এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ঢাকাঢুকি আড্ডা

    Abhyu
    অন্যান্য | ১৬ এপ্রিল ২০১৩ | ১৪১৮৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কান্তবাবু | 96.23.***.*** | ১০ ডিসেম্বর ২০২২ ১২:০৫739103
  • তোমার নতুন পদ্যে আমাদের কথা কিছু আছে কিনা খুঁজে জেগে জেগে
    বিগতস্পৃহ লালচক্ষু আবহাওয়ার খবর নীল ছবি; 
     
    ভাগ্যিস ফুরনোর ছিলও না কিছু।
    তবে গানেরা কাদের লক্ষ্য ক'রে, এমত আত্মপর বাতিকের মোহ।
  • সনাতন | 192.139.***.*** | ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ ০১:০২739109
  • জ্বর কিংবা অন্ধত্বের মত, বিলিতি শীতের ঘোলা তুষারের মত,
    কলুষ জড়িয়ে আছে ফাঁদে পড়া শব্দকীটে
    সমস্ত দুপুর তারা খাবি খায়, ভেসে ওঠে ডুবে যায়।

    তবুও ফেরার পথে, জানো তো কেমন, গুণে গেঁথে মাকড়শার মত জাল
    শিশিরবিন্দুর মত ঝ্কঝকে
    রেখেছি মাথাতে পদ; পৌঁছে সব বেমালুম বিস্মরণ 
    রূপক মাত্রা সব, ঐ জন্যেই পৌঁছতে নেই
    রূপকে বা অক্ষরে হামেশা।

    বেদনাটি বিস্মরণ, অনির্দেশ্য, লাস্যময় স্বরের পুণঃপুণ, ক্রান্তীয় চিল

    যাহাতে ছলকে যেত রক্তস্রোত, আপাত বাতিল, যাহারা বিলীন বায়ু মাটি জলে, ক্রুদ্ধ স্লোগান, পোষা

    কলুষে জড়িয়ে, বিলিতি শীতের মত, ঘোলাটে তুষার।
  • ~ | 192.139.***.*** | ১১ এপ্রিল ২০২৩ ০০:০০739964
  • তারা বলে সৎ হয়ে লেখো, রক্তে সওয়ার তার অসহ কর্কট
    নীরব, বিচ্ছিন্ন জনপদ, এঁদো ডোবা, বুলেভার্ড ভীড় হট্টগোল
    স্টোইক অস্তগামী সূর্যকুসুম
    কত কত দশকের পার, পৃথিবীতে এরকম বেদনা বুঝিবা আর নেই।

    অনির্দিষ্ট নির্গলিত কালের মত, পুরাতন সীসার আখর
    হাতে ঠেলা প্রেস, ক্ষুধার সততা গিলে কবিতার গ্রাস
    অথবা ধনীর বাসনা, এমন বেদনা বুঝি নেই,
    রক্তে সওয়ার তার সপ্তঅশ্ববাহী অসহ কর্কট
    অন্ধকার ছাপাখানা, কালি মোছা ত্যানা, সুখের বিষাদ-

    অকালপ্রয়াতা কবি, রক্তে তাঁর অসহ কর্কট, অস্থির এলোমেলো, এন্ট্রপি, কণাগুলি নৃত্যপর-
    মৃত্যুর মত সৎ, রক্তে ছিল অসহ কর্কট।
  • সনাতন | 134.238.***.*** | ১৮ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:৫০741360
  • এটা আসলে এমজালে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এমজাল যেহেতু কপি পেস্টের উপদ্রবে ভোগে গেছে...
    তবে সে যেখানেই যাক, কোথাও না গেলেও কিছু না তাই কৈফিয়তের মানে নেই যদিও।
    .
    .
    .
    .

    সেবার তো খেয়াল হল খুব ডিএসএলআর কিনবো।
    ছবি তুলে নেবো সব চলতা ফিরতা দ্রুতগতি জীবনের, ছবি তুলবো বদলে বদলে যাওয়া মুখচ্ছবি, ডিএসএলআরে নাকি চমৎকার ধরা যায় গভীরতা ও স্তর। অনেক চিন্তাভাবনা করে দেখলাম, একটা ডিএসএলআর থাকলে কত সুবিধে, সবই থাকবে হাতের মুঠোয়, হেমন্তে যেমন একটি একটি করে ঝরে পাতা, বসন্তে যেমন প্রভু নাম ধরে ডেকে ডেকে ফোটান ফুলেরে, ঝপাঝপ প্রতিটি মুহূর্ত তোলা থাকবে, রাখা থাকবে চোখের নাগালে। তবে সবচে মজা হবে শহরে বন্দরে, দ্রুতগতি বাস থেকে যেমন আমার অল্পবয়সের ডপলগ্যাঙ্গারের রুক্ষ বিমর্ষ মুখ রাস্তার ভিড়ে দেখে মায়ের বিষাদ ঘটে গেছিল অতর্কিত সাড়ে তিন মাস, হ্ঠাৎ এমন মুখ যদি দেখি, স্পষ্ট ছবি তুলতে জুড়ি নেই ডিএসএলআরের। অথবা রাত্রিকালে যেমন সহসা ছায়া পড়ে গাড়ির জানালা ঘেঁষে, তাকালে মিলিয়ে যায়, আসলে মুকুর, তুলে নেবো ঘরেলু জিনিস, আবছা স্মৃতির মত পোড়া নিকোটিন আর ওলড স্পাইস ঘ্রাণে ভাঁজ করা সিল্কের স্কার্ফে রুপোলি পোকা, হাতে যদি থাকে ডিএসএলআর।
    কখনো নিসর্গ তার রংচঙে যত আবছায়া, ডিএসএলআর থাকে যদি তুলে নেবো সন্ধ্যায় আদিগন্ত ছড়ানো রাঙা বিষাদ চাদর, ছবি তুলে নেবো যত স্থানু ও স্থবির, যত বেপথু বা স্থির, স্টেডফাস্ট ধ্রুবতারা।

    তারপর তো দেখা গেল সে অনেক খরচান্ত, তারপর চলে এল বাঘাবাঘা মোবাইল মুঠোতে।

    আজকাল ক্কচিৎ ট্রেনের জানলা ঘেঁষে, ডাউনটাউনের ভাঁজে, বিষাদের সন্ধ্যে চাদরে দেখি নাম লেখা থাকে, মনে হয় যদি  ডিএসএলআরে তুলে রাখা হতো
     
  • সনাতন | 192.139.***.*** | ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:১৭741567
  • ​​​​​​আমি একটা পদ্য লিখতে পারি, যেমন আরশোলা নিয়ে কিংবা গড়ভুতুয়া নিয়ে
    নৈমিত্তিক ঝগড়াঝাঁটি কিংবা টালোমলো হুইস্কিধারে কিংবা খুব শীত করলে
    তাও একটা পদ্য লেখা যায়। অথবা যেমন ট্যাংরামাছের ঝোলকে যদি খুব মিস করে
    বেয়াকুল জিহ্বা, কিংবা যাদপ্পুরের চাখানার ওমলেট খেতে চাই, পদ্য একটা লেখাই যায়
    তো এরকমভাবে অপেক্ষা করতে হয়। ওমলেট কিংবা ট্যাংরামাছ যেন ইশবগুল,
    আর আরেকটু কঠিন বিষাদ হলে ক্যাস্টরয়েল। তো, যত বেশী জোলাপ, তত গভীর পদ্য।
    যেমন কিনা প্রেম খুব ভালো কাজ দেয়। অথবা যেমন গান। 'ভালোবাসা দাঁড়িন ছিল
    মাথার সিথেনে' শুনে খুব ভাব চলে এলো। তো একটা পদ্য লেখা যায়। আবার পদ্যটা হয়তো
    খুব একটা ভালো হলো না, সেটা নিয়ে কতটা দুঃখ হবে তার ওপর নির্ভর করে আরেকটা পদ্য হবে কিনা।
    এদিকে, লোকে প্রশংসা করে ফেলে যদি, তবে ফুর্তি হতে পারে। কিন্তু সেটা এত বেশী নয় যে তাতে আরেকটা পদ্য হবে।
    এদিকে আমার পদ্য আবার একটু দুঃখ প্রধান। তো ঘেঁটে গেল কিনা বলুন? দুঃখ কমে গেলে পদ্য হবে কোদ্দিয়ে?

    তো এইসব।
     
    ২৩ নভেম্বর ২০১১ ২১:১৯
  • সনাতন | 208.127.***.*** | ০৯ জানুয়ারি ২০২৪ ০৭:১৬741860
  • কতকাল লিখি নাই একছত্র, হোক না সে অনর্থক বেবাক জীবন
    কতকাল চেয়ে থাকি দুয়েকটি মৃত্যু হলে শোক হলে তোমার নিকটে যাওয়া হবে
    কতকাল তুষারের মলিনতা দেখে দেখে চোখে হবে ন্যাবা
    অপরের নন্দপুরচন্দ্রকপোলে এঁকে সিত চন্দনপঙ্ক আমি নিদ্রা যাবো ভিন্ন জগতে

    কতকাল স্তব্ধ থাকে এরকম রজনীর যেরকম গ্রেস্কেল শীত
    ব্যাকরোডে ধেয়ে যায় ট্যাক্সিক্যাব মানুষেরা দয়ালু নিঠুর
    কতকাল একছত্র লিখি নাই হোক না সে অনর্থক দ্বৈত লালসা
    তোমার নিকটে শুধু শোকের প্রতীক্ষা তাতে ভরসা আখর।
  • সনাতন | 2607:fb90:ade0:70ae:8941:41f4:7ec4:***:*** | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০১:১৯742389
  • প্লেনের জানলা দিয়ে দেখি গাঢ় সবুজ জঙ্গল
    মনে হয় সেসব বিস্তৃত পৃথিবীর সীমানা পর্যন্ত
    বনে আছে বাঘ, রাক্ষস খোক্কস, ড্রাগন, শুঁড়ওয়ালা পথভ্রষ্ট বেচারা ভিনগ্রহী
    ঝিলের মধ্যে পোড়ো নীলকুঠী, পরিত্যক্ত সাদা ঘোড়া
    নিদেনপক্ষে মানুষখেকো গুলবাঘা
    যে প্লেন দেখতে আসা কৌতুহলী ফ্যাকাসে বালককে অতর্কিতে
    ঘেঁটি কামড়ে টেনে নেবে বনের ভেতর, রানওয়ে ঘেঁষে পড়ে থাকবে গত পুজোয় বানানো টেকসই চটি জুতো এক পাটি।
    প্লেনের জানলা দিয়ে দেখি ছেঁড়া মেঘ,
    দেখা যায় দিগন্তে মহানদী, বিষম ছোঁয়াচে মহানগর, ত্রস্ত যানজট, রোদ।

    এরকম ভাবে জুড়তে জুড়তে, উড়ে যেতে থাকে প্লেন, তার পেটের ভিতরে লোক, কেউ যাচ্ছে কাছে আর কেউ যাচ্ছে দূরে, কী আশ্চর্য কলই না বানিয়েছে এরা।

    রানওয়ের বাইরে, আসলে ক্ষীণ ও করুন জঙ্গলের ওই পারে দাঁড়িয়ে থাকে বালক, তার মাথায় ঝাঁঝাঁ রোদ, সে জানে জঙ্গলের ওই পারে নিতান্ত এরোপ্লেন তাতে হিজিবিজি লোক, কেউ যায় দূরে আর কেউ যায় কাছে।
  • দীমু | 182.69.***.*** | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০১:৩৩742391
  • সেইই ব্যক্তিগত বসন্তদিনের চটি laugh​ 
  • সনাতন | 96.23.***.*** | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ০৮:৩২743672
  • গুরুপাক বিরিয়ানী মদ্য মাংস তাম্রকূটধুম
    খেয়ে খেয়ে জীবতারা টুপ করে খসে যায় যদি
    নাই যদি লেখা হয় এই পদ্য এই ছোঁয়াছানি
    বিগত জন্মের মত কিশোরীর স্বেদগন্ধ উদাসী কুন্তল
    সিজিল মিছিল করে কোম্পানীর কাগজ রাখি বীমার দলিল
    অ্যামাজনে ডিল দিলে মজবুত ফাইল ক্যাবিনেট
    নাই যদি দেখা হয় পোর্তো প্লাতার গাঢ় জল
    ধেয়ে আসা সুবাতাস দখিনা সমীর
    সেই দেশ থেকে যার পদ্মা মেঘনা তিরতির
    তোমার নিকটে যদি নাই হয় যাওয়া
    মিলে যায় অবকাশ ফোকটে হপ্তার মাঝখানে
    যাবতীয় সামাজিক জমিদারী দস্তা জীবন 
    এইসব সাত পাঁচে, আমার স্বভাব ধর্ম তুমি জানো।
    নাই যদি লেখা হয় যা লেখা হয়নি কোন মতে
    যে আঙুলে ছোঁয়াছুঁয়ি পোড়ো ঘর গাঁয়ের দালান
    ফাঁকা স্কুল ঘর দিয়ে হুহু করে দখিনা সমীর
    অর্ধেক জীবন গিয়ে গবাক্ষে শরতের শশী
    তাহলে বিলাপ বৃথা, বীমার দলিল রেখো দেখে
    আমাদের যে জীবন সে জীবন ঘাসের ফলকে
    দেশ ছুঁয়ে কাল ছুঁয়ে কিশোরীর স্বেদ গন্ধ বিগত জীবন
    তোমার নিকটে বসি, দুই দণ্ড, নদীর কিনার।
  • সনাতন | 208.127.***.*** | ১৩ নভেম্বর ২০২৪ ০৪:০০744097
  • সমুদ্রের ধারে বসে বিড়ি খাওয়ার পদ্যটা কি হারিয়ে গেছে নাকি লেখাই হয়নি তা নিয়ে নিজের সঙ্গে বিপুল সন্দেহবাতিক যেন গোয়েন্দা লাগিয়ে তারপর ভাড়াটে খুনি ভাড়া করা, এই যে ভাড়াটে খুনি ভাড়া-মূলক বাক্যগঠনজনিত দ্বিধা, এই কারনেই লোকে আজকাল সুপারি কিলার বলে।

    এইসব কারনেই প্রতি ষোল সেকেন্ডে ফোন হাতে নিয়ে আমি দেখে নিই বাঘাযতীনের মোড়ে কোন বিরিয়ানির দোকান ভাইরাল হল, দেখে নিই প্যালেস্টাইনে কে ফেললো বোমা, বাংলাদেশে কোন মূর্তি ভাঙলো মূর্তিমান মানসমর্কট, কেমন করে বানায় বাঁধাকপির ফ্রিটার্স আর মেরুভল্লুকের মর্মবেদনার নিদান কোথায়।

    ছাতা পরা বেল্ট, ঘষে যাওয়া হাওয়াই চপ্পল, ড্রেন পরিস্কারের আঁকশি, তোরঙ্গে হলুদ মর্মর যৌন ম্যাগাজিন, সিগারেটের তুলো দেখে টার্কি চাপে, মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে এই যাহ, এ বিঁভুয়ে টেঁসে গেলে কী আতান্তরে পরিজন পড়বে দেখো দিকি এইসব প্রতিজ্ঞা ভুলে একেবারে হ্যাহ্যা করে জিভ।

    বটতলা ঘুরে আসি, পাকা রুই, কুম্ভীপাকে পাঁঠার মেটুলি, পাহাড়ের থেকে আসে খাসা চাল, গুড়ের চিতই, মান্ধাই গানের ঢোলক। কিছুটা তাৎক্ষণিক কিছুটা স্মৃতির বিরহ, কতকাল সমুদ্র স্নানে গিয়ে খেলেনি তাহারা ছোঁয়াছুঁয়ি।

    তুমি কী ভন্ডলোক, ছদ্মবেশি, অসহায় প্রতারক পেটের দায়িকে, তুমি কী উন্নাসিক উৎকট স্নবারির বাসা, তুমি কী বিষন্ন ঘোড়া, সন্ধ্যায় হ্রেষা তুলে ব্যস্ত ট্রাফিকে দিশাহারা, এইসব সাত পাঁচে, বাক্যগঠনজাত দ্বিধা, ঠায় বসে, চৌরাস্তায়।
     
    আর আপনাদেরও বলিহারি যাই, আপনারা গল্পে গল্প চান না, সিনেমায় আখ্যান চান না, পদ্যে প্রেম চান না, তক্তপোষে চান না তাকিয়া, আর জীবনের কাছে যত আকাঙ্খা, পদে পদে খুঁজে যান স্মর্তব্য কোটেশন, এসকলে প্রত্যাশার চাপে দিনের মুখ হয় অন্ধকার, পাঁচটা বাজতে না বাজতে সূর্য টুর্য ডুবে একাকার।
     
    এইসব বাক্যগঠনজাত দ্বিধা, মনোস্থাপনে এ অনীহা, এরকম লুতাজালে অশ্রুর দানা, পরিচয়ে প্যাঁচ পঁয়জার, এই কারনেই লোকে আজকাল সুপারি কিলার বলে, এইসব কারনেই প্রতি ষোল সেকেন্ডে ফোন হাতে নিয়ে আমি দেখে নিই দুনিয়ার হাল হকিকত।
  • কালনিমে | 103.244.***.*** | ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ১৪:৫৫744116
  • সনাতন বাবু - বড় ভাল লিখেছেন হে
  • সনাতন | 208.127.***.*** | ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ০২:১১744122
  • ধন্যবাদ, @কালনিমে!
  • aranya | 2601:84:4600:5410:7d1e:3a59:71a4:***:*** | ১৫ নভেম্বর ২০২৪ ০২:৪৯744123
  • অসাধারণ @সনাতন 
  • সনাতন | 165.***.*** | ২০ নভেম্বর ২০২৪ ০৩:৫৪744162
  • আমি আর কোথাও যাবো না
    শিকড়ে অলস ব্যাং
    হেমন্তের ছবিটি বাঁধানো
    অশ্বত্থের মতন স্থবির হয়ে এইখানে গেঁড়ে
    তোরঙ্গে পচে যাবে পাসপোর্ট ভোরের উড়ান
    ঝিলিমিলি পাতা দিয়ে বয়ে যাবে এশার নামাজ
    বেবাক বাসের ডিপো রেল ঘাঁটি
    ভোঁ বেজে সকল বন্দর,
    রেডারের মৃদু ঘুরপাক
    দিনান্তে সব লোক শাকান্ন সেবা করে,
    সকলি শূণ্য তাই,
    আমি আর যাই না কোথাও।

    আমি আর কোথাও যাবো না
    কুবো পাখি যেরকম প্রাচীন আস্তানা ঘিরে
    নিরীহ গিরগিটি খোঁজে
    যেরকম শহরের কাচে ঠুকে পরিযায়ী হাঁস,
    অনন্ত শয়ানে যায়,
    বিগত নদীর খাতে জলযান স্মৃতির সমেত,
    যেরকম ঝিলিমিলি পাতা দিয়ে বয়ে যায় সন্ধ্যার শাঁখ,
    স্নানের আরাম।

    কোথাও যাবো না আর,
    দুপুরের নীরবতা খুঁড়ে নেমে যাবে শিকড় বাকড়
    বল্কলে বজ্রকীট বাসা বেঁধে থিতু হবে নিমেষ নিমেষ
    বেবাক বন্দর ঘাঁটি সরাই সড়ক
    নিরিবিলি হয়ে যাবে;
    দিনান্তে শাকান্ন খাবো,
    কোথাও যাবো না আর, তোরঙ্গে পচে যাবে সব তমসুক।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন