অভ্যুর লাকি লুক পোস্ট দেখে মনে হলো এটা লিখি।
আমাদের বাড়ি দুজন পড়তে আসে, একজন কৃশ, আরেকজন শালু। প্রথমজন ক্লাস থ্রিতে পড়ে আর মহা পাজি, দ্বিতীয়জন ক্লাস ফাইভে পড়ে আর খুব শান্তশিষ্ট। নেপালি, কিন্তু আধার, রেশান কার্ড ইত্যাদি আছে। এবছর দুজনেই ইস্কুলে ভর্তি হয়ে গেছে, অনলাইন ক্লাস করছে।
একদিন আমার পড়শীর সাথে দেখা, তিনি একটু ইতস্তত করে বললেন, আপনার বাড়ির বাথরুম থেকে কে যেন রোজ আমার গাড়িতে জল স্প্রে করে। আমরা দুজনেই খানিক অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকলাম - আমার মেয়ে ক্লাস টেনে পড়ে বটে, তবে সে তো অন্য লেভেলের বদমাইসি করে বেড়ায়! শেষে আমার স্ত্রী রহস্য ভেদ করলো। কৃশবাবু বাথরুমে যান, প্যানের সিট নামিয়ে তার ওপর চড়ে পাইপে করে পাশের বাড়ির পাঁচিলের ওপারে জল ছেটান।
আরেকদিন আমার স্ত্রীকে ওদের স্কুল থেকে ফোন করেছে। একদিন নাকি ক্লাস টিচার অনলাইন হতে দেরি করেছে, তখন কৃশ বাকি সব বাচ্চাকে নানান মুখভঙ্গী দেখিয়েছে, তারাই বা ছাড়বে কেন, টিচার অনলাইন হয়ে দেখেন সব কটা বাচ্চা মিলে প্রাণপনে মুখভঙ্গি করে চলেছে।
কদিন আগে কৃশ নাকি ক্লাসের মধ্যে হঠাত বলে উঠেছে আমার পেয়ারা খেতে খুব ভাল্লাগে, আমাকে মা রোজ পেয়ারা কিনে দেয়, তোমরা কে কে পেয়ারা খাও? আবার আমার স্ত্রীকে ফোন (ওরা ভর্তি হওয়ার সময়ে স্ত্রীকে মুচলেকা দিতে হয়েছিল), স্ত্রী অবশ্য বলে দিয়েছে পেয়ারা খেতে ভালো লাগে বলেছে তো কি হয়েছে, আমরাও তো খাই, নর্থ ইন্ডিয়ায় সবাই খায়। সেই শুনে ক্লাস টিচার আর কিছু বলেন নি।
এই হলো কৃশের গল্প।
কৃশের আরেক কীর্তি, খরগোসকে চশমা পরানো। চশমাটা অবশ্য আমার মেয়ের।