অষ্টনায়িকা ১
বাসকসজ্জিতা
যে সব কৃষ্ণ একা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে
জ্বলেছিল বিকেলে ভোরের ফুল হাতে নিয়ে,
তাদের কারুবাসনা নিয়ে কত নাকফুল
গেঁথেছি নাকে,আঁচড়েছি এলো চুল।
কত রাগ,বিস্ময়,হতাশ দীর্ঘনিশ্বাস-
লুব্ধ তরুণের ময়লা,ময়াল বাহুপাশ;
ব্যর্থ করে হেঁটে গেছি মরালগামিনী,
পায়ে ব্যঙ্গহাসি নুপূর বেজেছে রিনিঝিনি।
কত শুকনো স্ততি,প্রণয় নিবেদন,অলীক প্রেমকাহিনি-
বলা বাহুল্য,তাতে চিঁড়েচ্যাপ্টা হয়েছি,চিত্ত ভেজেনি।
প্রেমপাগলের হৃৎপিন্ড মালা গেঁথে পরেছি গলায়,
বিকেলে পর্দা সরিয়েও দাঁড়াইনি জানালায়।
বুক দুরুদুরু,মন উড়ুউড়ু:যত্ত কাঁচা ছেলের দল-
মন খুলে বকবক করেছি ,হেসেছি অনর্গল।
মোহদৃষ্টি থেকে সিঁচে নেওয়া কাজল মদির,
কটাক্ষে ঘায়েল করেছি কত বীর-মহাবীর।
নওলকিশোরের রাতস্বপ্নের জ্যোৎস্না শ্বেত,
নিষিদ্ধ যত কুহকের হাতছানির লজ্জারেত-
তেমনি সাদা সব জুঁই-বেলি,চিকন চামেলি নিয়ে
বেঁধেছি ফুলবেণী,পুষ্পবাণ নিয়েছি শানিয়ে।
তবে এখন কেন সাজি?কেনো...সাজি?
এখন কেন হাতছানি দেয় অতল জলরাজি?
বুঝি গো সই-আমার ডুবতে সাধ যায় ভারি;
পথের বঁধুর ডাক ,এবার শুনেছে নারী।