ভাটিয়ালিতে এসব লম্বা লম্বা পোস্ট লিখলে হারিয়েও যায়। নিজেরই খেয়াল থাকেনা দুদিন আগে কি লিখেছিলাম। তাছাড়া অনেকে পছন্দ করেনা। তাই এই টই। যতখুশি লেখো, যাখুশি লেখো।
ক'টা পর্যন্ত ভোট? কখন ফল বেরুনো শুরু হবে?
ভারতীয় সময় ভোর সাড়ে চারটে।
আজকে গুগল খুলে এদ্দিনে জানতে পারলুম ট্রাম্প বিডেন ছাড়াও হওয় হকিন্স (গ্রীন পার্টি )আর জো জার্গেনসেন (লিবেরেটারিয়ান পার্টি ) -আরো দুজন প্রেসিডেনশিয়াল ক্যান্ডিডেট আছেন। :) :)
কলকাতায় আমার ছোটবেলার পাড়ায় দুজন উকিল ছিলেন। তারা প্রতি ভোটে নির্দল হয়ে দাঁড়াতেন , যাতে পুলিশ তাদের আম্বাসাডর গুলো ভোটের কাজে নিতে নাপারে , তখন এরকম নাকি হতো। এদেরও সেরকম কিছু আছে নাকি ?:) :)
রুঝান আনে লাগে হ্যায়
ফ্লোরিডায় বাইডেন ধীরে ধীরে পিছিয়ে parhachhe
এই মূহুর্তে ফ্লোরিডা অত গুরুত্বপূর্ন লাগছে না!
কিন্তু টেক্সাস আর ওহায়োও তো লালে লাল হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে মানে হবারই ছিল নো সারপ্রাইজ দেয়ার
faksa কন্সিস্টেন্টলি বাইডেনকে এগিয়ে রাখছে। এটা কি মেক শিওর করার জন্য যে ট্রাম্প যাতে তাদের ওপর প্রেশার ক্রিয়েট না করে তাকে উইনার ঘোষনা করার জন্য ?
সবকটা জঘণ্য রিপাব্লিকান সেনেটার আবার ক্যাপিটলে ফিরছে।
শেষ ফল বাইডেণ ৩০৬ - ট্রাম্প ২৩২। এখনও ভোট গণনা চলছে। তবে বেশিরভাগ রাজ্যে প্রায় সব ভোট গোণা শেষ হয়ে গেছে। বাইডেন এগিয়ে রয়েছে প্রায় ৫৩ লাখ ভোটে। এইযে গণনা চলছে, এইটা প্রতি ইলেকশানেই হয়। কিন্তু এইরকম ফলের পর হেরে যাওয়া প্রার্থী জিতে গেছি বলে বসে থাকেনা। তাই আমরা খেয়াল রাখিনা।
অফিশিয়ালি এই মাসে শেষ সপ্তাহে বা ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে রাজ্যগুলো অফিশিয়ালি রেজাল্ট সার্টিফাই করবে। এর মধ্যে উইসকনসিনে রিকাউন্ট চেয়েছে ট্রাম্প ক্যাম্পেইন, কিন্তু তার খরচ দিয়ে উঠতে পারবে কিনা সন্দেহ। ওদিকে জর্জিয়ার রিপাব্লিকান সেক্রেটারি অব স্টেট নিজে থেকেই হ্যান্ড রিকাউন্টের নির্দেষ দিয়েছে। তবে এই দুই রাজ্যে বাইডেণ এগিয়ে আছে যথাক্রমে ২০,৫০০ এবং ১৪,০০০ ভোটে। অ্যারিজোনাতেও হতে পারে রিকাউন্ট যেখানে বাইডেণ এগিয়ে আছে ১০,০০০ ভোটে। কোনও রিকাউন্টে এত ভোট এদিক ওদিক হওয়া সম্ভব নয়।
অন্যদিকে প্রচুর লস্যুট এনেছে ট্রাম্প ক্যাম্পেইন। বেশিরভাগই ফ্রিভোলাস, কোনও ভিত্তিই নেই। এক্জন বলেছে যে এইসব লস্যুট আসলে "tweet with a filing fee"
ট্রাম্প, ট্রাম্প ক্যাম্পেইন, আর ট্রাম্প ভক্তদের দাবীদাওয়ার কিছু নমুনাঃ
১) অ্যারিজোনাতে একজন মহিলার ভিডিও খুব ভাইরাল হল যে তার নামে অন্য কেউ ভোট দিয়ে দিয়েছে। পরে দেখা গেলো যে তিনি বেশ কিছু তথ্য ভুল দিয়েছেন। ভদ্রমহিলা বোধয় জানতেন না যে সরকারের কাছে সব তথ্য আছে। কোর্ট থেকে বলা হল যে ভদ্রমহিলা বোধয় পার্জারি করেছেন।
২) পোস্ট অফিসের এক কর্মচারী একটা ভিত্তিহীন অভিযোগ করলো। সাইন্ড এফিডেফিড দিলো। ইনভেস্টিগেটরদের সামনে পড়তেই এফিডেভিট পরিবর্তন করে দিল।
৩) একজন দাবী করেছে যে তিনি যখন কাউন্টিং সেন্টারে ছিল তখন দেখেছে সেখানে একটা ভ্যানের পিছন থেকে কিসব নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি নিজেই দাবী করলেন যে কাউন্টিং সেন্টারের বহু লোকের খাবার কম পড়েছিল। কিন্তু ঐ ভ্যানে অত খাবার নিয়ে আসা সম্ভব নয়।
৪) একজন একটা ভিডিও টুইট করেছেন যেখানে দেখা যাচ্ছে যে সরকারি পোল ওয়ার্কাররা (আইডি কার্ড দেখালো) ব্যালট ড্রপ বক্স থেকে ব্যালট নিয়ে যাচ্ছে। মানে যেভাবে কাজটা হয়, সেটাই ভিডিওতে দেখিয়েছে।
৫) ট্রাম্প ক্যাম্পেইনের একজন উকিল কেস ফাইল করলো যে কাউন্টিং সেন্টারে রিপাব্লিকান অবজার্ভার ছিলনা। কোর্টে জাজ জিগ্যেস করলেন যে অবজার্ভার ছিল? তিনো বললেন "নন-্জিরো অবজার্ভার ছিল"। জাজ আবারও জিগালেন যে ঠিক করে বল "অবজার্ভার ছিল কি ছিল না?"। তাতে উকিলের উত্তর "ছিল"। জাজ বললেন যে তাহলে এসেছো কি করতে?
৬) একজন অবজার্ভার দাবী করেছে যে তিনি কাউন্টিং সেন্টার থেকে ভয়ে চলে এসেছিলেন কারণ সেখানে বিএলেম লেখা টিশার্ট পড়ে একজন মুখে মাস্ক পড়ে ছিলেন।
৭) অ্যারিজোনাতে প্রথমে কেস করা হল যে স্কেচ পেনে ভোট দেওয়া ব্যালট সব ক্যানসেল করে দেওয়া হয়েছে। সেটা মিথ্যা প্রমাণ হতেই উল্টো কেস দিলো।
৮) একজন অবজার্ভার কমপ্লেইন করেছে যে তিনি একগাদা মিলিটারিদের পাঠানো ব্যালট দেখেছেন যেগুলোতে বাইডেনকে ভোট দেওয়া হয়েছে। অতএব সেগুলো ভুয়ো ব্যালট।
মোটামুটি এই পর্যায়েই চলছে।
ট্রাম্প ক্যাম্পেইনের বক্তব্য হলঃ ইলেক্শানে হেরে গেলেও কোর্টের কাজ হল ট্রাম্পকে জিতিয়ে দেওয়া।
ট্রাম্প এই কদিন কোনও কাজ করেনি। হোয়াইট হাউসের লেজারে দেখা যাচ্ছে। আজকে একটা প্রেস কনফারেন্সে জানিয়েছে যে এপ্রিলে ভ্যাকসীন পাওয়া যাবে। কিন্তু সেই ভ্যাকসীন নিউ ইয়র্ককে দেওয়া হবেনা।
শুধুমাত্র যেখানে যেখানে ট্রাম্প হেরেছে, সেখানেই নাকি কারচুপি হয়েছে। সব জায়্গাতে একই ব্যালটে সব ইলেকশান হয়েছে - প্রেসিডেন্ট থেকে একদম লোকাল ইলেকশান। কিন্তু শুধু ট্রাম্পের হার ছাড়া অন্য ইলেকশানের রেজাল্ট নিয়ে কারোরো কোনও আপত্তি নেই।
শোনা যাচ্ছে ট্রাম্প হয়তো এবারে নিজের টিভি চ্যানেল খুলবে। অলরেডী লোককে বলছে ফক্স নিউজ আর না দেখতে। বোধয় নিজের টিভি চ্যানেলের জন্য দর্শক জড়ো করছে। বহু রিপাব্লিকানরা যারা খুব শীঘ্রই নিজেদের কাজ হারাবে, তারা হয়তো সেই চ্যানেলে জায়্গা পাওয়ার জন্য বলে চলেছে যে ট্রাম্প জিতে গেছে। বহু রিপাব্লিকানরা জানে যে ট্রাম্পকে চটিয়ে এখন জিওপিতে টেকা সম্ভব নয়। তাই তালে তাল দিয়ে যাচ্ছে।
সেক্রেটারি অব স্টেট পম্পেও বলেছে যে ট্রাম্প সেকেন্ড টার্ম পাবে। অন্য কোনও দেশের বিদেশ মন্ত্রী ইলেকশানে হারার পর এই কথা বললেই এই পম্পেও ক্যু ক্যু করে শুরু করে দিত।
গতকয়েকদিনের মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য এবং উদ্বেগজনক ঘটনা হল ট্রাম্প ডিফেন্স সেক্রেটারি আর পেন্টাগনের বেশ কয়েকজন হাই র্যান্কিং অফিশিয়ালকে সরিয়ে নিজের চ্যালাদের বসিয়েছে।
এইবারের ইলেকশানে ট্রাম্প প্রত্যেকটা রাজ্যে গতবারের থেকে বেশি ভোট পেয়েছে। তারপরেও ৫টা রাজ্য হাতছাড়া হয়েছে। তিনটে চিরকালীন ব্লু স্টেট আবার ডেমোক্র্যাটরা জিতেছে। তার সাথে জর্জিয়া আর অ্যারিজোনা এবারে বাইডেণ জিতেছে।
এর একটা কারণ টার্নাউট। বেশি টার্নাউট হলে যে রিপাব্লিকানরা হেরে যাবে, সেটা এবারে প্রমাণিত। সেই কারণেই বিগত কয়েক দশক ধরে বিভিন্ন প্রকারে ভোটার সাপ্রেশান, বিশেষ করে মাইনরিটি এলাকাতে, করে এসেছে রিপাব্লিকানরা।
সম্ভবত বাইডেনও এইবারে সব রাজ্যেই হিলারির থেকে বেশি ভোট পেয়েছে। এমনকি কিছু রাজ্য যেগুলোকে ২০১৬ আর ২০২০ দুবারই ট্রাম্প পেয়েছে, সেখানে ২০২০তে বাইডেনের ভোট ২০১৬র ট্রাম্পের ভোট থেকে বেশি। টেক্সাসে গতবার ট্রাম্প পেয়েছিল ৪৬ লাখ ৮৫ হাজার। এইবারে বাইডেন পেয়েছে ৫২ লাখ ৬১ হাজার। অবশ্য গতবারের ৯% মার্জিন কমে হয়েছে সাড়ে পাঁচ পার্সেন্ট। ইউটাহতে একই ঘটনা ঘটেছে, তবে সেখানে ট্রাম্পের পক্ষে মার্জিন বেড়েছে। এছাড়াও ফ্লোরিডা আর ওয়েস্ট ভার্জিনিয়াতে ট্রাম্পের পক্ষে মার্জিন বেড়েছে।
রিপাব্লিকানদের পক্ষেও প্রচুর টার্নাউট বেড়েছে। এমনকি ডীপ রেড স্টেটগুলোতেও যেখানে ট্রাম্প আগেরবারই খুব ভালো ফল করেছিল, সেখানে ট্রাম্প এবারে আরো বেশি ভোট পেয়েছে। একটা ব্যাপার নোট করার মতন সেটা হল থার্ড পার্টিগুলোর ভোট খুব খুব কমে গেছে, বিশেষ করে লিবারেটেরিয়ানরা এইসব রেড স্টেটে বেশ কিছু ভোট পায়। সেটা এবারে হয়নি। এইটা খুবই চিন্তার ব্যাপার।
আমেরিকার ইলেকশান এখনও শেষ হয়নি। জর্জিয়াতে দুটো সেনেট রেস হবে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। এই ইলেকশানের আগের সেনেটে ডেমোক্র্যাটদের সীট ছিল ৪৫+২ জন ইন্ডিপেন্ডেন্ট। আর জিওপির ছিল ৫৩। এই ইলেকশানের পর সেটা হয়েছে ৪৬+২ এবং ৫০। বহু সেনেট সীট যেখানে ডেমোক্র্যাটরা জিতবে ভাবা হয়েছিল, যেমন আইওয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা, এবং মেইনে রিপাব্লিকানরা জিতে গেছে। ফলে এই জর্জিয়ার দুটো সীট জেতা নতুন বাইডেন অ্যাডমিনিস্ট্রেশানের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। তাহলে সেনেটে ৫০-৫০ হবে এবং কমলা হ্যারিস ভীপ হিসাবে টাই ভাঙবে। সেরকম হওয়ার সম্ভাবনা অবশ্য সত্যিই কম। জর্জিয়ার দুটো সীটের মধ্যে একটাও যদি ডেমোক্র্যাটরা জেতে, তাহলেও আমি ব্যক্তিগতভাবে স্বস্তি পাবো।
বাইডেণকে অন্তত আগামী দুবছর রিপাব্লিকানদের সঙ্গে নিয়েই কিছু কাজকর্ম করতে হবে। সেই কারণেই বাইডেন ইউনিটি, রীচিং আদার সাইড অব দ্য আইল, ক্যাবিনেটে কিছু মডারেটদের জায়্গা দেওয়ার কথা বলছে এবং ভাবছে। প্রোগ্রেসিভরা যদি ভেবে থাকে যে ট্রাম্প চলে যেতেই দেশে সোশালিজম চলে আসবে, তাহলে বলবো তারা বেশ নাইভ। ইট মে গো ব্যাক টু নর্মাল। এই অবধি।
বাইডেণ অ্যাডমিনিস্ট্রেশানের প্রথম কাজ হবে একটা বেশ বড় স্টিমুলাস বিল পাশ করা। সাধারণ লোকজন, ছোটো এবং মাঝারি ব্যবসায়ীদের হাতে ফান্ড পৌঁছে দিতে হবে। তারপর হয়ত তিন চার সপ্তাহ পুরো লকডাউন করে ভ্যাকসীনেসান চালাতে হবে। সেটা বিনা পয়সায় করে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ভ্যাকসীনেসানের পর অর্থনীতি চালু হলে তখন অন্য বিলগুলোকে সময়্মতন হাউস আর সেনেট ফ্লোরে নিয়ে আসতে হবে।
যতদূর মনে হচ্ছে দুটো তিনটে গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ করানোর চেষ্টা করবে বাইডেণ অ্যাডমিনিস্ট্রেশান পরের মিডটার্মের আগে। হেলথকেয়ার যে ডেমোক্র্যাটদের খুব পপুলার পলিসি সেটা সবাই বুঝেছে। সেই খাতে সরকারি খরচ বাড়নো হবে। ২০০৯ এর পর ফেডারাল মিনিমাম ওয়েজ বাড়ানো হয়নি। ফ্লোরিডাতে এই ইলেকশানে রেফারান্ডাম পেয়েছে। ফলে কিছু রিপাব্লিকানরা অন্তত সাড়ে বাড়ো ডলার করতে রাজী হয়ে যাবে। এছাড়া জাস্টিস রিফর্ম বা ইনফ্রাস্ট্রাকচার বিল আসতে পারে ফ্লোরে। সেগুলো যে খুব বেশিদূর যাবে, এমন আশা অবশ্য করিনা।
২০২২এর মিডটার্ম ইলেকশান ডেমোক্র্যাটদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেক্ষেত্রে এই ইলেকশানে ল্যান্ডস্লাইড না হয়ে ভালই হয়েছে। অনেকগুলো সেনেট সীট আছে যেগুলো ডেমোক্র্যাটরা ফ্লিপ করতে পারে। ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, আইওয়া, নর্থ ক্যারোলাইনা, পেনসিলভানিয়া, এবং উইসকনসিন। জিওপির কাছে সেরকম সুবিধার সীট বলতে অ্যারিজোনা। ২০২২এর মিডটার্মে কঙ্গ্রেসের দুটো চেম্বারেই মেজরিটি পেয়ে গেলে তখন কিছু প্রোগ্রেসিভ ইস্যুর কথা ভাবা যেতে পারে। জাস্টিস রিফর্ম, ইনফ্রাস্ট্রাকচার বিল, গ্রীন এনার্জি, ফ্রী কলেজ, ফার্ম সাবসিডিজ, বড়লোকদের ট্যাক্স বাড়ানো এইসবের মধ্যে দুটো তিনটে ইমপ্লিমেন্ট করা হবে।
নিউ গ্রীন ডীল হয়তো একসঙ্গে একটা পলিসি হিসাবে ইমপ্লিমেন্ট করা সম্ভব হবেনা। কিন্তু বিভিন্ন অন্য পলিসির সঙ্গে পীসমিল করে ইমপ্লিমেন্ট করা হবে। এখনই হচ্ছে।
মাঝে কয়দিন সিএনএন এই টপিকে খুব জ্বালাইছে
খাঁটি ফেক মিডিয়া
আপনি মাঝে মাঝে বো র ভিডিও দেন খেয়াল করেছি :) তাই সাহস করে মাঝারে এন্ট্রি দিলাম
শেষমুহুর্তে মিলিটারির লীডারশিপ চেন্জ করাটা কিন্তু খুব একটাও ইনকনসিকুয়েনসিয়াল নয়। কিছু ডিফেন্স পলিসি ইমপ্লিমেন্ট করার চেষ্টা তো করছেই। আফঘানিস্থান থেকে ট্রুপস তুলে নেওয়া হবে বলে শোনা যাচ্ছে। কিন্তু ইট'স হেল্পিং ট্রাম্প অ্যাজ ওয়েল। নিজের বেসকেও দেখাচ্ছে "বিজনেস অ্যাজ ইউজুয়াল"। কারণ ৮০%+ ট্রাম্প ভোটার মনে করে যে ট্রাম্প ইলেকশান জিতেছে। কিছু ক্যাওয়াস তৈরী করতেও পারে। তবে বাইডেণ এসেই এদেরকে রিপ্লেস করবে। তবে ট্রাম্প ভক্তদের দেখে মনে হচ্ছে না যে সিভিল ওয়ার করার মতন এনথুসিয়াজিম আছে।
হুম
বার বার প্রি ইলেকশান জনমত যাচাই এতো ভুল হচ্ছে কিভাবে ? ২০১৬ তে গরিব সাদাদের কে প্রশ্ন করা হয়নি তারা বললো সেই ভুল আর হবে না
এইভিডিও 8;30 থেকে দেখা যেতে পারে।
ট্রাম্প ভোতার দের ১৯% জরীপ কারী দের কাছে মিথ্যা বলেছে
বাইডেন ভোটারদের ৯% । কি মোরালিটির পার্থক্য হলো আর।
জেরিম্যান্ডারিং করার সময় প্রতি ইঞ্চি জানা গেছিলো -কিন্তু জরিপ সারপ্রাইজ দিন দিন বাড়ছে
আফগানিস্তান থেকে নাকি ওরকম সরানোর প্ল্যান অনেক আগের
এদের নিউজ তো বুশ এর সৈন্য সরানোর দোষ একটানা ওবামার উপর দিয়ে গেছে
এই ইলেকশান যে খুব ক্লোজ হতে চলেছে, সেটা না বুঝলে আর কিসের পোলস্টার কেজানে। সেতো গুরুর পাতাতেই বলে এসেছি বহুবার। জরিপকারীদের মিথ্যা বলাতে আমি কোনও মরালিটির ইস্যু দেখিনা। ট্রাম্প ভোটার মিথ্যা বলে যাতে জরিপকারী তাকে ইনস্ট্যান্ট জাজ না করে। আবার অন্যদিকে কিছু রুরাল বাইডেন ভোটাররা ভাবছে যে পাশের বাড়ির লোক যদি জেনে যায় যে ট্রাম্পকে ভোট দিচ্ছিনা, তাহলে কি হবে। মোটামুটি থাম্বরুল হিসাবে মার্জিন আদ্ধেক করে দিই। আর যদি দেখি লিখেছে টসাপ, মানে মার্জিন ১-২%, তাহলে বুঝি ট্রাম্প জিতবে। তবে এবারের ইলেকশানে ভোটার সাপ্রেশান নিয়ে খুব চিন্তায় ছিলাম। ব্যাটলগ্রাউন্ড স্টেটগুলোতে গ্রাসরুট ওয়ার্কাররা ভালই কাজ করেছে দেখা যাচ্ছে।
আফঘানিস্থান থেকে ওরকম ট্রুপস মাঝে মধ্যেই তোলা হয়। আবার পাঠানো হয়। নইলে ওখানে হয় তালিবানদের প্রভাব বাড়বে, নইলে রাশিয়ান আর্মি ঢুকবে।
হ্যা প্রতিবেশীর ব্যাপারটা তো বুঝি
মোরালিটির ইস্যু বলতে ট্রাম্পের ভোটার সব মিথ্যুক আর বাইডেনের ভোটার সব অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট ব্লা ব্লা ...
আমার হিসাব ছিলো মারজিন অব এরর ৩% ওরা যদিওবা ধরে আসলে ধরতে হবে ৬% +/- ।
১৮র ইলেকশানও খেয়াল করেছিলাম হঠাত তিন মাস আগে থেকে ব্লু ওয়েভ বলতে শুরু করা সেবারো দেখেছি
এবারো দেখলাম ( ৬ মাস আগে থেকে) ...
আশির দশকে একটা কথা শোনা যেত যে - লোকজন বিজয়ীর পক্ষে ভোট দিতে যেতে চায়
এই জন্য যেমন প্রাইমারিতে বাইডেন ভোট পাক বা না-পাক তাকেই আসল ক্যান্ডিডেট ধরে অজস্র আলাপ চালিয়ে গেছে টিভিতে ( সিএনএন) - এদিকে সে প্রথম তিন প্রাইমারিতে ফারস্ট সেকেন্ড থারড কোনো টাই না।
জরজিয়া ইত্যাদি তে মনে হয় ২০১৮ র ফলাফল সংগঠনের কাজে এসেছে।
আচ্ছা S বলেন দেখি জর্জিয়ার মোট কবার গোণা হবে? মানে একবার কাউণ্ট হল, তারপরে রিকাউণ্ট হল। এবার শুনি রিরিকাউণ্ট হবে। কদ্দিন চলবে?
ট্রাম্প ভোটাররা মিথ্যুক না তো। অনেকে হয়ত মেইনস্ট্রীম মিডিয়াকে, শহুরে এজেন্সিকে ভরসা করেনা। সে করতেই পারে। মাগারা কিন্তু ধরেই নিয়েছিল যে ট্রাম্প জিতছে। শহুরে লিবারলদের মতন তাদেরও নিজেদের বাবলে আছে। ফক্স ছাড়াও ওএনেন, কিউঅ্যানন, আর পার্লার এসে তাদেরও ইকোচেম্বার তৈরী হয়েছে। পোলিং নিয়ে আমি অতটা আর চিন্তা করছিনা।
এইযে ট্রাম্প আর হোয়াইট হাউস বলে চলেছে যে কাউন্ট অল লীগাল ভোট্স, অ্যান্ড নো ইল্লিগাল ভোট্স। এর কিন্তু অনেকরকম ইন্টারপ্রিটেশান আছে। এক্দল রিপাব্লিকান জানে যে ট্রাম্প ফেয়ার অ্যান্ড স্কোয়ার হেরেছে। কিন্তু সেটা মাগাদের ভয়ে বলছেনা। আরেকদল বিশ্বাস করছিল যে ভোটার ফ্রড হয়েছে। যেমন একজনের একাধিকবার ভোট দেওয়া, ভোটিং কাউন্টে গোলমাল করা, সিগনেচার ম্যাচ না করা ইত্যাদি। তারাও ক্রমশ হতাশ হয়ে পড়ছে। কারণ রুডি জুলিয়ানির বক্তব্য শুনে, কোনও প্রমাণ নেই দেখে, কোর্টে কেসগুলোর ফল দেখে, এবং মার্জিন দেখে বুঝতে পারছে যে আসলে হেরে গেছে। এরপর আসে আরেকটা দল যারা ইল্লিগাল ভোট মনে বোঝে প্রচুর ইল্লিগাল ইমিগ্রান্ট ভোট দিয়েছে। কিন্তু তাহলে তো ধরতে হয় যে ট্রাম্পের আমলে ইল্লিগাল ইমিগ্রেশান বেড়েছে। তাই তারা কথা পাল্টে চলে ক্রমাগত। তাছাড়া শুধু মিডওয়েস্টের তিনটে স্টেটের ফল পাল্টালে নাহয় ফ্রডের থিয়োরী বোঝা যেত। অ্যারিজোনা আর জর্জিয়াতে (রিকাউন্টের পরেও) বাইডেণ জেতায় তাদের সেই থিয়োরীতে জল।
ট্রাম্পের যে কোর বেস আছে, তাদের নিয়েই বেশি চিন্তা। এরা কিন্তু লীগাল ভোট বলতে সাদা ভোট আর ইল্লিগাল ভোট মানে নন-হোয়াইট ভোট বোঝে। কনজারভেটিভ মিডিয়ার কমেন্ট সেকশানে ঘোরাফেরা করলে দেখা যায় অনেকেই মনে করে যে ভোটিং রাইট্স অ্যাক্টের মাধ্যমে ননহোয়াইটদেরও ভোট দেওয়ার অধিকার দেওয়া ঠিক হয়নি। এদের অনেকের মতে এই অ্যাক্ট পাশ করার অধিকার আমেরিকার সরকারের নেই। এরা কিন্তু ট্রাম্পের আসল মেসেজটা লাউড অ্যান্ড ক্লিয়ার শুনতে পাচ্ছে। এরা গোলমাল বাঁধাতে পারে যেকোনও সময়। তবে ডিসিতে মিলিয়ন মাগা মার্চে তো বোধয় মাত্র হাজার দশেক লোক হয়েছিল। সেইটাই ভরসা।
ফ্লোরিডা আর সাদার্ণ টেক্সাসেও বহু হিস্পানিকরা যে ট্রাম্পকে ভোট দিল, এদের তো অবস্থা খারাপ হল। প্রথম প্রথম তো যুক্তি হিসাবে বলা হচ্ছিলো যে কালোরাও নাকি ট্রাম্পকে দিয়েছে, পরে দেখা গেলো সেটা স্পষ্টতই হয়নি। যেকারণে বাইডেন ব্ল্যাক কমিউনিটির জন্য বললো যে ইউ হ্যাড মাই ব্যাক, অ্যান্ড আই উইল হ্যাভ ইওর্স। সেটা কিন্তু অন্যদের লক্ষ করে বলেনি। এখন অনেকেই ল্যাটিনোরা ডাইভার্স কমিউনিটি, হার্ডওয়ার্কিং, ইন্ডিভিজুয়াল ফ্রীডম আর সাকসেসে বিশ্বাস করে, উই ডোন্ট ওয়ান্ট হ্যান্ডাউট্স, উই ওয়ান্ট অপুরচুনিটিজ ইত্যাদি বলছে বটে। কিন্তু এসব তো ট্রাম্প আর রিপাব্লিকানরাই হিস্পানিকদের নামে বলতো। বিশেষ করে এইযে ফ্লোরিডা প্রতি ইলেকশানে কুইন বী সেজে বসে থাকে যে তারাই ইলেকশানের ফল নির্ধারণ করবে সেই স্টেটাসটাও তো প্রায় যেতে বসেছে। এবারে দেখার যে এই দুই জায়্গার হিস্পানিকরা কোনদিকে যায়।
অভ্যু, একবার তো ফুল ম্যানুয়াল রিকাউন্ট হয়েছে। সেটাতে মার্জিন একটু কমলেও বাইডেন জিতেছে। সার্টিফাইও করে দেওয়া হয়েছে। যেহেতু মার্জিন ০.৫%এর থেকে কম, তাই ২ দিনের মধ্যে ট্রাম্প ক্যাম্পেইন আবারো রিকাউন্ট চাইতে পারে। চেয়েওছে। তবে এবারে মেশিনে রিকাউন্ট হবে আর খরচ জর্জিয়ার কাউন্টি সরকারগুলোকেই দিতে হবে। তবে জর্জিয়ার গভর্নর কেম্প বলেছে আরো একবার হ্যান্ড রিকাউন্ট করতে যেখানে সিগনেচার ম্যাচিংও করতে হবে। যদিও এই কেম্প খুবই বদলোক। কিন্তু সেসব কিছু হবে বলে মনে হচ্ছেনা।
দেখা যাক এই হপ্তায় কি নতুন নাটক আসে। ভালো টাইম পাস হচ্ছে কিন্তু সবার। ট্রাম্প নিজেও মনে হয় সেটা জানে , জাস্ট জল ঘোলা করে যাচ্ছে ।
:) :)
ট্রাম্প সম্ভবতঃ সুপ্রীম কোর্ট যাচ্ছে। যাওয়া উচিত। আর তখনই টেস্ট হবে আমেরিকান সিস্টেমের সো কলড চেকস অ্যান্ড ব্যালেন্সেস কত স্ট্রঙ্গ।
সুপ্রীম কোর্টে গিয়ে কি বলবে?
Trump lawyers mix up Michigan and Minnesota in latest court filing fail. It follows an election lawsuit filed in the wrong court.