এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • achintyarup | 59.93.***.*** | ২৮ মার্চ ২০১১ ০০:৩২468912
  • দ্য ইলাস্ট্রেটেড লণ্ডন নিউজ-এ ১৮৬৪-এর ঝড়ের কথা উইথ ছবি। নভেম্বর ১৯, ১৮৬৪-র কাগজ :


  • achintyarup | 59.93.***.*** | ২৮ মার্চ ২০১১ ০০:৩৩468913
  • সরি, কথা নাই, কেবলই আঁকা ছবি
  • achintyarup | 59.93.***.*** | ২৮ মার্চ ২০১১ ০০:৩৪468914
  • কথা মনে হয় পরের পাতায় আছে। খুঁজে পেলে পোস্ট করব
  • Nina | 68.84.***.*** | ২৮ মার্চ ২০১১ ০৫:৩০468915
  • কি সুন্দর এক ইতিহাসের পাতা---চিন্টুবাবু তোমারে সেলাম।
  • achintyarup | 121.24.***.*** | ২৮ মার্চ ২০১১ ১৭:১৭468916
  • ধন্যবাদ সক্কলকে। এই সব ঝড়গুলির বিষয়ে কেউ আর কোনো নতুন তথ্য পেলে এই টইয়ে দিয়ে দিয়েন প্লিজ
  • san | 14.96.***.*** | ২৮ মার্চ ২০১১ ১৮:১৫468917
  • প্রোচোন্ডো ভালো লাগল।
  • ranjan roy | 122.168.***.*** | ২৯ মার্চ ২০১১ ০২:২২468918
  • এসব ব্যাপারে কিচ্ছু জানতাম না। ৩৬ গড়ে এধরণের ঝড় হয় না, সম্ভবত: প্রাকৃতিক কারণে।
    অচিন্ত্যকে ধন্যবাদ!
  • Tim | 173.163.***.*** | ২৯ মার্চ ২০১১ ০৯:৪০468919
  • অচিন্ত্যদার জন্য বেশ কিছু ভালো লেখা পড়া হচ্ছে আজকাল। থ্যাঙ্কু।
  • DB | 59.94.***.*** | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ১৯:২১468920
  • ঝড়ের কথায় মনে পড়ে গেল জাপানের সাম্প্রতিক সুনামির ছবিগুলো । প্রকৃতির এমন ধংসলীলা আমি আগে কখনও দেখিনি। টিভিতে দেখছিলাম আর শিউরে উঠছিলাম !! কথায় বলে জল ই জীবন আবার জলেরই আর এক ভয়ঙ্করী রূপ । অসংখ্য গাড়ি বাড়ি এমন কি জাহাজ এমন ভাবে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল যেন কেউ পুরন ভাঙা বাতিল খেলনাগুলো জল দিয়ে ধুয়ে ঘর পরিস্কার করছে । লিখুন না কেউ এই সুনামি সম্পর্কে -বিশেষ করে যদি কোন প্রত্যক্ষ দর্শী থাকেন .....
  • DB | 59.94.***.*** | ০৪ এপ্রিল ২০১১ ১৯:৩০468922
  • অচিন্ত্যবাবুর লেখাটা শুরু হয়েছিল বেশ রোমাঞ্চকর ভাবে। আরো একটু হলে ভালো লাগত। শেষ হয়ে গেল বড় তাড়াতাড়ি
  • achintyarup | 121.24.***.*** | ২২ এপ্রিল ২০১১ ০১:১১468923
  • দুটো বইয়ের কথা বলে রাখি। যাঁদের ঝড়বিষ্টি সম্পর্কে আগ্রহ আছে, পড়ে দেখতে পারেন, আলেক্সাণ্ডার ফ্রেটার সাহেবের "চেজিং দ্য মনসুন'। বাদল মেঘের পিছু ধাওয়া করতে করতে কেরালা থেকে চেরাপুঞ্জি পর্যন্ত গিয়েছিলেন সাহেব। বেশ রসময় লেখা।

    এ বিষয়ে যাঁদের আরও বেশি, মানে বাড়াবাড়ি রকমের আগ্রহ আছে, তাঁরা পড়ে দেখতে পারেন পি কে দাসের লেখা "দ্য মনসুন'। এ বই কিন্তু বেশ তঙ্কÄপূর্ণ।

    কলকাতায় বেশ খানিকটে ঝড়বৃষ্টি হয়ে গেল আজকে।
  • achintyarup | 59.93.***.*** | ০৯ জানুয়ারি ২০১২ ০৩:৪৯468924
  • ১১৮৭ সাল। জুন মাস। ৪৯ নম্বর পার্ক স্ট্রীটের বাড়িতে বসে সিন্ধুতরঙ্গ নামের একটি কবিতা লেখেন রবীন্দ্রনাথ। কবিতার নামের নিচে লেখা: পুরী-তীর্থযাত্রী তরণীর নিমজ্জন উপলক্ষে

    মানসী কাব্যগ্রন্থের সেই কবিতা নিচে টুকে দিলুম:

    দোলে রে প্রলয় দোলে          অকূল সমুদ্র-কোলে,
                         উৎসব ভীষণ।
    শত পক্ষ ঝাপটিয়া               বেড়াইছে দাপটিয়া
                           দুর্দম পবন।
    আকাশ সমুদ্র-সাথে               প্রচণ্ড মিলনে মাতে,
             অখিলের আঁখিপাতে আবরি তিমির।
    বিদ্যুৎ চমকে ত্রাসি,              হা হা করে ফেনরাশি,
             তীক্ষ্ণ শ্বেত রুদ্র হাসি জড়-প্রকৃতির।

    চক্ষুহীন কর্ণহীন                  গেহহীন স্নেহহীন
                          মত্ত দৈত্যগণ
             মরিতে ছুটেছে কোথা, ছিঁড়েছে বন্ধন।

    হারাইয়া চারি ধার                নীলাম্বুধি অন্ধকার
                       কল্লোলে, ক্রন্দনে,
    রোষে, ত্রাসে, ঊর্ধ্বশ্বাসে        অট্টরোলে, অট্টহাসে,
                          উন্মাদ গর্জনে,
    ফাটিয়া ফুটিয়া উঠে,             চূর্ণ হয়ে যায় টুটে,
                খুঁজিয়া মরিছে ছুটে আপনার কূল --
    যেন রে পৃথিবী ফেলি            বাসুকী করিছে কেলি
                সহস্রৈক ফণা মেলি, আছড়ি লাঙ্গুল।
    যেন রে তরল নিশি               টলমলি দশ দিশি
                          উঠিছে নড়িয়া,
                আপন নিদ্রার জাল ফেলিছে ছিঁড়িয়া।

    নাই সুর, নাই ছন্দ                অর্থহীন, নিরানন্দ
                          জড়ের নর্তন।
    সহস্র জীবনে বেঁচে                ওই কি উঠিছে নেচে
                           প্রকাণ্ড মরণ?
    জল বাষ্প বজ্র বায়ু               লভিয়াছে অন্ধ আয়ু,
                নূতন জীবনস্নায়ু টানিছে হতাশে,
    দিগ্বিদিক নাহি জানে,             বাধাবিঘ্ন নাহি মানে
                ছুটেছে প্রলয়-পানে আপনারি ত্রাসে;
    হেরো, মাঝখানে তারি            আট শত নরনারী
                           বাহু বাঁধি বুকে,
               প্রাণে আঁকড়িয়া প্রাণ, চাহিয়া সম্মুখে।

    তরণী ধরিয়া ঝাঁকে--             রাক্ষসী ঝটিকা হাঁকে,
                        ""দাও, দাও, দাও!''
    সিন্ধু ফেনোচ্ছল ছলে              কোটি ঊর্ধ্বকরে বলে,
                        ""দাও, দাও, দাও!''
    বিলম্ব দেখিয়া রোষে             ফেনায়ে ফেনায়ে ফোঁষে,
                নীল মৃত্যু মহাক্রোশে শ্বেত হয়ে উঠে।
    ক্ষুদ্র তরী গুরুভার                সহিতে পারে না আর,
                  লৌহবক্ষ ওই তার যায় বুঝি টুটে।
    অধ ঊর্ধ্ব এক হয়ে                 ক্ষুদ্র এ খেলনা লয়ে
                         খেলিবারে চায়।
                 দাঁড়াইয়া কর্ণধার তরীর মাথায়।

    নরনারী কম্পমান                ডাকিতেছে, ভগবান!
                          হায় ভগবান!
    দয়া করো, দয়া করো!          উঠিছে কাতর স্বর,
                         রাখো রাখো প্রাণ!
    কোথা সেই পুরাতন              রবি শশী তারাগণ
                কোথা আপনার ধন ধরণীর কোল!
    আজন্মের স্নেহসার             কোথা সেই ঘরদ্বার,
               পিশাচী এ বিমাতার হিংস্র উতরোল!
    যে দিকে ফিরিয়া চাই           পরিচিত কিছু নাই,
                         নাই আপনার--
                 সহস্র করাল মুখ সহস্র-আকার।

    ফেটেছে তরণীতল,             সবেগে উঠিছে জল,
                       সিন্ধু মেলে গ্রাস।
    নাই তুমি, ভগবান,            নাই দয়া, নাই প্রাণ--
                         জড়ের বিলাস।

    ভয় দেখে ভয় পায়,            শিশু কাঁদে উভরায়--
             নিদারুণ হায়-হায় থামিল চকিতে।
    নিমেষেই ফুরাইল,             কখন জীবন ছিল
              কখন জীবন গেল নারিল লখিতে।
    যেন রে একই ঝড়ে            নিবে গেল একত্তরে
                         শত দীপ আলো,
              চকিতে সহস্র গৃহে আনন্দ ফুরালো।

    প্রাণহীন এ মত্ততা            না জানে পরের ব্যথা,
                       না জানে আপন।
    এর মাঝে কেন রয়           ব্যথাভরা স্নেহময়
                       মানবের মন।
    মা কেন রে এইখানে,        শিশু চায় তার পানে,
           ভাই সে ভায়ের টানে কেন পড়ে বুকে।
    মধুর রবির করে              কত ভালোবাসা-ভরে
             কতদিন খেলা করে কত সুখে দুখে।
    কেন করে টলমল              দুটি ছোট অশ্রুজল,
                      সকরুণ আশা।
             দীপশিখাসম কাঁপে ভীত ভালোবাসা।

    এমন জড়ের কোলে            কেমনে নির্ভয়ে দোলে
                      নিখিল মানব।
    সব সুখ সব আশ              কেন নাহি করে গ্রাস
                       মরণ দানব।
    ওই-যে জন্মের তরে            জননী ঝাঁপায়ে পড়ে
            কেন বাঁধে বক্ষ-'পরে সন্তান আপন।
    মরণের মুখে ধায়,              সেথাও দিবে না তায়--
             কাড়িয়া রাখিতে চায় হৃদয়ের ধন।

    আকাশেতে পারাবারে            দাঁড়ায়েছে এক ধারে
                        এক ধারে নারী,
               দুর্বল শিশুটি তার কে লইবে কাড়ি?

    এ বল কোথায় পেলে,          আপন কোলের ছেলে
                        এত ক'রে টানে।
    এ নিষ্ঠুর জলস্রোতে            প্রেম এল কোথা হতে
                         মানবের প্রাণে।
    নৈরাশ্য কভু না জানে,         বিপত্তি কিছু না মানে,
               অপূর্ব অমৃতপাটে অনন্ত নবীন--
    এমন মায়ের প্রাণ               যে বিশ্বের কোনোখান
           তিলেক পেয়েছে স্থান সে কি মাতৃহীন?
    এ-প্রলয় মাঝখানে              অবলা জননী-প্রাণে
                       স্নেহ মৃত্যুজয়ী--
           এ স্নেহ জাগায়ে রাখে কোন্‌ স্নেহময়ী?

    পাশাপাশি এক ঠাঁই             দয়া আছে, দয়া নাই--
                        বিষম সংশয়।
    মহাশঙ্কা মহা-আশা             একত্র বেঁধেছে বাসা,
                       এক-সাথে রয়।
    কে বা সত্য, কে বা মিছে,      নিশিদিন আকুলিছে,
             কভু ঊর্ধ্বে কভু নীচে টানিছে হৃদয়।
    জড় দৈত্য শক্তি হানে,           মিনতি নাহিক মানে--
             প্রেম এসে কোলে টানে, দূর করে ভয়।
    এ কি দুই দেবতার               দ্যূতখেলা অনিবার
                        ভাঙাগড়াময়?
                চিরদিন অন্তহীন জয়পরাজয়?
  • achintyarup | 59.93.***.*** | ০৯ জানুয়ারি ২০১২ ০৩:৫০468925
  • স্পেসগুলো ঠিক হয় নাই :-(
  • achintyarup | 59.93.***.*** | ০৯ জানুয়ারি ২০১২ ০৪:৪৪468926
  • দিন কয় আগে ভোর বেলা গঙ্গার ধার দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে পৌঁছে গিয়েছিলাম হাওড়ার পুলের গোড়ায় ফুলের হাটে। চারদিকে ডাঁই করে রাখা নানা রঙের রাশিকৃত ফুলের মাঝখানের কাদামাখা সরু পথ দিয়ে দক্ষিণমুখে হাঁটছি। ডানদিকে হুগলী নদী, একের পর এক ঘাট। কিন্তু ফুলের বাজারের হাজার দোকানের আড়ালে নদী চোখে পড়ে না। চলতে চলতে ডাইনে বাঁক নিয়ে দুই দোকানের সারির মাঝের সরু শুঁড়িপথ ধরে পৌঁছে যাই এক ঘাটে। ছোট্টুলাল দুর্গাপ্রসাদ ঘাট। দুধারে দেওয়াল-তোলা বাঁধানো চাতাল ধরে খানিকটা গিয়ে সিঁড়ি। তারও পর খানিকটা এগিয়ে জলে নামার ধাপ। বাজার থেকে চাতালে ঢুকতেই পরিবেশ পাল্টে যায় একেবারে। আমি যেন কলকাতা শহরেই নেই আর। চলে এসেছি এমন কোথাও, যেখানে সময় থেমে থাকে এক জায়গায়। চাতালের গা বরাবর উঁচু ধাপিতে দেওয়ালের গা ঘেঁষে সবুজ চাদরে গা মাথা মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে থাকে কেউ, সাদা ঘোমটা-টানা বুড়ি বসে থাকে ভিক্ষের আশায়। ঠিক সেইখানে, ডানদিকে লাল রং-করা দেওয়ালের গায়ে দেখি গাঁথা আছে বেলে পাথরের এক ফলক। খোদাই করে কিছু লেখা আছে তার ওপর -- বাংলা আর ইংরিজিতে। বাঁ দিকে বাংলা, ডানদিকে ইংরিজি। একটু অস্পষ্ট লাগে, একটু যেন কষ্ট করে পড়তে হয় সে লেখা:

    ইং ১৮৮৭ সালের ২৫-এ মে তারিখের ঝটিকাবর্ত্তে সার জন লারেন্স বাষ্পীয় জাহাজের সহিত যে সকল তীর্থযাত্রী (অধিকাংশ স্ত্রীলোক) জলমগ্ন হইয়াছেন তাঁহাদিগের স্মরণার্থ কয়েকটী ইংরাজ রমণী কর্ত্তৃক এই প্রস্তর ফলক খানি উৎসর্গীকৃত হইল।

    This stone is dedicated by a few Englishwomen to the memory of those pilgrims, mostly women, who persihed with the "Sir John Lawrence'' in the cyclone of 25th May, 1887

    ফলক কবে উৎসর্গ করা হয়েছিল তার তারিখ লেখা নেই, তবে দুর্ঘটনার কয়েক মাসের মধ্যে হওয়াই সম্ভব। যদিও এই জাহাজডুবি নিয়ে এদেশে এবং বিলেতে তোলপাড় চলেছিল বেশ কিছুদিন ধরে। সে কথা লিখব।
  • achintyarup | 59.93.***.*** | ১০ জানুয়ারি ২০১২ ০৪:৫০468927
  • তখনও পুরী যাওয়ার রেলরাস্তা হয়নি। এখনকার মত জলভাত ছিল না শ্রীক্ষেত্র দর্শন। কলকাতা থেকে জগন্নাথধামে পৌঁছতে হলে জাহাজে উঠে যেতে হত বালেশ্বরে, সেখান থেকে নৌকায় কটক, সেখান থেকে খানিক হেঁটে, খানিক পাল্কিতে, খানিক গরুর গাড়িতে পুরী। অবন ঠাকুরের ভূতপত্‌রীর দেশের কথা মনে আছে না?

    কলকাতার ক্লাইভ ঘাট স্ট্রীটের ম্যাকলিন অ্যাণ্ড কোম্পানির জাহাজ ছিল
    সার জন লরেন্স। ১৮৮৭ সালে সে জাহাজে বালেশ্বরের চাঁদবালি পর্যন্ত যাওয়ার ভাড়া ছিল তিন টাকা দু পয়সা। তবে জাহাজ কোম্পানি ডিমাণ্ড-সাপ্লাইয়ের নিয়ম মেনে চলত। যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে গেলে ভাড়াও বেড়ে যেত চড়চড়িয়ে। সে বছর ২৫ মে তারিখে কয়লাঘাট জেটি থেকে বহু যাত্রী উঠেছিলেন জন লরেন্সে। ঠিক কত ছিল সেদিন যাত্রীর সংখ্যা তার হিসেব কোম্পানি কোনওদিনই দেয়নি। তবে ভিড় বেড়ে যাওয়ার কারণে ভাড়া বাড়িয়ে প্রথমে করা হয়েছিল পাঁচটাক দু পয়সা এবং জাহাজে ওঠার পর যাত্রীদের বলা হয়েছিল মাথাপিছু আরও একটাকা করে বেশি দিতে হবে। সে টাকা যারা দিতে পারেনি, তাদের নাকি নামিয়ে দেওয়া হয়েছিল ঘাড় ধরে।

    আশুতোষ চ্যাটার্জি নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী পরবর্তীকালে বলেন, তাঁর বাড়ির লোকেদের জাহাজে তুলতে গিয়ে তিনি দেখেন আপার ক্লাস আর লোয়ার ক্লাস, দুই ডেকেই প্রচণ্ড ভিড়। যাত্রীদের বেশিরভাগই ছিলেন মহিলা। এমন গাদাগাদি করে নাকি লোক তোলা হয়েছিল, যে ডেকের ওপর যাত্রীদের ঘাড় ঘোরানোর মত জায়গাটুকু পর্যন্ত ছিল না।
  • achintyarup | 59.93.***.*** | ১১ জানুয়ারি ২০১২ ০৪:১৪468928
  • ঝড় আসবে সে কথা আগে থেকে জানা ছিল না তা কিন্তু নয়। জাহাজ ছেড়েছিল ২৫ মে, আর সেই দিনেরই ভোরের কাগজ ইংলিশম্যান-এর আবহাওয়াবার্তায় প্রচণ্ড ঝড়ের সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছিল। লেখা হয়েছিল মেদিনীপুর এবং কটকের মাঝামাঝি অঞ্চলে সে ঝড়ের কেন্দ্র (ওই এলাকায় তৈরি হয়েছিল নিম্নচাপ ক্ষেত্র)এবং বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকবে সে কথাও বলা হয়েছিল। এই সতর্কবার্তা সঙ্কেÄও শত শত যাত্রী নিয়ে ২৫ তারিখ রাত্রে কয়লাঘাট জেটি ছাড়ল সার জন লরেন্স। আর সে রাত্রেই এল ঝড়।

    (১২২ বছর পর একই তারিখে আর এক মারাত্মক ঝড় তছনছ করে দিয়েছিল দক্ষিণবঙ্গ, বিশেষ করে সুন্দরবন অঞ্চল। ২০০৯-এর ২৫ মে-র সেই সাইক্লোনের নাম ছিল আইলা। ঝড়ের পর বেশ কয়েকদিন বার বার সুন্দরবনে গিয়ে মানুষকে পশুর মত বেঁচে থাকতে দেখেছি। এমন সব অভিজ্ঞতার কথা শুনেছি যা বিশ্বাস হতে চায় না, শুনলে মনে হয় গল্পকথা। তবে সে সব কথা পরে কখনও বলব।)
  • Manish | 59.9.***.*** | ১১ জানুয়ারি ২০১২ ১৫:০৯468929
  • অচিন্ত আরো লেখা চাই।
  • achintyarup | 115.***.*** | ১১ জানুয়ারি ২০১২ ২১:২২468930
  • যাক, কেউ অন্তত পড়চে ;-)
  • siki | 122.177.***.*** | ১১ জানুয়ারি ২০১২ ২২:১১468931
  • না না পড়্‌চি তো!
  • sda | 117.194.***.*** | ১১ জানুয়ারি ২০১২ ২২:১৬468933
  • আম্মো পড়ছি। হেব্বি।
  • I | 14.96.***.*** | ১১ জানুয়ারি ২০১২ ২২:২৬468934
  • লেখেন কত্তা !
  • Somnath2 | 207.239.***.*** | ১১ জানুয়ারি ২০১২ ২২:৫৬468935
  • হগলেই পড়তাসে। আফনে ল্যাহা থামাইয়েন না।
  • Lama | 203.132.***.*** | ১১ জানুয়ারি ২০১২ ২৩:১৯468936
  • হাম ভি পড়তা হ্যায়
  • aka | 168.26.***.*** | ১২ জানুয়ারি ২০১২ ০২:৪০468937
  • অচিন্টি পড়তাসি তো। অন্য প্রসঙ্গে পরের বার দেশে গেলে সকালের ট্যুরটা পাক্কা, চীনে ব্রেকফাস সহ।
  • achintyarup | 59.93.***.*** | ১২ জানুয়ারি ২০১২ ০৩:৫৭468938
  • যাক বাবা, বেশ খুশি হওয়া গেল :-))

    আকা: আমাদের ঘাটভ্রমণের সেকেণ্ড ল্যাপের পরিকল্পনা চলছে। যেক্কোনো দিন ভোর্ভোর বেরিয়ে পড়ব। বেশ জমিয়ে শীতটাও পড়েছে।
  • aka | 75.76.***.*** | ১২ জানুয়ারি ২০১২ ০৭:১৮468939
  • তাইলে রিপিট টেলিকাস্টের জন্য প্রস্তুত থাকো। আমি গেলে আবার চাই। :)
  • pi | 128.23.***.*** | ১২ জানুয়ারি ২০১২ ০৭:৩০468940
  • অচিন্তিদা, আইলার পরের কথা পড়বো বলেও বসে।
  • achintyarup | 59.93.***.*** | ১৩ জানুয়ারি ২০১২ ০৫:১৬468941
  • ক দিন ধরে কোনো খোঁজই মিলছে না সার জন লরেন্সের। খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না মাল জাহাজ রিট্রিভারের। এত সহজে কি তলিয়ে যাবে জন লরেন্স? ক্যাপ্টেন আরউইন আছেন ওই জাহাজের দায়িত্বে। তেরো বছর আগে, ১৮৭৪ সালেও তো এরকম ভয়ঙ্কর ঝড়ে পড়েছিল সার জন লরেন্স। সাগরদ্বীপের দক্ষিণে, স্যাণ্ডহেডের কাছে। পাঁচ দিন ধরে কোনো পাত্তা মেলেনি। শেষ পর্যন্ত আরউইনের জন্যেই তো সে যাত্রা বেঁচে গিয়েছিল। নিরাপদে মাদ্রাজে পৌঁছে নোঙর ফেলতে পেরেছিল। এমন অভিজ্ঞ ক্যাপ্টেন যখন আছেন, আজ হোক কাল হোক, ঠিক ফিরে আসবে সে জাহাজ।

    ২৭ মে তারিখে বালেশ্বরের চাঁদবালি (Chanbally) স্টিমার ঘাটা থেকে তার এল -- এখনো এসে পৌঁছয়নি আরউইনের জাহাজ। তাও ৩০ মে-র ইংলিশম্যান কাগজে বিজ্ঞাপন বেরোল ১ জুন তারিখে কয়লাঘাট থেকে যাত্রী নিয়ে বালেশ্বরের দিকে রওয়ানা হবে সার জন লরেন্স। কলকাতায় ফিরবে ৩ জুন।
  • | ***:*** | ০৪ মে ২০১৯ ১১:০০468942
  • তুলে রাখি
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন