এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • terry eagleton

    b
    অন্যান্য | ০৭ জুলাই ২০০৬ | ১৭২৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • J | 160.62.***.*** | ১২ জুলাই ২০০৬ ২০:৫০634587
  • যাগ্গে, আমিও ঘাবড়ে গেছিলাম ৯১১ কে পয়সা দিতে হয় শুনে। পারমিতার লেখাগুলো পড়ে আশ্বস্ত হলাম, কেননা আমিও ৯১১ ডেকেছিলাম একবার, তারা এসেওছিলো, কিন্তু আজও বিল পাঠায়নি, তাই ............ একটু ঘেবড়েই গেছলাম।
  • a x | 4.159.***.*** | ১২ জুলাই ২০০৬ ২১:৪৩634588
  • খুবই অবাক লাগলো শুনে যে ৯১১ কে পয়সা দিতে হয়না। বেশ কিছু বছর আগে, ল্যাবে কাজ করছি, হঠাৎ তারস্বরে চিৎকার। আমি আর আমার ল্যাবমেট বেরিয়ে দেখলাম আমাদের পরিচিত একটি শ্রীলংকার মেয়ে মাটিতে পরে আকুলি বিকুলি করে কাঁদছে আর চিৎকার করছে। আমরা বহুত ঘাবড়ে গিয়ে তাকে যত বার বলি কি হয়েছে বল, ৯১১ ডাকি? সে অতি প্রবল যন্ত্রণার মধ্যেও বলে যাচ্ছে না না ৯১১ ডেকোনা, আমার বর কে ডেকে আনো। বরকে খুঁজতে কেউ একটা গেল, মেয়েটা ওরকম চেঁচিয়ে যাচ্ছে দেখে, আমি আর না পেরে নিজেই ৯১১ ডাকি। তারা এলেন, বোঝা গেল shoulder dislocation। এই করতে করতে বর ও এলো। ৯১১ প্যারামেডিক কিসব স্প্রে করে, ম্যাসজ হ্যানত্যান করে, একটা কাগজে সই করিয়ে চলে গেল। ছেলেটি বিমর্ষ মুখে আমাদের বল্ল, প্লীজ আর কখন ৯১১ ডেকোনা। আমি তো অল্প অল্প খোচেই যচ্ছি। প্রব্লেম টা কি। দুদিন বাদে বুঝলাম, আমি ডেকেছিলাম বলে ওদের ৯০ ডলার খরচা গেছে। ছাত্রাবস্থায়ে ৯০ ডলার অনেক।
  • tan | 131.95.***.*** | ১২ জুলাই ২০০৬ ২১:৫০634589
  • কেউ বলে পয়সা লাগে,কেউ বলে লাগে না!
    কী আশ্চর্য কান্ড! অতি রহস্যময় ব্যাপার।

  • Ishan | 130.36.***.*** | ১২ জুলাই ২০০৬ ২১:৫৩634590
  • ধুত। জিনিসটা খুব সোজা। পুলিশকে পয়সা দিতে হয়না। প্যারামেডিক্স ডাকলে, অ্যাম্বুলেন্সে চড়ে হাসপাতালে গেলে পয়সা দিতে হয়।
  • mita | 24.163.***.*** | ১২ জুলাই ২০০৬ ২১:৫৪634591
  • অক্ষ, ৯১১ কল টা ফ্রি, কিন্তু যে সার্ভিস টা প্যারামেডিক রা দিয়ে গ্যালো, তার জন্যে পয়সা দিতে হয়। ৯১১ কে ডাকলে ওরা পুলিশ, প্যারামেডিক, আম্বুলেন্স, যেখানে যা দরকার পাঠায়, পুলিশ এর জন্যে পয়সা দিতে হয় না, কিন্তু অন্য সার্ভিস গুলোর জন্যে হয়।
  • a x | 207.69.***.*** | ১২ জুলাই ২০০৬ ২২:২৫634592
  • তাহলে তো আমদের দেশেও ১০০, ১০১ হ্যানত্যান আছে। পুলিশ ডাকুন, অ্যাম্বুলেন্স ডাকুন, দমকল ডাকুন। ৯১১ একটি umbrella নম্বর বই আর কিছু না দাঁড়াচ্ছে।
  • dri | 199.106.***.*** | ১২ জুলাই ২০০৬ ২২:৫১634593
  • ঠিক কথা পুলিশের জন্য দিতে হয় না। অন্য গুলোর জন্য দিতে হয়।

    যখন ওরা সার্ভিস দেয় তখন ওর ইনসিওরেন্স চায় না। কারণ আপনি যখন ডেকেছেন তখন সার্ভিস ওরা দেবেই, ইনসিওরেন্স থাক আর না থাক। পয়সাও সঙ্গে সঙ্গে চায় না। পরে বিল পাঠায়। এই তো সেদিন, আমার বন্ধুর স্ত্রী ক্যানসার ধরা পড়েছিল, কেমো নিয়ে সে সবে ঘরে ফিরেছে, খুব কাহিল অবস্থা। একদিন আমার বন্ধু অফিস থেকে ফিরে দেখে বউ অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। ৯১১ ডাকল। প্যারামেডিক এল। দেখল। হাসপাতালে পৌঁছে দিল। বেশ কিছুদিন বাদে ১৪০০ ডলারের বিল পাঠাল। ও সেটা ওর ইন্সিওরেন্স কোম্পানীকে দেখাল। ভালো ইনসিওরেন্স ছিল বলে ওকে ১৫০ মত দিতে হল।
  • Tirthankar | 130.207.***.*** | ১২ জুলাই ২০০৬ ২২:৫৯634594
  • হ্যাঁ, "বাড়ীতে সাপ ঢুকেছে' বলে ডাকুন না মশাই দমকল আর পুলিশকে ১০০ ডায়াল করে!

    অবিশ্যি পার্থবাবুর থিওরী অনুযায়ী আমাদের দেশের পুলিশ হল পলিটিক্যাল সোসাইটির ভাঁড়ে সিভিল সোসাইটির লস্যি। আর অন্যান্য গূঢ় সমস্যার সাথে তুলনা করলে সিভিল সোসাইটির বাড়ীতে সাপ ঢোকা তো নস্যি, মশাই, নস্যি!
  • dri | 199.106.***.*** | ১২ জুলাই ২০০৬ ২৩:২০634595
  • এদেশের মানুষ সভ্যতার এমন একটা স্টেজে পৌঁছেছে যেখানে ঘরে সাপ ঢোকাটা একটা ইমার্জেন্সি। আমাদের দেশে তা নয়। শহরের দিকে বাড়িতে সাপ ঢুকেছে বলে হাঁক দিলে সারা পাড়া জড় হয়ে সাপকে বৃন্দাবন দেখিয়ে দেবে। আর গ্রামের দিকে বাড়িতে সাপ ঢুকেছে বলে সিন ক্রিয়েট করলে তো আপনি একটি আস্ত জোকস বলে প্রতিপন্ন হবেন। সকলেই সাপ মারতে জানে। যে আগে সাপটিকে দেখে সে মেরে পুকুরপাড়ে ফেলে দিয়ে আসে। বাড়ির অন্য লোক সে কথা জানতেও পারে না।

    তবে ৯১১ সার্ভিস ০১১ বা ১০১ এর সঙ্গে তুলনীয় নয়। কাভারেজ আর প্রমপ্টনেসে ৯১১ অতুলনীয়। সত্যিকারের ইমার্জেন্সির জন্য। লস অ্যাঞ্জেলেসেও পাবেন আবার সেকোয়ার জঙ্গলেও পাবেন। আমাদের দেশে প্রত্যন্ত গ্রামে ০১১ এর সাড়া পৌঁছতে কত সময় লাগবে বলে মনে হয়? তবে এমন ভালো সার্ভিস চালানোর খচ্চা আছে। কিছু বেসিক রিকোয়ারমেন্টও চাই। যেমন পুরো দেশ জুড়ে ভালো রাস্তার নেটওয়ার্ক। দেশের বিত্তবানদের সংখ্যা একটা ক্রিটিকাল মাসে পৌছলে এটা কাজ করে।
  • tan | 131.95.***.*** | ১২ জুলাই ২০০৬ ২৩:৪০634597
  • রাস্তা তো ভালো বটেই,সঙ্গে হসপিটালে হেলিকপ্টার।যাতে রুগী বহু মাইল দূরে বিপদাপন্ন হয়ে পড়লে তাকে কয়েক মিনিটে নিয়ে আসা যায়।
    হেলি গুলো যে চুপ করে বসে থাকে তা না ,রোজই দেখি যেতে আসতে!
    কিন্তু ব্যাপার হলো এদেশের ট্যাক্সের ব্যবস্থা,এসেনশিয়াল সার্ভিসের ব্যবস্থা,রাস্তা হেলি হসপিটাল--সব এমন আঁটসাট সিস্টেমে রয়েছে,যে সবগুলোই ঠিকমতো হয়।
    পিছনে অবশ্যই চাঁদি।সেটি বিনা সব ফুটুরডুম হয়ে যাবে যেমন বেশীরভাগ রেললাইন গেছে।

  • Ishan | 130.36.***.*** | ১৩ জুলাই ২০০৬ ০৪:৩১634598
  • দুইটি উদাহরণ:

    এক। ডেভন স্ট্রিট বলে শিকাগোতে একটি সুবিখ্যাত জায়গা আছে, যা ভারতীয় ও মধ্যপ্রাচ্যের লোকেদের নিজস্ব ঠেক। চিনেদের যেমন সস্ব আমেরিকান শহরেই একপিস করে চায়না টাউন আছে, ডেভন স্ট্রিট সেরকম শিকাগোর ভারতীয় এলাকা।শিকাগোতে আমি নতুন। ডেভন প্রথমবার গিয়ে আমার চক্ষু চড়কগাছ। চাদ্দিকে ভারতীয়/পাকিস্তানী/বাংলাদেশী দোকান। গিজ গিজ করছে বাদামী চামড়ার লোক। যত্রতত্র ছড়িয়ে আছে আবর্জনা। লোকে পানের পিক ফেলছে যেখানে সেখানে। খেয়ে দেয়ে গাড়ির জানলা দিয়ে হাত গলিয়ে কাগজের কাপ বাইরে ফেলে দেওয়া ডেভনে খুব স্বাভাবিক ব্যাপার।

    তো ডেভন এককথায় আমেরিকার বুকে একটুকরো ভারত। এবং আমেরিকার বুকে বসেও যেই এতটুকু স্পেস পাওয়া গেছে, তাকে "বিশৃঙ্খল' এবং "নোংরা' বানিয়ে ফেলা হয়েছে। সোজা বাংলায় পারিপার্শ্বিকের প্রভাব কাটিয়ে উঠে এখানে মাথা তুলেছে সেই জিনিস যাকে "পুবের স্বাভাবিকতা' বা "জাতীয় চরিত্র' যা খুশী বলতে পারেন।

    দুই। কলকাতার মেট্রো। একবার দমদম স্টেশনের কথা ভাবুন। থিকথিকে ভিড়। বনগাঁ লোকাল এসে থেমেছে। লোকজন যে যাকে খুশী মাড়িয়ে নামছে... চাদ্দিকে পানের পিক, কলার খোসা, থুতু, তোবড়ানো কোকের বোতল... ইত্যাদি ইত্যাদি। এই সব মাড়িয়ে যখন মেট্রো স্টেশনে ঢুকলেন, অবস্থাটাই পাল্টে গেল। কেউ থুতু ফেলেনা। ঝকঝক করছে চারদিক। কলা খেয়ে খোসা ফেলতে গেলে, পাশের লোকটিই তীব্র প্রতিবাদ করবে। ভাবতে অবাক লাগে, এই লোকটিই হয়তো একটু আগে বনগাঁ লোকালের দুই কামরার ফাঁকে দাঁড়িয়ে হিসি করেছে।

    তো এখানে জাতীয় চরিত্র বা পুবের স্বাভাবিকতা উধাও। পারিপার্শ্বিকতাই আসল।

    এবার প্রশ্ন হল, এই দুই পরস্পরবিরোধী বাস্তবতাকে আপনি কোন মডেলে বাঁধবেন? পার্থবাবু যেটা বলছেন সেটা যেমন ইউনিভার্সালি দাঁড়াচ্ছে না, পারমিতা বা রঙ্গনের কথাও ইউনিভার্সালি দাঁড়াচ্ছেনা।তাহলে?

    (জনতা চালিয়ে যান, আমার বাকি কথা আবার সময় সুযোগ মতো)
  • r | 61.95.***.*** | ১৩ জুলাই ২০০৬ ১১:৪৯634599
  • ঈশেন, তোমার ডেভন স্ট্রিটের উদাহরণ মানলাম না। কারণ তুমি ঘেটোর উদাহরণ দিচ্ছো। লন্ডনের ব্রিক লেন, সাউথঅল, নিউ ইয়র্কের চায়নাটাউন, স্মল ইটালি, ব্রুকলিনের পাকিস্তানী পাড়া, কলাম্বিয়ান পাড়া কি পোর্তে রিকান পাড়া, প্যারিসে মার্সাইয়ের বিভিন্ন অঞ্চল- এগুলো ঘেটো। এবং ঘেটোতে যেহেতু বেশির ভাগ নিম্ন আয়ের মানুষেরা বাস করেন, এগুলোর প্রত্যেকটার চেহারা প্রায় এক রকম। এক সময় হার্লেমও তাই ছিল। এখন শুনেছি হার্লেমের চেহারা অনেক পালটে গেছে। এগুলো মেট্রোপলিসের সমান্তরালে চলতে থাকা ছোটো ছোটো উপনগরী। কিন্তু এইসব অপরিবর্তনীয় নয়। লন্ডনের উদাহরণেই বোঝা যায়। একসময়ের লন্ডন কদর্য, নোংরা, অসুস্থ শহর ছিল। দীর্ঘকাল ধরে ছিল। সেইভাবে থাকাই কি ইংরেজদের জাতীয় চরিত্র ছিল? দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক শহরের ইতিহাসও একই রকম। এমন কি টাইম্‌স স্কোয়ার, হার্লেম ইত্যাদি জায়গাও কয়েক দশকের মধ্যে অনেক পালটে গেছে। কাজেই "স্বাভাবিকতা", "জাতীয় চরিত্র" কেবল স্থিতাবস্থা বজায় রাখার ফন্দি।
  • Paramita | 64.105.***.*** | ১৩ জুলাই ২০০৬ ১৫:১৫634600
  • ১৯৫৫/৫৬ সালে ফেডেরাল উদ্যোগে সর্বব্যাপী ইন্টারস্টেট প্রজেক্ট শুরু হয় বলে শুনেছি, ফোর্ডের সঙ্গে তার কোন ডাইরেক্ট সম্পর্ক ছিল কি? ফোর্ডের মোনোপলির কারণে পাবলিক ট্রান্সপোর্টের দুর্দশা শুরু কিন্তু ইন্টারস্টেটের সাথে তার কোন যোগাযোগ নেই।

    ৯১১র কিছু সার্ভিস ফ্রি, যেগুলো দামী সার্ভিস সেগুলো নয়। কিন্তু বুকে হাত চেপে বসে পড়ার আগে ৯১১ ডায়াল করলে সাহায্য অবধারিত। যাদের পয়সা ইনশিওরেন্স আছে মিটেই গেলো, যাদের নেই তাদেরও সাহয্য পাবার একটা রাস্তা আছে, কেউ হয়তো অনেকদিন লোন টেনেও বেঁচে থাকতে চায়, সেই কেসটা কভারড। গ্রামের সাপোর্ট সিস্টেমের অভাবে সাপ-ধরার ট্রেনিং বিহীন ডরপুকদেরও ঐ ভরসা। হ্যাঁ সাপটা এমার্জেন্সি, দেশকালপাত্র নির্বিশেষে।

    এহ বাহ্য। আমি বলতে চেয়েছিলাম এই সুবিধেগুলো আছে - এবং যেভাবে তাদের অস্তিত্ব তাহা জাহির করেছে সেইভাবেই আছে। দেশের নম্বরগুলো থাকা-না-থাকা সমান।
  • Paramita | 64.105.***.*** | ১৩ জুলাই ২০০৬ ১৫:২৭634601
  • ঈশান ব্যতিক্রম মানেই তো মডেল থাকবেনা, আর আপনার উদাহরণদুটিকে ব্যতিক্রম হিসেবেই নেবো, তাই মডেলে ফিট করবে না এটা ধরে নিতে হবে।

    আমার অরিজিনাল প্রশ্নটা একটু রেটোরিক ছিলো। মডেল আছে কি নেই জানিনা, একজনের মডেল-জামা অন্যজনের গায়ে ফিট করবে কিনা জানিনা, কিন্তু আমরা কেন নিজেরা মডেল বানাতে পারিনি এইরকম স্বস্তিতে থাকার জন্য, সেটাই আমার প্রশ্ন।
  • bozo | 129.7.***.*** | ১৩ জুলাই ২০০৬ ২০:৪৫634602
  • মামু, models are good but only at catwalk।-:)

    আচ্ছা, USA তে emergency unit এ গেলে তোমার medical coverage না থাকলেও চিকিৎসা করতে বাধ্য। সেটা বোধ হয় Tax payers money থেকে আসে। সেখানে কে fund করে জানি না, state or federal govt.

    রঙ্গন দার কথা ডিট্টো। ঠিক শিল্প বিপ্লবের আগে ইউরোপ নোংরার ডিপো ছিল। মূলত: দুর্গ কালচার ও জলের অভাবে। এবং ফলশ্রুতি বেশ কিছু প্লেগ মহামারী। মধ্য যুগে অন্তত: চার খানা ভয়ংকর মহামারীর কথা শোনা যায়।
    অথচ বিদেশী দের বর্ননা অনুযায়ী ভারতের শহর গুলো দিল্লী বা আগ্রা ছিল পরিষ্কার, সাজানো গোছানো। গত ১৫০-২০০ বছর ধরে আমরা কি কেবল পিছিয়ে গেলাম, ওরা সামনে এগিয়ে চলল (পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে)?

    আমাদের আরো একটা চারিত্রিক দোষ এখানে বলা উচিত। পরিচ্চন্নতার বিষয়ে আমাদের একটা গন্ডী আছে। নিজের ঘর সাফ করে ময়লা সামনের ড্রেনে ফেলে দেব। ওটা যেহেতু পাবলিক সম্পত্তি আমার দায় নেই। এই কারনে ভারতে পাবলিক প্লেস সবচেয়ে নোংরা। আসলে একটা জাতীয়তা বোধ এবং জাতীয় সম্পত্তির প্রতি চেতনা আমাদের একদম নেই। তার উদাহরন ভারতীয় রেল। লোকে এক বার-ও ভাবে না যে এই পরিষ্কারের টাকা তার ট্যাক্সের পয়সা থেকে আসে। একে পরিষ্কার রাখার দায়িত্ব তার-ও। হয়তো সে নিজেই ট্যাক্স ফাঁকি দেয়। অন্যের পকেট থেকে গেলে তার কি। সমস্যা টা অনেক গভীরে, তবে মূল হল একটা চেতনার অভাব।

  • dri | 199.106.***.*** | ১৪ জুলাই ২০০৬ ০১:৪৬634603
  • ইন্টারস্টেটের আগেও রাস্তা ছিল। গাড়ী আসতে শুরু করে বিংশ শতাব্দীর গোড়াতে। তার আগে ছিল ঘোড়াগাড়ী, অল্প দুরত্বের জন্য। দুরপাল্লার জন্য ছিল ট্রেন। শহরাঞ্চলে ছিল স্ট্রিটকার। গাড়ী ব্যাপারটা কনজিউমার আইটেম হবে কিনা সেই নিয়ে তখন সংশয় ছিল। সেই সময় ফোর্ড অ্যাসেম্বলি লাইনে গাড়ী বানানোর পদ্ধতি বানিয়ে ফেলায় গাড়ীর দাম কমে। তখনকার দিনে রাস্তা বানানোর কোন ন্যাশানাল প্ল্যান ছিল না। যে যার নিজের অঞ্চলের রাস্তা বানাতো, সেগুলো ঘোড়াগাড়ীর উপযুক্ত, গাড়ীর জন্য নয়। সেই অবস্থায় গাড়ী পপুলারাইজ করার জন্য ফোর্ড নিজের পকেটের পয়সা দিয়ে বেশ কিছু গাড়ী চলার উপযোগী রাস্তা বানান। সেটা সিম্বলিক। আমেরিকার মোট রাস্তার তুলনায় সেটা নগন্য। কিন্তু একটু একটু করে গাড়ী ব্যাপারটা পপুলার হবার পর, বিভিন্ন যায়গার বড়লোকরা তাদের নিজের নিজের যায়গায় গাড়ীরাস্তা বানানোর উদ্যোগ নেন। পুরো দেশব্যাপী রাস্তা বানানোর ফেডেরাল উদ্যোগ (দেশের বড়লোকদের চাপে) নেওয়া হয় প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর। সেইসব রাস্তার কোয়ালিটি যথেষ্ট ভালো ছিল। বিখ্যাত রুট ৬৬ এল এ থেকে শিকাগো অব্দি এখনো আছে। আমি এর কিছু অংশে ড্রাইভ করেছি। এটা ফ্রিওয়ে নয়। তবে মোটামুটি হাই স্পিড রাস্তা, শুধু মাঝে মাঝে যখন এক একটা শহর আসে একটু স্লো হতে হয়। তবে বেশ দেশ দেখতে দেখতে যাওয়া যায়, ফ্রিওয়ের মত ইনসুলার নয়। আর দেশব্যাপী ইনটারস্টেট এবং তাদের নাম্বারিং স্কিম এগুলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর। এদেশের রাস্তার বড় গুন হল কোথাও ই খুব খারাপ নয়, এমনকি খুব রিমোট যায়গাতেও। সবচেয়ে খারাপটারও মোটামুটি একটা স্ট্যান্ডার্ড আছে। এই ব্যাপারটা মেইনটেন করাটা অনেক পয়সাকড়ির ব্যাপার। ভারতে আজকাল দু চারটে ভালো রাস্তা হচ্ছে। এবার গিয়ে বম্বে রোডে চড়ে এলাম। বেশ ভালো কোয়ালিটি। কিন্তু বম্বে রোড থেকে বেরিয়ে একটু ইনটিরিয়ারে ঢুকলেই একেবারে জঘন্য। যাই হোক, আমি যেটা বলতে চাইলাম সব দেশেরই নিজস্ব ইতিহাস আছে। ভালো রাস্তার পেছনে আছে গাড়ী তৈরী, মানুষের বেশী পরিমান ডিস্পোজেব্‌ল ইনকাম, খুব ভালো ট্যাক্স বেস, যুদ্ধজয়।

    ভারত যখন স্বাধীনতা পেয়েছিল তখন ভারতে ফোনের পেনিট্রেশন ছিল খুবই নগন্য। তাই সাধারন মানুষ বুকে হাত চেপে বসে পড়ার আগে ৯১১ ডায়াল করে রক্ষা পাবে এটা অবান্তর। বুকে হাত চেপে শুয়ে পড়ার আগে একটা চিৎকার করলে বরং সেটা বেশী এফেক্টিভ হবার সম্ভাবনা। হয়ত কেউ ছুটে আসবে। ৯১১ ওয়েস্টার্ন স্টাইল ইন্ডিভিজুয়ালিজমের সাথে ভালো যায়। ব্যাবস্থাটা এমন যে সবকিছুই আপনি নিজে করতে পারবেন। করার জন্য যা যা দরকার তা কিনতেই পাওয়া যায়। আর একদম যখন পারবেন না তখন ৯১১। আপনার অসুবিধের কথা পাশের বাড়ীর লোককে গিয়ে জানানো চলেনা সাধারণভাবে। ভারতে অসুবিধেয় পড়লে ফাস্ট লাইন অফ হেল্প হল আসপাশের লোক, পাড়া, প্রতিবেশী। কোলকাতার জ্যামের যা অবস্থা, ৯১১ ডেকে অ্যাম্বুলেন্স এসে হসপিটালে যাওয়ার চেয়ে পাশের বাড়ীর কাউকে বলে ট্যাক্সি ডেকে হসপিটালে যাওয়া হয়ত অনেক ক্ষেত্রেই বেশী প্র্যাকটিকাল, কম সময়সাপেক্ষ। এই দেশে বুড়োদের খুব সমস্যা। ছেলেমেয়েরা সাথে থাকে না। ৯১১ বুড়োদের খুব কাজে আসে। আমাদের দেশে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বুড়োদের সাথে কেউ না কেউ থাকে। না থাকলে পাড়া থাকে। আর গ্রামের দিকে তো ফোন নেই, কাছাকাছি পুলিশ স্টেশন নেই, হসপিটাল নেই। ৯১১ থেকেই বা কি লাভ। ৯১১ এফেক্টিভ হতে গেলে তার অনেক পুর্বশর্ত আছে। সেগুলো অনেক টাকাকড়ির ব্যাপার।
  • Ishan | 130.36.***.*** | ১৪ জুলাই ২০০৬ ০৩:২৬634604
  • বোজো, এমার্জেন্সি ইউনিটে গেলে চিকিৎসা করতে বাধ্য ঠিকই, কিন্তু সেটা ফ্রিতে নয়। পরে বিল পাঠাবে। না দিলে যা যা করার সবই করবে। কিন্তু বিল দেবেনা/দিতে পারবেনা বলে চিকিৎসার সুযোগ ডিনাই করতে পারবে না।

    এবার কাজের কথা।

    আমি যে জায়গাটির উদাহরণ দিয়েছি, সেই ডেভন মোটেও ঘেটো নয়। কারণ,

    এক। ওটা শিকাগো ডাউনটাউনে নয়।

    দুই। আবাসিক এলাকা নয়। রাস্তা থেকে দুমিনিট হেঁটে যদি পাশের আবাসিক এলাকায় যান, দেখবেন, সেই চেনা আমেরিকা।

    তিন। নিম্ন আয়ের কোনো গপ্পো ই নেই, কারণ আগেই বলেছি, ওটা আবাসিক এলাকা নয়। এবং যে বা যারা তথাকথিত ভাবে জায়গাটাকে নোংরা করে রাখে তারা মিডল/হাই ইনকাম গ্রুপ।

    খুব সচেতন ভাবেই এই উদাহরণটা দিয়েছি, কারণ জিনিসটা আমার কাছে ধাঁধা।

    এই একই জিনিস দেখা যাবে, একটু পুরোনো আমেরিকার ইহুদি পাড়ায় ঢুকলে। ইহুদিদের পয়সাকড়ির কোনো অভাব নেই, আমেরিকায় জীবনের কোনো থ্রেটও কস্মিন কালেও ছিলনা, কিন্তু সেই একই রকম ঘুপচি ঘুপচি বাড়ি, ঘোরানো সিঁড়ি, মনে হয় ইওরোপীয় সিনেমার সেটে চলে এসেছি। অবশ্যই নতুন ইহুদি পাড়ায় এটা প্পাওয়া যাবেনা, কিন্তু পুরোনো পাড়াগুলো নিজের চরিত্র ধরে রেখেছে। এগুলো যদিও শহরাঞ্চলে, কিন্তু ঘেটো নয়। একেবারেই ঘেটো নয়।
  • Ishan | 130.36.***.*** | ১৪ জুলাই ২০০৬ ০৩:৪৪634605
  • এবার পারমিতা। আপনি যেটাকে স্বস্তি বলে ভাবছেন, সেটা আসলে পশ্চিমের চোখ দিয়ে দেওয়া স্বস্তির একটা ডেফিনেশন। আমিও ওটাকেই স্বস্তি বলে ভাবি, কারণ আমিও পশ্চিমের চোখ দিয়েই দেখি। কিন্তু সকলেই তা নাও দেখতে পারে। আমার ঠাকুমা, জীবনের দীর্ঘ দীর্ঘ সময় বিদ্যুতহীন অবস্থায় কাটিয়েছেন। আশির দশকে যখন বাড়িতে বিদ্যুত এল, তখনও তিনি ঘরে ফ্যান চালাতেননা। ফ্যান চালালে নাকি শীত করে। এবং এইভাবে কাটিয়েছেন জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত।

    আমার বাবাকে দেখেছি এসি সহ্য হয়না। ঘোর গ্রীষ্মে এসিতে ঢুকতে হবে বলে সঙ্গের ব্যাগে কোট মাফলার নিয়ে চলেছে বাবা, এ আমার দেখা দৃশ্য। এবং এটা শুধু বাবা না নিগুরের বহু লোককেই করতে দেখেছি। আবার শীতকালে নভেম্বর পড়ল কি পড়লনা, তারা সোয়েটার পরে ফেলল দমাদ্দম। ইনক্লুডিং আমার বাবা।

    এবং আমি। গরমে প্রচন্ড কষ্ট হয়। কলকাতার ডিসেম্বরে সোয়েটার মনে হয় এখানে যাঁরা লেখেন, তাঁদের অনেকেই পরেননা, আমিও পরিনা।

    তো, এই হল তিন সেট "স্বস্তি'। বাবা-ঠাকুমা এবং আমি। আমার ঠাকুমা বা বাবা অস্বস্তিতে আছেন/ছিলেন, আমরা বেশি স্বস্তিতে, এটা কিকরে বলি? আমাদের স্বস্তি, আমাদের "ভালো করে' বেঁচে থাকার একটা মডেল তো ছিল, যেটা আমাদের ধারাতেই বেড়ে উঠতে পারত। যেমন, কথার কথা বলছি, নিজের ধারায় বেড়ে উঠলে হয়তো আমরা বাসের দেয়াল করতাম মাটির, ছাদ করতাম খড়ের। তা না করে টিনের বাস বানিয়ে তাতে এসি বসানোর চেষ্টা করে চলেছি। সেটা পশ্চিমের চোখে "স্বাভাবিক' হতে পারে, কিন্তু আসলে স্বাভাবিক নয়।

    ডিসক্লেমার: যখন ঐ দুটো উদাহরণ দিয়েছিলাম, বা তার আগে পার্থবাবুর মত টা, তখন আমার একটা প্ল্যান ছিল মাথার মধ্যে। পার্থর ব্যাখ্যাটা আমার পছন্দ নয়, আগেই বলেছিলা। কেন নয়, সেটা নিয়ে ধাপে ধাপে এগোবো, এরকম প্ল্যান ছিল। কিন্তু এই তক্কে সব ঘেঁটে গেছে। যা লিখছি, সেটা পার্থর সমালোচনাও নয়, ক্রিটিসিজমও নয়, ব্যাখ্যা তো নয়ই।

    অতএব, বোজো/র/পারমিতা, প্লিজ লিখতে থাকুন... ঘেঁটে গিয়ে খুব ভালো লাগছে। :-)
  • Ishan | 130.36.***.*** | ১৪ জুলাই ২০০৬ ০৩:৫০634606
  • দ্রির নাম বলতে ভুলে গেছি। দ্রির রাস্তার গপ্পোটা ব্যাপক।
  • Paramita | 64.105.***.*** | ১৫ জুলাই ২০০৬ ০৭:১৩634608
  • ঠান্ডা-গরমের স্বস্তি খুবই পলকা স্বস্তি। কিছুদিন আগে আমার এক বন্ধু দেশে ফিরেছে, বলছিলো, দেশে ফিরে ওর খুব স্বস্তি - নিজেকে গাড়ি চালাতে হয় না(গাড়ি চালাতে ওর মাথায় বাজ পড়তো), কিন্তু সেখানেই আবার এটাই দেখা গেলো, গাড়ি চালিয়ে হু হা যাবার স্বাধীনতাটুকু আরেকজনের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কাজেই এইসব ভালোলাগার সঙ্গে দেশকালের সম্পর্ক নেই। কিন্তু কিছু চিরন্তন ও অক্ষয় স্বস্তি আছে - অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থানের সংস্থান থাকা, দৈনিক জীবনে ত্রাস বা সন্ত্রাস না থাকা, মেয়েদের সামনে ব্যাগ ধরে হাঁটার বাধ্যবাধকতা না থাকা, বই-এর চাপে বাচ্চাদের ছেলেবেলা চুরি না যাওয়া, আপিশে কোন স্যার না থাকা এইসব।

    এবার কিন্তু আমি একই কথা বারবার বলে ফেলছি। রাস্তার ইতিহাস একটু পড়ে নিয়ে দ্রি-এর জবার দিতে হবে। ঈশান আপনি ঐ ধাপে ধাপে যা লেখার ছিল প্লীজ লিখে ফেলুন।
  • tan | 131.95.***.*** | ১৬ জুলাই ২০০৬ ০১:৩৪634609
  • পুব ---পশ্চিম
    নারী ---পুরুষ
    কলাবতী মা --- বিজনেস টাইকুন বাবা
    চন্দ্র--- সূর্য
    বিশ্বাস --- যুক্তি
    কলা ---- বিজ্ঞান
    সাম্য---- ব্যক্তিস্বাতন্ত্র
    মানিয়ে গুছিয়ে থাকা ---- স্বাধীনতা
    বাসে কোস্তাকুস্তি ---- নিজের গাড়ীতে চড়া
    দখিন হাওয়া ----- এয়ার কন্ডিশন্ড বাড়ীঘর
    পাড়াপিতিবেশী ডেকে আগুন নেভানো----দমকলে ফোন
    ডাকাত পড়লে পড়শি ডাকা---থানায় ফোন
    একনিষ্ঠতার শুচিবাই ----- মুক্ত আমোদ
    কাদাজলে হাটূ অব্ধি কাপড় তুলে মাছের বাজার---ফোনে পিৎজা অর্ডার
    এগারোটা থেকে একটা অবধি জল সাপ্লাই-সবসময় ঠান্ডা গরম জল
    যীশু-----বুদ্ধ
    কমুনিজম----ক্যাপিটালিজম
    কাঁচা মাটির রাস্তা---ঝাঁ চকচক ফ্রীওয়ে
    ড্রাম বাদ্য----সেলফোন
    পরনিন্দাপরচর্চা----সাবধানে পলিটিকালি কারেক্ট কথা বলা
    পাব্লিক ----প্রাইভেট
    বামপন্থা---দক্ষিণপন্থা

    ইত্যাদি ইত্যাদি প্রভৃতি।আরো আরো অসংখ্য অসংখ্য

    কিন্তু একেবারে আলাদা করে দেওয়া যায় কি? সবই মিশেকুশে থাকে না? প্রত্যেকের মধ্যে?
    ক্রমাগত ডানপাশ পেনিট্রেট করতে চায় না বাঁপাশ? আর বাঁ পালায়?
    হোপলেস হেক্সাগনের প্রেমচক্রের মতন?

    বিস্তৃত বিশ্লেষণ পড়তে চাই ঈশান।ভালো ও মন্দ দুই ই বলো।কেন স্বস্তি কেন অস্বস্তি?
    কেন কেউ অমিশ? কেন কেউ না-অমিশ?
  • b | 59.145.***.*** | ১৮ জানুয়ারি ২০০৭ ১৪:০৬634610
  • http://www.antiwar.com এ পিলগার এর একটা পেজ আছে।

  • byaasadeb | 24.6.***.*** | ১৮ জানুয়ারি ২০০৭ ২০:৪১634611
  • অর্থনৈতিক ভাবে আমাদের দেশ পিছিয়ে আছে বলে এই সুবিধা গুলো (৯১১ এত ) আমাদের তুলনিয় সুবিধা (১০১ ) গুলোর থেকে অনেক বেশি মসৃন। তাই বলে আমাদের দেশের মানুষ অবিবেচক ইত্যাদি বলাটা ঠিক হছে না।

  • byaasadeb | 24.6.***.*** | ১৮ জানুয়ারি ২০০৭ ২০:৪৪634612
  • পোক টা দেখলেন ? অমি country দিয়েছিলেম:

    testing the country dutta এখন আমার নাম দেখাচ্ছে ব্যাসদেব দত্ত! :)
  • S | 61.246.***.*** | ১৯ জানুয়ারি ২০০৭ ০০:১১634613
  • দ্রি,

    ০১১ নয়, ও তো এ পাড়ার এসটিডি কোড, আপনি বলতে চেয়েছিলেন ১০০, মানে পুলুশ। তাই তো?

    গেল বছর কোন চ্যানেল যেন বাজিয়ে বাজিয়ে সমীক্ষা করেছিল, তা দেখা গেল, খোদ দিল্লিতে ১০০ ডায়াল করলে এই সব ঘটছে:

    ১। নাম্বার এক্সিস্ট করে না
    ২। ঘুম জড়ানো গলা ফোন তুলেই বলে, 'ভোঁসরি কে ...'
    ৩। অল লাইন্‌স টু থিস রুট আর বিজি
    ৪। ঘন্টি বেজেই যায়, বেজেই যায়, কেউ তোলে না

    সকল মোবাইল হ্যান্ডসেটে একটা এমার্জেন্সি নাম্বার ডায়াল করার ফেসিলিটি থাকে, যা কিনা ফোন লক থাকলেও ডায়াল করা যায়, এমনকি ফোনে সিম কার্ড না থাকলেও ডায়াল করা যায়, বিনা নেটওয়ার্ক কভারেজেঐ ডায়াল করা যায়। কখনও কোথাও বিপদে পড়লে ডায়াল করবেন 112। এমার্জেন্সি নাম্বার।

    সব রকম কন্ডি টেস্ট করে দেখলাম। কোথাও লাগে না নম্বর। ডায়াল হয়, কিন্তু ফেল করে যায় কল।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন