আপনাদের এই উদ্যোগ দেখে ভালো লাগলো। ভাষার বর্ণমালা নিয়ে টানাটানি না করায় ভালো। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো মনের ভাব প্রকাশ। রোমান বর্ণমালা হলেই কি আর নাগরি হলেই কি।বাংলা অক্ষরে পড়া সুবিধাজনক কারণ আমরা ছোটবেলা থেকে বাংলা লিপিতে অভ্যস্ত। যদি সবক্ষেত্রে রোমান লিপিতে অভস্ত হতাম তাহলে সেটি দেখতেই আমাদের ভাল লাগত। রোমান লিপির দু একটি বর্ণের সাথে নির্দেশক যোগ করলেই বাংলার জন্য ভালোভাবে ব্যবহার করা যাবে। বর্তমান দুনিয়ার হাজার হাজার ভাষা কোনোদিনই টিকে থাকবে না।আগে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ ছিল না। তাই এতো ভাষার সৃষ্টি হয়েছে।পরিবর্তন পৃথিবীর ধর্ম। আমরা শিখে গেছি বলে এখন হয়ত আর কঠিন লাগে না ।কিন্তু যদি দুইদল শিশুর উপরে পরীক্ষা চালান দেখবেন রোমান হরফে শিশুরা আগেই লিখতে ও পড়তে শিখেছে। একথা শুনে অনেক বাংলা প্রেমী দুঃখ পাবে যে, ভারত ও বাংলাদেশের নতুন প্রজন্মের অনেকেই বাংলায় ঠিকমতো পড়তে পারেনা। তারা রোমান হরফেই লিখতে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করে। সবসময় সহজ ও ব্যবহারোপযোগী বস্তুই টিকে থাকে। আমরা জানি 1234567890 এগুলো ইংরেজি বা রোমান সংখ্যা নয় । আরব থেকে ইউরোপে গিয়েছে এগুলো। ইউরোপীয়রা যদি রক্ষণশীল হতো তাহলে রোমান সংখ্যায় 10000 পর্যন্ত গুনেই সন্তুষ্ট থাকতে হতো !! বিবর্তনের পথ বেয়ে সব ভাষা রূপ নেবে এক ভাষায়। যা ব্যবহারোপযোগী , সহজসাধ্য, সুন্দর তাই টিকে থাকবে। আমাদের অজান্তেই আমরা সাথে নিয়ে চলছি যোগ্যকে। আর পুরনো ও অপ্রয়োজনীয়কে নিক্ষেপ করছি আস্তাকুঁড়ে। প্রকৃতির সেই অমোঘ নিয়ম, '' টিকে থাকে কেবল যোগ্যতমরাই "।