এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রাকেশ ভট্টাচার্য্য | 122.79.***.*** | ০১ জুলাই ২০১৫ ০২:৩৩681218
  • ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতাকে ডিল করতে গিয়ে নানা মুনির নানা মত , একাধিক অনলাইন activist দেখছি চাঁচাচোলা ভাষায় ধর্মকে আক্রমণ ও নাস্তিকতার প্রচার করছেন, আমি নিজে ব্যক্তিগত ভাবে Agnostic , আমার জীবনচর্চায় ঈশ্বর কল্পনা ও ধর্মকে প্রয়োজনীয় কিছু বলে ভাবি না , in fact ধর্মকে মোটের উপর harmful একটা ক্যাটেগরি হিসেবেই মনে করি। কিন্তু আমার মনে হওয়া দিয়ে তো আর বিশ্ব সংসার চলবে না। তাই বিশ্ব ব্যাপী ধর্মীয় সন্ত্রাসের আবহে কি ভাবে intervene করা যেতে পারে সেই নিয়ে ভাবনা চিন্তা চলতেই থাকে। সেই ভাবনা চিন্তার জায়গা থেকে র‍্যাডিক্যাল নাস্তিকতার প্রচার আমার কাছে খুব কার্যকরী স্ট্র‍্যাটেজি বলে মনে হয় না , কেন মনে হয় না সেই নিয়ে কিছু বক্তব্য। ধর্মীয় পরিচিতি মানুষের ছোট বেলা থেকে তৈরি হওয়া superego র অংশ , ফ্রয়েডিয় ধারণা অনুযায়ী superego হল চেতনার সেই অংশ যেখানে ছোট্টবেলা থেকে নানা শিক্ষার মাধ্যমে নৈতিকতা / মূল্যবোধ প্রভৃতির জোরদার ভিত্তি তৈরি হয়, superego একবার তৈরি হয়ে গেলে বড় বয়সে তাকে আমূল পাল্টে অন্য কোনো superego দিয়ে রিপ্লেস করা যায় না , ছোটবেলা থেকে তৈরি হওয়া এই pre-formed superego কে alter করা যেতে পারে , অল্প কিছু লোকের ক্ষেত্রে হয়ত আমূল পরিবর্তন সম্ভব, বেশির ভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই সেভাবে সম্ভব নয় , মেজরিটি মানুষের ক্ষেত্রে যেটুকু পাল্টায় বাস্তবের ধাক্কায় পাল্টায় । ধর্মীয় পরিচিতি নির্মূল করতে গেলেও ছোটবেলা থেকে সঠিক ভাবে বিজ্ঞাণের চর্চা দরকার, এই সিস্টেম এ ম্যক্সিমাম মানুষ শিক্ষাই পায় না সেভাবে , আর বিজ্ঞাণ চর্চা ! তার অবস্থা তো আরো করুণ, প্রাত্যহিক জীবন যাত্রার সাথে মিলিয়ে বিজ্ঞাণের চর্চা এই পুঁজিবাদী সিস্টেম এ হয় না, হবে বলে আশাও করা যায় না , বাড়ির ইলেক্ট্রিকের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে নিজের শরীর থেকে চারপাশের প্রকৃতি কোনো কিছু সম্বন্ধেই বৈজ্ঞানিক ব্যখ্যা জানা থেকে সাধারণ মানুষ শতযোজন দূরে , যে শিক্ষা আমরা পাই তা বাস্তব থেকে বিচ্ছিন্ন , জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমরা বিশেষজ্ঞদের উপর নির্ভরশীল , আর অন্যদিকে ধর্মীয় শিক্ষা আমাদের অজান্তেই ছোটবেলা থেকে উঠতে বসতে আমরা আহরণ করি, সেই শিক্ষা অনেক বেশি নিবিড়। এই যেখানে অবস্থা সেখানে এই সিস্টেম এ বসে নাস্তিকতার প্রসারের আশা করাটাই অ- বস্তুবাদী expectation। প্রসঙ্গত বলা যায়, বিপ্লব পরবর্তী সোভিয়েত এ বিকল্প শিক্ষার ব্যবস্থা দিয়েও ধর্ম দূর করা যায়নি , প্রচুর কমরেড সমাজতন্ত্রের জন্যে প্রানপাত লড়েও ধর্ম মুক্ত হতে পারেননি, তখন অনেকে দাবি করেছিলেন বলপূর্বক ধর্মকে উৎখাত করা হোক, সেক্ষেত্রে স্তালিন বাধা দিয়েছিলেন, বলেছিলেন ধর্মের অবলুপ্তি ডায়ালেক্টিক্যালি হবে , বেশ কিছু জেনারেশন কে ছোটবেলা থেকে সঠিক বিজ্ঞাণের শিক্ষা দিলে তবে কিছুটা অবলুপ্তির পথে হাঁটা যাবে , তাছাড়া বাইরের বিশ্বের প্রভাব তো ছিলই, হাজার হাজার বছর ধরে মানুষ ধর্মীয় আবহে বড় হয়েছে , meme ব্যাপারটা প্রমাণিত না হলেও এটা ধরেই নেওয়া যায় যে এইসব পরিচিতি সত্ত্বা মানুষের মজ্জায় ঢুকে বসে আছে , এই প্রসঙ্গে বিপ্লব পরবর্তী চিন দেশের কালচারাল রেভলিউশনের করুণ পরিণতিও স্মরণ করা যেতে পারে। ইতিহাসের শিক্ষা যেখানে সামনেই আছে সেখানে এই সিস্টেমে বসে ধর্মকে নির্মূল করার আশা অ-বস্তুবাদী রোমান্টিক র‍্যাডিক্যালিজম বলেই মনে করি । এবার কেউ বলতে পারেন যে তাহলে কি এই সিস্টেম এ বসে ধর্ম নিয়ে কিছুই করার নেই? আছে, ধর্মকে less harmful আর less totalitarian করে তোলার চেষ্টা করা যেতেই পারে এবং করতেই হবে, (তা সে যতই সোনার পাথরবাটি মনে হোক) , না হলে পুঁজিবাদি সিস্টেম পরিবর্তন করার লড়াইটাই বাধাপ্রাপ্ত হবে। সেটা ধর্মের বিকল্প ব্যখ্যা দিয়ে বেশ কিছুটা করা যেতে পারে, সমস্ত ধর্মীয় মৌলবাদীরাই তাদের সাম্প্রদায়িক এজেন্ডার স্বার্থে ধর্মের একপেশে সংকীর্ণ representation করে , সেই representation বা নির্মাণের বিপরীতে বিকল্প কোন নির্মাণ করা যায় কিনা তা খুঁজতে হবে, যে নির্মাণ ধর্মের বিভেদকামী ও জনবিরোধী চরিত্র কে প্রতিহত করতে পারে , যেমন হিন্দু মৌলবাদীদের সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে হালের রামকৃষ্ণদেবের 'যত মত তত পথ' এর মত বাণী হাতিয়ার হতে পারে , সমকামিতা বা গো মাংস প্রভৃতি ইস্যু নিয়েও 'হিন্দু' ঐতিহ্যের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেই দেখানো যেতে পারে যে হিন্দু ঐতিহ্য এই বিষয়গুলির সম্পূর্ণ বিরোধী নয় , আবার ইসলামিস্টদের জেহাদের প্রশ্নেও ইসলামের ভেতর থেকেই ভিন্ন ব্যখ্যা তুলে ধরা যেতে পারে , যে ব্যখ্যা ধর্মের নামে সন্ত্রাসকে প্রতিহত করতে পারে, সেক্ষেত্রে ইসলাম 'ঠিক কি' বলতে চেয়েছে সেই চুলচেরা বিশ্লেষণ না করলেও হয় , বস্তুবাদী কারণে যদি মানুষ মানবিক হওয়ার প্রয়োজন বোধ করে ও ঐক্যবদ্ধ হতে চায় তাহলে ওই বিকল্প ব্যখ্যা টাকেই ধর্ম হিসেবে মানতে পারে, অনেকে মানেও, অনেক মুসলিম ই ইসলাম কে শান্তির ধর্ম হিসেবেই ভাবতে ও দেখতে চায় , তাদের এই চাওয়া ও দেখাটাকে অযথা মিথ্যা ভাবার ও মানে হয় না , তাদের এই দেখাটাকে ভুল প্রমান করে 'আসলে' ইসলাম = সন্ত্রাস তা প্রমাণ করতে উঠে পড়ে লাগারো মানে দেখি না। সব ক্ষেত্রে হয়ত বিকল্প ব্যখ্যা দিয়ে মানবতাকে advance করা যাবে না, সেক্ষেত্রে সংস্কার এর চেষ্টা করা যেতে পারে, মানে কিছু ক্ষেত্রে ধর্মীয় শিক্ষার উর্ধে উঠে মানবতা / বিজ্ঞানের শিক্ষাকে push করতে হবে , সব ধর্মেই যুগের প্রয়োজনে সংস্কার হয়েছে, ইসলামের কিছু intrinsic কারণে সেটা কঠিন কিন্তু অসম্ভব নয়, 'হিন্দু' সমাজ ঐতিহাসিকভাবে আধুনিকতা / বিজ্ঞান এর সাথে অনেক বেশী adjust করেছে , কিন্তু মুসলিম সমাজের ক্ষেত্রে এই adjustment অনেক কম, এই বাস্তবতা মাথায় রাখাটাই বাঞ্চনীয় , দুই সমাজের ক্ষেত্রে স্ট্র‍্যাটেজির ভিন্নতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যে ধর্মই হোক, এই সিস্টেম এ বসে ধর্মীয় পরিচিতি কে wholesale উপড়ে ফেলতে চাইলে মুশকিল আছে , তাতে লাভ তো হবেই না উল্টে যে আক্রমণাত্মক পদ্ধতিতে এই চেষ্টা করা হয় তাতে ম্যাকক্সিমাম মানূষ ই ধর্মীয় পরিচিতির ব্যাপারে আরো defensive হয়ে উঠতে পারে, এটাই human psychology , কিছু করার নেই , যে পরিচিতি মানুষের মজ্জায় ঢুকে বসে আছে সেটাকে সম্পূর্ণ নস্যাৎ করার চেষ্টা হলে সেই পরিচিতি নিয়ে সে আরো রক্ষণাত্মক হয়ে উঠবে এটাই স্বাভাবিক। এইসব বলার মানে আবার এই নয় যে ধর্মকে না খোঁচালেই ধর্মীয় সন্ত্রাস বন্ধ হয়ে যাবে , সন্ত্রাসিরা তাদের মত কাজ করতেই থাকবে, অভিজিত রায় রা মরতেই থাকবেন , সে ধর্মীয় অনুভূতিতে সরাসরি আঘাত করা হোক না হোক । প্রশ্নটা হল আমরা এই মুহূর্তে কোন দিশায় ধর্মকে deal করলে ক্ষতি কম লাভ বেশি হতে পারে, ধর্মীয় সমাজের সাথে engage করতে গেলে ফোকাস টা কি বা কি কি হওয়া উচিত। উত্তরগুলি হল - ১) ধর্মের বিনির্মাণ, ২) কিছু ক্ষেত্রে সংস্কার, আর, ৩) ধর্মের সাথে engage করতে গিয়ে যাদের advanced মনে হচ্ছে তাদের কাছে র‍্যাডিক্যাল নাস্তিকতার প্রচার । শেষ টিও বাদ যাবে না । ধর্মহীন শোষণ হীন সমাজব্যবস্থা যেখানে চূড়ান্ত লক্ষ সেখানে শেষ ধারাটি থাকবে না তা তো হয় না। কিন্তু কার ক্ষেত্রে কোন ওষুধ তা হয়ত সমাজ ও ব্যক্তির নির্দিষ্ট কনটেক্সট এই বিচার্য। এই কনটেক্সট বহুমাত্রিক, তাই approach টাও বহুমাত্রিক হওয়াই বাঞ্চনীয়। র‍্যাডিকালিজম এর রোমান্টিকতায় আচ্ছন্ন থেকে সর্ব ঘটে কাঁঠালি কলা করে লাভ আছে কি ? সমাজ পরিবর্তনের লড়াইয়ে নিয়োজিত সমস্ত মানুষকে উপরে উল্লিখিত বিষয়গুলি ভেবে দেখার অনুরোধ রইল ।
  • 0 | 132.163.***.*** | ০৫ জুলাই ২০১৫ ১১:৫৭681219
  • যুক্তিপূর্ণ লেখা। নাস্তিকতার টইয়ে শাক্যের ওপেনিং পোস্টটাও আমার এর'মই লেগেছিল। এ ধরনের লেখা ব্লগার-হত্যাকে লেজিটিমাইজ করছে - এমনটা মনে হয়নি।
    তবে, একমত নই। নাস্তিকতার আগে বিশেষণের ব্যবহার বেশ ইন্টারেস্টিং। :-)
    শাক্য বলেছেন 'নিও' অ্যাথিস্ট্‌, রাকেশ বলেছেন 'র‌্যাডিকাল' অ্যাথিস্ট্‌। এছাড়া "আক্রমণাত্মক পদ্ধতিতে এই চেষ্টা করা হয়", "র‌্যাডিকালিজমের রোমান্টিকতা", এ'সব কথাগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রসূত মনে হয়েছে।
    আর একটা কথা যেটা নাস্তিকতার টইয়েও লিখেছিলাম, সেটা হলো কোনো নাস্তিক ব্লগারই বিশেষ কোনো ধর্মকে টার্গেট করে সেটিকে সন্ত্রাসমূলক "প্রমাণ করতে উঠে পড়ে" লাগেনি।
    
    সর্বত্রস্থিত, অনাদ্যন্ত, সর্বনিয়ন্ত্রক চেতনার ধারণা বিবর্তিত মানব-মস্তিষ্কের অন্যতম দীর্ঘস্থায়ী বিভ্রম, কল্পনা। ঠিক যেভাবে শূন্যে আলোর প্রসারমাধ্যম হিসেবে ইথারের কল্পনা প্রায় দুটো শতাব্দী স্থায়ী হয়েছিল।
    আগুনের ব্যবহার, গণিত, মানে বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের কৃতিত্ব যেমন মানুষের, ঠিক তেমনি ন্যায়-অন্যায়, সৎ-অসৎ, ভালো-মন্দের আবিষ্কারও মানুষের। তার কৃতিত্ব মানব-মস্তিষ্ককে দেওয়া জরুরী।
  • | 122.79.***.*** | ০৬ জুলাই ২০১৫ ১৫:৪১681220
  • ১) "র‍্যাডিক্যালিজমের রোমান্টকতা" কথাটা politically motivated তো বটেই , কোনো ideological আলোচনাই রাজনীতি ব্যতিরেকে হতে পারে বলে মনে করিনা , কারণ রাজনীতি মানে আমার কাছে চিন্তার জগত ও বাস্তব জগতে স্টেটাস quo র পরিবর্তন, ২) sakya দের স্ট্যান্ড পয়েন্ট আর আমার অবস্থান আলাদা, ওরা ইসলামিক মৌলবাদীদের সাথে হাত মেলানোর কথা বলে, কিন্তু আমি মনে করি মৌলবাদী রা এবং রিলিজিয়াস অথূরিতী ধর্মের একমাত্রিক representation করে সাম্রিদায়িকতাকে প্রোমোটে করে যা কিনা মানবসমাজকে পিছনের দিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার নামান্তর।, ধর্মীয় বিভাজন আটকাতে ধর্মের ওই একমাত্রিকতা থেকে বেড়িয়ে ধর্মকে বিনির্মাণ এর কথা বলেছি, ধর্মের ভেতরে অবিমিশ্র ভাবে শুধু খারাপ আছে তা মনে করি না, লোকায়ত ধর্মে তো positive element আছেই, প্রাতিষ্ঠানিক ধর্মেও আছে, জৈনদের অনেকান্তবাদ থেকে শুরু করে রামকৃষ্ণ দেবের 'যত মত তত পথ' ধর্মীয় বিভাজন এর বিরূদ্ধে লড়ার অস্ত্র হতে পারে, আবার ইসলামের জাকাত/কোরবাণির কন্সেপ্ট ও বেশ ভালো কন্সেপ্ট, ধর্ম মানেই হয় ভাল নয় খারাপ এই জায়গা থেকে বেড়িয়ে আসতে চাইছি , চাইছি কারণ ধর্মীয় পরিচিতিকে wholesale নির্মূল করা বর্তমান পরিস্থিতিতে অসম্ভব বলে মনে করি, সেই চেষ্টা করলে ধার্মিকেরা আরো ডিফেন্সিভ হয়ে ঊঠবে বলে মনে করি এবং তার ফলে তারা আরো বেশি ধর্মের মৌলবাদী ভার্সন এর দিকে ঝুঁকবে, ৩) ইসলাম = সন্ত্রাস প্রমাণ করার বহু চেষ্টা অনলাইন এ হয়েছে , যদিও জেহাদের অন্য ব্যখ্যা যথেষ্ট ভিত্তি সহকারেই করা যায় এবং অনেক মুসলিম করেন ও, আর নবীজির চরিত্র ধরে টানাটানি করাটাকে ধর্মের বিরূদ্ধে ঊঠে পড়ে লাগা ছাড়া কি বলব, ধর্মীয় পরিচিতিকে বিন্দুমাত্র consideration দেখালে আপামর মুসলিমদের প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে টানাটানি করার কি দরকার, করে কি লাভ , এসব কে র‍্যাডিকাল রোমান্টিসিজম ছাড়া কি বলব?
  • | 122.79.***.*** | ০৬ জুলাই ২০১৫ ১৫:৪২681221
  • আর হ্যাঁ, নৈতিকতার উৎস শুধু ধর্ম এমন আমি মনে করি না।
  • 0 | 132.163.***.*** | ০৭ জুলাই ২০১৫ ১৬:১৩681222
  • মানুষের মধ্যে তো ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ আছে, তাই খুব স্বাভাবিক ভাবেই, মানুষেরই ভাবনা কল্পনা থেকে তৈরী নানান ধর্মের মধ্যেও সেগুলো কম-বেশী থাকবে।
    সব ধর্মেরই মূলে যে সর্বস্থানকালস্থিত সর্বনিয়ন্ত্রক চেতনার ও পরলোকের কল্পনার বিভ্রম, তাকে মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানের সাহায্যে নির্মূল করা যে অত্যন্ত দরকারী ও সেটা করা যে সম্ভব সেটা নাস্তিকরা জানে। আপনি অ্যাগনস্টিক, তাই এ ব্যাপারে মতভেদ স্বাভাবিক।

    আগের পোস্টেই লিখেছি যে নাস্তিক ব্লগাররা "বিশেষ" কোনো ধর্মকে টার্গেট করেনি। যেমন, অভিজিত বিবেকানন্দের স্ববিরোধিতা নিয়ে লিখেছে। হিন্দু প্রচারক হিসেবে ওনার গুরুত্ব ও জনপ্রিয়তা যথেষ্ট। এছাড়া চৈতন্যদেব ও রামকৃষ্ণের প্রেম-ভক্তিমূলক বিশ্বাসও যে মানসিক বিভ্রম ও কল্পনা তা প্রমাণের জন্যেও লিখেছে।
    নাস্তিকের ধর্মনিরপেক্ষতার মানে "সবধর্ম সমভব" নয়, বরঞ্চ তা হলো "সর্বধর্ম অভাব"।
  • 0 | 132.163.***.*** | ১১ জুলাই ২০১৫ ১৬:০৯681223
  • "...This is a grey area even among free thinkers and intellectuals who do not seem to grasp the fact that there is actually nothing wrong in hurting religious sentiments, either of a majority or a minority.....In fact, you will rarely come across anybody whose sentiments have not been hurt at some point of time or the other. People have varied individualistic ways of putting their point across and when we interact with each other, it is more than possible that our views could clash, leading to a certain discomfort on our part.....no other sentiments evoke as much reaction as ones with religious undertones.....This bit of intolerance needs to come to an end.....A long drawn war is being waged with religious rigidity on one side, and science, women’s rights, equality and humanity on the other. Now, it is up to us to decide which side we take..."
    "...The solution to this problem is not to stop hurting religious sentiments, but just the opposite of it. Religious sentiments need to be hurt more strongly than before. Only after consistent attacks will people stop reacting blindly and take time to introspect. The so-called high bastions of religion have pedalled religious sentiments as an excuse for a long time..."

    more : http://freethoughtblogs.com/taslima/2015/06/10/
  • 0 | 132.163.***.*** | ০৫ আগস্ট ২০১৫ ১৯:২৫681224
  • ধর্মানুভূতির উপকথা
    হুমায়ুন আজাদ

    একটি কথা প্রায়ই শোনা যায় আজকাল, কথাটি হচ্ছে ‘ধর্মানুভূতি’। কথাটি সাধারণত একলা উচ্চারিত হয় না, সাথে জড়িয়ে থাকে ‘আহত’ ও ‘আঘাত’ কথা দুটি; শোনা যায় ‘ধর্মানুভূতি আহত’ হওয়ার বা ‘ধর্মানুভূতিতে আঘাত’ লাগার কথা। আজকাল নিরন্তর আহত আর আঘাতপ্রাপ্ত হচ্ছে মানষের একটি অসাধারণ অনুভূতি, যার নাম ধর্মানুভূতি। মানুষ খুবই কোমল স্পর্শকাতর জীব, তার রয়েছে ফুলের পাপড়ির মতো অজস্র অনুভূতি; স্বর্গচ্যুত মানুষেরা বাস করছে নরকের থেকেও নির্মম পৃথিবীতে, যেখানে নিষ্ঠুরতা আর অপবিত্রতা সীমাহীন; তাই তার বিচিত্র ধরনের কোমল অনুভূতি যে প্রতিমুহূর্তে আহত রক্তাক্ত হচ্ছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। যখন সুদিন আসবে, সে আবার স্বর্গে ফিরে যাবে, তখন ওই বিশুদ্ধ জগতে সে পাবে বিশুদ্ধ শান্তি; সেখানে তার কোনো অনুভূতি আহত হবে না, ফুলের টোকাটিও লাগবে না তার কোনো শুদ্ধ অনুভূতির গায়ে। অনন্ত শান্তির মধ্যে সেখানে সে বিলাস করতে থাকবে। কিন্তু পৃথিবী অশুদ্ধ এলাকা, এখানে আহত হচ্ছে, আঘাত পাচ্ছে, রক্তাক্ত হচ্ছে তার নানা অনুভূতি- এটা খুবই বেদনার কথা; এবং সবচেয়ে আহত হচ্ছে একটি অনুভূতি, যেটি পুরোপুরি পৌরাণিক উপকথার মতো, তার নাম ধর্মানুভূতি। মানুষ বিশ্বকে অনুভব করে পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের সাহায্যে; ইন্দ্রিয়গুলো মানুষকে দেয় রূপ রস গন্ধ স্পর্শ শ্রুতির অনুভূতি; কিন্তু মানুষ, একমাত্র প্রতিভাবান প্রাণী মহাবিশ্বে, শুধু এ-পাঁচটি ইন্দ্রিয়েই সীমাবদ্ধ নয়, তার আছে অজস্র ইন্দ্রিয়াতীত ইন্দ্রিয়। তার আছে একটি ইন্দ্রিয়, যার নাম দিতে পারি সৌন্দর্যেন্দ্রিয়, যা দিয়ে সে অনুভব করে সৌন্দর্য; আছে একটি ইন্দ্রিয়, নাম দিতে পারি শিল্পেন্দ্রিয়, যা দিয়ে সে উপভোগ করে শিল্পকলা; এমন অনেক ইন্দ্রিয় রয়েছে তার, সেগুলোর মধ্যে এখন সবচেয়ে প্রখর প্রবল প্রচণ্ড হয়ে উঠেছে তার ধর্মেন্দ্রিয়, যা দিয়ে সে অনুভব করে ধর্ম, তার ভেতরে বিকশিত হয় ধর্মানুভূতি, এবং আজকের অধার্মিক বিশ্বে তার স্পর্শকাতর ধর্মানুভূতি আহত হয়, আঘাতপ্রাপ্ত হয় ভোরবেলা থেকে ভোরবেলা। অন্য ইন্দ্রিয়গুলোকে পরাভূত ক’রে এখন এটিই হয়ে উঠেছে মানুষের প্রধান ইন্দ্রিয়; ধর্মেন্দ্রিয় সারাক্ষণ জেগে থাকে, তার চোখে ঘুম নেই; জেগে জেগে সে পাহারা দেয় ধর্মানুভূতিকে, মাঝেমাঝেই আহত হয়ে চিৎকার ক’রে ওঠে এবং বোধ করে প্রচণ্ড উত্তেজনা। এটা শিল্পানুভূতির মতো দুর্বল অনুভূতি নয় যে আহত হওয়ার যন্ত্রণা একলাই সহ্য করবে। এটা আহত হ’লে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। ধর্মানুভূতির উত্তেজনা ও ক্ষিপ্ততায় এখন বিশ্ব কাঁপছে।

    পুরো লেখা - https://mukto-mona.com/Articles/humayun_azad/Dharmanubhutir_Upakatha.pdf
  • Du | 34.238.***.*** | ০৬ আগস্ট ২০১৫ ০১:৪৭681225
  • ঃ))
  • একক | 229.64.***.*** | ০৬ আগস্ট ২০১৫ ০২:১৫681226
  • " ধর্মীয় মৌলবাদের উত্তর কি নাস্তিকতার প্রচার"

    উত্তর দেবো । আগে শুধু বলুন এথেইস্ম প্রচার করলেই বা কারো কারো এত ফাটে ক্যানো ? :)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন