এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • চটিগুলো যারা ধুলো নিয়েই দিগন্তে

    suddhasatya
    বইপত্তর | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ | ১৬৮৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • siki | 122.177.***.*** | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২১:২৮532073
  • এ বাবা, লিস্টিতে এক রকম নাম আর টইতে ঢুকলে আরেক নাম দেখাচ্ছে কেন?
  • suddhasatya | 117.194.***.*** | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২২:৫৭532084
  • বইমেলায় প্রচুর শব্দ। একজন লেখকের সঙ্গে দাঁড়িয়ে যার মাথায় আলো পড়েছে তখন। যাকে দেখলে বোঝা যাবে না কোনো এককালে অন্ধকার জেলের সেল দেখলেও দেখে থাকতে পারে। এমনিতেই আলো পড়ছে, তার উপরে চুলগুলূ সাদা। চোখে ক্লান্তি মেশানো প্রশান্তি। অনেকদিন না ঘুমিয়ে ঘুমের পরে যেমনটা হয় আর কি! আরেকটু ঘুমোলে ভালই হত, কিন্তু আর ঘুমোনো যাবে না। শিয়রে কাজ আছে। দু-চারটে টুকিটাকি কথা চলছিল, তেমন জরুরী কিছু না। আমরা অনেক ছাপা শব্দের মধ্যে ছিলাম বলে কথা বলছিলাম,বা চুপ করে থাকছিলাম। আমি কিছু না বললেও আলাদা করে খুব কিছু আসত যেত না আমি জানি। কারণ কথা তো! অনেক বলা হয়েছে। অনেক অনেক দিন ধরেই। সেই সব মৃত কথারা বইয়ের অবতারে শুয়ে আছে আমাদের চারপাশে।
    তবু কথা বলছিলাম। বলতে বলতেই একজন মহিলা এলেন। হালকা পায়ে অনেকটা ব্যালেরিনার মতন করে এলেন এবং চলে গেলেন। এই আসা যাওয়ার ফাঁকে রেখে গেলেন একটা চিরকূট। বা একটা হ্যান্ডবিল। লেখককে দিয়ে গেলেন। যাওয়ার ফাঁকে বলে গেলেন বা হাওয়ায় উড়িয়ে দিয়ে গেলেন বলাই ভাল,
    - আমরা এখনো বদলাই নি।
    উনি কি 'এখনো' তে জোর দিয়েছিলেন বেশী? বইমেলার শব্দ, ধরতে ধরতেই উড়ে যায় সামাজিক বাতাসে। অসামাজিক শব্দ সব। মনে হল তেমন যেন। তেমনই যেন। লেখক হাতের দিকে চাইলেন। যিনি দিয়েছেন তাঁর সঙ্গে একবার হালকা মুখোমুখি হয়েছে লেখকের। মুখের মধ্যে এই যাওয়া-আসার চিহ্নটুকু আমি দেখছিলাম। গলার কাছ থেকে একটা শিরা হালকা ছিলার মতন লাফিয়ে একবার চোখের ভাঁজটাকে ছুঁয়ে চলে গেল। ছোট্ট একটা বো চলার মতন ভায়োলিনের তারে। একবারই যাবে এমন, আর ফিরবে না। কন্ডাক্টরও ফিরতে বলবেন না। আলতো তুলির টানের মতন।
    ওতে একটা কষ্ট ফুটে ওঠে। ওতে একটা কারাগার থাকে। সেই কারাগারে বন্দী কিছু স্মৃতি। কিছু মানুষ। আর সুধী, মানুষ মানেই ঘটনা। ঘটনাবিহীন মানুষ হয় না। মানুষ শ্বাস নেবে এবং ঘটনা ঘটাবে। ঘটনা ঘটলে তা কোথাও না কোথাও কিছুকাল থাকবে। তারপরে তার থেকে নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচিত ঘটনাবলী বাদ দিলে বাকী সব একদিন বিস্মরণে। যতক্ষণ না তা হচ্ছে ততক্ষণ কারাগারে বন্দী ঘটনার স্মৃতি। এই জন্য সভ্যতা একটা কারাগার, সভ্যতা একটা নির্বাচিত ঘটনার মমিকৃত রূপ। মানে আমার তাই মনে হয়।
    লেখক তাঁর বই-এর ভূমিকায় জানিয়েছেন স্মৃতির কথা। বইটা নিয়েছিলাম নেব বলেই। নিতেই হত। আমার-ও কিছু কারাগার আছে। যেখানে আমি যুগপ্‌ৎ বন্দী ও প্রহরী। আসলে বই কিনিনি, একটা আয়না কেনার ইচ্ছে ছিল। সেই আয়নাটা কিনে এনে নেড়ে-চেড়ে দেখছিলাম।
    "আজিজুলদার কাছে শুনেছি, লেখাতেও পড়েছি ওঁরা হাতিয়ার করেছিলেন...। হ্যাঁ, ওঁদের নিজেদের শরীরজাত ঐ প্রায়কঠিন ব্রহ্মাস্ত্রের সামনে রাইফেলধারী রক্ষীরাও নিতান্তই অসহায় হয়ে গেছিলো।'
    প্রেসিডেন্সি জেল ব্রেক। আমার তখন পড়শোনার বয়স। তখন আমরা খুব উত্তেজিত। তখন দেওয়ালে দেওয়ালে লেখা হয় জনগণতন্ত্র আর নগণতন্ত্রের কথা। তখন ও দেওয়াল লেখা হয়। গ্রাফিতি। আহা, তখনো সভ্য হইনি গো! অল্প পয়সার রং-তুলিতেই চলতো। বিলবোর্ডের বিপুল খরচ যোগাতে নির্বাচনে বা নির্বাচনের বাইরে বড় বড় ধামা না ধরলেও কিছুটা চলতো। এক নেতা কিছুদিন ধরেই বিশ্ববিপ্লবের লীজ নিয়ে নিয়েছিলেন ৯৯৯ বছরের। তখন আমরা সিপিএম-কে দেখছি দোর্দন্ডপ্রতাপ। স্কুলে-কলেজে-অফিসে-বাজারে যেখানেই ডাকিবে সেখানেই সিপিএম। সিপিএম ইক্যুয়ালস টু লোকনাথ বাবা। অন্য কাউকে ডাকিবে না। ডাকিলে ঘোর বিপদ। ছাত্র নির্বাচন হবে যে কলেজে তার থেকে ১০ কিলোমিটার দূরত্বে থাকা ছাত্রের বাড়িতে দাদা পৌঁছে গিয়েছেন। হাতে নরম একটা যন্তর।
    -বাবাই ক্যারাম নামা। আজকে আর কোথাও যাস না। আয় ক্যারাম খেলি।
    কোমরের জামার কাছটা উঁচু হয়ে বাঁট দেখা যাচ্ছে। বাবাই-এর বাবা সি ই এস সি-র ইউনিয়নের বাম। মা গৃহবধু। বাবাই পাড়ায় ডিওয়াইএফআই। কলেজে ছাত্র পরিষদ। হ্যাঁ, তখনো তৃণমূল গজায়নি। বাবাই ক্লাসের নির্বাচনে এক প্রার্থী। বাবাই-এর যাওয়া হয় না। বদলায় লালু-ভুলু, কলেজের কাছের পাড়ায় দুটি এস এফ আই ছানাকে চড় মেরে ক্লাবে বসিয়ে রাখে। তার কিছু পড়ে আর সাহস হবে না ছাত্রপরিষদের। নব্য-যুব কং তখন সং হয়ে যাবে। অনেকেই ছিপিএম হয়ে যাবে এবং। এখন যেমন হচ্ছে আর কি! তখনো বাবাই-এর যাওয়া হত না, এখনো হচ্ছে না। আজিজুলদারা শুধু জেলের পর জেল ভাঙলেন কি তবে? তারপরেও আরেক কালো জেল? শক্তির কবিতা? গাড়ির ভিতরে গাড়ি, ইত্যাদি? কি জানি! প্রবীর-পাখি শহীদ হচ্ছে। সরোজ দত্ত স্মৃতিরক্ষাকমিটি গোলা গোলা জ্বলন্ত লেখা বার করছে নতুন করে বা চেষ্টায় মত্ত। সরোজ দত্তের বাড়িতে শহীদ শহীদ হাওয়া। কিন্তু শুনেছিলাম সে কালে দেওয়ালের চুন চটিয়ে, পান মশলা দিয়ে, ব্লেডের টুকরো দিয়ে লাল-সাদা হয়েছিল। তারপরে চার্জের পরে চার্জ। জেলের গেট-ফেট ফেলে রেখে সব হাওয়া। একে বলে বিপ্লবী শক্তি। শুনতে শুনতে গ্রামের পথে হাঁটছি। গ্রাম চিনতে হবে গো! ভারতের বিপ্লবে ভারতীয় পথ চাই। গ্রাম চেনো। ম্যাপ বানাও। টুকরো টুকরো করে ম্যাপ। সে সব ম্যাপ জুড়ে জুড়ে একদিন ভারতবর্ষ হবে। সেই ভারতবর্ষের গেরিলা জোন, মুক্তাঞ্চল সে সব গড়ার আগে চাই ম্যাপ। চাই সার্ভে। সঠিক ভাবে জানা, কারা থাকে, কি খায়, কি করে ইত্যাদি! না হলে কি হবে?
    না হলে কমরেড মাও জানতে চাইবেন যখন উত্তর জুটবে না। না জুটলে বই ধরিয়ে দেবেন মাও, 'সঠিক চিন্তা কোথা থেকে আসে'।
    সঠিক চিন্তা? গু ছুঁড়ে দেওয়া? আরে আরে কমলকুমার কমলকুমার গন্ধ? আজিজুল, আজিজুল, কমলকুমার পড়েছেন? পলিটিক্যাল করেক্টনেস রেখে পড়েছিলেন? ঐ যে,
    - তোমাদের কথা শুনলে আমার হাগা পায় বিপিন!
    পড়েছিলেন নাকি? এমনই ছিল না কথাটা? কে জানে! হাগা আর গু-এর বিপ্লবী ব্যবহার। ঐ যে ইউনেস্কোর নাটকটা আছে না, রাইনো? সেটা পড়ে দুই মেয়ে ভেবেছিল সংলাপগুলো একটা আরেকটার সঙ্গে কোন সম্পর্ক বানায়না যে, তার কারণ হল সবটাই হাস্যকর। এমন কিছু বলেছিলেন কুন্দেরা। আমার ঠিক মনে নেই। আমার কারাগারে আলো থাকে না সবসময়ে। অন্ধকারে আমি কিছু ইঁদুর দেখি, কিন্তু প্যাঁচা হব এমন সামর্থ্য আমার নেই। ফলে চিৎকার করে বলে উঠিনা,
    চম্‌ৎকার, ধরা যাক দু একটা ইঁদুর এবার!?!
    নইলে তো কবে জ্যোৎস্নায় ভূত দেখতাম। হেঁটে চলে যেতাম অশ্বত্থের কাছে। এতটা সিরিয়াস-ও হতে পারি নি। আবার গু ছুঁড়ে দিয়ে হ্যা হ্যা করে বন্দুকের সামনে হাসতে পারিনি। গু-এর ব্যবহার আমার কাছে শূয়োর খাওয়া ছাড়া, কফির ক্ষেতেই সীমাবদ্ধ। হ্যাঁ, কিছু শিশুকে আমি এখনো গু খেতে দেখি তার স্বাদ জেনে ব্রহ্মজ্ঞান পেতে।অআজিজুলরা যখন জেল ভাঙলেন তখন আমি সবে কারাগার বানাচ্ছিলাম। মিথ বানাচ্ছিলাম। বোমা চাই, গু দিয়ে কি মিথ জমে? এ কি হল কমরেড? দেবাশিষ ভট্টাচার্য্য কাগজ কাটে আর সাঁটে? বোমা-টোমা বানায় না? দেবাশিষদা-কে তো দেখেছি ছিয়াত্তরের পঁচিশে নভেম্বর বেলা ছটা আটত্রিশে বলে চোখে আঙুল দিয়ে শুরু করতে কখন ভারতের নির্বাচনক্ষেত্রে এবং রাজনীতিতে কি ঘটেছিল শুরু করতে? লোকটার মাথার মধ্যে শুধু সংখ্যা ঠাসা। নির্ভুল ও পরমাসুন্দরী নারীর মতন সংখ্যা। সংখ্যাসক্ত দেবাশিষ মার খেয়েছিলেন যখন তখন একটা পাল্টা মারের সিন যদি রাখতেন কমরেড তাহলে নকশালবাড়ি লালে লাল মিথ হত না কি?
    আপনি শুধু পড়াতে গিয়ে কেস খাচ্ছিলেন? সংগঠন বানাতে? তাও আবার নির্নাচনে যাবেন বলে? কোনো অ্যাকশন নেই? নকশালবাড়ি মানে তো শুধু কনস্টেবল হত্যা। আর ঐ জোতদারের সাদা ঘোড়ার গপ্প। সব বিপথগামী তরুণ যত। তা নয়? অন্য ভাবনাও ছিল না কি? কারাগারে এতও আছে? নকশালবাড়ির পর থেকে তো বাপ-মায়েরা সতর্ক হয়েছে খুব। ছেলে-মেয়ে যেন রাজনীতিতে না যায়। গেলেও সুবিধা বুঝলে শুধু টুক করে শাসকদল করে চলে আসবে, যাতে চাকরী ইত্যাদি বা নিদেনপক্ষে প্রোমোটারী বা মাল সাপ্লাইটা পাকা হয়। নইলে ছানা বিদেশ যাবে। নইলে ছানা হেব্বি কামাবে। আর লাইন দিয়ে বক্তিমে দেবে দেশের উব্‌গার কিসে ও কি সে! খামোখা গুলি খাবে কেন? ও সব ভদ্দরলোকেদের বাচ্চাদের জন্য নাকি? দ্যাকেন না মহাই, দেশের পুলিশ, সি আর পি, সৈন্য সবেতেই গুলি খাওয়ার পোস্টে সব মাগগীগন্ডার বাচ্চা? তারা মরলে খুব মানবাধিকার হবে, শোক হবে, কিন্তু সিস্টেম বদলাবে না। আমাদের ছেলে-মেয়েরা কিছুতেই কিছুতেই গুলি খা-বে-না। পাড়ার খোকনদা, মিনতিদি, সুবিমল কাকা, ভোলা, পটল সব কটার হাল দেখিনি কি? দেখিনি কি হাতে তুলে লাঙল বা কাস্তে? বালতিতে টানিনি কি জল? তাই বলে মল? জেলে মল ছুঁড়ে বিপ্লব। ছ্যা ছ্যা। কিচ্ছু রাখলেন না লেখক। সব মিথ ভেঙে দিলেন মাইরী? বিপ্লবের কিছু রোম্যান্টিসিজম ছিল। সব শেষ। আরে হলই বা ধাঙরদের নিয়ে পরাধীন বলে পরিচিত ভারতের কলকেতা শহরে ইউনিয়ন বানাতে গেছিল বাবুভেয়রা। থুড়ি দিদিমণি ও দাদামণি। তা বলে কি খাটা পায়খানা পরিস্কার করতো নাকি? উপর থেকে বাবুদের মতন বলতো, হামে সমঝনা হ্যায় ইত্যাদি প্রভৃতি। তাই না? তাই না?
    না? এমনটাই শুধু না? ঐ ছেলেটা বসেনা চেয়ারে? বসেনা শ্রেণীশত্রুর দেওয়া চেয়ারে? গণতান্ত্রিক আন্দোলনের কর্মীরা বসতে পারেন শুধু? বিপ্লবী না? কি জ্বালা? এ কোথায় আনলেন? আমি যে এখানে ওখানে দু-চার ছত্র দেশের কথা লিখে অক্ষয়কুমারের ভাণে ভাবি,
    - পল্লীগ্রামস্থ প্রজা ও কৃষকবর্গের দুরবস্থা বর্ণণ করিলাম অদ্যপি। সমাজ ভাবিবে এই বার!
    তাইলে? সমাজ যখন ভাবে তখন এমন করে ভাবে? প্রত্যাখ্যান করেছি যখন তখন সবই ছেড়েছি তোমার। চেয়ারে বসিয়ে ইক্যুয়াল ভাব করে কেলাবে, তা চলবে না। তুমি লাঠি আর গুলি বোঝো, সেটাই চালাও। আমি বুঝে গেছি। আমাকে ন্যাকামো দেখিও না। Equalitybeforethelaw তে আমি মুতে দিই। সাদা হাতির কালা মাহুত তুমি না?
    শব্দের স্রোতে ছিলাম। শব্দের স্রোত পেরিয়ে যাই নি এখনো। ভাবছি তাঁর কথা ঐ যে যিনি বললেন,
    -আমরা এখনো বদলাই নি।
    কি যেন বলে? Changeistheonlyconstant.
    তাহলে? মৃত নাকি? ডগেড? রিজিড? অন্য কোনো কারাগারে বন্দী? যেখান থেকে বেরোতে পারছেন না? আধা-সামন্ততন্ত্র, আধা-বুর্জোয়া? আধা জীবন পেরোলো। এখনো কিছুই বুঝলাম না লেখক। আপনি মিথ ভেঙে দিলেন। আপনি মিথ গড়েননি অথবা। কারাগার, বধ্যভূমি ও স্মৃতিকথকতা গড়েছেন। আপনি হাঁটতে হাঁটতে যেমন কারাগারে গেছিলেন, তেমনই হাঁটতে হাঁটতে চলছেন। কোথায়? ১৬ই এপ্রিল সাতাত্তর পেরিয়ে গ্যাছে। এবারে?

    [কল্লোলদার বই-এর এ সমালোচনা না। এ শুধু কিছু কথোপকথন। স্রেফ এমনি এমনি।]
  • suddhasatya | 117.194.***.*** | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২২:৫৮532086
  • জানি না সিকি। আমিও তাই দেখছি।
  • aranya | 68.38.***.*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৩:০৯532087
  • শুদ্ধসত্ব, অসাধারণ।
  • siki | 122.177.***.*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২৩:৪৫532088
  • বড় ভালো লাগল। বড় সুন্দর।
  • ranjan roy | 59.16.***.*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২৩:৪৯532089
  • কল্লোলের বই ও শুদ্ধসঙ্কেÄর ভাবনা মন দিয়ে পড়লাম। অন্য মাত্রা পেলাম, এটাই এবারের প্রাপ্তি।
  • Lama | 117.194.***.*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২৩:৫০532090
  • সুন্দর!
  • suddhasatya | 117.194.***.*** | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০০:০৩532091
  • একটা ভুল হয়েছিল লেখাটায়। বেশ বড়। আয়োনেস্কু রাইনো বা গন্ডারের লেখক। আমি ভুল লিখে ফেলেছি। ক্ষমাপ্রার্থী।

    সকলকে ধন্যবাদ। :)
  • kallol | 119.226.***.*** | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১১:০৩532092
  • শুদ্ধসত্ব।
    আপনাকে অনেক অনেক আবেগ আর ভালোবাসা। এমন করে আমার এইসব ছেঁড়া-খোঁড়া লেখাদের ভিতর কেউ ডুব দিয়েছে জেনে একটা নীল অনুভব আমায় ঢেকে দিয়েছে। নিজেকে অন্যের চোখে এইভাবে দেখতে পাওয়া আমার পরম সৌভাগ্য।
    ভালো থাকবেন। আনন্দে থাকবেন।
  • kd | 59.93.***.*** | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৩:০০532074
  • কল্লোল মমতার প্রেসারে অনুভবও নীল করে ফেলেচে। :)
  • kallol | 119.226.***.*** | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৬:১২532075
  • :-))
  • suddhasatya | 117.194.***.*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০০:৪৫532076
  • কল্লোলদা, এখনো আছি স্রোতের ভিতরে। :)
  • ranjan roy | 115.118.***.*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০১:১৫532077
  • সবাইকে বলছি:
    টই যখন হাইজ্যাকিত হয়েই গেছে তখন ঠাকুরকে ছেড়ে সংক্ষেপে ভারতীয় ষড়দর্শন ও তিনটে হেরেটিক দর্শন নিয়ে কিছু সংক্ষিপ্ত আলুচোনা করলে হয় না?
    আসলে আমার পাশ্চাত্ত্য থেকে প্রাচ্য দর্শনে আগ্রহ বেশি।কিন্তু আমার সীমিত পড়াশুনো তিরিশ বছরের পুরনো। আর্থিক এবং প্রপার পিয়ারগ্রুপ না পাওয়ার কারণে অ্যাদ্দিন কিছুই হয় নি।
    ভাবছি, আবার ঝালিয়ে নেবো। নতুন ব্যাখ্যা পেলে আগ্রহের সঙ্গে পড়বো।
    এখানে যে কেউ আমাকে শুধরে দিলে আমি সমৃদ্ধ হব। কোন মনান্তর হবে না। আজ ঘুমোতে যাচ্ছি, কাল সকালে একটু ন্যায়-বৈশেষিক নিয়ে যৎসামান্য আলোচনা শুরু করতে চাই। তারপর সাংখ্য যোগ ও পূর্বমীমাংসা। বৌদ্ধ ও বেদান্ত ইত্যাদি।
    এখানে আমার জানা অন্তত: দুজন আছেন যাঁরা এ বিষয়ে অনেক বেশি অধিকারী, বিস্তৃত ও গভীর অধ্যয়নের জোরে।
    তাঁরা হলেন শিবাংশু দে ও দীপ্তেন। জানি না ওঁদের টেনে আনতে পারবো কিনা, আসলে ভালো লাগবে।
    আর অজানা অনেকে এখাঅনে আছেন যাঁরা এই অধমের চেয়ে অনেক বেশি দখল রাখেন। চাইবো সবার সহযোগে এইটই সমৃদ্ধ হোক, যেমনটি হয়েছিল FDI নিয়ে আলোচনায়।
  • ranjan roy | 115.118.***.*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০১:১৬532078
  • সরি! এটা অন্য টইয়ে যাবে।
  • aka | 168.26.***.*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০১:১৭532079
  • রঞ্জনদাকে একটা নির্মোহ ব দিলাম।
  • Tim | 198.82.***.*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০১:৫৬532080
  • এই অন্যরকম কথোপকথন ভালো লাগলো খুব।
  • kallol | 119.226.***.*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১৬:২৯532081
  • শুদ্ধ।
    আজ আর ততো জোর দিয়ে বলতে পারি না স্রোতের ভিতরে আছি কি না।
    মাঝে মাঝে প্রতিবাদে সামিল হওয়া কি স্রোতের ভিতরে থাকা? হয়তো, হয়তো নয়।
    একসময় গান গাইতাম প্রতিবাদের শুধুই প্রতিবাদের। এখন তো কতো রকমের গান ভিড় করে আসে। খুব বেশী করে আসে মৃত্যুচেতনার গান, কোন এক অতীন্দ্রিয়কে ভালোবাসার গান, নিজেকে হারিয়ে ফেলার গান, বন্ধুত্বের গান। এই সব নিয়ে পথ চলছি আপাতত:।
    আমার মেইল dasgupta_kallol@yahoo.co.in। সময় সুযোগ পেলে মেইল করবেন।
  • suddhasatya | 117.194.***.*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২২:৩১532082
  • কল্লোলদা, মেল করবো আপনাকে। অবশ্যই করবো।
    তবে আমি লিখতে চেয়েছিলাম যে স্রোতের কথা সেই স্রোত জীবনের। আমি আমার সামান্য বুদ্ধিতে যা বুঝেছি তা হল স্রোত একটাই, সেটা জীবনের। আপনি আছেন তাতে! প্রতিবাদ, প্রেম, মৃত্যু, জন্ম সব মিলিয়েই স্রোত। একটা মানুষের একেকটা বয়সে একেকটা ছবি থাকে। আমরা সেই সব ছবিগুলোকে সাধারণত শুধু মানুষটার নাম দিয়ে চিহ্নিত করি। কিন্তু আমার মনে হয় আসলে সেই সব ছবি এক মানুষের নয়। যেমন একটা নদীতে নির্দিষ্ট জল একবারই আসে, ঠিক তেমনই। শুধু একটা জামা পড়লে তো কল্লোলদা জামাটা একদিন ছিঁড়েই যবে, তাই না? আপনিও একটা জামা পড়ে নেই, আমিও। কেউই কোনোদিনই একটা জামা পড়েনি। কিন্তু আমাদের কিছু কৌম অভ্যাস তৈরী হয়েই আছে। আমরা একটা জামাতেই একজনকে দেখতে চাই। হা হা হা হা...

    কিন্তু সে দোষ তো সে মানুষের না, সে হল আমাদের অন্ধের হস্তিদর্শন। আমি আপনাকে যখন দেখছি, যখন দেখবো তখন ঐ স্রোতের অঙ্গ হিসেবেই দেখবো। প্রত্যেকটা কল্লোলদাকে আলাদা আলাদা করেই দেখবো। তারপরে কোনোদিন সব অংশগুলোকে জুড়ে ছোঁওয়ার চেষ্টা করবো সমগ্র কল্লোল দাশগুপ্তকে। সেই মানুষটা যেমন তেমন করেই চেষ্টা করবো। ব্যার্থ হতে পারি, কিন্তু চেষ্টাটা স্‌ৎ থাকবে এটুকু বলতে পারি। হা হা হা হা...
    ভাল থাকবেন।
  • Nina | 12.149.***.*** | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২২:৪৬532083
  • একটা ভীষণ ভাললাগা জানিয়ে গেলাম!
  • nemo | 14.99.***.*** | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ২১:০৫532085
  • ঝড়ের বেগে পড়ে ফেললাম বইটি । জানিনা নিছক রমান্টিসজম কি না !!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন