এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ইঁদুর-মানুষদের গল্প ও টিকাসমূহ

    sosen
    অন্যান্য | ০৭ ডিসেম্বর ২০১২ | ৬১৪১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • lcm | 34.4.***.*** | ১১ ডিসেম্বর ২০১২ ০৮:২৬583025
  • সে অনেক গপ্পো, এ নিয়ে পরে হবে। আপাতত, এই বিবিসি নিউজ লিংক -
    Have India’s poor become human guinea pigs?
    http://www.bbc.co.uk/news/magazine-20136654
  • S | 81.19.***.*** | ১১ ডিসেম্বর ২০১২ ০৮:২৭583026
  • রেবেকা স্ক্লুট NPR এর ফ্রেশ এয়ারে এসেছিলেন ওনার লেখা বইটি নিয়ে কথা বলতে। বইটি পড়া না থাকলে এই প্রোগ্রামটা শুনতে পারেন।
    http://www.npr.org/2010/02/02/123232331/henrietta-lacks-a-donors-immortal-legacy
  • sosen | 111.63.***.*** | ১১ ডিসেম্বর ২০১২ ০৯:৪৯583027
  • সেই স্পেস মনে হয় আমার লেখায় দেওয়া আছে-"কি কারণে জর্জ গে লুকিয়ে রেখেছিলেন HeLa কোষের জন্মাতিহাস, তা নিয়ে আছে প্রশ্নচিহ্ন। কেউ অনুমান করেন , হেনরিয়েটার আফ্রো-আমেরিক্যান অরিজিনই এর কারণ। সিভিল মুভমেন্টের আগে, কালো মানুষের দেহাংশ নিয়ে ছুঁতমার্গ তো ছিলই। গে'র মৃত্যুর আগেই কমার্শিয়ালাইজড হয় হেলা কোষ। স্যাক ইন্সটিটিউটে পোলিও ভ্যাকসিন তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয়। মহাশূন্যে পাঠানো হয়, শূন্য গ্র্যাভিটিতে তার বৃদ্ধি কিভাবে এদিক ওদিক হয় দেখার জন্য। গে এই বানিজ্যিকরণের একজন প্রধান শেয়ারহোল্ডার ছিলেন। বহু পেপারে হেলেন লারসন বা হেলেন ল্যান নামে হেলার দাত্রীর বিবরণ দেওয়া হয়। এই পুরো সময়ে গে হেনরিয়েটার ফাইল নিজের কাছেই রাখেন, এবং এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
    ১৯৭০ এ অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারে গের মৃত্যুর পর, ১৯৭১ এ গে'র সহকর্মী বন্ধুরা জনস হপকিন্সের নিজস্ব প্রকাশনায় জানান হেনরিয়েটার নাম। তাঁরা দাবি করেন ডেভিড ল্যাকস তাঁদের মৌখিক অনুমতি দিয়েছিলেন গবেষণার কাজে তাঁর স্ত্রীর দেহাংশ ব্যবহার করতে। এর পর থেকে, একের পর এক প্রবন্ধে হেনরিয়েটার নামোল্লেখ হয়। ১৯৭৪ এ সায়েন্স ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয় প্রবন্ধ " HeLa (for Henrietta Lacks). " যা কিনা প্রায় স্বীকৃতিই বলা চলে।"
  • sosen | 111.63.***.*** | ১১ ডিসেম্বর ২০১২ ১০:০২583028
  • আর,

    "Name: sosen

    IP Address : 126.203.200.47 (*) Date:08 Dec 2012 -- 10:02 PM

    ইচ্ছাকৃত গিনিপিগ গড়ার কথা নিয়ে এই লেখাটা না। যেসব রিসার্চ থেকে থেকে কিছু পজিটিভ আউটকাম এসেছে তাদের হিউম্যান সাবজেক্টদের জীবন সম্পর্কে যদি কিছু জানা গিয়ে থাকে সেটা জানানোর চেষ্টা। ইঁদুর মানুষ বলতে কেউ বানিয়েছে বা গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করেছে এটা আমার উপজীব্য নয়। জাস্ট এঁদের প্রায় না জানা জীবন সম্পর্কে কিছু জানা গেছে কিনা সেটা খোঁজা।"

    আগেও বলেছি , এবার ও বললাম। গবেষণার প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়েছে, এবং নাম ধাম জানা আছে, এমন লোকেদের নিয়েই আমার লেখা। বেআইনি ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল নিয়ে নয়, কারণ সেই আলোচনা অন্য ভাবে যাবে। যাদের ব্যবহার করা হয়েছে , তাদের ব্যবহার সবসময় অন্যায় বা অনৈতিক হতেই হবে তা নয়। কিন্তু অবজেকটিফাই করার প্রবণতা থাকবে। সেটা যাকে ব্যবহার করা হচ্ছে তার দিক দিয়ে কেমন দেখায় সেটা দেখাতে চাইছিলাম, এবং সেজন্য কোনো গণ এক্সপেরিমেন্ট বা নথিভুক্ত নয় এমন ট্রায়াল দেখানো সম্ভব নয়। ইঁদুর মানেই অত্যাচারিত , অনৈতিক ভাবে ব্যবহৃত এমনটা তো নয়। সেটাই সকলে ধরে নিচ্ছে। সেক্ষেত্রে আমি নিজের চিন্তাভাবনা বা কেন এই লেখাটা হচ্ছে সেটা বোধহয় কনভে করতে পারছিনা। নিজের চিন্তাকে যদি পাঠকের চিন্তার সাথে রিলেট করাতে না পারি তবে ক্ষান্তি দেওয়াই সঙ্গত। পরে অন্য কোনো ফর্মে লেখা যাবে। ব্যর্থ প্রয়াস বলেই ধরে নিলাম।

    যাঁরা পড়েছেন ও মতামত দিয়েছেন তাঁদের ধন্যবাদ।
  • pi | 127.194.***.*** | ১১ ডিসেম্বর ২০১২ ১০:০৭583029
  • আরে তুমি তোমার মত লেখো না। কোনোভাবে 'ব্যবহৃত' হওয়া নিয়েই লেখো।
  • i | 147.157.***.*** | ১১ ডিসেম্বর ২০১২ ১০:১১583030
  • এইটা কি হইল সোসেন?
    লেখকের চিন্তায় আর পাঠকের চিন্তায় মিলবেই এমন কোনো কথা আছে নাকি? বরং লেখক পাঠককে ভাবাবেন, সে ভাবনার গতি বহুমুখী হবে, একটা লেখা বহু লেখার , বহু আলোচনার জন্ম দেবে সেটাই কাম্য। তাই না?
    ব্যর্থ প্রয়াস কেন হবে? এত মতামত আসছে তো লেখা ব্যর্থ নয় বলেই। লেখা পাঠককে না ভাবালে তো কেউ কিছু লিখতেনই না। সেটাই ব্যর্থ লেখা হত।
    তুমি লিখে যাও। থামিও না। একদম না।
  • pi | 127.194.***.*** | ১১ ডিসেম্বর ২০১২ ১০:১৭583031
  • ইন্দ্রাণীদির সাথে একমত। লিখতে থাকো।
  • sch | 132.16.***.*** | ১১ ডিসেম্বর ২০১২ ১১:৪১583032
  • আচ্ছা সোসেনদিদি আমায় এখানে প্রায়সয়ই আমায় গাল দেন লোকজনকে কিঞ্চিত কিলোতে চাই বলে, রেগে যাই বলে। কাজটা ভালো নয় আমিও মানি ...কিন্তু দেখছেন তো কিঞ্চিত রাগের প্রয়োজন আছে...নইলে কেউ কিছু বললেই আপনি গোমড়া মুখে অন্যদিকে হাঁটা দেবেন এইটা কি কাজের কথা। বলুন দেখি...রেগে যান...বিরোধীদের কড়কে দিন...আমাদের প্রাতোস্মরণিয়া দিদির মত হন...নিজেকে রাজা ভাবুন...বাকিদের ভৌ ভৌ। লেখা চলুক...থামলে রেগে যাব।
  • Sibu | 118.23.***.*** | ১১ ডিসেম্বর ২০১২ ১২:০৬583033
  • একটা তাইকুন্ডু ব্ল্যাক বেল্ট হলে কি রাগ কত্তে সুবিধে হবে? তাইলে বোতীনকে বলি দিদিরটা চেয়ে আনুক।
  • lcm | 34.4.***.*** | ১১ ডিসেম্বর ২০১২ ১২:২২582916
  • আমরা সকলে লুই পাস্তুর-এর কথা জানি, কিন্তু জোসেফ মিস্টার-এর কথা জানি না। জানার কথাও নয়, জানার কোনো কারণ নেই। উইকি থেকে -
    ... vaccine was first used on 9-year old Joseph Meister, on July 6, 1885, after the boy was badly mauled by a rabid dog. This was done at some personal risk for Pasteur, since he was not a licensed physician and could have faced prosecution for treating the boy. After consulting with colleagues, Pasteur decided to go ahead with the treatment. Meister did not contract the disease. It is sometimes said that Pasteur saved the boy's life, but this cannot be maintained with certainty, since the risk of contracting rabies after such an exposure is estimated at around 15%. Nonetheless, Pasteur was hailed as a hero and the legal matter was not pursued. ...
  • sosen | 24.139.***.*** | ১১ ডিসেম্বর ২০১২ ১২:৪১582917
  • রাগের কথা আসছে কেন? সবার মতামত ও অবশ্যই স্বাগত। লেখার উদ্দেশ্য আর সাবজেক্ট ক্লিয়ার করে বোঝাতে পারিনি বলে বন্ধ করছি। আদৌ প্রয়োজনীয় বলেও মনে হচ্ছে না। এতে রাগের কিছু নেই। :)
  • kumu | 132.16.***.*** | ১১ ডিসেম্বর ২০১২ ১২:৪৮582918
  • সোসেন,আমার তো খুব প্রয়োজনীয় মনে হচ্ছে তোমার এই লেখাটা,ই ঠিক বলেছে,এতজনকে ভাবানোতেই তো বোঝা যাচ্চে লেখাটি প্রাসঙ্গিক।
    যতটা লিখবে ভেবেছ,লেখো-খুব গুরুত্বপূর্ণ লেখা হচ্ছে/
  • Lama | 127.194.***.*** | ১১ ডিসেম্বর ২০১২ ১৩:০৬582919
  • মোটেই ব্যর্থ প্রয়াস নয়। লেখাটার উদ্দেশ্য আমি অন্তত পরিষ্কার বুঝতে পেরেছি। নিশ্চয় আরো অনেকে বুঝতে পেরেছেন। যাঁরা এথিকস বা অন্য কোনো দৃষ্টিকোণ থেকে কিঞ্চিৎ ভিন্নমত পোষণ করছেন তাঁরাও অনেকটাই অনুভব করতে পারছেন লেখকের অবস্থানটা (পাঠক তাঁকে পুরোপুরি বুঝতে পারবে এমন সৌভাগ্য কটা লেখকেরই বা হয়? দাদুর পর্যন্ত হয় নি)। লেখকের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে যাঁরা আদৌ ভাবছেন না তাঁরাও আগ্রহ পেয়েছেন। অনেকের অনুসন্ধিৎসা বেড়েছে, অনেকে অনেক প্রশ্নের উত্তর পাচ্ছে। আর কি চাই? এরকম 'সফল' লেখা গুরুতে তো বটেই, বাংলায় খুব বেশি পড়েছি বলে মনে পড়ে না।

    মোদ্দ কথা, গাছে তুলে দিয়ে মই কেড়ে নেওয়া চলবে না, চলবে না। লেখাটা চলতে থাকুক এই আমাদের দাবি।
  • kumu | 132.16.***.*** | ১১ ডিসেম্বর ২০১২ ১৩:১৩582920
  • আমিও লামার সঙ্গে চ্যাঁচাচ্ছি,যতক্ষণ সোসেন না লিখচে------
  • lcm | 34.4.***.*** | ১১ ডিসেম্বর ২০১২ ১৪:০০582921
  • আহা, লিখতে মানা করসে কেডা। সোসেন আলবাৎ লিখবা। উদ্দেশ্য/বিধেয় নিয়া চিন্তা করিও না, প্রাসঙ্গিকতা নিয়া অত ভাবিও না, প্রয়োজনীয়তা দিয়াই বা কি হইব, শোষিতের কথা হইতেই হইব এমন বাধ্যবাধকতাও তো নাই। সুতরাং, শ্যাষ কথা হইল ল্যাখো - কলমখান থামাইও না।
  • a x | 138.249.***.*** | ১১ ডিসেম্বর ২০১২ ২২:৪৪582922
  • এ কেমনতর কথা! লোকে উৎসাহী হচ্ছে বলেই না মতামত দিচ্ছে! কত টই পড়ে থাকে কেউ কিছু লেখেনা, তাও লোকে লিখে যায়।

    এই যে আমি ডকুটার লিংক দিলাম তাতে হেনরিয়েটার মেয়ে, ভাইপো, ভাই কত কথা বলেছে, সেসব কেউ দেখলনা, আমি কি রাগ করেছি নাকি লিংক দেওয়া থামিয়েছি?
  • sosen | 125.24.***.*** | ১১ ডিসেম্বর ২০১২ ২২:৫৭582923
  • অক্ষদা , দেখিছি। :)
    আর বইএর রিকুইজিশন দিয়েছি কিন্ডল লাইব্রেরিতে, দেখি কেউ শেয়ার কল্লে আপনাকে পাঠাব।
  • PM | 93.23.***.*** | ১১ ডিসেম্বর ২০১২ ২৩:২৭582924
  • এটা আবার কি হলো। মন দিয়ে পড়ছিলাম তো!!!! ঃ(

    মানুষের মেমরী সংক্রান্ত অংশটা মুল লেখার অংশ না হলেও খুব ভাবাচ্ছে
  • aranya | 78.38.***.*** | ১২ ডিসেম্বর ২০১২ ০৯:২০582925
  • অসাধারণ হচ্ছিল টই-টা। সোসেন-কে সেলাম। এটা আরও এগোলে ভাল লাগবে।
  • de | 190.149.***.*** | ১৭ ডিসেম্বর ২০১২ ১২:৩০582927
  • সোসেন, এটা আর এগোবে না? ভারী ভালো লাগছিলো পড়তে -- বায়োলজি আমার অতি অপছন্দের সাবজেক্ট ছিলো এককালে, তোমার লেখা সেই নীরস সাবজেক্টকেও সরস বানিয়েছে -- আরো জানতে পারলে খুব ভালো লাগতো --
  • sosen | 125.242.***.*** | ১৭ ডিসেম্বর ২০১২ ১৩:১০582928
  • আপাতত আমি মাইক্রোবায়োলজির আক্রমণে উল্টে আছি, ইচ্ছে থাকলেও উপায় নাই-:)
  • Ekak | 69.99.***.*** | ১৭ ডিসেম্বর ২০১২ ১৩:১৪582929
  • মাইক্রব রা এলিজি লেখার ভার নিয়েচে ? :O
  • de | 69.185.***.*** | ১৭ ডিসেম্বর ২০১২ ১৮:০৬582930
  • সাবধানে থেকো সোসেন! সেড়ে উঠে এই টইটা এগিও!
  • sosen | 125.24.***.*** | ২৪ জানুয়ারি ২০১৩ ১৯:৪৬582931
  • আসলে কে আমরা? কি আমাদের সঠিক পরিচিতি? যে আমি মাতৃগর্ভ থেকে পৃথিবীতে এলাম সেই আমি-ই কি আসল আমি? নাকি এই পৃথিবীর লালন, আঘাত, যন্ত্রণা, আনন্দ ঠিক করে দেবে আমাদের আত্মপরিচিতি?

    আমাদের পরিচিতির কতটা অংশ আমাদের যৌনতা? নারী ও পুরুষের দ্বিমুখী বেড়ে ওঠা, সমাজের বানিয়ে দেওয়া জুতোয় পা গলানো, নারী শিশু হলে হাতে তুলে নেওয়া পুতুল আর পুরুষ শিশুর ক্রিকেট ব্যাট? আর এই জেন্ডার স্টিরিও-টাইপিং এর বাইরে গেলে টমবয় , বা "sissy " আখ্যা দেওয়া?

    আধুনিক পৃথিবীতে শিক্ষিত মা-বাবারা দ্রুত বেছে নিচ্ছেন জেন্ডার-ইন্ডিপেন্ডেন্ট পেরেন্টিং। শিশুর যৌনতা হতে পারে নেহাতই দ্রব। জন্মগত যৌন পরিচয়ের সঙ্গে সে একাত্ম বোধ না-ও করতে পারে। শৈশবে লিঙ্গপরিচয়ের গুরুত্ব কমে এলে কমে শিশুর উপর সামাজিক অনুসরণের চাপ। অনেক ক্ষেত্রেই এই চাপ শিশুকে বিভ্রান্ত করে, যখন কন্ফর্মিটি বা নন- কন্ফর্মিটির কারণ জৈবিক।

    কি হয়, যখন যৌন পরিচিতি ছাপিয়ে যায় আমাদের স্বাভাবিক পরিচিতিকে? কতটাই বা জন্মগত যৌন পরিচয়ের পরিধি? আর কতটা লালন পালন ও পরিবেশগত লিঙ্গ পরিচয়ের?

    ১৯৬৬ সাল। কানাডার ম্যানিটোবা প্রদেশে এক নেহাতই ছেলেমানুষ দম্পতির দুই যমজ ছেলে । ফুটফুটে ছেলেদুটির একটু জন্মগত অসুবিধা রয়েছে পুরুষাঙ্গে, যাকে বলে ফিমসিস। গুরুতর কিছুই নয়, পুরুষাঙ্গের মুখের চামড়া একটু জোড়া। ডাক্তার পরামর্শ দিলেন, সারকামসিশন করিয়ে নিতে। সারকামসিশন করাতে গিয়ে বিপত্তি। ডাক্তার বেছে নিয়েছিলেন টিসু পুড়িয়ে সারকামসিশন করার পদ্ধতি, একটি শিশুর ক্ষেত্রে তা ঠিকমত কাজ করল না, আর শিশুটির সম্পূর্ণ পুরুষাঙ্গটি পুড়ে নষ্ট হয়ে গেল। দ্বিতীয় শিশুর ক্ষেত্রে ভয় পেয়ে মা বাবা আর ঝুঁকি নিলেন না, বাড়ি ফিরে এলেন।
    মাত্র আট মাসের পুরুষাঙ্গহীন শিশুটিকে নিয়ে অল্পবয়সী, সামান্য শিক্ষিত এই কৃষক দম্পতি তখন দিশাহারা। কি হবে এই শিশুর ভবিষ্যৎ? সুস্থ, সুখী জীবন যাপন করতে পারবে কি কখনো সে? ব্যয়বহুল চিকিত্সা করাও তাঁদের সাধ্যাতীত। এই সময়, জন হপকিন্স হাসপাতালের গবেষক ও ডাক্তার জন মনির একটি অনুষ্ঠান টিভিতে দেখলেন তাঁরা।
    জন মনি কাজ করছিলেন, সেক্সুয়াল রি-এসাইনমেন্টের উপর। তাঁর থিওরি, যে সকল শিশুদের জন্মগত বা অন্য কারণে পুংলিঙ্গের বিকাশ সঠিক হয়নি, হরমোন থেরাপি, সার্জারি ও সাইকোথেরাপির সাহায্যে তাদের মেয়ে হিসাবে বড় করা সম্ভব এবং সমাজে স্বাভাবিক জীবনযাপনের মধ্যে ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
    সেই সময় মনি তাঁর রিসার্চ চালাচ্ছিলেন জন হপকিন্সে প্রায় ৪০-৪২ জন শিশুর উপর, যাদের জন্মগত কারণে পুরুষাঙ্গ ঠিকমত তৈরী হয়নি,অপরিণত (যাকে ডাক্তারি পরিভাষায় মাইক্রোপেনিস বলা হচ্ছে) তাদের মেয়ে হিসাবে নতুন লিঙ্গ পরিচয় দেওয়ার। এই দম্পতি তাঁদের শিশুকে নিয়ে গেলেন মনির কাছে। জানতে, সার্জারী ও থেরাপির মাধ্যমে তাঁদের শিশুটিকে দেওয়া সম্ভব কি একজন মেয়ের পরিচয়?
    রোগী আইডেন্টিকাল যমজ শিশুর একজন হওয়ায়, মনির কাছে এই কেস খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠলো। এক্ষেত্রে তিনি দেখানোর সুযোগ পাবেন, যে দুই শিশুর জেনেটিক মেক-আপ এক হওয়া সত্ত্বেও, লালন-পালন, হরমোন থেরাপির সাহায্যে একজন পুরুষ ও একজন নারী হিসাবে বড় হতে পারে। সাগ্রহে মনি গ্রহণ করলেন কেসটি। ২২ মাস বয়সে, ছোট্ট শিশুটির শরীরে দুটি অপারেশনের মাধ্যমে তলপেটে কৃত্রিম মূত্রদ্বার গঠন করা হলো, এবং শুক্রাশয় বাদ দেওয়া হলো। ভাই ব্রায়ানের সঙ্গে মিলিয়ে তার নতুন নাম হলো ব্রেন্ডা। শুরু হলো মেয়ে হিসাবে ব্রেন্ডা র বড় হয়ে ওঠা।
    হরমোন থেরাপির সঙ্গে শিশুটির সাইকোথেরাপি ছিল জরুরি। মনি বিশেষ প্রশিক্ষণ দিলেন ব্রেন্ডার মাকে। লেসে ভরা গাউন, হেয়ার রিবন থেকে শুরু করে, ছেলেদের সাথে মেয়েদের পার্থক্য নির্দেশ করা,ছোটবেলা থেকে মেয়ে হওয়াতে অভ্যস্ত করানো ছিল ব্রেন্ডার মায়ের কাজ। জন মনিকে চিঠিতে মা লিখেছেন, দাঁড়িয়ে ইউরিনেট করার স্বাভাবিক অভ্যাস শুরু হওয়ার সময় কিভাবে তিনি ব্রেন্ডাকে মেয়েদের স্বাভাবিক ধরনে ইউরিনেট করতে শিখিয়েছেন। ইউরেথ্রার পুরুষালি গঠনে এবং সার্জারির কারণে ব্রেন্ডা অনেক সময়েই তা করতে পারত না, টয়লেট সিট ভিজিয়ে ফেলত। তলপেটে আঙ্গুলের চাপ দিয়ে তাকে মূত্রত্যাগ করতে হত, কিন্তু ধীরে ধীরে সে এটাই স্বাভাবিক বলে মেনে নেয়।
    প্রত্যেক বছর জনস হপকিন্সে দুটি শিশুকে পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হত। বৃন্দার জীবনীকার জানিয়েছেন, সেই সময় জন মনি দুটি শিশুর উপরে যৌন রোল-প্লেয়িং এর নিরীক্ষা করতেন, যা তাঁর মতে পরবর্তীকালে লিঙ্গপরিচয় সুদৃঢ় করতে জরুরি। ব্রায়ানকে পুরুষ ও বৃন্দাকে নারী হিসেবে বিভিন্ন যৌন পজিশন শেখাতেন মনি। একে অন্যের যৌনাঙ্গ ইনস্পেক্ট করতেও প্ররোচিত করতেন। ন' বছর বয়েস পর্যন্ত দুটি শিশুকেই এই পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হয়, এবং মনির সফলতা পেপার হয়ে নামী জার্নালে প্রকাশিত হতে থাকে।
    কিন্তু, আদৌ এই এক্সপেরিমেন্ট সফল ছিল কি?
    মনির কাছে প্রত্যেক বছরের এই পরীক্ষা দুটি শিশুর কাছেই বিভীষিকা ছিল। ন'বছরের পর থেকে ব্রায়ান আর এই পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে অস্বীকার করে। ব্রেন্ডা হরমোনাল থেরাপির মধ্যে দিয়ে যেতে থাকে, ১২-১৩ বছরে তার স্তনগ্রন্থি পরিণত হতে শুরু করে। এই সময়, মনি ব্রেন্ডার যোনি গঠনের সার্জারির জন্য তাড়া দিতে থাকেন। বাধ্য হয়ে, ব্রেন্ডার বাবা মা ব্রায়ান ও ব্রেন্ডা কে সমস্ত কথা জানান।
    শিশুটির মানসিক অবস্থা অনুমেয়।নিজেকে আসলে ছেলে বলে জানতে পেরে সে বুঝতে পারে, কেন তার মধ্যে এই দ্বিত্ব। এই উদঘাটন ব্রায়ান ও ব্রেন্ডা দুজনের পক্ষেই ছিল এক বিরাট ট্রমা। মেয়ে হিসেবে নিজেকে জেনেও কখনই ব্রেন্ডা মেয়ে হিসেবে নিজেকে মেনে নিতে পারেনি। তার ব্যবহার ছিল ' টমবয়িশ' ,ছোটাছুটি, দৌড়াদৌড়ি র খেলাতেই সে স্বচ্ছন্দ বোধ করত, সর্বোপরি, তার যৌন আকর্ষণ ছিল শুধুই মেয়েদের প্রতি। সে অস্বীকার করে তার ওপর আরোপ করা নারী পরিচয়, নাম নেয় ডেভিড। ডেভিড রাইমার হিসেবেই আমরা তাকে জানব ভবিষ্যতে। ডেভিড বেছে নেয় আরো সার্জারি, স্তন বাদ দেওয়া হয়, পুরুষাঙ্গ রিকনস্ট্রাকসনের সার্জারি হয়, যা তখনও তত উন্নত হয়নি। পুং -হরমোন থেরাপি শুরু হয়। এতদিন ধরে করা সমস্ত ট্রিটমেন্ট রিভার্স করার প্রয়াস শুরু হয়। ১৯৯০ সালে ডেভিড বিয়ে করে তিন সন্তানের মা জেনকে। ১৯৯৭ সালে মিল্টন ডায়মন্ড , প্রখ্যাত যৌনতত্ত্ববিদ ডেভিডের কাহিনী প্রকাশ করেন, জন মনির প্রবাদপ্রতিম সাফল্যের দাবিকে নস্যাৎ করে। ডেভিডের জীবনী প্রকাশিত হয়, টিভিতে, খবরের কাগজে তার মুখ ও কাহিনী ভেসে ওঠে বারংবার।

    কিন্তু, এই পরীক্ষা ডেভিডের ও তার যমজ ব্রায়ানের জীবনে এনেছিল চরম অস্থিরতা। যার হাত থেকে কোনদিনই বেরিয়ে আসতে পারেনি তারা। বয়:সন্ধি থেকেই ডিপ্রেশনের রোগী হয়ে ওঠে দুজনেই। ২০০২ সালে এন্টি -ডিপ্রেস্যান্ট ওভারডোজ প্রাণ কেড়ে নেয় ব্রায়ানের। বৈবাহিক জীবনে সুখী ছিল না ডেভিড, কোনো চাকরিও স্থিতিশীল ভাবে করতে পারেনি সে। ২০০৪ সালে, আটত্রিশ বছর বয়সে আত্মহত্যা করে ডেভিড রাইমার, দ্য বয় হু ওয়াজ রেইসড এজ আ গার্ল।

    ১৯৪৬ সালে ফ্যালোপ্লাষ্টি বা পেনাইল রিকনস্ট্রাকসন শুরু হয়ে গেছে। তখন পদ্ধতি উন্নত না হওয়ায় অবশ্য নতুন পুরুষাঙ্গে ইরেকশন পাওয়া সম্ভব ছিলনা। কিন্তু অনায়াসে পুরুষ হিসাবেই বড় করা যেত ডেভিডকে। বিখ্যাত "জন/জোয়ান" কেস তৈরির তাড়নায়, যশের ইচ্ছায় কি মনি এই দিক ভেবেই দেখেননি?
    অন্যদিকে দেখতে পাই, প্রায় ৪২ টি জন্মগত ত্রুটির ক্ষেত্রে মনি সফলভাবে সমাজে ফিরিয়ে দিয়েছেন বেশ কিছু শিশুকে। যারা "assigned gender " মেনে সুস্থভাবেই বড় হয়েছে। সুতরাং একেবারে উড়িয়ে দেওয়া ও সম্ভব নয় তাঁর তত্ত্বকে।
    আধুনিক বিজ্ঞানের ছত্রছায়ায় আমরা এখন জানি, শুধু ইস্ট্রোজেন বা টেস্টস্টেরণ থেরাপি যথেষ্ট নয় লিঙ্গ পরিচয়ের জন্য। হরমোনগুলিকে চেনার জন্য থাকে স্পেসিফিক রিসেপ্টর। সেগুলির সংখ্যা লিঙ্গ পরিচিতিতে এক বিশেষ ভূমিকা বহন করে। কেবলি নারী, বা কেবলি পুরুষ হওয়ার মধ্যে অনেকগুলি বিভিন্ন বর্ণের স্তর রয়েছে। সেগুলি এড্রেস না করাই হয়ত মনির ভুলের কারণ। আর আমাদেরও। ট্রান্স-সেক্সুয়ালিটি যে অস্বাভাবিকতা নয়, সমাজে যৌনতা যে নেহাতই দ্রব একটি কম্পোনেন্ট সেকথা আজও আমরা সেভাবে মানতে পেরেছি কি? সমাজে কি প্রতি ট্রান্স -সেক্সুয়াল ই আদপে এক একজন ইঁদুর নন? ডেভিডেরই মত?
    ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

    ডেভিডের সম্পর্কে জানতে পড়তে পারেন:
    Colapinto, J (2001). As Nature Made Him: The Boy Who Was Raised as a Girl. Harper Perennial. ISBN 0-06-092959-6.

    এছাড়া ,
    Ablatio Penis: Normal Male Infant Sex-Reassigned as a Girl : John Money , Archives of Sexual Behavior, VoL 4, No. 1, 1975

    Experiment of Nurture: Ablatio Penis at 2 Months, Sex Reassignment at 7 Months, and a Psychosexual Follow-up in Young Adulthood Susan J. Bradley, Gillian D. Oliver, Avinoam B. Chernick and Kenneth J. Zucker
    Pediatrics 1998;102;e9
  • i | 147.157.***.*** | ২৫ জানুয়ারি ২০১৩ ০২:৩৯582932
  • অপেক্ষায় ছিলাম। সোসেন, লিখে চলো।
  • nina | 79.14.***.*** | ২৫ জানুয়ারি ২০১৩ ০৪:০৩582933
  • খুব ইন্টারেস্টিং---
  • sosen | 125.242.***.*** | ২৫ জানুয়ারি ২০১৩ ২২:০২582934
  • আবার শুরুই করলাম, এদ্দিন বাদে যে ভুলে গেছি এটা ক'নম্বর :)
  • sosen | 125.24.***.*** | ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ২২:৪৩582935
  • এট্টু তুললাম।
  • achintyarup | 69.93.***.*** | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ০৪:৪৬582936
  • শুধু তুলে রাখলে চলবে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন