এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • অ্যানড্রয়েড, ইউনিকোড ও টেকনিকাল কচকচি

    শমীক
    অন্যান্য | ০৬ মে ২০১২ | ৬৫৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সিকি | 132.177.***.*** | ০৬ মে ২০১২ ২২:০৮547612
  • ও দাদা গো, ও দিদি গো, আমি যে আর পারি নে। এ ক্ষী চাপ গো!

    গল্পের ট্রেলারটা অন্যত্র আলোচনা করা হয়েছে। আমার কাছে একটা অ্যানড্রয়েড ফোন আছে। সেটা ফ্রয়ো, মানে, 2.2।

    (এইখানে পাইএর জন্য জানিয়ে রাখি, অ্যানড্রয়েড হল একটা মোবাইল অপারেটিং সিস্টেম, আপাতত বিশ্বে সবচেয়ে পপুলার। এর বাইরে অন্যান্য পপুলার মোবাইল ওএস হল অ্যাপলের ওএস, নোকিয়া ফোনের সিম্বিয়ান ওএস। আরো কিছু থাকতে পারে জানা নেই।

    এখন অ্যানড্রয়েডের একেকটা ভার্সন যখন রিলিজ করে, তখন তার নামকরণ করা হয় আলাদা আলাদা করে, বিভিন্ন খাবারদাবারের নামে। 2.2তে এর নাম ছিল ফ্রয়ো -- এটা কী খাবার আমি জানি না। তারপরে 2.3 যখন হল, তার নাম হল জিঞ্জারব্রেড। 3.0তে এর নাম হল হনিকম্ব, এখন এসেছে 4.0, অফিসিয়ালি এর নামকরণ করা হয়েছে আইসক্রিম স্যান্ডউইচ, বা শর্টে ICS. )

    আমার বাড়িতে গৃহশোভা হিসেবে একটা স্যামসুং গ্যালাক্সি S আছে, যাতে ভরা আছে ফ্রয়ো, মানে 2.2। তো, এতে ব্রাউজারে বাংলা ইউনিকোড ভালোভাবে আসছে না। মানে, অক্ষরগুলো আসছে, কিন্তু -কারগুলো পরে পরে। "দিন" লিখলে দেখাচ্ছে দনি। দ, হ্রস্বইকার, ন। আর আনন্দবাজার একেবারে আসছে না, চৌকো বাক্স। তো, আনন্দবাজার জায়ে ভাড় মে, আমার মাথাব্যথা গুরুচন্ডালি নিয়ে। পয়সা খচ্চা করে তো এখন S3 কেনা যাবে না, তাতে ICS আছে, গুরু নাকি সুন্দরভাবে রেন্ডার হয় সেখানে। তো, আমার এই S ফোনেই ICS চাই।

    কেলোদা আর মীনাক্ষী বলল, রুট করে আইসিএস করে নাও। তো রুট কী জিনিস? কেং কয়ে করে? বলল, কাকুকে জিগিয়ে নাও। অনেক সাইট পাবে কী করে রুট করতে হয়।

    তা পেলাম। অনেক সাইট পেলাম। এত বেশি সাইট, যে ফান্ডা কিলিয়ার হবার আগে সব ঘেঁটে ঘুগনি হয়ে গেল। মোদ্দা যেটুকু বুঝলাম, রুট করলে ফোনের সমস্ত ডেটা গায়েব হয়ে যেতে পারে, তাই আগে ব্যাকআপ রাখতে হবে। ব্যাক আপ কী করে রাখে?

    http://www.theandroidsoul.com/android-4-0-update-for-galaxy-s-i9000-custom-rom/

    এখানে দেখলাম, ব্যাক আপ রাখার জন্য অ্যানড্রয়েড অ্যাপস্টোর (এখন গুগুল প্লে) থেকে কিছু একটা জিনিস নামিয়ে ইনস্তল করে নিতে হয়, যেটা ডেটা ব্যাকআপ রাখতে সাহায্য করবে।

    সেটা আবার যে সে ভাবে কাজ করবে না। তার জন্য চাই একটা নির্দিষ্ট ফার্মওয়্যার। সেই ফার্মওয়্যারটা নামাতে হবে তার আগে।

    নামালাম। সেটা ইনস্টল করতে গিয়ে বলে এটা কিন্তু আগের ডেটা উড়িয়ে দিতে পারে, রেকমেন্ডেড দ্যাট ইউ টেক আ ব্যাকাপ।

    লে হালুয়া। আমি ঘুরে ঘুরে আবার স্কোয়্যার ওয়ানে।

    আমি কি আইসক্রিম স্যান্ডুইচ খেতে পারব না? কেউ কি আছেন যে আমায় বাংলায় স্টেপে স্টেপে বোঝাতে পারবেন ঠিক কী কী করতে হবে?

    কেলোদা, আমি ইউনিক্সে দুবার সাপ্লি পেয়েছিলাম ইনফোসিসের ফ্রেশার্স ট্রেনিংয়ে, কার্নেল টার্নেল শুনলেই সেই বারো বছর আগের বিভীষিকাময় স্মৃতি ফিরে আসে, একটু মিষ্টি মিষ্টি করে লিখবেন, কেমন? যেন ওই আইসক্রিম স্যান্ডুইচের মত শুনতে হয়।
  • Zzzz | 109.227.***.*** | ০৬ মে ২০১২ ২৩:২৩547623
  • ও দাদা,

    আমি আবার তোমায় কখন ফোন রুট করতে বোল্লুম? আমার নিজের ফোন-ই তো রুট করা নয়। আর বাংলা দেখার জন্য ফোন রুটিং! রামোঃ।

    তোমার কি অপেরা বা স্কাইফায়ারেও একি সমস্যা হচ্ছে?
  • সায়ন | 125.24.***.*** | ০৬ মে ২০১২ ২৩:৩৪547634
  • যতটা জানি, এক গিগাহার্টজ় বা তার বেশী ক্লকস্পীড না থাকলে আইসিএস চলবে না।
  • sda | 127.194.***.*** | ০৬ মে ২০১২ ২৩:৪৭547636
  • সিকিদা, হোয়াই দিস কোলাভেরি ? আই সি এস লাগিয়ে যে বাংলা আসবে তার কোনো গ্যারান্টি নাই। আমি পরশুদিন বহু কসরত করে আই সি এস লাগালাম, এখন সব ব্রাউজারে বাংলায় আগে-পরে আসছে ঃ(
  • কেলো | 127.254.***.*** | ০৭ মে ২০১২ ০১:৩১547637
  • অ্যান্ড্রয়েডে ইউনিকোড না আসার কারন হল তার ভার্সন নয়, তার রেন্ডারিং ইঞ্জিন।

    ২০০৪ সালের আগে লিনাক্সে কোন এমন রেন্ডারিং ইঞ্জিন ছিল না যেটা কম্প্লেক্স ইন্ডিক ফন্ট ঠিকমত রেন্ডার করতে পারে। ২০০৪ সালে Cairo রেন্ডারিং ইঞ্জিন এসে সে সমস্যা দূর করে। ২০০৪ থেকে কোন লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশনের যে সব অ্যাপ্লিকেশন Cairo ইঞ্জিন ব্যবহার করতে শুরু করল, তারা চমত্কার বাংলা সহ যে কোন ভারতীয় লিপি সঠিকভাবে ফোটাতে সক্ষম হল। যারা করল না, তারা এখনো হিজিবিজি দেখায়।

    ঠিক হিজিবিজি দেখায় না, কম্প্লেক্স ইন্ডিক ফন্টের কম্প্লেক্সিটি বাদ দিয়ে সরল করে দেখায়। ফলে যুক্তাক্ষর আসে না, আ কার ইকার ঔকার ইত্যাদি জটিল জিনিস সরল করে তারা নিজের জ্ঞান-বুদ্ধি মত বসিয়ে নেয়।

    অ্যান্ড্রয়েডেও ঠিক প্রাক ২০০৪ রেন্ডারিং চলছে।

    এমন নয় যে ICS হলেই সমস্যা মিটবে। স্যামসুং ও সোনির বহু মডেলে এখনই এই রেন্ডারিং সমস্যা নেই। কারন তারা এই গরীব দেশের বিশাল বাজার ধরতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। সস্তার অ্যান্ড্রয়েড বের করেছে যে কোম্পানীগুলো, বাজার কিন্তু এখন তাদেরই হাতে, সামসুং বা সোনির হাতে নয়। (আমার নিজেরটাই হল গে - Spice Mi300, চার বছরের পুরোনো) তাই স্যামসুং এর মত বড় কোম্পানীরা এমন ফীচার আনতে চাইছে যা ওদের এই সব সস্তার স্মার্টফোনের ওপর আপারহ্যান্ড দেবে। এই দুই কোম্পানীই দিশি ভাষাটাকে হাতিয়ার করেছে। গুগল কবে সমস্যা দূর করবে সে অপেক্ষায় বসে না থেকে তারা তাদের ডেভালাপারদের দিয়ে জিঞ্জারব্রেডেরই রেন্ডারিং ইঞ্জিন পাল্টে ফেলেছে। এবং দিশি ভাষা এনেছে। যেহেতু অ্যান্ড্রয়েড ওপেনসোর্স, তাই এটা করা মোটে কঠিন নয়। Cairo জাতীয় রেন্ডারিং ইঞ্জিনের কোড একটু স্টাডি করলেই সেখান থেকে টুকে টুকে করে ফেলা সম্ভব। করেছেও তাই। এমন কিছু একটা হাতিঘোড়া (বা'চাকা') আবিষ্কার করে ফেলেছে ভাববেন না।

    দুর্ভাগ্যবশত সিকিদার গ্যালাক্সি ২ খানি সেই বাংলা-ফোটানেওয়ালা ফোনগুলির লিস্টে পড়ে নি। তার মানে এই নয় যে সিকিদাকে আরও দামী ফোন কিনতে হবে। আমার গুগুল প্লাসের গত বছরের ওই লিঙ্ক দেওয়া পোস্টটি যদি পড়েন তবে দেখবেন, যে অক্টোবর মাসেই গ্যালাক্সী y এ দিব্যি বাংলা আসছিল। গ্যালাক্সী ওয়াই এর দাম মোটে সাড়ে ছ হাজার টাকা। ফোনের দিক দিয়েও সেটা একেবারে এন্ট্রি লেভেল। তাই সিকিদা নতুন ফোন কিনতে চাইলে সেটা গ্যালাক্সী ২ এর বদলে গ্যালাক্সী ৩ হতে হবে তার মানে নেই, গ্যালাক্সী y হলেও চলবে।

    আর সদা-দাদা অত রিস্ক নিয়ে অত খেটেখুটে ICS করলেন তার পরেও বাংলা আসছে না। তার ব্যাখ্যা হল - সদাদার ICS টি জালি। মানে ঠিক জালি নয়, তবে ওটা গুগলের নিজস্ব অ্যান্ড্রয়েড ICS নয়। তার কোন ফর্ক থেকে অন্য কারো বানানো ICS। সেদিন সদাদাদা ওই টইয়ে তার নামটি দিয়েছিলেন। এখন আমার মনে পড়ছে না। এই জালি ICS টির রেন্ডারিং ইঞ্জিন টি পুরোনো। আরো কি কি পুরোনো তা কে জানে! কবেকার ফর্ক তার ওপর নির্ভর করছে।

    এদিকে আবার Zzzz দিদির আসল ICS, তাতে দিব্যি বাংলা আসছে। আসারই কথা, কারন তাতে তো নতুন রেন্ডারিং ইঞ্জিন। কিন্তু তাও ১০০% পার্ফেক্ট নয়। কারন বাংলা তাতে আসছে বটে, কিন্তু যাচ্ছে না। মানে লেখার সময় ঘেঁটে যাচ্ছে। অর্থাত, তাতেও ইন্ডিক কম্প্লেক্স ফন্ট এর কলটি গুগল পুরো ঠিকঠাক বানিয়ে উঠতে পারে নি।

    কে জানে, ভারতবর্ষকে বাদ দিয়ে গুগল যে সর্বত্র ICS ছাড়ছে এটাই তার অন্যতম কারন কিনা। ভারতীয় ভাষা সাপোর্ট করবে বলে এত নাচানাচির পর, পুরো ঠিকঠাক না করে ব্যাটারা ছাড়ে কোন মুখে!

    কনক্লুশন হল...

    ১) আপনার যে ভার্সনের অ্যান্ড্রয়েডই থাক, তার রেন্ডারিং ইঞ্জিনটি পাল্টে যদি ওই গ্যালাক্সী ওয়াই বা গ্যালাক্মী চ্যাম্পের রেন্ডারিং ইঞ্জিনটি কোনভাবে পরিয়ে ফেলতে পারেন তবে জয় অনিবার্য্য।

    ২) আপনার ফোনে যে কোন ICS, সায়ানোজেন বা অন্য কারো, পরালেই সমস্যার সমাধান হবে তার কোন গ্যারান্টীই নেই। নির্ভর করছে সেই ICS এর রেন্ডারিং ইঞ্জিনটা কবেকার তার ওপর।

    ৩) গুগলের ICS ও এখনও বাংলা রেন্ডার করতে পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। তবে আশা করা যায় ভারতে ও প্রতিবেশী দেশগুলোতো গুগুলের নিজস্ব ICS লঞ্চ করলে সেটাতে নিশ্চয়ই কম্প্লেক্স ইন্ডিক ফন্টের সমস্যা থাকবে না।

    এই তিনটি সিদ্ধান্ত মাথায় রেখে যা মন চায় তাই করুন।

    তবে বেস্ট সলিউশন হচ্ছে আপনার অন্য হাফের মোবাইল হারালে বা চুরি গেলে তাকে নিজের বাংলা না আসা অ্যান্ড্রয়েডটি দিয়ে দিয়ে, সাধ্যমতো একটি বাংলা আসা অ্যান্ড্রয়েড নিজের জন্য কিনে ফেলা। তা সে যে ভার্সনই হোক। তাই সব অপশন দিয়ে, কবি বলেছেন -
    কিন্তু সবার চাইতে ভাল -
    -পাঁউরুটি আর ঝোলাগুড়।
  • sda | 127.194.***.*** | ০৭ মে ২০১২ ০১:৩৯547638
  • থ্যান্কু কেলোদা। অনেক নতুন কিছু জানলাম। সত্যি ই আমার স্যামসাং এর অরিজিন্যাল ফার্মওয়ারে দারুণ বাংলা আসতো।
    আর আমার এখনকার ও এস টা সত্যিই অরিজিনাল গুগুলছাপ আই সি এস না, সায়ানোজেন ফর্ক। আমার ফোনে স্যামসাং বলেছে আই সি এস চলবে না হার্ডওয়ারের খামতির জন্যে। বাজে ঢপ। নতুন ফোন কেনানোর ধান্দা। সব শালা দেখি মাইক্রোসফটের পলিসি ধরেছে।
  • kc | 92.145.***.*** | ০৭ মে ২০১২ ০২:১৮547639
  • আইফোন আইফোন
  • cK | 127.254.***.*** | ০৭ মে ২০১২ ০২:২১547640
  • ব্ল্যাকবেরী .. ব্ল্যাকবেরীইইই
  • Sibu | 118.23.***.*** | ০৭ মে ২০১২ ০৫:৪৩547641
  • ৪।০।৪ থেকে ইন্ডিক ফন্ট ঠিক আসে। আমার ফোং হল গে গ্যালাক্সি নেক্সাস।
  • কেলো | 127.254.***.*** | ০৭ মে ২০১২ ০৯:২৭547614
  • গ্যালাক্সী নেক্সাস হল গে আদত গুগুলছাপ হার্ডওয়্যার।
  • Arin | 142.18.***.*** | ০৭ মে ২০১২ ০৯:২৭547613
  • নতুন গুরুচন্ডালি আইপ্যাডে ঠিকমত আসে না, ফন্ট রেন্ডরিঙ্গ মনে হয় ঠিক মত হয় না ।
  • সিকি | 132.177.***.*** | ০৭ মে ২০১২ ১০:৫৯547615
  • কেলোদার বক্তব্যে ব্যাপারটা পরিষ্কার হল। রেন্ডারিং ইঞ্জিনের প্রবলেম। ঠিক আছে। এই পর্যন্ত বুঝলাম। এইবার, সেইটাকে ঠিক করার উপায়টা খুঁজতে হবে।

    এই পজ়িশন থেকে আমার পরের প্রশ্নঃ

    ১। রেন্ডারিং ইঞ্জিনটা কী, কত ভার্সনের, কী করে বুঝব? দেখার কোনও উপায় আছে?
    ২। সেটাকে ঠিক করতে গেলে সায়ানোজেন মড পরানোর কথা বলেছিলেন, অ্যাকচুয়েলি "সায়ানোজেন" "মড" "পরানো" এই বাক্যবন্ধ আমার মস্তিষ্কে কোনও বিশেষ তরঙ্গই সঞ্চারিত করল না। পড়ে মনে হল আংটির মত বা মাদুলির মত কোনও জিনিস বোধ হয়। সাইট একটা দিয়েছিলেন, সেটা দেখেও আগাপাস্তলা কিছুই বুঝতে পারি নি। একেবারে চামচে করে গেলানোর মতন করে একটু বুঝিয়ে দেবেন ঠিক কী করলে কী হতে পারে?
    ৩। গ্যালাক্সি ওয়াই-এর রেন্ডারিং ইঞ্জিন গ্যালাক্সি এস-এ লাগাবো কী করে? লাগালেই চলবে তার কী গ্র্যান্টি?

    বেটার হাফের মোবাইলটি চুরি যাবার আশু সম্ভাবনা নেই, এক যদি না বাড়িতে ডাকাত পড়ে। কারণ ওটা গৃহপালিত মোবাইল, বাড়ির বাইরে বেরোয় না। আর চুরি গেলেও এক বছরের আগে পরের গ্যালাক্সি মোবাইলটা কিনতে পারব না, পহা নাই।

    প্রসঙ্গত, মাত্র গত শুক্রবার, ৫ই মে, ভারতে লঞ্চ করেছে গ্যালাক্সি এস থ্রি, উইথ আইসক্রিম স্যান্ডুইচ। এখনও দোকানে আসে নি। (অবিশ্যি এলেও কিনতাম না)।
  • সায়ন | 170.83.***.*** | ০৭ মে ২০১২ ১১:২৯547616
  • উহ্‌ সিকি, গ্যালাক্সি এস থ্রী ভারতবর্ষে জুনে লঞ্চ করবে, ৫ই মে ইউকে'তে লঞ্চ করেছে, তাও রিটেইল স্পেসে আসেনি (সম্ভবতঃ) এখনও।
  • siki | 132.177.***.*** | ০৭ মে ২০১২ ১১:৪২547617
  • ওহো তাই তো! ক্লায়েন আপিসের টিভিতে দেখছিলাম, লঞ্চ হচ্ছে, সেখানে নিউজ চ্যানেলের সাউন্ড অফ করা ছিল। দেশটা খেয়াল করি নি।
  • em | 15.***.*** | ০৭ মে ২০১২ ১৬:৩৩547618
  • du rakam kal theke lekhar cheshTa karlaam, kisui post hoy na. Iha zadi post hay tabe ekkhan poshno- E72 theke bangla lekha zabe? Zadi zaay to keu baatle deben?.
  • কেলো | 127.254.***.*** | ০৭ মে ২০১২ ১৬:৩৪547619
  • অ্যান্ড্রয়েডের রাস্টার রেন্ডারিং ইঞ্জিনটা ছিল Skia. অতি ফালতু রাস্টার ইঞ্জিন হিসেবে এর দুর্নাম আছে। এই স্কিয়াই অ্যান্ড্রয়েডের ফন্ট ফোটানোর জন্য দায়ী। জানিনা ICS এ গুগুল স্কিয়া টাকে পাল্টেছে কিনা। শিবুদার কথামত ICS 4.0.4 নয়, ICS 4.0.3 থেকেই কম্প্লেক্স ইন্ডিক ফন্ট ঠিক আসে বলে শুনেছি।

    এক্ষুনি সময় নেই, পরে সময় পেলে আমার সীমিত সামর্থে সিকিদার প্রশ্নগুলোর জবাব যথাসাধ্য দেব।

    আগে বহুবার বলেছি, আবার মনে করিয়ে দিচ্ছি - আমি কিন্তু টেকি না, একেবারে ম্যাঙ্গো পাব্লিক, তাই বেশী কিছু বলা আমার পক্ষে সম্ভবই না। গুরুর টেকিরা এই তালে খাপ খুললে খুবই ভাল হয়।
  • siki | 132.177.***.*** | ০৭ মে ২০১২ ১৭:৪২547620
  • আজ্ঞে, আমিও ম্যাঙ্গো। মানে, মোবাইলের জগতে।

    em, নোকিয়ার ফোন থেকে বাংলায় পোস্ট করা যাবে না, মানে সিম্বিয়ান থেকে। সেখানে গুগুল লে আউট কাজ করবে না, গুরুচন্ডালি লে আউটও কাজ করবে না, এক যদি সিম্বিয়ানে বাংলা টাইপ করার কোনো কল থেকে থাকে, ( আমার জ্ঞানমতে, নেই) তাহলে তিন্নং অপশনে লেখা গেলেও যেতে পারে।
  • কেলো | 127.254.***.*** | ০৮ মে ২০১২ ০১:৩২547621
  • আমি তো ম্যাঙ্গোই, আপনিও ক্লেম করছেন মোবাইলের জগতে ম্যাঙ্গো বলে। এখানে বাকি যারা দু চার কথা বলেছেন, এই যেমন ধরুন শ্রী সদা দা বা Zzzz দিদি, তাঁরাও নিজেদের কিছু এক্সপার্ট বলেন নি। তাই আমার কেমন যেন ধারনা হচ্ছে যে এই ফোর্স নিয়ে আপনি আপনার গোল অ্যাচিভ করতে পারবেন না। গোল মানে অ্যান্ড্রয়েডে গুরু আনা।

    তবে আপনি লাস্ট পোস্টে যে প্রশ্নগুলো করেছেন সেগুলো একেবারে আসল প্রশ্ন। সেগুলোর জবাব ঠিকমত পেলেই কাজ কিন্তু হাসিল হবে।

    আমি আপনাকে এমন লিঙ্ক দিতে পারি, যেখানে বাঘা বাঘা ডেভালাপাররা ঐ একই কাজ করার রাস্তা খুঁজে বেড়িয়েছেন, এবং শেষ পর্যন্ত আমরা গুরুতে দুটো টই য়ের মাত্র গোটা পাঁচেক পোস্টে যে যায়গায় আসতে পেরেছি সেটুকুও তাঁরা এগোতে পারেন নি। নিন লিঙ্ক-
    http://code.google.com/p/android/issues/detail?id=4153
    ভাল করে পড়ে দেখলে এই লিঙ্ক থেকেও অনেক মনিমুক্তো বেরোতে পারে। বিষেশতঃ বেশ কিছু মূল্যবান উপ-লিঙ্ক।
    কিন্তু আমি এটা আপনাকে পুরো পড়তে বলছি না।

    আপনি শুরু থেকে যে প্রশ্নটা শুরু থেকে বার বার করেছেন সেটা হল – কিভাবে সায়নোজেন মড পরানো যায় বা এক কথায় আপনার ফোনের ফার্মওয়্যারটা আপগ্রেড করা যায়। এই কাজটা কিন্তু মোটে কঠিন না। কিন্তু ফোনটাকে খারাপ করে ফেলার একটা ভয় থেকেই যায়। তাই দেখবেন আমি, সদাদা, Zzzz দি বা অন্য কেউ আপনাকে সায়নোজেন বা অন্য কোন ROM করার ব্যাপারে উতসাহ দেই নি। সায়নোজেন আর কিছুই না, আপনার ফোনে স্যামসুং এর দেওয়া যে ফার্মওয়্যারটা আছে তার বিকল্প একটি ফার্মওয়্যার। লাভের মধ্যে এটি আরও বেশী 'মুক্ত'। এরকম আরও নানা সমান্তরাল ফার্মওয়্যার আছে। যে ফোনের যত বেশী এ ধরনের তৃতীয়-পক্ষ ফার্মওয়্যার পাওয়া যায় সেই ফোনের মালিকের তত সুবিধা। লক্ষ্য করবেন সদাদা বলছিলেন যে স্যামসুং তাঁকে জানিয়েছে যে তাঁর ফোনে ICS আপডেট করা সম্ভব না, কারন হার্ডওয়্যার নাকি সাপোর্ট করবে না। অথচ তৃতীয় পক্ষের বানানো ফার্মওয়্যারে সদাদার ফোন এখন দিব্যি ICS এ চলছে। এটাকেই উনি মাইক্রোসফটের পলিসি বলে অভিহিত করেছেন। এবং বেশী তৃতীয়-পক্ষ ফার্মওয়্যার থাকা মাইক্রোসফটের পলিসিকে উড়িয়ে দেবার পক্ষে ভাল।

    আমার ফোন যখন কিনেছিলাম তাতে অ্যান্ড্রয়েড ১.৬ ছিল। পরে সেটা Spice কোম্পানী অ্যান্ড্রয়েড 2.1 পর্যন্ত্ আপগ্রেড করে ছেড়ে দেয়। ছেড়ে দেয় মানে ওই Mi 300 এর সাপোর্ট তুলে নেয়। তখন তারা Mi 310 নাম দিয়ে আর একটি মোবাইল বের করে যা কিনা অ্যান্ড্রয়েড ২.২ তে চলত। অর্থাত আমি যদি অ্যান্ড্রয়েড ২.১ থেকে ২.২ করতে চাই তবে আমার স্পাইস Mi 300 দিয়ে চলবে না, Mi 310 কিনতে হবে। অথচ অ্যান্ড্রয়েড 2.1 এর সঙ্গে 2.2 তফাত ইর্ষনীয়। যেমন ধরুন অ্যান্ড্রয়েড ২.২ তে ফোনটাকে WiFi hotspot হিসেবে ব্যাবহার করা যাবে। এটা আমার কাছে একটা অতি গুরুত্বপূর্ন ফীচার। যে কোন সাধারন লোক শুনলে ভাববে WiFi receiver টা কখনো transmitter এর কাজ করতে পারবে না। তাই নতুন অ্যান্ড্রয়েড ২.২ ওয়ালা ফোন কিনতেই হবে ওই ফীচার পেতে গেলে। স্পাইসও সাধারন লোকের ওই ধারনাটাকেই মদত দিচ্ছে, এমন একটা ভাব দেখাচ্ছে - যে ওই নতুন Mi 310 কিনুন, তাতে আপনি ফোনটাকে ওয়াই ফাই হটস্পট হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। আসল গল্প কিন্তু অন্য। আমি আমার ফোনটাকে XDA ডেভেলাপার ফোরামের বানানো সায়নোজেন মড ROM দিয়ে, স্পাইসের শেষ দেওয়া অফিশিয়াল অ্যান্ড্রয়েড ২.১ ROM টা কে রিপ্লেস করে দিলাম। সায়নোজেনের এই ROM টা ছিল অ্যান্ড্রয়েড ২.২ র সোর্সকোড বেস করে বানানো। ফলে আমার ফোনটা অ্যান্ড্রয়েড ২.২ হয়ে গেল। তাতে দিব্যি ওয়াইফাই হটস্পট চলতে লাগল। যে ফোনটাকে স্পাইস কোম্পানী অ্যান্ড্রয়েড ২.১ এর পর ভগবানের নামে ছেড়ে দিয়েছিল, আজ সেটা অ্যান্ড্রয়েড ২.৩.৭ এ চলছে। অর্থাত বাজারে আজকের আধুনিক ফোন গুলোর সঙ্গে OS এর দিক দিয়ে অ্যাট-পার। গ্যালাক্সী ওয়াই এর ঘরে যে ধন আছে আমার স্পাইস Mi300 এর ঘরেও সেই ধন আছে।
    এটাই হল সায়নোজেন বা অন্য কোন থার্ড পার্টি ফার্মওয়্যার পরানোর সুবিধা।

    বেশীভাগ কোম্পানীই সঙ্গত কারনে তাদের অ্যান্ড্রয়েড (যা কিনা আসলে ইউনিক্স) ফোনে সুপারইউজার পারমিশন ম্যাঙ্গো ইউজারকে দেয় না। আপনিও সিস্টেম অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হলে তাইই করতেন না কি? এদিকে লিনাক্স বা ইউনিক্সে সুপারইউজার অ্যাডভান্টেজ না থাকলে যা যা সমস্যা হয়, ঠিক সেই সমস্যাগুলোই অ্যান্ড্রয়েড মোবাইলেও হয়। যেমন ধরুন ইচ্ছে থাকলেও আপনি সুপার ইউজার স্পেসে গিয়ে কোন ফন্ট বা কোন কোডেক ইন্সটল করতে পারবেন না। ফোন কিনলেন আপনি পয়সা দিয়ে, আর তাতে কি ভরবেন না ভরবেন, সেটা ঠিক করবে - স্পাইস/স্যামসুং? যার ধন তার নয়কো .. নেপোয় মারে দই। ঠিক এই সমস্যা টা দূর করার জন্য আপনার নিজের হাতে সুপারইউজার বা রুট ইউজারের অধিকার থাকাটা জরুরী। এই অধিকার পাওয়ার ব্যাবস্থা করাকেই অ্যান্ড্রয়েড ফোনের পরিভাযায় রুটিং করা বলে। রুটিং করলে তবেই আপনি আপনার ফোনের প্রকৃত 'মালিক' হলেন।

    রুটিং করা ফোনে যা খুশী তাই করতে পারেন, যা আপনি আপনার ইউনিক্স মেশিনে রুট ইউজার হলে করতে পারেন তার সবই। আমার ফোনে কোনো দিশি ফন্টই ছিল না। বাংলা খুললে চৌকো চৌকো বাক্স আসত। রুটিং করার পর কিভাবে আমি সেই চৌকো বাক্সর কবল থেকে নিজের ফোনকে উদ্ধার করি সেই রোমহর্ষক কাহিনী লেখা আছে এইখানে - https://plus.google.com/u/0/115419218155455436369/posts/GWbjpf211mc
    যা কিনা আপনি অলরেডী পড়ে পোস্টও করে দিয়েছেন একটি কমেন্ট।

    Zzzz দিদি যেমন বলেছেন, যে ফোনে অলরেডী ভাঙ্গা হলেও বাংলা আসছে সেটার বাংলা ঠিক করার জন্য রুটিং বা নতুন ফার্মওয়্যার কিছুরই প্রয়োজন নেই। নতুন ফার্মওয়্যার তখনই পরান, যখন আপনি নিশ্চিত, যে সেটা আপনার বর্তমান ফার্মওয়্যারটার ওপর কোনওরকম এক্সট্রা সুবিধা দেবে। ধুমধাড়াক্কা নিত্তিনতুন ROM পরিয়ে লাভ নেই কিচ্ছু।

    আপনি অবশ্য এ সব স্টেজ পার হয়ে গেছেন। আপনি সমস্যার আরও গভীরে ঢুকে গেছেন। বুঝে গেছেন পুরো OS টা নয়, আমদের স্পেসিফিক সমস্যার জন্য দায়ী হল স্পেসিফিক ফন্ট রেন্ডারিং ইঞ্জিন। এবার শুধু এটাই দেখার, যে গুরুর এই ল্যালামার্কা ইঞ্জিনিয়ারিং-ফোর্স নিয়ে সেই সমস্যার মূলটিতে আঘাত করা যায় কিনা।

    কয়েক প্যারাগ্রাফ আগে দেখুন বলেছি - আপনার ফোনে সায়নোজেন জাতীয় তৃতীয় পক্ষের বানানো OS পরানোর একটা সুবিধা হল এটা আপনার কোম্পানীর দেওয়া OS এর চাইতে বেশী 'মুক্ত'। সামসুং বা সোনি বা এলজি বা স্পাইস কখনোই বলতে চাইবে না যে তারা তাদের ফোনে কোন কম্পোনেন্ট ব্যবহার করছে। আমাদের ক্ষেত্রে এই কম্পোনেন্ট হল রেন্ডারিং ইঞ্জিন। যদি আপনি সায়নোজেন বা কোন তৃতীয় পক্ষের ফার্মওয়্যার ব্যবহার করেন তবে সেটার প্রতিটি ইঞ্চি হবে মুক্ত এবং ভালভাবে ডকুমেন্টেড। আপনি চাইলে তার বিন্দুবিসর্গ স্টাডি করতে পারবেন। প্রয়োজনে পাল্টাতে পারবেন। কিন্তু আপনার ফোন কোম্পানী যে ফার্মওয়্যার দিচ্ছে, সে সেই সুবিধা দেবে কি? যতই ওপেন সোর্স হোক বা GPLed হোক। আমার সন্দেহ আছে। সিকিদা প্রথম যে প্রশ্নটি তুলেছেন - “১। রেন্ডারিং ইঞ্জিনটা কী, কত ভার্সনের, কী করে বুঝব? দেখার কোনও উপায় আছে?” এটাই হচ্ছে সেই প্রশ্নের উত্তর।

    কোম্পানীর কাছ থেকে ডকুমেন্ট টা বা সোর্স কোডটা পেলে কাজ অর্ধেক হাসিল।

    যাক্- এর পরের অংশ আবার কালকে। (..যাকে বলে স্পুন ফিডিং, সিকিদার আর রাগ করার স্কোপ রইল না)
  • সোমনাথ২ | 217.239.***.*** | ০৯ মে ২০১২ ২৩:০২547622
  • আন্দ্রএদ মার্কেট প্লেস থেকে অপেরা মিনি ব্রাউসার ইনস্টল করে গুরুচন্ডালি , আনন্দবাজার সব ঠিকঠাক পড়া যায় , তবে বাংলায় লেখা যায় কিনা সিওর নই।
  • somnath2 | 217.239.***.*** | ০৯ মে ২০১২ ২৩:০৭547624
  • google layout এ android বানানটা হরিবোল হয়ে গেলো :-(
  • কেলো | 127.252.***.*** | ১০ মে ২০১২ ০৩:৪৭547625
  • সিকিদার প্রশ্ন ছিল -
    “এই পজ়িশন থেকে আমার পরের প্রশ্নঃ

    ১। রেন্ডারিং ইঞ্জিনটা কী, কত ভার্সনের, কী করে বুঝব? দেখার কোনও উপায় আছে?
    ২। সেটাকে ঠিক করতে গেলে সায়ানোজেন মড পরানোর কথা বলেছিলেন, অ্যাকচুয়েলি "সায়ানোজেন" "মড" "পরানো" এই বাক্যবন্ধ আমার মস্তিষ্কে কোনও বিশেষ তরঙ্গই সঞ্চারিত করল না। পড়ে মনে হল আংটির মত বা মাদুলির মত কোনও জিনিস বোধ হয়। সাইট একটা দিয়েছিলেন, সেটা দেখেও আগাপাস্তলা কিছুই বুঝতে পারি নি। একেবারে চামচে করে গেলানোর মতন করে একটু বুঝিয়ে দেবেন ঠিক কী করলে কী হতে পারে?
    ৩। গ্যালাক্সি ওয়াই-এর রেন্ডারিং ইঞ্জিন গ্যালাক্সি এস-এ লাগাবো কী করে? লাগালেই চলবে তার কী গ্র্যান্টি?


    ১) রেন্ডারিং ইঞ্জিনটা কী, কত ভার্সনের, কী করে বুঝব? দেখার কোনও উপায় আছে?
    -------------------------------------------------------------------------------------------
    সহজে দেখার উপায় ঠিক আমার জানা নেই। তবে আমার ধারনা রেন্ডারিং ইঞ্জিনটা বা তার ভার্সনটা ফোন থেকে ফোনে বিভিন্ন হবে। কারন অ্যান্ড্রয়েড একটি ওপেনসোর্স প্রজেক্ট এবং ফোন কোম্পানীগুলো ইচ্ছে (বা প্রয়োজন) মত গুগলের সোর্সকোডে পরিবর্তন করতে পারে।
    গুগুলছাপ গুগলের নিজস্ব OS এ গুগল কি ব্যবহার করেছে সেটা এখানে পাওয়া যেতে পারে -
    http://source.android.com/index.html

    রেন্ডারিং ইঞ্জিনটাকে কোথায় খোঁজা উচিত সে সম্পর্কে আমার ধারনা আমি নিচে লিখছি। আমি তো টেকি না, তাই ভুল থাকবে প্রচুর, যাঁরা ঠিকঠাক জানেন তাঁরা একটু শুধরে দেবেন দয়া করে।

    ফন্ট রেন্ডারিং ইঞ্জিন খুঁজতে গেলে প্রথমে দেখতে হবে অ্যান্ড্রয়েডের আর্কিটেকচার টা কি রকম।

    সফটওয্যার দিয়ে প্রাণ প্রতিষ্ঠা না করা গেলে দুনিয়োর যে কোন হার্ডওয়্যার এটি থান-ইঁটের চেয়ে বেশী কিছু নয়। একটি ইঁটবত্ যন্ত্রকে দিয়ে কোন কাজ করাতে গেলে প্রথম দরকার 'কাজ' টা কে যন্ত্রটির বোধগম্য করা। চন্দননগরে জগদ্ধাত্রী পুজোর বা কলকাতার দুর্গাপুজোর আলোর খেলা দেখেছেন? সেটা এক অর্থে আদিম কম্পিউটার চালিত। এক বিশাল ফ্রেমে লাগান আলোগুলো জ্বলে নিভে আমাদের কাছে কোন একটা অর্থবহ ঘটনা ফুটিয়ে তোলে। ফ্রেমে লাগানো অজস্র টুনিবাল্বের কখন কোনটা কতক্ষন জ্বলবে (বা নিভবে) সেটা ঠিক করতে একটা গোল মত কাঠের চাকায় কিছু তামার পাত লাগান থাকে। সেই তামার পাতগুলোই ঠিক করে দেয় কোন টুনি কতক্ষন বিদ্যুত পাবে। কাঠের চাকাটা ঘুরতে থাকে আর বিদ্যুত সংযোগ ক্রমাগত অন বা অফ হতে থাকে। ওই কাঠের চাকাটা বানানোই হল মেশিন লেভেল প্রোগ্রামিং। এ সম্পর্কে বিশদ জানতে হলে কাব্লীদার সঙ্গে যোগাযোগ করুন। উনি এককালে মেশিন লেভেল প্রোগ্রামিং এবং অ্যাসেমব্লী ল্যাঙ্গোয়েজের প্রায় যাদুকর ছিলেন। বহু শ্বাসরোধী প্রোগ্রামিং এর গল্প ওনার বাড়ি বসে শোনা।
    আধুনিক কম্পিউটার, (তথা মোবাইল ফোন) এ প্রাণ প্রতিষ্ঠার জন্য আর ওই কাঠের চাকা বানাতে হয় না, বা কাব্লীদার মত ক্যাম শ্যাফট্ ও ডিজাইন করতে হয় না। কাব্লীদাকেও নিশ্চয়ই পরে ওই কাজ ডায়োড দিয়ে করতে হত, অজস্র ডায়োড জুড়ে তৈরি হয়েছে সিলিকনের মাইক্রোচিপ। এখন শুধু প্রতিযোগিতা চলছে কত বেশী সংখ্যার ডায়োড কত কম জায়গায় পুরে দেওয়া যায়, তারই। কম্পিউটার বা ফোনের সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিটটা হল একটা মাইক্রোচিপ মাত্র।
    সেদিনের মত আজও মেশিন শুধু বোঝে অন আর অফ ( 0 আর 1)। সেদিন যেমন কাঠের চাকায় তামার পাত জুড়ে মেশিনকে বোঝানো হত তাকে কতক্ষন অন বা কতক্ষন অফ থাকতে হবে, আজকের মাইক্রোচিপের ডায়োডকেও বোঝাতে হয় সে অন থাকবে না অফ থাকবে। মেশিন, থুড়ি, চীপ তো আমাদের ভাষা বোঝে না। তাকে ওই কাঠে তামার পাত পরানোর মত করে বোঝাতে হয়। এমনকি আমরা যে এত খেটেখুটে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গোয়েজগুলো শিখি, সেগুলোও সরাসরি চীপকে বলতে পারে না যে তার কোন কোন ডায়োড অন থাকবে আর কোন কোন ডায়োড অফ থাকবে। ইউনিক্স মেশিনে এই প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের ভাষা মেশিনকে বোঝানো, আর মেশিনের কথা মানে আউটপুট ফের প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গোয়েজে প্রতিফলিত করার কাজ করে কার্নেল। অর্থাত এক কথায় হার্ডওয়্যারের সঙ্গে সফটওয়্যারের যোগাযোগের কাজটাই করে কার্নেল। অন্য সব ইউনিক্স (এবং লিনাক্স) মেশিনের মত একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোনেও, হার্ডওয়্যারের ঠিক ওপরেই থাকবে কার্নেল। (অ্যান্ড্রয়েড লিনাক্স কার্নেল ব্যাবহার করে)

    বুঝতেই পারছেন, অতি অবশ্যই হার্ডওয়্যার কন্ট্রোলকারী সমস্ত কম্পোনেন্টই হবে কার্নেলের অংশ। উইন্ডোজের ভাষায় বলতে গেলে - এগুলো সব 'ড্রাইভার' আর কি! কম্পোনেন্টগুলো আলাদা করে দেখতে গেলে এই নিম্নলিখিত গুলো পাবেন -
    1.Display Driver আপনার ডেস্কটপের গ্রাফিক্স (কার্ড) এর ইকুইভ্যালেন্ট
    2.Audio Driver আপনার ডেস্কটপের সাউন্ড (কার্ড)এর ইকুইভ্যালেন্ট
    3.Keypad Driver আপনার ডেস্কটপের কীবোর্ড ড্রাইভার (ডেস্কটপে অবশ্য BIOS এই থাকে)
    4.WiFi Driver আপনার ডেস্কটপের ল্যান (কার্ড)এর ইকুইভ্যালেন্ট
    5.Camera Driver
    6.Flash Memory Dirver আপনার ডেস্কটপের হার্ড ডিস্ক ( এটাও ডেস্কটপে BIOS এই থাকে)
    7.Binder (IPC) Driver
    8.Power Management.

    তাহলে দাঁড়াল হার্ডওয়্যারের ঠিক ওপরে কার্নেল।
    এবার - কার্নেলের ওপর থাকে কোর লাইব্রেরীগুলো।
    এই লাইব্রেরীগুলোতে বিভিন্ন ফাংশান ডিফাইন করা থাকে, ফলে লাইব্রেরীর ওপরের স্তরে যখন প্রোগ্রাম বা অ্যাপ্লিকেশন বানানো হয়, তখন সেগুলো এই লাইব্রেরীর ফাংশনগুলোকেই ব্যাবহার করে। তাতে প্রত্যেক প্রোগ্রাম যে কমন জিনিষগুলো করে সেগুলোকে আর আলাদা করে প্রোগ্রামে লিখতে হয় না। তাতে প্রোগ্রামের আকার বড় হয়ে যেত, আর একই জিনিষ বারে বারে বিভিন্নজনকে লিখতে হত। একই জিনিষ চালাতে অনেক বেশী মেমরীও লাগত। তা না করে কমন ফাংশনগুলোকে লাইব্রেরী হিসেবে রাখা হয়, প্রোগ্রাম গুলো দরকার মত লাইব্রেরী ফাংশনগুলোকে কল করে নেয়। অ্যান্ড্রয়েডের মূল মূল কোর লাইব্রেরীগুলো হল -
    1.Surface Manager
    2.Open GL | ES
    3.SGL
    4.Media Framework
    5.SSL
    6.SQLite
    7.Webkit
    8.libc এবং
    9.Free Type
    এই ফ্রী টাইপটাই সম্ভবত অ্যান্ড্রয়েডের ফন্ট রেন্ডারিং ইঞ্জিন। আমি আগের পোস্টে Skia বলেছিলাম। সেটা সম্ভবত গ্রাফিক্স রেন্ডারিং ইঞ্জিন, আমি ভুল করে বলেছিলাম। এটা অবশ্য শিওর নই। একটু পড়াশোনা করে দেখলেই হবে।
    ফ্রীটাইপ সম্পর্কে বেসিক ধারনা এখানে পাবেন-
    http://en.wikipedia.org/wiki/FreeType
    (এখানে বলা ফ্রীটাইপও রাস্টার ইঞ্জিন হিসেবে ব্যাবহার হয়, তাই বলছিলাম Skia না Free Type তা নিয়ে শিওর নই।)
    ওই উইকি পেজেই এই একলাইন কথাও বলা আছে-
    “The text layout processing is not an objective of FreeType 2 (it has been moved to a distinct project, called "FreeType Layout" and now part of the Pango library).”
    এই প্যাঙ্গো লাইব্রেরীই হচ্ছে সেই কুখ্যাত প্যাঙ্গো, যা ২০০৪ সালের আগে লিনাক্সের সর্বত্র চলত এবং কম্প্লেক্স ইন্ডিক ফন্ট বিন্দুমাত্র ফোটাতে পারত না। পরে Cairo এসে Pango র হাত থেকে মুক্তি দেয়। (আগে অনেকবার লিখেছি) কায়রো অবশ্য প্যাঙ্গোর প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, কায়রো এখন প্যাঙ্গোর ব্যাকএন্ড হিসেবে কাজ করে। জিনোম/GTK এখন প্যাঙ্গো-কায়রো মিলিয়ে কমপ্লেক্স ইন্ডিক ফন্ট ফোটায়। কিন্তু অ্যান্ড্রয়েড তো জিনোম টুলকিট ব্যবহার করে না, তাই অ্যান্ড্রয়েড হয়ত ফ্রীটাইপ-তথা-প্যাঙ্গো ব্যবহার করলেও কায়রো ব্যবহার করে না। তাই ইন্ডিক ফন্টও ঠিকমত ফোটে না।
    এ ব্যাপারটাতেও আমি শিওর নই। এবং কোন অথেন্টিক ডকুমেন্টও পাচ্ছি না এর সাপোর্টে। আমার ধারনা গন্ডগোলটা এখানেই। হয়ত সামসুং বা সোনি ব্যাকএন্ডে কায়রো ব্যবহার করছে।তাই ওদের কিছু কিছু মডেলে বাংলা ফুটছে। কিন্তু ডকুমেন্টেশন না থাকলে সেটা বুঝব কি করে !

    নিচে প্যাঙ্গো ও কায়রোর হোমপেজের লিঙ্ক দিয়ে দিলাম -
    http://www.pango.org/

    http://www.cairographics.org/

    এখানে পাবেন অ্যান্ড্রয়েডের আর্কিটেকচারের ছবি -


    সুতরাং সোর্সকোডের ফ্রাীটাইপ লাইব্রেরীর জায়গাটা ভাল করে খুঁজলেই সিকিদার প্রথম প্রশ্নের উত্তর বেরোবে।

    সিকিদা দ্বিতীয় প্রশ্নে বলেছেন -

    “২। সেটাকে ঠিক করতে গেলে সায়ানোজেন মড পরানোর কথা বলেছিলেন, অ্যাকচুয়েলি "সায়ানোজেন" "মড" "পরানো" এই বাক্যবন্ধ আমার মস্তিষ্কে কোনও বিশেষ তরঙ্গই সঞ্চারিত করল না। পড়ে মনে হল আংটির মত বা মাদুলির মত কোনও জিনিস বোধ হয়। সাইট একটা দিয়েছিলেন, সেটা দেখেও আগাপাস্তলা কিছুই বুঝতে পারি নি। একেবারে চামচে করে গেলানোর মতন করে একটু বুঝিয়ে দেবেন ঠিক কী করলে কী হতে পারে?


    সায়নোজেনমড পরিয়ে রেন্ডারিং ঠিক করা যাবে না। ফন্ট রেন্ডারিং ঠিক করার জন্য আমি সায়নোজেন মড পরাতে বলি নি। সায়নোজেনমড কি ও কেন সেটা পরানো হয় সেটা সম্পর্কে আমার একেবারে ক্লীয়ার ধারনা আছে, সেটা বরং কাল বলব।
  • কেলো | 127.254.***.*** | ১০ মে ২০১২ ১৫:২১547626
  • এইখানে পাবেন -
    This repository contains Android build files and various additional files needed to build your self a version of libcairo and libpixman that you can use on Android devices.
    লিঙ্ক -
    https://github.com/anoek/android-cairo

    আর এই ভদ্রলোকের লেখায় পাবেন কিছু মূল্যবান উপলিঙ্ক। সবটা পড়ে দেখতে পারছি না। পরে সময় পেলে দেখব। আপাতত এখানে লিঙ্কটা রেখে গেলাম।
    http://cananian.livejournal.com/63595.html

    এখনো সামসুং এলজি বা সোনি কি করে বাংলা আনল, সেটা পষ্ট করে খুঁজে পাই নি। কায়রোর পথেই এনেছে বলে মনে তো হচ্ছে। সেটার ডকুমন্টেশন বা রেফারেন্স দরকার।
  • কেলো | 127.254.***.*** | ১৮ মে ২০১২ ০৩:৪৭547627
  • আমার শেষ পোস্টে বলা ভদ্রলোক প্যাঙ্গো দিয়ে নিজের ট্যাবলেটে পার্সী ফুটিয়েছেন।
    ওনার ওই লিঙ্কে একটা অ্যাপ্লিকেশনও দেওয়া আছে। নাম হল pango-demo.apk
    আমি সেটা আমার ফোনে সাইডলোড করেও চালাতে পারলাম না পার্সিং এরর দিচ্ছে। সচরাচর লোয়ার ভার্সনের অ্যন্ড্রয়েডে তৈরি করা .apk হায়ার ভার্সনে ইন্সটল করলে সেটা চালাতে গেলে পার্সিং এরর দেয়। এর উল্টোটা সাধারনতঃ হয় না ব্যাকওয়ার্ড কম্প্যাটিবিলিটি থাকার জন্য। এক্ষেত্রে আমারটা লোয়ার ভার্সন, সুতরাং চলার কথা। কেন পার্সিং এরর দিল সেটা খুঁজতে হবে।

    এদিকে Zzzz দিদির এক পরিচিত আছেন স্যামসুং এর একেবারে অন্দরমহলে। দিদির রেন্ডারিং ইঞ্জিন সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি জানাচ্ছেন – যে “(বাংলা) না আসার সমস্যাটা গুগলের সমস্যা। সামসুং CDEC ব্যাবহার করে সেই সমস্যা কাটিয়ে উঠেছে। গুগলও নতুন ICS এ রেন্ডারিং এঞ্জিন দিচ্ছে, তাই তাতে এই সমস্যা থাকবে না। গুগলের আগের ভার্সনগুলোতে কোন রেন্ডারিং ইঞ্জিন ছিলই না”

    বুঝলেন কিছু?
    (আমি কাল সকালে উঠে বোঝার চেষ্টা করব CDEC টা খায় না মাথায় দেয়)
  • ঐশিক | 132.172.***.*** | ১৩ আগস্ট ২০১২ ২০:৩১547628
  • সিকিদা, অপেরা
    ক্ক্কক্ক্ক

    Name: সোমনাথ২

    IP Address : 217.239.86.106 (*) Date:09 May 2012 -- 11:02 PM

    আন্দ্রএদ মার্কেট প্লেস থেকে অপেরা মিনি ব্রাউসার ইনস্টল করে গুরুচন্ডালি , আনন্দবাজার সব ঠিকঠাক পড়া যায় , তবে বাংলায় লেখা যায় কিনা সিওর নই।

    আমার মটোরোলা দেফ্য়, গুরু আস্ত না, এখন আসে।
  • ঐশিক | 132.172.***.*** | ১৩ আগস্ট ২০১২ ২০:৩৪547630
  • *ডিফাই প্লাস , * আসতো না , কিন্তু লেখা যায় না
  • akash | 233.18.***.*** | ১৩ আগস্ট ২০১২ ২২:৫২547631
  • যে মোবাইলে জাভা থাকে তাতেই অপেরা চলে, হ্যাণ্ডসেটে না থাকলে থেকে ডাউনলোডান্।
    অপেরাতে যদি বাংলা না আসে তবে address বার-এ শুধু opera:config লিখে ok করুন ,page আসলে একদম নিচে গিয়ে Use bitmap fonts for complex scripts , Yes করে Save করুন ।
    তবে বাংলা লিখতে গেলে হ্যাণ্ডসেটে বাংলা থাকতে হবে, বাংলা বা ইংরিজি লিখুন(নিজস্ব সফটওয়্যার) মোডে লিখতে হবে। গুরুর বাংলা কাজে আসবে না। তবে অনেক মবাইলে বাংলা থাকলেও গুরুতে লেখা যাচ্ছে না অপেরা দিয়ে!
    ইন্টারেস্টিং ব্যপার UC-ব্রাউজারএ বকচ্ছপের মতো বাংলা এলেও লেখা যাচ্ছে গুরুতে। আর ভারতের যেখানেই থাকুন না কেন অপেরাতে আপনার I.P. টা আমেরিকার হয়ে যাবে!
  • sp | 217.239.***.*** | ১৩ আগস্ট ২০১২ ২২:৫৬547632
  • এই UC ব্রাউজার দিয়ে ব্ল্যাকবেরি থেকেও দিব্যি গুরু পড়া ও লেখা যায়।
  • ঐশিক | 132.172.***.*** | ১৩ আগস্ট ২০১২ ২৩:১০547633
  • আমি UC তে গুরু করি নি, কিন্তু ডলফিন আর যেইটা দেয় এই দুটো ট্রাই করেছিলাম, হয় নি, তারপরে এসে গেল অপেরা মিনি, তাতে আকাশ দা/দি যেমনটি লিখলেন সেই রকম করলাম, তাতে এখন গুরু, আবাপ এই sob khole।
  • RAJ ROY CHOWDHURY | 127.194.***.*** | ০২ মার্চ ২০১৩ ২৩:১৩547635
  • আমার নাম রাজ রায় চৌধুরী । আমার ঠিকানা : ২/৩২৬ নিশ্চিন্দা , পো : ঘোষপাড়া , থানা : বালি , জেলা : হাওড়া , পিন কোড : ৭১১২২৭ , আমি কল্পবিজ্ঞান এবং ছোটদের সব রকম গল্পই লিখি। আপনাদের গুরুচন্ডালি ম্যগাজিন বইতে কিভাবে লেখা পাঠাতে হয় অর্থ্যাত লেখা পাঠাবার নিয়মাবলী সম্বন্ধ্যে জানাবেন। আপনাদের দপ্তরে গিয়ে লেখা দিয়ে আসতেও আমার কোনো আপত্তি নেই। উত্তর দেবেন । অপেক্ষায রইলাম । আমার চলমান দূরাভাস : ৯৯০৩৬৯৩৩০৪ এবং আমার ইমেইল আইডি : rajroychowdhury@hotmail.com
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন