এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • রবিশংকর বল - এর লেখালেখি ও ম্যাজিকপ্রচেষ্টা

    Somnath
    বইপত্তর | ১৪ নভেম্বর ২০১২ | ৩১০৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সৈকত | 212.54.***.*** | ১৪ নভেম্বর ২০১২ ০৯:৪১577121
  • সেই ৯৫ সাল থেকে পড়ে আসছি। "দারুনিরঞ্জন" বই থেকে এই পুজোর "সে কাব্য অনেক" অবধি। একজন লেখককে অনুসরণ করে যাওয়া উচিত বলেই মনে করি। পড়েই যাব।
  • .... | 127.194.***.*** | ১৫ নভেম্বর ২০১২ ০১:৫৩577122
  • স্যাম্পেলঃ (অনুগ্রহ করে এইগুলো পড়ে লেখকের সামগ্রিক লেখালেখি সম্বন্ধে ধারণা গড়ে তুলবেন না, বিবলিওগ্রাফি, ক্রমে আসিতেছে, পড়ে দেখবেন)

    আকাশদীপ - বিশ্বায়ন-এর বিশেষ সংখ্যা। এই লেখাগুলো পড়তে ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার বা আই-ই ট্যাব ব্যবহার করতে পারেন। ফায়ারফক্স এ ঠিকঠাক না ও আসতে পারে। প্রয়োজনে সাইট থেকে ফন্ট খুঁজে নামাতে হতে পারে।

    শ্রাবণঘন - শারদীয়া -১৪১০
    http://www.viswayan.com/akash/sharod/sraban.asp

    জাহাজডুবির আগে - নববর্ষ - ১৪১৩
    http://www.viswayan.com/akash/naba1413/rabishankar.asp

    অবরোধের শহর থেকে - শারদীয়া - ১৪১৩
    http://www.viswayan.com/akash/sharod1413/rabisankar.asp
  • lolita | 202.17.***.*** | ০৩ ডিসেম্বর ২০১২ ২১:৪০577123
  • রবিশংকরবাবুর ম্যাজিকের ভিডিও ইউটিউবে পাওয়া যাবে?
  • .... | 69.16.***.*** | ০৪ ডিসেম্বর ২০১২ ১৯:২৪577124
  • রং আর চামড়া
    ========
    রবিশংকর বল

    শান্ত হও আরও শান্ত হয়ে যাও

    যেরকম খেলাশেষের ক্লাউন চেয়ে থাকে,

    শান্ত, আয়নার দিকে

    এর চেয়ে বড় কোনও ভূমিকা তোমার জন্য ছিল না,

    আজ যদি বলো প্রস্তুত নও, তবে কি মানায়

    ট্রাপিজের ওপর যারা খেলা দেখায়

    তারা কি এখানে প্রস্তুত হয়ে এসেছিল

    দিনগুলো কুয়াশায় মোড়া

    রাতগুলো নীল আলোয় ভাসমান

    সার্কাসের তাঁবুতে এখন সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে,

    তুমি শুধু ঘষে ঘষে মুখের রং তুলছো, তুলে যাচছ,

    রং... চামড়া... রং

    =========================

    গল্পঃ মুখোশের আড়ালে (নকশা পত্রিকা)

    http://nakshamagazine.com/%E0%A6%AE%E0%A7%81%E0%A6%96%E0%A7%87%E0%A6%BE%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A7%9C%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%87/
  • .... | 69.16.***.*** | ১৪ ডিসেম্বর ২০১২ ২১:২১577126
  • কিছু বই কেনা রয়েছে, আর শারদীয়াগুলো ও । প্রথম রবিশংকর বল পড়ার পর, তা বেশ বহু বছর আগে, কোনটা পড়েছিলাম তাও মনে নেই, বোধহয় কোনো বিদেশি বই নিয়ে আলোচনা, মনে একটাই কথা এসেছিল "অতিরিক্ত পাকামো"। দিন গেছে, ওঁর ও কলম শক্তিশালী হয়েছে, আমার ও পাঠক হিসেবে বিবর্তন। প্রথাভাঙা কলম যে অন্তত, একখা অস্বীকার করার আর যো নেই আমার। খুব বেশি প্রিয় না হলেও রবিশংকর বলের লেখা আমি আরো পড়তে চাই, যেহেতু মনে করি অনেক অজানা মোচড় এখনো কলমে রয়েছে তাঁর। সবচেয়ে বড় কথা গতানুগতিক লেখার বাইরের রাস্তা উনি নিজেই খুঁজে চলেছেন নিজের তাগিদে। সে পথ খোঁজা, পথ চলা দেখে যাওয়াটাও অভিজ্ঞতা।

    বই

    গল্প সংকলন
    নির্বাচিত গ্ল্প - (করুণা প্রকাশণী, ২০০৫)
    দশটি গল্প - (পরশপাথর)
    দারুনিরঞ্জন
    জীবন অন্যত্র
    ঐ মণিময় তার কাহিনি
    রবিশংকর বলের গল্প
    আর্তোর শেষ অভিনয় (তারকনাথ বুক সিন্ডিকেত, ১৯৯৭)
    দোজখনামা - (দে'জ পাবলিশিং)
    জীবনানন্দ ও অন্যান্য
    ছায়াপুতুলের খেলা - (গাঙচিল, ২০০৮)
    নীল দরজা লাল ঘর
    পোখরান '৯৮ (হতে পারে এটাই শারদীয়া প্রতিদিন ১৯৯৮ এর উপন্যাসটি)
    মিলনের শ্বাসরোধী কথা ( প্রতিভাস)
    স্বপ্নযুগ (ঊর্বী প্রকাশন, ২০০৬)

    গল্প
    তুষারের দেশে- শারদীয়া ভাষাবন্ধন ২০০৮
    বাইশে শ্রাবণ - শারদীয়া নবপত্রিকা ২০১২

    উপন্যাস
    সে কাব্য অনেক - শারদীয়া প্রতিদিন ২০১১
    দাঁতনখরক্তের খেলা - শারদীয়া প্রতিদিন ২০১০
    ধুলোবালিকথা - শারদীয়া প্রতিদিন ২০১০ (দীপ প্রকাশন)
    মিস্টার ফ্যান্টম - শারদীয়া প্রতিদিন ২০০৭ (তারকনাথ বুক সিন্ডিকেট, ২০০৯)
    এখানে তুষার ঝরে - শারদীয়া প্রতিদিন ২০০৬ (করুণা প্রকাশণী, ২০০৭)
    নষ্টভ্রষ্ট - শারদীয়া প্রতিদিন ২০০৪ (উপরের বইটির অন্তর্গত)
    বিকেলের বারান্দা - শারদীয়া প্রতিদিন ২০০৩
    এইসব নক্ষত্রের দোষ - শারদীয়া প্রতিদিন ২০০১
    বাসস্টপে একদিন - শারদীয়া প্রতিদিন ২০২০০১
    সাতটি তারার তিমির - শারদীয়া প্রতিদিন ২০০০
    ক্যম্পে - শারদীয়া প্রতিদিন ১৯৯৯
    পোখরান - শারদীয়া প্রতিদিন ১৯৯৮
    মধ্যরাত্রির জীবনী - শারদীয়া প্রতিদিন ১৯৯৭
    তিমিরের হার্লেম - শারদীয়া তথ্যকেন্দ ২০০০
    স্মৃতি ও স্বপ্নের বন্দর - শারদীয়া প্রতিদিন ২০০৫ (করুণা প্রকাশণী ২০০৬)
    পান্ডুলিপি করে আয়োজন (প্রতিভাস ২০১০) (এছাড়াও এটি উপরের বইটির অন্তর্গত)

    কবিতা

    ত্রস্ত নীলীমা
    ঊনপঞ্চাশ বায়ু

    প্রবন্ধ

    সংলাপের মধ্যবর্তী এই নীরবতা
    কুষ্ঠরোগীদের গুহায় সঙ্গীত
    মুখ আর মুখোশ
    জীবনানন্দের হাসি
  • পাপাঙ্গুল | 103.87.***.*** | ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪ ২০:০১744293
  • গল্প সংকলন :
    সেরা ৫০ টি গল্প - (বইমেলা ২০১৪ ) / দেজ পাবলিশিং -
    কাঞ্চন বনাম রঞ্জু / বন্দিনিবাস / বিপ্লবীর সোনারূপো / মধ্যরাত্রির জীবনী / দেবতাদের দিনরাত্রি / আততায়ীরা / বিনয়কে নিয়ে একটি রূপকথা / অ্যাডমিরালের অমরত্ব বিষয়ক চিন্তাভাবনা / অ্যাগনেস, প্রিয় অ্যাগনেস / দারুনিরঞ্জন / জীবন অন্যত্র / দিগন্তের মুখোমুখি খেলা / ব্যর্থতার দিকে যাত্রা / তরী আমার / আর্তোর শেষ অভিনয় / কলিকাতায় ক্রন্দনের স্থান নাই / সমাধিক্ষেত্রে লুকোচুরি / স্মৃতি ও বিস্মৃতি সম্পর্কে কয়েকটি প্যারাগ্রাফ , এই যা / কতদূরে সরোজিনী / পরাজিত দুইজন / প্রিয়নাথ ও সময়ের শর / দুটি আত্মকথনের কয়েক মুহূর্ত / ওই মণিময় , তার কাহিনী / আচ্ছন্ন ময়ূর ঘোরে / আঙুরবালা / মণিময় ও মেটাফর / কনসেনট্রেশন ক্যাম্প থেকে / মণিময় বাড়ি ফিরছে / সিন্ধু , তোমার কাছে / হাত / আগুন ও ছাই / ক্যাম্পে / সাতটি তারার তিমির / সোমেন পালিত যা চেয়েছিল / চাঁদ , পরী , আত্মজীবনী / পিঞ্জরে বসিয়া / ছায়াপুতুলের খেলা / ভুডু / নির্বাসিত / মৃত্যু ও ময়ূর / তৈজস / ন / ঘুম আর অশ্রুর গন্ধ / চিত্রশালা / মুশকিল আসান করো / বাবা চুহারমল ও অনিদ্রারোগী বাঘ / তৈমুরের শাসনের পরবর্তী অধ্যায় / কালো কফি ও মধু / নায়িকা রহস্য / বাইশে শ্রাবণ 
     
    ওই মণিময় তার কাহিনী ( বইমেলা ২০১৬ ) /  গুরুচন্ডা৯ -
    স্বপ্নে / জাগরণে / ওই মণিময় , তার কাহিনী  / আচ্ছন্ন ময়ূর ঘোরে / আঙুরবালা / মণিময় ও মেটাফর / কনসেনট্রেশন ক্যাম্প থেকে মণিময় সম্পর্কে আরও কিছু / মণিময় বাড়ি ফিরছে / সিন্ধু , তোমার কাছে 
     
     
    উপন্যাস :
    উপন্যাস সমগ্র ১ - (দেজ পাবলিশিং , ২০২৩ ) , যাতে আছে -
      স্বপ্নযুগ - প্রথম প্রকাশ ১৯৯২ (রক্তকরবী ) , গ্রন্থরূপে প্রকাশ ২০০৬ / উর্বী প্রকাশন
      নীল দরজা লাল ঘর - প্রথম প্রকাশ ১৯৯৫ (শারদীয় প্রতিদিন ) , গ্রন্থরূপে প্রকাশ বইমেলা ১৯৯৬ / অমৃতলোক সাহিত্য পরিষদ 
      মধ্যরাত্রির জীবনী - প্রথম প্রকাশ ১৯৯৭ (শারদীয় প্রতিদিন ) , গ্রন্থরূপে প্রকাশ ২০০২ / কোরক 
      পোখরান '৯৮ - প্রথম প্রকাশ ১৯৯৮ (শারদীয় প্রতিদিন ) , গ্রন্থরূপে প্রকাশ বইমেলা ১৯৯৯ / অমৃতলোক সাহিত্য পরিষদ 
      বাসস্টপে একদিন - প্রথম প্রকাশ ১৯৯৯ (শারদীয় প্রতিদিন ) , গ্রন্থরূপে প্রকাশ বইমেলা ২০০৪ / অণিমা প্রকাশনী 
      তিমিরের হার্লেম - প্রথম প্রকাশ ২০০০ (শারদীয় প্রতিদিন ) , গ্রন্থরূপে প্রকাশ বইমেলা ২০০১ / দীপ প্রকাশন
     
    জিরো আওয়ার (দেজ , বইমেলা ২০১৫ ) -
      জিরো আওয়ার - প্রথম প্রকাশ ২০১৪ (শারদীয় প্রতিদিন )
      স্মৃতি ও স্বপ্নের বন্দর - প্রথম প্রকাশ ২০০৫ (শারদীয় প্রতিদিন )
     
    ছায়াপুতুলের খেলা (দেজ সংস্করণ , বইমেলা ২০১৬ )
  • পাপাঙ্গুল | 103.87.***.*** | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ০১:৩৩744298
  • গল্প : যুদ্ধকালীন / বাংলালাইভ

    https://web.archive.org/web/20130309235128/http://www.banglalive.com/Magazine/Galpa/3978
     
    হ্রদের জলকে মরকতমণির মতো মনে হয়। শীত শেষ হয়ে আসছে। গাছের ঝরা পাতা উড়ে উড়ে এসে পড়ছে হ্রদের জলে। একটু আগেই একটা ট্রেন সামনের ব্রিজের ওপর দিয়ে ঝমঝম শব্দ তুলে চলে গেল। আর তারপর একটা ভেজা হাওয়া বইতে শুরু করল। তখনই ভেসে এল এক নারীকন্ঠ, ' কেমন আছো?' কিছুক্ষণ চুপ থেকে সে আবার বলে উঠল, 'বেঁচে আছো তো?,'

    পুরুষকন্ঠে উত্তর শোনা গেল, ' কী করে জানলে এই মুহূর্তে ঘুমনোর জন্য আমি তোমার হাঁটুর ওপর মাথা রেখেছি?

    নারীকন্ঠ ঃ পেটের ভেতরে নড়াচড়া করতে করতেই তো জাগিয়ে দিলে। তখন থেকেই জানি, আমি তোমার কফিন।

    পুরুষটি কোনও উত্তর দিল না। নারীটির আর্তকন্ঠ ভেসে এল, 'বেঁচে আছো? আমার কথা শুনতে পাচ্ছো?'

    এবার পুরুষকন্ঠ কথা বলে উঠল, ' আচ্ছা, তুমি কি এক স্বপ্ন থেকে আর এক স্বপ্নের ভিতরে জেগে ওঠো?'

    নারীকন্ঠ ঃ এমনটাই তো চলছে। কিন্তু তুমি...তুমি বেঁচে আছো তো?

    পুরুষকন্ঠ ঃ হ্যাঁ বেঁচেই আছি বলা যায়।

    নারীকন্ঠ ঃ শয়তান কি তার কালো ডানায় ঢেকে দিচ্ছে তোমাকে?
    পুরুষটির হা-ক্লান্ত স্বর বলে উঠল, ' জানি না। কিন্তু মৃত্যু ঠিক সময়ে আসবে।'

    নারীকন্ঠ ঃ না-না, পুরোপুরি মরে যেও না।
    পুরুষকন্ঠ ঃ চেষ্টা করব।
    নারীকন্ঠ ঃ মরে যেও না।
    পুরুষকন্ঠ ঃ চেষ্টা করব। যদি না মরি, তাহলে কী হবে?

    এরপর আর কিছু শোনা গেল না। শুধু ভেজা হাওয়া আর পাতা ঝরার শব্দ ঘুরে বেড়াতে লাগল হ্রদের ওপর।

    - আমরা কোথায়?
    - আপনার ফ্ল্যাটে।
    - রোজ তুমি একই কথা বলো। আর আমি...আমি তো যুদ্ধক্ষেত্রে ঘুমিয়ে পড়ি, যুদ্ধক্ষেত্রেই জেগে উঠি।
    - চারপাশে তো যুদ্ধই চলছে।
    - তাহলে তুমি রোজ মিথ্যে কথা বলো কেন?
    - মিথ্যে কথা?
    - ওই যে বললে, আমার ফ্ল্যাটে রয়েছি।
    - আমি মিথ্যে কথা বলি না
    - কেন?
    - জানি না।
    - হুঁ। এবার আমার নামটা বলো।
    - আমি কি আপনার খেলার পুতুল?
    - মানে?
    - রোজ সকালে উঠে আপনার নাম আমাকে মনে করিয়ে দিতে হবে কেন?
    - আমি ভুলে যাই, তুমি জানো না? তুমি আমার কথা বিশ্বাস করো না, তাই না? কতবার তোমাকে বলেছি, আমি ঘুমোতে পারি না। কথার পর কথার স্রোত আমার মাথার ভিতরে বয়ে যায় -- কারা যে কথা বলে, বুঝতেও পারি না -- তুমি কেন বিশ্বাস করো না বসুধা, সকালে উঠে নিজের নাম আমার মনে পড়ে না।
    - কফি খাবেন?
    -কিন্তু আমার নাম --
    - সুতীর্থ - সুতীর্থ দাশ।
    - কী আশ্চর্য! তুমি কিছু ভুলে যাও না। একেবারে আমার মায়ের মতো।
    - এবার কফি করে আনি?
    - তুমি বোসো, আমিই আজ কফি বানাব। তুমি রোজ কফি বানিয়ে নিয়ে আনো। বানানোর সময় কফির গন্ধটা আমি যে কতদিন পাই না। আজ এই গন্ধটা আমার খুব দরকার। আরশোলা-ইঁদুরের মতো ঘুরেফিরে বেড়াচ্ছি আমি, বসুধা। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর জন্য কফির গন্ধটা খুব দরকার।
    - একেবারে পাগল আপনি।
    - যে-হাত কফি বানাতে পারে না, সে কী করে কবিতা লিখবে বলো তো? ডাক্তাররা কতবার আমাকে বলেছে, এত কফি খাবেন না, সিগারেট খাবে না। আমি হেসে বলেছি, 'গাধারা কফি খায় না, সিগারেট খায় না, তারা কবিতাও লেখে না।' শোন বসুধা, প্রত্যেক বাড়ির কফির স্বাদ-গন্ধ আলাদা। তুমি যে কফি বানাও, তার স্বাদ আমার কফির চেয়ে আলাদা। কেন জানো? আমি এক, আর তুমি অন্য এক আত্মা। আবার মায়ের বানানো কফির স্বাদ একরকম, আর বন্ধুদের বানানো কফি অন্যরকম। প্রত্যেকের বানানো কফি আলাদা আলাদা।
    - আমাকে আজ কফি বানাতে দিলেন না কেন?
    - দেখলাম, কফি বানাতে ভুলে গেছি কিনা। যদি ভুলে যেতাম, বুঝতাম, আমি মরে গেছি।
    - এই শুনুন - উঃ কী ভয়ঙ্কর -- আরও দুটো বাড়ি ভেঙে পড়ল।
    - হুঁ।
    - কী?
    - এক সেকেন্ড আগেও জানা যায়নি, আরও দুটো বাড়ি ভেঙে পড়বে। বসুধা - বসুধা -
    - আপনি এমন করছেন কেন? কী হয়েছে আপনার?
    - আমরা দুজনে কি সত্যিই বেঁচে গেছি?
    - তাহলে কথা বলছি কী করে?
    - হয়তো অনেক আগে আমরা এসব কথা বলেছিলাম, এখন শোনা যাচ্ছে। তুমি জানো না, নক্ষত্রের মৃত্যুর কোটি বছর পরে তার আলো পৃথিবীতে এসে পৌঁছয়?
    - আমরা কি নক্ষত্র?
    - তুমি ঠিক জানো, আমরা বেঁচে আছি?
    - আপনি বুঝতে পারছেন না? আমি আপনাকে ছুঁয়ে আছি।
    - হুঁ। শহরটা তো প্রায় শেষ হয়ে গেছে। তাহলে আমরা বেঁচে আছি কী করে?
    - জানি না।
    - দেখো ... দেখো ...
    - এমন করছেন কেন?
    - তুমিও কেমন জানি না বলতে শিখে গেছ। তোমার চারপাশে যখন যুদ্ধ চলছে, পরিচিত ঘরবাড়ি ভেঙে পড়ছে, মৃতের স্তূপের ওপর জমে উঠছে আরও গভীর মৃতের স্তূপ, কখন তোমার বাড়ি ভেঙে পড়বে, তুমি জানো না, কখন তোমাকে ঘর থেকে টেনে নিয়ে জমিতে গর্ত খুঁড়ে পোড়ানো হবে, জানো না, কখন তোমার ভাই-বোনদের দু'পা ধরে চিরে ফেলা হবে জানো না, তখন তো তোমার কাছে দুটো শব্দই পড়ে থাকে, 'জানি না'।
    - যুদ্ধের এতগুলো দিন তো দাঁতে দাঁত চিপে থেকেছেন আপনি। আমি যখন ভেঙে পড়েছি, আপনি বলেছেন, রোজকার কাজ ঠিক ঠিক করে যাও, শুধু টিকে থাকাটাই আমাদের জয়, আর বেশি কিছু নয়, আপনিই তো আমাকে বারবার বলেছেন, সেই গানটা একবার গাও।
    - কোন গান?
    - নদী নদি কোথাও যাও, বাপ-ভায়ের বার্তা দাও
    নদী নদী কোথাও যাও, স্বামী-শ্বশুরের বার্তা দাও।
    - আমরা মরে গেছি, বসুধা।
    - কবে?
    - এই যুদ্ধের কোনও এক দিনে।
    - তাহলে আমরা কে?
    - যুদ্ধক্ষেত্রে জন্ম নেওয়া প্রেত।
    - কফি খাবেন?
    - বোসো। এখন থেকে আমিই কফি বানাব।
    - না, এবারের কফিটা আমিই বানাব। কফি বানানোর গন্ধ তো আমারও ভাল লাগে।

    - বসুধা কফি বানাতে গেছে। এবার আপনার সঙ্গে কথা বলা যায়। বসুধা আমার বউ নয়, নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। না, ওর সঙ্গে সহবাসের সম্পর্কও নয় আমার। আমার চেয়ে অন্তত পঁচিশ বছরের ছোট। তাতে যে সহবাস হতে পারে না, এমন নয়। কিন্তু ওর সঙ্গে আমার যে কী সম্পর্ক, তা আমি এখনও বুঝতে পারিনি। গোপনে যখন আমি নিজের দেশে এসে ঢুকে পড়ি, পুরোনো বন্ধুরা আমাকে আশ্রয় দেয়। এই দেশ ছেড়ে আমাকে নির্বাসনে যেতে হয়েছিল; সে এক দীর্ঘ কাহিনি। পুরোনো বন্ধুরা আমাকে ফিরে পেয়ে বলেছিল, এবার সরাসরি আমাদের জন্য কিছু লেখো, বন্দুকের মুখে দাঁড়িয়ে যাতে তোমার লেখাই আমরা বলে যেতে পারি। নির্বাসনে একের পর এক দেশে তাড়া খেতে খেতে তখন আমার লেখার মতো ক্ষমতা নেই। তাই বসুধাকে আমার কাছে পাঠানো হল, আমি যা বলব, সে লিখে যাবে। একেক দিন বসুধাকে আমার কথা বলি, সে লেখে, কিন্তু আমার তা পছন্দ হয় না, বসুধারও ভাল লাগে না। সে বারবার বলে, আপনি তো কবিতা লেখেন। কিন্তু এসব কী বলছেন! কেন? এসব তো আপনার কথা নয়, সে বলে। তাহলে আমার কথা কী?

    - নিন, কফি খান।
    - বসুধা, তুমি কি আজ আমার কথা লিখবে?
    - কী বিষয়ে বলবেন?
    - রাষ্ট্রের জন্ম, গণতন্ত্র, সন্ত্রাসবাদ, আফজল গুরুর ফাঁসি ...
    - কবিতা লিখবেন না?
    - লিখব?
    - আর এখন!
    - আমার নীরবতাকে লিখছি।
    - তার মানে, আমরা শুধু বন্দুকের আওয়াজ শুনব? টিভিতে-রেডিওতে ফাঁসির খবর শুনব?
    - বন্দুক-টিভি -- এসবের আওয়াজ আমার কথার চেয়েও শক্তিশালী।
    - তাহলে আপনার কাজ কী?
    -শুধু নিজেকে ধরে রাখা, বসুধা। আঃ, কী অপূর্ব কফি। তোমার আঙুল কফির শরীরে গান গাইছে।
    - আমরা যুদ্ধে জিতব?
    - জানি না। নিজেকে ধরে রাখাই এখন জয়, বসুধা।
    - আবার কবে কবিতা লিখবেন?
    - বন্দুকের আওয়াজ যখন আর শোনা যাবে না। আমার নীরবতা ভেঙে জেগে উঠবে এতদিন ধরে জমে থাকা সব কন্ঠস্বর। যখন নিজের ভাষা খুঁজে পাব।
    - আপনার তাহলে এখন কোনও ভূমিকা নেই?
    - না। কবিতায় এখন আমার কোনও ভূমিকা নেই। কবিতার বাইরে, এই শহরের নাগরিক আর লড়াকুদের মধ্যে আমাকে খুঁজে পেতেও পারো তুমি।

    হ্রদের জল মরকতমণির মতো সবুজ। ঝরা পাতারা তার বুকে সাঁতার কাটছে। তখন সূর্যাস্ত আসন্ন। ভেসে এল নারীকন্ঠ, ' কেমন আছিস? বেঁচে আছিস তো?'
    কিছুক্ষণ পরে পুরুষকন্ঠে উত্তর শোনা গেল, 'কী করে জানলে, এই মুহূর্তে ঘুমোবার জন্য আমি তোমার হাঁটুর ওপর মাথা রেখেছি?'
    নারীকন্ঠ : পেটের ভিতরে নড়াচড়া করতে করতেই জাগিয়ে দিলি।
    পুরুষকন্ঠ ফিসফিস করে বলে, 'কবে আমাকে জন্ম দেবে তুমি?'
    একটি পাখি চিৎকার করতে করতে উড়ে যায়। নারীকন্ঠ বলে, 'কতবার জন্মাতে চাস তুই?'
    ভেজা হাওয়ায় পুরুষটির কন্ঠস্বর ভাসতে থাকে, 'হাজার... লক্ষ ... কোটি ... তুমি আমাকে যতবার জন্ম দেবে, মাতৃভাষা।'
     
    গল্প : ঘুম আর অশ্রুর গন্ধ
    https://www.galpopath.com/2016/12/blog-post_61.html
     
    গল্প : মধ্যরাত্রির জীবনী
    https://www.galpopath.com/2017/02/blog-post_53.html

    গল্প : অদৃষ্টবাদীদের রান্নাবান্না
    https://www.galpopath.com/2023/07/blog-post_50.html

    গল্প : দেবতাদের দিনরাত্রি
    https://www.galpopath.com/2021/10/blog-post_75.html

    গল্প : ইসমাইলের অন্য জীবন
    https://www.galpopath.com/2018/03/blog-post_3.html
  • .... | 42.105.***.*** | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১২:০৮744300
  • বিশেষ সংখ্যা বা ক্রোড়পত্র করেছে এরকম পত্রিকার খবর আছে? তাঁতঘর করেছিল কি? আর কোনো পত্রিকা? তাতে বিবলিওগ্রাফি কিছু পাওয়া যায় বা অজানা কোনো লেখার খবর?
     
    প্রবন্ধ একটা খণ্ড দে'জ করেছে। অন্যান্য প্রবন্ধের খোঁজ? প্রতিদিন এ অনেক লেখাই থাকার কথা, যদিও সেসব বাড়িতে না থাকলে কালের গর্ভে হয়তো।
     
    ওঁকে নিয়ে লেখালেখির কিছু হদিস? on রবিশংকর বল? 
  • আরো  | 103.99.***.*** | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৩:২৬744301
  • কয়েকটা বই, দেওয়া হয়েছে কি ?

    - জন্মযান (দেজ, দুটি লেখা ছিল, জন্মযান নামে একটি, আর একটি পুরোন লেখা)
    - নায়িকা রহস্য (মিত্র - ঘোষ, উপন্যাস)
    - গিলোটিনের নীচে জীবন (দেজ, পুরোন দুটি লেখা ছিল মনে হয়)
    - কিসসা বলেন শেহরজাদে (দেজ, অসমাপ্ত উপন্যাস)
    - পেদ্রো হুয়ানের আজীব দাস্তান (৪ - ৫ টা গল্প ছিল, নামগল্পটি নতুন ছিল, অন্যগুলো আগের, রূপালী পাবলিকেশন্স)
    - পার্ল রহস্য (থ্রিলার লেখা শুরু করেছিলেন, র‌্যাবস দত্ত নামে একটি চরিত্র নিয়ে, অভিযান পাবলিকেশন্স)
    - আঙুরবাগানে খুন (থ্রিলার, পত্রভারতীর মনে হয়)
    - আমাদের ছোটরাস্তা (ফিচার সংকলন, প্রতিদিন কাগজে বেরোত, পরশপাথরের ছোট বই ছিল মনে হয়)
    - মাণিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যু (গল্প, শিলালিপি পত্রিকায় প্রকাশিত, গ্রন্থিত হয়নি মনে হয় )

    - দেজ - এর গদ্যসংগ্রহর কথা তো লেখা হয়েছে।

    - ছায়াপুতুলের খেলা লেখাটি নিয়ে একটি আলোচনার বই বেরিয়েছিল, ওঁর সাক্ষাৎকার সহ, প্রকাশনা দেখে বলতে হবে)

    - বইগুলো দেখলে প্রকাশের সালগুলো বলা যাবে।
  • kk | 172.58.***.*** | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০২:২৩744305
  • এই টইটা অত্যন্ত ভালো হয়েছে। খোলার জন্য, লেখা, বিবলিওগ্রাফি ও লিংকের জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।
  • .... | 42.108.***.*** | ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০৮:২৯744306
  • তাঁতঘর একুশ শতক ২০১৭
     
     
     
     
     
     
     
    গদ্যসংগ্রহ, দে'জ
     
     
     
     
    সম্ভব হলে কেউ সার্চেবল ফন্টে টাইপ করে দিলে ভালো হয় সবার জন্য।
     
  • পাপাঙ্গুল | 103.87.***.*** | ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ ০১:৩১744341
  • 'নির্বাচিত অরূপরতন' বই থেকে / উর্বী প্রকাশন / জুন ২০০৫ 
     
  • .... | 117.197.***.*** | ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬:১৭744347
  • হান্ড্রেড মাইলস, ডিসেম্বর, ২০১৬, ৮ম সংকলন, ৬ষ্ঠ বর্ষ, বিভাগ : বই কথা, 
    শম্পা চৌধুরী -- রবিশংকর বল-এর গল্প : এক অন্তহীন কথামালা -- পৃ. ১৪৬
     
    (এটা একটা পুরোনো বইয়ের গ্রুপে বিক্রি হয়ে গেল সদ্য।)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন