এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • সর্ষেঃ তালেগোলে হরিবোলে, দয়ারা বুগিয়ালে ...

    সিকি লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ০৫ জানুয়ারি ২০১৬ | ১৭৯১৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সিকি | ১৯ জানুয়ারি ২০১৬ ১৬:৫৪689584
  • সকাল হল একটা ঝকঝকে নীল আকাশের প্রান্তে গোলাপি কমলা আভা দিয়ে। আজ একত্রিশে ডিসেম্বর। সোনালী রোদ এসে পড়ছে এক এক করে পাহাড়চূড়োয়। আজ আমাদের ফিরে যাওয়া, স্বর্গ থেকে। একটানা চোদ্দ কিলোমিটার নেমে রায়থাল, সেখান থেকে গাড়ি আমাদের নিয়ে যাবে উত্তরকাশী। আমার যদিও মনে হচ্ছিল, নিচে নামা অত কিছু চাপ হবে না, তবু প্রেম বলল, যতটা পারেন নামুন, তারপরে ঘোড়ায় বসবেন।



    যতই দূষণমুক্ত জায়গা হোক, যে বরফগুলো চেঁছে গলিয়ে জল বানানো হচ্ছিল খাবার আর রান্নার জন্য, সেটি মোটেই বিশুদ্ধ জল তো নয় – তাতে মিশে থাকছে মাটি, ঘাস, না জানি আরও কত কী। খচ্চরগুলো সেখানেই চরে বেড়িয়েছে, আমরাও জুতো পরে দাপাদাপি করেছি – আলাদা করে জল পরিশ্রুত করার তো কোনও ব্যবস্থা নেই। সন্ধ্যের অন্ধকারে জল খেলে কিছু দেখা যায় না, কিন্তু দিনের বেলায় গ্লাস বা বোতলের জলের রঙ দেখলেও ভয় করে। আগের দিন রাত থেকে আমারও পৈটিক গোলযোগ শুরু হয়ে গেছিল। সকালের দিকে একটু ধাতস্থ লাগল, যদিও প্রেমের একগুচ্ছ ব্রেকফাস্টের প্ল্যানকে হেলায় প্রত্যাখ্যান করে আমি জাস্ট একটা ডিমসেদ্ধ খেয়ে মুখ বন্ধ করলাম।

    জার্নি শুরু হবার নিয়মটা সেই একই। আমি, বুনান আর অর্পণ হাঁটা শুরু করলাম, সঙ্গে সন্তোষ। বাকিরা আসবে জিনিসপত্র গুছিয়ে, টেন্ট গুটিয়ে, খচ্চরের পিঠে বেঁধে – তবে। তাদের তো থামার বা বিশ্রাম নেবার দরকার হয় না, তাই তারা আসবে ননস্টপ, রাস্তায় আমাদের ঠিক ধরে নেবে। নটায় আমরা হেঁটে নামা শুরু করলাম।

    খানিক নামার পরেই বুঝলাম, ওঠার মত অতটা শক্ত না হলেও, নামাটাও খুব সোজা কাজ নয়। পায়ের পেছনের দিকের পেশিগুলোর ওপর বেশ চাপ পড়ে, কিন্তু সেটা খুব একটা অসহনীয় ব্যাপার নয়। অর্পণ এখানে ওখানে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে তুলতে নামতে থাকল, আমি আর বুনান ননস্টপ নেমে এলাম গোই-তে, মাত্র এক ঘন্টায়।

    গোইতে এসে আমরা পুরো চমকে গেলাম। আসার দিন আমরা তো এক রাত্তির ছিলাম এখানেই – এই ঢিবিটার সামনে। ঢিবিটার পেছনেই যে এই রকমের একটা জমাট পুকুর আছে, আগের দিন তো কেউ খেয়াল করি নি!

    চারদিক বরফের চাদরে ঢাকা, মাঝখানে একটা কাচের জলাশয়। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে নিচে জল রয়েছে, কিন্তু ওপরের লেয়ারটা পুরু। আস্তে আস্তে পা ফেলে প্রথমে বুনান, তারপরে আমি চলে গেলাম একেবারে পুকুরের মাঝখানে। জমাট বরফ, চলতে কোনও অসুবিধেই হল না।

    খানিক বাদে প্রেম এল। সে বলল, এটা তো এখানে দিব্যি ছিল, আসার দিন আমরা ঢিবির উল্টোদিকে আসি নি তাই দেখতে পাই নি। … কী নাম এই পুকুরটার? – নাম? নাম তো কিছু নেই। অতএব, আমি সসম্মানে নামকরণের দায়িত্ব নিলাম। বুনান যেমন এক অনামা পীককে নিজের নামে করে নিয়েছে – মাউন্ট ডিডাব্লুপি, আমিও এই পুকুরটার নাম দিলাম মুখার্জি-তাল।

    গোইতে আধঘন্টার বিশ্রাম শেষে আবার চলা শুরু হল।

    আমি যদিও দিব্যি হাঁটার কন্ডিশনে ছিলাম, তবু প্রেম আমাকে জোর করে খচ্চরের পিঠে বসিয়ে দিল। পয়সা দেওয়া হচ্ছে, খচ্চর খালি কেন যাবে। দাদা, খ্যাল রাখবেন, আমি কিন্তু হাঁটতে চেয়েছিলাম। তা যাই হোক, হাঁটা আর খচ্চরে চাপা – দুটোই এখন আমার কাছে সমান। কিলোমিটার তিনেক আসার পরে খচ্চরওয়ালা আমাকে বলল, সাব, এবার একটু নেমে যান, এখানটা বেশি খাড়াই, আপনাকে পিঠে নিয়ে ও নামতে পারবে না। হড়কে যেতে পারে। আরেকটু নিচে নেমে আবার চাপবেন।

    আমি নেমে পড়লাম খচ্চরের পিঠ থেকে। আসার দিনও চড়াইটা এই জায়গায় বেশ ভয়ঙ্কর উঁচু লেগেছিল। নামাটাও তাই তত সাবধানে। নামতে থাকলাম ধীরেসুস্থে। দু আড়াই কিলোমিটার আসার পরে একটা ছোট সমতল জায়গা, সেখানে খচ্চরগুলো জল খাবার জন্য দাঁড়িয়েছে, কিন্তু জল খেতে পারছে না। কারণ, দূর থেকে মাটির গর্তে জমা জিনিসটা জলের মত দেখতে লাগলেও, আসলে তার ওপরে স্বচ্ছ বরফের লেয়ার। জল রয়েছে তার নিচে। খচ্চরওয়ালা একটা পাথর জোগাড় করে ঠুকে ঠুকে সেই লেয়ার ভাঙল, তবে তার খচ্চররা আবার জল খেতে পারল।

    বেলা পৌনে বারোটা নাগাদ আমরা রায়থাল পৌঁছে গেলাম। আমার সিউডোট্রেকিং এখানেই শেষ। খানিক বাদেই হ্যাঃহ্যাঃ করতে করতে বুনান আর অর্পণও এসে পৌঁছল। খচ্চরওলা তার খচ্চর নিয়ে বিদায় নিল। প্রেম জানালো, সে গাড়িকে ফোন করে দিয়েছে, এক ঘন্টার মধ্যে এসে যাবে। চা এল, ম্যাগি এল, একটা কী ঘরে বানানো মিষ্টি এল যেটা খেতে হুবহু আমাদের ভাজা পিঠের মত। খেয়েদেয়ে অনেকদিন বাদে ফেসবুক আর হোয়াটস্যাপ আর মেল টেল চেক করবার ফুরসত পেলাম।

    গাড়ি এল বেলা দুটোয়। সব জিনিস লোড করে আমরা বসলাম গাড়িতে। খানিক নিচে নামতেই আমাদের পাশে চলে এল অ্যাকোয়া সবুজ রঙের ভাগীরথী। চলন্ত গাড়ি থেকে খানিক ভিডিও নেবার চেষ্টা করছিলাম, তা প্রেম বলল, আপনাদের ভালো জায়গায় নিয়ে গিয়ে দাঁড় করাবো, সেখানে গিয়ে ছবি তুলবেন।

    প্রেম আমাদের কোথায় দাঁড় করালো জানেন? সো-জা সেই পাইলট বাবার আশ্রমে। উৎকট বিকট ভজকট সব দেবতাদের মূর্তিতে ভর্তি। লোকজন বিশেষ নেই। কেবল পাইলট বাবা আর এক জাপানি মায়ের প্রোপাগান্ডায় সমস্ত দেওয়াল ভর্তি। একটা মন্দিরের ডেকোরেশন কতটা কুরুচিকর হতে পারে – দেখতে হলে পাইলট বাবার মন্দিরে আসুন। উত্তরাখণ্ডের বেশ কয়েক জায়গায় তাঁর আশ্রম আছে। উত্তরকাশীরটা এই রাস্তায়, ভাটওয়ারির কাছে, ভাগীরথীর কিনারে। পাইলট-বাবা কে, কী বা কেন, সে আপনারা গুগুল করে জেনে নিন গে, মোদ্দা কথা আমরা নিচে নেমে মন্দিরের মধ্যে দিয়ে পেছন দিকে গিয়ে দেখি একটা আধভাঙা টেরেস ভাগীরথীর কিনারে গিয়ে শেষ হয়েছে। এমন কিছু ভালো ভিউ নয়।

    ফিরে আসছি, সিঁড়ি দিয়ে তড়বড় করে নেমে এল তিনচারখানা খচ্চর, এরাও মন্দির দর্শন করতে এসেছে না ভাগীরথী দর্শন করতে এসেছে, কে জানে।

    বিকেল চারটেয় উত্তরকাশীতে ফেরত। সেই একই হোটেলে। প্রেম বলল, আপনারা ফ্রেশ হয়ে নিন – আমি সন্ধ্যে সাড়ে ছটায় আপনাদের নিতে আসব। খাসী কাটা হয়েছে, আজ রাতে আমার গরীবখানায় আপনাদের জম্পেশ নেমন্তন্ন।

    ফ্রেশ হওয়া? সে ত বটেই। কদিন চান করি নি কে জানে – নিজের গায়ে হাত দিতে ঘেন্না করছিল এমন অবস্থা। সাবান তোয়ালে শ্যাম্পু নিয়ে ঝটপট জমিয়ে চান করে ফেললাম, দাড়ি কামিয়ে ফেললাম। বুনান আর অর্পণও আস্তে আস্তে রেডি হয়ে গেল। ফেরার প্ল্যান নিয়ে কথা হচ্ছিল। দিল্লিতে পৌঁছে করিমসে লাঞ্চ তো হবেই, কাল কোথায় থাকা যায়? হরিদ্বার, না হৃষিকেশ? বুনান বলল, ভাগীরথীর ধারে জিএমভিএনের একটা চমৎকার হোটেল আছে হৃষিকেশে, সেইখানে থাকা হোক।

    আমি রাজি, কিন্তু হরিদ্বারের সেই হোটেলে যে আমার পায়জামাটা পড়ে আছে? ওটা উদ্ধার করতে যেতে হবে না? বুনান বলল, সে তো যাওয়াই যায় – হৃষিকেশ থেকে হরিদ্বার তো মাত্র পঁয়ত্রিশ কিলোমিটার। টুক করে একবার গিয়ে নিয়ে চলে আসব। আর যাবার পথেই একটা জায়গা পড়বে, আমি চিনি, সেইখানে হুলিয়ে নন ভেজ পাওয়া যায়। সেইখানে আমরা লাঞ্চ বা ডিনার কিছু একটা করে নেব। হরিদ্বার আর হৃষিকেশ – দুটোই ভেজিটেরিয়ান জায়গা, কোথাও নন ভেজ খাবার বিক্রি হয় না।

    সেই প্ল্যানই সাব্যস্ত হল। সন্ধ্যেবেলায় প্রেম এল, আমাদের নিয়ে মার্কেটে গিয়ে খানিক কেনাকাটা করল, কেনাকাটা বলতে মূলত বুনান আর অর্পণের জন্য লালপানির বোতল।

    প্রেমের বাড়ি আমাদের হোটেলের কাছেই। সেখানে দিব্যি সন্ধ্যেটা কাটল হইহল্লা গল্পগুজব এবং খাওয়াদাওয়া সমেত। মাটনটা খেতে সত্যি ভালো হয়েছিল, সেটা না বললে পাইলট-বাবা পাপ দিতে পারে। প্রেম তার ছবির অ্যালবাম খুলে দেখাচ্ছিল, কীভাবে কবে কোথায় আর্মির মাউন্টেনিয়ারিং টিমের সাথে এক্সপিডিশনে গেছিল। একেকটা পীক একাধিকবার উঠেছে প্রেম, বিভিন্ন গ্রুপের সাথে।

    অবশেষে রাত সাড়ে দশটায় সবাইকে গুডবাই এবং আগাম হ্যাপি নিউ ইয়ার জানিয়ে আমরা উঠলাম। ফেরার পথে বুনান বলছিল, আজব মানুষ এই প্রেম। ওর এক ভাগ্নে, সে-ও পীক সামিট টিমের সাথে পোর্টারের কাজ করত। একবার একটা এক্সপিডিশনে গিয়ে অ্যাভালাঞ্চে ভেসে বেরিয়ে গেছিল। এক বছর পর, সেই রাস্তাতেই গিয়ে প্রেম তার ভাগ্নের মৃতদেহ তুলে এনেছিল। এই সন্তোষ, প্রেমের আরেক ভাগ্নে। পাহাড়েই এদের জীবন, পাহাড়েই এদের মৃত্যু। প্রেমের সাথে কথা হল, দিল্লি এলে অবশ্যই আমার সাথে দেখা করবে।

    *************************************

    ভোর সাড়ে পাঁচটায় আমরা তৈরি হয়ে বেরোলাম। অত সকালেও প্রেম এসেছিল আমাদের সী অফ করতে। আজ জিপিএস দেখে রুট চিনে নিয়েছি, আর রাস্তা ভুল হবার চান্স নেই। ছটায় গাড়ি স্টার্ট দিলাম।

    কিছুক্ষণের মধ্যেই বেরিয়ে এলাম উত্তরকাশী শহর থেকে, আবার সেই ভয়ঙ্কর এন এইচ একশো আট, তবে আজ দিনের আলোয় ততটা ভয়ঙ্কর লাগছিল না, মাঝেমধ্যে খানিক ব্যাড প্যাচ ছাড়া। প্রায় পঞ্চাশ ষাট কিলোমিটার চলে আসার পরে আমাদের গাড়ি দাঁড় করাতেই হল।


    ভাগীরথীর বুকে সকালের সূর্যের আলো পড়েছে। নতুন বছরের প্রথম সূর্য। চারদিক কমলা হয়ে আছে। এ জিনিস দেখে না দাঁড়িয়ে চলে যাওয়া যায়?

    চাম্বা পৌঁছতে পৌঁছতে বেলা দশটা, সেখানে দাঁড়িয়ে গরমাগরম আলু পরোটা আর চা খেয়ে পেট ভরানো হল, খালি বুনান ছটা বড় বড় কাঁচালঙ্কা বেশি খেয়েছিল। আসলে চতুর্থবার যখন বুনান “একটা কাঁচালঙ্কা” চায় দোকানদারের কাছ থেকে, দোকানদার তখন খুব হতাশ মুখ করে পুরো এক বাটি কাঁচালঙ্কা এনে দিয়েছিল। লজ্জায় তার পরে বুনান আর তিনটের বেশি খায় নি।

    হৃষিকেশের গঙ্গা রিসর্ট জিএমভিএন হোটেলটা সিম্পলি দুর্দান্ত। গঙ্গার ধারে বিশাল এলাকা নিয়ে বানানো ঝকঝকে তকতকে একটা হোটেল, ইয়াব্বড়ো বড়ো ঘর, আর প্রতিটা ঘরের সাথে একটা করে ঢাউস বারান্দা, যেখানে বসে গঙ্গা দেখা যায়।

    আমরা পৌঁছে গেলাম বারোটার মধ্যে, খানিক রেস্ট নিয়ে তিনটে নাগাদ বেরোলাম খাবারের সন্ধানে। কিন্তু আগের দিন ভোরবেলায় যে রাস্তা ফাঁকায় পেরিয়ে গেছিলাম, আজ দিনের বেলায় সে রাস্তা জ্যামে ভরপুর। হৃষিকেশ শহরের ঠিক বাইরেই আছে রাজাজি ন্যাশনাল পার্ক, রাস্তা আর রেললাইন চলে গেছে তার মধ্যে দিয়েই। এই রাজাজি পার্কের শেষেই একটা ছোট্ট জনপদ, রায়ওয়ালা। হৃষিকেশে নন ভেজ পাওয়া যায় না, হরিদ্বারেও নয়, তাই দলে দলে নন ভেজিটেরিয়ানরা এই রায়ওয়ালায় আসে, রাস্তার ধারে সারি সারি দোকান, মাংসের এবং মদ্যের। পেট পুরে মাছ মাংস সমেত ভাত খেলাম। একেবারে গলা অবধি। তার পরে এগোলাম হরিদ্বারের দিকে, হরিদ্বার ওখান থেকে আর মাত্র চোদ্দ কিলোমিটার। আমার পায়জামাটা উদ্ধার করতে হবে, আর যদি সম্ভব হয় – সন্ধ্যেবেলার গঙ্গা আরতি দেখতে হবে। ওটা নাকি দেখার মত জিনিস।

    কিন্তু এগোতেই সেই যে অনন্ত জ্যামে পড়লাম, হরিদ্বারে ঢুকলাম, তখন সাড়ে ছটা বাজে, অন্ধকার। সে কী ট্র্যাফিক রে বাবা! এগোয় না। গঙ্গা আরতি তো আর দেখা হলই না – হোটেল থেকে সেই পায়জামা উদ্ধার করে, টুকটাক আরও দু চারটি কেনাকাটা করে আমরা আবার সেই জ্যাম ঠেলে প্রায় রাত নটা নাগাদ আবার হৃষিকেশের হোটেলে পৌঁছলাম। মাত্র পঁচিশ কিলোমিটার দূরত্বে।

    ট্রেকিং-এর গল্প এখানেই শেষ করে দেওয়া যেতে পারত, কিন্তু পরের দিন এমন একটা ঘটনা ঘটল, সেটা না বলা অবধি শেষ করা যাচ্ছে না – অতএব, আরও এক কিস্তি।
  • Ekak | 113.6.***.*** | ১৯ জানুয়ারি ২০১৬ ১৬:৫৮689585
  • এইত আবার লিকেচে ! :)
  • Div0 | 132.178.***.*** | ১৯ জানুয়ারি ২০১৬ ১৯:২০689586
  • মীনহোয়াইল, মুখার্জিতাল -
  • Ekak | 125.99.***.*** | ১৯ জানুয়ারি ২০১৬ ১৯:২৬689587
  • এতু ছতু ছপি কিচুই বোজা যাচ্চেনা। ইতা মুখার্জি না মুখার্জির তাল ? !
  • T | 190.255.***.*** | ১৯ জানুয়ারি ২০১৬ ১৯:২৯689588
  • তালের মুখার্জি।
  • sinfaut | 69.93.***.*** | ১৯ জানুয়ারি ২০১৬ ১৯:৩২689589
  • কিন্তু তালের আগে পদবী জুড়লো কেন? এ কী ব্রাহ্মিনীতাল? মানে ব্রাহ্মিনীক্যাল তাল?
  • Div0 | 132.178.***.*** | ১৯ জানুয়ারি ২০১৬ ১৯:৪২689590
  • ছোতু ছোপি বড় করে দিলাম এই যে, তালের মুখার্জি, বেশ হ্যান্ডফুল, মুঠিতে আরাম করে ধরা যায় -

  • Vlad the Impaler | 117.167.***.*** | ১৯ জানুয়ারি ২০১৬ ২০:৪৬689591
  • বেথেতাল বা সিকিতাল শুনতে ভালো।
  • Blank | 24.99.***.*** | ২০ জানুয়ারি ২০১৬ ০১:২২689592
  • যাই আরো ছবি দিয়ে যাই।
    একক দা মনে হয় মনিটর ক্যালিব্রেশান ইস্যু। আমার টায় পার্পল ফ্রীঞ্জ পাচ্ছিনা
  • Blank | 24.99.***.*** | ২০ জানুয়ারি ২০১৬ ০১:২২689478
  • Blank | 24.99.***.*** | ২০ জানুয়ারি ২০১৬ ০১:২৩689479
  • Blank | 24.99.***.*** | ২০ জানুয়ারি ২০১৬ ০১:২৪689480
  • Ekak | 113.6.***.*** | ২০ জানুয়ারি ২০১৬ ১১:২১689481
  • Date:13 Jan 2016 -- 12:57 PM এর ছবিতে হিউম্যান সাবজেক্ট এর বর্ডার দেখো। মনিটর ক্যাব্রেষণ ইস্যু হতে পারে। ঐজন্যেই জিগালুম কারণ ভালো লেন্সে এরকম ক্রমাটিক ইস্যু আসেনা।
  • Div0 | 170.83.***.*** | ২০ জানুয়ারি ২০১৬ ১১:৫২689482
  • ঠিকঠাক পিপি কল্লে ক্রোম্যাটিক অ্যাবারেশন, পার্পল ফ্রিঞ্জ কিছুই থাকে না। তবে ঐ ছোপিটায় ফ্রিঞ্জ আমিও দেখিনি। এককের মনিটর খ্রাপ।
  • d | 144.159.***.*** | ২০ জানুয়ারি ২০১৬ ১১:৫৫689483
  • আমিও কোনও ফ্রিঞ্জ দেখি নি। অফিসের ল্যাপীতেও না, বাড়ীরটাতেও না।
    ডিভোর তালটা কি ছোত্ত।
  • Ekak | 113.6.***.*** | ২০ জানুয়ারি ২০১৬ ১২:০৫689484
  • হতে পারে। আপিস থেকে দেকচি তো। সাড়ে একুশ ইঞ্চি ডেল এইচ ডি কিন্তু ফটোগ্রাফি স্পেশাল ক্যালিব্রেত করা নেই :| কলরিমিতার ডাউনলোদ কত্তে দেয়না।
  • Div0 | 170.83.***.*** | ২০ জানুয়ারি ২০১৬ ১২:০৫689485
  • গজিয়েই প্রিম্যাচ্যুর্ড পেকে গেছে তাই ছোত্ত। দেশবাড়ির সেই হাঁড়িতালেদের আর দেখি না।
  • 0 | ২০ জানুয়ারি ২০১৬ ১৯:৫৬689486
  • ভ্যাঁক্‌ :-( কবে যে নিজের চোখে দেখবো

    এমন বেড়ানোর লেখা শেষ হয়ে আসছে মনে হলেই মংখারাপ হয়ে যায়
  • সিকি | ২০ জানুয়ারি ২০১৬ ২৩:৫৩689487
  • বেড়ানো শেষ। এবার ঘরে ফেরার পালা। জানুয়ারির আজ দু তারিখ। সন্ধ্যেবেলায় পুরনো দিল্লি থেকে বুনানদের ট্রেন। দুপুরে ওদের নিয়ে করিমসে খাওয়ানোর দায়িত্ব আছে, আর সেখানে প্রায় প্রতিদিনই লম্বা লাইন পড়ে, তাই যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি পৌঁছনো দরকার দিল্লি। বাকি তো রয়েছে আর মাত্র সোয়া দুশো কিলোমিটার, সকাল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে বেরিয়ে পড়লে ফাঁকায় ফাঁকায় সাড়ে নটা দশটার মধ্যে আরামসে বাড়ি পৌঁছে যাবো। দিল্লিতে ওদিকে অড ইভেন রুল চালু হয়েছে। তা আমার কোনও চাপ নেই, আমার গাড়ি আজকের জন্য কমপ্যাটিবল।

    বুনান ছেলেটাও পোচোন্ডো কমপ্যাটিবল। তিন রাত্তির সহ্য করার পরে যখন রসিকতার ছলে ওর নাক ডাকা নিয়ে বললাম, অটোমেটিকালি সেদিন রাত থেকে প্রতি রাত ও নাক না ডেকে ঘুমিয়েছে। কী করে পারল, কে জানে! বুনানের ছানা অর্পণ অবশ্য অত কমপ্যাটিবল নয়। ওর স্টেটাস কল নিয়ে আমরা অত খিল্লি করলাম, কিন্তু ছোকরা আনঅ্যাবেটেড অবস্থায় প্রতি ঘন্টায় স্টেটাস কল করে গেছে, এমনকি রাতে লেপের তলায় ঢুকেও। মনে আছে - দয়ারা বুগিয়াল থেকে নামার তোড়জোর করছি, বুনান আর আমি পা বাড়িয়েই ফেলেছি, ফেলার আগে বুনান লাস্ট ছবি আপলোড করছে ইনস্টাগ্রামে, তখন শুনি অর্পণ খুব নিচু গলায় স্টেটাস কল দিচ্ছেঃ "হ্যাঁ ... এই তো, এইবারে নামব, ... হ্যাঁ, ডিমসেদ্ধ খেয়েছি, ... ইয়ে, দুটো, ... হ্যাঁ, আর একটা ওমলেট, ...হ্যাঁ, দু কাপ, না না, বেশি খাই নি। (খানিক নীরবতা) ... হুঁ, হুঁ, সক্কালবেলাই গেছিলাম, ... হ্যাঁ হয়েছে ... ওই ... বোতল দিয়েই ... হ্যাঁ গরম জল ছিল ... হ্যাঁ ভালো করেই ধুয়ে নিয়েছি ..."

    আমি আর বুনান দূরে দাঁড়িয়ে খ্যা-খ্যা করে হেসে কুটিপাটি হচ্ছি আর বেচারা অর্পণ প্রতিটা অ্যাক্টিভিটির পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিয়ে চলেছে ফোনে।

    সেই সব দিনগুলো এখন অতীত হয়ে গেল। সে যাক, হচ্ছিল বুনানের কথা। ছেলেটা খুব কমপ্যাটিবল। যেমন নাক ডাকার ব্যাপারে, তেমনি ঘুম থেকে ওঠার ব্যাপারে। এমনিতে বুনান ব্রাহ্মমুহূর্তে ওঠে, ভোর দশটা, এগারোটা - কিন্তু দরকার পড়লে সকাল সাড়ে চারটেতেও উঠে পড়তে পারে। তো, পাঁচটায় সবাই উঠে পড়ল, এবং পাঁচটার সময়ে আমরা বেরিয়ে পড়লাম রাস্তায়।

    হরিদ্বার পৌঁছতে সময় লাগল পনেরো থেকে কুড়ি মিনিট, এত ভোরে রাস্তায় একটাও ট্র্যাফিক নেই, শনিবারের সকাল, কালকের দুর্বিষহ জ্যামের জাস্ট কোনও চিহ্ন নেই। খুব তাড়াতাড়ি হরিদ্বারের সীমা পেরিয়ে এগোতে থাকলাম।

    লোকালয় শেষ হতেই কুয়াশা দৃশ্যমান হতে থাকল। রাস্তার দুপাশে সবকিছু ঢেকে আছে কুয়াশায়, শিল্যুয়েটের মত কিছু গাছপালা চেনা যাচ্ছে, আস্তে আস্তে রাস্তাতেও ভিজিবিলিটি কমতে লাগল। হেডলাইট আর হ্যাজার্ড লাইট অন করে চলতে থাকলাম। ঘন কুয়াশা, ভিজিবিলিটি অলমোস্ট শূন্য।

    রুড়কী এসে গেল। চারদিক শান্ত, নিস্তব্ধ। সারি সারি বন্ধ দোকান। ইতস্তত দু একটা চায়ের দোকান খোলা। এদিকে সমস্যা হচ্ছে - ঠাণ্ডাতে গাড়ির ভেতরেও ভেপার জমে যাচ্ছে, সামনে জাস্ট কিচ্ছু দেখা যাচ্ছে না। এই সময়ে হয় কাচ নামিয়ে নিতে হয়, নয় তো গাড়িতে ব্লোয়ার অন করতে হয়, সেটাই করব বলে গাড়িটা স্লো করে এক সেকেন্ডের জন্য ব্লোয়ারের সুইচের দিকে হাত বাড়িয়েছি, হঠাৎ ... কী হল বুঝতে পারলাম না, বুক-কাঁপানো একটা আওয়াজ হল, প্রথমে দ্দড়াম করে, আর মুহূর্তের মধ্যে আমার গাড়িটা আমাদের সবাইকে নিয়ে বাঁদিকে হেলে গেল ... পঁয়তাল্লিশ ডিগ্রি? নাকি তারও বেশি? আমরা উলটে যাচ্ছি ... গাড়ি এক্ষুনি বাঁদিকে আছড়ে পড়বে, ড্রাইভারের স্বভাবজাত রিফ্লেক্সে আমি সঙ্গে সঙ্গে স্টিয়ারিং বাঁদিকে মোচড় দিলাম আর সাথে ব্রেক মারলাম সজোরে। ... আমাদের কি বাড়ি ফেরা হবে না?

    তিন থেকে চার সেকেন্ড। একটানা কানফাটানো কর্কশ মেটালিক আওয়াজটা শেষ হল, আর আমি ঐ পঁয়তাল্লিশ ডিগ্রি হেলে থাকা অবস্থান থেকে সজোরে আগের পজিশনে ফিরে এলাম। গাড়ি সোজা হল। চাকাটা কি খুলে বেরিয়ে গেছে? ... না, গাড়ি গড়াচ্ছে এখনও। আমি আতঙ্কগ্রস্ত অবস্থায় স্টিয়ারিং তখনও পুরোপুরি বাঁদিকে মুচড়ে রেখেছি। ... ব্রেক কাজ করছে, রাস্তার ধারে গাড়ি দাঁড় করালাম। গাড়ি এখনও চালু।

    প্রথম মাথায় যেটা এল, সেটা হচ্ছে - আমরা বেঁচে গেছি। রুড়কীতে ঢোকার পরে রাস্তায় কোনও ডিভাইডার ছিল না, এই স্ট্রেচটায় হঠাৎ করে ডিভাইডার শুরু হয়েছে, গাড়ির উইন্ডস্ক্রীন ঝাপসা থাকায় বুঝতে পারি নি, ডানদিকের চাকা সোজা উঠে গেছে ডিভাইডারের ওপর। ঝটপট দরজা খুলে বাইরে এলাম সবাই। ... বুনানের পায়ে অল্প চোট লেগেছে। গাড়ি দাঁড়িয়ে আছে - যেন কিছুই হয় নি। সামনে থেকে পাশ থেকে - কোথাও কোনও ডেন্ট নেই, কিচ্ছু নেই। নিচু হয়ে দেখলাম, বনেটের নিচের দিকে ঝরঝর করে পড়ছে একটা লিকুইড। ... পেট্রল?

    ঝুঁকে গন্ধ শুঁকলাম। নাহ্‌, পেট্রলের গন্ধ নয়। লিকুইডটাও কেমন সবজেটে রঙের। বুনান বলল, নিশ্চয়ই কুল্যান্ট, কিংবা ইঞ্জিন অয়েল।

    তাই হবে। এবার কী উপায়? গাড়ি স্টার্ট হয় তো নেবে, কিন্তু কোথায় আর কী ভেঙেছে নষ্ট হয়েছে না বুঝে তো এগনো সম্ভব নয়। আমরা দাঁড়িয়ে আছি রুড়কী শহরের একেবারে কেন্দ্রে, একশো মিটার সামনেই রুড়কী আইআইটির গেট। সকাল সাড়ে সাতটা। চারপাশে জনমনিষ্যি নেই, খালি সাদা কুয়াশা পাক খাচ্ছে। কী বিশাল বড় ভাগ্য যে রাস্তায় কোনও ট্র্যাফিকও নেই। এই অবস্থায় যদি ফুলস্পিডে আরেকটা কোনও গাড়ি এসে পড়ত, তো আমরা জাস্ট উড়ে বেরিয়ে যেতাম। ... কিন্তু, কী করা যায়?

    মারুতি ব্রেকডাউন সার্ভিসের নম্বর। ডায়াল করলাম, অটোমেটেড আইভিআর বেজে গেল, বেজেই গেল, কেউ তুলল না। আবার চেষ্টা করলাম, আবার, আবার, আবার। একই ফল। কেউ তুলল না।

    গাড়ির ভেতরটা একবার চোখ বোলালাম। দুটো ছোট ক্যাজুয়াল্টি। উইন্ডস্ক্রিনে লাগানো মোবাইল মাউন্টটা, সম্ভবত আমারই গায়ের ধাক্কায় ভেঙে দু টুকরো হয়ে আছে। আর নিচে মোবাইল চার্জারটা মাঝখান থেকে ফেটে ফাঁক হয়ে আছে, সেটাও সম্ভবত আমারই পায়ের চাপে। বাকি গাড়ির নিজস্ব জিনিসপত্র, সমস্ত ইনট্যাক্ট, এমনকি মিউজিক সিস্টেম চলছে, সেন্ট্রাল লকিং কাজ করছে, সব একেবারে ঠিক।

    আরও দুবার ফোন লাগালাম মারুতিতে। প্রায় আটটা বাজে, কেউ তো তুলুক। কিন্তু না, সারা ভারত জুড়ে মারুতির ওয়ান এইট হান্ড্রেড নম্বর নিদ্রামগ্ন। আইভিআর শেষ হবার পরে ফোন বেজেই যাচ্ছে, বেজেই যাচ্ছে।

    অর্পণ আর বুনানের সাথে আলোচনা করে স্থির করলাম, গাড়ি গড়াচ্ছে যখন, চালাই। সামনে যেখানে ছোটোখাটো কোনও ওয়ার্কশপ পাবো, গাড়ি ঢুকিয়ে দেব। পেট্রল ট্যাঙ্কারের যখন কোনও ক্ষতি হয় নি, আস্তে আস্তে চললে দিল্লি আমরা পৌঁছে যাবোই।

    গাড়ি স্টার্ট করলাম, সামনের মিটারে দেখলাম, না, ইঞ্জিন গরম হচ্ছে না, টেম্পারেচার নর্মালই দেখাচ্ছে। কিন্তু একটু চালিয়েই বুঝলাম, বিপত্তি হয়েছে আরেক জায়গায়। ধাক্কার ইমপ্যাক্টে আমার স্টিয়ারিং হুইল বেঁকে গেছে নাইন্টি ডিগ্রি। মানে, স্টিয়ারিং বাঁদিকে নব্বই ডিগ্রি ঘোরালে তবে চাকা সোজা থাকছে, আর স্টিয়ারিং সোজা করলে গাড়ি সরে যাচ্ছে ডানদিকে। কিন্তু গাড়ি চলছে। একটু আধটু আওয়াজ হচ্ছে বটে, তবে সেটা অ্যালার্টিং কিছু নয়।

    ধীরে ধীরে এগোতে থাকলাম। পঞ্চাশ, ষাটের স্পিডে। কিন্তু ফাঁকা রাস্তা, অত কম স্পিড কি মেনটেন করা যায়? গাড়ি আস্তে আস্তে পৌঁছে গেল সত্তরে। তাতেও দেখলাম স্মুথই চলছে। যাই হোক, আমি নিজেকে এইবারে কন্ট্রোল করলাম, সত্তরের ওপরে গাড়ির স্পিড তুলব না।

    রুড়কী পেরোতে কুয়াশার তীব্রতা আরও বাড়ল। ভয়ের চোটে ব্লোয়ারও চালাতে পারছি না, জানলার কাচ নামিয়ে চালাচ্ছি, ডান হাত একেবারে জমে বরফ - কিন্তু কিছু করার নেই, কে জানে ব্লোয়ার চালাতে গিয়ে যদি গাড়ি বিগড়ে যায় এই মাঝরাস্তায়? তার চেয়ে এ হাত ও হাত করে স্টিয়ারিং ধরা অনেক ভালো।

    দাঁতে দাঁত চেপে সেইভাবেই এলাম। মুজফফরনগর আসতেই কুয়াশা উধাও হয়ে গেল। কিন্তু সারা রাস্তায় একটাও গাড়ির ওয়ার্কশপ খোলা পেলাম না। পাংচার শপ অবশ্য অনেক ছিল।

    মোদীনগর পেরিয়ে গাজিয়াবাদে ঢোকার মুখে ট্র্যাফিক জ্যাম শুরু হল। গাড়ি নির্বিঘ্নে আমাদের বাড়ি পৌঁছে দিল, তখন বাজে সোয়া এগারোটা।

    ********************

    তার পর? তার পর এক রাউন্ড চা, একটু ফ্রেশ হয়ে নেওয়া এবং আবার ঐ গাড়ি নিয়েই পুরনো দিল্লির উদ্দেশ্যে যাত্রা। নিউ দিল্লি স্টেশনে মালপত্র সমেত গাড়ি রেখে মেট্রোয় চেপে চৌরিবাজার, করিমসে গিয়ে দাঁড়াতেও হল না, একটার সময়ে পৌঁছে দিব্যি টেবিল দখল করে পেটপুরে খাওয়াদাওয়া হল। এর পরে জামা মসজিদে ঢুকতে গিয়ে প্রথম জানলাম এখন ক্যামেরার জন্য তিনশো টাকা দিতে হয়। আমি ২০১৩তে শেষ ঢুকেছিলাম, তখন পয়সা লাগত না। তবে বুনান জামা মসজিদের যা সব ফাটাফাটি ছবি তুলেছে, তাতে ওর পয়সা উসুল হয়ে গেছে।

    আর করিম থেকে নিউ দিল্লি ফিরতে যে মেট্রো নয়, পায়ে হাঁটাই বেস্ট অপশন, সেটাও সেদিনই জানলাম।

    গপ্পো এখানেই শেষ।
  • 0 | ২১ জানুয়ারি ২০১৬ ১৬:০০689489
  • বাব্বা!! জোর বাঁচা বেঁচে গেছেন সবাই। বড়সড় ফাঁড়া কেটেছে।

    "...ওই ... বোতল দিয়েই ... হ্যাঁ গরম জল ছিল ... হ্যাঁ ভালো করেই ধুয়ে নিয়েছি ..." - পুউরো হাহাপগে
  • I | 192.66.***.*** | ২১ জানুয়ারি ২০১৬ ১৭:৫৩689490
  • এইজন্যই আমার ট্রেক করতে যাওয়া হবে না।ইসের জন্য নয়,সেটা ছোটখাটো ফ্যক্টর।আমিও আসলে সিকির মত দমের কাজ জানি না।টাইগার্স নেস্ট মনাস্ট্রি উঠতে গিয়ে সেটা মালুম পেলাম। তার আগে অবধি সিউডোকনফিডেন্স ছিল। লেখা হুল্লাট হয়েছে। পুপে কি অর্পণের ইয়ে?
  • aka | 80.193.***.*** | ২২ জানুয়ারি ২০১৬ ০৯:৩৬689491
  • সিকির লেখা এত অথেন্টিক। খাসা।

    তবে কিনা এসব বাচ্চাদের ট্রেক। ঃ)

    বুনান বাবুর কয়েকখানা ছবি খাসা। পরের বার দেশে গিয়ে বুনান, অচিন্টি র সাথে সকালের কলকাতা ছবি সেশন করব।
  • সিকি | ২২ জানুয়ারি ২০১৬ ০৯:৫৪689492
  • ইন্দোদাদা - হ্যাঁ, ঐ কার্ডিও-পালমোনারি ফিটনেস না কী বলে, সেইটাতে আমি ফেল। সিউডোকনফি নিয়েই গেছিলাম, এবং গিয়ে ছড়িয়েছি।

    একটা দারুণ জিনিস নিয়ে এসেছি - সেটার কথা বলা হয় নি। বড়সড় কালো রঙের হার্ডবাউন্ডে বাঁধানো, রথীন মিত্রের আঁকা টেম্পলস অফ উত্তরাখণ্ড। অসাম কালেকশন। ১৯৯৭ সালের প্রিন্ট, তখনকার দামে পাঁচশো টাকা। হৃষিকেশের জিএমভিএনে আমাদের দিল একশো টাকায়।

    তিনজনে তিন কপি নিয়ে এসেছি।
  • de | 69.185.***.*** | ২২ জানুয়ারি ২০১৬ ১২:৩৯689493
  • বাপরে - কি লেখা! আর কি ট্রিপ!

    জামা মসজিদের ছবি দেখবো -
  • pipi | 60.129.***.*** | ২২ জানুয়ারি ২০১৬ ২০:১৮689494
  • সিকির লেখার আমি বরাবরের পাখা - সেই লাজবাবের দিন থেকে। এইটাও, অ্যাজ এক্সপেক্টেড, অসাম হইছে। এইটা, লাদাখ, কলকাতা ট্রিপ - এইগুলো একসাথে করে চটি হয় না?
  • 0 | ২৫ জানুয়ারি ২০১৬ ১৮:০৮689495
  • হ্যাঁ, চটি হোক। ক দিলাম। কিন্তু পেপার কোয়ালিটি যেন বেশ ভালো হয়, নইলে এতো সুন্দর ছবিগুলো ফুটবে না।
  • i | 134.168.***.*** | ২৬ জানুয়ারি ২০১৬ ০২:২৪689496
  • একটানে পড়া হয়ে গেল। জনপ্রিয় লেখার সমস্ত গুণ বিদ্যমান সিকির লেখায়। নিজে পড়ার পরে অন্যকেও পড়াতে ইচ্ছে হয়। আমিও চটির দাবি জানালাম।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন