এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  সিনেমা

  • বামাকো

    r
    সিনেমা | ২৪ অক্টোবর ২০০৬ | ৬২৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • r | 61.95.***.*** | ২৪ অক্টোবর ২০০৬ ১৫:৫৭696188
  • শনিবার বিকেলে ন্যাশনাল ফিল্ম থিয়েটারের বক্স অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। এখন লন্ডন ফিল্ম ফেস্টিভাল চলছে দুই সপ্তাহ ধরে। আমার সামনে এক ভারতীয় ভদ্রমহিলা, তারও সামনে আলজিরিয়ায় জাত দুই ফরাসী, আরও আগে দুই ইজরায়েলি ছাত্রী। পিছনে বৃটিশ দম্পতি। আমি লাইনের পনেরো কি ষোলো নম্বর স্থানে। লাইনের একদম সামনে যারা তারা গ্যাঁট হয়ে মেঝেতে বসে বই পড়ছেন। বাইরে ঝিম্‌ঝিম্‌ বৃষ্টি। লন্ডনের তুলনায় বেশ জোরে। আমার পিছনে লেজের মতো লাইন বেড়েই চলেছে। অনেকেই উদ্বিগ্ন হয়ে ভলান্টিয়রদের জিজ্ঞাসা করছেন টিকিট আদৌ পাওয়া যাবে কি না। লাইন বেড়েই চলেছে। হলের বাইরে বেরিয়ে গেছে। কে জানে আদৌ টিকিট পাওয়া যাবে কিনা! প্রায় এক ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে পাগুলো টন্‌টন্‌ করছে, কোমরে টান ধরেছে। এখনও কাউন্টার খোলে নি।
  • r | 61.95.***.*** | ২৪ অক্টোবর ২০০৬ ১৫:৫৮696196
  • (আমরা আজ যে সিনেমাটি দেখতেও পারি তার নাম "বামাকো"। নীচে সিনেমাটির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেওয়া হল:

    সিনেমার নাম: বামাকো
    সিনেমার জন্মসাল: ২০০৬
    সিনেমার পরিছলক: আবদের রেহেমান সিসাকো
    সিনেমাটি চলে: ১১৫ মিনিট
    সিনেমাটির প্রযোজক দেশ: মালি/ফ্রান্স/কানাডা
    সিনেমাটির ভাষা: ফরাসী/বাম্বারা)
  • r | 61.95.***.*** | ২৪ অক্টোবর ২০০৬ ১৬:২০696197
  • অবশেষে কাউন্টার খোলে। সিনেমা শুরু হওয়ার কথা সোয়া ছটায়। এখনই ছটা বাজে। লাইন এগোয় গয়ংগচ্ছ গতিতে। আমাদের সামনে এক ভদ্রমহিলা অবাধে লাইন ডিঙান। সামনের ভারতীয় মহিলা এবং ফরাসীরা মৃদু প্রতিবাদ করলেও ভদ্রমহিলা শোনেন না। প্রতিবাদীরা মুখে ব্যঙ্গ ফুটিয়ে জোরে জোরে হাসেন। তাও ভদ্রমহিলা টিকিট কেটে বেরিয়ে যান। আমি চুপ করে থাকি। টিকিটের দাম পনেরো পাউন্ড। বেশির ভাগ লোকে ক্রেডিট কার্ডে টিকিট কেনে বলে লাইন এগোতে দেরি হয়। দুই ছাত্র টিকিটের দাম পনেরো পাউন্ড শুনে লাইন ছেড়ে বেরিয়ে যায়। পনেরো পাউন্ডে লন্ডনের ভালো রেস্তোরাঁয় পেট পুরে খাওয়া যায়। শুনেছি এই সিনেমাটা আফ্রিকা-আই এম এফ-ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক-নব্য সাম্রাজ্যবাদ নিয়ে। তাই বাকি সবাই পনেরো পাউন্ড দিয়ে টিকিট কাটবে বলে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে। আমি টিকিট কাটি।
  • r | 61.95.***.*** | ২৪ অক্টোবর ২০০৬ ১৬:৩০696198
  • (বামাকো হল মালির রাজধানী। মালি পশ্চিম আফ্রিকার একটি দরিদ্রতম দেশ। উইকিপিডিয়াতে মালি সম্পর্কে যা তথ্য পাওয়া যায়:

    Mali is among the poorest countries in the world, with 65% of its land area desert or semidesert. Economic activity is largely confined to the riverine area irrigated by the Niger River. About 10% of the population is nomadic and some 80% of the labor force is engaged in farming and fishing. Industrial activity is concentrated on processing farm commodities. Pottery is also practised by women whose wares are bought by dealers and are transported to markets where they are sold by traders. The traditional methods used by the potters are an attraction to foreign tourists. Mali is heavily dependent on foreign aid and vulnerable to fluctuations in world prices for cotton, its main export. In 1997, the government continued its implementation of an IMF-recommended structural adjustment program. Several multinational corporations increased gold mining operations in 1996-1998, and the government anticipates that Mali will become a major Sub-Saharan gold exporter in the next few years.)
  • r | 61.95.***.*** | ২৪ অক্টোবর ২০০৬ ১৭:৪১696199
  • একটু জলত্যাগ করে এলে ভালো হত। তাও আমি তাড়াহুড়ো করে হলে ঢুকে পড়ি। আমার আসন একদম পিছনের সারিতে। বাঁদিক খালি। ডানদিকে এক মোটাগোঁফ সাহেব তার বউ নিয়ে বসে। দর্শকদের চেহারা, জামাকাপড় দেখে আমার মনে হয় এনারা সবাই বামপন্থী। আফ্রিকার দৈন্যদশা নিয়ে অনেক কিছু জানেন। আমি ঠিক এইরকম দর্শকমন্ডলী সিরি ফোর্টে দেখেছি, নন্দনে দেখেছি। আমি সহজ বোধ করে সিটে গা এলিয়ে দিই। সাড়ে ছটা বেজে গেছে। সিনেমা এখনও শুরু হয় নি। সোয়া ছটায় শুরু হবার কথা ছিল। আমি আরও সহজ বোধ করি। সবার হাতে একটা করে প্যামফ্লেট। বুঝতে পারি সিনেমা শেষ হলে বিজ্ঞজন আলোচনা করবেন। কোথায় প্যামফ্লেট রাখা আছে আমি খুঁজে পাই না। সামনের স্ক্রিন ঢেকে রাখা পর্দা রং বদলাতে থাকে। লাল, সবুজ, হলুদ.......
  • r | 61.95.***.*** | ২৪ অক্টোবর ২০০৬ ১৭:৫৪696200
  • (পরিচালক আবদের রেহেমান সিসাকো এই মূহুর্তে আফ্রিকার অগ্রগণ্য সিনেমা পরিচালক। তার সম্পর্কে ওয়েব থেকে খুঁজে নেওয়া কিছু তথ্য:

    Abderrahmane Sissako was born in Kiffa, Mauritania, in 1961 and raised in Mali, his father¹s homeland. When he returned to Mauritania in 1980, the emotional and financial difficulties of adjustment made him turn to literature and film. A study grant allowed him to attend the Institute of the University of Moscow. Le Jeu (1990), first presented as a graduation assignment, won the prize for best short at the Giornate del Cinema Africano of Perugia in 1991. In 1993, Octobre was shown at Locarno and won prizes the world over. His latest film, Waiting for Happiness, was screened at Cannes 2002 and was winner of the FIPRESCI award for best film in the Un Certain Regard section. It was also shown at the New York Film Festival in 2002 and won the Grand Prize at FESPACO in 2003.)

  • r | 61.95.***.*** | ২৪ অক্টোবর ২০০৬ ২০:০০696201
  • সিনেমা শুরু হয়। বামাকোর কোনো বাড়ির মাঝে আঙিনায় চেয়ার টেবিল পাতা হচ্ছে। ঘরের মধ্যে একটি মেয়ে সাজছে। কোনো এক ঘরে অতিরুগ্ন এক যুবক শুয়ে। আস্তে আস্তে লোক জড়ো হচ্ছে আঙিনাতে। গেটের বাইরে দাঁড়িয়ে আছে সাবধানী এক রোগা পাহারাদার। আদলাত শুরু হচ্ছে। বিচারক এবং উকিলেরা হাজির। আসামী আই এম এফ এবং ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক। আদালতের পাশেই কলতলাতে লোকে দাঁত মাজছে, মুখ দুচ্ছে। কাপড় রং করে শুকোতে দেওয়া হয়েছে। যে মেয়েটা সাজছিল সে দরজার বাইরে এসে কাউকে ডাকে ব্লাউজের ফিতে বেঁধে দেওয়ার জন্য। নাইট ক্লাবে গান গাইতে যাবে। তার স্বামীও আদালতে বসে। তাদের মধ্যে কথাবার্তা প্রায় বন্ধ। বাইরে রোয়াকে বসে কিছু ছেলে মাইকে ভেসে আসা আদালতের কথাবার্তা শোনে। সব মুখগুলো ভাবহীন। এক আদি স্থৈর্যে অপেক্ষা করে আফ্রিকান মুখগুলি। আঙিনাতে জীবন চলমান। আদালত শুরু হচ্ছে।
  • r | 61.95.***.*** | ২৪ অক্টোবর ২০০৬ ২০:৪৫696202
  • ("Rich countries have been more generous lately, with extra aid and debt relief, giving many struggling economies a breath of air. By the end of last year, 29 countries, 25 of them in Africa, had had their debt burden eased by close to $35 billion under the Heavily Indebted Poor Countries Initiative, launched in 1996 by the IMF and World Bank, to try to ensure that no poor country faced a debt burden it could not manage."- The Economist, June 2006

    "What followed the erosion of the national development projects of the 1960s and 1970s is well documented. The starting point was the brutal reversal in the balance of social forces, to the benefit of capital, which occurred in the 1980s. Dominant capital, as represented by the transnational corporations (TNCs), moved into the offensive, operating in Africa through so-called structural adjustment programs enforced throughout the continent since the mid-1980s. I say so-called because those programs are more conjunctural than structural, their real and exclusive target being the subordination of the economies of Africa to the constraint of servicing the high external debt, which in its turn, is to a large extent the very product of the stagnation which started appearing in the less developed countries along with the deepening crisis of the global system."- Shamir Amin, Monthly Review, 2002)

  • r | 61.95.***.*** | ২৪ অক্টোবর ২০০৬ ২১:৩৬696203
  • প্রথমেই এক বৃদ্ধ ওঝা কথা বলতে চায়। তাকে তখনই কথা বলতে দেওয়া হয় না। একের পর এক সাক্ষী আসে। মেয়েটির বাচ্চার জ্বর হয়েছে। সাক্ষীরা সবাই ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্ক আই এম এফের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়। পূর্বতন সংস্কৃতি মন্ত্রী, এখন অ্যাক্টিভিস্ট মহিলা। অধ্যাপক এবং উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ। স্পেনে বেআইনীভাবে পালাতে চাওয়া এক যুবক। এক ফোটোগ্রাফার ছবি তুলতে গেলে তাকে তুলতে দেওয়া হয় না। ওর পছন্দ মৃতদের ছবি তোলা কারণ মৃত মুখ অনেক জীবন্ত লাগে। যে শিক্ষক সাক্ষ্য দিতে আসেন তিনি তিন মিনিট চুপ করে দাঁড়িয়ে থেকে চলে যান। কথা বলতেও ইচ্ছা করে না। একটি মা শিশুকে দুধ খাওয়ান। ছোটো মেয়েটি তার বোনকে গামলায় স্নান করায়। আঙিনার মধ্যে বিয়ের মিছিল আসে। নতুন বর-কনে এসেছে। বিয়ের গান গাওয়া হয়। আই এম এফ পক্ষের উকিল ফিরিওয়ালার থেকে শস্তার সানগ্লাস কেনেন। রীতিমত পরিসংখ্যান দিয়ে সওয়াল জবাব চলে। আদালত চলার সময় কেউ কেঁদে ফেলেন। এক গোয়েন্দা এক বন্দুক হারিয়ে যাওয়ার তদন্ত করে মামলার ফাঁকে ফাঁকে। অসুস্থ যুবকটি অন্ধকার ঘরে পড়ে থাকে। সন্ধ্যাবেলা টি ভিতে ওয়েস্টার্ন ছবি দেখানো হয়। ছবিতে অভিনয় করেন বামাকোর পরিচালক ও প্রযোজকেরা। একজন প্রযোজক হলেন ড্যানি গ্লোভার। ওয়েস্টার্ন ছবিটির নাম "রোড টু টিমবাক্তু"। দুম দাম গুলি চলে।
  • r | 61.95.***.*** | ২৪ অক্টোবর ২০০৬ ২১:৪৩696189
  • (কয়েকটি উল্লেখ্য তথ্য:

    ১। এই আদালতের সাক্ষী, বিচারক এবং উকিলেরা অভিনেতা নন। বিচারক এবং উকিলেরা সত্যি সত্যি বিচারক এবং উকিল যাদের শুটিঙের এক বছর আগে যোগাযোগ করা হয়। সাক্ষীদের শুটিঙের সপ্তাহেই যোগাড় করা হয়। বামাকোর রাস্তায় আই এম এফ ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবার জন্য সাক্ষীদের অভাব নেই।
    ২। এই দৃশ্য আটদিন একটানা শুটিং করে তোলা হয় প্রায় পনেরোটি ক্যামেরা দিয়ে। পরে কাটাছেঁড়া করা হয়।
    ৩। যে বাড়িটিতে শুটিং হয়েছিল, সেইটি পরিচালকের বাবার বাড়ি যেখানে তিনি তার ছেলেবেলা কাটিয়েছেন।)
  • r | 61.95.***.*** | ২৪ অক্টোবর ২০০৬ ২২:২২696190
  • নাইট ক্লাবে গান গাইতে গাইতে মেয়েটির চোখ দিয়ে জল গড়ায়। মেয়েটির স্বামী কি বিষণ্ন! ওদের বিচ্ছেদ অনিবার্য। আফ্রিকার পক্ষের উকিল জোরালো সওয়াল করেন উত্তর-উপনিবেশকতাবাদের বিরুদ্ধে, আই এম এফ ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে। সব চেনাজান কথা। আমি মুচকি হাসি। আড়মোড়া ভাঙি, শরীর এলাই। ঠিক যেভাবে আঙিনার লোকেরা তাদের প্রতিদিনের জীবন নিয়ে আড়মোড়া ভাঙে, শরীর এলায়। শেষে বৃদ্ধ ওঝা সাক্ষীর কাঠগড়ায় ওঠে। তীব্রস্বরে তিন মিনিট গান গায়। এই গান বাম্বারা ভাষায় যার সাবটাইটেল নেই। আমরা টান টান হয়ে বসি। ছবিটি শুরু হয়েছিল সন্ধ্যার অন্ধকারে মেয়েটির স্বামীটিকে দিয়ে যে ক্লান্ত পায়ে বামাকোর কাঁটাতার রাস্তা দিয়ে হাঁটছিল। ছবির শেষে সেই সন্ধ্যার রাস্তায় ক্যামেরা ফেরে। ভীষণ জোরে গুলির শব্দ হয়। স্বামীর দেহ মাটিতে লুটায়। আঙিনায় শব আসে। ফোটোগ্রাফার মৃতের ছবি তোলে। আদালত শেষ।
  • r | 61.95.***.*** | ২৪ অক্টোবর ২০০৬ ২২:৪৩696191
  • ("Today's core missions of the Washington-based IMF and World Bank, which were created in the wake of World War II, are to regulate the international monetary system and lend money to developingcountries.As many countries had difficultyrepaying their debts, rich countries imposed, in the early 80's, structural adjustment policies that set the rules of the game for millions of people. International financial institution officials were granted the power to impose on the most debt-ridden countries' governments a policy supposed to balance their budgets. Most Sub-Saharan African countries are under structural adjustment programmes these days. These programmes based on neoliberal principles serve rich countries' vested interests - essentially those of the United States and of Europe. The reforms imposed on Southern countries have always been the same while, paradoxically enough, they are far from being implemented in Northern countries: suppression of State subsidies (in agriculture, textiles?), dismantlement of public services and job cuts in the public sector (school teachers, doctors?). In debt-ridden countries, the privatization of State-owned firms which managed natural resources, water, electricity, transport and telecommunications has always been carried out in the interest of rich countries' multinationals. The contracts - signed against a background of corruption and political pressure - have always benefited these multinationals. At the same time, the populations under structural adjustment have grown poorer and poorer, their life expectancy has declined, their child mortality has risen and their literacy rate has dropped. Most official reports indicate that the Very Indebted Poor Countries are poorer today than they were twenty years ago However, if we take into account the total capital flow and wealth transfer, African countries have more than repaid their debts to rich countries. Many of them have had to relinquish everything they owned and can no longer secure their future development. A long overdue debt relief seems now to be deceiving.?- Abderrahmane Sissako)

  • r | 61.95.***.*** | ২৪ অক্টোবর ২০০৬ ২২:৪৬696192
  • এন এফ টির রেস্তোরাঁয় সবাই লাইন লাগিয়েছে খাবার জন্য। মানুষের খুব খিদে। খাচ্ছে আর তার সাথে লাল ওয়াইন আর বীয়ার। পাশে টেম্‌স্‌ বয়ে যায়। আমি এতক্ষণে মুততে যাই। পেট হালকা হলে বাইরে এসে সিগারেট ধরাই। আমারও খিদে পেয়েছে।

    (শেষ)
  • a x | 207.69.***.*** | ২৪ অক্টোবর ২০০৬ ২৩:৩৩696193
  • দুর্দান্ত! এই ফিলিমের খোঁজ দেবার জন্য আর এইভাবে দেবার জন্য প্রচুর ধন্যবাদ!
  • S | 125.23.***.*** | ২৫ অক্টোবর ২০০৬ ০০:৪২696194
  • আমার মোটেই দুর্দান্ত লাগল না। মাথার ওপর অ্যান্টেনা লাগিয়েও ধরতে পারলাম না। এর জন্য পনেরো ডলার?
  • r | 89.168.***.*** | ২৫ অক্টোবর ২০০৬ ০০:৫০696195
  • আরও বেশি। পনেরো পাউন্ড। প্লাস অ্যান্টেনার দাম। ;-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন