এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ময়নাবাই

    Sarada Basu লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ১৯ অক্টোবর ২০১৫ | ২৩২৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Sarada Basu | ১৯ অক্টোবর ২০১৫ ০২:০৭686371
  • আমার আসল নাম যাই হোক রাজা অজিত সিংহ আমাকে ডাকেন ময়নামতী বলে। রাজপুতানী রাজনর্ত্তকী আমি। রাজদরবারের দেওয়ালের বিশাল আয়নার সামনে যখন আমি দাঁড়াই, মনে হয় আয়নাটা বুঝি হাজারটা টুকরো হয়ে ভেঙে যাবে। এমনই প্রখর রূপের তেজ আমার। দরবার ঘরের ছাদে যেখানে হাজারবাতির একটা ঝাড়লন্ঠন ঝোলে সেই লন্ঠনের চারপাশে বৃত্তাকারে সারা ছাদে কুচি কুচি আয়নার কারুকাজ। নাচের বিভঙ্গে যখন আমার শরীরে সাগরের জোয়ার আসে তখন ছাদের প্রতিটা আয়নায় তার প্রতিফলন হয়। ঈশ্বরের হাতে গড়া আমার এই মোহময়ী শরীর। কোমরে ত্রিধাতুর কোমরবন্ধে ফণাসহ কালসর্প মাথা তুলে দাঁড়িয়ে থাকে। নাভি থেকে পা অবধি মাটিতে লুটায় সোনারূপোয় কাজ করা রেশমী ঘাগরা। বুকের কাঁচুলি ঘিরে হিরে মণি মানিক্যের সাতনরী হার। মাথার মণিতে হীরের বৃত্তে সোনার গোপিনাথজির মূর্তি। রাজপুতানী তার স্বামীর নামে মাথার মণি পরে। আমি আমার জীবন গোপিনাথজিকে সঁপে দিয়েছি। আমার রূপ যৌবনে শুধু গোপিনাথজির অধিকার!আমার পায়ে রোজ যে কত শত রাজারাজড়া লুটায় তার ঠিক নেই কিন্তু আমি শুধুই গোপিনাথজির।
    রাজদরবারের মার্বেল পাথরের দালানের একদম মাঝখানে একটা পদ্মফুল আঁকা আছে, পাথরেরই শ্বেতপদ্ম, তার কেন্দ্র থেকে আমার নাচ শুরু হয়। গোলাপী মখমলের মত আলতা পরা পা দুখানা যখন সেই পদ্মফুলে ছোঁয়াই আমার নৃত্যরতা তন্বী দেহে বিদ্যুৎ খেলে যায়। ছন্দে সুরে তালে একে একে ফুটতে থাকে পদ্মের পাপড়িগুলো।সারা রাজদরবারের আলতা রঙে ভূমিতে আঁকা হয়ে যায় এক সহস্রদল পুষ্প। রাজপুতানী বীরাঙ্গনাদের মত পবিত্র নিষ্পাপ। ফুল ফোটার খবর পেয়ে গর্ভমন্দিরে জেগে ওঠেন গোপিনাথজি। যতক্ষন না রাজদরবারের শ্বেতপাথরের মেঝেয় পদ্ম ফুটে ওঠে ততক্ষন গোপিনাথজির ধ্যান ভাঙেনা। শেষ পাপড়িটা আঁকা হয় আমার পায়ের মুদ্রায় , মুন্সী জগমোহন গিয়ে রাজপুরোহিতকে খবরটা দেন, তারপরে নাটমন্দিরে বেজে ওঠে শাঁখ কাঁসর ঘন্টা।
    আজ খেতড়িতে বড় পবিত্র দিন। মহারাজা অজিত সিংহ পিতা হয়েছেন। রানীমার কোল আলো করে এসেছে এই রাজ্যের উত্তরাধিকার জয়সিংহ। সন্তানলাভ উপলক্ষ্যে রাজ্যজুড়ে উৎসব চলবে একপক্ষকাল ধরে। মুন্সী জগমোহনের সঙ্গে গতকাল এখানে এসে পৌঁছেছেন সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দ। দূর থেকে দেখেছি তাকে, আমি কেন তাকে দেখতে তো রাজ্যের সব ছেলে বুড়ো মেয়ে সবাই ভীড় করে এসেছিল। পান্নাসার তালাওয়ে ময়ূরপঙ্খি নৌকোতে করে সব প্রজারা বেড়াতে বেরিয়েছে, জায়গায় জায়গায় তাঁবু খাটিয়ে নগরবাসীরা নৃত্যগীত করছে, দোকানে পসারিণী মিষ্টিহাসি তে ক্রেতাকে অভিবাদন জানাচ্ছে, কেনার শেষে হাতের মণিবন্ধে জড়িয়ে দিচ্ছে সদ্যফোটা জুঁইফুলের একটি একানে মালা। স্বামীজির আশীর্বাদে সন্তানের জন্ম তাই রাজার আনন্দ আজ আর বাধ মানেনা। স্বামীজি আসছেন রাজার প্রিয় হাতির পিঠে চড়ে, চতুর্দোলায়, রাজসিংহাসনে বসে।
    মহারাজা সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করলেন স্বামীজিকে। স্বয়ং নারায়ণ যেন ধূলোয় নেমে এসেছেন। খেতড়ির মাটি আজ ধন্য হল। আমি রাজনর্তকী ময়না বাই প্রাসাদের জানলায় দাঁড়িয়ে দেখলাম! স্বামীজি কোথায়? এ তো স্বয়ং গোপীনাথজি পথ চলছেন সকলের সঙ্গে। খুব ইচ্ছা হল স্বামীজির পা ছুঁতে। মনে হল চোখের জলে ভিজিয়ে দিই স্বামীজির পা দুখানা।
    খেতড়ি এস্টেটের সেক্রেটারি মুন্সী জগমোহন আমার রূপে অন্ধ। আমার একচিলতে হাসির জন্যে সে জীবনও দিয়ে দিতে পারে। নৃত্যগরবিনী ময়না বাই গোপিনাথজির প্রেমে বিভোর, তাই ভুলেও তাকিয়ে দেখেনি তার দিকে কখনও! আজ স্বামীজির হাত ধরে মুন্সীকে দেখে হিংসেয় জ্বলে উঠল আমার মন। স্বামীজির কাছে যেতে হলে এই মুন্সীই একমাত্র উপায়!
    সেই রাতে জগমোহন এসেছিল আমার কাছে- কানের কাছে ফিসফিস করে বলেছিল ময়নাবাই- আজ আমি যা চাইবো তাই দিতে হবে কিন্তু! খবর শুনে আমি আত্মহারা – স্বামীজি কাল সন্ধ্যেবেলা আসবেন আমার নাচ দেখতে! দুচোখ বেয়ে সুখের ঝরণা বয়ে চলেছে! আমি আমার মধ্যে নেই আর! কখন সন্ধ্যে আসবে কখন দিনের ভার চাঁদের হাতে সঁপে দিয়ে দিবাকর বিদায় নেবেন? কখন? কখন? কখন?
    পরের দিন সকালে বিবেকানন্দ আসবেন দেউড়িতে অর্থাৎ অন্দরমহলে! এইখবরটাও দিয়েছিল মুন্সীই! বিবেকানন্দ! হ্যাঁ এই নামও তো মহারাজা অজিত সিংহই রাখতে অনুরোধ করেছিলেন একসময়! তার আগে স্বামীজি বিভিন্ন নাম নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন পরিব্রাজক হয়ে! মহারাজা অজিত সিংহ অনুরোধ করলেন এই নামখানি আর বদল না করতে। সেই থেকে স্বামীজি হয়েছিলেন বিবেকানন্দ!
    আজ রাণীর মহল সেজেছিল ফুলে ফুলে। রঙবেরঙের সুগন্ধি নানারকম ফুল। রমণীরা তাদের লম্বা বেণীতে পেঁচিয়ে নিয়েছিল মল্লীফুলের মালা। রাজারাণী স্বামীজির চরণে গুরুপূজা করে স্বামীজির হাতে তুলে দিলেন নবজাতককে। আমাদের সকলের আদরের জয়- জয়সিংহকে। সকলে জয়ধ্বনি করে উঠল।‘জয় স্বামী বিবেকানন্দের জয়! জয় মহারাজা অজিত সিংহের জয়’ তোমাদের বন্ধুত্ত্ব জন্মজন্মান্তরের, এই বন্ধুত্ত্ব চিরস্থায়ী হোক!
    স্বামীজি সংষ্কৃত উচ্চারণে স্বস্তিবাচন পড়লেন, প্রাণভরে আশীর্বাদ করলেন সদ্যোজাতকে।
    আজ বিকেলের জন্যেই বুঝি আমি সারাজীবন নটরাজের সাধনা করে এসেছি। মুন্সী জগমোহন রাজা অজিত সিংহকে বলে ঠিক করেছেন যদি আজকে গোপিনাথজির আরতির আগে এবং নাচের সময় বিবেকানন্দ উপস্থিত থাকেন রাজদরবারে! ময়নাবাই আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে সাজাল আজকে। আজ ফুলের সাজ ময়নাবাইয়ের। হলুদ ফুলের বাজুবন্ধে গায়ের রঙ মিশে গেল। একশো আট পদ্মমালায় আমি জানি ময়নাবাই কে দেবি মনে হচ্ছে। কপালে এঁকেছে সিঁদূরের টিপ, টিপ ঘিরে কনেচন্দন। মাথায় অপরাজিতার মুকুট, বেণীতে মল্লিকাফুলের মালা সাপের মত লেলিহান।
    নাচ শুরু হল, একটু পরেই স্বামী বিবেকানন্দ এসে পড়বেন। দরবার ঘরের মর্মর শ্বেতপদ্মের কেন্দ্র থেকে আমার পা প্রতিদিনের মত ছুঁয়ে নেয় নটরাজকে। আজ আমার মধ্যে রাধারাণীকে অনুভব করতে পারছি। কৃষ্ণপ্রেমে আকুল চিরবিরহিণী!! আমার গোপিনাথজি আজ মূর্তি থেকে বেরিয়ে মানুষের রূপে এসেছেন।সকালে তাঁকে দেউড়িতে দেখে প্রাণ ভরে গেছে এক অভূতপূর্ব আনন্দে। উনি তো এতলোকের মাঝে আমাকে আলাদা করে দেখেননি, কিন্তু ময়না বাই তাঁকে দেখেছে। ময়নাবাই চেয়েছে ওই পায়ের পাতায় মুখ ডুবিয়ে কাঁদতে, চোখের জল দিয়ে ধুইয়ে দিয়ে পদ্মের মত পা দুখানি। ময়নাবাই তো কেবল বাইজী নয়- সে তার জীবনে দুখানি বস্তুকে ভালোবেসেছে। একজন হল নৃত্যকলা আরেকজন হল গোপিনাথজি! তার দেহটা বারনারীর হতে পারে কিন্তু অন্তরে সে শুদ্ধ, পবিত্র।
    নাচের শুরুতে বিবেকানন্দ আসেননি। আরো মন ঢালতে হবে নাচের প্রতি পদক্ষেপে। পায়ের ছাপে আঁকা হতে থাকে পদ্মের পাপড়িরা। একে একে ফুটে ওঠে পদ্মের শতদল। থমকে থামে নাচ একসময়! মুন্সী জগমোহনের চোখে জল, মহারাজা অজিত সিংহকে বলছেন স্বামীজি আসবেননা! উনি সন্ন্যাসী মানুষ! তিনি কেমন করে উপস্থিত থাকতে পারেন এমন নাচগানের আসরে? বাইজি নাচ দেখা কি সন্ন্যাসীর মানায়?
    বিদ্যুৎ বয়ে গেল সভার মধ্যে! এ কি শুনছি আমি? যার জন্য সারাজীবন শবরীর প্রতীক্ষায় বসে আছি, তিনি আসবেননা? আমি বাইজী বলে? নৃত্য যে নটরাজের সৃষ্টি! এর মধ্যে কি কোন পাপ আছে? নাচ থেমে গেল! পদ্ম আর ফুটবেনা! আজ সন্ধ্যেবেলা এমনিই আরতি হোক গোপিনাথজির।
    হাউহাউ করে কাঁদছি আমি – খেতড়ির ময়নাবাই। সুন্দরী তন্বী রাজনর্তকী দুনিয়াকে সুরতালছন্দে ভাসিয়ে দিই। আমার রূপযৌবনের জন্যে পতঙ্গের মত ছুটে আসে সম্ভ্রান্ত রাজকর্মচারীরা তবু আমার হৃদয় মন আমার অস্তিত্ত্ব জুড়ে থাকেন গোপিনাথজি। আমার এই কান্না কি শুধু আমার অহংকার চূর্ণ হয়ে গেছে বলে?রূপের অহংকার! নাচের অহংকার! এমনকি ভক্তির অহংকারও তো বটে! কিন্তু সমদর্শী সন্ন্যাসীর এ কেমনতর অবিচার?সন্ন্যাসীর কাছে পাপ পুণ্য সব তো সমান! আমার পা অবশ হয়ে গেছে ! বসে পড়লাম গোপিনাথজির পায়ের কাছে! বাঁশির মত সুরেলা কন্ঠ আমার! গান আমার হাহাকার হয়ে ছড়িয়ে পড়ল আকাশে বাতাসে!
    প্রভু মোরে অবগুণ চিত না ধরো
    সমদরশী হ্যায় নাম তিহারো, অব মোহি পার করো
    এক লোহা পূজামেঁ রাখত, এক ঘর অধিক পরো,
    সো দুবিধা পারস নেহি দেখত, কাঞ্চন করত খরো
    এক নদিয়া এক নার কহাবত, ম্যাঁয়লো হি নীর ভরো,
    যব মিলি দোনো এক বরণ ভয়োঁ, সুরসরি নাম পরো
    তন মায়া যো ব্রহ্ম কহায়ত, সব সু মিল বিধরো,
    অবকি বের মোহি পার উতারো, নহি প্রাণ জাত টরো!

    “ময়নাবাই চোখ খুলে দেখ! কে এসেছেন তোমার সামনে!”
    মুন্সী জগমোহন ডাকছে আমাকে! সামনে দাঁড়িয়ে আছেন মহারাজা অজিত সিংহ আর তাঁর পিছনে স্বামীজি! স্বামী বিবেকানন্দ!
    প্রতিভাদীপ্ত তরুণ সন্ন্যাসী- উজ্জ্বল আয়ত চোখে হাসির আভা, রাজোচিত চলনভঙ্গিমা, গেরুয়া বসন, মাথায় পাগড়ি, হাতে দন্ড মুখশ্রীতে সরলতা মাখানো! তাকে দেখলেই যে ভালোবাসতে ইচ্ছে করে।
    কিছুক্ষণ আমি আমার চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। দুজনেই বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে গেছি। স্বামীজি এসেছেন আমার কাছে? একবার গোপিনাথজির দিকে তাকাচ্ছি, একবার স্বামীজির আবছা অবয়বের দিকে আড়চোখে দেখছি। এ কি ভ্রম হল আমার? সামনে তাকিয়ে দেখছি গোপিনাথজির মূর্তি উধাও! তার জায়গায় স্বামীজির পাথরের মূর্তি যে আমার দিকে মিটিমিটি করে হাসছে, অভিমানীনি ময়নাবাই স্বামীজির দিকে আর সোজাসুজি তাকাবেনা ঠিক করেছে তাই বুঝি এই ছল গোপিনাথের? কান্নার দমকে আমার শরীর টা কেঁপে কেঁপে উঠছে বার বার!চৈত্রমাসের সন্ধ্যায় বাতাস থমকে দাঁড়িয়েছে। অস্ফুট স্বরে বলছি, প্রভু আমি যে বারবণিতা, তুমি বিবাগী সন্ন্যাসী। কেন এলে আমার কাছে?তোমার কাছে আমার বাইজি নামটাই বড় হল? যে ধাতু দিয়ে কৃষ্ণজির বিগ্রহ তৈরি হয় সেই ধাতুতেই তো অস্ত্র ও তৈরি হয়, কিন্তু পরশপাথর যখন তাদের ছুঁয়ে ফেলে তারা দুজনেই তো সোনা হয়ে যায়! তুমি তো সেই পরশপাথর স্বামীজি? তবে আমাকে এমন অপমান করলে কেন? তোমাকে যে খেতড়ির প্রতিটা পশুপাখি ও প্রাণ ঢেলে ভালোবাসে! তুমি তাদের ভালোবাসা বুঝলেনা?
    এমন সময় কানে এল
    ‘মা’ –
    কে ডাকে? জলদগম্ভীর কণ্ঠে কে আমাকে ডাকল? ভুল হয়নি তো শুনতে? না ঐ তো আবার ডাকে, ‘মা! মা! মাগো!’

    মা বলে তো আমাকে কেউ ডাকেনি আজ অবধি? আমি সকলের কাছে ময়নাবাই! সুন্দরী রূপসী নাচনেওয়ালি! তাই ফিরে আমাকে দেখতেই হল!

    স্বামীজির দুচোখে জলের ধারা! দু হাত বাড়িয়ে প্রণামের ভঙ্গিতে গান ধরলেন উদাত্ত স্বরে! যে গান আমি রোজ গাই, সেই বিরহের গান। গাইতে গাইতে হৃদয়ের আবেগে কন্ঠ রুদ্ধ হয়ে এল স্বামীজির। শ্রীকৃষ্ণের স্পর্শবিহবলা রাধারাণীর মত প্রেমরাগে রাঙা হয়ে উঠল স্বামীজির মুখশ্রী! এ যে আমার গান, আমার গোপিনাথজি আর আমার গান!এমন গান বিবেকানন্দ জানলেন কি করে?
    সুললিত স্বর গেয়ে চলেছে……
    আমি গেরুয়া বসন অঙ্গেতে পরিয়ে- শঙ্খের কুন্ডল পরি
    যোগিনীর বেশে যাব সেই দেশে যেথায় নিঠুর হরি
    মথরা নগরে প্রতি ঘরে ঘর
    খুঁজিব যোগিনী হয়ে
    যদি কোন ঘরে মিলে প্রাণবঁধু
    বাঁধিব অঞ্চল দিয়ে
    আমি আপন বঁধুয়া আপনি বাঁধিব
    রাখিতে নারিবে কেউ
    যদি রাখে কেউ ত্যাজিব এ জীউ
    নারীবধ দিব তারে।

    গান শেষ হলে প্রণামের ভঙ্গিতে মাথা নোয়ালেন স্বামী বিবেকানন্দ!
    “মা! তুমি আমাকে ক্ষমা কর জননী! তুমি আমার চোখ খুলে দিয়েছ! মাগো একবিন্দু জল সে যমুনাতেই থাকুক অথবা নালানর্দমাতেই থাকুক, গঙ্গাতে মিশলে তো সে পবিত্র হয়ে যায়! তুমি তো সেই গঙ্গায় এসে পড়েছ ময়নাবাই! বিবেকানন্দ যে সেই গঙ্গা, মাগো!ওঠো, জাগো! তত্ত্বমসী! তত্ত্বমসী! তত্ত্বমসী! তুমি ই সেই! যে ব্রহ্ম তোমার মধ্যে আছে সেই ব্রহ্মই আমার মধ্যেও বিরাজমান! এতো বড় সত্যটা আমি কেমন করে ভুলে গিয়েছিলাম? আমি কিসের সন্ন্যাসী! তুমি তো মা! সন্তানকে ক্ষমা করতে পারবেনা?”
    দুহাতে ধরে ফেললাম স্বামীজির হাত। মন্দিরের সামনের চত্ত্বরে বসে পড়লেন স্বামীজি , আমি স্বামীজির পায়ে মাথা রেখে প্রণাম করলাম। দুচোখ বেয়ে সুখের সমুদ্র ধুইয়ে দিচ্ছে আমার জীবন্ত গোপিনাথজির পদ্মফুলের মত পা দুটি।
    ময়নাবাই আজ পাষাণী অহল্যার মত জেগে উঠেছে। মর্য্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরামচন্দ্রের পায়ের ছোঁয়া লেগে যেমন তার নতুন জীবন শুরু হয়েছিল তেমন আমারও আজ নতুন জীবন শুরু হল। আমার গোপিনাথজি সামনে এসে দাঁড়িয়েছেন।
    “আজ থেকে তুমি সন্ন্যাসিনী হলে। শ্রীরামকৃষ্ণ এবং জননী সারদা তোমাকে ঘিরে থাকবেন আজীবন, আমি আবার আসব তোমার সঙ্গে দেখা হবে এক অন্য রূপে। তখন বুঝতে পারবে বিবেকানন্দ সত্যি ই পরশপাথর। তুমি সোনা হয়ে গিয়েছ। ততদিন তোমাকে গুরুমহারাজ রক্ষা করবেন”।
    মুন্সী জগমোহন সেদিন স্বামীজিকে বোম্বে অবধি পৌঁছে দিয়েছিল শুনেছি, সেখান থেকে সাগর পেরিয়ে বিদেশে যাবেন- জয় হোক আমার বিবেকানন্দের। গোপিনাথজির সামনে আমি হাতজোড় করে মাথায় ছুঁইয়েছিলাম। আমি যে জননী!
    সেদিনের কথাটা আমার এখনও কানে বাজে – ‘আজ থেকে তুমি সন্ন্যাসিনী!’ কথাটা ঢেউ তুলেছে আমার হৃদয়ে, আমার রূপ, যৌবন, যশ, গয়নাগাঁটি, সব তুচ্ছ হয়ে গেছে। ময়নাবাই সেদিন থেকে নাচ ছেড়ে দিয়েছে, অনাথ আতুর দরিদ্র শিশুদের মধ্যে আমার গোপিনাথজি আমাকে নিজেকে বিলিয়ে দিতে শিখিয়েছেন। আমাকে এক নতুন জীবন দিয়েছেন স্বামীজি।
    খেতড়ির মাটিতে লেখা হয়ে আছে সন্ন্যাসিনী ময়নাবাই আর স্বামীজির কাহিনী। এখানে হাওয়ায় হাওয়ায় ইতিহাস ফিসফিস করে আজও- ‘প্রভুজি মেরে অবগুণ চিত না ধরো!’
  • skm | 83.136.***.*** | ১৯ অক্টোবর ২০১৫ ০৬:১৭686377
  • khoob bhalo
  • কার্তিক | 205.154.***.*** | ১৯ অক্টোবর ২০১৫ ০৬:৫৯686378
  • এই মেরেচে, স্বামীজির আশীর্বাদে রাজার সন্তানের জন্ম! স্বামীজি নাকি রানীমাকে বাটিভর্তি পায়েস দিয়েছিল?
  • Su | 181.33.***.*** | ২০ অক্টোবর ২০১৫ ১৪:৪৮686380
  • মারা যান! কি বিচ্ছিরি টাইপো!
  • Su | 181.33.***.*** | ২০ অক্টোবর ২০১৫ ১৪:৪৮686379
  • এইরে পায়েসের কথা তো জানিনা তবে ময়না বাই এর পরের ইতিহাস টা খুব সুন্দর উনি অনাথ শিশুদের জন্যে একটা স্কুল খোলেন এবং প্রায় ৯১ বছর অবধি বেঁচে ছিলেন। অনেকেই তাঁকে চাক্ষুষ দেখেছে এরকম বিবরণ শোনা যায়। খেতড়ির রাজার এই ছেলে কিন্তু বেশিদিন বাঁচেননি - আঠেরো উনিশ বছর বয়সে মরা যান মনে হয়। এরকমই পড়েছি মনে হচ্ছে।
  • Ekak | 113.6.***.*** | ২০ অক্টোবর ২০১৫ ১৫:৫৬686381
  • পরের ইতিহাস টা আগের ইতিহাস এর তুলনায় "সুন্দর" ক্যানো ? অত দান -ধ্যান করার টাকা উনি পেলেন কোদ্দিয়ে ? আগের অসুন্দর ইতিহাস এর রোজগার করা টাকায় পরের ইতিহাস এ দান এ ব্যয় করলে সেটা সুন্দর থাকলো কী ?
  • সে | 94.75.***.*** | ২০ অক্টোবর ২০১৫ ১৬:০৫686382
  • আগের "তুলনায়" সুন্দর - কোথায় লেখা আছে? চশমা নেই দেখতে পাচ্ছি না।
  • Ekak | 113.6.***.*** | ২০ অক্টোবর ২০১৫ ১৬:১৬686383
  • আশ্চর্য্য ! বর্তমান অবস্থা থেকে "পার " করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে । এতটাই নীচে ছিলেন যে তাকে দেখতে অবসার্ভার কে "সমদর্শী " হতে হয়েছে । অহল্যা প্রসন্গ্য আসছে । এরপরেও আলাদা করে "তুলনা " শব্দ টা লেখার দরকার আছে কী । পুরোটাই তো তুলনা । প্রশ্ন শুধু এনাকে নিয়ে নয় , সেইসময় এরকম শেষ জীবনে ভক্তির পথে এসে বাইজী পেশা ছেড়ে দান-ধ্যান করে কাটানো উদাহরণ একাধিক । সে যার যেমন পছন্দ করুন গে । কিন্তু এইযে ব্যাপারটাকে উত্তরণ হিসেবে দেখানো এটা ভক্তিবাদী আন্দোলনের পেত্রনায়সিং এতিচিউদ । এস ইফ ওনারা বিশাল ত্রান করলেন । বাইজী বৃত্তি খারাপ কিন্তু সেই রোজগার দান ধ্যান এ দিলে ধর্মের পথে এলে সব শুদ্ধ । ক্রিস্চিয়ানীতি তেও এক কাহিনী আছে একাধিক ।
  • সে | 94.75.***.*** | ২০ অক্টোবর ২০১৫ ১৬:৩২686384
  • আমার মনে হল সু এটায় তুলনা টানেননি, কেবল পরবর্তী ঘটনাটা লিখেছেন যেটাকে সুন্দর আখ্যা দিয়েছেন।
    ঐ সময়টায় বাঈজি পেশা সম্মানের ছিল না। টাইমলাইনটা আমরা ভুলে যাই। তখন সমাজের দৃষ্টিভঙ্গী আজকের মত ছিল না। সবকিছু আজকের নিরিখে দেখা হত না তখন।
  • Ekak | 83.225.***.*** | ২০ অক্টোবর ২০১৫ ১৬:৪৭686372
  • শুধু ওই সময় ক্যানো , কোনসময়েই বিশাল কিছু সম্মানের ছিলনা । আমি একদম ইউরোপিয়ান কর্টিসান , গেইশা তার পাশাপাশি আম্রপালি কে রেখে এদিকে নবজাগরণের সময়কার কর্টিসান তার পাশাপাশি ভারতীয় কর্তিসান দের রাখছি । এই পুরো টাইম তা তেই ফিউদালিস্ম এর প্রভাব রয়েছে ষোলো আনা । কর্টিসান ব্যাপারটাই ফিউডাল । সে নিয়ে সমস্যা না। সমস্যা হচ্ছে পাশ্চাত্যে যেখানে গেরস্ত ঘরের মেয়েদের বই ছোঁয়ার অধিকার ছিলনা সেই সময় কর্টিসান রা কবিতার নান্দনিকতা নিয়ে তর্ক করেছেন । পাশাপাশি আমাদের দেশেও দেখছি কর্টিসান রা কলাবিদ্যা -নাট্য শাস্ত্র সঙ্গীতে পারদর্শী । সবকিছু ঠিকঠাক চলতে চলতে আমাদের দেশে এই ভক্তির ঢেউ গুলো এসে ঘপাত করে পুরো দ্বন্দ তাকে সাব্সায়দ করে দিলো । কর্তিসান দান ধ্যান করে মাথায় কাপড় তুলে মূলস্রোতে স্বীকৃত । লে হালুয়া !! এই স্বীকৃতি এলো আত্মসমর্পণের বিনিময়ে যেটা মারাত্মক । আর "আজকের দৃষ্টিভঙ্গী" কিছু পাল্টায় নি । ফিউডাল এর কর্টিসান থেকে পিপল'স কর্টিসান এ একটা ট্রান্সফর্ম ঘটেছে বলা যায় বড়জোর ।
  • সে | 204.23.***.*** | ২০ অক্টোবর ২০১৫ ১৬:৫৯686373
  • ধর্মীয় ব্যাপার তো রয়েছেই ঘটনাটাতে। এক স্বামীজি এলেন। ভক্তিরস বয়ে গেল। শৃঙ্গার থেকে ভক্তিতে উত্তরণ? মা বলে সম্বোধন। কেন? আপত্তিকরতো ঐগুলো বেশি লেগেছে।
  • Su | 181.33.***.*** | ২০ অক্টোবর ২০১৫ ১৭:১৩686374
  • আমার খুব ভালো লাগছে এই আলোচনাটা। পক্ষে বিপক্ষে এতো সুন্দর ঋদ্ধ মতামত একমাত্র গুরুচন্ডালীতেই পাওয়া যায়! তাই গুরু এতো ইউনিক।
    আমি লেখার সময়েও তাই ই লিখতে চেয়েছি- হয়তো ঠিকমত প্রকাশ করতে পারিনি। নৃত্যকলা একটি অনাদিকাল থেকে চলে আসা ভাবপ্রকাশের ভঙ্গি। একটি অতি উন্নত এক্সপ্রেসিভ আর্ট! কিন্তু তখনকার সমাজে সেটা মেনে নেবার কথা ভাবাও যেতোনা।
    নটি বিনোদিনীকে প্রথম সামাজিকভাবে স্বীকার করেন ঠাকুর রামকৃষ্ণ। স্টার থিয়েটারে নটি বিনোদিনী আর রামকৃষ্ণের গল্প সবার জানা! তখনকার সমাজের প্রেক্ষাপটে এটা একটা বিপ্লব ছিল। এমনকি তাঁর নিজের প্রিয় শিষ্য বিবেকানন্দের জন্যেও ময়না বাই কে অ্যাকসেপ্ট করা কঠিন হয়েছিল। বিবেকানন্দ আরো অনেক বেশি ওয়েস্টার্নাইজড তবুও।
    দেহব্যবসা আর নৃত্য বা অভিনয় এক নয় সেটা হয়তো আজকে লোকে বোঝে, তখন বুঝতোনা। সেটাই হয়তো আমি বলতে চেয়েছিলাম। দেহব্যবসা ঠিক কি বেঠিক এই প্রসঙ্গে যাচ্ছিনা। কিছু দেশে আইনত ঠিক কিছু দেশে আইনত বেঠিক। দেহব্যবসার যে ট্যাবুটা ছিল তখন সেই মাইন্ড সেট এখনও মনে হয়না খুব একটা বদলেছে। তবে অনাথ আশ্রমের ব্যাপারটা অনেকটা অ্যাকসেপ্টেবল ছিল তখনকার সময়ের পক্ষে। হয়তো এখনও তাই ই !
    'সুন্দর' বলা মানে কিন্তু অন্যকে 'অসুন্দর' বলা নয়-- এই সরলীকরণ টা করা ঠিক নয়।
    আর পরের অনাথ আশ্রমের টাকা পয়সার কথা যেটুকু পড়েছি , শুনেছি উনি ভিক্ষা করে চালাতেন- তবে সত্যি কি হয়েছিল তা কি আর জানা যায়? খেতড়ির কোন গ্রামে কোন বৃদ্ধা কিভাবে তার আশ্রম চালাচ্ছে তা আর কে নথিভুক্ত করে রাখে।
    বাই দ্য ওয়ে, শুনেছি খেতড়ি নাকি খুব সুন্দর জায়গা- থাকার জায়গাও খুব ভালো , রাজবাড়িটাও আছে একটা মিউজিয়াম হয়েছে। জয়পুর থেকে বেশি দূর নয়!
  • Ekak | 83.225.***.*** | ২০ অক্টোবর ২০১৫ ১৭:৩৯686375
  • আপনার লেখা আমার খারাপ লাগেনি । আমার বক্তব্য এই বিষয় টা নিয়ে ।

    এই ওহ সো ওভার হাইপদ ভক্তি আন্দোলন । বিবেকানন্দ এট আল তো বেসিকালি সোশিও লিবারেল । এদের লজিক ই হচ্ছে সবাইকে একটা কমন্স এ এসিমিলেট করো এবং যেহেতু সেটা গ্রহণযোগ্যতার আলাদা আলাদা মাপকাঠি কে স্বীকৃতি দিয়ে কখনই সম্ভব নয় তাই কিছু কনভার্সন এর রাস্তা খোলা রাখো । এই যুক্তিতেই বাইজি কৃষ্ণ নাম নিলে শুদ্ধ হয় বা খুনি সংশোধনাগার থেকে ফিরে বাচ্চাদের গসপেল শেখানোর জীবন বেছে নিলে তাকে নিয়ে আহা উহু । কারণ এদ্দিনে একটি জেনেরিক "সম্মান ও গ্রহণযোগ্যতা " র ছাতার তলায় সকলকে আনা গ্যালো । এই পুরো ব্যাপারটাই আমার কাছে মারাত্মক ও ভয়ঙ্কর ।এটা একদম ধুলারে মারি করিয়া দিলো কাদা কেস :(
  • Bratin | 11.39.***.*** | ২১ অক্টোবর ২০১৫ ১০:৩৪686376
  • সু দি, ভালো লাগলো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন