এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বেসরকারিকরণ

    pi
    অন্যান্য | ০৫ আগস্ট ২০১১ | ৭৯১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aka | 24.42.***.*** | ০৫ আগস্ট ২০১১ ০৮:০৭482098
  • সরকার বে হাত হলে বেসরকারীকরণ হয়।
  • pi | 128.23.***.*** | ০৫ আগস্ট ২০১১ ০৮:০৯482109
  • ব্যাঙ্ক ধর্মঘট আজ। একটা বড় ইস্যু বেসরকারিকরণ। সেদিন স্কুল-শিক্ষার বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধেও কথা হচ্ছিল।
    এ নিয়ে আরো বিস্তারিত হোক না।
  • pi | 128.23.***.*** | ০৫ আগস্ট ২০১১ ০৮:৩৮482120
  • ব্যাঙ্ক ধর্মঘটের ইস্যু নিয়ে রঞ্জনদা, রূপঙ্করদারা ভালো বলতে পারবেন। লিখবেনও আশা করি।

    এখানে SBI এর একজনের বক্তব্য পড়ছিলাম।

    There is a deliberate effort to reduce the numbers of workers covered by labour laws. In this context, it is good that the officers’ association has started demanding the right to legal limits on working hours per day, currently enjoyed only by the clerical and less skilled staff

    এই কর্মীদের অপ্রতুলতা আর সেজন্য বহাল থাকা কর্মীদের উপর প্রচণ্ড মাত্রায় চাপ, এটা তো প্রচণ্ড বাস্তব। কিন্তু এটাই কি হতে থাকবে ?

    তারপর প্রাইভেট আর সরকারি ব্যাঙ্কের প্রফিটেবিলিটির তারতম্য নিয়ে এই কারণগুলো দর্শানো হচ্ছে।

    SBI is the lead bank for the social cause of expanding access to banking services to the villages and remote parts of our country. It used to play the leading role in fulfilling and over-fulfilling the targets set for lending to peasants and rural artisans in the past. Today the private banks show allegedly better results, if performance is measured only by the rate of profit. They are only present in the major cities and some smaller towns. A single loan amounting to crores of rupees can be processed with much less human effort per rupee than the same amount in rural branches where each loan will only be a few thousand rupees. Even within what is counted as rural, the average size of loans vary a lot, like between a village near Greater Noida and one in central or east UP. SBI has the maximum number of branches in remote areas. While priority sector lending for agriculture has come down, the Central Government is promoting new concepts such as “community-wise credit” and “minority focused credit”. If SBI is to take the lead for such social banking, then how can performance be measured only by profitability? Obviously the private banks that operate only in cities will achieve higher total lending business per worker employed, as compared to public sector banks having extensive rural branches.


    বেসরকারিকরণ হতে থাকে এই 'সোশ্যাল ব্যাংকিং' এর কী হবে ?

    http://www.cgpi.org/campaigns/1459-confidentiality-act-legac
  • rupankar sarkar | 117.194.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০১১ ১৬:০৩482122
  • পাই, সত্তরের দশকের মাঝামাঝি, যতদূর মনে পড়ে, ১৯৭৬ বোধ হয়, একটা অভ্যন্তরীন গোলক পেলাম (internalcircular) তাতে লেখা - আই,আর,ডি,পি - অর্থাৎ ইন্টিগ্রেটেড রুরাল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট নামে আমাদের যে প্রকল্পটি ছিল, সেটি বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে, কেননা সরকার বাহাদুর এই একই নামে একটি প্রকল্প চালু করেছেন। দেশটা আমেরিকা হলে আমাদের ব্যাঙ্ক বোধকরি সরকারবাহাদুরের নামে মামলা দায়ের করত কপিরাইট ইনফ্রিঞ্জমেন্টের জন্য, কিন্তু দেশটা ভারত। আমাদের প্রকল্পটির নাম বদলে রাখা হল -'গ্রামোদয় প্রজ্রক্ট' এবং অচিরেই সেটির পঞ্চত্ব প্রাপ্তি হল। সে সময় কিন্তু সত্যি গ্রমে গিয়ে কাজ করা যেত। ব্যাঙ্কের স্বাধীনতা ছিল 'গরীব' বাছবার। ঝাঁ চকচকে দোতলা বাড়ির মালিক, যাঁর গ্যারেজে ইন্ডিকা, বারান্দায় এরিকা পাম আর বিছানায় স্পিত্‌জ তিনি 'বিপিএল' চিহ্নিত হতেননা এবং পঞ্চায়েত প্রধানরা নিজেদের ছোট মুখ্যমন্ত্রী ভাবতেননা। কিছুদিনের মধ্যেই দৃশ্যপট পালটে গেল, লাগাতার হরির লুঠের সাক্ষী হয়ে থাকতে হল আমাদের এবং রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কগুলোকে (অনেকে কিন্তু এখনও জানেন এসবিআই রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক - এমনকি নেটেও তাই লেখা থাকে অনেক জায়গায়)। পাই, খুব দু:খের সঙ্গে জানাচ্ছি, সোসাল ব্যাঙ্কিং আমরা শুরু করেছিলাম, কিন্তু এখন যা চলছে (ব্যতিক্রম অবশ্যই আছে, স্বচক্ষে তা দেখেছিও) তাতে 'প্রাইভেট' হয়ে গেলে আমাদের আধিকারিকগন অনপরাধের অন্তর্দহন থেকে মুক্তি পেতেন। ইদানীং কালে অবশ্য সরকার 'গ্রুপ গ্যারান্টি' আদি নানা 'foolproof'সমাধান নাকি বের করেছেন শুনেছি কিন্তু হরির লুঠ তাতে বন্ধ হয়েছে বলে শুনিনি। এখনকার লোকেরা ভাল বলতে পারবেন।
  • dukhe | 122.16.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০১১ ১৬:০৭482123
  • এস বি আই রাষ্ট্রায়ত্ব নয় নাকি ?
  • rupankar sarkar | 117.194.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০১১ ১৯:০৪482124
  • দুখে, আমি দু:খিত। বছর তিনেক আগে, মানে ২০০৮ সালে এসবিআই রাষ্ট্রায়ত্ব হয়েছে, এটা পড়াশোনা করে জানলাম। আগে জানা ছিলনা কেননা আমি ২০০৬ সালে অবসর নিয়েছি। অবশ্য তার আগেও বহু লোক আমাদের রাষ্ট্রায়ত্ব বলতেন, সেই ধারণা থেকে বলা।
  • ppn | 204.138.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০১১ ১৯:১৬482125
  • উইকি থেকে:

    The government of India nationalised the Imperial Bank of India in 1955, with the Reserve Bank of India taking a 60% stake, and renamed it the State Bank of India. In 2008, the government took over the stake held by the Reserve Bank of India.

    আমার সীমিত জ্ঞানে তো মনে হচ্ছে ১৯৫৫ থেকেই এসবিআই রাষ্ট্রায়ত্ত।
  • rupankar sarkar | 117.194.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০১১ ১৯:৪৯482126
  • এই রকম একটি তথ্য নেটে দেখেছি বটে। অধিকাংশ শেয়ার (স্টেক) সরকারের কাছে থাকলে তাকেই 'রাষ্ট্রায়ত্ব' বলা হয় বা হতো। যেহেতু ৬০% স্টেক রিসার্ভ ব্যাঙ্কের (আগে আরও অনেক বেশী ছিল, প্রায় ৯৭%) তাই আমরা রাষ্ট্রায়ত্ব ছিলামনা বলে জানতাম। অন্য সব ব্যাঙ্ক পরিচালিত হয় BankingCompaniesAct1949 দ্বারা ওদিকে কেবল মাত্র স্টেট ব্যাঙ্ক পরিচালিত হত S.B.IAct1955 দ্বারা এবং সরকারি সব দলিলে লেখা থাকত - StateBankandtheotherCommercialBanks. তারপর ১৯৬৯ সালে জাতীয়করণের পর লেখা হত ...StateBankandtheotherNationalisedBanks. অন্য দিকের যুক্তিতে - সেহেতু রিসার্ভ ব্যাঙ্ক সরকারি ব্যাঙ্ক, তাই তার স্টেক মানেই তো সরকারি স্টেক। তাই স্টেট ব্যাঙ্ক তো সরকারি ব্যাঙ্ক-ই। ওপরের অ্যাক্ট গুলো পড়লে কিছুটা আলোকপাত হতে পারে। - অবশ্য আমার জ্ঞানও সীমিত।
  • rupankar sarkar | 117.194.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০১১ ২০:০০482127
  • একটু সংযোজন করি - উইকি তে একটা মস্ত ভুল দেখা যাচ্ছে - ঐ ৬০% এর ব্যাপারে। ২০০৮ সালে , যখন রিসার্ভ ব্যাঙ্ক তাদের শেয়ার সরকারকে হস্তান্তরিত করে তখন ছিল ৬০%। আগে ছিল ৯৭% এরও বেশী আগেই বলেছি। তা ছাড়া ইম্পিরিয়াল ব্যাঙ্ক আগে টাকাও ছাপতো তাই তার থেকেই রিসার্ভ এবং পরে স্টেট ব্যাঙ্ক হয়েছে। আর একটা প্রশ্ন মনে ঘোরা ফেরা করছে - যদি রিসার্ভ ব্যাঙ্কের শেয়ার থাকলেই 'রাষ্ট্রায়ত্ব' হতো, তবে সেটা ঘটা করে সরকার কে দেবার কি প্রয়োজন ছিল, তাও আবার বিশেষ আইন করে ?
  • ranjan roy | 122.168.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০১১ ২৩:২৭482099
  • আমি যে রিজিওনাল রুরাল ব্যাংকে কাজ করেছি তা স্টেট ব্যাংক স্পন্সর্ড। অর্থাৎ আমাদের ৫০% শেয়ার ভারত সরকারের(প্রথমে রিজার্ভ ব্যাংকের, পরে নাবার্ডের মাধ্যমে); ৩৫% শেয়ার এস বি আই; ১৫% শেয়ার রাজ্য সরকারের।
    আমাদের রেগুলার অপারেশন, ট্রেনিং, স্টেশনারি, অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম, চেয়ারম্যান, জি এম, অডিট সেল, ভিজিল্যান্স সব এস বি আই চালায়। বোর্ডে ৯ জনের মধ্যে ৩ জন এস বি আইয়ের। সেই সুবাদে বলছি--
    ১৯৫৫ থেকে ইম্পিরিয়াল ব্যাংক এস বি আই হল। সমস্ত ট্রেজারি ফাংশন, ক্লিয়ারিং হাউস আপারেশন সব এস বি আই করে। ফরেন এক্সচেঞ্জ অপারেশন , আমি যতদূর জানি, শুধু এস বি আই করে।
    এতে স্পষ্ট যে সরকারি ব্যাংক বলতে যা বোঝায় তা পূর্ণমাত্রায় এস বি আইয়ের আছে। মাঝে এস বি আই এর পুঁজিরও ডি-রেগুলেশনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। তাই সরকারি পুঁজি নেমে এসেছে।
    আমার মনে হয় রুপংকর যে সার্কুলারের কথা বলছেন তা আই আর ডিপি ( ইন্টিগ্রেটেড রুরাল ডেভেলপমেন্ট প্রোজেক্ট) নয়; ওটা হয়ত ডি আর আই( ডিফারেনশিয়াল রেট অফ ইন্টারেস্ট, যাতে গরীবদের ৪% দরে উপভোগ ও অন্যান্য ক্ষুদ্র ঋণ দেয়া হত) হবে। আই আর ডি পি ১৯৮০-৮১ তে শুরু হয়,প্রায় ২০ বছর চলে। ইয়ার্কি করে ইন্দিরা-রাজীব-ডেভেলপমেন্ট -প্রোজেক্ট ও বলা হত। তখন ব্যাংক মিনিস্টার জনার্দন পূজারীর আমলে সোজা ক্যাম্প করে(ঋণ বিতরণ শিবির) লোন দেয়া হত। এর কুফল নিয়ে সার্ভে করে রিজার্ভ ব্যাংক কড়া রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল।
    পরে অনেকগুলো গরীবি হটাও স্কীম একসঙ্গে মার্জ করে ( আই আর ডি পি, ট্রাইসেম, ইত্যাদি) স্বর্ণজয়ন্তী গ্রাম স্বরোজগার যোজনা ( এস জি এস ওয়াই) ২০০০ এর পরে শুরু হয়, এখনো চলছে। সঙ্গে আছে স্বর্ণজয়ন্তী শহরী স্বরোজগার যোজনা।
  • pi | 72.83.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০১১ ২৩:২৯482100
  • রঞ্জনদা, কুফলগুলো কী কী ?
  • ranjan roy | 122.168.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০১১ ২৩:৩৮482101
  • যতদূর মনে পড়ছে রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া অ্যাক্ট তিরিশের দশকের শেষ পাদে; ব্যাংকিং রেগুলেশন অ্যাক্ট ১৯৪২ এ; আর এস বি আই হল ১৯৫৫তে। যেমনি রিজার্ভ ব্যাংক থেকে কৃষি ও গ্রামীণ বিকাশের উদ্দেশ্যে নাবার্ড পয়দা হল ১৯৮২তে।
    এ থেকে এস বি আইয়ের জন্মলগ্নেই সরকারী কবচ-কুন্ডল নিয়ে কোন সন্দেহ থাকে না।
    কিন্তু, মূল কথা হল ব্যাংকের বেসরকারীকরণ নিয়ে। এর ফল বুঝতে হলে দেখতে হবে কেন ১৯৬৯এ পাইকারি হারে ১৪ টি প্রাইভেট ব্যাংক সরকারি হল। তারপরে বেড়ে প্রায় ২৬ হল। আজ কেন উল্টো পথে চলা? তাহলে আলোচনাটা বেড়ে হবে।
    একই সঙ্গে হিন্দুস্থান ইন্সিওরেন্স থেকে কেন লাইফ ইন্সিওরেন্স, আর আজ যে আভিভা-বাজাজ-কার্ডিফ ইত্যাদি বেসরকারি বীমা কোম্পানি বাজার ছেয়ে ফেলেছে তার রিপোর্ট কি?
    সবাই নিজেদের সামান্য ও ইউনিক অভিজ্ঞতার কথা বলুন না! গ্রাহক-পরিষেবা, সুরক্ষা এইসব নিয়ে। সরকারি-প্রাইভেট ব্যাংক, বীমা। মেডিক্লেম সব বলুন। প্রতিযোগিতার ফলে সরকারি ব্যাংক-বীমা পরিষেবায় কোন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন এয়েচে কি না তাও বলুন। নইলে আমাদের ( ব্যাংক কর্মচারি ও গ্রাহক) নিজ নিজ বায়াসকে কি করে ব্যালান্স করা যাবে?
  • ranjan roy | 122.168.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০১১ ২৩:৪৬482102
  • পাই,
    সংক্ষেপে বললে এইসব শিবিরে মিনিস্টারের সামনে বাহবা লোটার জন্যে সাতদিনে অসম্ভব সব টার্গেট রাখা হত। তাতে না কোন গ্রাহকের ঠিক করে স্ক্রুটিনি সম্ভব হত, না অ্যাসেট যা ওদের মেলায় দেওয়া হবে তার কোয়ালিটি যাচাই করে দেখা সম্ভব হত। আর সরকারি আমলারা, বিশেষ করে কলেক্টর, এনভায়রনমেন্টাল ফ্যাক্টরকে না দেখে যা তা অ্যাক্টিভিটি ঠিক করতেন।
    উদাহরণ স্বরূপ রাজীব-সোনিয়া যখন ধমতরি এলাকার দুগলিতে ভিজিট করেছিলেন তখন ''কমার'' ট্রাইবকে জোর করে এক একটি দুধেল গাই দেয়া হয়েছিল। ওরা বাঁশের কাজ করে, কস্মিন কালে দুধের ব্যবসা করে না। ফলে অল্পদিনেই কম দামে গরু বেচে দেয়। ব্যাংকের লোনের হাল নাই বল্লাম।
  • ranjan roy | 122.168.***.*** | ০৮ আগস্ট ২০১১ ২৩:৫৬482103
  • আর একটা কথা। তখন শিবিরে বড় স্কেলে অ্যাসেট দেয়া হত। যেমন দুধেল গাই-মোষ, সাইকেল, রেডিমেড কাপড়ের স্টক বা মুদি দোকানের সাপ্লায়ারকে চেক।
    এ'নিয়ে সরকারি আমলা ও ফড়ে-ব্যাপারিদের মধ্যে একটি অশুভ আঁতাত থাকতো আর সাবসিডির গুড়ের অধিকাংশই এইসব পিঁপড়ে খেয়ে যেত।
    ব্যাংক ম্যানেজাররা কিছু ধোয়া তুলসীপাতা ন'ন। এদের মধ্যে কেউ কেউ যে '' বহতী গঙ্গা মেঁ হাত ধো লেনা'' চিন্তার শরিক ছিলেন না এমন কথা বুকে হাত দিয়ে বলতে পারছি না।
    তবে ব্যাংকিং সার্কেলে অঘোষিত ভাবে এইসব শিবিরে দেয়া লোন ডুবলে বা ফর্মালিটির ত্রুটি থাকলে ব্যাংক স্টাফদের একটু ক্ষমাসুন্দর চক্ষে দেখা হত আর বিনা সরকারি প্রেসারে নিজেদের ডিস্ক্রিয়েশন থেকে দেয়া লোনে মিস্টেক হলে পিঠের ছাল তুলে নেয়া হত।
  • ranjan roy | 122.168.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১১ ০০:০৮482104
  • এইভাবে প্রথম দিকে দেয়া লোনের অধিকাংশই ডুবে যায় ও ব্যাংককে সেই অ্যামাউন্ট রাইট অফ করতে হয়।
    পরের দিকে সিস্টেম অনেক স্ট্রীমলাইনড্‌ হয়েছে। ১৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে অ্যাপ্লিকেশন ডিসপোজড করার নির্দেশ, ব্যাংক এক থেকে দু'মাস লাগায়। আর ইন্ডিভিজুয়াল লোন কমে গিয়ে জোর দেয়া হচ্ছে আইডেন্টিফায়েড সেল্ফ- হেল্প গ্রুপকে লোন দেয়ার ওপর। ফলে লোনের এন্ড-ইউজ্‌, রিকভারি ইত্যাদির মান অনেক বেড়েছে।
    তবে আমি এ'কথাও বলবো যে গরীবকে দেয়া লোনগুলোর সাইজ অনেক ছোট ছোট ছিল।কখনো
    কখনো সাস্টেইন করার জন্যে optimum quantum এর চেয়ে কম। তারপর আছে গরীবদের high propensity to consume।ফান্ড ব্যবহার করার স্কিল ও সংস্কৃতির অভাব।
    তাই অধিকাংশ লোন সহজে খারাপ হয়ে যেত। তবুও গরীবরা ওই সব প্রোজেক্টে যা লোন ডুবিয়েছে তা ধুর্ত শিল্পপতি-ফড়েরা মিলে যা ডুবিয়েছে তার ভগ্নাংশ মাত্র। তবে আমরা ব্যাংকাররা ওদের বেশি গাল দিই। এদিকে ইউকো ব্যাংককে ডুবিয়ে ওই সব লুঠেরার দল আবার ব্যাড লোন কিনে ব্যাংকে তালা ঝুলিয়ে ব্যাংকটাকে নিজেদের পকেটে পোরার বন্দোবস্ত করেছিল।
  • pi | 72.83.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১১ ০১:৫৭482105
  • বাপ্স রে ! জটিল ব্যাপারস্যাপার !

    রঞ্জনদার লাস্ট পোস্টের লাস্ট কথাটা এবারের ধর্মঘটের একটা ইস্যু ছিল না ?

    There are three lakh crores of bad debt owed by big business houses, which is far higher than what has ever been spent on debt waivers to farmers. Some of our unions have tried to expose the names of the big defaulters, but there is a big hurdle in the form of the Confidentiality Act, which protects them and prevents discloure.

    এই কনফিডেন্সিয়ালিটি অ্যাক্ট উঠিয়ে দেওয়া নিয়ে কি আগেও আন্দোলন হয়েছে ?
  • ranjan roy | 122.168.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১১ ০৭:৩১482106
  • পাই,
    মজার ব্যাপার। যখন থেকে ব্যাড লোনের পুরনো ক্লাসিফিকেশন বন্ধ হয়ে পারদর্শিতা আনতেIRAC norms, ie, Income Recognition & AsseT Classification শুরু হল তখন প্রথমে আমরা বামপন্থী ইউনিয়নের লোকজন বল্লাম-- তৃতীয় বিশ্বের দেশে এইসব বিশ্ব ব্যাংক প্রভাবিত মাপকাঠি চলবে না।
    তিনমাসের কিস্তি বা সুদ দেয় নি তো সেটা ব্যাড লোন? তার অ্যাসেট তো আছে, বিজনেস তো চলছে। তবুও এটা কে নন-পার্ফর্মিং অ্যাসেট বলে এর জন্যে ব্যাড লোন প্রভিসন করতে হবে? এর অ্যাকাউন্টে আসা সুদ কে ইনকামে গণ্য করা চলবে না? একি আব্দার!
    আসলে আমাদের কমফোর্ট জন ছিন্নভিন্ন হয়ে যাচছিল।
    সে যাক, এর ফলে সব ব্যাংকে রাতারাতি ব্যাড লোন বাড়ল, রাইট অফ বাড়লো। কাগুজে প্রফিটের ভাঁড়ারে টান পড়ল।
    দক্ষিণের ইন্ডিয়ান ব্যাংক, সিন্ডিকেট ব্যাংকের মত কোলকাতার ইউকো ও ইউবিআই ব্যাংকের লালবাতি জ্বালার উপক্রম হল।
    এদিকে ভারতে ব্যাংক লোন আদায়ের ব্যাপারে সরফেসি অ্যাক্ট পাশ হল। যার ফলে এক লক্ষের বেশি লোনের উইলফুল ডিফল্টারের মর্টগেজ অ্যাসেট(বাড়ি ইত্যাদি স্থাবর সম্পত্তি) ব্যাংক একমাসের নোটিস দিয়ে সোজা নিলাম করতে পারবে। সিভিল কোর্টে কয়েক বছর ধরে সময় ও অর্থের অপচয় করতে হবে না।
    তখন দেখা গেল যেসব রাঘব-বোয়ালেরা ইউকো-ইউবি আইয়ের লোন হজম করে ব্যাংকের দরজায় তালা লাগানোর বন্দোবস্ত করেছেন তাঁরাই আবার সেই ব্যাড লোন গুলো কিনে নেবেন বলে প্রস্তাব দিয়েছেন।
    এ যেন ধর্ষিত মহিলাকে বাড়ি ও সমাজ থেকে বের করে দিয়ে ধর্ষক বাবু তাঁকে তাঁর নিজস্ব বাগানবাড়িতে রক্ষিতা করে রাখলেন।

    এমনি সময়ে, আমার এ ব্যাপারে ভাসাভাসা জ্ঞান,ইউনিয়ন দাবি(BEFI)
    করলো যে ওই রাঘব বোয়ালদের নামের লিস্টি সংসদে প্রকাশ করতে হবে। তখন হৈচৈ পড়ে গেল-- এ কি করে হয়! যেন তসলিমা নাসরিন নিজের বাবাকে নিয়ে লিখেছেন।
    ওদের বাঁচালো ওই কনফিডেনি্‌শয়ালিটি অ্যাক্ট। ওটাকে খারিজ করার কথা হল। সেটা হল না, কিন্তু ব্যাংক দুটো বেঁচে গেল। তারপর সরকার সমস্ত লস্‌ এ চলা ব্যাংক, গ্রামীণ ব্যাংক সমেত, কে অতিরিক্ত দীর্ঘমেয়াদি ফান্ড দিয়ে( সঞ্চিত ক্ষতি কিনে নিয়ে) বেইল আউট করলো।
    ব্যাংক গুলোর ওয়ার্ক কালচারে কিছু বদল হল। ""পরিবত্তন'' এলো। ব্যাংকের দল বীমা ব্যবসায় , মিউচুয়াল ফান্ড বিক্রি, পার্সোনাল সেগমেন্টে অনেক সরল ও সহজ প্রক্রিয়ায় বাড়ি-গাড়ি-শিক্ষা-জুয়োখেলা সবকিছুর জন্যে লোন দিতে লাগলো। পোস্ট ডেটেড চেক নিয়ে এন আই অ্যাক্টের ১৩৮ ধারার সফল ব্যবহার করে তিন মাস কিস্তি না দিলেই গ্রাহককে ক্যাঁক করে ধরতে লাগলো।
    অধিকাংশ ব্যাংক নেট এনপিএ, নন-পার্ফর্মিং অ্যাসেট,৫% এর নীচে নিয়ে এলো। ব্যাংক অডিটের নর্মস্‌ বদলে গিয়ে রিস্ক বেসড্‌ অডিট শুরু হল। ইনটারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড মেনে (বাসলে সম্মেলন-২)ক্যাপিটাল অ্যাডিকোয়েসি রেশিও এবং একস্পোজার রেশিও( গোদা বাংলায় ব্যাংক যে পরিমাণ লোন দিয়েছে তার রিস্ক ওয়েটেজের তুলনায় পুঁজির অনুপাত এবং পুঁজির অনুপাতে কোন একটি লোনে কত অ্যামাউন্ট ম্যাক্সিমাম দেয়া যেতে পারে)কে মেনে চলা হল।
    ( ডি: লেনিনের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিকের পতন বইয়েও বাসলে সম্মেলনের কথা আছে।:))))

    আমার মতে ফল ভালই হল। অধিকাংশ ব্যাংক দেউলে না হয়ে সঞ্চিত ক্ষতি শূন্যের কোঠায় নিয়ে এল। ব্যাংক স্টাফের চাকরি সুরক্ষিত হল।

    পাব্লিককে নির্ভয়ে এবং একটু উদার ভাবে লোন দেয়া শুরু হল। দেশে ভোগ্যপণ্যের বাজার ফুলে ফেঁপে উঠলো। মলের সংখ্যা বাড়তে লাগলো। হরিদাস পাল নিজের চানাপোনা দের বিদেশে শিক্ষা দেয়ার কথা ভাবার সাহস পেলো। কিন্তু ব্যাংক কর্মচারিদের কাজের সময় বাড়লো। ইউনিয়ন দুর্বল হল। আর পে কমিশনে মাইনে বৃদ্ধির হার অন্য সেগমেন্টের তুলনায় কমে গেল। কলেজের অধ্যাপকদের মাইনে এখন অনেক বেশি, কাজের চাপ ও সময় কম। ফলে বিয়ের বাজারে ব্যাংকের লোকজনের দর পড়লো।
    খুব বোর করেছি, আর না।
    আমার কথাটি ফুরোলো, নটে গাছটি মুড়োলো।

  • rupankar sarkar | 14.99.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১১ ১৪:১৮482107
  • রঞ্জনবাবুর কথার উত্তরে বলি - ওটা ডি আর আই নয়, পরিষ্কার 'আই আর ডি পি।' বুড়ো হলেও স্মৃতিশক্তি এত দূর্বল হয়নি। আর দু নম্বর - স্টেট ব্যাঙ্ক সরকারি কাজ অবশ্যই করত, তবে ২০০৮ সালের আগে কোনও দিনই 'সরকারি' ব্যাঙ্ক ছিলনা, পাবলিক সেক্টর ব্যাঙ্ক ছিল । যদি বলেন, পাবলিক সেক্টর আর সরকারিতে তফাৎ কি ? আমি হার মেনে পালিয়ে যাব। সরকারি ব্যাঙ্ক একটাই - সেটা ভারতের সে¾ট্রাল ব্যাঙ্ক, মানে -রিসার্ভ ব্যাঙ্ক। ১৪ টার পর বেড়ে ২৬ হল রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক। এখন ২০০৮ সালের পর স্টেট ব্যাঙ্ক-ও রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক, মানে সরকারি মালিকানাধীন ব্যাঙ্ক।
  • siki | 123.242.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১১ ১৪:৫১482108
  • তাই বলুন!! "ভারতের সে¾ট্রাল ব্যাঙ্ক' নামেও একটা আলাদা ব্যাঙ্ক আছে যে! সেটাও রাষ্ট্রায়ত্ব।

    আচ্ছ এই ফাঁকে জিজ্ঞেস করে নিই -- শিডিউলড ব্যাঙ্ক কাকে বলে?
  • rupankar sarkar | 14.99.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১১ ১৫:০৮482110
  • TheBankingsectorinIndia
    - Cached প্রথমে এই লিঙ্কটা দিয়ে নিই - এসবিআই ন্যাশনালাইজড (ছিল) কিনা তার উত্তরে। তার পর সিকির প্রশ্ন - সব সার্বভৌম রাষ্ট্রের একটি 'সে¾ট্রাল ব্যাঙ্ক' থাকে যে কিনা সরকারি ব্যাঙ্ক এবং বাকি সব ব্যাঙ্কিং এবং ত্‌ৎসম্পর্কীয় কাজকর্মের তত্বাবধায়ক। ভারতে সে ব্যাঙ্কের নাম রিসার্ভ ব্যাঙ্ক ( 'সে¾ট্রাল ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া'নামে আর একটি ব্যাঙ্ক আছে, তবে সেটি 'ইন্ডিয়া'-র 'সে¾ট্রাল ব্যাঙ্ক' নয়) আর শিডিউল ভুক্ত ব্যাঙ্ক হল, ব্যাঙ্কিং রেগুলেশন অ্যাক্ট মোতাবিক যে সব ব্যাঙ্ককে রিসার্ভ ব্যাংক ব্যবসা করার অনুমতি দিয়েছে, তারা।
  • umesh | 80.254.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১১ ১৫:৩৩482111
  • শিডিউল ব্যাংক দের একটা amount of money রিজার্ভ ব্যাংকের কাছে deposit রাখতে হয়। (কতো % সেটা জানি না)।
    আর প্রত্যেক account holder এর নামে insurance করাতে হয়।

  • ppn | 216.52.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১১ ১৫:৩৭482112
  • রাইটো। আর "সে¾ট্রাল' ব্যাঙ্ককে ফেডেরাল ব্যাঙ্ক বললেই হয়। তালে আর কনফিউশন হয় না। :)
  • siki | 123.242.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১১ ১৫:৪৪482113
  • মানে, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অনুমতি ছাড়াও ভারতে ব্যাঙ্কিং বিজনেস করা যায়? নাকি ভারতে সব ব্যাঙ্কই শিডিউলড ব্যাঙ্ক?
  • ppn | 204.138.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১১ ১৬:২২482114
  • সামান্য কিছু অতি ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র ব্যাঙ্ক আছে নন-শিডিউলড ব্যাঙ্ক। আমাদের কেটি দিতে গিয়ে তাই বলেছিল।
  • rupankar sarkar | 14.96.***.*** | ০৯ আগস্ট ২০১১ ১৮:০০482115
  • ppn - কোম্পানীস অ্যাক্ট -এ রেজিস্ট্রেশন করিয়ে ব্যবসা করছে কেউ কেউ। তবে রিসার্ভ ব্যাঙ্কের গ্যারান্টি নেই, জমা টাকার ইন্সিওরেন্স-ও কভার নেই। ব্যাঙ্ক 'ফেল' করলে সব গেল।
  • ranjan roy | 122.168.***.*** | ১০ আগস্ট ২০১১ ০২:৫৯482116
  • রূপংকরবাবু,
    দু:খিত, প্রশ্নটা কারো ব্যক্তিগত স্মৃতিশক্তির নয়ই, না কোন ইগো'র।
    আই আর ডি পি বা ইϾট্রগেটেড রুরাল ডেভেলপে্‌মন্ট প্রোজেক্ট আশির দশক থেকে বিশ বছর ধরে ভারত সরকারের সবচেয়ে বড় গ্রামীন এলাকার গরীবি হটাও (poverty alleviation program)ছিল, তার আগে অন্ত্যোদয় অল্পদিনের জন্যে এসেছিল। আই আর ডিপির মত ব্যাপ্তি ও টার্গেট কোন প্রোজেক্টের ছিল না। আমি আশির দশকে ছ'বছর আমাদের ব্যংকের কর্পোরেট অফিসে প্ল্যানিং ম্যানেজার ও অ্যাডভান্স ম্যানেজার হিসেবে কাজ করার সুবাদে নিয়মিত ভাবে রিজার্ভ ব্যাংক ও এস বি আই কর্পোরেট অফিসের আই আর ডি পি যোজনার সার্কুলারগুলো হিন্দি করিয়ে অপারেটিভ সার্কুলার ইস্যু করাতাম। তারপর এরিয়া ম্যানেজার হিসেবে একাধিক জেলার ব্যাংকার্স স্ট্যান্ডিং কমিটি ও ডিস্ট্রিট লেভেল কন্সল্টেটিভ কমিটি(লীড ব্যাংকের) সদস্য হিসেবে কাজ করেছি। আমাদের মূল কাজই ছিল ডিস্ট্রিক্ট ক্রেডিট প্ল্যানের অন্তর্গত সব চেয়ে বড় প্রোজেক্ট হিসেবে ব্যাংকগুলোর আই আর ডি পি টার্গেট এর মনিটরিং করা। ২০০০ এর পর আই আর ডি পি বন্ধ হয়ে তার জায়গায় এল এস জি এস ওয়াই(স্বর্ণজয়ন্তী গ্রাম স্বরোজগার যোজনা)।
    আই আর ডিপি সত্তরের দশকের শেষে বন্ধ হতেই পারেনা, কারণ তখনো তার জন্মই হয় নি।
    একটি সোজা ক্রস চেক করুন।
    যদি আপনার কথামত ওটি বন্ধ হয়েই গিয়ে থাকে তাহলে বিগত আশির থেকে দুহাজার সাল অব্দি ভারত সরকারের (কংগ্রেস ও বিজেপি ) সবচেয়ে বড় গ্রামীণ এলাকার গরীবি উন্মূলন কার্য্যক্রম এর নাম কি? উত্তর পাবেন আই আর ডিপি।
  • ranjan roy | 122.168.***.*** | ১০ আগস্ট ২০১১ ০৩:২৪482117
  • nationalised ব্যাংক মানে যেগুলো আগে প্রাইভেট ছিল। অর্থাৎ বেসরকারি মালিকানধীন ছিল, পরে আইন করে সরকার নিয়ে নিল, আগের মালিকদের কিছু কম্পেনসেশন দিয়ে।
    প্রশ্ন- এস বি আই কি কখনো ব্যক্তিমালিকানাধীন ছিল? না কি ইম্পিরিয়াল ব্যাংক থেকে এস বি আই(১৯৫৫) হওয়ার জন্মলগ্নে সেটি সরকারি পরিচালনাধীন ছিল?
    এই অর্থে এস বি আই বোধহয় ""রাষ্ট্রীয়কৃত'' দলে পড়বে না।
    শিডিউলড্‌ ব্যাংক মানে রূপংকরবাবু যেমন বলেছেন-- অর্থাৎ রিজর্ভ ব্যাংকের শিডিউল নং -২ এ যাদের নাম আছে।
    তাতে স্টেট ব্যাংক, অন্য রাষ্ট্রীয়কৃত ব্যাংক, গ্রামীণ ব্যাংক, কো-অপারেটিভ ব্যাংক সবার নাম আছে।
    কিন্তু শিডিউলড ""কমার্শিয়াল"" ব্যাংক মানে উপরোক্ত গ্রুপের মধ্যে যাদের ''কমার্শিয়াল'' বিজনেস করতে অনুমতি দেয়া হয়েছে। তাই আগে কো-অপারেটিভ ব্যাংক, গ্রামীন ব্যাংক কমার্শিয়াল ব্যাংক ছিল না। তাই এদের প্রফিটের ওপর আয়কর দিতে হত না। জমারাশির যতটুকু রিজার্ভ ব্যাংকে পাক্ষিক মনিটর করে জমা রাখতে হয়( Cash Reserve Ratio)তাও ফিক্‌স্‌ড ৩% ছিল।
    এখন গ্রামীন ব্যাংককেও কমার্শিয়াল বিজনেসের অনুমতি দেয়া হয়েছে, আয়করও দিতে হচ্ছে।

    রিজার্ভ ব্যাংক হল bankers' bank বা lender of the last resort। এ সব ব্যাংককে লাইসেন্স দেয়া ছাড়াও bank rate, CRR, SLR, REPO, ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে তথা ওপেন মার্কেট অপারেশনের মাধ্যমে ব্যাংকের loanable fund কে নিয়ন্ত্রণ করে বাজারে মানি সাপ্লাইকে ক®¾ট্রাল করে। এছাড়া রিজার্ভ ব্যাংক লোনের সিকিউরিটি কমিয়ে বাড়িয়ে কোন সেগমেন্টে কিরকম লোনের স্রোত যাবে এগুলো সরকারি পলিসি অনুযায়ী গাইড করে, ব্যাংকগুলোর আলাদা অডিট করে, ইত্যাদি। ফর অল প্র্যাক্টিক্যাল পারপাস, স্টেট ব্যাংক হল পাব্লিকের জন্যে আসলি সরকারি ব্যাংক, সেমান্টিক্সের ফাইনেসি ছেড়ে দিলে।
    তাই ঐতিহাসিক কারণেই যখন ব্যাংক কর্মিদের পে কমিশন নিয়ে দ্বিপাক্ষীয় সমঝোতা হয়, তখন স্টেট ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট ওদের ইউনিয়নের সাথে আলাদা করে এগ্রিমেন্ট সাইন করে, যেখানে অন্য ব্যাংকের ইউনিয়নগুলি সম্মিলিত ভাবে ইন্ডিয়ান ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশন(IBA) এর সঙ্গে সাইন করে।
    অন্য রাষ্ট্রীয়কৃত ব্যাংক আর এস বি আইয়ের স্ট্যাটাস যদি সরকারের চোখে এক হত তাহলে বাইপার্টাইট এগ্রিমেন্ট ও একই সঙ্গে সাইন করা হত।
  • rupankar sarkar | 14.99.***.*** | ১০ আগস্ট ২০১১ ০৯:৫১482118
  • রঞ্জনবাবুর প্রশ্নের উত্তরে জানাই - রাষ্ট্রায়ত্ব বা ন্যাশনালাইজড ব্যাঙ্ক তাদেরই বলা হয়, যাদের ৫০% এর ওপর, অর্থাৎ অধিকাংশ শেয়ার কেন্দ্রীয় সরকার বা সে¾ট্রাল গভর্নমেন্টের হাতে থাকে। এই প্রসঙ্গে বলি, ২০০৮ সালের আগে স্টেট ব্যাঙ্কের একটা শেয়ারও কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে ছিলনা। ৯৭% এর কিছু বেশি শেয়ার ছিল রিসার্ভ ব্যাঙ্কের হাতে। প্রথম দিকে তো দীর্ঘকাল ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতিতেও সরকার হস্তক্ষেপ করতনা, পরের দিকে অবশ্য অবস্থার কিছু পরিবর্তন হয়। রিসার্ভ ব্যাঙ্কও কেন্দ্রীয় সংস্থা, সুতরাং তার হাতে শেয়ার থাকা মানেই তো সরকারের হাতে থাকা - এই যুক্তিটা তর্কের খাতিরে ঠিকই আছে, তবে যদি একটু পিছিয়ে গিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের যে তালিকা সরকার বাহাদুর প্রকাশ করতেন সময়ে সময়ে, তাতে দেখবেন স্টেট ব্যাঙ্কের নাম কোথাও নেই। এখন অবশ্যই আছে, কেননা ২০০৮ সাল থেকে স্টেট ব্যাঙ্ক রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্ক।
  • rupankar sarkar | 14.99.***.*** | ১০ আগস্ট ২০১১ ১০:০১482119
  • রঞ্জনবাবুর আর একটি মন্তব্যের জন্য আবার জানাই - 'আই আর ডি পি' নামে স্টেট ব্যাঙ্কের নিজস্ব একটি প্রকল্প ছিল, সরকার বাহাদুর একই নামে প্রকল্প ঘোষনা করার সঙ্গে সঙ্গে সেটি বন্ধ হয়। আমাদের প্রকল্পটির নাম বদলে রাখা হয় 'গ্রামোদয় প্রজেক্ট' এবং সেটি সত্তরের দশকেই। ১৯৭৬ না হলে খুব জোর ৭৭ হবে। পরে সকারি প্রকল্পের চাপে পড়ে সেটিও বন্ধ হয়। - এই কথা আমি আগে লিখেছি, প্রয়োজন পড়লে বারংবার লিখব। রঞ্জনবাবুকে অনুরোধ করব আমার আগের পোস্টটি আর একবার ভাল করে পড়ে দেখতে।
  • ranjan roy | 122.168.***.*** | ১০ আগস্ট ২০১১ ১০:১১482121
  • রূপংকরবাবুকে ধন্যবাদ।
    আমাদের একেবারে ব্যাংক কেন্দ্রিক টেকনিক্যাল আলোচনা নি:সন্দেহে গুরুর বন্ধুদের বেশ বোর করেছে। আসলে দূ'জন ব্যাংকের লোক একসঙ্গে হলেই এইসব হয়। ওদের গিন্নিরা ও অন্য কোন ব্যাংকওলার বাড়ি বেড়াতে গিয়ে খুব বোর হয়।
    আলোচনাটা ছিল বেসরকারিকরণ নিয়ে। আমাদের ছেড়ে অন্য গুরু ও চন্ডালের দল একটু জানান যে ওনাদের দিক থেকে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের গ্রাহক হওয়ার টক-মিষ্টি অভিজ্ঞতা। এসবের অনুধাবনে কিছু একটা ছবি ফুটে উঠবে। আমরাও আমাদের তাঙ্কিÄক ব্যাগেজের থেকে বাইরে দাঁড়িয়ে কিছু ভাবতে পারবো।
    কলেজ জীবনে রাঘবদা( আজকের আই আই এম জোকার অধ্যাপক ড: রাঘব চট্টোপাধ্যায়), রাষ্ট্রীয় পুঁজি ও ব্যাংক পুঁজি মার্জ করে গেলে ফ্যাসিবাদ তার রাজনৈতিক স্বরূপ হয়,--এমনি কিছু বলেছিলেন। কিছুই বুঝিনি:)))))।
    কেউ যদি কিছু আলোকপাত করতে পারেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন