এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বাংলাদেশ - কি হচ্ছে?

    দেব
    অন্যান্য | ২৭ মার্চ ২০১৫ | ৬০৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দেব | 111.22.***.*** | ২৭ মার্চ ২০১৫ ২২:৪৪667387
  • ২০১৪ এর জানুয়ারীতে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদের নির্বাচনে আওয়ামী লিগ জিতে ক্ষমতায় আসার পর থেকে টানা দেশটিতে অরাজকতা চলছে। ব্যাপারটা কি হচ্ছে?

    ব্যাপার মোটের উপর এই, বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের নিয়ম ছিল, নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন দল ক্ষমতা ছেড়ে দেবে। একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হবে (মূলত বিচারপতি ও উচ্চপদস্থ আমলাদের নিয়ে)। সেই সরকার প্রশাসন ও নির্বাচন দুই'ই পরিচালনা করবে। ফলাফল বেরোলে জয়ী দল পরবর্তী সরকার গঠন করবে। পুরো ব্যাপারটা নিস্পন্ন করতে হবে ৯০ দিনের মধ্যে। নিয়মটা বাংলাদেশের সংবিধানের অংশ ছিল ২০১১ অবধি।

    ভারতের ক্ষেত্রে এরকম হয় না। ক্ষমতাসীন দলের হাতেই প্রশাসনের ভার থাকে। শুধু নির্বাচনের ভার একটি প্রায় স্বাধীন সংগঠন, ভারতের নির্বাচন কমিশনের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

    বাংলাদেশে নিয়মটা শুরু হয় ১৯৯৬ এ। ৯৬ এর ফেব্রুয়ারীতে ক্ষমতাসীন দল বিএনপি নির্বাচন পরিচালনা করে। কোন তত্ত্বাবধায়ক সরকার তখন ছিল না। কারচুপির অভিযোগ এনে লীগ ও অন্যান্য দলগুলো সেই নির্বাচন বয়কট করে। এরপর দেশজুড়ে অবরোধ ও আন্দোলন শুরু করে আওয়ামী লীগ। খালেদা জিয়া ডিসেন্ট কাজটা করেন। লীগের দাবী মেনে নিয়ে ঐ বছরেরই জুনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পরিচালনায় আবার নির্বাচন হয়। লীগ বিপুল ভোটে জিতে ক্ষমতায় আসে। এই নিয়মটাও তখনই সংবিধানে ঢোকানো হয়।

    ২০১৪ এ ব্যাপারটা ঘটেছে ঠিক উল্টো। এবারে ক্ষমতাসীন দল ছিল আওয়ামী লীগ। নিয়মমাফিক এবারেও তত্ত্বাবধায়ক সরকার গড়ার কথা ছিল। শেখ হাসিনা সেসবের তোয়াক্কা না করে ২০১১তে সাংসদীয় গরিষ্ঠতাকে কাজে লাগিয়ে সংবিধান থেকে এই নিয়মটা বাদ দিয়ে দিলেন। এবং ঠিক ১৯৯৬ এর মতন ক্ষমতাসীন সরকার পরিচালিত নির্বাচনের ঘোষনা করে দিলেন ২০১৩ এর শেষের দিকে। বিএনপি প্রতিবাদ করল। খালেদা জিয়া আশা করেছিলেন শেখ হাসিনা ১৯৯৬ এর ক্যুইড প্রো ক্যুয়ো করবেন। শেখ হাসিনা অনড়। যা হবার তাই হল। বিএনপি ও অন্যান্য দলগুলো নির্বাচন বয়কট করল। ২০১৪ এর জানুয়ারীতে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতা দখল করল। বাংলাদেশের বর্তমান শেখ হাসিনার সরকার, এক কথায় অনৈতিক ভাবে ক্ষমতায় এসেছে। এবং সেই থেকে মারপিট শুরু।

    শেখ হাসিনা এরকম করলেন কেন? তার কারণ ১৯৯৬ এর পর ২০০১, তারপর ২০০৬ এ নির্বাচন হবার কথা ছিল। কিন্তু ২০০৬ এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হবার পর তারাই বেআইনি ভাবে ক্ষমতা দখল করে নিলেন। সেনাবাহিনী পেছন থেকে সাহায্য করল এবং তারপর খুব দ্রুত ড্রাইভারের সিটে চলে এল। এই পরিস্থিতি চলল ২ বছর। ২০০৮ এ পিছু হটল সেনাবাহিনী। নতুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় এল আওয়ামী লিগ। তারপর এই ২০১৪। ২০০৬-০৮ এর ঐ তেতো অভিজ্ঞতার জন্য শেখ হাসিনার এই সিদ্ধান্ত, অংশত।

    কিন্তু এটা নায্য বলা যাচ্ছে না। বাংলাদেশে দু'টি মুখ্য দল কেউই একে অপরকে বিশ্বাস করে না। বিএনপি, ক্ষমতাসীন সরকার পরিচালিত নির্বাচনে অংশ নিতে রাজী না হয়ে এখন রাস্তায় নেমে এসেছে। দোষ দিয়ে লাভ নেই। ৯৬ এ একই কাজ আওয়ামী লীগ করেছিল। দেশটির সংখ্যালঘু এবং শিক্ষিত সমাজের একটা অংশ বিএনপির সহযোগী ধর্মীয় মৌলবাদী দলগুলির ভয়ে বাধ্য হয়ে লীগের সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের দুর্নীতি ও স্বজনপোষণ যে স্তরে পৌঁছেছে বেশীদিন টিকবে না। শেখ হাসিনা বিএনপির দাবী মেনে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে পুনর্নির্বাচনের ডাক দিলে ভাল করবেন। নইলে দু'দিকই যেতে পারে।
  • | ২৭ মার্চ ২০১৫ ২২:৪৮667388
  • ২০১৪ তে বামদলগুলোও নির্বাচন বয়কট করেছিল।
    আর হাসিনা একদিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারগুলো করে চলেছেন, অন্যদিকে ধর্মান্ধ অংশটাকেও অন্যান্য দিকে একটা 'আমি তোমাদেরই লোক'গোছের বার্তা দেবার চেষ্টা করছেন। এই দুই নৌকোয় পা দিয়ে চলাটা একেবারে মারাত্মক মাৎস্যন্যায়ের জন্ম দিচ্ছে।
  • cb | 120.32.***.*** | ২৮ মার্চ ২০১৫ ০৯:০৩667389
  • এবং প্রকাশ্যে দাবি করছেন, বাংলাদেশকে অন্যায় ভাবে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ তো পুরো আফিম খাওয়ানো কেস।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন