এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • উপন্যাস | 127.194.***.*** | ০১ নভেম্বর ২০১২ ১৫:৫৪577498
  • উপন্যাস নিয়ে
    সৈকত চ্যাটার্জী

    অন্তত: আট বছর আগে কলেজ স্ট্রীটে পুরোন বইয়ের দোকানে অসীম রায়ের প্রবন্ধ গ্রন্থ "রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর উত্তরাধিকার" ওল্টাতে গিয়ে চোখে পড়েছিল জীবনানন্দ দাসের "মাল্যবান' উপন্যাসের আলোচনা। কী ছিল সেই লেখায় সেটা প্রায় সম্পূর্ণ ভুলে গেলেও যত দূর মনে আছে লেখাটির শেষাংশে অসীম রায় এরকম লিখেছিলেন - আর কোন লেখা না লিখলেও শুধু "মাল্যবান' উপন্যাসের জন্যই
    জীবনানন্দ দাস পাঠকের মনে থেকে যাবেন! বাংলা গদ্য সাহিত্যের এই দুই স্টলওয়ার্টকে নিয়ে ঘটনাটি মনে পড়ে গেল অসীম রায়ের "রক্তের হাওয়া' উপন্যাসটি পড়া শেষ ক'রে এবং আমার এই সিদ্ধান্তসহ, যে দুই লেখকের মধ্যে উপন্যাস সম্বন্ধে চিন্তাভাবনার স্তরে এক সখ্যতার জন্যই হয়ত - যে সখ্যতাকে নির্দেশিত করা যায় অসীম রায়েরই ব্যবহার করা "চৈতন্যের আলোড়ন' কিংবা "ক্রিয়েটিভ ভিশন' শব্দবন্ধের দ্বারা - অসীম রায় "মাল্যবান' উপন্যাসটির উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছিলেন।


    "রক্তের হাওয়া' উপন্যাসটি অমর নামে এক ঔপন্যাসিক/আর্টিস্টের জীবনের সমস্যা। একটি উপন্যাস লিখে ফেলা - যে উপন্যাসে রমা নামে এক নারীর সাথে অমরের সম্পর্কই প্রকাশ পেয়েছে - এবং সেই উপন্যাস প্রকাশের পর তার বন্ধুবান্ধব, মা এবং রমার সাথেও অমরের সম্পর্ক ক্রমশই জটিল হতে থাকে। রমা তার থেকে দূরে সরে যেতে থাকে এই অনুযোগ করেই, যে অমর ঐ উপন্যাসে তাকে "কাঁচামালের' মত ব্যবহার করেছে। কিন্তু অমরের মতে সমস্যা এটাই - ""যে সম্বন্ধ সে তুলে ধরবার চেষ্টা করছে তা নিয়ে যদি সে নাটক করত তাহলে এ আলোড়ন হত না। সে যদি এমন আষ্টেপৃষ্টে নিজেকে বেঁধে না ফেলত তার বইয়ের সঙ্গে, তাহলে তার মা এমন মর্মান্তিকভাবে অভিভূত হতেন না, আত্মীয়স্বজনেরা এমন ভাবে চাইত না তার দিকে। লোকে জানত অমর আজকাল সাহিত্য করছে। সেখানেই চুকেবুকে যেত ব্যাপারটা, কেউ এ নিয়ে মাথা ঘামাত না। কিন্তু তার বই পড়ে এ কথা সুস্পষ্ট যে এ বই লেখকেরই এক অবিচ্ছিন্ন ডায়েরী। ডায়েরীর মত নগ্নভাবে প্রায় শিল্পকে বিপন্ন করে নিজেকে মেলে দেওয়ার চেষ্টা অনেকেই নিতে পারেনি।'' অংশটিতে আমার চোখে পড়ে "আষ্টেপৃষ্টে নিজেকে বেঁধে না ফেলত' এবং "অবিচ্ছিন্ন ডায়েরী' শব্দগুলি। এই শব্দ কটি জীবনানন্দ দাসের সমগ্র গদ্যকর্মের ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করতে পারি কারণ এ আমরা পড়েছি যে জীবনানন্দ দাস উপন্যাস সম্বন্ধে 'diversified autobiography' - র প্রসঙ্গ এনেছিলেন এবং তাঁর দিনলিপি ও "লিটারারি নোটস'-এর মধ্যে কোন ফারাক থাকে না। বলতে পারি , উপন্যাসের অমর আর জীবনানন্দ দাস দুজনের প্রকল্পই যেন উপন্যাসের মাধ্যমে কীভাবে নিজের জীবনকেই অনুসরণ করা যায়, কীভাবেই বা নিজের জীবনকে আবিষ্কারের বিষয় করে তোলা যায় তারই অনুসন্ধান।

    অসীম রায়ের অন্বিষ্টও কী এটাই ছিল? "লেখকের জবানবন্দী' নামে একটি প্রবন্ধে তিনি লেখেন - ""শুধু কালের ডকুমেন্টারি নয়, নিজেকে সেই কালের নাট্যে ফেলে নিজেকেই আবার খুঁজে পাওয়া বিভিন্ন চরিত্রের মাঝখানে - এই নিরবচ্ছিন্ন ডায়েরী তুলে ধরার ক্রমাগত চেষ্টাই বস্তুত লেখকের কাজ বলতে কোন মানে দাঁড়ায় তাই।'' এবং এই কাজ করতে গিয়ে গল্প বলার চেনা ছকের বাইরে
    অসীম রায়কে যেমন উপন্যাস রচনা করতে হয়েছিল - "গোপাল দেব', "রক্তের হাওয়া' কিংবা "দ্বিতীয় জন্ম' যেমন তার প্রমাণ - তেমনি জীবনানন্দ দাসও কিছু আগে থেকেই তাঁর গল্প-উপন্যাসে একই কাজ করছিলেন, আরও ব্যাপকভাবে নিজেকে ঐ সকল লেখায় এনে, গল্প তৈরীর কথা না ভেবে, ঘটনার কার্যকারণত্বকেও অস্বীকার করে,ঢের বেশী পরিমাণে চৈতন্যের আলো-অন্ধকার, মানুষের কাদা-ঘাম-শয়তানি আর হেরে যাওয়া নি:সঙ্গ মানুষের বর্ণনা দিয়ে।


    লেখক নিজেকে তাঁর উপন্যাসের বিষয় করবে তুলবেন, চেনা-জানা মানুষদের প্রতিচ্ছবি উপন্যাসে এসে যাবে - অসীম রায়ের এই উপন্যাস ভাবনা বাস্তবেও তাঁর আশেপাশের মানুষদের পছন্দের হয়নি। এই লিখনশৈলী কারওর কাছে মনে হয়েছে অরুচিকর, কেউ এতে শিল্পগুণ বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা দেখেছেন এবং কেউ ক্ষুব্ধ হয়েছেন তাঁদেরকে উপন্যাসে ব্যবহার করার লেখকের এই মনোবৃত্তি দেখে। অনুরূপভাবে সমগ্র গদ্যকর্মকে বাক্সবন্দী করে রাখার পেছনেও হয়ত জীবনানন্দ দাসের মনে ক্রিয়াশীল ছিল (অন্য কারণের সাথেও) চারিপাশের মানুষদের ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠার চিন্তা। কিন্তু বাস্তবিক ঔপন্যাসিকের কোন দায় নেই এরকম উপন্যাস রচনা করার, যার মাধ্যমে লেখকের জীবন,সন-তারিখ আর ব্যক্তিগত সম্পর্কের সাথে ঐ উপন্যাসকে পাঠক মিলিয়ে পড়তে পারে। লেখক শুধু এরকম উপন্যাস লেখার কথা ভাবতে পারেন যা রচনা করার সময়ে তিনি নিজেই নিজের অস্তিত্বের মুখোমুখি হতে পারেন,অমর যেমন তার
    বন্ধু সন্তোষকে বলেছিল - ""যে শিল্প আমার সমস্ত অস্তিত্বের শিকড় ধরে না ঝাঁকি দেয়, তাকে আমি শিল্প বলি না। ...... আমি শিল্পের কাছে যাই অস্তিত্বের তল পর্যন্ত দেখতে পাব বলে।'' যেমন জীবনানন্দ দাস সমগ্র গদ্যকর্মে অস্তিত্ব অনুসন্ধানের এই কাজই করে যান - হেমের কারুতান্ত্রিকতার মধ্যে দিয়ে, সিদ্ধার্থর লুক্রেশিয়াসের লেখা বই খোঁজার মধ্যে দিয়ে, শিশ্নোদরতন্ত্রী সভ্যতাকে মাল্যবানের লক্ষ্য করে যাওয়ার মধ্যে দিয়ে, সমসময়ের সমাজ ও রাজনীতির মধ্যে নিশীথ ও হারীতের অস্থিরতার মধ্যে দিয়ে। এই সব চরিত্র ও লেখার মাধ্যমে তিনি আসলে অস্তিত্বের অযুত সম্ভাবনার কথাই লিপিবদ্ধ করেন আর সেই কাজ করতে গিয়ে এই সব গদ্যগুলির সিদ্ধি কত অনায়াসে সত্য করে তোলে আগে উল্লিখিত প্রবন্ধটিতে অসীম রায়ের লেখা - ""উপন্যাস আমাদের সামনে এই বিরাট দিগন্ত খুলে দিয়েছে, মানুষের অস্তিত্বের বিভিন্ন ব্যঞ্জনাময় উপলব্ধির চাবি আমাদের তুলে দিয়েছে।''


    যদি এমন একটা ছবি কল্পনা করি যাতে আছে কিছু সমকেন্দ্রিক বৃত্ত, যার কেন্দ্রে আছে একজন মানুষ এবং ঐ সব বৃত্তগুলিকে পরিবার-সমাজ-দেশ-সময় ইত্যাদির নির্দেশক বলে ভাবি, তাহলে এই লেখাটিতে আমি সেই রকম উপন্যাসের কথাই বলতে চেয়েছি - উক্ত দুই ঔপন্যাসিকের লেখাকে ব্যবহার করে - যা "কল্পনাপ্রতিভা'-র দ্বারা ব্যক্তিচৈতন্যেকে ভিত্তি ক'রে মানুষটির সাথে ঐ সকল বিষয়ের (বৃত্তের) যুক্ত থাকা (বা বিযুক্তিও) প্রকাশ করে।

    উপন্যাস আমার কাছে,এখনও,এমন একটি ফর্ম যার প্রধান কাজই হোল ব্যক্তিমানুষের জটিলতাকেই তুলে ধরা, তার স্মৃতি-স্বপ্ন-অবদমন-ক্রোধ প্রকাশ করা এবং সেই সুত্রেই সমাজ,দেশ ইত্যদি বিষয়গুলিকে উপন্যাসের অংশ করে তোলা।

    বিজ্ঞান বা দর্শন পড়ে আমি জগৎ ও জীবনের মূল সূত্রগুলি সম্বন্ধে জানতে পারি ,সংবাদপত্র পড়ে সমসময়ের ঘটনা সম্বন্ধে জানতে
    পারি ,সমাজতত্ব পড়ে জানতে পারি সামাজিক সংগঠন সম্বন্ধে, কিন্তু উপন্যাসের কাছে আমি যাই কিছু "জানার' জন্য নয়। উপন্যাস আমি পড়ি কারণ একমাত্র এরই মাধ্যমে আমি মানুষের অস্তিত্বের এক একটি সম্ভাবনা - যা সে হতে পারে, হওয়ার চেষ্টা করে - তার বিবরণ পাব বলে।

    কিন্তু উপন্যাসের এই গড়ন অধুনাতন বাংলা উপন্যাসে প্রায় অনুপস্থিত। গত বিশ-তিরিশ বছরে, বাংলা উপন্যাসকে (পশ্‌চিমব্‌ঙ্গের অন্তত) মধ্যবিত্তমদির জগৎ থেকে বের করে আনার জন্যই হয়ত যে উপন্যাস লেখা হয়েছে, অল্প কিছু উদাহরণ বাদ দিলে তা মূলত: সমষ্টিপ্রধান ও আঞ্ছলিক। ইতিহাস-ভূগোল বিস্তৃত ক'রে, ক্ষেত্র সমীক্ষা, নৃতত্ত্ব ও ডকুমেন্টেশনের মারফত অসাম্য-সমস্যা-শোষণ কন্টকিত নিম্নবর্গের মানুষের কথা এনে লেখাকে দিয়ে অতি মাত্রায় "সমাজ সচেতনতার' ভার বওয়ানো হলেও, এক রকমের সমাজতাত্বিক বর্ণনা রীতির ওপর ভিত্তি করে লেখা (যদিও এই সময়ই দেশীয় আখ্যানরীতি, উপন্যাসের দেশীয় মডেল ইত্যাদি নিয়ে ভাবনাচিন্তা হয়েছে) এই সকল উপন্যাসে ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যায় না। ফলে "অস্তিত্বের বিভিন্ন ব্যঞ্জনাময় উপলব্ধির' কথা লেখা হয়ে ওঠে না।

    অনুযোগ বলতে এটাই।

    --------------------------------------------------------------------------------------------------------------
    * "এবং মুশায়েরা' থেকে প্রকাশিত "অসীম রায় রচনাসমগ্র(২)' বইটিতে "রক্তের হাওয়া' উপন্যাসটি ছাপা হয়েছে।
    * "লেখকের জবানবন্দী' প্রবন্ধটি পাওয়া যাবে "প্রতিক্ষণ' প্রকাশিত "অসীম রায়ের গল্প' বইটিতে।
    -------------------------------------------------------------------------------------------------------------
    বাকি ভাটিয়া৯ থেকে টুকছি, অনন্যোপায়

    name: সিধু mail: country:

    IP Address : 141.104.245.196 (*) Date:01 Nov 2012 -- 11:39 AM

    শির্ষেন্দুর ঘুণপোকা, বা আরো পরের একটা দুরন্ত উপন্যাস ফেরীঘাট (আমার কাছে শীর্ষেন্দুর সেরা, কিন্তু অদ্ভুত ভাবে আন্ডার রেটেড), তারপর ফজল আলী আসছে, চোখ, এগুলো-ও তো দেশ-এই বেরিয়েছিল। বলা যায় মূলধারার লেখালেখির মধ্যেই পড়ে। তেমনি সুনীল, বা সমরেশ মজুমদারের একদম প্রথম দিককার লেখালেখি।

    আমার একাধারে আগাথা ক্রিস্টি এবং মার্কেজ দুখানা ফেভারিট। থার্ডে যুগ্মভাবে ফ্রেডেরিক ফরসাইথ আর মিখাইল শলোখভ। ঃ) আমার মনে হয় চাইলে যে কোনো উপন্যাসকে ফিরে ফিরে নানারকম ভাবে পাঠ করা যায়

    -------------------------------------------------------------

    name: সৈকত mail: country:

    IP Address : 212.54.74.119 (*) Date:01 Nov 2012 -- 01:01 PM

    হ্যাঁ, কিন্নর রায়ের 'প্রকৃতিপাঠ' ভালো লেখা। বেশ ভালো লেখা। সিদ্ধার্থ 'মেঘ্পাতালের' নাম করেছে, এইটা আর 'ছায়াতরু' নামে আর একটা উপন্যাস আছে। আমি শেষ দুটো বই নিয়ে এককালে একটা রিভিউ পড়েছিলাম, তার পর থেকে পড়ার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু পড়া হয়নি।
  • h | 127.194.***.*** | ০১ নভেম্বর ২০১২ ২৩:১৫577500
  • অসীম রায় অসীম রায় করছিল মনটা, তুমি এঁর প্রসংগে বললে বলে ভালো লাগলো। তোমার অ্যানালিসিস টা ভালো লাগলো, তবে ব্যক্তিগত ভাবে নিজেকে বিষয় করে বেশি লিখলে যেটা হয়, একটা গসিপি স্পেকুলেশন চলতে থাকে। গোপাল দেবের পরে যেরকম হয়েছিল।
    এবং সেটা প্রায় নিরন্তর। মাঝে মাঝে ক্লান্তিকর আয়না দর্শন।

    তাইলে তিনটে চারটে পদ্ধতি, একটা বংকিমীয়, এ জীবন লইয়া কি করিব জাতীয় গায়ে পড়ে দেশের উপকার করার চেষ্টা, জাতি গঠনের প্রজেক্ট হাতে নেওয়া, অন্য দিকে শুধু নিজের কথাই চাই শুনাবারে, যে কথা শুনায়েছি বারে বারে। এই স্টাইলের মধ্যে রয়েছে ওরেটোরিও, আর ব্যক্তিগত একাকীত্ত্ব ও নানা দার্শনিকতা নিরভর লেখা। এর পরে অবশ্যই স্থান নির্ভর লেখা, বিশেষ জগত নির্মাণ ও রচনা। আর শেষমেশ হল পেন্সিলের মত হাতে রইলো ডিকেন্সিয়ান রিয়ালিজম।

    এইবারে এর মধ্যে থেকে তো নয়, এর বাইরে গিয়ে নিজের ভাষা আমরা খুঁজবো কি করে, এই টেই মেন জ্বালা ;-)
  • h | 127.194.***.*** | ০১ নভেম্বর ২০১২ ২৩:১৯577501
  • তবু বলবো সায়েব দের আর সায়েব প্রভাবিত কবি দের যেরকম একটা নিজেকে নিয়ে কিশোর সুলভ আদেকলামো আছে, ইনক্লুডিং জয়েস, মুসিল ইত্যাদি, সেটা অসীম রায় দের মোটে নেই, অথচ সেমি- অটোবায়োগ্রাফিকাল লেখা। মরালিস্ট পাপবোধ কে অস্বীকার করছেন, কিন্তু করতে গিয়ে কেবলি মুগ্ধ আত্ম আবিষ্কার সেটার থেকেও বিরত থাকছেন। এ মানে কঠিন স্কিল।
  • সিদ্ধার্থ | 141.104.***.*** | ০২ নভেম্বর ২০১২ ০০:২৮577502
  • আরেকটা পঞ্চম পদ্ধতি আছে । বারো ঘর এক উঠোন, বা দ্বীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস বা গল্পগুলো, যেমন দ্বিতীয় ভুবন, শোকমিছিল । ডিকেন্সিয়ান নয়, বঙ্কিমী তো একেবারেই নয়, নিজের কথাও নয়, কিছুটা নিজস্ব জগত নির্মাণ তাও সেটা জ্যোতিরিন্দ্র নন্দীর ক্ষেত্রে, এবং কিছুটাই, পুরোটা নয়- তাহলে আসলে কি, জানি না। কিন্তু অন্যরকম।
  • ora | 121.93.***.*** | ০২ নভেম্বর ২০১২ ১১:১১577503
  • কিছু উপন্যাসের নাম করছি
    মানিকের পুতুলনাচের ইতিকথা,ওয়লিউল্লাহের চাঁদে অমাব্স্যা,অমিয়ভূষনের চাঁদবেনে,ইলিয়াসের খোয়াবনামা,অমলেন্দু চক্রবর্তীর চাঁদ মনসার জোট,কালকুটের শাম্ব,সমরেশ এর দৌড় বিভিন্ন সময় পড়ে ভালো লেগেছিল।
  • ora | 121.93.***.*** | ০২ নভেম্বর ২০১২ ১১:১৩577504
  • ও সরোজ কুমার রায়চৌধুরীর কালোঘোড়া নামে একটা উপন্যাস বেশ লেগেছিল।
  • h | 213.99.***.*** | ০২ নভেম্বর ২০১২ ১১:৩৪577505
  • হ্যাঁ হ্যাঁ আরো অসংখ্য পদ্ধতি নিশচয়ি আছে, এত এত লেখা, কতটুকু বাল পড়েছি। এসব ফর্মুলা করার কোন মানে হয় না। আসলে কিসু না, লিখতে যে পারি না সেইটার একটা দুঃখ আর ভালো করে জীবনে কিসুই পড়া শুনো হল না, সব ই স্লা ভাট উপরে উপরে, গভীর ভাবে কিছু বোঝাও হল না পড়াও হল না, একটা নতুন ভাষা শেখা হল না, যে ভাষা যত টুকু জানি তাতে ই সিগনিফিকান্ট কিসু পড়া হল না। শুধু তাই না, যা জীবন আর হবেও না। শুধু সময়ের না, এত টাকার লোভ হলে পড়াশুনো হয় বাল। এই সব নানা ফ্রাস্টু থেকে এইসব বোগাস জেনেরালাইজেশন। গুরুত্ত্ব দেবেন না।

    অমলেন্দু চক্রবর্তীর বই টা , যেটা ওরা নাম করলেন আমি পড়িনি।
  • ora | 121.93.***.*** | ০৫ নভেম্বর ২০১২ ১৪:৩২577506
  • অমলেন্দু চক্রবর্তীর উপন্যাসটা "এবং মুশায়েরা " একটি উপন্যাস সংখ্যায় পড়েছিলাম।এটা সামাজিক লেখা।বেশ ভাল লেগেছিল।
    h বাবুকে বলি আপনার মতো পাঠকরা আছেন বলেই অনেক লেখক নিজের মতো লিখতে ভরসা পান এখনও। না হলে আবাপর পুজো সংখ্যার মতো সব লেখাই সিরিয়ালের বাচ্চা-কাচ্চা হত।
  • কল্লোল | 125.184.***.*** | ১৯ নভেম্বর ২০১২ ১২:৪৩577507
  • কোথায় দেবো বুঝতে না পেরে এখানেই দিলাম।
    সাব্বাশ মনোরঞ্জন।
    http://www.epaper.eisamay.com/Details.aspx?id=899&boxid=32435859
    এই বইটা গত বইলেমায় গুরু থেকেও বিক্রি হয়েছে।
  • b | 135.2.***.*** | ১৯ নভেম্বর ২০১২ ১৩:২৫577499
  • ইতিবৃত্তে চন্ডাল জীবন পড়া ছিল। অনেক নতুন কিছু জেনেছি, অমার বৃত্তের বাইরে থেকে। তবে ভাষার বাঁধুনি একটু কম লেগেছে।
  • r2h | 96.23.***.*** | ২৯ আগস্ট ২০২২ ০১:১৬738281
  • এই লেখাটার দু'টো পর্ব তুলি।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন