এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • গ্নু লিনাক্স ইশকুল - রিভিউ

    Arijit
    বইপত্তর | ১৯ এপ্রিল ২০০৬ | ১৩৮৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Arijit | 128.24.***.*** | ১৯ এপ্রিল ২০০৬ ১৬:২৪563271
  • মামুর দাবি মেনে নিয়ে এই টপিকটা শুরু করলাম।

    "বইপত্তর" সেকশনে একটা বইয়ের কথা আছে - "গ্নু লিনাক্স ইশকুল" - মধ্যমগ্রামের "জি-এল-টি" অর্থাৎ "গ্নু লিনাক্স ঠেক"-এর প্রচেষ্টা - যাঁরা সদ্য সদ্য কম্পু ব্যবহার করতে শুরু করেছেন বা যাঁরা বেশ কিছুদিন ব্যবহার করছেন সকলেই টার্গেট।

    "গ্নু" কি? GNU - অর্থাৎ "GNU's Not Unix"-এর অ্যাক্রোনিম - এর মজাটা নামেই, নামটাকে বাড়িয়ে তোলা চলতেই থাকবে, চলতেই থাকবে...ইহারে কয় রিকার্সন!!! GNU সম্পর্কে আরো জানতে হলে চলে যান http://www.gnu.org-এ। মোদ্দা কথা হল কম্পু সফটওয়্যার কারো পৈতৃক সম্পত্তি নয় - সকলেরই স্বাধীনতা থাকবে এই আজব বস্তুটি সম্পর্কে আরো জানার, সম্ভব হলে ভিতরে ঢুকে জানা যে এটি কি করে কাজ করে, প্রয়োজনে তাকে বদলানোর...GNU-র ভাষায় - "We support the FSF's mission to preserve, protect and promote the freedom to use, study, copy, modify, and redistribute computer software, and to defend the rights of Free Software users. We support the freedoms of speech, press, and association on the Internet, the right to use encryption software for private communication, and the right to write software unimpeded by private monopolies."

    সফটওয়্যারকে পৈতৃক সম্পত্তি বানানোর কি ফল হতে পারে একটা ছোট্ট উদাহরণ দিই - কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু গবেষক তৈরী করলেন Xen - একটা ভার্চুয়াল মেশিন প্ল্যাটফর্ম - অর্থাৎ কিনা আমার উইন্ডোজ এক্সপি মেশিনে আমি খান দুই রেডহ্যাট লিনাক্স, খান তিন ম্যানড্রেক, এক খান উইন্ডোজ ৯৫ চালাতে চাই, ভার্চুয়াল মেশিন আমাকে সেই সুযোগ করে দেবে। ভালো পারফরমেন্সের জন্যে Xen-এর গবেষকরা লিনাক্স kernel-এ কিছু পরিবর্তন করলেন - এবং রেডহ্যাট বা অন্যান্য লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউটারেরা যেহেতু এই পৈতৃক সম্পত্তি বানানোয় বিশ্বাসী নন, তাঁরা এই বদলগুলো মেনে নিলেন, এবং নতুন বের হওয়া সব লিনাক্সে এই বদলগুলো আগে থেকেই করা রয়েছে। উল্টোদিকে মাইক্রোসফট প্রচণ্ড খাপ্পা, কারণ তাদের পৈতৃক সম্পত্তি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমের ভেতরে ঢুকে Xen-এর গবেষকরা পরিবর্তন করেছেন...এবং মাইক্রোসফটের এই গাঁটামোর জন্যে কেমব্রিজ থেকে Xen for windows রিলিজ করা যাচ্ছে না। ফল কি? আমরা যারা গবেষণার কাজে ভার্চুয়ালাইজেশন ব্যবহার করতে চাই তাদের মাইক্রোসফটের Virtual Server বা ধীরে-চলা VMWare-এ আটকে থাকতে হচ্ছে। Virtual Server-এ আটকে থাকা মানে উইন্ডোজে আটকে থাকা - অর্থাৎ মাইক্রোসফটের World Wide Domination কনসেপ্টে বন্দি হয়ে যাওয়া...

    এরকম অসংখ্য উদাহরণ আছে...সবচেয়ে বড় তো মাইক্রোসফটের সিকিউরিটি - এখানে অসংখ্য গলদ, এবং মাইক্রোসফট যতদিন না সেগুলো ঠিক করবে, আপনার কম্পুতে নানা ঝামেলা হতেই থাকবে, ভাইরাস আর ওয়ার্ম আসতেই থাকবে। লিনাক্স বা Mac OS-X-এ কি ভাইরাস হতে পারে না? থিওরেটিক্যালি পারে, কিন্তু যেহেতু লিনাক্স পুরো, এবং Mac OS X প্রায় ৮০% "ওপেন সোর্স" (অর্থাৎ এর ভিতরের সব কিছুই জানা যায়), এখানে কিছু গলদ ধরা পড়লেই কেউ না কেউ সেটিকে শুধরে দিচ্ছেন...

    সে যাই হোক - "গ্নু লিনাক্স ঠেক"-এর উদ্দেশ্য কম্পুর ভিতরের খবর লোকজনের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পরের পোস্টগুলোতে আমরা দেখার চেষ্টা করবো সেই কাজে তাঁরা কতদূর সফল বা অসফল।
  • Paramita | 84.203.***.*** | ১৯ এপ্রিল ২০০৬ ১৬:২৭563277
  • UNIX , লিনাস আর স্টল্ম্যনের ওপেন সোর্স phylosophy ,আর মিনি মাগনার একটা গোটা OS । এমন কম্বিনেশন কে ঠেকায় কে ?
    জয় হোক গ্নু লিনাক্সের।

  • Arijit | 128.24.***.*** | ১৯ এপ্রিল ২০০৬ ১৬:৪৭563278
  • "গ্নু লিনাক্স ইশকুল"-এর প্রথম সম্পদ ভাষা। কম্পুর বইয়ের কথা ভাবলেই মনে পড়ে গুরুগম্ভীর হ্যামেচার, ট্যানেনবাম বা মরিস জে বাখ-এর গাম্বাট বইগুলো - তবে সেগুলো বড় বড় ব্যাপার নিয়ে বই। সে বই নিয়ে ইউনিভার্সিটির ক্লাসে আলোচনা হতে পারে, "ইশকুল"-এ নয়। এই ইশকুলে একদম ভাটের ভাষায় লেখা শুরু...পড়ুন গপ্পের মতন, গপ্পো পড়তে পড়তে টুকটাক করে বেশ কিছু শিখে যাবেন - আশা করি। কারণ এই পোস্টটা প্রথম অংশটুকু পড়ার পরেই লেখা।

    এখনো ঠিক করিনি পুরো বই পড়ে একবারে রিভিউ লিখবো নাকি এক একটা চ্যাপটার পড়ে।
  • Arijit | 128.24.***.*** | ১৯ এপ্রিল ২০০৬ ১৭:৫২563279
  • কিছু অবজারভেশন -

    (১) খানদশেক আলাদা আলাদা পিডিএফ না রেখে সবগুলোকে একসাথে রাখা মনে হয় খুব জরুরী - নইলে সব আলাদা আলাদা ডাউনলোড করো রে, আনজিপ করো রে - সে এক হ্যাপা।

    (২) আপডেট দরকার - যেমন "হার্ড ডিস্ক" প্রসঙ্গে বলা আছে "হাতে রইলো হার্ড ডিস্ক" প্রবালের কথা - যিনি কিনা হার্ড ডিস্ক পকেট নিয়ে ঘোরেন, সাইবার ক্যাফেতে গিয়ে মেশিনে নিজের হার্ড ডিস্ক লাগিয়ে কাজ করেন - এবং তার জন্যে ক্যাবিনেট খুলতে হয় - এ পুরনো হয়ে গেছে। এখন বাজারে "ইউ এস বি হার্ড ডিস্ক" এসে গেছে, ৮০ জিবি, ইউ এস বি পোর্টে গুঁজে দিলেই হল। এছাড়া ১-২ জিবির ইউ এস বি পেন-ড্রাইভের কথাও আসা উচিৎ, আসা উচিৎ অপটিক্যাল মাউসের কথাও - "বল-মাউস" তো উঠে গেছে কবে।

    আবার পরে।
  • dd | 59.93.***.*** | ২০ এপ্রিল ২০০৬ ১৮:১০563280
  • অরিজিৎবাবু
    নতুন নতুনতর হার্ডওয়ার নিয়ে আপনি যা লিখেছেন, সেটা খুবই সত্যি। শুধু হার্ডওয়ার না, সফ্‌টওয়ার নিয়েও সত্যি। যেমন, ওখানে শুধু লিলো বুটলোডার নিয়েই বলা আছে, গ্রাব্‌টাও খুবই জরুরি ছিল। এখন মাঝে মাঝে মনে হয়, একটা সংযোজন থাকলে বেশ হত। তবে, নতুন হার্ডওয়ার আপনারা প্রথম বিশ্বে বসে যা পান, তৃতীয় বিশ্বে গল্পটা একদম আলাদা। যেমন ধরুন, আমি, গড়ের চেয়ে অনেক বেশি কম্পুটার ব্যবহার করি, কম্পুটারের পেশার বাইরের লোক হিশেবে। আমি ঐ পেন-ড্রাইভ ট্রাইভ কাগজে কলমেই জানি, আজ পর্যন্ত চোখে দেখিনি। আর, এই বইটায় কোথাও-ই তো ঐ খুটিনাটিগুলো আনা হয়নি। বরং, সিস্টেম আর ফাইল সিস্টেমের কাজের রকমটা বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে। এখানের খুব মাঠো যন্ত্রপাতি একটু ছুঁয়েই চলে এসেছে সিস্টেমের কথা, তার মূল জায়গাটা বোধহয়, সেই ইউনিক্স শুরুর সময় থেকে এই লিনাক্স অব্দি একটা ধারাবাহিকতা আছে। আর বইটা ছাপায় বেরোলো এই ২০০৫ ডিসেম্বরে এসে, কিন্তু সে তো টাকার অভাবে, কপিলেফ্‌ট কোনো প্রকাশকই রাজি হচ্ছিল না, আসলে বইটা দু বছর আগের, তাই আপনার সমালোচনাটা আরো বেশি সত্যি। ডেটেড হয়ে যাচ্ছে HW ডিটেলগুলো।
  • Arijit | 128.24.***.*** | ২০ এপ্রিল ২০০৬ ১৮:৫০563281
  • দুটো ভার্সন রাখুন দাদা - একটা প্রিন্ট ভার্সন - যা বেরিয়েছে - সম্ভব হলে পরে আপডেট করবেন, আরেকটা অনলাইন ভার্সন - একটা পিডিএফ করে, যাতে চ্যাপটার লিংক থাকবে - এটাকে সময়মতন আপডেট করবেন।

    এই কথাটা বলছি কারণ নিজে অনেক ঠেকে শিখেছি - কলেজে যা পড়তুম তার সঙ্গে আসল কাজ যখন করতে শুরু করেছি - দুই এনভায়রনমেন্টের আকাশ-পাতাল ফারাক - কম্পু দুনিয়া ভীষণ দ্রুত পাল্টেছে/পাল্টাচ্ছে - আমাদের কোন বই তার সঙ্গে তাল রেখে চলতে পারেনি...

    রিভিউ এখনো শেষ হয়নি - সবে তো কাল একটা চ্যাপটার পড়লুম। আজ অন্য একটা জিনিস পড়ছি - পারলে বিকেলের দিকে আর একটা চ্যাপটার ধরবো।
  • dd (aadi) | 220.226.***.*** | ২০ এপ্রিল ২০০৬ ২২:২৩563282
  • আমিও চমকে চমৎকার। ই কি কতা। কমপিউটার নিয়ে লিকবো আমি ? আমার এক্সপারটাইজ তো কমোড নিয়ে।
  • dd | 59.93.***.*** | ২১ এপ্রিল ২০০৬ ২১:৩৫563283
  • 'আদি' দাবি করলেই 'আদি' হয়না, প্রমাণাভাবে তা তামাদি হয়ে যায়। পুরোনো ভাটিয়ালি-র আর্কাইভ ঘেঁটে দেখুন, সবচেয়ে পুরোনো 'dd' এϾট্রটা আমারি। হেঁহেঁ।
  • Arijit | 128.24.***.*** | ২৭ এপ্রিল ২০০৬ ১৯:৫২563284
  • এবার একটু ক্রিটিক্যাল হচ্ছি। তার কারণ আরো কয়েকটা চ্যাপটার পড়ে ফেলেছি।

    ভাষার কথা আগে বলেছিলাম - সহজ, প্রায় রকের ভাষায় লেখা। কিন্তু হার্ডকোর টেকনিক্যাল ব্যাপারগুলো এই ভাষায় মাঝে মাঝে একটা অদ্ভুত জিনিসে দাঁড়িয়েছে - "আলু" বা "অস" জাতীয় শব্দের বহু-ব্যবহার ক্লান্তিকর। সব শব্দের বঙ্গীকরণ খুবই প্রয়োজন কি? ছোটখাটো কিছু ত্রুটি চোখে পড়লো - cache - উচ্চারণ "ক্যাশ", "ক্যাশে" নয় - ডিকশনারী ডট কমে দেখে নিন। ৫০ নম্বর পাতায় - "উইন্ডোজ প্রতিবেশ" না "উইন্ডোজ পরিবেশ"? এনভায়রনমেন্ট বলছেন তো?

    স্ট্রাকচারটা একটু অন্যরকম হলে নতুনদের পক্ষে সুবিধে হত - যেমন যখন বাইনারী সিস্টেমের কথা প্রথম এলো, "শুণ্য" নম্বর দিনে, তখনই "বিট" আর "বাইট" (সঙ্গে "ওয়ার্ড") এসে গেলে পরে correlate করতে হয়তো সুবিধা হত - আমার নিজের মত। বাইনারী সিস্টেমের ০ এবং ১-এর সঙ্গে তিনটি প্রধাণ লজিক - অ্যাণ্ড, অর, নট - এগুলো বলে দেওয়া যায় - কারণ, বইটা লিনাক্সের, এক সময় এগুলোই সবচেয়ে বেশি লাগবে, শেল স্ক্রিপ্ট লিখতেও। এবং, একটা ইলেকট্রিক বাতির সার্কিট দিয়ে এই লজিক তিনটে বোঝানো মনে হয় সবচেয়ে সহজ উপায়।

    লেখার মধ্যে টপিক থেকে টপিকে সরে যাওয়া - যাঁরা এই ধরণের লেখা পড়তে অভ্যস্ত তাঁদের অসুবিধা হবে না, একদম শুরুর শিক্ষার্থীকে কিন্তু বেজায় অসুবিধায় ফেলতে পারে। নীল স্টিফেন্সনের লেখা পড়েছেন? In the beginning there was the command line পড়ে দেখুন - রচনা হিসেবে অনবদ্য, কিন্তু কম্পিউটার থেকে ভূগোল, সেখান থেকে ফিলোজফি - এরকম অ্যাব্রাপ্ট লাফে অনেক পাঠক খেই হারিয়ে ফেলেন - এই ব্যাপারটা নজরে রাখা ভালো। এক নম্বর দিনের লেখায় অনেকটাই এরকম ব্যাপার নজরে পড়লো...

    আবার পরের খেপে।
  • Arijit | 128.24.***.*** | ২৭ এপ্রিল ২০০৬ ২১:০১563272
  • কখনো মনে হচ্ছে নাম এবং কনটেন্ট পরস্পরবিরোধী। নাম "গ্নু লিনাক্স ইশকুল" - অর্থাৎ, নতুন শিক্ষার্থী আমি ভাববো আমি কিছুটা হলেও লিনাক্স শিখতে পারবো, অথচ প্রথমদিকটা পুরোটাই কম্পিউটারের গঠন, হার্ডওয়্যার ডিটেলস, ইতিহাস - কখনো সখনো লিনাক্সের ছিঁটেফোঁটা। আমি কিন্তু বলছি না যে এর প্রয়োজনীয়তা নেই - এগুলোও খুবই দরকার - কিন্তু খেয়াল রাখা দরকার যাতে একজন নতুন কম্পিউটার হাতে পেয়ে লিনাক্স শিখতে চাওয়া কেউ এত তথ্যে হাবুডুবু না খায়। উদাহরণ দিই -

    উচ্চমাধ্যমিকের অব্যবহিত পরেই বি ই কলেজে প্রথম "বেসিক ইলেক্ট্রনিকস"-এর ক্লাস। উচ্চমাধ্যমিকে ডায়োড পড়েছি, ট্রায়োড কি জেনেছি - কিন্তু সবই ওপর ওপর। ইলেক্ট্রনিকসের প্রথম ক্লাসে ড: পি কে সিনহারয় (এঁর বই অনেকে পড়ে থাকতে পারেন) বোর্ডে একটা শোয়ানো ত্রিভুজ আঁকলেন, তার দুটো ঠ্যাঙ - আর সামনে একটা টিকি - নাম "অপ অ্যাম্প" - "অপারেশনাল অ্যামপ্লিফায়ার" - আমার যাবতীয় ইলেক্ট্রনিক্স শিক্ষা ওইদিনই শেষ হয়ে গেলো - এর পরে আর কোনদিনও আমি ইলেক্ট্রনিক্সের ক্লাসে আগ্রহ পাইনি - আজও জানি না ট্রানজিস্টরের কোন ঠ্যাঙ দিয়ে কারেন্ট যায়, কোন ঠ্যাঙ দিয়ে বেরোয়। লজিক লেভেল - লজিক গেট - সিকোয়েনসিয়াল সার্কিট - এসব বুঝি, কিন্তু লজিক গেটের নীচে নামলে অন্ধকার।

    পড়তে পড়তে আবারো এই কথাটাই মনে হল। আরেকটু সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া যেত - বা স্ট্রাকচারটা আরেকটু গোছানো হলে ভালো হত। সেই বাস, বা সিপিইউ, বা মাদারবোর্ডের কথা একাধিকবার এসেছে - সেটা হয়তো এড়ানো সম্ভব ছিলো।

    দ্বিতীয়ত প্রথম চারদিনের লেখায় লিনাক্স নেই - যা আছে সেটা সমস্ত কম্পিউটারের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য - নাম দেখে কেউ যদি ভেবে থাকেন লিনাক্স শেল প্রোগ্রামিং শিখবেন, এই তিনটে চ্যাপটারে আশাহত হয়ে বই ফেলে উঠে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।

    তৃতীয়-চতুর্থ দিনের ইতিহাস-সংক্রান্ত লেখাটা সংক্ষিপ্ত হলে বা আগের দুই দিনের মধ্যে মিশে গেলে এমন কিছু ক্ষতিবৃদ্ধি হত না - কেউ জানতে চাইলে তাকে কিছু রেফারেন্স দিয়ে দেওয়া যায় - যে শিখবে তাকেও একটু পরিশ্রম করতে দিন না - ইন্টারনেট না থাকুক, লাইব্রেরী তো আছে।
  • Arijit | 128.24.***.*** | ১৫ মে ২০০৬ ২২:২৬563273
  • অনেকদিন পরে আবার ধরলুম। সময়াভাবে এতদিন পড়ে আর লিখে উঠতে পারিনি।

    চ্যাপটার ৫, ৬, ৭ - এইবার শুরু আসল লিনাক্স। ইউনিক্সের শুরু থেকে শুরু করে, লিনাক্সের গোড়ার কথা বলে এইখান থেকে আসল টপিক শুরু - সহজ ভাষায় সহজ করে বলা। বুট লোডার (GRUB), ফাইল সিস্টেম - সমস্ত কিছুই বিষদে রয়েছে, পড়ে বুঝতে কোন অসুবিধা হয় না।

    একটা পয়েন্ট - এখনো অবধি vi নিয়ে বড় লেখা দেখলাম না। পরে আছে কিনা না জেনেই লিখছি - vi নিয়ে একটু বড় করে লিখুন। ইদানিং সকলকেই দেখি nedit ব্যবহার করে - অথচ vi-এর ক্ষমতার কাছে হয়তো MS Word-ও হার মেনে যাবে - বিশেষ করে বাফারের মাধ্যমে কপি-পেস্ট, সার্চ-রিপ্লেস ইত্যাদি। এমনকি, শেল প্রম্পটে কম্যাণ্ড হিস্টরির কথা যখন বলছেন, তখনও vi কাজে আসে।

    .profile-এ যদি set -o vi রাখেন (অবশ্যই ksh বা bash-এ), শেল প্রম্পটে আগের কম্যাণ্ড খোঁজা খুব সহজ হয়ে যায়, ডাইরেকটরি বদলানোও - এক্সপ্যাণ্ড করা সোজা। আমি পুরনোপন্থী কিনা জানি না - তবে এখনো আমি এভাবেই কাজ করি। আর, প্রম্পট বদলানোর কথা তো দেখলাম না? সাধারণ $ প্রম্পটে কাজ করতে বড় অসুবিধা হয় - হোম ডিরেক্টরি থেকে রিলেটিভ পাথ যদি প্রম্পটে আসে, তাহলে অনেক সুবিধা, প্রতি পদে pwd করতে হয় না:-)

    মোদ্দা কথা - আরো লিখুন মশাই। অন্যান্য টপিক নিয়ে। জমবে। আমার এক ঘনিষ্ঠজনও এই কথাই বললো সেদিন এই বইটা সম্পর্কে।
  • Arijit | 128.24.***.*** | ১৫ মে ২০০৬ ২২:৩৪563274
  • যাঁরা এই বইটা পড়েছেন বা পড়তে চান, সকলের জন্যে একটা essay রেকমেণ্ড করছি - একটু পুরনো হলেও, বা বায়াসড হলেও লেখার কোন জবাব নেই - In the beginning there was the command line, লেখক - Neal Stephenson। গুগুলে খুঁজলে পেয়ে যাবেন।

    আর দীপঙ্করবাবুকে আরেকটা অনুরোধ - যদি পরের এডিশন বের করেন, একটু Cygwin নিয়ে লিখবেন - উইন্ডোজ এনভায়রনমেন্টে কেউ যদি লিনাক্স/ইউনিক্সের কাজ করতে চান, তাঁদের জন্যে (আবারো বলি, শেষ অবধি না পড়েই এটুকু লিখে ফেললুম)।
  • Arjit | 128.24.***.*** | ১৬ মে ২০০৬ ১৮:১৭563275
  • সরি - LILO লিখতে গিয়ে ভুলে GRUB লিখে ফেলেছি।
  • Lyadosh Chandra Mitra | 24.5.***.*** | ২৫ মে ২০০৬ ১২:৪৭563276
  • অসাধারন প্রচেষ্টা। দীপংকর-কে ধন্যবাদ।
    অরিজিত-এর রিভিউ-ও দারুন। In fact, রিভিউ পড়েই download করলাম।
    details-এ পড়তে হবে।
    আশা করি আরো লিখবে, বিশেষ করে Linux এ নেটওয়ার্কিং সেট আপ... এই সব নিয়ে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন