এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • Mirrors

    saikat
    বইপত্তর | ১৮ নভেম্বর ২০১১ | ১৬৪২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • saikat | 202.54.***.*** | ১৮ নভেম্বর ২০১১ ১৬:৩৩503046
  • এটা একটা বই।

    লেখক - এদুয়ার্ডো গ্যালিয়ানো। উরুগুয়ের নভেলিস্ট, বামপন্থী। লেখার প্রথাগত জঁরগুলোকে ভেঙে, গল্প, সাংবাদিকতা, ইতিহাস আর রাজনৈতিক বিশ্লেষণ মিশিয়ে লেখা একাধিক বইয়ের লেখক। ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন ছিল। পরে ফুটবল নিয়েও বই লিখেছেন। ইউরোপ আর আমেরিকার কাজকর্মের ঘোরতর ক্রিটিক। ১৯৭১ সালে প্রকাশিত হয় বিখ্যাত বই Open Veins of Latin America: Five Centuries of the Pillage of a Continent যাতে ছিল সেই কলোনীকরণ প্রক্রিয়ার শুরু থেকে সমসাময়িক সময় পর্যন্ত ল্যাতিন আমেরিকায় চালিয়ে যাওয়া ইউরোপ আর আমেরিকার শোষণের ইতিহাস। কয়েক বছর আগে, হুগো শ্যাভেজ মিচকেমি করে, পড়ার জন্য বারাক ওবামাকে এই বইটি উপহার দেন !
  • saikat | 202.54.***.*** | ১৮ নভেম্বর ২০১১ ১৭:৩৬503057
  • তো এই বইটা Mirrors - Stories of almost everyone, ৪০০ পাতায় লেখায় মানবসভ্যতার ইতিহাস। সেই প্রাগৈতিহাসিক সময় থেকে একবিংশ শতাব্দী অবধি। কিন্তু ইতিহাস লেখা হয়েছে বিজিতের দিক থেকে, ক্ষমতার সামনে নুয়ে পড়া মানুষের দিক থেকে। মেয়েদের দিক থেকে, দাসেদের দিক থেকে, কলোনীর মানুষদের দিক থেকে, কালো মানুষদের দিক থেকে, সমকামীদের দিক থেকে, লেখক-শিল্পীদের দিক থেকে, সময়ের আগে জন্মে যাওয়া মানুষের দিক থেকে। সুতরাং ইতিহাস না বলে, ইতিহাসের গ্র্যান্ড ন্যারেটিভ না বলে, বলা যায় বইটা "রাশি রাশি দু:খের খনি" দেখায় আর কখনও "শুশ্রষার মত শত জলঝর্ণার ধ্বনি" শোনায়। আর ফর্মের দিক থেকে বইটা অন্যরকম, পুরো বইটা ভরে আছে প্রায় ৬০০ মত vignettes বা ডায়েরী এϾট্রর মত লেখা দিয়ে, যার সবচেয়ে ছোটটা হয়ত লাইন চারেক আর সবচেয়ে বড়টা পাতাখানেকের বেশী হবে না। ইতিহাসের ন্যারেটিভের মাঝে মাঝে ছোট ছোট গল্প গুঁজে দেওয়া যেন।
  • I | 14.96.***.*** | ১৮ নভেম্বর ২০১১ ১৭:৫৯503058
  • এটুকু শুনেই পড়তে ইচ্ছে করছে।
  • saikat | 202.54.***.*** | ১৮ নভেম্বর ২০১১ ১৮:৫২503059
  • বইটাতে একটা গল্প পড়লাম। কিংবা তথ্য।

    হেরমান গোয়েরিং-এর নাম তো জানাই, নাৎসী জার্মানীর বিমানবাহিনীর প্রধাণ, হলোকাস্টের সাথে যুক্ত। এর বাবা ছিলেন হাইনরিশ গোয়েরিং, উনিশ শতকের শেষ দিকে দক্ষিন পশ্চিম আফ্রিকা (পরবর্তীকালে নামিবিয়া) যা তখন জার্মান কলোনী, তার গভর্নর। ১৯০৪ সালে ঐ অঞ্চলের হেরেরো জনজাতির মানুষ বিদ্রোহ করে। তাদের বলা হয়, নামিবিয়াতে দেখতে পাওয়া যে কোন হেরোরোকে হত্যা করা হবে। প্রতি চারজন হেরোরোর মধ্যে তিন জন মারা যায়। যারা বেঁচে যায় তাদের পাঠানো হয় হাইনরিশ গোয়েরিং দ্বারা নির্মিত কনসে®¾ট্রশন ক্যাম্পে। এই সময় থেকেই জার্মান ভাষায় অন্তর্ভুক্তি ঘটে concentration camp [Konzentrationslager] শব্দটির। জার্মানরা আবার এই ক্যাম্পের ধারণাটি পেয়েছিল আফ্রিকাতেই ইংরেজদের দ্বারা প্রচলিত এইরকম ক্যাম্পের থেকে, হাইনরিশ গোয়েরিং যাকে আরও "উন্নত" করেন।

    ১৯৩৩ সালে হিটলার ক্ষমতায় আসার পরে, হিমলারের সাথে জার্মানীতে প্রথম দিকের কনসে®¾ট্রশন ক্যাম্পের পত্তন করেন হাইনরিশ গোয়েরিং-এর পুত্র হেরমান গোয়েরিং।

    আরও "উন্নত" সেই সব ক্যাম্প !
  • pi | 128.23.***.*** | ১৯ নভেম্বর ২০১১ ০২:০০503060
  • ইংরেজদের ক্যাম্পটা আফ্রিকার কোথায় ?

    খুব ইন্টারেস্টিং লাগছে।
  • saikat | 116.203.***.*** | ১৯ নভেম্বর ২০১১ ২০:২২503061
  • COLOSSUS OF RHODES

    জীবনে তাঁর উদ্দেশ্য ছিল খুব সামান্য - যদি পারতাম তাহলে অন্য গ্রহও দখল করতাম।

    Cecil Rhodes - আফ্রিকার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি, হীরের খনির রাজা, বলেছিলেন - We must obtain new lands where to settle the excess of population, where to find new markets for the production of our factories and mines. Empire, I have always said is a matter of the stomach। এই দেশপ্রেমিক ধনকুবের ইংল্যান্ডের ম্যাপ প্রায় পাঁচ গুণ বাড়িয়েছিলেন - কালো মানুষদের থেকে চুরি ক'রে আর অন্য সাদা চামড়ার মানুষ, Boer-দের, তাদের জায়গা-জমি থেকে উৎখাত করে। এই কাজের জন্য তিনি কনসে®¾ট্রশন ক্যাম্পের একটা প্রাথমিক রূপ খাড়া করেন (যা ব্যবহৃত হয় দ্বিতীয় Boer যুদ্ধের সময়ে) এবং পরবর্তীকালে যাকে জার্মানরা নামিবিয়াতে আরও নিঁখুত করে।

    এই ইংরেজ কনকিস্তাদোরের প্রতি শ্রদ্ধাবশত: আফ্রিকার দুটো দেশের নাম রাখা হয়েছিল Rhodesia
  • saikat | 116.203.***.*** | ১৯ নভেম্বর ২০১১ ২১:২৬503062
  • বয় স্কাউটসের জনক

    শার্লক হোমসের জন্য নয়, সাম্রাজ্যবাদী কাজকর্মের প্রোপাগান্ডা রচনা করার জন্য আর্থার কোনান ডয়েল নাইটহুডে ভূষিত হয়েছিলেন।
    রবার্ট বেডেন-পাওয়েল, বয় স্কাউটসের প্রতিষ্ঠাতা, কোনান ডয়েলের কাছে একজন নায়ক বিশেষ ছিলেন। তাদের আলাপ হয় আফ্রিকাতে স্যাভেজদের সাথে লড়াইয়ের সময়ে।
    বেডেন পাওয়েল সম্বন্ধে স্যার আর্থার লেখেন - There was always something of the sportsman in his keen appriciation of war".
    বেডেন পাওয়াল অত্যন্ত সফলতার পরিচয় দেন সিংহ, শূয়োর, হরিণ, জুলু, অশান্তি আর ণ্ডেবেলেসদের শিকার করার খেলায়।
    ণ্ডেবেলেসদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকায় তিনি একটি যুদ্ধে যোগ দেন।
    দু'শো নয় জন কালো মানুষ আর একজন ইংরেজ মারা যায়।
    স্যুভেনির হিসেবে কর্নেল সংগ্রহ করেন একটি পশুশৃঙ্গ যেটি শত্রুরা ব্যবহার করত বিপদ সংকেতের আদানপ্রদানের জন্য। এবং কুডু অ্যান্টিলোপ থেকে পাওয়া পেঁচানো আকৃতির ঐ পশুশৃঙ্গটি পরবর্তীতে বয় স্কাউট রিচুয়ালের অঙ্গীভূত হয় প্রকৃতি প্রেমিক বালকদের প্রতীক হিসেবে।

  • saikat | 116.203.***.*** | ২০ নভেম্বর ২০১১ ০১:০১503063
  • Father of the Bomb

    প্রথম বোমাটি পরীক্ষা করা হয় নিউ মেক্সিকোর মরুভূমিতে। আকাশ অগ্নিবর্ষণ করে আর রবার্ট ওপেনহাইমার, যিনি পরীক্ষাগুলির দায়িত্বে ছিলেন, গর্বিত বোধ করেন কাজ ভালভাবে উৎরে যাওয়ার জন্য।

    হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে বিস্ফোরণের তিন মাস পরে, ওপেনহাইমার প্রেসিডেন্ট হ্যারি ট্রুম্যানকে বলেন:
    "আমার হাতে রক্ত লেগে আছে বলে মনে হয়"

    এবং প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যান সেক্রেটারী অফ স্টেট ডীন অ্যাচেসনকে বলেন:
    "শুয়োরের বাচ্চাটাকে আমার অফিসে আর কোনদিন দেখতে চাই না"।
  • saikat | 116.203.***.*** | ২০ নভেম্বর ২০১১ ২১:৩১503064
  • The Inquisition in Stalin's Time

    আইজাক ব্যাবেল ছিলেন একজন বহিষ্কৃত লেখক। তিনি বলেন:
    "একটা নতুন জঁর আমি আবিষ্কার করেছি: চুপ করে থাকা"।
    তাকে জেলবন্দী করা হয় ১৯৩৯ সালে।
    বিচার চলে কুড়ি মিনিট।
    তিনি স্বীকারোক্তি করেন যে তাঁর লেখা বইতে পাতি বুর্জোয়া মনোবৃত্তি বৈপ্লবিক বাস্তবতার বিকৃতি ঘটিয়েছে।
    তিনি স্বীকারোক্তি করেন যে সোভিয়েট রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপরাধ করেছেন।
    তিনি স্বীকারোক্তি করেন যে বিদেশী চরেদের সাথে কথা বলেছেন।
    তিনি স্বীকারোক্তি করেন যে বিদেশভ্রমণের সময়ে ট্রটস্কাইটদের সাথে তাঁর যোগাযোগ হয়েছে।
    তিনি স্বীকারোক্তি করেন যে কমরেড স্টালিনকে হত্যার ষড়যন্ত্রর কথা জেনেও পুলিশের কাছে জাননি।
    তিনি স্বীকারোক্তি করেন যে পিতৃভূমির শত্রুদের প্রতি আকর্ষণ বোধ করতেন।
    তিনি স্বীকারোক্তি করেন যে তাঁর করা সকল স্বীকারোক্তিই মিথ্যে।
    তারা তাঁকে সেই রাত্রেই গুলি করে হত্যা করে।
    পনেরো বছর পর তাঁর স্ত্রী এই ঘটনা জানতে পারেন।

    ===============================

    আইজ্যাক ব্যাবেল। বিংশ শতকের অন্যতম সেরা গল্পকার কি? Red Cavalry and other stories বইটা পড়ে সেরকমই মনে হয়েছিল। বিপ্লব পূর্ববর্তী আর বিপ্লব পরবর্তী সময় নিয়ে কী যে সব সূক্ষ্ম, প্রশ্নসংকুল ও ইঙ্গিতময় সেসব গল্প। একটা আলাদা টই বা লেখার ইচ্ছে ছিল ঐসব গল্পগুলোকে নিয়ে। সে আর হয়ে ওঠেনি, হয়ত নিজের অক্ষমতাকে সন্দেহ করেই। সাহিত্য যারা ভালবাসেন, একজন লেখককে "আবিষ্কার" করে যারা কেঁপে ওঠেন, তারা আইজ্যাক ব্যাবেলের লেখা জোগাড় করে পড়ে নেবেন।
  • saikat | 116.203.***.*** | ২০ নভেম্বর ২০১১ ২৩:৫২503047
  • আয়েষা

    যীশুর মৃত্যুর ছয় শতাব্দী পরে মহম্মদ মারা যান।
    ইসলাম ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা, আল্লার অনুমতিক্রমে যাঁর বারো জন স্ত্রী ছিল, নয়জন বিধবা রেখে যান। আল্লার নিষেধ অনুযায়ী তাদের কেউই পুনর্বিবাহ করেননি।
    আয়েষা, সর্বকনিষ্ঠা, ছিলেন সবচেয়ে প্রিয়।
    কিছু সময় পরে, খলিফা ইমাম অলির বিরুদ্ধে তিনি এক সশস্ত্র বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন।
    আমাদের সময়ে অনেক মসজিদেই মেয়েদের প্রবেশ নিষেধ, কিন্তু সেই সময়ে মসজিদগুলিই ছিল সেই স্থান যেখানে আয়েষার অগ্নিময় বক্তৃতা উজ্জীবিত করে তুলত মানুষকে। উটের পিঠে চেপে তিনি আক্রমণ করেন বসরা শহর। দীর্ঘ সেই যুদ্ধে হতাহতর সংখ্যা পনেরো হাজার।
    সেই রক্তক্ষয় থেকেই শিয়া ও সুন্নীদের মধ্যে শত্রুতার সূচনা , যা আজও রয়ে গেছে। মেয়েরা শোয়ার ঘর এবং রান্নাঘর থেকে বেরোলেই যে যাবতীয় ব্যাপারে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে সেই সংক্রান্ত রায় দেওয়ার জন্য কিছু ধর্মগুরু ঐ ঘটনাটিকে অকাট্য প্রমাণ হিসেবে হাজির করেন।

  • aranya | 144.16.***.*** | ২১ নভেম্বর ২০১১ ০৬:০২503048
  • খুব ভাল লাগছে পড়তে।
  • saikat | 202.54.***.*** | ২১ নভেম্বর ২০১১ ১৫:২৫503049
  • সাফো

    সাফোর বিষয়ে খুব বেশী জানা যায় না।
    বলা হয় তিনি ছাব্বিশ শো বছর আগে লেসবস দ্বীপে জন্মেছিলেন, যার থেকে লেসবিয়ান শব্দের উৎপত্তি।
    বলা হয় তিনি বিবাহিত ছিলেন, একটি ছেলে ছিল, এবং পাহাড় থেকে ঝাঁপ মেরেছিলেন কারণ এক নাবিক তাঁকে পাত্তা দেয়নি। আর বলা হয় তিনি ছিলেন খর্বকায়া ও কুরূপা।
    কে জানে? আমরা পুরুষরা তো সেই মেয়েকে পছন্দ করিনা যে আমাদের গুণে মুগ্‌ধ না হয়ে অন্য নারীকে কামনা করে। ১৭০৩ সালে, ক্যাথলিক চার্চ, পুরুষশক্তির কেন্দ্র, সাফোর যাবতীয় বই পুড়িয়ে ফেলার আদেশ দেয়।
    অল্প কিছু কবিতা টিকে গেছে।

  • siki | 123.242.***.*** | ২১ নভেম্বর ২০১১ ১৫:৫৭503050
  • সইকত,

    বইটার একটু ডিটেলস পাওয়া যাবে? পাবলিকেশন, আইএসবিএন, দাম?
  • saikat | 202.54.***.*** | ২১ নভেম্বর ২০১১ ১৬:০১503051
  • সিকি,

    http://tinyurl.com/7tgbwje

    flipkart-এর লিঙ্ক। আমি এখান থেকেই কিনেছি। বেশী দাম নয়।

  • saikat | 202.54.***.*** | ২২ নভেম্বর ২০১১ ১০:৪৯503052
  • কামনার থেকে জন্ম

    প্র্রাণ ছিল একা, কোন নাম নেই, কোন স্মৃতি নেই। হাত ছিল, স্পর্শ করার কেউ ছিল না। জিভ ছিল কিন্তু কথা বলার কেউ ছিল না। প্রাণ ছিল এক এবং এক কিছু নয়।
    তারপর কামনা তার ধনুক তুলে নিল। কামনার শর প্রাণকে মাঝখান থেকে টুকরো করল এবং প্রাণ এক থেকে দুই হল।
    যখন তারা একে অপরকে দেখল, তারা হেসে উঠল। যখন তারা একে অপরকে স্পর্শ করল, তারা আবার হেসে উঠল।

    * বইটা এই গল্পটা দিয়ে শুরু।

  • siki | 123.242.***.*** | ২২ নভেম্বর ২০১১ ১০:৫৬503053
  • বাহ্‌। !
  • saikat | 202.54.***.*** | ২২ নভেম্বর ২০১১ ১১:০০503054
  • মাটির থেকে জন্ম

    প্রাচীন সুমেরীয়রা বিশ্বাস করত যে সমগ্র পৃথিবী হল দুই নদী ও দুই স্বর্গের মধ্যে বিস্তৃত জমি।
    ওপরের স্বর্গে থাকে দেবতারা যারা শাসন করে।
    নীচের স্বর্গে থাকে দেবতারা যারা কাজ করে।
    সেইভাবেই চলছিল যতদিন না নীচের দেবতারা সবসময় কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে কাজ বন্ধ করে, ইতিহাসের প্রথম হরতাল।
    আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল।
    না খেতে পেয়ে মরা থেকে বাঁচার জন্য ওপরের দেবতারা মাটি থেকে তৈরী করল নারী ও পুরুষ এবং তাদের কাজে জুতে দিল।
    এইসব নারী ও পুরুষ জন্মেছিল টাইগ্রীস ও ইউফ্রেটিস নদীর তীরে।
    ঐ মাটি থেকেই বানানো হয়েছিল সেই সব বই যেখানে তাদের গল্প বলা আছে।
    বইগুলো বলে যে মারা যাওয়া মানে "মাটিতেই ফিরে যাওয়া"।

  • kc | 178.6.***.*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ০১:৫৪503056
  • মাছ আর নদী।

    প্রাচীন অরন্যপ্রবাদ বলে, কাউকে মাছ দিয়ে সাহায্য করার চেয়ে, তাকে মাছ ধরতে শেখানো ঢের ভালো।

    আমাজনের তীরে থাকেন এক পাদ্রী, নাম তাঁর পেড্রো কাসাল্ডালিগা। তো তিনি বলেন এ তো খুব ভাল কথা ভাই, কিন্তু ধর যদি কেউ নদীটাকেই কিনে নেয়? তারপর মাছ ধরাটাই বেআইনি ঘোষণা করে? কিংবা ধর, যদি কেউ নদীতে এমন রাসায়নিক মিশিয়ে দেয়? যাতে করে মাছগুলোই মরে যায়? অন্যভাবে বলতে গেলে এমন কিছু ঘটে যেটা এখন প্রতিনিয়ত হয়েই চলেছে?

    তখন?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন