এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • এলোপাথাড়ি, আবোলতাবোল

    Lama
    অন্যান্য | ১১ জুন ২০১১ | ৮৮২৭ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sosen | 212.142.***.*** | ২৪ এপ্রিল ২০১৫ ০৭:৪৮480237
  • ক্কি ভালো, সকাল সকাল
  • byaang | 132.167.***.*** | ২৪ এপ্রিল ২০১৫ ০৮:০৬480238
  • ভিকি তবে লড়ত কাদের সাথে?
  • Abhyu | 85.137.***.*** | ২৪ এপ্রিল ২০১৫ ০৯:২৫480239
  • খুব্বভালো
  • | ২৪ এপ্রিল ২০১৫ ০৯:২৯480240
  • হে হে ব্যপক!

    কিন তু সুলভ শৌচালয় কী দোষ করল? ওখানে চান তো আর করে নি রে বাবা! (আর করলেই বা কী? )
  • pi | 24.139.***.*** | ২৪ এপ্রিল ২০১৫ ০৯:৪১480241
  • ভিকিদার গপ্পো খাসা। অবশ্য ভিকিদার কোন গপ্পো আর বাজে হয়েছে, বাজে গপ্পোও খাসা হয় ১

    লামাদা গপ্পো জমিয়ে রাখলাম, উইকেন্ডের জন্য।
  • de | 69.185.***.*** | ২৪ এপ্রিল ২০১৫ ১৫:৩০480242
  • দিব্য লামা হয়েচে - খাসা হয়েচে!!

    কাচাকুচির পর তারে ঝোলানো লামার একটা ছবি হোক! তারও কি অমন চুমড়ানো গোঁপ থাকবে?
  • Nina | 80.215.***.*** | ২৫ এপ্রিল ২০১৫ ০৭:৫১480243
  • ঃ-)
  • 8 | 109.172.***.*** | ২৬ এপ্রিল ২০১৫ ০৭:১২480244
  • তুলে দিলাম।
  • Lama | 213.99.***.*** | ০২ জুন ২০১৫ ১২:২০480245
  • আই আই টি খড়গপুরে আমাদের বি ই কলেজের এক জুনিয়র ইন্টার্ণশিপের জন্য গেছে। সে তার হোস্টেলের ছমছমে পরিবেশের অভিজ্ঞতা ফেসবুকে শেয়ার করেছে। সেই পোস্ট পড়ে নিম্নলিখিত ঘটনাবলী মনে পড়ে গেল।

    আমার বয়স যখন চার/ পাঁচ (ভাইয়ের obviously আরো কম), মা বাবা দুজনেই বদলী হলেন একটা মফঃস্বল শহরে। মা ছিলেন স্থানীয় গার্ল্স স্কুলের শিক্ষিকা যাঁর একটা অতিরিক্ত কাজ পড়ল- সেই স্কুলের হস্টেলের সুপারের দায়িত্ব সামলানো। আমরা থাকতাম মায়ের কোয়ার্টারে, যেটা কোনো এককালে ছিল একটা ব্যাংক, আর তারও আগে ছিল কোনো এক ইংরেজ সাহেবের বাংলো। বাড়ীটার প্রাচীণত্ব বোঝাতে বলা যেতে পারে- বাড়ির ছদে একটা জং ধরা হাওয়া মোরগ ছিল যেটা ঘুরত না। আর ছিল একটা টানা পাখা যার দড়ি ধরে টেনে টেনে দিব্যি হাওয়া খাওয়া যেত। আর ছিল অনেকগুলো ঘর যার কিছু তালাবন্ধ, কিছু খোলা। কিছু কিছু ঘরে স্কুলের কিছু সম্পত্তি রখা ছিল, কিছু ঘরে এমন কিছু ছিল যার মালিক কে কেউ জানে না, কিন্তু বেশ কল্পনা উদ্রেককারী। অবসর সময়ে আমার কাজ ছিল এক একটা তালা না দেওয়া ঘর খুলে খুলে দেখা ভেতরে কি আছে। এককালে ব্যংক হিসেবে ব্যবহার হত বলেই সম্ভবত, বাথরুমটা বেশ বড় এবং ছমছমে।

    শহর হলেও, সেটা ছিল মফঃস্বল শহর, এবং আমার দেখা শহরগুলোর মধ্যে বেশ উল্লেখযোগ্যভাবে অন্যরকম। একটাই উদাহরণ দিচ্ছি- সেই সত্তরের দশকেও সেই শহরে বিনিময় প্রথা একটু আধটু চলত। পিঠে তীরধনুক বাঁধা আদিবাসী পুরুষ আর ছোট শিশু বাঁধা মায়েরা (তাঁদের গলায় সত্যিকারের রূপোর টাকা দিয়ে তৈরি গয়না- গয়নাটাই পোষাক) বাড়ি বাড়ি এসে ঘরে তৈরি গামছার বদলে কিছুটা চাল, বা মাটির কলসীর বদলে নুন- এসব বদলাবদলি করে নিয়ে যেতেন। ক্রেতা বিক্রেতা কেউ কারো ভাষা বুঝত না, বিভিন্ন মাপের হাসি বিনিময় করেই দু পক্ষের দরদাম চলত।

    সুপারের কোয়ার্টার ছিল মেয়েদের হোস্টেলের চৌহদ্দির মধ্যে। হোস্টেলের দিদিরা বেশ মারকুটে ধরণের ছিল এবং মাঝেমাঝে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে লাঠিসোঁটা নিয়ে মারপিট লেগে যেত, তখন অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা মাথার দিদিরা মাকে ডেকে নিয়ে যেত নিষ্পত্তি করতে। এই মাথাগরমদের মধ্যে একজনের নাম মনে আছে- বিরণপতি জমাতিয়া। অন্য একজন (নামটা ঠিক মনে নেই, সম্ভবতঃ প্রণতি চাকমা বা ঐরকম কিছু একটা) পরবর্তীকালে সি আই এস এফ এর কম্যান্ড্যান্ট হয়েছিলেন, সেই সূত্রে একবার এয়ারপোর্টে আমরা সিকিউরিটির লোকজনকে ঘরে তৈরি নারকেলের নাড়ু খাইয়েছিলাম, সিকিউরিটির লোকজনও আমাদের সঙ্গে খুব বন্ধুত্বপূর্ণ ব্যবহার করতেন।

    যাই হোক, ঝগড়াঝাঁটি বা নারকেল নাড়ু এই গল্পের বিষয়বস্তু না। বিষয়বস্তু হল ছমছমে বড় বাড়ি।

    একদিন মা বাবা বাড়ি না থাকাকালীন কোয়ার্টারের একটা তালাবন্ধ না করা ঘরে ঢুকেছি- দেখি বেশ কিছু পুরনো লোহার ট্রাংক, তাদের ওপর বেশ পুরু ধূলো জমেছে। আর সিলিংএর লোহার আংটা থেকে দড়ি দিয়ে ঝোলানো একটা মানুষের কংকাল।

    ভয়ডর বিশেষ ছিল না- ইতিপূর্বে কখনো কংকাল দেখিনি বলে কৌতূহলবশত কঙ্কালটার এক ঠ্যং ধরে টান মারতেই খুলে নিচে পড়ল, আর কিছু কিচু মর্চে পড়া লোহার তারের গিঁট খুলে গিয়ে কংকালটার কিছু হাড়গোড় এদিক ওদিক ছিটকে পড়ল।

    বিকেলে মা বাড়ি ফিরতেই খুলিটা হাতে নিয়ে দেখাতে গেছি 'মা, এটা কি?' তারপর যা শাসন হল কহতব্য নয়। তাছাড়াও শীতের বিকেলে স্নান করতে হল। আর প্রতিবেশীমহলে যা নিন্দা হল তারপর থেকে আমার ধারণা হল সাহসী হওয়াটা খুব ন্যকারজনক একটা ব্যাপার। তারপর থেকে সারাজীবন ভয় পাবার চেষ্টা করে যাচ্ছি- কখনো কবরখানায় রাত কাটিয়ে, কখনো ফাঁকা বাড়িতে মাঝরাতে ভূতের সিনেমা দেখে। কিন্তু এইসব করেও বিশেষ কাজ হয় নি।

    পরে জানতে পেরেছিলাম, ঐ কংকালটা এককালে স্কুলে বায়োলজি পড়ানোর জন্য ব্যবহার হত। বয়সজনিত কারণে হাড়গোড়গুলো কালো হয়ে যাওয়াতে স্কুলে নতুন ফরসা কংকাল আনা হয়েছিল, আর অবসরপ্রাপ্ত কংকালকে সুপারের কোয়ার্টারে রাখা হয়েছিল।

    সাহেবরা দেশ ছেড়ে চলে যাবার পরও ফরসা রঙ সম্বন্ধে আমাদের কতটা দুর্বলতা আজও রয়ে গেছে, উপরোক্ত ঘটনাই তার প্রমাণ।

    (ডিঃ ঘটনা সম্পূর্ণ সত্য নহে। ৯৯.৯৯৯৯৯% সত্য)
  • Lama | 126.202.***.*** | ০৩ জুন ২০১৫ ০০:০০480247
  • ধুস কেউ পড়লই না। একটু তুলে রাখি
  • dd | 116.5.***.*** | ০৩ জুন ২০১৫ ০০:০৮480248
  • এই একটা লাইক দিয়ে গ্যালাম।

    বাসী কংকাল নিয়ে বিশ্ব সাহিত্যে এরম চমচমে গল্পো কমই পড়েছি
  • pi | 192.66.***.*** | ০৩ জুন ২০১৫ ০০:১২480249
  • আরে আমি অন্যত্র পড়েছিলাম, ভয়ের চোটে লাইক দিইনি।
  • কুমু | 11.39.***.*** | ০৩ জুন ২০১৫ ০০:১৮480250
  • খুবি লামালামা চমতকার গল্প ।
  • Binary | ০৩ জুন ২০১৫ ০৩:১১480251
  • লামাত্ম্ক গল্পটা খাসা
  • k | 106.28.***.*** | ০৩ জুন ২০১৫ ০৫:০৬480252
  • আমার হাতে যদি নোবেল পুরস্কার নমিনেট করার ক্ষমতা থাকতো, লামার নাম আমি নিস্চই নমিনেট কর্ততাম।
  • Lama | 213.132.***.*** | ১৮ মার্চ ২০১৬ ১২:৪৬480253
  • এক ছিল পাথরমানুষ। পথ চলছিল। কোথায় যাবে জানে না, কোথা থেকে আসছে তাও না।

    পাথরমানুষ কাকে বলে জানা আছে তো? এদের দেখতে মানুষের মত, কিন্তু হৃৎপিন্ডটা পাথরের তৈরী। কয়েক হাজার মানুষের মধ্যে এক আধটা পাথরমানুষ দেখা যায়। এদের দেখে কেউ পাথরমানুষ বলে চিনতে পারে না। শুধু এরা নিজেরাই জানে পাথুরে হৃৎপিন্ডের ভেতরের কথা। অনন্তকাল পথ হেঁটে চলাই এদের নিয়তি। এরা ঠিক মানুষের মত কথা বলে, খায়দায় ঘুমোয়; কিন্তু পুরোপুরি সত্যিকারের মানুষদের মত সবকিছু পারে না। এই যেমন, ভালবাসতে পারে না।

    আমাদের পাথরমানুষটি হেঁটে চলে আর মনে করার চেষ্টা করে সে কোথা থেকে আসছে, কোথায় যেতে তাকে বলা হয়েছে। পুরো মানুষদের দিকে খুব কৌতুহলের সঙ্গে তাকায়, আর ভাবে, অন্তত একদিনের জন্য পুরোপুরি মানুষ হয়ে যেতে পারলে বেশ হত- আনন্দ-অভিমান-হিংসে-ভালবাসা এই অনুভূতিগুলো ঠিক কিরকম জানা যেত।

    যাকে পায় তাকেই পাথরমানুষ জিজ্ঞাসা করে, আসল মানুষ কি করে হওয়া যায়। সদুত্তর কারো কাছেই মেলে না। কেউবা হেসে উড়িয়ে দেয়। এইরকম চলছিল। অবশেষে একদিন পথ চলতি কেউ একজন পাথরমানুষকে বলল, "কখনো যদি কোনো মেঘকে দেখে মনে হয় তার কাছে তোমার গল্পের হারিয়ে যাওয়া টুকরোটা রয়েছে, আর সেই মেঘ যদি তোমার ওপর বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়তে রাজি হয়, তাহলে ঠিক সেইদিন থেকে হবে তোমার মানুষ হওয়া শুরু।" শুনে পাথরমানুষের মনে হয় সে এতদিনে হাতে চাঁদ পেল।

    পাথরমানুষ নূতন উদ্যমে পথ চলা শুরু করল। চলে, আর মাঝে মাঝে আকাশের দিকে তাকায়। কোনো কোনো মেঘকে কদাচিৎ চেনা মনে হলেও পরক্ষণে ভুল ভাঙে। না। এই মেঘটার কাছে গল্পের হারানো টুকরোটা থাকতেই পারে না। সে নিশ্চয় অন্য মেঘ।

    এইরকম চলতে চলতে, একটা মেঘকে দেখে পাথরমানুষের মনে হল হ্যাঁ, এই সেই কাঙ্খিত মেঘ যার কাছে পাথরমানুষের ছেঁড়াখোঁড়া গল্পের হারানো একটুকরো রয়েছে। পাথরমানুষ মেঘকে ডেকে বলল "মেঘ, তোমার কাছে কি..." তার কথা শেষ হতে না দিয়েই মেঘ বলল "আছে তো, আমার কাছেই আছে। তোমার একটুকরো গল্প।" এই না বলে পাথরমানুষকে একটু বৃষ্টি ভিজিয়ে দিয়ে চলে গেল, যাবার সময় বলে গেল "কাল আবার আসব।" আর পাথরমানুষ অনুভব করল সে একটুখানি সত্যি মানুষদের মত হয়ে গেছে। কারণ তার মনখারাপ লাগছে। মনখারাপ কাকে বলে তার জানা ছিল না এর আগে। শুধু শুনেছিল আসল মানুষদের নাকি মাঝে মাঝে 'মনখারাপ' বলে কিছু একটা ব্যাপার হয়।

    তারপরদিন মেঘ আবার এল। মেঘ আর পাথরমানুষ অনেক গল্প করল। তারা বন্ধু হয়ে গেল। পাথরমানুষ খুশি হল। কারণ তাকে বলা হয়েছিল বন্ধু শুধু সত্যিকারের মানুষদেরই থাকে।

    এমনি করে দিন যায়। মেঘ রোজ আসে। তারা গল্প করে। যাবার সময় মেঘ পাথরমানুষকে একটুখানি বৃষ্টি দিয়ে যায়। পাথরমানুষ আস্তে আস্তে সত্যিকারের মানুষ হয়ে উঠছে। তারা পরস্পরকে সারাজীবন বন্ধু থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

    একদিন হঠাৎ। মেঘ এল না। পরদিনও এল না। পাথরমানুষ দুশ্চিন্তায় ব্যাকুল। তার মেঘের কোনো বিপদ হয়নি তো? তাছাড়া পাথরমানুষ আজকাল একটু একটু আসল মানুষের মত হয়ে গেছে কিনা! তার একটু অভিমানও হল।

    পরদিন মেঘ এল। পাথরমানুষের আরো অভিমান হল। সে ভেবেছিল মেঘকে দুদিন না দেখতে পেয়ে তার যেরকম চোখের কোলে কালি পড়ে গেছে, মেঘেরও বুঝি সেরকম হবে। কিন্তু না। মেঘ তো বেশ হাসিখুশি আজ। পাথরমানুষ অভিমানী গলায় বলল "আজ বুঝি অন্য কাউকে বৃষ্টি ভেজালে?" মেঘ বলল "কি করে বুঝলে?" পাথরমানুষ বলল, "তোমার সঙ্গে বন্ধুত্ব হবার পর আমি একটু একটু মানুষ হয়ে গেছি কিনা! এখন অনেক কিছু বুঝতে পারি। মেঘ পাথরমানুষকে বুঝিয়ে বলল, সে পাথরমানুষকে খুব ভালবাসে। কিন্তু সে কিনা মেঘ, তাই তার অনেক দায়িত্ব। পৃথিবী জুড়ে আরো কয়েকজন তার বৃষ্টির প্রত্যাশায় থাকে- তাদের দিকটাও মেঘকে দেখতে হয়। কিন্তু তার মানে এই নয় যে সে পাথরমানুষকে ভুলে গেছে। পাথরমানুষের একটু দুঃখ হল। কিন্তু মেঘ তো ভুল কিছু বলেনি। সত্যিই তো, মেঘেদের ওপর অনেক গুরুদায়িতব থাকে। সে বলল "আচ্ছা, বেশ"- মেঘ যাবার সময় বারবার করে বলে গেল পাথরমানুষ যেন মনখারাপ না করে।

    কিন্তু শেষরক্ষা হল না। পাথরমানুষ এখন প্রায় মানুষ কিনা, তাই মানুষের অনেক দোষ তার মধ্যে বাসা বেঁধেছে। তার মধ্যে রয়েছে হিংসে, রাগ এইসব। কখনো সখনো মেঘের আসতে দেরি হলে সে রীতিমত কোমর বেঁধে ঝগড়া করে। মেঘ শান্তভাবে তাকে বোঝায়। আবার কদিন পর পাথরমানুষ তার সঙ্গে ঝগড়া করে।

    এইরকম চলতে চলতে মেঘের একদিন ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটল। সে পাথরমানুষকে কিছু না বলেই চলে গেল। খুব মনখারাপ হয়েছে তার।

    পাথরমানুষ প্রথমে ভাবল মেঘ আর কদিনই বা তাকে ছেড়ে থাকতে পারবে। মেঘ কিন্তু এল না। পাথরমানুষের প্রথমে অভিমান হল, তারপর ভয় হল- মেঘ কি তাকে চিরকালের মত ছেড়ে চলে গেল? পাথরমানুষ মেঘকে কত ডাকল, কিন্তু মেঘ কিছু শুনতেই পেল না। পাবে কি করে? পাথরমানুষের কথায় সে এত আঘাত পেয়েছে যে সে অনেকদূর চলে গেছে যাতে পাথরমানুষের ডাক তাকে আর শুনতেই না হয়।

    পাথরমানুষ খুব কাঁদল। আর মনে মনে ভাবল, পাথরমানুষ হয়েই তো সে ভাল ছিল, মানুষ হবার দুর্মতি কেন হল! পাথরমানুষ মনে মনে মেঘকে বলল "মেঘ, আমি হিতাহিতজ্ঞানশূণ্য হয়ে তোমাকে আঘাত দিয়েছি। পারলে আমাকে ক্ষমা কোরো। আর তোমার বৃষ্টি যেন বন্ধ না হয়।"

    বোধ হয় মেঘ পাথরমানুষের মনেমনে বলা কথাগুলো শুনতে পেয়েছিল। তা নইলে সেদিন রাত্তিরে পাথরমানুষ দূর থেকে বৃষ্টির টুপটাপ শুনতে পাবে কেন!
  • de | 24.139.***.*** | ১৮ মার্চ ২০১৬ ১৩:২৯480254
  • ভারী সুন্দর!!
  • উফ! | 74.233.***.*** | ১৯ মার্চ ২০১৬ ১৩:১৮480255
  • কুছু বোলার নেই!
  • Abhyu | 85.137.***.*** | ২০ মার্চ ২০১৬ ২০:৩৮480256
  • আগে দেখি নি। খুব সুন্দর লেখা। কঙ্কালের টঙ্কারটাও।
  • r2h | 49.37.***.*** | ১৭ জুন ২০২০ ০১:০১732224
  • ভুলুর গল্পটা খুঁজছিলাম, তুলে রাখি।
  • গবু | 223.223.***.*** | ১৭ জুন ২০২০ ১১:৩৪732231
  • বাঃ আগে পড়িনি। হুতো বাবুকে থ্যাংকু।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন