এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • সরল গোলগাল লোকজন যাঁরা কিছু জানতেন না কিন্তু মিডিয়ায় ছিলেন, এবং আপনারা যাঁরা সরলতর, তাঁদের জন্যে

    তাপস
    অন্যান্য | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ | ৫৩৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • তাপস | 233.29.***.*** | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৫:৫৭648328
  • এখানে অনেকেই এগুলো জানেন । আমার থেকে বেশিই জানেন । কিন্তু আমিই বলতে শুরু করি । তাঁরা ইচ্ছে/সুযোগ/সময় হলে বলবেন । আমি ভুল বললে ধরিয়েও দিতে পারেন । তো কলকাতার বাংলা মিডিয়া মার্কেট আমার দেখা সবচেয়ে আনঅর্গানাইজড সেক্টর । বিশেষত অদিও ভিজ্যুয়াল মিডিয়া । অর্বাচীন ও অনভিজ্ঞতায় ভরপুর । এই অর্বাচীনতা আর অনভিজ্ঞতায় ভর করে যখন একটা ইন্ডাসট্রি তৈরি হয় - যার বিপুল সম্ভাবনা সবাই বুঝতে পারতে থাকে - উপভোক্তা থেকে শুরু করে যারা এসব চালাচ্ছে, তখন একটা অভূতপূর্ব পরিস্থিতি হয় । কলকাতার প্রথম অডিও ভিজ্যুয়াল খবর শুরু হয়েছিল প্রাইভেটে - সিটি কেবলে । তার মালিকের নাম কি জানেন? গোয়েল । সুভাষ গোয়েল । তিনি মাঝে মাঝে কলকাতায় এসে পার্ক সার্কাসের ছোট্ট অফিসে মিটিং ইত্যাদি করে যেতেন । এই ভদ্রলোকই জি এর এখনকার মালিক । এর পর বেসরকারি খবর শুরু হয় খাস খবরে । দেখানো হত দূরদর্শনেই । খাস খবরের ওই স্লট কিনেছিলেন যিনি - তিনি রমেশ গান্ধী । রমেশের টাকার সোর্স তখন অনেকেরই জানা । কিন্তু জানা হলেও টাকার গায়ে যেহেতু দাগ থাকে না::::::::: । এবার অডিও ভিজ্যুয়াল বাংলা খবর নিজেকে দূরদর্শনের খবরের টার্গেট ভিউয়ার থেকে নিজেকে আলাদা করতে চাইল । বিজ্ঞাপনের স্বার্থেই । খবর পরিবেশনে ভাষা - ভঙ্গি এমনকী খবরের কন্টেন্ট বদলাতে থাকে । খবরকে নিছক অবজেক্টিভ হিসেবে নিরপেক্ক হিসেবে দেখানোর চলন বদলাতে থাকে । দুটো উদাহরণ - ১। একটা ছোট ঘটনায় পথ অবরোধ হচ্ছে যাদবপুরে কিম্বা বালিগঞ্জ ফাঁড়ি এলাকায় । দীর্ঘক্ষণ চলার পরে, একজন পুলিশ অফিসার আন্দোলনকারীদের নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে যান, অনুরোধ করেন অবরোধ তুলে নিতে । তাঁকে জানান হয়, খাস খবর ছবি তুলে নিয়ে গেলে অবরোধ তুলে নেওয়া হবে । পুলিশ অফিসার খাস খবরের অফিসে ফোন করে বিষয়টা জানিয়ে একটা টিম পাঠানোর অনুরোধ করেন । ২। এটা টিভিতে দেখা গিয়েছিল - বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য নিজের ঘরে ঢোকার মুখ তাঁকে একটি প্রশ্ন করা হয় । অনেকে ছিলেন । যে রিপোর্টার প্রশ্ন করেছিলেন, তাঁকে বুদ্ধবাবু প্রশ্ন করেন , কোন চ্যানেল, তার পর নিজেই হাত দিয়ে চ্যানেলের বাম ঘুরিয়ে দেখেন - খাস খবর । তিনি বলেন, সবার সঙ্গে কথা বলতে ইচ্ছে করে না । তার পর অন্যদের দিকে তাকিয়ে বলেন, আপনারা ঘরে আসবেন - কথা বলব ।
    তো খাস খবর এতটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলো, বা এতটাই জায়গা নিয়ে নিল বাঙালি জীবনে, যে পরবর্তীকালে, যখন আরও একটা দুটো চ্যানেল তৈরি হচ্ছিল, তখন, সরকারি কোনো একটা ক্ষেত্রে, এরকম বলা হত - মানে আপ্ত সহায়ক বা ঐরকম কেউ বাইরে বেরিয়ে বলতেন, আগে দুরদর্শন আসুন, খাস খবররা পরে আসবেন । খাস খবররা - মানে অন্য সব বেসরকারি চ্যানেল । তাতে, যারা নন খাস খবরোলা। তাঁদের হেব্বি জ্বলত, আর খাস খবরোলারা একটু হিক্কড় নিতেন । এই বাজারেই বাজার ধরতে আসে, ই টিভি । বলা দরকার, যে খাস খবরের কোনো নিজস্ব চ্যানেল ছিল না, সবই চলত দূরদর্শনে । সম্প্রচারের একটা নির্দিষ্ট সময়ের আগে ক্যাসেট পৌঁছে দিতে হত যথা জায়গায়, সেই নির্দিষ্ট সময়টা নাকি পরে একটু এদিক-ওদিক হত, মুখ চেনাচিনির সৌজন্যে (নাকি শব্দটা অমিট করবেন না কিন্তু) । এ হেন বাজারে এলো ইটিভি । কিন্তু তার আগে একটা গপ্প মনে পড়ল, ইটা পরের ঘটনা, কিন্তু যদি ভুলে যাই, তাহলে বাজে হবে । খাস খবরে একবার একটা কপি ছিল, যাতে ভারত অধিকৃত কাশ্মীর - এই কথাটা ব্যবহার করা হয়েছিল । সেই নিয়ে তুলকালাম হয়েছিল । খাস খবরের লাইসেন্স চলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল । সেটা কীভাবে বাঁচানো গেছিল, সে নিয়ে নানান গল্প আছে, সেগুলো খোলা পাতায় বলা আমার পক্ষে অনুচিত ।
    ই টিভি আসার আগে থেকেই এবং পরেও দীর্ঘ দিন বাংলা বাজারে আওয়াজ ছিল, সোনি টিভি বা এরকম কেউ একটা বিরাট বাজেটের বাংলা চ্যানেল আনছে । আর তার দায়িত্বে থাকবেন তত্কালীন মাক্সমুলারের কলকাতার অধিকর্তা রামন । রমনকে যাঁরা দেখেছেন, তাঁরা জানেন, ভারী প্লেজান্ট পার্সোনালিটির মানুষ । এই খবর যখন যখনই বাজারে এসে পড়ত - তখনই কলকাতার বহু মানুষ রেগুলার ম্যাক্সে নানা সিনেমা থিয়েটার দেখতে, এমনকী জার্মান ভাষার সেমিনার শুনতেও হাজির হতেন । রমনের সঙ্গে তাঁদের অনেকের নাকি কথাবার্তাও হত । তো রামন নাকি সব্বাইকে বলতেন, এ বিষয়ে উনি অফিসিয়ালি কিছু জানেন না । যাঁরা এসব খবর দিতেন, মানে রমনের সঙ্গে তাঁদের কথাবার্তার ভিতরের খবর, তাঁরা এসব বলার পরে, একটা অপূর্ব হাসি হাসতেন, যার অর্থ হলো হু হু বাওয়া । যা হোক, অনেকদিন ওপাশে যাই না, রামান এখনো আছেন কিনা কে জানে !
  • তাপস | 233.29.***.*** | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৬:১৬648334
  • খালি অন্যদিকে চলে যায় !
    ই টিভিতে আরম্ভ হল খবর । এমনি চ্যানেলে যেমন খবর দেখানো হত তো হত, তার সঙ্গে ই টিভি । ই টিভিতে একদম শুরুতে কি ছিল মনে নেই, কিন্তু কিছু দিন পর থেকে হত, ঘন্টায় ঘন্টায় বাংলা খবর, সন্ধেবেলা শুধু জেলার খবর, তার ঠিক গায়ে শুধু কলকাতার খবর, আর রাতে সব খবরের যোগফল । জেলার খবর আর সব খবরের সময় ছিল ৩০ মিনিট, কলকাতার খবর ২০ মিনিট, আর একঘন্টা অন্তর খবর হত ৫ মিনিটের । এই গোটা কর্মকান্ড পরিচালিত হত হায়দ্রাবাদ থেকে, শুধু রিপোর্টিং পার্ট ছাড়া । খবর পাঠানোর জন্যে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার ইত্যাদির জন্যে ইটিভি পথপ্রদর্শক হয়ে থাকবে ।
    এই যে গোটা কান্ড হচ্ছে, এর জন্যে তো লোকজন দরকার । এবার ক্যামেরা, এডিট, ইত্যাদির মতন টেকনিক্যাল ব্যাপারে তো ন্যুনতম প্রশিক্ষিত মানুষ লাগবেই, এবার তখন তো এত প্রশিক্ষিত লোক নেই । আর প্রায় সবাইকে হায়দ্রাবাদ চলে যেতে হেব । বলা দরকার, যে সেই সময়ে খবর্কাগজে ভাঁটার টান । সকলেরই আশংকা, এবার কাগজ ব্যাপারটার আর তত গুর্রুত্ব থাকবে না । লোকজন আসতে শুরু করলো বিভিন্ন কাগজ থেকে । এই পিরিয়ডটা খুব জরুরি । সেটা খাস খবরের সময় থেকেই । যারা অডিও ভিজ্যুয়াল খবরে যাচ্ছেন, এবং সিনিয়র পদেও যাচ্ছেন, তাঁরা সক্কলে কিন্তু যাচ্ছেন খবরের কাগজের ব্যাক
    গ্রাউন্ড থেকে । তাছাড়া উপায় নেই । প্রথম জরুরি বিষয় তো খবরটাকে ডিল করা । তাতে কী হলো, প্রথম থেকেই, বাংলার অডিও ভিজ্যুয়াল খবরে ফর্ম আর কন্টেন্ট খুব আলাদা হয়ে থেকে যাচ্ছে । তার ভাষা, ছবির সঙ্গে মেলানো হচ্ছে, অনেকটা জোর করে, বা কখনো কখনো সেরকম ভাবে মেলানোও হচ্ছে না । এবং সে ভাবেই চলতে থাকছে । খবরে খবরে তফাৎ নেই । কিন্তু অডিও ভিস্যুয়ালের দায় থাকে মুহূর্তকে ধরার, কারণ তাকে দেখা হবে ও ভুলে যাওয়া হবে, ফলে - প্রত্যেক মুহূর্তকে বাঁধার দায় থাকে তার । খবরের কাগজের মত, একটা লাইন ফিরে পড়ার অবসর এর নেই । সে বৈশিষ্ট্য নিয়েই তাকে চলতে হয়, অথচ জানা সত্ত্বেও সে মুহূর্ত আটকে পড়ছে না । এইরকমভাবেই শুরু হতে থাকলো বাংলা টিভির খবর ।
  • ranjan roy | 24.98.***.*** | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৬:৩৪648335
  • ভাল হচ্ছে, চালিয়ে যান। আপনি কি খাস খবর এ ছিলেন?
  • Ekak | 24.96.***.*** | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৬:৫৩648336
  • তাপস খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা সময় কে নিয়ে লিখছে । চলুক ।
  • সিকি | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১৭:৫৪648337
  • এই তো! জিও ... চলুক।
  • তাপস | 126.203.***.*** | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২০:০৪648338
  • এই যে সমস্যাটা তৈরি হচ্ছে, সেটা কিন্তু খবরের কাগজের মধ্যে থেকে আসা লোকজনদের মধ্যেকার কেউ কেউই বুঝতে আরম্ভ করেছিলেন । তাঁরা একটা ভাষার সন্ধান করছিলেন, এর মধ্যে থেকেই । খবরের কাগজের ভাষাকে নকল না-করে, একটা কথ্য ভাষাকে ব্যবহার করার চেষ্টা শুরু হচ্ছিল । খবর লেখা ও পাঠের ধরনে পুনর্বিন্যাসের চেষ্টা শুরু হলো সেই খাস খবরেই । দুজন রিডারকে বসানো, ফ্রেমে ট্রলি ব্যবহার এবং অবশ্যই ভাষার খোঁজ । অবশ্য এ কথা বলতেই হবে - যে এই নয়া ভাষার খোঁজ এবং তার ব্যবহার শুরু হয়েছিল আজকালের পাতায় । আজকাল প্রথম ডোরিক ব্যবহার করতে শুরু করে, এবং সেটাতে অর্থডক্সরা খুব গাল পেরেছিলেন । আজকালের ওই প্যাটার্নটাকে ভিত্তি করেই খাস খবর নানারকম প্রথা ভাঙ্গার কাজ শুরু করে । এবার সেটা কখনো কখনো গণ্ডি ছাড়ায়, মানে ততদূর বিশুদ্ধতাবাদী নন যাঁরা, তাঁদেরও এরকম মনে হতে থাকে - যে এতটা না করলেই ভালো হতো । এই যে প্রক্রিয়াটা চলছে তখন, তাতে কিন্তু সব্বাই খুব সচেতনভাবে হায়ারার্কি মেনে চলছে এরকম হচ্ছিল না । মানে একটা সেক্টরে - অর্গানাইজড সেক্টরে, এই প্রক্রিয়াগুলো সম্পর্কে উপরমহলের অনুমোদন থাকে । কিন্তু খাস খবরের ক্ষেত্রে মালিক কিন্তু এত বিষয়ে ববুঝতে পারতেন না । মূলত আস্থা, বিশ্বাস, আর পয়সা কড়িজনিত ব্যাপার নিয়েই চলত । যাঁরা এগুলো দৈনন্দিন খবরে নিয়ে আসতেন - তাঁরা করে চলতেন নয়ার নেশায়, নেশা-পেশা মিলে যেত ।
    এ ব্যাপারটা খুব জরুরি কারণ, খবরের কাগজের মত টিভিতে ডেস্কের লোকজনের বাইলাইন থাকে না । কখনো থাকে না । একটা বা দুটো ব্যতিক্রমী ঘটনা ব্যতিরেকে । এখানে আর একটা জিনিস বলতে হয়, অডিও ভিজ্যুয়াল খবর এত বেশি খবরের কাগজের দ্বারা প্রভাবিত, যে তাদের স্ট্রাকচারও কাগজের মতই । সাব এডিটর, চিফ সাব, ইত্যাদি সব পদ । আর কাজটাও যে আলাদা সেটা যারা ওই কাজটা করছেন, তাঁরা বুঝে উঠতে পারছিলেন না (পাস্ট টেন্স লেখা ঠিক হল কি?) । ফলে একটা প্রায় সার্বজনীন ফাঁক তৈরী হচ্ছিল, যে ফাঁকটা ধরতে পেরে ও তাকে বন্ধ করত চেয়ে তীব্র পেশাদারের মত কেউ কেউ প্র্যাকটিস করছিলেন - সম্পূর্ণ বা প্রায় সম্পূর্ণ অপেশাদারী একটা সিস্টেমের মধ্যে দাঁড়িয়ে ।
  • তাপস | 126.203.***.*** | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২০:৩৭648339
  • এর মধ্যে ইটিভি যখন এলো, তখন সে এসব নিয়ে মাঠ প্রায় ঘামালই না । তার মূল বৈশিষ্ট্য ছিল - খবর ধরানো, এবং খবরকে কলকাতা কেন্দ্রিকতা থেকে বের করে আনা । স্ট্রাটেজিক পয়েন্টে ভি স্যাট বসিয়ে - গরম গরম জেলার খবর ধরিয়ে বাজার মাত করে ফেলতে থাকল তারা । শুনেছিলাম (শুনেছিলাম কিন্তু), যে শুরুতে ইটিভি দৈনিক অনেক লক্ষ টাকা লোকসানে চালাত - আর বিজ্ঞাপনের রেট ছিল খুব বেশি । ফলে বেশি বিজ্ঞাপন ছিল না, আর খবর বা প্রোগ্রাম যা-ই হোক না কেন, সেটা খুব কম কমার্শিয়াল ব্রেক পেতো । ফলে ভিউয়ারের সংখ্যা বাড়ছিল । পুজোর সময়ে, ইটিভি বাংলা, একটা গত মেট্রো ট্রেনে জুড়ে চ্যানেলের বিজ্ঞাপন দিল, সক্কলে সচকিত । আবার একটা শোনা কথা, সেই পুজোর সময়ে, ওরা বিজ্ঞাপনের রেটে স্ল্যাশ করে, এবং বাজার থেকে পুরো বিজ্ঞাপন প্রায় একাই তুলে নেয় । এই বাজারে ইটিভির সঙ্গে পাল্লা দিতে এলো, আর একটা নতুন চ্যানেল । আকাশ বাংলা । সে চ্যানেল লঞ্চ করা হয় এক পয়লা বৈশাখে, যে বছর বিধানসভার ভোট । এবং খবরের ব্যাপারে তারা পুরো ইটিভিকে রেপ্লিকেট করে । চ্যালেঞ্জ এমনটাই ছিল, যে রাতের খবর সম্প্রচার হত একদম এক সময়ে । জেলার খবর সন্ধেবেলা ৩০ মিনিট, কলকাতা তার লাগোয়া ২০ মিনিট । এই প্রথমবার চ্যানেলে কাজ করা লোকজন একটু মার্কেট পেল, একটু অপশন, হায়দ্রাবাদ ছেড়ে কলকাতায় বাড়ি এসে চাকরি করার সুযোগ । ২০০১ সাল ।
  • anirban | 146.152.***.*** | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২৩:০৬648340
  • সেই বাজারেই মেসো কুঁচে মাছের খবর করে নজরে পড়ল এবং তারপরই ওকে জেলা থেকে কোলকাতায় আনা হল।
  • শিবাংশু | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২৩:১০648341
  • তাপস, পড়ছি...
  • শ্রী সদা | 212.142.***.*** | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২৩:২৪648329
  • আগ্রহ নিয়ে পড়ছি। চলুক।
  • তাপস | 126.203.***.*** | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ২৩:৪৩648330
  • অনির্বাণ, মেসো কে বুঝতে পারলাম না । আমি একজন মেসোকে চিনি, যে এই সময়ে মার্কেটে আসেনি ।

    এতজনে বললেন মানে আরও কেউ কেউ পড়ছেন নির্ঘাৎ, সকলকে থিন্কুজ ।
    রঞ্জনদা, আমি খাস খবরে ছিলাম না ।
  • anirban | 146.152.***.*** | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০০:০২648331
  • সেই এক ও অদ্বিতীয় মেসো। ঠিকই । মেসো এর বেশ কিছু পরে মার্কেটে এসেছে। এই লেখা পড়ে মনে পড়ল - সেই একেবারে প্রথমদিকে খাসখবরই ছিল একমাত্র যে আমাদের আন্দোলনের খবর, ছাত্রছাত্রীদের কথাবার্তা সরাসরি তুলে নিয়ে গিয়ে দেখাত। ১৯৯৮-১৯৯৯। যাদবপুরের লাইব্রেরী ফাইন বা ফিহাইক আন্দোলন। তার আগে অবধি খবরের কাগজের যাঁরা আসতেন - আনন্দবাজারের এক্জন সাংবাদিকের কথা মনে পড়ছে - যা শুনে যেতেন তার ঠিকে উল্টোটা লিখতেন।
  • তাপস | 233.29.***.*** | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ১২:৩২648332
  • এই সময় পর্যন্ত কিন্তু বাংলায় কোনো খবরের চ্যানেল নেই । বলাই বাহুল্য । ফলে খবর দুনিয়ায় মূল প্রতিযোগিতা ইটিভি ও আকাশের মধ্যে । আকাশের পাঞ্চ ছিল, তাদের পরিষ্কার ও স্পষ্ট রাজনৈতিক অবস্থান । ভোটের আগে, স্ট্রেট পলিটিক্যাল লাইন আকাশকে সুবিধে দিল । বিরুদ্ধ মতাবলম্বীরাও চ্যানলের ভিউযার হয়ে গেলেন । তীব্র সমালোচনা/আলোচনা - চ্যানেলকে স্থিতি দিল । এর পর বাংলা অডিও ভিজ্যুয়াল চ্যানেলে গ্রেট লিপ । এসে গেল ২৪ ঘন্টা খবরের চ্যানেল স্টার আনন্দ । স্টারের টেকনলজি আর আনন্দবাজারের ইনফ্রাস্ট্রাকচার । এই ইনফ্রাস্ট্রাকচার ব্যাপারটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে জেলার জন্যে । না, এই ফিচারটা একটু পরের । স্টার আনন্দ এরকম ভাবে শুরু করেনি বোধহয় । ওদের ছিল কলকাতা কেন্দ্রিকতা । কলকাতার ইম্পর্টানস ছিল বেশি । এর পরই বাজারে এসে গেল জি গ্রুপের সহযোগিতায় ২৪ ঘন্টা । জি এর টেকনোলজি আর আকাশের প্রাইমারি ইনফ্রাস্ট্রাকচার । এই খানেই তফাৎ এলো । এরাই শুরু করলো জেলার খবরে জোর দেওয়া, ইটিভির অনুসরণে । এবার একটা মুস্কিল হল - এত লোক কই ? কলকাতা থেকে জেলায় লোক পাঠিয়ে সুবিধে নেই । কারণ তাদের পক্ষে জেলা চেনা সম্ভব নয় । লাগবে স্থানীয় মানুষ । স্থানীয় মানুষ, খবর বোঝে এবং ছবি তোলে, এই রকম পরিস্থিতি ভারতবর্ষের কোথাও নেই, পশিচ্ম্বন্গেও নয় । কিন্তু প্রয়োজন । দ্রুত নেওয়া হতে থাকল এমন মানুষ জনকে যাঁরা কোনো না কোনো ভাবে জেলার কাগজগুলোর সঙ্গে যুক্ত, কিম্বা কোনো কাগজের জেলার করেসপন্দেন্ট । তাঁদের সবাই যে ছবি তুলতে পারবেন এমন কথা নেই, স্টিল আর ভিডিও এক নয় । ক্যামেরার জন্যে নেওয়া হতে থাকলো - ভিডিওগ্রাফি যাঁরা শিখেছেন এমন লোকজনকে । জেলায় জেলায় । এক একটা বড় বা গুরুত্ব পূর্ণ জেলায় একাধিক জায়গায় । এই যে ইনফ্রাস্ট্রাকচার তৈরি হচ্ছে, তাদের পুরোটাকে সম্পূর্ণ সাপোর্ট দেওয়ার মতন লাভের মুখ কেউ দেখেনি । কিন্তু নেসেসারি । ফলে এই পুরো জেলার স্ট্রাকচার হতে থাকলো আলাদা, খবর পিছু টাকা । অনেক ক্ষেত্রে ব্যাপারটা এমন ও যে, ছবি যে তুলছে, তার সঙ্গে চ্যানেলের কোনো যোগাযোগ নেই । তাকে নিছে, জেলার করেসপন্ডেন্ট, ক্যামেরাপারসনের সঙ্গে তার চুক্তি নিজস্ব । খবর পিছু টাকার ব্যাপারটাও সরল নয় । যে মানুষ খবর পিছু টাকা পান, তিনি বেশি খবর পাঠাতে চাইবেন - স্বাভাবিক । কিন্তু সব খবর টেলিকাস্ট করা হবে না, এটাও স্বাভাবিক । এই টানাপোড়েন নিয়েই চলতে থাকে বাংলা অডিও ভিস্যুয়াল মিডিয়ার 'কর্পোরেট সেক্টর'
  • | 172.136.***.*** | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০২:১৫648333
  • *
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে প্রতিক্রিয়া দিন