সবার বক্তব্য জানতে চাই।
  • Ekak | 53.224.***.*** | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:৫৫721923
  • এই ডিকটমি টা বোঝেন কী করে ? আগে বুঝি তাপ্পর তো বক্তব্য ।

    এটা কী একটা ক্ষমতা না একটা বস্তু না একটা ধারণা । একচুয়ালি কী ।
  • ranjan roy | 132.176.***.*** | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২০:৫৮721924
  • অভিকে ধন্যবাদ এই বিতর্কে 'স্মৃতি" কে ডেকে আনার জন্যে।
    সেই স্মৃতির টানেই বলে উঠি--ফিরে এসো মায়াবী চাহনি! ফিরে এসো ঘাড়ের বা গলার বা গালের তিল!
    সংসারের টানাপোড়েনে সে সব কবে উধাও, তবু তারা আছে, আছে আমার স্মৃতিতে।
    স্মৃতির অনুষঙ্গ ছাড়া ভালবাসা (মনের ক্রিয়া) হয় না, হলেও বাঁচে না। ত্রাই সেই স্মৃতির তাড়নায় শশী ডাক্তার কুসুমকে বলে-- যাবে বৌ আমার সঙ্গে?
    সেই স্মৃতি মরে গেছে কুসুমের, তাই সে অনায়াসে তার ছোটবাবুকে ফিরিয়ে দেয়। শশীকে শেখায়--ভালবাসায় নিয়মিত জলসিঞ্চন না করলে তার অবহেলায় পড়ে থাকা জংধরা লোহার পাত্রের দশা হয়। ওই জলসিঞ্চন যে মনের কাজ!
    আসলে কুসুমেরও মন ছিল। সে শুধু মনের কথা শরীরী ভাষায় বলেছিল ।
    একটাকে ছাড়া আর একটাকে চলে না যে! শুধু মন? শুধু শরীর? কষ্টকল্পনা!
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.***.*** | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২২:২৯721897
  • হ্যাঁ। মন ও শরীর একে অপরের পরিপূরক বৈ তো না। নয় কি?
  • অভি | 37.63.***.*** | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৭:০৮721898
  • দেখুন, মন ও শরীর আলাদা, ডুয়ালিজম, এসবই কিন্তু সেই সময়ের প্রেক্ষিতে দেখা ভালো যখন সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম সম্বন্ধে খুব কম জানা ছিল। যেকোনো বিষয়েই একাধিক ব্যাখ্যা দেওয়া হয়, নতুন কিছু না। কুষ্ঠ হলে পাপের ফল ভাবা হত, কারণ হঠাৎ করে এরকম হচ্ছে কেন কিছুই বোঝা যেত না, তাই একটা ডিভাইন অ্যাপ্রোচ লাগত। আগের লোকেরা যেটাকে দেখত আত্মা বা আত্মিক নিয়ন্ত্রণ হিসেবে, পরের লোকেরা তাকে দেখতে গেছে সুপার ইগো, ইগো কনসেন্স ইত্যাদি হিসেবে। দুটোরই উৎস এক জায়গায়, একটা মডেল তৈরি করা যাতে মানুষের ব্যবহার, ভাষা ও তার প্রকাশ, ইমোশন, চিন্তা, অনুভূতি, বিচার বিবেচনা, লজিক রিজনিং, বোধ, স্মৃতি এসবের ব্যাখ্যা দেওয়া যায়। এবং এই সবগুলোকে একসাথে মন নামে একটা ক্যাটেগরিতে ফেলা হল। তাকে দেখা যায় না, বোঝা যায় না, দেহ কাটলে পাওয়া যায় না, দেহ নষ্ট হলে তার কী হয় জানা যায় না। ফলে দুনিয়ার সব সময়ের, সব দেশের দার্শনিক, বিজ্ঞানী, সমাজতাত্ত্বিক, চিকিৎসক, ধর্মব্যবসায়ী এই নিয়ে মাথা ঘামিয়ে গেছেন, থিওরি খাড়া করেছেন, চিন্তা করেছেন। বস্তুত এইসব চিন্তাভাবনার ক্রমবিবর্তন খুব ইন্টারেস্টিং, এটা আলাদা একটা আলোচনার যোগ্য।
    সমস্যা অন্য জায়গায়। শরীরের যা কিছু বোঝা যেত না, সেসব নিয়েও অদ্ভুত সব মডেল দেওয়া হত, সে তো বলেইছি। এবার ওগুলো আস্তে আস্তে সরে যেতে লাগলো, কারণ শারীরিক সংগঠন স্টাডি করার সুযোগ অনেক বেশি। অন্যান্য প্রাণীর সাথে সাযুজ্য আছে, ব্যবচ্ছেদের ফলেও বোঝা যায়, ক্রমশ উন্নত ইমেজিং ব্যবস্থার সাথে সাথে আরো বেশি করে জানা যেতে লাগলো। কিন্তু স্নায়ুতন্ত্র তখনো অনেকটাই অজানা। এই গ্যাপ থেকে ডুয়ালিজম উঠে আসছে। বস্তুত এটা মানুষের জ্ঞানের ডুয়ালিজম। স্নায়ুতন্ত্রের যেসব রোগ সরাসরি কগনিশনকে প্রভাবিত করে না, সেসবও প্রথমদিকে মানসিক ডোমেনেই পড়ত, সেরা উদাহরণ এপিলেপ্সি বা পার্কিনসন্স ধরনের রোগ। পরে এগুলোর মডেল অনেকটাই বোঝা যাওয়ায় তৈরি হল নিউরোলজি নামের বিষয়। এবং এটা তখন পরিষ্কার হয়ে এসেছে যে, মন পেটে থাকে না, হৃৎপিণ্ডে থাকে না, মস্তিষ্কেই থাকে। প্রিফ্রন্টাল লোবোটমি করে সাইকোসিস ভালো করে দেবার দাবি করলেন মনিৎস, নোবেলও পেয়ে গেলেন তৎক্ষণাৎ। মডেল হাতড়ে বেড়াচ্ছে জনতা, সম্ভাব্য কিছুর হিন্ট পেয়েই সেদিকে লাফিয়ে যাওয়ার এই প্রবণতা সর্বকালীন। কিন্তু এই মডেলের পরীক্ষা তখনো বাকি। করা যাচ্ছে না। সবচেয়ে বড় কারণ মনের প্রকাশ মূলত ঘটে ভাষার মধ্য দিয়ে, আর মানুষ ছাড়া অন্য প্রাণীদের ভাষা হয় নেই, বা আমরা বুঝি না। ফলে অ্যানিম্যাল মডেল সম্ভব না। এখানে এখন পুরো বিষয়টা দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। আরো একটা ব্যাপার, বিবর্তনে মানুষের নিওকর্টেক্স একটা মারাত্মক জটিল সংগঠন, বাকি প্রাণীদের তা নয়।
    এই জায়গা থেকে উঠে আসছে নতুন করে বডি আর সাইক-এর ডুয়ালিজম, ৪০এর দশকের পর নতুন করে আবির্ভাব ঘটছে নিও-ফ্রয়েডিয়ানদের, রকমারি টার্মে সাইকোলজি তৈরি হচ্ছে। যেহেতু গ্রে জোন, সবাই এখানে ঢুকে পড়ছে, আগেকার যুগের মতই। এবং কেউ অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যেতে রাজী নন, তাই সাইকিয়াট্রিস্ট বলছেন এটা সাধারণ নিউরোলজির থেকে আলাদা, স্রেফ কিছু নিউরোট্রান্সমিটারের এদিক ওদিক, সাইকোলজিস্টরা বলছেন ইদ ইগো আর সুপারইগোর কনফ্লিক্ট আর ডিফেন্স, অ্যান্টিসাইকিয়াট্রি মুভমেন্টে ফুকো বা কুপার বলছেন এসব প্রান্তিক মানুষজনের ওপর রাজনীতির ডমিন্যান্স। তার সাথে ফার্মা কোম্পানির অর্থনীতি, স্টেটের রাজনীতি, ধর্ম ও রেসিয়াল পার্থক্যের ইনভলভমেন্ট জলটাকে আরো বেশি ঘোলা করেছে।
    তার মাঝে ছোটখাটো তথ্য আসছে। ষাট সত্তরের দশকের ডোপামিন সেরোটনিন মডেলই শেষ কথা নয়, আসছে ইমোশনের নিউরোফিজিওলজি, মেমরির মডেল সার্কিট জানা যাচ্ছে, ফাংশনাল নিউরোইমেজিং পরীক্ষানিরীক্ষার নতুন দিক খুলছে যা এথিক্যাল গ্রাউণ্ডে বা অ্যানিম্যাল মডেলে করা যেত না। সাইকিয়াট্রি আলাদা কিছু না, বড়জোর বিহেভিয়রাল নিউরোলজি বলা যায়, এমন দাবিও উঠছে। একটাই দেহ, তার ভেতরেই সব, এই দাবি চলেই আসছে। এ নিয়ে পরে বিস্তারে আলোচনার ইচ্ছে রইলো।
  • Ekak | 53.224.***.*** | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৭:২০721899
  • সিরিয়াসলি , এই 2016 সালে , মন আর শরীর-এর মাঝখানে "বনাম " বসিয়ে আলোচনা রীতিমতো বোকা বোকা লাগে । প্রচুর প্রচুর স্টাডি হয়েছে । সাইকিয়াট্রি , নিউরোলজি অনেক উন্নতি করেছে । ব্রেইন ম্যাপিং সহজলভ্য হয়েছে । এখন আলোচনা করতে হলে আকাশ বাতাস না বকে হিসেবি রাস্তাতেই এগোনো ভালো । অভিকে ধন্যবাদ সেটা শুরু করার জন্যে ।

    মন শরীর থেকে আলাদা হয় সম্ভব কিনা এটা যদি 2016 সালে বসে ভাবতে হয় তাহলে কুসুম সে ডিমের হোক বা সাহিত্যের , আমাদের কোথাও নিয়ে যাবেনা । যাবে কম্পিউটার সায়েন্স ।

    মাইন্ড ফাইল তৈরী করার কাজ চলছে পুরোদমে । আপনার সমস্ত চিন্তাভাবনার আউটপুট ধরে রেখে , মেশিনকে লার্ন করিয়ে এমন একটা জায়গায় নিয়ে যাওয়া যে আপনার অবর্তমানে মেশিন একটা ডপলগ্যাঙ্গর হিসেবে কাজ করতে পারে । সে আপনার হয়ে চিন্তা করতে পারে বিলকুল আপনার মতোই । সেক্ষেত্রে আপনার শরীরের আর কোনো প্রয়োজন থাকবেনা । গুরুতে আগেও একাধিকবার মার্টিন রোথব্লট এর নাম নিয়েছি ওনার এপার্থেইড অফ সেক্স -বই প্রসঙ্গে । মার্টিন ওনার স্ত্রীর মন এর সাহায্যে একটি রোবট কে শিক্ষিত করে তুলছেন । একদম রিয়েল লাইফ উদাহরণ । কোনো সায়েন্স ফিকশন নয় । হয়তো একদিন আসবে যখন একাধিক স্বাধীন মন শরীর থেকে আলাদা হয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা -তর্কাতর্কি করতে পারবে । দেখা যাক ।
  • অভি | 37.63.***.*** | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৮:২৪721900
  • হুঁ, আরেকটা মজার ব্যাপার দেখেছি এই মন শরীর সংক্রান্ত আলোচনা হামেশাই স্রেফ যৌনতাকেন্দ্রিক। এইটি হল মহামতি ফ্রয়েডের অবদান, যাকে পরে আরো অনেকে যথেচ্ছ ঘেঁটেছেন। এবার এখন আমি ট্রেনে বসে আছি, পেট ভর্তি, একটু আগে দুটো ডিমও খেয়ে নিলাম। এখন দেখছি আমার সামনের একটা গ্রুপ ছ'টা সিঙাড়া কিনেছে, দেখে আমারই কেমন খিদে খিদে লাগছে। তো, হিসেবমত এটা আসছে আমার সিঙাড়া সংক্রান্ত পূর্ব স্মৃতি ও ইমোশন, তার দৃশ্যগন্ধগত ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য পার্সেপশন থেকে, অর্থাৎ মানসিক। এবার অলফ্যাক্টরি সেন্টার, ভিজুয়াল কর্টেক্স, অ্যামিগডালা, নিওকর্টেক্স সবাই সিগন্যাল পাঠাচ্ছে হাইপোথ্যালামিক ফিডিং সেন্টারে, সে আবার ফিরতি উত্তেজিত করছে মোটর কর্টেক্স আর স্যালিভারি নিউক্লিয়াসকে, আমার খিদে পাচ্ছে। একই জিনিস তিন চার ঘন্টা পরে হবে, তখন হবে স্টম্যাক খালি হয়ে স্ট্রেচ কমে গিয়ে ভেগাল স্টিমুলেশনের মাধ্যমে, হিসেবমত তা হবে দৈহিক। একজন অ্যানোরেক্সিক মানুষের কিন্তু এটাই হবে অনেক দেরিতে। লোকমানের কথা মনে আছে? ওই বাচ্চার খিদে পেত সারাক্ষণ, স্যাটাইটি সেন্টার হরদম নিষ্ক্রিয় থাকত। তাহলে কী দাঁড়াল, এখানেও তথাকথিত মন ও শরীর জড়িয়ে। তেমনি হার্ট অ্যাটাক যেমন হার্টের রক্ত সরবরাহ বিগড়ে গেলে বা ইলেক্ট্রোকনডাকশন ঘেঁটে গেলে হয়, তেমনি খুব বেশি ভয় বা উত্তেজনাতেও হয়। এই ক্ষেত্রেও ডুয়ালিজম প্রকট। কিন্তু যৌনতার গন্ধ এলেই মন হয়ে যায় সুপারইগো আর শরীর হয়ে যায় ইদ। :-) নইলে ভাবুন, ভয় পেলেও তো আমাদের গলা শুকিয়ে যায়, হাত কাঁপে, পেটের কাছটা খালি খালি লাগে। তো আমি ভয় পেয়ে সেসব কথা আমার একান্ত কাউকে বললে কোনো সাহিত্যে কেউ কি বলে "ভয় পেয়ে শুধুই শরীর, তোমার মনে ভয় নাই কুসুম?"
  • একক | 53.224.***.*** | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৮:৩৪721901
  • "খিদে পাওয়া " দিয়ে সব কিছু আদৌ রাউট হচ্ছে কী ?

    ধরেন , আমিও আপনার জায়গায় , খান ছয়েক ডিম খেয়েছি , আমার আবার দুটোই কিছু হয়না :( তো তারপর সামনে সিঙ্গারা দেখে ইচ্ছে হলো , এবার সিঙ্গারা নিয়ে মুখে কাছে আনার আগেই মাথা বলছে এই আলুর পুর আর খোলা দুটোই খাওয়ার জায়গা পেটে নেই আর খিদেও নেই তাই খোলা টা খেয়ে আলুটা কুকুরছানা ডেকে খাইয়ে দিলুম ।

    তো , যেটা বলার যে সব সময় "খাওয়া " যেমন পাকস্থলীর "খিদে" র সঙ্গে যুক্ত নয় । তেমনি , ওই যৌন ইচ্ছেও আগের দার্শনিকদের বর্ণিত বংশবিস্তার ইত্যাদির সম্ন্গে যুক্ত নয় । কনডম আবিস্কার হয়েছে বলে মানুষ রিক্রিয়েতিভ সেক্স শব্দটা শিখেছে । যেদিন পেট এ একটা খাবার বের করে দেওয়ার সিস্টেম প্রপারলি এড করা যাবে , সেদিন রিক্রিয়েটিভ ফিডিং ও আসবে , ইরেস্পেক্তিভ অফ এনি খিদে । তাই না ?
  • একক | 53.224.***.*** | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৮:৩৫721902
  • হ্যা , স্যশিএশোন ইস দ্য রাইট ওয়ার্ড । যার সঙ্গে পাকস্থলী সর্বদা ওয়ান টু ওয়ান ম্যাপড নয় ।
  • অভি | 37.63.***.*** | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:০৯721903
  • হ্যাঁ, ওই জন্যেই লোকমানের কথা বলছি। এক্ষেত্রে স্যাটাইটি একদম হচ্ছিল না। আর রিক্রিয়েশনাল খাওয়াদাওয়ার কন্ডোমের মত ব্যবস্থা হয় নি ঠিক, এবং সেজন্যই বুলিমিয়া নার্ভোসা একটা রোগ হিসেবে দেখা হয়, এবং কিছু জনতা খাওয়ার আগে লাইপেজ ইনহিবিটরি ড্রাগ খেয়ে নেয় ফ্যাট অ্যাবজর্পশন কমানোর জন্য। নইলে নেশা আর এইসব ইটিং ডিজর্ডার দুটোই কিন্তু রিওয়ার্ড সার্কিটের মডেলেই দেখা হয়।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.***.*** | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৩:০৫721904
  • লোকমান তো বটেই, আরো অনেকেই আছে শুধুশুধু খায়। পেটের খিদে নেই তবু খাচ্ছে।
    নিঝুম নিশুত রাতে, একা শুয়ে তেতলাতে
    খালি খালি খিদে পায় কেন রে?
    এরকম খাবার দেখলেই খেতে ইচ্ছে করে বলেই তারা অচিরেই স্থূল হয়ে যায়। এর মধ্যেও হরমোনের থাইরয়েডের সম্পর্ক থাকতে পারে। তবে এদের ক্রমাগত খাইখাই করাটা মনের। আশেপাশে খাবার দাবার নেই এমন জায়গায় নিয়ে যান, দেখবেন খাবারের কথা ভুলে থাকবে।

    এবার যৌন টপিকে এটা নিয়ে যা আলোচনা হয়েছে, তার দুটো দিক দেখেছি। একক বলছে, বংশরক্ষার কথা মাথায় রেখে যৌন সংসর্গ করা।
    আমি বলছি প্রেম ভালবাসা না থাকলে যৌন সংসর্গ করতে না পারা। এই ব্যাপারে অভি কী বলবে?

    (বাই দ্য ওয়ে, একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক তবুও মনে পড়ে গেল, আমার মেয়ের ক্লাসে একজন পড়াতেন তাঁকে দেখতে সিগমন্ড ফ্রয়েডের মতো। অন্তত ফোটোয় ফ্রয়েডকে যেমন দেখতে। ও সেটা ওর ক্লাসমেটদের বলে দেয়। এটা তাদের মাথায় আগে আসে নি। তারপর তিনি ক্লাসে পড়াতে ঢুকলেই সকলের সেটা মনে পড়ে যেত। ওঁকে আড়ালে অনেকেই ডিসকাউন্ট ফ্রয়েড বলে উল্লেখ করত। মানে সিগমন্ড ফ্রয়েডের ডিসকাউন্ট ভার্শান আরকি।)
  • avi | 113.24.***.*** | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৮:৪৬721905
  • প্রশ্নটা ঠিক বুঝেছি বলে মনে হচ্ছে না। "একক বলছে, বংশরক্ষার কথা মাথায় রেখে যৌন সংসর্গ করা। আমি বলছি প্রেম ভালবাসা না থাকলে যৌন সংসর্গ করতে না পারা।" - মানে, যৌন সংসর্গের জন্য প্রেম লাগবেই কিনা? তাই যদি হয়, তাহলে বলবো, জরুরি নয়। প্রেম ভালোবাসা ছাড়াই নিয়মিত যৌন সংসর্গ চালিয়ে যায়, এরকম প্রচুর উদাহরণ দেখি। ঋতুপর্ণের অন্তরমহল সিনেমায় জমিদারমশাই আর ছোটরানীর যৌনতার মতো।
  • ranjan roy | 132.162.***.*** | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৯:২০721906
  • আচ্ছা, দুই আগ্রহী পার্টির মধ্যে কোন ভাঁওতা ছাড়াই যদি কেবল যৌনতার জন্যেই সম্পর্ক হয় , হয়ত ক্ষণস্থায়ী, তো একে কি চিটিং বলা যাবে?
  • Sayantani | 113.215.***.*** | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২০:৩৪721909
  • রঞ্জন বাবু র উত্তরে: না।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.***.*** | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২০:৩৪721908
  • বেশ্যাগৃহে তো সেটাই হয় রঞ্জন্দা।
    এখন ধরুণ অন্য কেস, মক্কেল ম্যরেড বা তার লাভার আছে, তাহলে চিটিং। মক্কেল তার লাভার/বউ কে চিটিং করল।
  • Sayantani | 113.215.***.*** | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২০:৩৬721910
  • মানে এক পক্ষ কে অন্ধকারে রেখে করলে চিটিং হতে পারে। কিন্তু দু জন সিঙ্গেল লোক করতেই পারে।
  • ranjan roy | 132.162.***.*** | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২২:৩৯721911
  • ক্লিয়ার হল। আপাত দৃষ্টিতে দুজন সেক্স পার্টনার কেউ কাউকে চিট করছে না। তবে যদি একপক্ষের অন্য কারও প্রতি কমিটমেন্ট থেকে থাকে তবে সেই তৃতীয় পক্ষকে চিট করা হবে।
    ঠিকই মনে হচ্ছে।
  • ranjan roy | 132.162.***.*** | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২২:৪৮721912
  • @ সায়ন্তনী,
    আপনাকে একটি প্রশ্ন এই পাতাতেই করি?

    আপনিই কি সেই সায়ন্তনী যিনি কয়েকবছর আ্গে গুরুর ছন্দ নিয়ে আলোচনার একটি টইতে বাংলা ছন্দের ব্যাপারটা খুব সুন্দর করে বুঝিয়েছিলেন? অনেক প্রশ্নেরও উত্তর দিয়েছিলেন?

    উত্তর যদি না হয় তো কাটিয়ে দিন। যদি হ্যাঁ হয় তো অনুরোধ করব ওই লেখাটি আমার বন্ধুর "সমকালিক" বলে গড়িয়া থেকে প্রকাশ করা একটি ষাণ্মাসিক লিটল ম্যাগে প্রকাশের অনুমতি দিতে--প্রশ্নোত্তর সমেত।
  • | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২২:৫৯721913
  • না ইনি অন্য সায়ন্তনী বলে মনে হয়। তবে উনিই ভাল বলতে পারবেন।
  • ranjan roy | 132.162.***.*** | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:১৬721914
  • ও কে।
  • Sayantani | 113.215.***.*** | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৩৬721915
  • না আমি তিনি নই :) আমি ইতিহাসের ছাত্রী, ছন্দ বিষয়ে তেমন জ্ঞান নেই।
  • π | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৪৩721916
  • রঞ্জনদা, এখান থেকে টইয়ের প্রশ্নোত্তর কোথাও ছাপতে হলে সবারই অনুমতি নিতে লাগবে বা জানাতে হবে অন্ততঃ।
  • bip | 183.67.***.*** | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:০৮721917
  • শরীর মন মরালিটি এত্তোসব কোত্থেকে এল কে জানে রে বাবা।

    দেহের খেলা, সেক্সুয়াল আর্জ পুপু পিপির মতন। ঘরের বাথরুমেও সারা যায়, বাইরের টয়লেটও খোলা আছে। সেটা পাবলিক ( রেড লাইট এরিয়া) বা প্রাইভেট ( পরকিয়া) দুটোই হতে পারে। আমরা কোথায় পায়খানা পেচ্ছাপ করছি তা যেমন কেউ ভাবে না, তেমনি একজন নারী পুরুষ ঘরে না বাইরে তার যৌন কামনা মেটাচ্ছে, তা কোন ভাবার বিষয় হতেই পারে না।

    ইনফ্যাক্ট অতীতের রোম গ্রীস বা ভারতীয় সভ্যতাতেও সেক্সের সাথে বিবাহকে গোলানো হয় নি। সব পুরুষই সেক্সের কারনে স্ত্রী ছাড়াও যৌনদাসী, রক্ষিতা রাখত। যাদের ক্ষমতা আছে অবশ্য। ধনী মহিলাদের জন্য রোমে নারী এবং পুরুষ দুই ধরনের সেক্সের ব্যবস্থা ছিল।

    অতীতে কেউ সেক্সকে এইভাবে বৈবাহিক পবিত্রতার বন্ধনে বাঁধে নি। পায়খানা করতে গিয়ে কেউ ভাবে সে ঘরে বাথরুমে না বন্ধুর বাথরুমে যতক্ষন না সেই বাথরুম পরিস্কার নিরোগ?

    সেক্সের মধ্যে বৈবাহিক পবিত্রতার প্রবেশ বেশ আশ্চর্য্য ঘটনা। বিয়ে করে লোকে ফ্যামিলি রেইজ করার জন্য, বংশ রক্ষা করার জন্য-সেক্সের জন্য অতীতে কেউ বিয়ে করত না।

    আর সেক্স উপভোগ করতে মন দরকার? সম্পূর্ন ভুলভাল ধারনা। হ্যা পার্টনারের সাথে কমিনিউনিকেশন খুব ভাল কমিউনিকেশন দরকার। সেই জন্যে এসকর্ট এবং বেশ্যাদের রেট আলাদা। কারন এসকর্টরা আর্ট অব সেক্স, যার অধিকাংশটাই কমিউনিকেশন তাতে পারদর্শী। এটাত আমাদের কামসূত্রর জমানাতেও ছিল। এসকর্ট হতে সেযুগে ট্রেনিং নিতে হত।

    এর মধ্যে এই সব মনটন টাইপের ভিক্টরিয়ান কলোনিয়াল হ্যাঙ্গোভার কোত্থেকে এল?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন