এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • রাজনৈতিক মানচিত্রে পট পরিবর্তন বামেদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছে : মোকাবিলা কোন পথে ?

    সৌভিক
    অন্যান্য | ০৩ জুন ২০১৪ | ৪৭০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সৌভিক | 24.99.***.*** | ০৩ জুন ২০১৪ ২২:৫৭643338
  • সাম্প্রতিক সময়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে বিজেপির মতো উগ্র দক্ষিণপন্থী দলের উত্থান ও বিকাশ হয়েছে এটা বাস্তবতা ও দুশ্চিন্তার একটা দিক। বস্তুতপক্ষে সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নানামাত্রিক সাফল্য চোখে না পড়ে পারে না। বিজেপি যে শুধু দুটি আসনে (দার্জিলিং এ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সমর্থন সহ) জিতে এসেছে তাই নয়, অনেকগুলি আসনেই পৌঁছে গেছে দ্বিতীয় স্থানে, প্রায় সর্বত্র উল্লেখযোগ্য মাত্রায় ভোট পেয়েছে। ছটি ছাড়া সমস্ত কেন্দ্রেই বিজেপির ভোট একলাখের বেশি। চারলাখের বেশি ভোট পেয়ে দুটি কেন্দ্রে জেতা ছাড়াও পাঁচটি কেন্দ্রে সে তিন লাখ বা তার খুব কাছাকাছি ভোট পেয়েছে। সতেরোটি কেন্দ্রে সে পেয়েছে দু লাখ থেকে তিনলাখের মধ্যে ভোট। পাঁচটি কেন্দ্রে দেড় থেকে দু লাখ এবং আরো পাঁচটি কেন্দ্রে তার প্রাপ্ত ভোট এক থেকে দেড় লাখ এর মধ্যে। দেশে এককভাবে নিরঙ্কুশ বিজয়ের পাশাপাশি এ রাজ্যে বিজেপির প্রায় সতেরো শতাংশ ভোট প্রাপ্তি শুধু অভূতপূর্ব ঘটনাই নয়, অনুমিত হিসাব নিকাশের থেকেও বেশ খানিকটা বেশি।
    বাস্তবতা ও দুশ্চিন্তার অপর দিকটি হল এই উত্থান ও বিকাশ ঘটেছে বামপন্থার শক্তির মূল্যেই, তা সে বামপন্থার চরিত্র নিয়ে যত আলোচনা সমালোচনাই থাক না কেন। তৃণমূল কংগ্রেস যেখানে দেশজোড়া মোদি ঝড়ের মোকাবিলা করে তার দুর্গকে টিকিয়ে রাখতে পারল, এমনকী অনেকটা বাড়িয়েও নিল তার ভোট ও আসন সংখ্যা, সেখানে সি পি এম সহ বামফ্রন্টভূক্ত দলগুলি কেবল ব্যাপক মাত্রায় জনসমর্থনই হারাল না, পেল মাত্র দুটো আসন। আর সে আসন দুটিও তার নিজের মূল শক্তির জায়গায় দাঁড়িয়ে নয়, বরং কংগ্রেসের শক্ত জমিতে তাদের পতনের সূত্রে ভোটের ভাগ বিন্যাসে খানিকটা বরাত জোরেই যেন পেয়ে যাওয়া। ভোট শতাংশমাত্রার নিরিখে এখনো দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও সি পি এম তথা বামফ্রন্টের দলগুলিকে আগামী দিনে এমনকী প্রধান বিরোধী আসন থেকেও সরে যেতে হতে পারে, শাসক ও প্রধান বিরোধীর জায়গাটা ভাগাভাগি হয়ে যেতে পারে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে, এমন অনুমান অনেক রাজনৈতিক ভাষ্যকারই করতে শুরু করেছেন। নিশ্চিতভাবে আগ্রাসনবাদী ও স্বৈরতান্ত্রিক রাজনীতির এমন বাড়বাড়ন্ত গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষকে শুধু শঙ্কিতই করছে না, তা বামপন্থার রাজনীতির সামনেও নতুন চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দিয়েছে।
    সি পি এম বামপন্থার যে মডেলটি অনুসরণ করে এসেছে সেখানে আপোষ প্রবণতা ক্রমেই বাড়তে বাড়তে একসময় শাসক শ্রেণির প্রত্যক্ষ ওকালতির জায়গায় পৌঁছে যায় ও সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম লালগড় সহ সর্বত্র নিজেকে জনরোষের বর্শামুখে আবিষ্কার করে। পতনের প্রথম পর্বে ২০০৯ এর লোকসভা নির্বাচন ও তার আগে পরে তার জনভিত্তির একটা অংশ যদি তৃণমূল কংগ্রেসে চলে গিয়ে থাকে, তবে দ্বিতীয় ধাপে ২০১৪ র লোকসভা নির্বাচনের পর্বে তার জনভিত্তির আর একটা অংশ চলে গেল বিজেপি তে। আর এভাবেই এ রাজ্যে ২০০৪ সালে ৩৫ জন সাংসদের শক্তি থেকে ২০১৪ তে সে নেমে এল দুই সাংসদের শক্তি সম্পন্ন দলে। সি পি এম নেতারা আশা করেছিলেন রাইটার্স থেকে গণরোষে বিদায়ের পর খানিক চুপচাপ থাকলেই বোধহয় তৃণমূলের শাসনে বিরক্ত জনগণ তাদের দিকে কিছুটা হলেও ফিরবে, আর তৃণমূলের কিছু জনভিত্তি মোদি হাওয়ায় বিজেপির দিকে যাবে ও ভোট ভাগাভাগিতে তাদের বরাত বেশ খানিকটা খুলবে। এই নিষ্ক্রিয়তার সুবিধেবাদ যে তাদের পতন ঘটিয়েছে তাই শুধু নয়, তা বামপন্থীদের সামনে একটি চিরায়ত সত্যকে নতুনভাবে তুলে ধরেছে। গণ আন্দোলন ও সেই আন্দোলনের জোয়ার ছাড়া বামপন্থী রাজনীতির পক্ষে দক্ষিণপন্থী আগ্রাসনকে রোখা কোনও মতেই সম্ভব নয়, বরং সেই স্রোতে তারও ভেসে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
    বামফ্রন্টের বাইরে থেকে যাওয়া বিভিন্ন গণতান্ত্রিক ও সংগ্রামী বাম শক্তির সামনেও এবারের লোকসভা নির্বাচন কয়েকটি সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন হাজির করেছে। আগ্রাসী দক্ষিণপন্থাকে রোখার দায়িত্ব শুধু বামফ্রন্টের ওপরেই ন্যস্ত থাকতে পারে না, তা সমস্ত বাম ও গণতান্ত্রিক শক্তিরই বিশেষ ঐতিহাসিক দায়িত্ব। অন্যান্য নানা প্রশ্নের মতো এই প্রশ্নেও আপোষকামী বামের সঙ্গে সংগ্রামী বামেদের ঐক্য ও বিতর্কের সম্পর্ক রয়েছে। আপোষকামী ও সমর্পণবাদী বামপন্থা যে দক্ষিণপন্থাকে রুখতে শেষপর্যন্ত সক্ষম হয় না, বরং তার রাস্তা তৈরি করে দেয়, এবারের লোকসভা নির্বাচন সেই বার্তা নতুন করে দিল। অন্যদিকে দক্ষিণপন্থার উত্থান ও বিকাশের মুখে দাঁড়িয়ে তাকে প্রতিহত করার জন্য যে ব্যাপক গণভিতের দরকার, তার অভাব তথাকথিত তৃতীয় ধারার রাজনীতির দলগুলির দীর্ঘদিনের সীমাবদ্ধতা হয়েই বিদ্যমান আছে, সেটাও এই নির্বাচনে আর একবার প্রকাশিত হয়ে পড়ল। নতুন চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়ানো বামপন্থার দুই শিবিরের আন্তঃসম্পর্ক কোন দিকে যাবে সে বিষয়ে আলোচনা বাম গণতান্ত্রিক মহলে স্বাভাবিকভাবেই উঠতে শুরু করেছে। আপোষকামী চরিত্রের বামফ্রন্টের শাসক থাকা অবস্থায় বামপন্থার স্খলনগুলি নিয়ে সোচ্চার থাকার ও জনগণের সঙ্গে শাসকের দ্বন্দ্বে জনগণের পাশে থাকার দায়িত্ব সংগ্রামী বামশক্তিগুলিকে পালন করতেই হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতির পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে, বিশেষত চরম স্বৈরতান্ত্রিক রাজনীতির (যাকে অনেকেই ফ্যাসিবাদ পর্যন্ত আখ্যা দিতে চান) উত্থানের সমস্ত সম্ভাবনা জাগ্রত হয়ে ওঠার পর্বে এই অবস্থানে নীতি ও কৌশল গত বদল নিয়ে আসার চিন্তাভাবনাও স্বাভাবিক আর তা নিয়ে অনেকেই আলোচনা করছেন।
    এই প্রসঙ্গেই শুধু এটুকুই মনে রাখার পরিস্থিতির মৌলিক পরিবর্তন কমিউনিস্টদের অনেক নমনীয় হবার শিক্ষা দেয় তা আমাদের রাজনৈতিক নেতৃত্ব বিভিন্ন সময়ে শিখিয়েছেন। ইউরোপে ফ্যাসিবাদের উত্থানের প্রেক্ষিতে কমিউনিস্ট ইন্টারন্যাশানাল তার সপ্তম কংগ্রেসে পূর্বতন নীতি পরিবর্তন করে ফ্যাসিবিরোধী গণফ্রন্ট গঠনের নীতি গ্রহণ করেছিলো আর এই প্রেক্ষাপটেই রচিত হয়েছিল দিমিত্রভের বিখ্যাত ক্লাসিক ‘দ্য পিপলস ফ্রন্ট’ (১৯৩৬)। বলাবাহুল্য ফ্যাসিবিরোধী ব্যাপক ঐক্যর ডাক দুনিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে ফলিত রূপ পেয়েছিল ও জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছিল।
    ১৯৭২ সালের ভারতে ফ্যাসিবাদী উত্থানের সম্ভাবনার লক্ষণের প্রেক্ষিতে কমরেড চারু মজুমদার কমিউনিস্টদের অন্তরের প্রসারতার কথা তুলেছিলেন বৃহৎ জোটবদ্ধতার প্রয়োজনীয় ইঙ্গিত দিয়ে। ৯ জুন ১৯৭২ সালে কমরেড চারু মজুমদার ‘জনগণের স্বার্থই পার্টির স্বার্থ’ শিরোনামাঙ্কিত এক লেখায় লেখেন, “এমন কি যারা একসময়ে আমাদের প্রতি শত্রুতা করেছে, বিশেষ পরিস্থিতিতে তারাও আমাদের সাথে ঐক্যবদ্ধ হতে এগিয়ে আসবে। এইসব শক্তির সাথে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার মতো মনের প্রসারতা রাখতে হবে। মনের প্রসারতা কমিউনিস্টদের গুণ। জনগণের স্বার্থই আজ ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে দাবি জানাচ্ছে। জনগণের স্বার্থই পার্টির স্বার্থ।” মধ্যপন্থাকে চূর্ণ করার আহ্বানের পরেও এই আহ্বানের মধ্যে এক ধরণের রাজনৈতিক নমনীয়তা ও পরিস্তিতি অনুগ সিদ্ধান্ত নেবার শিক্ষা আমরা পাই। এই শিক্ষাকে মাথায় রেখে আমাদের সর্বস্তরে আলোচনা সাপেক্ষে খোলা মনে রাজনৈতিক বিন্যাসের নতুন অধ্যায়ে প্রবেশ করতে হবে।
    রাজনৈতিক শক্তির নতুন বিন্যাসই অবশ্যই জরুরী কিন্তু কেবলমাত্র সেটিই এককভাবে রাজনৈতিক শক্তির বর্তমান ভারসাম্যকে বদলে দিতে পারবে না। কারণ বামপন্থা আমাদের দেশে এবং রাজ্যে যে চ্যালেঞ্জ এর মুখে পড়েছে তা বহুমাত্রিক। সাংগঠনিক দুর্বলতা হিসেবে যা প্রতিভাত হচ্ছে তা অনেকাংশে মূলত রাজনৈতিক দুর্বলতার থেকেই উদ্ভূত। দেশে বামপন্থার বিকাশের স্বাভাবিক শর্তগুলি শুধু মজুত আছে তাই নয়, তা ক্রমবর্ধমানও। দেশে অর্থনৈতিক সঙ্কট তীব্র হচ্ছে, মূল্যবৃদ্ধি লাগামছাড়া হচ্ছে ও বিভিন্ন শ্রেণি- বর্গের মানুষ নানা ধরণের সঙ্কটের মুখোমুখি হচ্ছেন নিত্যদিন। বৈষম্য ক্রমেই বাড়ছে, শ্রমিকের মজুরী সংকোচন হচ্ছে ব্যাপকভাবে, চাষের খরচ লাগামছাড়া অথচ ফসলের ন্যায্যমূল্য মিলছে না আর তা ঋণগ্রস্থ কৃষককে হাজারে হাজারে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। শাসক ও কর্পোরেট এর মধ্যে অনৈতিক আঁতাত (ক্রনি ক্যাপিটলিজম) এর ছবি খোলা পাতার মত উন্মুক্ত হয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বামপন্থার স্বাভাবিক অগ্রগতিই আমাদের দেখার কথা কিন্তু সেই সম্ভাবনা কেন বাস্তবায়িত হচ্ছে না, সেটা বিশেষ করে ভাবার। মূলত নতুন প্রজন্মকে কেন বামপন্থা সেভাবে আকর্ষণ করতে পারছে না এবং একদা আকৃষ্টদের একটা ভালো অংশও বামপন্থা বা তার প্রচলিত রূপের প্রতি ক্রমশ বীতস্পৃহ হয়ে পড়ছেন, তার অনুসন্ধান ব্যতীত বামপন্থীরা শক্তি বিন্যাসের ভারসাম্যকে নিজের দিকে নিয়ে আসতে পারবে না। শ্রমিক শ্রেণির রাজনৈতিক আত্মঘোষণার নানা সীমাবদ্ধতা ও শ্রমিক আন্দোলনে আমাদের আপেক্ষিক গুরূত্বের প্রশ্নসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলি নিয়েও ব্যাপক অনুসন্ধানের প্রয়োজন আছে। সামাজিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে সমাজ বিন্যাস, তার দ্বন্দ্ব ও প্রয়োজনিয় রাজনৈতিক সমীকরণকে আয়ত্ত করা ও তার ভিত্তিতে লড়াই আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করার প্রবণতা হারিয়ে গতানুগতিক অভ্যাসবাদে লিপ্ত হয়ে থাকা কোনও ভাবেই বাম আন্দোলনে প্রয়োজনীয় সজীব উপাদান সংযোগে সক্ষম হবে না।
    সামাজিক অনুসন্ধানের মধ্য দিয়ে নতুন সময়ের সমাজ বিন্যাসকে বোঝা ও তার দ্বন্দ্বগুলিকে আয়ত্ত করা বাম আন্দোলনে বরাবরই স্থিতাবস্থা ভাঙা ও নতুন সাফল্যের চাবিকাঠি হিসেবে কাজ করেছে। সোভিয়েত মডেলের আন্দোলন ব্যর্থ হবার পর চিনে কমিনিস্ট পার্টির মাও সে তুং এর নেতৃত্বে তার নিজস্ব চিনা পথে যাত্রার পেছনে মৌলিক অবদান রেখেছিল মাওয়ের চিনা সমাজের শ্রেণি বিশ্লেষণ ও প্রধান দ্বন্দ্বগুলির ওপর অনুসন্ধানী আলোকপাত। ভারতীয় সমাজ গত দু দশকে নয়া উদারীকরণের নীতিমালার জমানায় যদি আমূল পরিবর্তিত হয়ে থাকে, বিশেষ করে নয়া প্রজন্মের চিন্তা চেতনার রূপ রীতি ও ভাষা যদি লক্ষ্যণীয় ভাবে বদলে গিয়ে থাকে, তবে তাকে আয়ত্ত করার জন্য ব্যাপক সামাজিক অনুসন্ধান প্রয়োজন। প্রয়োজন বদলে যাওয়া সমাজ, কাজের ধরণ, আন্দোলনের সম্ভাব্য বিষয় ও রীতি পদ্ধতিগুলিকে বোঝা। কিন্তু সেই ধরণের জরুরী কাজে বামফ্রন্ট বা তার বাইরে থাকা তৃতীয় ধারার রাজনৈতিক শক্তিগুলি এখনো প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ করতে পারে নি। সময় সেই হস্তক্ষেপের জরুরী দাবী জানাচ্ছে। বিভিন্ন সংকট থেকে বিভিন্ন দেশকালে বামপন্থা তার সৃজনশীল ও দায়বদ্ধ রাজনীতির মধ্যে দিয়ে পুনর্বিন্যস্ত হয়েছে, নিজের শক্তি বৃদ্ধিতে সমর্থ হয়েছে। আমাদের রাজ্য বা দেশেও তা না হওয়ার কোনও কারণ নেই। বরং ক্রমবর্ধমান অসাম্য ও জনগণের ব্যাপক অংশের মৌলিক সঙ্কট বৃদ্ধি পাবার পর্বে সঠিক হস্তক্ষেপের সূত্রে তার উজ্জ্বল সম্ভাবনা সব সময়েই বর্তমান থাকছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন