এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • তৃষা | 233.239.***.*** | ২৩ মার্চ ২০১৩ ১৩:০৬600267
  • <মুখবন্ধ
    ……………….

    লিখি . রোজ লিখি. যেমনই লিখি , যাই লিখি , কিছু না কিছু . ভালো বা মন্দ. কিন্তু কেন লিখি ? কারণ , না লিখে পারি না . আমার এক আকাশ ঈশ্বর. নাকি বলব ব্রহ্মাণ্ডব্যাপী ঈশ্বর . শব্দই পরম ব্রহ্ম. তাই . আমার দু'চোখের আলো বর্ণের আলো . সবার জন্য হয়ত ঝাড়বাতি থাকে না ভিতর মহলে , কিন্তু বারমহলে সূর্য যে সবার জন্যই . চাঁদ তারাও সবার জন্য . তাই আমিও লিখি .
    সবাই সব কিছু সমদক্ষতায় পারে না . পারতেও নেই . কারণ তাহলে ভালো খারাপের বিভেদ থাকত না. মুড়ি-মিছরি একদর হয়ে যায় . কাজেই কেমন লিখি , তা নিয়ে ভাবি না. লেখা আমার কাছে হৃদস্পন্দনের মতোই , ধমনীতে রক্তপ্রবাহের মতোই . বাতাসে অম্লজান থাকে বলেই না বেঁচে থাকি ! লেখা আমার কাছে সেই অপার মুক্তির একটুকরো আকাশ , যা আমার জানালা দিয়ে দেখায় ঠিক একফালি নীলচে ধূসর রুমালের মতোই , কিন্তু আসলে যার বিস্তৃতি অসীম .

    অপটু গদ্য লিখি , আনাড়ি পদ্যও . হঠাত মনে হল , আমার চিন্তা ভাবনাগুলো সাজিয়ে গুছিয়ে তাতে কিছু বিদেশী কবিতার গয়না পরালে কেমন হয় ?

    এই সব ভেবেই কিছু অক্ষম প্রয়াস . , জানি না সেজেগুজে আমার সাধের মানসীদের দেখাচ্ছে বা মানিয়েছে কেমন !

    নি:শব্দের তর্জনী
    ...............................

    কাল সন্ধেবেলা তোমাকে গান শোনাচ্ছিলাম. খানিকক্ষণ সব ঠিকঠাক ছিল. তারপর আমার খুব ..কী জানি কেন ..গাইতে ইচ্ছে করলো, "খেলার সাথী, বিদায় দ্বার খোলো , গেল যে খেলার বেলা ." অমনই তোমার গলার স্বর কেমন পালটে গেল. তোমায় দেখতে পাচ্ছিলাম না. দুজন ছিলাম দূরভাষের দু'প্রান্তে. আচ্ছা, যখনই এই গানটা আমি গাইতে যাই, তুমি সাধারণত মাঝপথে আমায় থামিয়ে দাও. ওই চার পংক্তির গান, তাই এখনো পর্যন্ত কিছুতেই পুরোটা গেয়ে উঠতে পারলাম না. কেন ? দু কলি গাইবার পরেই তুমি বল " ফোন রাখছি" . আমি জিজ্ঞেস করি ,"কেন "? " এই গানের দু'কলির পর আর শুনতে নেই. চুপ করে যেতে হয়. পুরোটা শোনার দরকার নেই তো !আচ্ছা, তুমি কি নৈ:শব্দ্যের সরব উপস্থিতি একটুও বুঝতে শিখবে না ?"

    আমি তোমায় কখনো বলিনি. কতটুকু জানো তুমি আমার কথা ? আমার দৈনন্দিনতা কথা বলে. রোজের নিয়মে হাসি কান্না ভালো লাগা মন্দ লাগায় আপ্লুত হয়. কিন্তু আমার মন শুয়ে থাকে. চুপ করে. মরশুমী ফুলে ঝিরিঝিরি পাখা প্রজাপতি যেমন নিস্পন্দ.

    আজকাল চুপ করেই থাকি তো . বেশিরভাগ সময়ে . এমনকি আগে সমুদ্র দেখতে ভালবাসতাম. নাকি বলা ভালো, সমুদ্র শুনতে. ঢেউ আসে, ঢেউ ভাঙে , ঢেউ ফিরে যায়. আমি বলতাম "বাঙ্ময় নীরবতা". আজকাল ওই গর্জন অসহ্য লাগে . মনে হয়, এত শব্দ ! আমি বধির হয়ে যাব !

    পাহাড়ে যেতে চাইতাম না . অত নীরবতা ভালো লাগত না. মনে হত চুপ করতে বলছে আমাকে. চোখ দিয়ে নীরব ভর্ত্সনা . আমি ইচ্ছে করে চেঁচিয়ে প্রতিধ্বনি ছড়িয়ে দিতাম ওই আকাশে. ঐটুকুই আমার প্রতিবাদ. নিস্তব্ধতার বিরুদ্ধে. এখন আর যাই না. মনে হয়, আ : , পাহাড় এত শব্দ করে কেন ? নিস্তব্ধতারও এত সোচ্চার উপস্থিতি !
    সেদিন একটা ইংরিজি কবিতা পড়ছিলাম. আমার খুব প্রিয় কবি এমিলি ডিকিনসন . তোমাকে বললাম, "শুনবে? এটা ওই নীরবতার ওপর." "জানো তো, আমার ম্লেচ্ছ ভাষায় পড়তে ইচ্ছে করে না. যাও না, একটু চুপ করে থাকতে চেষ্টা কর.পদ্যটা বরং অনুবাদ করে আন " . আজ অনেক দিন বাদে...তাই মুখে কুলুপ এঁটে ..কবিতাটি তোমার জন্য :

    প্রবাস থেকে যখন অপ্রবাসে
    যে মুহূর্তে দরজাটুকু পার
    সংশয়েতে , অচেনা মুখ যদি
    চিনতে তাকে নাই বা পারি আর

    অচেনা চোখ শূন্য দৃষ্টিতে
    যদি বা বলে , কোন কারণে আসা
    কেমন করে বলি এই জীবনে
    এখনও তো এই ঘরেতেই বাসা

    ছটফটিয়ে নিজের দিকে দেখি
    ছটফটিয়ে জানালা আধখানা
    নৈ:শব্দ্য আঙুল তুলে ডাকে
    ঢেউ বলছে , "আয় না সুচেতনা "

    আমার ঠোঁটে হালকা কেজো হাসি
    আমার চোখ ভয়তরাসে কাঁপে
    দরজা খুলে হয়ত মুখোমুখি
    বিপদ আর মৃত্যুর বিলাপে

    তার চাইতে বন্ধ রাখা ভালো
    আমার হাত ..থিরথিরিয়ে...ভাবি
    এই বুঝি বা দরজা ভাঙে বুকে
    আমি না হয় হারিয়ে ফেলি চাবি

    চমকে উঠি , হাত সরিয়ে রাখি
    সাবধানেতে , ঠুনকো কাচের মতো
    দু'কানে আজ শব্দে বধিরতা
    ভাবনাঘর পিছিয়ে পড়ে তত !

    চুপকথা আর চুপকথা . চল না, এই ঠিক- ভুলের অন্তহীন দ্বৈরথে নাই বা গেলাম. বরং দেখা হোক রোজের সীমানা পেরিয়ে . যেখানে আমাদের চেতনা চুপটি করে বসে থাকবে সবুজ মখমলী ঘাসের গহীনে . সারা পৃথিবী জুড়ে আছড়ে পড়বে শব্দরা, আমরা কথা বলব না. বন্ধ করে দেব কথার কুরুশকাঠি দিয়ে মন পড়ে নেবার বুনন. দেখো, কেমন অন্যরকমভাবে রঙের বাহারে ঝলমলিয়ে উঠবে নৈ :শব্দ্যের স্বর্ণিম আলোমাখা আমাদের এই নকশিকাঁথা জীবন ! >
  • kumu | 132.176.***.*** | ২৩ মার্চ ২০১৩ ১৪:১৮600268
  • তৃষা,মরমী লেখা,সুন্দর অনুবাদ,বড় ভাল লাগলো।
    আরো লিখুন।
  • Blank | 69.93.***.*** | ২৩ মার্চ ২০১৩ ১৫:২২600269
  • ভালো
  • siki | 132.177.***.*** | ২৩ মার্চ ২০১৩ ১৬:১১600270
  • ভালো লাগল। আরো এগোক।
  • তৃষা | 233.239.***.*** | ২৪ মার্চ ২০১৩ ১২:৪৮600271
  • <মৃগী ও নিষাদ
    ......................

    "নিজেকে নিয়ে এত ভেবো না তো ! তুমি জানো , বোঝো সাধারণ মানুষ কীভাবে বেঁচে থাকে ? যাপনসুখের পায়রা হয়েই তো রোজ দানা খুঁটে খুঁটে খাওয়া আর নিশ্চিন্তে বসে টুকিটাকি দু:খবিলাস . বেশ দার্জিলিং -এর ঠাণ্ডায় ফায়ারপ্লেসের সামনে বসে হাতে হাত ঘষা , একটু একটু কেঁপে ওঠা, লাল টুকটুকে নরম পশমী শালটা ...এই তো রাংতামোড়া শীতবোধ ! "

    আমি জানি, তুমি এমনটাই ভাবো . দোষ দিই না আর. মনে মনে হাসি. সুখের সংজ্ঞা কেমন প্রতিটি মুহূর্তে বদলে যায় ! সারাক্ষণ এই নিজের সঙ্গে চোর পুলিশ খেলা. কাকে সুখ বলে ?

    তোমাকে আমি আজ এক গোলাপসুন্দরীর গল্প বলব . খুব সুখের জীবন. নিরাপত্তার জলছবি . বৈভব যেন জড়িয়ে থাকত আসমানী নীল শাড়ির আঁচলে জরির বাহার সাজিয়ে. তার সামাজিক স্বীকৃতি ছিল . পুতুলের সংসার ছিল . না-মাতাল, না-ধূমপায়ী স্বামীটি , দু'টি আত্মজর জন্য উচাটনী মন , সব সব ছিল .

    সুখের আলগা ভাঁজে দু:খের কাচপোকা টিপ . তাও ছিল . কিরকির কিরকির করে টিপপোকা ঘুরে বেড়াত আর সুন্দরীকে কথা শোনাতো , " শ্রম দাও. সব পাবে. মাথার ওপর ছাদ পাবে , ঘরের চারটে দেওয়াল পাবে, দু’বেলা দু মুঠো খেতে পাবে . বাড়তি পাবে শাড়ি , জামা, খাট- বিছানা , গয়নাগাঁটি . সবার মুখে হিংসের রং . দাম্পত্যের শীতলপাটি. "

    দিন যায়. রাত আসে. আবার দিন. আবার রাত.

    সুন্দরীর এক অসম প্রতিপক্ষ তৈরী হয় . তার সঙ্গে সতত যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা. সুন্দরী , সে ঢের বেশি শক্তি ধরে . তবুও এক অসম রণে সামিল . এ এক অদ্ভুত দড়ি টানাটানির খেলা . সুন্দরীকে হ্যাঁচকা টানে উপড়ে নিয়ে যায় . মাঝের খড়ির গণ্ডি প্রায় ছুঁয়ে ফেলা . আবার মনের জলে ভেসে ওঠে আবছা কোনো মুখ . দাঁতে দাঁত চেপে যুদ্ধে জিতে সুন্দরী ফিরে আসে এপারে . তার চিকন পেলব হাতে দড়িটা কেটে বসে, টিপটিপ রক্ত, কখনো বা ফালাফালা. তবুও নিজের দিকে ফিরে আসা , ফিরে দেখা . প্রতিপক্ষ অসহ্য আক্রোশে ছটফট করে . এবারেও ওর জেতা হয় না .

    কিন্তু কতদিন ? আর কতবার ? এখন খুব ক্লান্ত লাগে সুন্দরীর . দড়িটা টানাটানিতে কেমন কমজোরি ঠেকে আজকাল . প্রতিপক্ষ চুপচাপ মিচকি হাসে . অপেক্ষায় থাকে, একবার মাঝখান থেকে দড়িটা ছিঁড়ে গেলেই হুমড়ি খেয়ে দেমাকী সুন্দরী ওর সীমানার মধ্যে !

    ও নিশ্চুপে অপেক্ষা করে আছে . শুধু ওই একটি মুহূর্তের জন্য .
    জেতা আর হারার মধ্যে একটা পলকা সুতোর ব্যবধান .

    গল্প এখানেই কিন্তু শেষ নয় . বাকিটা তোমার জন্য. কিছু বোঝা. কিছু না বোঝা. কিছু সংশয় . কিছু আলোছায়া.

    আজও একটি কবিতা. সিলভিয়া প্লাথ . আমার নিজের মতো করে . গল্পের শেষে. তোমার জন্য সবুজ সংকেত .

    নারীটি কী নিখুঁত ভাস্কর্য
    তার মৃত

    অবয়ব ধারণ করেছে বঙ্কিম হাসির বিভ্রম
    গ্রীক সুষমার অলীক মায়া

    বয়ে যায় তার অঙ্গভূষার রেখার বিভঙ্গ ধরে
    তার নগ্ন

    পা দু'টি ডেকে ডেকে বলে
    এতটা পথ পেরিয়ে এসে...অবশেষে

    দু’টি মৃত শিশু গুটিশুটি মেরে শ্বেত সর্প যেন
    দু'টিতে ঘুমিয়ে আছে

    আনত স্তনভাণ্ড জুড়ে ..এখন যা শূন্যগর্ভ
    নারীটি তাদের

    শরীরে ফিরিয়ে নেয়..ফুলের পাপড়ির মতো
    গোলাপ পাপড়িটি যেন আলতো ভাঁজেতে , ঠিক সেই..যখন বাগান

    রুখুশুখু চেহারায় , সুরভিতে শ্রান্ত রক্তপাত
    রাতের ফুলটি থেকে...মিঠে..গাঢ় ... ত্রিবলী পেরিয়ে

    চাঁদের তো কারণই ছিল না..দু:খবিলাসের
    তার দৃষ্টি ছুঁয়ে যায় সুন্দরীর অস্থি ও করোটি

    নারীর এ অভ্যেস আজন্মলালিত
    কৃষ্ণছায়াটি ভেঙে যায়...অক্লেশে..মন্থর..অন্তিম... .>
  • pharida | 192.64.***.*** | ২৪ মার্চ ২০১৩ ২২:১৪600272
  • বাহ।
    দারুণ নতুনতর অভিজ্ঞতা হল এই লেখা দুটোতে।
    প্রত্যাশা বেড়ে গেল, বিদেশি কবিতার সঙ্গে এই রকম আলাপ আগে তেমন হয়ে ওঠে নি।

    আরো চাই, দাবি রাখি।
  • nina | 79.14.***.*** | ২৪ মার্চ ২০১৩ ২২:২২600273
  • বাহ!
    ফরিদার সঙ্গে আমিয়ো গলা মেলালাম--
  • তৃষা | 233.239.***.*** | ২৫ মার্চ ২০১৩ ০৯:৫৬600274
  • চিকন দু:খ
    ......................

    বিকেলবেলায় খেলতে যেতাম রোজ . সবুজ মাঠ , দোলনা , স্লিপ . কখনো বা ছাদে খড়ি দিয়ে দাগ কেটে সেফটিপিনের গোছা ছুঁড়ে এক্কা দোক্কা. শুধু বর্ষাদিনে বড্ড মনখারাপ লাগত . বৃষ্টি ভালো. সারাদিন হোক. কিন্তু বিকেলের ওই সময়টুকু রোদ্দুর থাকুক. নইলে যে আমিও চারদেয়ালে , অন্তরালে.

    ছবি দেখি . পুরনো. বৃষ্টি কমে এল কি ? কই , না তো ! এখনও ঝিরঝির , ঝিরঝির . খেলতে যাওয়া যাবে না. আমি জানালার পাশে , এমন জোরে মুখ চেপে ধরেছি গ্রিলে , যে মুখ জুড়ে আঁকিবুকি আলপনা . বাইরেটা কী সুন্দর ! গাছের পাতাগুলো ভেলভেটের মতো জল মেখে চিকচিক , একটু একটু বিকেলের ব্রোঞ্জ রং আলো চুঁইয়ে আসছে বৃষ্টির মসলিন পর্দা ভেদ করে. আমার দু:খ ..অথচ এ সব দেখে অন্যরকম সুখ..

    আরে , রাস্তা পেরিয়ে ছুটে গেল একটা সাদা কালো বেড়াল , তিনটে শালিখ পাখি ত্রিভুজ হয়ে ভিজে ঘাসে কেমন পোকা খুঁজছে . হলুদ ঠোঁট , কালচে বাদামী ডানায় একটা দুটো বৃষ্টিদানা . আকাশের বুক চিরে খুব আবছা রামধনু. আমার একটু একটু দু:খ . চিকন দু:খ.

    ছোটবেলা পেরিয়ে এলাম হরিণ পায়ে . চিকন দু:খ এখন খসখসে , অমসৃণ . দৈনন্দিনতার ঘেরাটোপ ছাপিয়ে উপচে আসা . দু:খ কি মানুষকে মানসিক প্রসারতা দেয় ? দু:খ কি আমাদের আনতি শেখায় , আর এই সঙ্গে উত্তরণের পথে হাত ধরে এগিয়ে নিয়ে যায় ? দু:খের অন্ধকার ঘরটির চৌকাঠ পায়ে পায়ে পেরোতে পারলেই কি বন্ধ মুঠি খুলে দেখতে পাব আলোর ফুলকি ? সহনক্ষমতার শিরীষ কাগজে ঘষে ঘষে .. পারব কি...অমসৃণতা পেরিয়ে আবার আমার ওই ফেলে আসা, চিকন দু:খের আকাশপটে রঙের জাদু ছড়াতে ?

    তোমাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম. তুমি কিচ্ছুটি না বলে আমার হাতে তুলে দিলে একটা ছেঁড়া পাতায় লেখা সেই এমিলি ডিকিনসনের কবিতা. বললে, "পড় , বোঝো . লেখো . নিজের মতো করে .."

    তাই..আজ.. এটি ..তোমার জন্য...

    কষ্টের ধারাপাত শেষ . নিয়মমাফিক অনুভব.
    স্নায়ুরা আসনপিঁড়ি . কবরেতে যত চেনা শব .
    হৃদয়টি কুলিশকঠোর . জেনে নেয় , কে নিল এ ভার ?
    সাম্প্রতিক অতীত, নাকি শতাব্দী পেরিয়ে আবার....

    পায়ে পায়ে যান্ত্রিকতা ফেরে
    ভূমিতলে পথ যেন ঠিক
    দারুময় অথবা বায়ুভূত
    নাকি এভাবেই ভাবা ভালো..
    স্ফটিকস্বচ্ছ আর
    পাথর প্রাগৈতিহাসিক ?

    এখনই তো সময় সীসের মতো ভার.
    স্মৃতিতে যদি বা বেঁচে থাকি
    হিম হিম বরফ কফিনে ..
    শীতবোধে , অচেতনে ..
    সবশেষে মুঠি খুলে রাখি...
  • chirantan | 122.79.***.*** | ২৫ মার্চ ২০১৩ ১৫:১০600275
  • asadharan lekha, onubad je eto jibonto ebong eto kachher hote pare ta onuvob korlam.....
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন