এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • মাদ্রাসার শিক্ষা পদ্ধতিঃ কিছু খোঁজখবর চাই

    ranjan roy
    বইপত্তর | ০৩ নভেম্বর ২০১২ | ১৬৪৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ranjan roy | 24.97.***.*** | ০৩ নভেম্বর ২০১২ ১৩:২৬577415
  • আমরা ছত্তিশগড়ে মাদ্রাসার শিক্ষাপদ্ধতি, যেমন কোর্স, পেডাগগি, মোডালিটি, ফান্ডিং, সরকারের ভূমিকা , ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতি ইত্যাদি নিয়ে একটি ছোট পাইলট স্টাডি করতে চাইছি। লক্ষ্য -- এর ভবিষ্যত বিকাশ নিয়ে কিছু প্রেসক্রিপশন বানানোর চেষ্টা।
    জানতে পারলাম বঙ্গে এই নিয়ে বিক্রমশিলা ইউনিভার্সিটি ( ভিসি জনৈকা মিসেস চ্যাটার্জি) কিছু পাইলট কাজ করেছে। কেউ যদি এনাদের সম্বন্ধে কিছু জানেন, ঠিকানা বা ফোন নাম্বার দিতে পারেন, বা অন্য কোন স্টাডির খোঁজ দিতে পারেন তো বিশেষ অনুগৃহীত হব। কোলকাতায় আট তারিখে এসে ওনাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাই।
  • ranjan roy | 24.97.***.*** | ০৩ নভেম্বর ২০১২ ১৩:৩১577426
  • যদ্দূর জেনেছি ছত্তিশগড়ে কিছু মাদ্রাসা শুধু দীন-ঈ শিক্ষা , অর্থাৎ ধার্মিক শিক্ষার নিজস্ব কোর্স চালায়, যা পড়ে বিভিন্ন সার্টিফিকেট নিয়ে শুধু ধার্মিক শিক্ষাগুরুর চাকরি পাওয়া যায়। কি্ন্তু অধিকাংশ মাদ্রাসা দীন এর সঙ্গে "দুনিয়াভী" অর্থাৎ প্র্যাকটিক্যাল দুনিয়াদারির শিক্ষা (সরকারি বোর্ড অনুমোদিত) পড়ায়। ক্লাস এইট অব্দি রেগুলার ক্লাস হয়। তারপর ওপেন স্কুল সিস্টেম।
    কোলাকাতায় আল আলামিন এমনি চালায় শুনেছি। অন্যদের জানিনা। কেউ জানালে উপকৃত হব।
  • PT | 213.***.*** | ০৩ নভেম্বর ২০১২ ১৪:৩৪577427
  • হাওড়ার আল আমিন মিশনে আধুনিক বিজ্ঞানশিক্ষা দেওয়া হয়। WBJEE-তে তাদের সাফল্য উল্লেখযোগ্য।

    Year Rankers Engg. Med.
    2007 198 130 68
    2008 256 170 86
    2009 337 242 95
    2010 251 148 103
    2011 369 237 132

    http://www.alameenmission.org/downloads/INFORMATION%20BROCHURE%202012-2013.pdf
  • ranjan roy | 24.97.***.*** | ০৩ নভেম্বর ২০১২ ১৭:১৬577428
  • পিটিকে অনেক ধন্যবাদ। তবে আমাদের ফোকাস মাদ্রাসা বোর্ডের অন্তর্গত যে সাধারণ মাদ্রাসাগুলি গ্রামে গঞ্জে কাজ করছে -- তারা।
    এ নিয়ে নাকি বিক্রমশিলা ইউনিভার্সিটি ভাল কাজ করেছে। ওদের খবর বা অ্যাড্রেস কেউ জানেন?
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.***.*** | ০৩ নভেম্বর ২০১২ ১৯:২২577429
  • মাদ্রাসা শিক্ষাব্যাবস্থা বলে কিছু হয় কি? মাদ্রাসা কথাটার মানেই হল শিক্ষা। সারাদেশে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান অনেক আছে। সব মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সামর্থ্যও একরকম নয়, আর শিক্ষকদের যোগ্যতাও একরকম নয়। এ বিষয়ে মাইনরিটি এডুকেশনের জাতীয় কমিশনের রিপোর্ট আছে। কেউ পড়েছেন কি?
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.***.*** | ০৩ নভেম্বর ২০১২ ২০:০৫577430
  • বিক্রমশিলা ইউনিভার্সিটি ভালো কাজ করছে নিশ্চয়ই। তবে তাদের পক্ষে তথ্যাদি পাওয়া মুশকিল হতে পারে, প্রকাশ করা আরো কঠিন হতে পারে। কারণ এটা একটা সেনসিটিভ ইস্যু।

    গ্রামগঞ্জের মাদ্রাসা স্কুলগুলো টাকার অভাবে শিক্ষকদের ঠিকমত মাইনে দেয় না, কর্তাব্যক্তিরা শিক্ষকদের এক্সপ্লয়েট করে। চাইলে এই স্কুলগুলো সেন্ট্রাল মাদ্রাসা বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে (অপশনাল), যুক্ত হলে বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষকদের মাইনেপত্র কেন্দ্রীয় সরকার দেবে এই ব্যবস্থায় শিক্ষক নিয়োগে কেন্দ্রীয় সরকারের কিছুটা say তো থাকবেই, তাছাড়া স্কুলের টাকাপয়সার হিসেবও কেন্দ্রীয় সরকার জেনে যাবে। কাজেই ..
  • ম্যাক্সিমিন | 69.93.***.*** | ০৩ নভেম্বর ২০১২ ২০:১০577431
  • মাইনরিটি এডুকেশনের জাতীয় কমিশনের রিপোর্ট অনলাইন পড়া যায়। সিদিকি কমিশন দিয়ে সার্চ দিলেই পাওয়া যাবে।
  • ranjan roy | 24.97.***.*** | ০৩ নভেম্বর ২০১২ ২৩:৩২577432
  • ধন্যবাদ ম্যাক্সি!
    ছত্তিশগড়ে প্রায় ৪০০ মাদ্রাসার মধ্যে ৯৬ শুধু ধার্মিক শিক্ষা( দীন-ঈ-তালিম) দেয়। বাকি দুনিয়াভি-তালিম বা সেকন্ডারি বোর্ড অনুমোদিত কোর্স করায়। ৫ ও ৮ এর বোর্ড পরীক্ষা হয়। সরকারি সাহায্য নেয়। আমরা দেখতে চাইছি ম্যানেজমেন্ট ও কোর্স এবং টিচিং এ কোথায় কিছু করা যেতে পারে --তার ফিল্ড স্টাডি। সিদ্দিকি এবং সাচ্চার কমিশনের রিপোর্ট মেনেও গ্রাউন্ড রিয়েলিটি মাইক্রো লেভেলে হাতে-গরম দেখতে চাইছি আর কি!
  • secular | 131.24.***.*** | ০৫ নভেম্বর ২০১২ ১০:১৭577433
  • শুধু মাদ্রাসা কেন? অন্য দীন্দারিদ্রা স্কুল গুলো কি দশ করল?
  • typo | 131.24.***.*** | ০৫ নভেম্বর ২০১২ ১০:১৮577416
  • * দীন দরিদ্র
    * দোষ
  • brcslg | 37.125.***.*** | ১৫ নভেম্বর ২০১২ ১৯:২৭577417
  • রঞ্জনবাবু,
    জানিনা এটা আপনার কাজে লাগবে কিনা

    http://www.sabrang.com/khoj/CABEReport.pdf
    ________________________________________________

    A Report on the Constitutional Mandate and Education

    (i) Impact of Pedagogy of the Approach, Teaching Textbook and Curricullum being
    followed in some of these non-governmental and governmental schools;
    (ii) Spread of the RSS/VHP Network in the Field of Education,
    (iii) Spread and Reach of Madrassa Education,
    (iv) State and Private Funding of These Institutions/Networks

    Presented to the CABE sub-Committee on “Regulatory Mechanisms for Textbooks and Parallel
    Textbooks Taught in Schools Outside the Government System”

    April 6-7, 2005
    Edited and Produced by
    KHOJ for a plural India Programme, Sabrang, Mumbai
  • ranjan roy | 24.99.***.*** | ১৬ নভেম্বর ২০১২ ০০:২২577419
  • brslg,
    অনেক ধন্যবাদ! অবশ্যি কাজে লাগবে,
  • brcslg | 37.125.***.*** | ১৬ নভেম্বর ২০১২ ২১:১৩577420
  • রঞ্জনবাবু,

    হয়ত আপনাদের গোচরে আছে, তবুও কিছু কিছু পোস্ট করলাম। লিঙ্ক দিলাম। ওখানে এগুলো আছে।

    বিক্রমশিলা এডুকেশন রিসোর্স সোসাইটি
    ২৫৬, পি.এ.শাহ রোড ; কলি -৪৫
    ই-মেল : vers1989@gmail.com

    http://www.vikramshila.org/news.html#C

    http://www.vikramshila.org/index.html

    ---------------------------------------------------------------------------
    --------------------------------------------------------------------------

    Foundation Course on NCF 2005 and RTE Act for State Action Resource Group, West Bengal Madrasah Board (July to September 2012)

    A three days orientation on the RtE Act was held for 200 teachers (100 from North Bengal and 100 from South Bengal) of the Madrasah board in four consecutive batches. The orientation focused on Article 29 and its implications on classroom environment and pedagogy. This team will be considered as a resource pool which will work from within the Madrasah system on all academic issues such as capacity building, orientation of teachers, material development, field based support, etc.

    This course was designed to help the teachers to understand the NCF 2005. It looked at the NCF from four interconnected lenses, namely child, society, knowledge and learning.

    The participants were teachers and headmasters of Madrasahs from several districts of North and South Bengal. These teachers were eager to start the next round of trainings and felt confident about facilitating the same for a larger group of teachers. They also developed a two day 10 hour training module on the same issue.
    ________________________________________________

    Integrated text books for Khariji Madrasah 2012

    Integrated text books for Khariji Madrasahs have been developed where Islamic and constitutional values have been integrated following the guiding principles of NCF 2005.

    The ethical dimension of education dominates the Islamic discourse in education. The traits that need to be cultivated among students are – humility, moderation, righteousness, etc. One of the concerns repeatedly expressed by the Madrasahs is the near break down of values in today’s world dominated by greed, money and crass consumerism. They feel that they are like an oasis keeping the lamp of tradition alive. This also partly accounts for their hesitation to open up their doors and windows. There is some truth is this argument and the fear is not entirely unfounded. However, one has to remember that good education anywhere in the world cannot be devoid of moral and ethical components. In an educational system that is guided by a particular religious ideology, it is easy to draw the values from the core principles of that religion. On the other hand, while talking about values and ethics in the context of education for a multi religious and multi ethnic community, a particular religion cannot be the source or base. One has to look for something that is acceptable to all groups – and this is the reason why the NCF 2005 talks about the constitutional values. The Constitutional ideals talk about the values of justice, liberty, equality and fraternity - and these are all broad humanitarian values that are in harmony with the basic principles of Islam.
    ____________________________________________
    ____________________________________________

    Vikramshila Education Resource Society had set up a Career Hub at Sakhawat Memorial Govt. Girls School under the ‘Education to Employability Programme’ with the help of school authorities. The career hub is a physical space to provide career related information through posters and other forms of IEC materials. Students get exposed to and get educated on different types of career opportunities. Information on various vocational courses, admission procedures and scholarship programs for students and loan schemes are also made available through: wall displays, standees & career related newspapers, magazines and leaflets. Queries are also answered by the Career guide.

    Director Vikramshila Education Resource Society,Introducing the guests to ‘Career Hub’ and its concept at Sakhawat Memorial Govt. Girls School.

    The Secretary, MHRD School Education & Literacy, Mr. Rajarshi Bhattacharya along with his team interacted with the students. To his left is the Chairman DPSE, Mr. Kartik Manna and Secretary - Secondary Education, Mr.Arnab Roy.
    The Hub was visited by Government officials on October 13th, 2012.

    The Director, Vikramshila Education Resource Society, Ms. Shubhra Chatterjee while introducing the guests to the ‘Career Hub’, shared about the E2E project which aims to reach out to 3000 boys and girls studying in Classes IX and X, through a holistic engagement that seeks to work with high school students to empower them in charting their own career paths.
  • brcslg | 37.125.***.*** | ১৬ নভেম্বর ২০১২ ২১:২৯577421
  • বাংলাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষার বিন্যাস ও সিলেবাস।

    মাদ্রাসা শিক্ষাকে শিক্ষার্থীদের বয়স, মেধা, মননশীলতা ও ধারণ ক্ষমতাকে সামনে রেখে প্রথমে ১৭টি শ্রেণীতে বিন্যাস্ত করা হয়েছে। উক্ত ১৭টি শ্রেণীকে আবার ৫টি স্তরে বিভক্ত করা হয়েছে। ১ম স্তরঃ ১ম শ্রেণী- ৫ম শ্রেণী, ২য় স্তরঃ ৬ষ্ঠ শ্রেণী- ৮ম, ৩য় স্তঃ ৯ম- ১০ম, ৪র্থ স্তরঃ আলিম ১ম ও ২য় বর্ষ, ৫ম স্তরঃ বিশ্ববিদ্যালয় স্তর (ফাযিল ও কামিল শ্রেণী)। যেমন-

    ১. ইবতিদায়ী স্তরঃ এ স্তরে আছে মোট ৫টি ক্লাস।

    (ক) পাঠ্যিবষয়ঃ শিশু ও ২য় শ্রেণীর পাঠ্য বিষয় হচ্ছে-
    প্রাথমিক পর্যায়ে নূরানী পদ্ধতিতে কুরআন পাঠ শিক্ষা, প্রয়োজনীয় সূরা ও দোয়া-কালাম মুখস্থ এবং নামায অনুশীলনসহ আরবি, বাংলা, ইংরেজি, গণিত বিষয়সমূহ শিক্ষা দেয়া হয়।

    (খ) ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণীর পাঠ্য বিষয়ঃ
    – নূরানী পদ্ধতিতে কুরআন শিক্ষা, আরবি, প্রয়োজনীয় সূরা ও দোয়া-কালাম মুখস্থ, সহজভাবে নাহু-সরফ শিক্ষাদান, ফিক্হ, আক্বাইদ, ইতিহাস, বিজ্ঞান, বাংলা, অংক, ইংরেজী, ভূগোল ইত্যাদি শিক্ষা দেওয়া হয়।

    (গ) সনদঃ ৫ম শ্রেণী শেষে সরকারীভাবে একটি চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যার নাম- “ইবতিদায়ী সমাপনী পরীক্ষা”। সরকার এ পরীক্ষার উপর একটি সনদ দিয়ে থাকে। এ সনদ ছাড়া দাখিল স্তরে যাওয়া যায় না।

    ২. জুনিয়র দাখিল স্তরঃ এ স্তরে মোট ৩টি ক্লাস রয়েছে। যেমন-

    (ক) ৬ষ্ঠ শ্রেণী থেকে ৮ম শ্রেণীঃ
    পাঠ্যিবষয়ঃ এ শ্রেণীসমূহে নাহু-ছরফ (উচ্চতর আরবী ব্যাকরণ) কুরআন, হাদীস, আরবী, ফিকহ-আকাইদ, ইতিহাস, ভূগোল, সাধারণ বিজ্ঞান, কৃষি শিক্ষা ইত্যদি বিষয়ে পাঠদান করা হয়।
    (খ) সনদঃ ৮ম শ্রেণী শেষে সরকারীভাবে একটি চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যার নাম- “জুনিয়র দাখিল সমাপনী পরীক্ষা” (জে.ডি.সি)। সরকার এ পরীক্ষার উপর একটি সনদ দিয়ে থাকে। এ সনদ ছাড়া দাখিল স্তরে যাওয়া যায় না।

    ৩. দাখিল স্তরঃ
    এ স্তরে ২টি ক্লাস রয়েছে। ৯ম ও দশম শ্রেণী।
    (ক) পাঠ্যিবষয়ঃ এ শ্রেণীদ্বয়ে কুরআন, হাদীস, আরবী, নাহু-ছরফ, ফিক্হ, ইতিহাস, ভূগোল, পদার্থ, রসায়ন, জীব-বিজ্ঞান, উচ্চতর গণিত, কম্পিউটার শিক্ষা, কৃষি শিক্ষা ইত্যদি বিষয়ে পাঠদান করা হয়।
    (খ) সনদঃ ১০ম শ্রেণী শেষে সরকারীভাবে একটি চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যার নাম- “দাখিল পরীক্ষা”। সরকার এ পরীক্ষার উপর একটি সনদ দিয়ে থাকে। এ সনদ ছাড়া আলিম স্তরে যাওয়া যায় না।

    ৪. আলিম স্তরঃ
    এ স্তরে ২টি ক্লাস রয়েছে। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণী।
    (ক) পাঠ্যিবষয়ঃ এ শ্রেণীদ্বয়ে কুরআন, হাদীস, আরবী, নাহু-ছরফ, ফিক্হ, উসূলুল ফিকহ, ফারাইয, আরিব, ইংরেজি, মানতিক, বালাগাত, ইতিহাস, অর্থনীতি, পৌরনীতি ইত্যদি বিষয়ে পাঠদান করা হয়।
    (খ) সনদঃ আলিম শ্রেণী শেষে সরকারীভাবে একটি চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যার নাম- “আলিম পরীক্ষা”। সরকার এ পরীক্ষার উপর একটি সনদ দিয়ে থাকে। এ সনদ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে যাওয়া যায় না।

    ৫. বিশ্ববিদ্যালয় স্তরঃ এখানে আবার ২টি স্তর রয়েছে। ফাযিল/স্নাতক স্তর ও কামিল/ স্নাতকোত্তর স্তর।
    A. ফাযিল (স্নাতক) স্তর। এ স্তরে মোট ৩টি পর্ব রয়েছে।
    ফাযিল ১ম পর্বঃ ৪০০ মার্কস।
    (ক) পাঠ্য বিষয়ঃ এ পর্বে তাফসীরঃ ১০০, হাদীসঃ ১০০, আকাইদঃ ১০০ ও বাংলাঃ ১০০ থাকবে।
    ফাযিল ২য় পর্বঃ ৪০০ মার্কস।
    (খ) পাঠ্য বিষয়ঃ এ পর্বে আরবিঃ ১০০, ফিকহঃ ১০০, উসূলুল ফিকহঃ ১০০ ও ইংরেজিঃ ১০০ থাকবে।
    ফাযিল ৩য় পর্বঃ ৬০০ মার্কস।
    (গ) পাঠ্য বিষয়ঃ এ পর্বে ঐচ্ছিক ২টি বিষয়ের ৩ পত্র করে ৬০০ নাম্বার থাকবে।

    * পরীক্ষাঃ ফাযিল প্রতি পর্ব শেষে একটি চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যার নাম- “ফাযিল পরীক্ষা- ১ম পর্ব / ২য় পর্ব / ৩য় পর্ব “।

    * সনদঃ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ফাযিল ৩ পর্বের যৌথ ফলাফলের ভিত্তিতে একটি সনদ দিয়ে থাকে। এ সনদ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কামিল/স্নাতকোত্তর স্তরে যাওয়া যায় না।

    B. কামিল (স্নাতকোত্তর) স্তরঃ
    কামিল ১ম পর্বঃ ৫০০ মার্কস।
    (ক) পাঠ্য বিষয় ও মার্কস বন্টনঃ এ পর্বে ১ম পত্রঃ সুনানু আবী দাউদ ও মুস্তালাহুল হাদীসঃ ১০০, ২য় পত্র- তিরমিযী- ১০০, ৩য় পত্র- ইবনু মাজাহ ও শরহু মা`আনিল আসার-১০০, ৪র্থ পত্র- আত-তারীখুল ইসলামী ও তারীখু ইলমিল হাদীস- ১০০, টিউটোরিয়াল- ৫০, মৌখিক- ৫০= ৫০০।

    * পরীক্ষাঃ কামিল ১ম পর্ব শেষে একটি চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যার নাম- “কামিল পরীক্ষা- ১ম পর্ব”।

    কামিল ২য় পর্বঃ ৫০০ মার্কস।
    (ক) পাঠ্য বিষয় ও মার্কস বন্টনঃ এ পর্বে ১ম পত্রঃ বুখারী ১ম খণ্ড- ১০০, ২য় পত্র- বুখারী ২য় খণ্ড- ১০০, ৩য় পত্র- সহীহ মুসিলম- ১০০, ৪র্থ পত্র- নাসায়ী ও উলূমুল হাদীস- ১০০, টিউটোরিয়াল- ৫০, মৌখিক- ৫০= ৫০০।

    * পরীক্ষাঃ কামিল ২য় পর্ব শেষে একটি চূড়ান্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। যার নাম- “কামিল পরীক্ষা- ২য় পর্ব”।
    * সনদঃ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ফাযিল ২পর্বের যৌথ ফলাফলের ভিত্তিতে একটি সনদ দিয়ে থাকে। এ সনদই চূড়ান্ত ও শেষ সনদ। এটাই মাদরাসা শিক্ষার শেষ স্তর।
  • brcslg | 37.125.***.*** | ১৬ নভেম্বর ২০১২ ২১:৪২577422
  • মাদ্রাসা শিক্ষা: একটি পর্যবেক্ষণ সমীক্ষা ( লেখক: মুজিব মেহদী।)

    ইসলামি শিক্ষার সূচনাকথা ও উপমহাদেশে মাদ্রাসা শিক্ষার পত্তন

    ইসলাম ধর্ম প্রবর্তনের পর এর মূল প্রবক্তা হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) নিজে শিক্ষা বিস্তারকল্পে সক্রিয় পন্থা অবলম্বন করেন। সাফা পাহাড়ের পাদদেশে ‘দারুল আরকাম’-এ তিনিই প্রথম মাদ্রাসা স্থাপন করেন ও তাতে শিক্ষকতার দায়িত্ব পালন করেন। ইসলামের ইতিহাসে সর্বপ্রথম এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছিলেন হযরত আবু বকর (রাঃ), হযরত ওমর (রাঃ) ও অন্য সাহাবিগণ [১]। পরবর্তী সময়ে তিনি হযরত ইবনে উম্মে মকতুম ও মাসআব বিন উমায়রের ওপর শিক্ষকতার দায়িত্ব হস্তান্তর করে মদিনায় এসে ইসলাম প্রচারকার্যে ব্যস্ত হন। তিনি ইসলামি শিক্ষাবিস্তার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে বদরের যুদ্ধ থেকে ৬০-৭০ জন অমুসলিম যুদ্ধবন্দিকে মদিনায় এনে ‘ফেদিয়া’র [২] পরিবর্তে প্রত্যেককে ১০ জন করে শিশুর শিক্ষাদানের দায়িত্ব অর্পণ করেন।

    মদিনায় এসে মসজিদে নবুবীসংলগ্ন স্থানে হয়রত মোহাম্মদ (সাঃ) একটি শিক্ষায়তন প্রতিষ্ঠা করেন। এর নাম মাদ্রাসা-ই-সোফ্ফা। এখানে গরিব ও বহিরাগত ছাত্রদের জন্যে আবাসিক বন্দোবস্ত ছিল। হযরত আবু হোরায়রা, হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল, হযরত আবুজর গেফারী প্রমুখ সাহাবি এই মাদ্রাসার ছাত্র ছিলেন। দিনে দিনে এই মাদ্রাসাটি হয়ে ওঠে মদিনার কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

    ইসলাম প্রচারের পূর্বে মদিনার শিক্ষা-দীক্ষা ব্যবস্থার ওপর নিয়ন্ত্রণ ছিল ইহুদিদের। শিক্ষিত ও সংস্কৃতিবান ইহুদিদের একটি নির্ধারক ভূমিকা ছিল মদিনাবাসীর ওপর। ইসলাম প্রচারিত হবার পর ইসলামি শিক্ষা বিস্তারে জ্ঞানদীপ্ত ও কার্যকর ভূমিকা রাখে ধর্মান্তরিত ইহুদি পণ্ডিতেরাও। বিভিন্ন গোত্রের লোকেরা মাদ্রাসা-ই-সোফ্ফায় তাঁদের এলাকার প্রতিনিধি প্রেরণ করতেন। প্রেরিত প্রতিনিধি নিজে শিক্ষাগ্রহণ শেষে নিজেদের গোত্রে ফিরে গিয়ে ওই গোত্রের অন্যদের শিক্ষাদান করতেন। গোত্রপ্রেরিত না-হয়ে কর্তৃপক্ষের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ব্যক্তিগত আগ্রহেও যাঁরা এখানে শিক্ষাগ্রহণ করেছেন, তাঁদেরও বিভিন্ন গোত্রে শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যে যেতে হতো। এ প্রক্রিয়ায় গোটা মদিনায় ছোট ছোট অজস্র শিক্ষাকেন্দ্র গড়ে ওঠে। এগুলো ছাড়াও মদিনার বিভিন্ন মহল্লায় মসজিদসংলগ্ন স্থানে গড়ে উঠতে থাকে অনেক মাদ্রাসা। এই সমস্ত মাদ্রাসার দেখাশোনা, পৃষ্ঠপোষকতা ও পরিচালনা করতেন মোহাম্মদ (সাঃ) নিজে। মদিনায় তখন শিক্ষিত লোকের অভাব ছিল না। ফলে কোরানের নির্দেশমতো লিখিতভাবে ব্যবসায়িক লেনদেন করা সকলের পক্ষেই সম্ভব হয়ে ওঠে। শিক্ষিতদের মধ্যে কেউ কেউ তাঁদের জ্ঞানকে কেবলই আরবি ভাষার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে বিদেশি ভাষার [৩] দিকেও চালিত করেন। মোহাম্মদ (সাঃ)-এর দরবারের ‘মীর মুন্সী’ হিসেবে খ্যাত জায়েদ ইবনে ছাবিত (রাঃ) ছিলেন তেমনি একজন।

    মোহাম্মদ (সাঃ)-এর পরে খোলাফায়ে রাশেদীনের সময়ে শিক্ষার আরো সম্প্রসারণ ঘটে। সকল নব্য মুসলমান বিনা পারিশ্রমিকে মোহাম্মদ (সাঃ)-এর বাণীকে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেবার কাজে ন্যস্ত হন। এসময় শিক্ষাদানের জন্যে কোনোরূপ পারিশ্রমিকের ব্যবস্থা ছিল না। ‘আমার পক্ষ থেকে অন্তত একটি আয়াত পৌঁছে দাও’– মোহাম্মদ (সাঃ) প্রদত্ত এই বাণীর প্রেষণা তাঁর অনুসারীদের পবিত্র কর্তব্য পালনে উৎসাহী করে তোলে। শিক্ষকরা তখন যেমন পারিশ্রমিক গ্রহণ করতেন না, তেমনি শিক্ষার্থীদেরও শিক্ষা বাবদ কোনো খরচ বহন করতে হতো না। সকল শিক্ষা উপকরণ ছাড়াও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্যে ব্যক্তিগত খরচের প্রয়োজনে তখন বৃত্তি প্রদানেরও ব্যবস্থা করা হতো [৪]। এ সমস্ত খরচই চালানো হতো যাকাতের টাকায়।

    ইসলামি শিক্ষার দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হয় উমাইয়া বংশের অষ্টম খলিফা হযরত উমর বিন আবদুল আজিজের শাসনকাল থেকে। শিক্ষা বিস্তারের জন্যে এসময় সারাদেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে ফরমান জারি করা হয় এবং সরকারি পর্যায়ে শিক্ষকদের জন্যে বেতন-ভাতাদি ও মেধাবী ছাত্রদের জন্যে বৃত্তির বন্দোবস্ত করা হয় [৫]। এসময় মসজিদে-মসজিদে ছাত্র ও শিক্ষকদের জন্যে ‘হুজরা’ বা পাঠের জন্যে পৃথক কক্ষ স্থাপন করা হয়। ইরান ও সমগ্র আরবভূমি মুসলমানদের জ্ঞান ও গবেষণার পিঠস্থানে পরিণত হয়। বিন কাসিমের সিন্ধু বিজয়ের মাধ্যমে আরবীয়দের আগমনের ফলে ক্রমশ এর প্রভাব পড়ে ভারতীয় জনপদেও। তবে মুসলমানদের ভারত বিজয় ভারতবর্ষকে কোনো উন্নত শিক্ষা কাঠামো উপহার দিতে পারে নি। বরং ভারতবর্ষের প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী ধর্ম এবং সংস্কৃত ভাষা ও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলির অনুকরণে তারা ইসলাম ধর্ম, আরবি ও ফারসি ভাষার মক্তব ও মাদ্রাসা গড়ে তোলেন [৬]।

    ভারতবর্ষে আরবীয়দের হিজরত শুরু হয় পশ্চিম ভারতে ষষ্ঠ শতকে এবং পূর্ব ভারতে দ্বাদশ-ত্রয়োদশ শতকে [৭]। বহিরাগত এসব মুসলিমের তৎপরতায় দিল্লি, লক্ষ্ণৌ, রামপুর, আগ্রা, মাদ্রাজ, ঢাকা ও পশ্চিম ভারতের বড় বড় শহরে মুসলিম জনগোষ্ঠীর ব্যাপক বিস্তৃতির ফলে ধর্মীয় শিক্ষাব্যবস্থাও ব্যাপকতা লাভ করে।

    ‘তারিখ ই ফেরেস্তা’ মতে ভারতবর্ষে সর্বপ্রথম মাদ্রাসা ভবন নির্মিত হয় পশ্চিম ভারতের মুলতানে। সম্ভবত ষষ্ঠ শতকে [৮] নাসিরুদ্দিন কাবাচা মওলানা কুতুবদ্দিন কাসানীর জন্যে মাদ্রাসা ফিরুজীর ভবনটি নির্মাণ করেন। ধারণা করা হয়, এটিই উপমহাদেশের প্রথম স্বীকৃত মাদ্রাসা [৯]। ভিন্নসূত্রের আরেকটি মত থেকে জানা যায়, ভারতে প্রথম ইসলামি শিক্ষা অর্থাৎ মক্তব মাদ্রাসার প্রচলন হয় বারো শতকে। শাহাবুদ্দীন মহম্মদ ঘোরী আজমিরে একাধিক মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। সেই মাদ্রাসাগুলিতে ঘোরীর সাথে এদেশে আসা কিছু দাস এবং ধর্মান্তরিত কিছু মুসলমানের শিক্ষার ব্যবস্থা হয় [১০]।

    ১২০৩ সালে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি কর্তৃক বাংলা ও বিহার জয়ের মাধ্যমে ইসলামি শাসন প্রবর্তিত হবার পর এ ভূমিতে ইসলামি শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটে। স্থাপিত হয় বহু মসজিদ, মাদ্রাসা ও খানকা। অবশ্য ইসলামি শাসন প্রবর্তিত হবার পূর্ব থেকেই বাণিজ্যব্যাপদেশে ভারতভূমিতে আরবদের যাওয়া-আসা ছিল। এসব বাণিজ্যযাত্রায় বণিকদের সঙ্গে বহু পির-দরবেশ-শিক্ষক এদেশে আসেন। যাঁরা এখানে মসজিদ, মাদ্রাসা, খানকা ও চিল্লাখানা স্থাপন করে থেকে গিয়েছেন। মুসলিম শাসন প্রবর্তিত হবার পর পির-আউলিয়াদের আগমন আরো বাড়তে থাকে। এ ভূমিতে প্রবর্তিত সুদীর্ঘ ইসলামি শাসন পলাশির ট্র্যাজেডি সংঘটিত হবার পূর্ব পর্যন্ত বলবৎ ছিল। দীর্ঘ মুসলিম শাসনকালে বিভিন্ন শহরে যেসব বিদ্যাপীঠ স্থাপিত হয়েছিল, সেগুলো সম্পর্কে ঐতিহাসিক ধ্বংসাবশেষ, উৎকীর্ণ লিপি, শিলালিপি, বিভিন্ন গ্রন্থে প্রাসঙ্গিক উল্লেখ প্রভৃতি সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আবুল হাসানাত নাদবী ইসলামি শিক্ষা কেন্দ্রসমূহের একটি তালিকা প্রণয়ন করেন; যাতে মুলতান ও উচা, আজমির ও দিল্লি, পাঞ্জাব, আগ্রা, অযোধ্যা, বিহার, দাক্ষিণাত্য, মালব, কাশ্মির, গুজরাট, সুরাট এবং বঙ্গদেশে স্থাপিত মাদ্রাসাসমূহের উল্লেখ আছে। এখানে বঙ্গদেশ অংশে বলা হয়েছে যে, রংপুর, লক্ষণাবতী, অস্থিপুর, গৌড়, ঘোড়াশহীদ মহল্লা, ঢাকা, মুর্শিদাবাদ, সিলাপুর প্রভৃতি স্থানে প্রাচীন মাদ্রাসার অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে [১১]।

    সম্রাট আকবরের সময়ে মক্তব মাদ্রাসা থাকলেও তার ওপর রাষ্ট্রীয় গুরুত্ব হ্রাস পেয়েছিল। আইন ই আকবরীতে আবুল ফজল জানান যে, আকবরের সময় আরবি ভাষা ও নিছক কোরান চর্চাকে উন্নত ও পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা হিসেবে গণ্য করা হতো না। তাঁর সময়কার শিক্ষানীতি ছিল সম্পূর্ণ সেকুলার এবং সে শিক্ষা ব্যবহারিক জীবনেও ছিল প্রাসঙ্গিক ও প্রয়োজনীয়। সকল ছাত্রকে তখন ক্রমে ক্রমে নীতিপাঠ, অঙ্ক, নামতা, কৃষিপাঠ, ওজন, পরিমাণ, দিনক্ষণ, ঘরগেরস্থির বিষয়, রাষ্ট্রনীতি, চিকিৎসা, তর্কশাস্ত্র, ধর্মশাস্ত্র, গণিতশাস্ত্র, প্রকৃতিবিজ্ঞান ও ইতিহাস পড়তে হতো। সংস্কৃত ভাষায় অধ্যয়নরত ছাত্রকে অবশ্যই পড়তে হতো ব্যাকরণ ও ন্যায়, বেদান্ত ও পতঞ্জলী দর্শন [১২]।

    ইংরেজ কর্তৃক ক্ষমতা দখলের পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের মক্তবসমূহের একতরফা অবক্ষয় ঘটছিল [১৩], অন্যদিকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে Oriental School of Educational Policy-র অনুসরণে ইংরেজরাই তৎকালীন ভারতবর্ষের এই ধর্মকেন্দ্রীক শিক্ষাব্যবস্থাটির পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে। ১৭৮১ সালে ওয়ারেন হেস্টিংস কর্তৃক কলকাতায় মাদ্রাসা স্থাপনের ভিতর দিয়ে এ নীতিরই বাস্তব প্রতিফলন ঘটে। হেস্টিংস কর্তৃক মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য জানতে পারা যায় নিম্নোক্ত উদ্ধৃতি থেকে। হেস্টিংস ভারত ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে এক রিপোর্টে লেখেন– ক্রিমিনাল কোর্ট, পুলিশ বিভাগ এবং অন্যান্য কাজে মুসলমানদের নিযুক্ত হওয়া দরকার। মুসলমান শাসনের অবসানের পর মুসলমানদের অবস্থা হয়েছে ভিখারির মতো। তাদের অবস্থা এতই খারাপ যে, তারা নিজেদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারে না যাতে তারা সরকারি কাজ করার মতো শিক্ষালাভ করতে পারে। এ প্রেক্ষাপটে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে যাতে মুসলমান ছাত্ররা লেখাপড়া করে সরকারি কাজে যোগ দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করে [১৪]। মাদ্রাসা স্থাপনের এই তৎপরতা ইসলাম ধর্মের প্রতি এদের দুর্বলতার কারণে সৃষ্ট হয় নি, কিংবা মাদ্রাসা শিক্ষা খুব উন্নততর শিক্ষা সেটা মনে করেও নয়। করা হয়েছে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক কারণে, যার সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য অবশ্যই নির্বিঘ্নে প্রজাশাসনের মধ্যে সীমিত।

    উনিশ শতকের শুরু থেকেই শিক্ষার উদ্দেশ্য, পদ্ধতি ও বাহন বিষয়ে ভারতে বেশ বিতর্ক জমে ওঠে। কিন্তু এ বিতর্ক প্রধানত ইংরেজ এবং অভিজাত হিন্দুদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। মুসলিমগণ এ ব্যাপারে ছিলেন প্রায় নীরব। দু’য়েকটি ব্যতিক্রম ছাড়া তাঁরা বরাবরই ছিলেন প্রাচ্যপন্থী। আধুনিক শিক্ষার বদলে তাঁরা আরবি/ফারসি ভাষা ও মক্তব মাদ্রাসাতেই ছিলেন সন্তুষ্ট। তবু নানা বিতর্কের পরও ১৮২৪ সালে কলকাতা মাদ্রাসায় এবং ১৮২৭ সালে কলকাতা সংস্কৃত কলেজে ইংরেজি ক্লাস খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় [১৫]।

    চার্লস গ্র্যান্টের ১৭৯২ সালের দলিল Observation on the state of society among the Asiatic subjects of Great Britan-এর ভিত্তিতে রচিত ১৮১৩ সালের চার্টারের শিক্ষাসংক্রান্ত নীতিমালা এবং পরে লর্ড মেকলের ১৮৩৫ সালের বিখ্যাত শিক্ষানীতি ক্রমশ পাশ্চাত্য জ্ঞান ও ইংরেজি শিক্ষার গুরুত্বকে বাড়িয়ে তোলে। মেকলে কলকাতা মাদ্রাসা ও সংস্কৃত কলেজ বন্ধ করে দেয়া এবং আরবি, ফারসি ও সংস্কৃত ভাষায় গ্রন্থ প্রকাশে আর্থিক আনকূল্য দান বন্ধের সুপারিশ করেন। তাঁর প্রথম প্রস্তাবটি বাস্তবায়ন করা না হলেও দ্বিতীয়টি করা হয় [১৬]।

    এরই ধারাবাহিকতায় ১৯০৭-৮ সালে তদানীন্তন জনশিক্ষা পরিচালক আর্চডেল আর্ল-এর নেতৃত্বে গঠিত বিখ্যাত আর্ল কমিটি এবং ১৯১৪ সালে গঠিত নাথান কমিটি মাদ্রাসা শিক্ষায় ব্যাপক পরিবর্তনের সুপারিশ করে। ১৯১৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে মাদ্রাসা শিক্ষায় নিউ-স্কিম ব্যবস্থা সর্বত্র চালু হয়। এ স্কিমের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো ফারসি ভাষা বর্জন ও ইংরেজি বাধ্যতামূলক করা। এসময় পাঠ্যসূচিতে বাংলা, অঙ্ক, ভূগোল, ইতিহাস, ইংরেজি, অঙ্কন, হাতের কাজ এবং ড্রিল অন্তর্ভুক্ত হয় [১৭]।

    ১৮৩৬ সালে জেনারেল কমিটি ফর এডুকেশন মহসীন ফান্ডের টাকায় হুগলিতে মহসীন কলেজ প্রতিষ্ঠা করলে তিনদিনের মধ্যে ব্যাপকসংখ্যক ছাত্র ভর্তি হয়; কিন্তু আশ্চর্য যে, ইংরেজি ও প্রাচ্য বিভাগে ভর্তি হওয়া ছাত্রের সংখ্যা ১২০০ জন ও ৩০০ জনের মধ্যে মুসলমানের সংখ্যা ছিল মাত্র যথাক্রমে ৩১ জন ও ৮১ জন। মুসলমানের সংখ্যাচিত্রের এই দৌর্বল্যের সুযোগ নিয়ে কথিত মুসলমানহিতৈষী হান্টার সাহেব মহসীন ফান্ডের কোনো টাকা মহসীন কলেজে ব্যয় না করে সেই টাকায় হুগলি, ঢাকা ও চট্টগ্রামে মাদ্রাসা স্থাপনের প্রস্তাব করেন। সে অনুযায়ী হুগলি কলেজ থেকে ফান্ড প্রত্যাহার করে পরবর্তী সময়ে হুগলি, ঢাকা ও চট্টগ্রামে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয়। যদিও হাজী মুহম্মদ মহসীন তার উইলের কোথাও একথা লিখে যান নি যে, তার প্রদত্ত অর্থ কেবল মুসলমানদের খাতেই ব্যয় করতে হবে।

    বাংলাদেশে এখন সরকারি উদ্যোগে যে মাদ্রাসা শিক্ষাকে পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হচ্ছে, তা ইংরেজ আমলে হেস্টিংস কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসার বহুল পরিবর্তিত রূপ। আর এর নিকটসম্বন্ধযুক্ত রূপটি খারিজি বা কওমি মাদ্রাসা হিসেবে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান সর্বত্রই আলাদা ও বিচ্ছিন্ন প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার বাইরে বিদেশ থেকে আগত অর্থে এবং জনসাধারণের অর্থে কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

    ১৯৪৭ সালে দেশভাগ হওয়ার পর কলকাতার আলিয়া মাদ্রাসাটি ঢাকায় স্থানান্তরিত হয়। এরপর থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত পাক শাসকদের আনুকূল্যে মাদ্রাসা সংখ্যা কমবেশি বৃদ্ধি পেলেও তা বাংলাদেশ সময়ের মতো ব্যাপকতাপ্রাপ্ত হয় নি। মাদ্রাসা ও মক্তবগুলি পাক আমলেও বেসরকারিভাবে পরিচালিত হতো। এমনকি মাদ্রাসার ব্যয় নির্বাহের জন্যে ছাত্রদের ট্রেনে, বাসে ও অন্যত্র ভিখারির মতো টিন হাতে চাঁদা তুলতেও দেখা যেত [১৮]।

    স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমান কোনো মাদ্রাসা বন্ধ করেন নি, যদিও বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে তার যাত্রা শুরু করে। ১৯৭৫ সালের রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর থেকে খালেদা জিয়ার শাসনামল পর্যন্ত মাদ্রাসা শিক্ষার জন্যে ছিল সব চাইতে অনুকূল সময় [১৯]। বর্তমানে রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা ধর্ম-নিরপেক্ষতার দাবিদার সরকারও মাদ্রাসা শিক্ষার মিত্র হিসেবেই তার ভাবমূর্তিকে সুপ্রতিষ্ঠিত করবার চেষ্টায় রত আছে, যার ছাপ সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে প্রতিফলিত হচ্ছে।

    ************
    [১] আলিয়া মাদ্রাসার ইতিহাস, আবদুস সাত্তার, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ঢাকা। পৃষ্ঠা : ১৭।

    [২] ফেদিয়া মানে মুক্তিপণ। এই যুদ্ধবন্দিরা আর্থিকভাবে অক্ষম থাকায় পণের বিনিময়ে মুক্তি নিতে পারে নি। যেহেতু এরা নিজেরা শিক্ষিত ছিল এবং আরবি ভাষা তারা লিখতে পড়তে পারত, সুতরাং মুক্তিপণের পরিবর্তে তাদেরকে এই শর্ত দেয়া হয় যে, প্রত্যেকে দশজন করে শিশুর শিক্ষাদান করলে তারা মুক্তি পাবে।

    [৩] সম্ভবত তখন আরবির বাইরে জীবিত ভাষাগুলোর মধ্যে ফারসি, হাবসি, হিব্রু ও রোমান ভাষার কথাই তাদের জানাশোনার মধ্যে ছিল।

    [৪] মাদ্রাসা শিক্ষা : বাংলাদেশ : আবদুল হক ফরিদী, বাংলা একাডেমী, ঢাকা, পৃষ্ঠা ১২। [৫] প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ২১। [৬] বাঙলাদেশ লেখক শিবির প্রকাশিত বাংলাদেশের শিক্ষা : অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ-এর ‘বাঙলাদেশের আধুনিক শিক্ষা : ঐতিহাসিক পটভূমি’ নামক শহিদুল ইসলামের প্রবন্ধ দ্রষ্টব্য। পৃষ্ঠা ১২। [৭] বাংলাদেশের মাদ্রাসা শিক্ষা (পটভূমি, বর্তমান চিত্র ও নারীর অবস্থান) : আবুল মোমেন, বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ, ঢাকা। পৃষ্ঠা ৮। [৮] এই প্রতিষ্ঠানে হযরত শেখ বাহাউদ্দিন জাকারিয়া মুলতানি ভাষা শিক্ষা গ্রহণ করেন। তাঁর জন্ম ৫৭৮ হিজরি সনে। [৯] বাংলাদেশের মাদ্রাসা শিক্ষা, প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ৯। [১০] বদরুদ্দীন উমর, শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট এবং মাদ্রাসা ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রসঙ্গে, সংস্কৃতি, ২৫ বছর পূর্তি সংখ্যা, পৃষ্ঠা ১৯। [১১] মাদ্রাসা শিক্ষা : বাংলাদেশ, প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ২৩-২৭। [১২] বদরুদ্দীন উমর, শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট এবং মাদ্রাসা ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রসঙ্গে, পৃষ্ঠা ২১। [১৩] আলিয়া মাদ্রাসার ইতিহাস, প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ২৫। [১৪] বদরুদ্দীন উমর, শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট এবং মাদ্রাসা ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রসঙ্গে, পৃষ্ঠা ২১। [১৫] বাংলাদেশের শিক্ষা : অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ, প্রাগুক্ত, পৃষ্ঠা ৩৩। [১৬] বাংলাদেশের মাদ্রাসা শিক্ষা (পটভূমি, বর্তমান চিত্র ও নারীর অবস্থান), প্রাগুক্ত। পৃষ্ঠা ১১। [১৭] প্রাগুক্ত। পৃষ্ঠা ১০। [১৮] বদরুদ্দীন উমর, শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট এবং মাদ্রাসা ও ধর্মীয় শিক্ষা প্রসঙ্গে, পৃষ্ঠা ২৩। [১৯] দৈনিক ইনকিলাব, ১৫ জুলাই ১৯৯৯।
  • ranjan roy | 24.99.***.*** | ১৮ নভেম্বর ২০১২ ০০:৫১577423
  • brcsig,
    আপনাকে কি বলে যে ধন্যবাদ দেব!
    আমি ৪৩ বছর ধরে বঙ্গের বাইরে, এখানকার মাদ্রাসা শিক্ষাপদ্ধতির ব্যাপারে কিছুই জনতাম না। আমরা মাত্র প্রাথমিক অধ্যয়ন শুরু করেছি, তাও শুধু ছত্তিশগড়ের স্যাম্পল সার্ভে দিয়ে। বিক্রমশিলা ফাউন্ডেশনের নামটুকু শুধু শুনেছি, একজন ইউনিসেফ এর অফিসারের কাছ থেকে। এখন আপনার পোস্ট পড়ে অনেকখানি জানলাম। আমাদের হাঞ্চ সাপোর্ট পেল যে শুধু ধর্মীয় গোঁড়ামি ও বিদ্বেষ শেখানোর আখড়া হিসেবে যে বহু প্রচারিত কমন পারসেপসন রয়েছে, তা বোধহয় ঠিক নয়। যদিও আধুনিক মেইনস্ট্রিম শিক্ষা এখানে ঠিকমত চালু করতে অনেক কাঠখড় পোহাতে হবে। তবু অনেক কাজের স্কোপ আছে।
    আপনার দেয়া লিংক নিয়ে আনোয়ার শাহ রোডে বিক্রমশিলা ফাউন্ডেশনে দেখা করতে যাবো।
  • brcslg | 37.125.***.*** | ১৮ নভেম্বর ২০১২ ১৭:২১577424
  • নেট থেকে এই তথ্য পেলাম। আপনার সাথে শেয়ার করলাম।

    Vikramshila Education Resource Society (1989) is a non profit non governmental organization working in the area of education with the mission of “making quality education a reality for all children”
    .
    For this, Vikramshila provides technical support to other organizations in the form of teacher training, development of curriculum material and teaching learning modules and materials.

    Vikramshila also undertakes innovative pilot projects from time to time in an action research mode to try out new ideas and look for practical solutions to problems in the field of education.

    Registered under West Bengal Society Registration Act, Vikramshila is based in Kolkata, (West Bengal, India) and has 140 members striving to realize its mission.

    Vikramshila works with teachers and teacher educators, children and community, government systems and educational institutions to bring about a transformation in education so as to make possible a world that is just, equitable and harmonious.

    Phone No. : 32926084
    24229124
    40644753
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন