এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • দিদি র রাজ্যে গনতন্ত্রের উৎসব

    Dipankar
    অন্যান্য | ১৩ আগস্ট ২০১৬ | ১৬৬৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দীপঙ্কর | 11.39.***.*** | ১৩ আগস্ট ২০১৬ ১২:৪৩720427
  • ইন্দিরা গান্ধীর তুলনায় আমাদের দিদি নিঃসন্দেহে গনতান্ত্রিক মূল্যবোধের দিক থেকে অনেক এগিয়ে থাকবেন। ১৯৫৯ এ ইন্দিরা গান্ধী একটি যুগান্তকারী ঘটনা ঘটিয়েছিলেন। বাবা জওহরলাল প্রধানমন্ত্রী, আর ইন্দিরা কংগ্রেস সভাপতি তখন। ১৯৫৭ সালে কেরালার প্রথম বিধানসভা নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে রাজ্যে ক্ষমতায় আসে ই এম এস নাম্বুদ্রিপাদের নেতৃত্বে কম্যুনিস্ট পার্টি, যা কিনা বিশ্বে প্রথম গনতান্ত্রিক নির্বাচিত কম্যুনিস্ট সরকার হিসেবে পরিচিত। ১২৯ টি আসনের মধ্যে ৬৫ টি আসন ছিল বামেদের। সামান্য ২ টি আসনের তফাৎ কংগ্রেসী জোটের সাথে। ইন্দিরার নেতৃত্বে এবং নেহরুর পৃষ্ঠপোষকতায় কংগ্রেস প্রাণপন চেষ্টা করে বামেদের থেকে বিধায়ক ভাঙিয়ে নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়ার। কিছুতেই সফল না হওয়ায় অন্য ছলের আশ্রয় নেন ইন্দিরা। স্থানীয় সিরিয়ান ক্রীস্টান, মুসলিম লীগ এবং নায়ার দের উস্কিয়ে 'স্বাধীনতা সংগ্রাম' শুরু করে জাতীয় কংগ্রেস। কেরালা জুড়ে সৃষ্টি করা হয় অরাজকতা, খুনোখুনি। এর সঙ্গে হয়তো কিছুটা তুলনীয় হতে পারে ১৯৪৬ এর জিন্নার ডাকা 'প্রত্যক্ষ সংগ্রাম'। ১৯৫৯ এর ৩১শে জুলাই, রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা অবনতির অজুহাতে কেন্দ্রীয় সরকার রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করে। বিশ্বের প্রথম নির্বাচিত কম্যুনিস্ট সরকার কে এই ভাবে ফেলে দেওয়া নিঃসন্দেহে ইন্দিরার গনতান্ত্রিক মূল্যবোধের পরীক্ষার অত্যন্ত সফল হাতেখড়ি। এই মূল্যবোধেরই পরিচয় ভারতবাসী পেয়েছিল ১৯৭৫ এর ২৫ শে জুন ভোরবেলার রেডিও সম্প্রচারে জরুরী অবস্থার ঘোষণা শুনে।

    কেরালায় তো কম্যুনিস্ট পার্টি মাত্র ২ টি বিধায়কের সংখ্যায় এগিয়ে ছিল। তাদের ভাঙাতে না পেরে শেষে ৩৫৬ ! কিন্তু আমাদের মুশির্দাবাদের জেলা পরিষদের অবস্থা কি ছিল? ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদে তৃণমূলের আসন ছিল মাত্র ১ টি। ভোটে না পেরে দিদি মুশিদাবাদ অধিকারে পাঠিয়ে দিলেন মেদিনীপুর যুদ্ধের নায়ক শুভেন্দু কে। সাথে প্রশাসন তো আছেই তার সমস্ত নিষ্ক্রিয়তা এবং সক্রিয়তা নিয়েই। একের পর এক গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পুরসভা বশ্যতা স্বীকার করতে থাকল। জেলা পরিষদে সংখ্যা ১ থেকে বেড়ে আজ ২৯! না, কোন ভোট নয়, কেন্দ্রীয় বাহিনী নয়, নির্বাচন কমিশন নয়। এ এক অন্য গনতন্ত্র! যেখানে দিনের বেলাতেও ঘন অন্ধকার। সেই অন্ধকারে সাধারন মানুষ দেখেও দেখতে পায় না কি ভাবে তার দেওয়া প্রতিটি ভোট আজ প্রহসনে পরিনত হয়েছে। এই অন্ধকারে সেনাপতি বুক বাজিয়ে বলে বেড়ান প্রকাশ্য সভায় - আর মাত্র ৬ জন কে তুলতে হবে, তাহলেই ক্ষমতা আমাদের হাতে! এই অন্ধকারে ভারতীয় গনতন্ত্র তার সংবিধান কে কোলে করে মুখ লুকায়।

    এবং, নিয়তির কি পরিহাস। গনতন্ত্রের এই অন্ধকারের উৎসবের বলি এখন ইন্দিরার নাতি-নাতনির জাতীয় কংগ্রেস! এবং আরো পরিহাস, ভারতের কম্যুনিস্ট পার্টি তার নিজের প্রাসঙ্গিকতা হারাতে হারাতে আজ সেই কংগ্রেসের 'বি-টীম' এই রাজ্যে!

    এবং এই প্রসঙ্গে আরো মনে হচ্ছে যে আমাদের রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী যদি আর একটু বুদ্ধিমত্তার সাথে কাজ করতেন তাহলে আর দিদির 'যাদবপুর এবং প্রেসিডেন্সি অভিযান' -এর এই করুন অবস্থা হত না। কে জানে, মুর্শিদাবাদ জয়ের পরে সেনাপতি শুভেন্দু কে দিদি এবার হয়তো শিক্ষামন্ত্রী করে এই দুই বেয়াড়া বিশ্ববিদ্যালয়কে পদতলে আনার দায়িত্ব দেবেন কিনা?

    জয় ভারতীয় গনতন্ত্রের জয়!
    জয় ভারতমাতার জয়!
    জয় ১৫ ই আগস্ট-এর জয়!
  • বাদুরের ছানা | 99.187.***.*** | ১৩ আগস্ট ২০১৬ ১২:৫৭720428
  • আর ইতিহাস লোহার ল্যাঙট পরে ঘাপটি মেরে বসে বাথানের চালে
    ওয়াঁক! ওয়াঁক! হাঁক পাড়ে দার্শনিক বাদুরের ছানা অভিমানে।।
  • | 213.132.***.*** | ১৭ আগস্ট ২০১৬ ১৩:০৭720429
  • এই ভাবে বিধায়ক ভাঙানো খুব ই অনুচিত কাজ।

    রাজনীতি তে এই জন্যেই বোধ্হয় ভদ্রলোক আর আসে না। এই পরিমন্ডল তাদের ভদ্র থাকতে দেয় না। ঃ(((
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি প্রতিক্রিয়া দিন