এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • নলিনী বেরা - এর লেখালেখি

    Somnath
    বইপত্তর | ১৪ নভেম্বর ২০১২ | ৬৮৯২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • T | 165.69.***.*** | ০৫ নভেম্বর ২০১৬ ১৩:০৪577151
  • না, এখন আর পাওয়া যায় না।
  • BCP | 127.194.***.*** | ০৫ নভেম্বর ২০১৬ ২০:১৯577152
  • এখন কি বাড়িতে? থাকলে আর একটা অনুরোধ। বইয়ের কভারগুলোর একটা করে আর যেগুলোর সূচিপত্র রয়েছে সেগুলোর সূচিপত্রের ছবি তুলে আনার জন্য।

    কভারের ছবি ক্রপ করে পরে ব্লগ-এ দেওয়া যায় এমন কোয়ালিটিতে তুললেই হবে। সূচির ছবি গুগুল ওসিআর এ কনভার্ট করে ইউনিকোড করে দেব। অবশেষে ওঁর ব্লগটা হয়ে যাবে।
  • pi | ***:*** | ১৮ এপ্রিল ২০১৯ ২৩:২৬577153
  • সুবর্ণরেণু সুবর্ণরেখার জন্য আনন্দ পুরস্কার পেলেন।
  • | ১৮ এপ্রিল ২০১৯ ২৩:৩০577154
  • হ্যাঁ দারুণ খবর
  • Tim | ***:*** | ১৯ এপ্রিল ২০১৯ ০১:০৭577155
  • এটা খুব ভালো খবর।
  • b | ***:*** | ২০ এপ্রিল ২০১৯ ০৯:২১577157
  • কলেজস্ট্রীট্ডট নেট-এ একটাই বই কেন?
  • pi | ***:*** | ২৬ এপ্রিল ২০১৯ ০৬:০৮577158
  • ভাট থেকে তোলা থাক।

    name: i mail: country:

    IP Address : 122312.44.890112.206 (*) Date:19 Apr 2019 -- 03:19 AM

    নলিনী বেরার বরফপড়ার দিনগুলোয়, বর্ষামঙ্গল, মাথার ভেতর গজগজ করেছে কত কত দিন। ভূতজ্যোৎস্নার মত গল্প যে হতে পারে ভাবতেও পারি নি কোনদিন। এক একটা লাইন গুনগুন করেছে কতদিন- যেমন 'ইরম বিলাসিতা কি পুষায়, মধ্যবিত্ত না?'
    প্রতিক্ষণ থেকে প্রকাশিত ১০টি গল্পের সেই পুরোনো সংকলন আমার সঙ্গে সঙ্গে ঘোরে সবখানে।
    এবারে গুরুর পুজোসংখ্যায় ওঁর লেখার তলায় মন্তব্য করতে গিয়ে সুবর্ণরেখা সুবর্ণরেণুর কথা লিখেছিলাম (আমার এখনও পড়া হয় নি যদিও)-অসম্ভব প্রশংসা শুনছিলাম তখনই।
    প্রতিক্ষণের সংকলনে উনি বলেছিলেছিলেন -' আমি তো মেদিনীপুরের গল্প লিখি না, গল্প লিখি মেদিনীর। সে -মেদিনীর মানুষগুলোকে মিথ্‌ করে গড়ে তোলার চেষ্টা করি। এই কারণে, একথা ভালোমতো জানি যে, মিথ্‌ - রূপকথার কোনো সীমা -চৌহদ্দি নেই, দেশ -কাল নেই।'

    এই লেখকরা পুরস্কারের তোয়াক্কা করেন না। অভিনন্দন, প্রশংসা, প্রণামেরও না। আমার তো তাই মনে হয়।

    তবু,এ' অধমের নমস্কার রইল।

    http://www.guruchandali.com/guruchandali.Controller?portletId=4&porletPage=1&porletSubPage=40817
  • S | ***:*** | ২৭ এপ্রিল ২০১৯ ১৫:৩৯577162
  • "ক্র্যাক করেন বিসিএস"। এটা একটা বাংলা সংবাদপত্রের সাংবাদিক আনন্দ পুরস্কার জয়ী লেখকের সাক্ষাৎকারের আগে তাঁর পরিচয় দিতে গিয়ে লেখেন কি করে? এডিটর কি করছেন?
  • b | ***:*** | ২৭ এপ্রিল ২০১৯ ১৫:৫৬577163
  • বি সি এসে ফাটিয়ে ভালো রেজাল্ট করেছিলেন আর কি।
  • S | ***:*** | ২৭ এপ্রিল ২০১৯ ১৫:৫৯577164
  • সেটা বাংলায় লিখলেই তো হয়।
  • Ekak | ***:*** | ২৭ এপ্রিল ২০১৯ ১৬:১২577165
  • যাই হোক , এই খবরে প্রভূত আনন্দ পেয়েছি । এমনিতে পুরস্কার প্রদানগুলো কবে ঘটে যায় কে পান খেয়াল থাকেনা । নলিনীবাবুর লেখা বেশ পিকচারেস্ক লাগে , এর ক্যানভাস -রং বড় প্রিয় । তাই খবরটা শুনে তৃপ্তি হলো ।
  • সুকি | ***:*** | ২৭ এপ্রিল ২০১৯ ১৭:০৮577166
  • প্রিয় লেখকেরা পুরষ্কার পেলে ভালো লাগে।
  • T | ***:*** | ২৭ এপ্রিল ২০১৯ ২২:২৫577167
  • জনতাকে যে তথ্যটি জানানোর সেটি হ'ল এইবারের বইমেলায় এককের বইয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন নলিনী বেরা করেচেন।
  • রিভ্যু | ***:*** | ২৮ এপ্রিল ২০১৯ ০২:২৮577168
  • কুমার রাণার দেশে প্রকাশিত রিভ্যু তুলে দিয়েছেন একজন ( অনেকদিন আগেই প্রকাশিত) ,

    "এক অজানিত অ-শ্রুত লোকের কথা
    কুমার রাণা
    সুবর্ণরেণু সুবর্ণরেখা, নলিনী বেরা, কলকাতা: দে’জ পাবলিশিং, ৩০০ টাকা
    “সুবন্নকা নদী সনা পায়ঁ যদি তকে পরহাব…।” সোনা পেলে তাকে পরাবে, যদি না পায়? পাওয়ার কল্পনাটাই সোনা, না পাওয়ার বাস্তবতার কাছে সে কেনইবা আত্মসমর্পণ করবে? তাই সে, আজি হতে বহু যুগ আগে, যখন ধরণী-র এই প্রান্ত অরণ্যে নিবিড়, যখন তার ফাঁকে ফাঁকে একটি-দুটি পর্ণ কুটীরে মানব-মানবীর হাত ধরে জেগে ওঠে ইতস্তত সূর্যরশ্মির ছোঁয়া লাগা এক ফালি দু ফালি শষ্যক্ষেত্র, আর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর বালিতে ঠিকরে পড়ে সোনার বরণ দিবালোক, তার চেতনায় প্রাণ পায় এক কল্পনা – নদীজলে বহে যায় সোনা। হয়তোবা বহে যেত, যেমন কণ্ঠে কন্ঠে বিধৃত আছে কাহিনি, সারা দিন চালনিতে নদীর বালি তুলে তুলে, জলে ডুবিয়ে, জলে ধুয়ে, বিন্দু বিন্দু স্বর্ণকণিকা তুলে দিবাশেষে ঘরে ফিরত মানব-মানবী। কাহিনি-র স্বর্ণ-সন্ধান গ্রাসাচ্ছাদনের নিশ্চয়তা দেয়নি ঠিক, কিন্তু সে রেখে গেছে এক বহমান জীবনকথা, যার নাম সুবর্ণরেখা।
    তার দুই তীর ধরে মানব সংস্কৃতির বহুল বিস্তার। ঝাড়খণ্ডের রাঁচী থেকে বেরিয়ে ওডিশায় বঙ্গোপসাগরে বিলীন হয়ে যাওয়ার আগে তার জলস্রোত প্লাবিত করে চলে তীরবর্তী লোকসমুদায়ের জীবন। জীবিকায়, ভাষায়, সঙ্গীতে, উৎসবে, আচারে, অনুষ্ঠানে ভিন্ন ভিন্ন ব্যাপকতা, আবার নানা রূপের একত্ব। জেলে-কুমোর-তাঁতী, রাজু-ব্রাহ্মণ- সদগোপ, সাঁওতাল-মুণ্ডা-লোধা, নানা গোষ্ঠীর লোক কেউ নদীর ঠিক তীরে, কেউ কিছু দূরে অরণ্য-অঞ্চলে নদীর স্রোতের সঙ্গে এগিয়ে চলেছে। তার এক একটি জনপদ, এক একটি গৃহ, এক একটি জগৎ। গৃহেরও অন্দরে ভিন্নতা, বাহিরে ভিন্নতা। অন্দর-বাহিরের স্বাতন্ত্র্য অতিক্রম করে গৃহবাসীরা যেমন পরস্পরের সঙ্গে অন্তরে অন্তরে চলাচল করে ভিন্ন ভিন্ন সম্পর্কের চালনায়, তেমনি গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে, কত না বিচিত্র সম্পর্কের চলাচল। একই মানুষ নৌকো চালায়, মাছ ধরে, চাষ করে, গান গায়, আবার বলে চলে কাহিনির পর কাহিনি। একই মানুষ ভাত রাঁধে, ধান পোঁতে, বাচ্চাকে দুধ খাওয়ায়, আলপনা দেয়। একই মানুষ বুকে জড়িয়ে ধরে, আবার লাঠির ঘায়ে মাথা ফাটিয়ে দেয়। নদী ও মানুষ জড়াজড়ি করে বুনে চলে কাহিনির পর কাহিনি। মানুষ, ফ্রান্সিস ফিটজেরাল্ডের কথায়, “আবিষ্কার করে যে তার চাওয়াগুলো সর্বজনীন, সে একা নয়, পরস্পর বিচ্ছিন্ন নয়, সে অন্য সকলের মধ্যেই অস্তিত্ববান।” তার চেতনার সঙ্গতি তার আত্মবোধে, আবার তার পরার্থবোধে। চৈতন্য-জটিল আত্ম-পরের এই সংগঠনকে বর্ণনায় রূপ দেওয়া যতটা দুরূহ ততখানি জরুরি। সাহিত্য স্রষ্টা হিসেবে নলিনী বেরার এই আবশ্যিক কাজটা হাতে নেওয়া সম্ভবত এক স্তরোত্তীর্ণ চৈতন্যভূমিতে পৌঁছনোর তাগিদ।
    ক্ষুদ্র এক ভূমিখণ্ডকে ভিত্তি করে বিপুলা পৃথিবীকে দৃষ্টির গোচরে নিয়ে আসা, যতটুকু বুঝেছি, নলিনীর সাহিত্যসৃষ্টির বিশেষত্ব। হয়তো তাঁর শেকড় থেকে তাঁর এই চাওয়ার উদ্ভব। সে শেকড় প্রোথিত সুবর্ণরেখা তীরবর্তী বিশ্বে, যেখান থেকে নলিনীর মতো মানুষদের পক্ষে সহজে বহির্বিশ্বের আকর্ষণ স্বীকার করা সহজ নয়। বস্তুত, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের এই প্রান্তদেশ থেকে বাংলার তথাকথিত মূল ভূখণ্ডে পা রাখার স্বপ্ন দেখার সামর্থ্যও এখানকার লোকেদের হয়ে ওঠেনা। সেই বিপরীত আকর্ষণের যন্ত্রণা, সেই যাত্রারম্ভেই প্রত্যাবর্তনের সামূহিক ব্যর্থতাবোধ মূর্ত হয়ে ওঠে কারো কারো মধ্যে, যিনি বিশ্বকে ডেকে দেখান, “এই দ্যাখো এক পৃথিবী। দেখো এখানকার অধিবাসী শ্রমপবিত্র মানুষের জনক-জননীদের, এর বহুবর্ণ রূপ, শেকড়ের জোর।” এও এক সন্ধান, নিজের শেকড়ের, যা একা একা হয়না, সে জিজ্ঞাসা বিশ্বপৃথিবীর বিপুলতার সঙ্গে স্থানিক বিশ্বের গভীরতাকে মিলিয়ে চেতনাকে নির্মিত-বিনির্মিত করে চলে। সেই সন্ধানের ফসল উঠেছে বাংলাভাষী পাঠকের ঘরে, নলিনীর নানা কাজের মধ্যে দিয়ে, শবরচরিত অবশ্যই অগ্রগণ্য। সুবর্ণরেণু সুবর্ণরেখা সেই একই জিজ্ঞাসার এক ভিন্নতর সৃষ্টি।
    আত্মজৈবনিক এ উপন্যাসে, শবর চরিত-এর মতোই, ভিত্তি এক আঞ্চলিক প্রাকৃতিক সমাজ। কিন্তু, আগে যেখানে তাঁর কথোপকথনগুলো ছিল বর্তমানের সঙ্গে, সুবর্ণরেখা-তে তিনি একইসঙ্গে কথা বলছেন এগিয়ে যাওয়া অতীত এবং অনাগত ভবিষ্যতের সঙ্গে। কাহিনিতে তিনি স্ব-নামে উপস্থিত। তাঁর পরিবার থেকে কাহিনির শুরু, ঘটনাবলীও এগিয়েছে, পিছিয়েছে তাঁরই পরিবারকে কে ঘিরে। পরিবার এখানে বাখুল। বহুভাষিক এই অঞ্চলে সম্পূর্ণ আলাদা উৎস থেকে আসা বিভিন্ন ভাষা য়াপন স্বাতন্ত্র্য বজায় রেখেও পরস্পরের সঙ্গে স্বচ্ছন্দে মিশে গেছে। সাঁওতালি বাখুল-কে আত্মস্থ করতে স্থানীয় ওডিয়া-বাংলা-র মিশ্রণে গড়ে ওঠা হাটুয়া ভাষার অসুবিধাতো হয়ইনি, বরং সে অধিকতর বাঙময় হয়েছে। নলিনের ব্যাখ্যায়, “ এ তল্লাটে বাংলা তো কেউ বলেনা, কেউই না। বলে বাংলা-উড়িয়া মেশামেশি। বলে দোকানদারেরা, বলে কোনো কোনো ‘হাল ধরা’ হিন্দুরা। একেই বলে ‘হাটুয়া ভাষা’। উদাহরণ – আইলা বামহন মাইলা তালি, ঘিনি পালেইলা চাউলথালি।” আবার হাটুয়া ভাষারও আছে নানা রূপ, কোথাও ওডিয়ার ভাগ বেশি, বাংলা কম, কোথাও উল্টোটা। হাটুয়া ভাষাই এখানকার সংযোগের ভাষা – সম্পর্কের এক প্রধান বনিয়াদ।
    সম্পর্কের অন্য বনিয়াদও আছে – লোককথায়, সঙ্গীতে, গ্রামীণ উৎসবে, উপার্জনে, খরচে, মেলায়, গরাম থানে, জাহের থানে, সর্বত্র। আর সম্পর্কের সব চেয়ে বড় বনিয়াদ উৎপাদনের ওপর নিয়ন্ত্রণ। জমি যার আছে আর যার জমি নেই, যার জমি সুফলা আর যার জমি বন্ধ্যা, যে লেখাপড়া জানে আর যে জানেনা, যে শহর দেখেছে যে দেখেনি, এই রকম কত বিচিত্র বিরোধাভাস নিয়ে গড়া সমাজে সম্পর্কের বনিয়াদগুলোও সদা সঞ্চরণশীল। যে ব্রাহ্মণ অহংকারী অতীতের সুবাদে পূজ্য, সে-ই আবার হাততালি দিয়ে চালের থালা নিয়ে পালিয়ে গেল বলে লোকত তিরস্কৃত হচ্ছে। যে ডোম অতীতের জাতি-বিভাজনের লজ্জা বহন করে চলে, সর্বদা “অবধান দণ্ডবত” বলে সে-ই আবার অপরিহার্য হয়ে ওঠে আরাধনায়-লৌকিক অনুষ্ঠানে-দৈনন্দিন সাংসারিক প্রয়োজনে। ভারতবর্ষের বিশিষ্টতায় সমাজ ও অর্থব্যবস্থা, ক্ষমতা ও সামাজিক বিভাজন, যে জটিল বাঁধনে অচ্ছেদ্য বলে মনে হয়, যে বাঁধন না কেটে দেশ প্রকৃত দেশ-ত্ব অর্জন করতে পারেনা, সেই জটিল বিন্যাস পরতে পরতে উন্মোচনের সঙ্গে সঙ্গে নলিনী পাঠককে নিয়ে তোলেন বংশী নাউড়িয়ার নৌকায়, পাড়ি দেন অনাগত এক কালের উদ্দেশ্যে।
    বর্তমানের হাত ধরে আসে ইতিহাস। স্কুলে পড়ার প্রয়োজনে নলিনীকে এসে থাকতে হয় নদীর অন্যপারে রোহিণি-তে। সেই রোহিণীগড়, যার সামন্ত যুবরাজের শবরীবালার প্রতি আকর্ষণ, “প্রেমোন্মাদ রাজকুমারকে জড়িয়ে কতসব কিংবদন্তী”, যেখানে “একদা একদল পোষা লাঠিয়াল ছিল, আর ছিল ইয়া লম্বা মোচওয়ালা কালী বাগদী।” আসে ভূ-সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের কাহিনি, আর গ্রীষ্মের সুবর্ণরেখার ধীর, প্রায় অদৃশ্য স্রোতের মতো বয়ে চলে সামাজিক সম্পর্কে অতীতের বিপুল ভারের কথা, যে ভারে, যে ব্রাহ্মণ জমিদারের কাছে কালী বাগদী অস্পৃশ্য তার জন্যই সে প্রাণ দিতেও অকুন্ঠ। সেই ভারে “কালো কালো ডেঁয়ো পিঁপড়ের মতো মুনিষ-মাহিন্দারের দল” উদয়াস্ত খেটে চলে। কাহিনির হাত ধরে আসে নানান কাহিনি – বহিরাগত শাসকের সঙ্গে স্থানীয় লোকগোষ্ঠীর সঙ্ঘাত, বর্গীদের আক্রমণ, এলাকা-ভিত্তিক যুদ্ধ। অন্য দিকে, নলিন ঘুরে বেড়ান ঝোপে ঝাড়ে, ধানজমিতে, বিয়েবাড়ির ছাদনাতলা – ছামড়ায়। প্রত্যক্ষ করেন চাপিয়ে দেওয়া অজ্ঞানতা ও চিকিৎসা ব্যবস্থার বঞ্চনার কারণে শিশুমৃত্যু, এবং সেই অভিজ্ঞতার সন্ত্রাস থেকে থেকে জন্ম নেওয়া আদিম এক প্রতিকার ব্যবস্থা। তিনি একই সঙ্গে এনে হাজির করেন ডোমেদের আবহমান কাল ধরে প্রজন্ম-প্রশিক্ষিত বাজনা ও মাইকে হেমন্ত-শ্যামল-লতা-র গান। হাজির করেন খাসি কাটার উল্লাস, তার রক্ত ধরে ভেজে খাওয়ার উন্মাদনা, আর তার পাশে “চরাচর জুড়ে ফিঙ-ফোটা-জ্যোতস্না”।
    বিদ্যাসাগর “সংস্কৃতভাষা ও সংস্কৃতসাহিত্য” প্রবন্ধে বলেছিলেন, “পূর্বকালীন লোকদিগের আচার, ব্যবহার, রীতি, নীতি, ধর্ম, উপাসনা ও বুদ্ধির গতি প্রভৃতি বিষয় সকল মনুষ্যমাত্রের অবশ্যজ্ঞেয়…”। নলিনের উপন্যাস শেষ হয়েছে গত সহস্রাব্দের সাতের দশকে। সে দিক দিয়ে তিনি আমাদের পূর্বকালীন লোকেদের কথা শোনাচ্ছেন। কিন্তু, সেই সঙ্গে তিনি বাংলা-র এক প্রায় অজানিত, অ-দৃশ্য, অ-শ্রুত লোক-কে পাঠকের সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিচ্ছেন। বানান ভুল এবং উপস্থাপনাগত কিছু সীমাবদ্ধতার ধুলো-বালিগুলো ঝেড়ে ফেলে পাঠক প্রকৃতই সুবর্ণরেখার সুবর্ণরেণু তুলে আনতে পারবেন।"
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন