এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • আর জি কর গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাপাঙ্গুল | 2406:7400:98:fcaa:adfc:ec10:ef08:***:*** | ০৪ আগস্ট ২০২৫ ০০:৫১540810
  • "কবি যেন তার বক্তব্যে আমাকে মানে পাঠককে কানেক্ট করতে পারে। আর সেই কানেকশনটা হয় তখন, যখন কবি তার অনুভূতির সাথে এবং বক্তব্যের সাথে সৎ থাকে।" - সেটা শুধু কবিতার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কেন ? যেকোনো শিল্পেরই সেটা একটা গন্তব্য।   
  • asim nondon | ০৪ আগস্ট ২০২৫ ০০:৪৪540809
  • আপনাদের কবিতা বিষয়ক কথার মাঝে আমি একটু নাক গলাই! 
     
    কবিতা বিষয়ে বিশেষ বক্তৃতা দিতে যাবো না। শুধু এটুকু কথা, কবিতায় বিশেষ মোচড় থাকা চাই। শব্দের ঝংকার, ছন্দ হোক বা না হোক। কবিতার কথায় যে ভাব আসবে, সে ভাবনায় যেন পাঠক বিদ্যুৎপৃষ্ঠ হোক বা না হোক অন্তত ভাবনার আকাশে মৃদু দোলা দিতে পারে! 
     
    কথাটা স্পষ্ট হয়তো এভাবে হয়, কবি যেন তার বক্তব্যে আমাকে মানে পাঠককে কানেক্ট করতে পারে। আর সেই কানেকশনটা হয় তখন, যখন কবি তার অনুভূতির সাথে এবং বক্তব্যের সাথে সৎ থাকে। কথা শেষ। ধন্যবাদ। 
     
    হালকা বিজ্ঞাপন: 
    আমার উপন্যাসের ৮ম পর্বের লিংক এখানে। সবাইকে পাঠের আমন্ত্রণ রইলো।
     
  • kk | 2607:fb91:17ad:4ed7:d02a:7695:c2f2:***:*** | ০৪ আগস্ট ২০২৫ ০০:১৭540808
  • ঐ গদ্য আর কবিতার অনবরত শেপশিফ্টিং নিয়ে আরো দুজনের নাম করবো -- অদিতি দাশগুপ্ত আর জগন্নাথদেব মন্ডল। এঁরা নিজেদের লেখাকে ডিস্টিংক্ট গদ্য আর কাব্য ক্যাটিগরিতে রাখেন হয়তো। কিন্তু পাঠকের জায়গা থেকে আমার মনে হয় কেবলই বদলে বদলে যাচ্ছে। গদ্য আর কবিতা বলে এদের আলাদা করা যাচ্ছেনা। হলোগ্রাফিক ইমেজের মত লাগে। পাঠককে একই সঙ্গে ভীষণ কোমল একটা অনুভূতিতে মুড়ে দেয়, আবার দূরে দাঁড়িয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জও জানায়।
  • kk | 2607:fb91:17ad:4ed7:d02a:7695:c2f2:***:*** | ০৪ আগস্ট ২০২৫ ০০:০৭540807
  • রঞ্জনদা,
    এইটা খুব ভালো আলোচনার সূত্রপাত হয়েছে। এত বিশদে লেখার জন্য থ্যাংকিউ (যদিও কেন যে মাঝেমাঝে আমাকে 'তুমি' ছেড়ে 'আপনি' করে লেখেন তাই নিয়ে ধন্ধে পড়ি)! আপনার বক্তব্য খুব পরিষ্কার বুঝতে পারলাম। আর এর উত্তরে হুতোর ২৩ঃ২০'র পোস্টের অনেকগুলো লাইনের সাথে পুরোপুরি সহমত হলাম। এটায় অবাকই হয়েছি কারণ কবিতা আমার চা-কেক নয়। গুরুর পাতায় কবিতার ক্ষেত্রে রঞ্জনদা আপনার সাথেও সহমত হলাম ফরিদার লেখা নিয়ে। ফরিদার অনুভূতি ছুঁতে কোনোদিন অসুবিধা হয়নি, কবিতা-আনপঢ় লোক হয়েও। সেই সাথে আমি যোগ করবো সনাতনের নাম। সনাতনের কবিতাগুলো প্রথম পড়াতেই মনের একেবারে ভেতরে সেঁদিয়ে যায়। আবার সেখানে বসেও আবার আবার পড়ার জন্য খোঁচা দেয়। সনাতনের চিত্রী ও কবি দুই স্বত্তাই আমাকে 'অনায়াস গভীরতা' কথাটার মানে বারবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। আর মনে দাগ কাটতো যখন টীম লিখতো। টীম গদ্যও লিখতো। ওর গদ্য আর কবিতাগুলো আমার কাছে মিলেমিশে যেতো। কিম্বা মনে হতো যেন কোনো সেমিপারমিয়েবল মেমব্রেন দিয়ে সহজে নিজেদেরকে আদান-প্রদান করছে।

    চলুক, আলোচনা চলুক। আরো কবিতাপ্রেমী যোগ দিন। এইসব আলোচনাই অনেক সময় হাঁটার লাঠির কাজ করে বেশ।
  • Ranjan Roy | ০৩ আগস্ট ২০২৫ ২৩:৩২540806
  • আমি আরও দুজনকে আলোচনায় রাখতে চাই। 
    এক, বন্ধুবর শিবাংশু দে।
    আধুনিক এবং সমকালীন কবিদের কবিতা গুলে খেয়েছেন।
    শক্তি, সুনীল, নীরেন্দ্রনাথ বা বিনয় মজুমদার --পাতার পর পাতা মুখস্থ । 
    কবিতার ভাষা ও আঙ্গিক নিয়ে ভাল পড়াশুনো এবং প্রতীতি। 
     
    যেমন গানে, তেমনই কবিতায়। 
     
    কল্লোল আজকাল কদাচিৎ আসে। নইলে ওর গলায় 'অবনী বাড়ি আছো' শুনলে মন ভরে যায়। 
     
    আর আছেন সম্বিৎ দত্ত। সংগীত ও কাব্য --দুইয়ে খুব ভাল দখল। 
  • r2h | 134.238.***.*** | ০৩ আগস্ট ২০২৫ ২৩:২৯540805
  • আচ্ছা, আবার, টেনিসন বা ধরি, কিপলিং। রাজদরবারের ভাট, সাদা শ্রেষ্ঠত্ব ইত্যাদি।
    তো, বৃটিশ সাম্রাজ্যের হাত ফস্কে যাচ্ছে, সাদা লোকেদের শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে - সেসব যন্ত্রনা কি হিসেবে আসতে পারে? যন্ত্রনাই তো হল।
    মানে বাংলার বায়ু বাংলার ফল বিষিয়ে যাচ্ছে, এটা সহি যন্ত্রনা, আর বৃটিশ সিংহের দাঁত নড়ছে - এটা খারাপ যন্ত্রনা, এরকম বৈষম্যমূলক দর্শন বিষয়ে কী করা যায়?
     
    গোলমেলে, তা মানি। কিন্তু হেই সামালো ধানের যন্ত্রনা শুনে একজন জোতদার রেগে আগুন তেলে বেগুন হয়ে যান, সেসব দিকও খতিয়ে বিবেচনা করবো কিনা ভাবছি।

    কন্টেন্ট আপত্তিকর, মানি। কিন্তু কবিতা হলো, নাকি হলো না? কবিতায় কি তাহলে মানবিকতার জয়গানও আবশ্যিক? যা খুশি তাই, ঝগড়া করে তিন শালিখে -এইসব লিখে দিলে ভাবী কালের কাব্যোৎসাহী ব্যাখ্যা করে চিত্র আঁকতে বলতে পারেন?
  • r2h | 134.238.***.*** | ০৩ আগস্ট ২০২৫ ২৩:২০540804
  • রঞ্জনদা,
    আচ্ছা, বুঝতে পেরেছি এবার, স্যরি, কনটেক্স্ট মিস করেছিলাম।

    যদিও শ্রীমল্লারকে এই প্রশ্নটা করা যেতে পারে, যে সস্তা বাজারচলতি শ্লোগানধর্মী হাততালি মার্কা কবিতা কোনগুলি (এতগুলি বিশেষণ ছিল কিনা মনে নেই) কিন্তু সে থাক, বেশি কচলানোর মানে নেই।

    একশোবছর আগের এ গ্রেড কবি আজকের বিচারে বিগ্রেড হয়ে গেলে কাব্যসমালোচকদের একটু নিন্দে প্রাপ্য হয়, কিন্তু সেও তর্কযোগ্য।

    অনুপ্রাস বা শব্দঝংকার নিয়ে কেউ মাথা ঘামান না, সনেট কেউ লেখেনে না- সেসব আমার কাছে নতুন খবর, তবে আমি একটু পিছিয়ে পড়া-ই।

    কালিদাস রায়ের কবিতা কিছু কবিতা আমার চমৎকার লাগে, ঠিক।

    আবার শ্লোগান যদি বলতে হয়, সুকান্ত, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, নবারুণের কথা মনে পড়ে। এঁদের কবিতার সার্থকতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার অবকাশ নেই।
    তবে অবশ্য শ্লোগানের পাশাপাশি অন্তর্লীন যন্ত্রনা ইত্যাদির ব্যাপার আছে। আচ্ছা, এত যন্ত্রনাফিলিয়া কেন? কবি দু'পাত্তর মদ্যপান করে ইয়ারবক্সিদের সঙ্গে তর্জায় মেতে ফুর্তির কবিতা লিখলেই বা কী।

    আবার বাজারচলতি, বাংলা কবিতার শেষ বিগ্রহদের মধ্যে অন্যতম শক্তি চট্টোপাধ্যায় তাঁর মধ্যগগনে যা লিখেছেন সব রমরম করে বাজারে চলতো।

    তবে এটা ভাটে হয়ে ভালো হল, শ্রীমল্লারের টইয়ে গোল করতে অস্বস্তি হচ্ছিল।

    এই নিয়ে , <>, :), b, ওমনাথ (যদি না ওমনাথ এঁদের মধ্যে কেউ হন) ইত্যাদিদের দের মন্তব্য ও আলোচনা হলে, বাস্তবিকই, ঋদ্ধ হবো। 
    আর একক। বিশেষ করে যন্ত্রনা আর ফুর্তি আর কবিতার অলংকার, ধ্বনিঝঙ্কার, সনেট এসব নিয়ে এককের মত শুনতে বিষম আগ্রহী।
    কবিতার ফর্ম নিয়ে সোমনাথ বিপুল নিরীক্ষা করেছে ও করে, তবে সোমনাথকে তো ভাটে দেখি না। 
  • Ranjan Roy | ০৩ আগস্ট ২০২৫ ২০:৫৯540803
  • নির্দিষ্ট টইয়ে লেখার পরেও এখানে পেস্ট করলাম ।
    মনে একান্ত আশা-- বেশির ভাগ গুরু ও চন্ডাল অসহমত হয়ে গাল দেবেন। তাহলে রাত্তিরে ভাল ঘুম হবে।
     
     
    হুতো এবং কেকে আমার কথার পিঠে দুটো গুরুত্বপূর্ণ প্রসঙ্গ তুলেছিলেন।  চোখ এড়িয়ে গেছল।
     
    প্রথমে হুতোঃ
    "আমি আসলে বোঝার চেষ্টা করছিলাম কী সেই নিঘিন্নে জিনিস যাকে ঘেঁটি ধরে টেনে এনে খামোখা গাল না দিলে একটা অসম্পর্কিত ভালো জিনিসের প্রশংসা পূর্ণ হয় না"।
    ---সত্যি কথা।  কোনো  'অসম্পর্কিত ভালো জিনিসের প্রশংসা পূর্ণ' করার জন্যে  কোনো 'নিঘিন্নে জিনিস' কে 'ঘেঁটি ধরে টেনে এনে খামোখা গাল' দেয়ার দরকার নেই। একেবারে অদরকারী। তাহলে লিখলাম কেন?
      এটা @ শ্রীমল্লারকে লেখা। উনি অল্পদিন আগে ভাটপাতায় আমাকে নাম করে লিখেছিলেন আমি যেন তাকে ওই রকম শস্তায় হাততালি পাওয়ার চেষ্টা করা কবি না মনে করি।
      তাই এখানে লিখলাম যে এই কবিতা পড়ার পর কেউ আপনাকে অমন হালকা কবি ভাববে না। ব্যস্‌ এই টুকুই।
     
     @ কেকে,
    ;প্রথমেই একটা ক্যাভিয়েট দিয়ে রাখিঃ আমি কবিতার বোদ্ধা বা কোন হনু নই। নেহাত পাতি পদ্য পড়া পাবলিক। কাজেই যা বলব সেটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত বোধ। কারও সঙ্গে মতে মেলার আশা কম।
     
    এক, কবিতা একান্ত ব্যক্তিগত অনুভবের জিনিস। এই মাধ্যমে কবি পাঠকের সঙ্গে ওয়ান -টুঁ -ওয়ান কথা বলেন। (এটা নতুন কিছু বলছি না)। 
    তাই ভাল কবিতা/মন্দ কবিতা নিয়ে দুই পাঠকের মধ্যে অমিল হতেই পারে।
    তবু যুগের বা কালের প্রভাবে একটা জনরুচি তৈরি হয়। কবিতার অলংকার, ছন্দ, শব্দ প্রতিমা নির্মাণ নিয়ে একটা কমন ডিনোমিনেটর তৈরি হয়। 
    যেমন আজকাল কোন কবিই অনুপ্রাসের শব্দ ঝংকার নিয়ে মাথা ঘামান না। পয়ার বা ত্রিপদী ছন্দে কবিতা চোখে পড়ে না। সনেট বোধহয় শক্তি ও আরও দুয়েকজনের পর কেউ লেখেন না। 
    তবু এই বৃত্ত বা ইউনিভার্সাল সেটের ভেতরে  ভিন্ন পছদের আরও সাব সেট থাকতে পারে।
     
    যেমন কয়েক মাস আগে ভাটপাতায় জানা গেল হুতোর বেশ পছন্দ  কবিশেখর কালিদাস রায়ের কবিতা। "নন্দপুরচন্দ্র বিনা বৃন্দাবন অন্ধকার।  বহেনা আর মলয়ানিল বহিয়া বনগন্ধভার" বা "ছাত্রধারা" ইত্যাদি। 
    আমার চোখে ওনার কবিতা করুণানিধান ও মোহিতলাল স্কুলের মধ্যে বি গ্রেড, অনুপ্রাসের বাড়াবাড়িতে দেখনদারি বা চমকে দেয়ার চেষ্টা প্রকট, কবির নিজস্ব আকুতি, অনুভব বা 'অ্যাংগস্ট' টের পাই নি। 
     
    তারমানে এই নয় যে আমার ভাল লাগেনি বলে উনি খারাপ কবি।  রুচির তারতম্য বলাই ঠিক। 
     
    দুই, কোন কবিতা হাততালি পেয়েছে মানে সে খারাপ কবিতা --এমন নয়। পেলেই ভাল এমনও নয়।
        আবার হাততালি না পেলেই ভাল কবিতা--এমনও নয়। না পেলে খারাপ, এমনও নয়।
     
    অর্থাৎ কবিতার কাব্যগুণের সঙ্গে জনরুচির বা জনপ্রিয়তার ডায়রেক্ট কোরিলেশন খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। 
    মায়াকোভস্কি তাঁর ফিউচারিস্ট কবিতার দিনে অবশ্য লিখেছিলেন "জনতার রুচির গালে এক থাপ্পড়"। কিনতু পরে উপেক্ষা করতে পারেন নি। 
     
    তিন অনেক ভ্যান্তারা হল।
     
    কিন্তু কী সেই বিশেষ গুণ যা একটি কবিতাকে ---জনপ্রিয় হোক না হোক-- ভাল কবিতা বলে চিহ্নিত করবে, ফরমায়েশি বা বাজারি বলে অশ্রদ্ধা করবে না?  রবীন্দ্রনাথ বা জীবনানন্দের মত কবিতা না লিখলে গাল খেতে হবে? কিস্যু হয় নি বলতে হবে? একেবারেই নয়। 
     
     
    আমার মতে সেই "বিশেষ গুণ হোল যা পাঠকের মনে এই প্রতীতি এনে দেয় যে কবিতাটি কবির একান্ত অনুভুতি/অনুভব/ অস্তিত্বের যন্ত্রণার ফসল। আজকাল পাবলিক কী খাচ্ছে, কেমন কবিতা দেশ বা অন্য বড় হাউসে ছাপা হচ্ছে --এসব না ভেবে কবি তাঁর সেই যন্ত্রণা থেকে আত্মপ্রকাশের জন্য কবিতাটি লিখেছেন--- তাতে যদি জনপ্রিয়তা আসে, পহাকড়ি আসে তো ভাল। কিন্তু সেই আশায় লেখেন নি, বা সেই আশা পূরণ না হলে কবিতা লেহা ছেড়ে দেবেন এমনও নয়। 
     
    উদাহরণঃ বাঙ্গালী কবিদের কথা আগ বাড়িয়ে বলে ক্যাল খেতে চাই না। আমাকে কোল্কাতায় থাকতে হবে। 
    ধরুণ টেনিসন আর ম্যাথু আর্নল্ড। 
     
    টেনিসন রাজকবি, অর্থ যশ জনপ্রিয়তা সবই বেঁচে থাকালীনই পেয়েছেন' আজ তাঁকে বি--গ্রেড কবি ধরা হয়। তাঁর ছন্দের হাত চমৎকার। দেশপ্রেম আর ভিক্টোরিয়ার সাম্রাজ্যবিস্তারএর প্রশংসায় তিনি পঞ্চমুখ। ছন্দের হাত খুব ভাল। কিন্তু কবিতা পড়লেই বোধ হয়, ক্রাফটের দিক মজবুত, অনুভূতি কোথায়?
    'ক্যাননস,  টু দ্য রাইট অফ দেম, ক্যানন্স্‌ টু দ্য লেফট অফ দেম'? 
    একেবারে রাজদরবারের ভাট! 
    বলা হয় জীবনে একবারই ভাল কবিতা লিখেছিলেন যখন তাঁর প্রিয়তম বন্ধু জাহাজ থেকে পড়ে সমুদ্রে ডুবে গেল। রচিত হয় দীর্ঘ কবিতা 'ইন মেমোরিয়াম'-যা নিজের  অন্তর্লীন  যন্ত্রণার প্রকাশ। 
     
    ম্যাথু আর্নল্ড রাজকবি নন। কিন্তু যখন 'ডোভার বীচ' কবিতায় লেখেন ' And ignorant armies clash by night', তখন কবিতাটির আবেদন বৃটেনের সময় ও সমাজ ছাড়িয়ে গোটা বিশ্বের মানুষের আত্মিক সংকটকে তুলে ধরে। ওই একটি লাইনে আমার মত সাধারণ পাঠক ভারত উপমহাদেশ, মধ্যপ্রাচ্য, উক্রেইন --সব দেখতে পায়। অথচ আমার জন্মের  এক শতাব্দী আগে লেখা। 
     
    ৪ একটু সাহস বেড়েছে। মায়াকোভস্কি এবং সুভাষ মুখুজ্জের কথা বলি।
     
    বাল্টিক নৌবাহিনীর মার্চ দেখে যখন তিনি লেখেন "বাঁয়ে কদম" মনে হয় সময়ের চাপে বা তাগিদে লেখা। আবার যখন 'পাৎলুন পড়া মেঘ" লেখেন মনে হয়--এটা কিছু হয়েছে।
     
    সুভাষ যখন লেখেন "জাপ পুষ্পকে জলে ক্যান্টন, জলে হ্যাংচাও।
                                  কমরেড আজ ব্জ্রকঠিন বন্ধুতা চাও? 
                                 লাল নিশানের নীচে উল্লাসী মুক্তির ডাক, 
                                রাইফেল আজ শত্রুপাতের সম্মান পাক"।
      ফরমায়েসি বা সময়ের দাবিতে লেখা চটজলদি কবিতা ছাড়া কিছু মনে হয় না। কিন্তু উনিই যখন লেখেন "ফুল ফুটুক না ফুটুক আজ বসন্ত" --তখন আমরা স্তব্ধ হয়ে  কবিতার সৌন্দর্য উপভোগ করি। 
     
    অথচ ভালো রাজনৈতিক কবিতাও লিখেছেন। ধরুন "রাম! রাম! 
                            কুকুরের মাংস কুকুরে খায় না"। 
     অথবা " মুখুজ্জের সঙ্গে  আলাপ",।
     
     নকশাল আন্দোলনের সময়ে লিখলেন একটি অসাধারণ কবিতা --"ছেলে গেছে বনে"। বলতে চাইছি, কবিতা রাজনৈতিক হয়েও ভাল কবিতা হতে পারে যদি তা দলীয় স্লোগানের সীমা ছাড়িয়ে নিজের যন্ত্রণার প্রকাশ হয়।
     
    প্রতিষ্ঠিতদের মধ্যে জয় গোস্বামীর "মালতীবালা বালিকা বিদ্যালয়" আমার চোখে একেবারে ভিনি! ভিডি! ভিসি! 
    "আমার পরে যে বোন ছিল চোরাপথের বাঁকে,
    মিলিয়ে গেছে, জানিনা আজ কার সঙ্গে থাকে"। 
    আমাদের চোখে দেখা অবক্ষয় আর্থিক দুর্গতি সব ভেসে ওঠে।
     
    দেখুন, তারপরে আবার কিছুদিন অন্ত্যমিল দিয়ে কবিতা লেখার ঝোঁক এল। এখন সেই ঝোঁক প্রায় অস্ত্যমিত।
     
    গুরুর পাতার কথা যদি বলা হয় তাহলে বলব ফরিদার কথা। ওনার কবিতায় জীবনের মানে খোঁজার যন্ত্রণা চোখে পড়ে। বড় পত্রিকায় বেরোল কিনা, হাততালি পেল কিনা --সে প্রশ্ন অবান্তর। 
    শ্রীমল্লারের লেখায় সেই আন্তরিকতা। 
    মনে হয় সময়ের সঙ্গে আরও পরিণত হবে। 
     
    -
  • গর্গ | 2405:8100:8000:5ca1::224:***:*** | ০৩ আগস্ট ২০২৫ ২০:১৯540802
  • পাপাঙ্গুল | 49.205.***.*** | ০৩ আগস্ট ২০২৫ ১৭:৫৯540801
  • কলেজে পড়ার সময় ভাওয়াল পদবীর একজনকে চিনতাম। ঐ পরিবারেরই কেউ মনে হয়। 
  • asim nondon | ০৩ আগস্ট ২০২৫ ১৪:৪৭540800
  •  অরিন
    এডোরাস। ছবিতে দেখে মনে হল, মৃত্যু হলে এরকম নির্জন নিরাবেগ সবুজাভ পর্বতের চূড়ায়ই হওয়া উচিত! বাস্তবতা ঐ পর্বতের মতনই কঠোর... 
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:25f1:3718:38d2:***:*** | ০৩ আগস্ট ২০২৫ ১০:২৭540799
  • অরণ‍্য, আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভারি আনন্দ হল। জায়গাটা কি বলব, অসাধারণ । 
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:25f1:3718:38d2:***:*** | ০৩ আগস্ট ২০২৫ ১০:২৩540798
  • aranya | 2601:84:4600:5410:fd41:4d5a:c594:***:*** | ০৩ আগস্ট ২০২৫ ০৬:০৬540797
  • দুর্ধর্ষ জায়গা তো , এডোরাস। @অরিন 
  • Guruchandali | ০৩ আগস্ট ২০২৫ ০১:২২540796
  •  
    ফিফথ অ্যাভেনিউ, নিউ ইয়র্ক

    দারুণ ঝক ঝকে অক্ষরে লেখা সাইনবোর্ড - গোল্ডবেরগ কোম্পানিঃ মহার্ঘ্য চুরুট বিক্রেতা

    উত্তেজিত ক্রেতার প্রবেশ।

    ক্রেতা :আপনার দোকানের সবচেয়ে ভালো চুরুট কিনে নিয়ে গেলাম এত দাম দিয়ে। সেটা মুখে দেয়া যায় না । এত খারাপ মনে হয় যেন সস্তার সিগারেটে ধোঁয়া দিচ্ছি।

    গোল্ডবেরগ নিশ্চুপ ।

    ক্রেতা (ক্ষিপ্ত ) ::চুপ করে আছেন কেন ? কিছু বলুন ?

    গোল্ডবেরগ (উদাস হয়ে ) :আপনাকে আমি আর কি বলব ? আপনি তো ঐ এক বাকসো চুরুট কিনে পস্তাচ্ছেন । আমার সারা দোকান যে ভরা আছে ঐ চুরুটে !

    **********

    ফাইনস্টাইন: রাবি, এভি গিনসবেরগের খুব বিপদ। ৫০০ কোপেক ধার আছে বাজারে। আগামী কাল অব্দি শোধ
    দিতে না পারলে তার জিনিস পত্র নিলামে উঠবে । এভির শরীর ভালো নয় যে কাজ করে সে টাকা
    শোধ দেবে।

    রাবি: খুব দুঃখের কথা। আমি দেখি যদি সিনাগগের ফান্ড থেকে কিছু টাকা তোলা যায় । আরও দু চারজনকে
    অনুরোধ করি। কিছু সজ্জন হয়তো সাহায্য করবেন। তুমি তো বড় ভাল মানুষ । এভি তোমার আত্মীয় হয় বুঝি ?

    ফাইনস্টাইন: না, আমি এভির কাছে টাকাটা পাই।

    **********

    ঘটক আমি একটি ভালো ছেলের সম্বন্ধ এনেছি। সে পাঁচ লক্ষ মার্ক যৌতুক পেলে আপনার মেয়েকে বিয়ে করতে রাজি।

    **********
    অস্ট্রো হাঙ্গেরিয়ান সাম্রাজ্যের চ্যান্সেলর মেটারনিখ গেছেন ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট, বিখ্যাত ইহুদি ব্যাঙ্কার ব্যারন এসেকেলেসের সঙ্গে দেখা করতে। সম্রাটের প্রভূত অর্থের প্রয়োজন।
    আলোচনা শুরু করার আগে ব্যারনকে একটু সতর্ক করা প্রয়োজন মনে করলেন মেটারনিখ।

    মেটারনিখ : শুনছি নানা রকম রাষ্ট্র বিরোধী কাজের সঙ্গে আপনার ছেলে ইয়াকবের নাম জড়িয়ে পড়েছে। একটু সাবধানে রাখুন তাকে।
    এসকেলেস : মনে রাখব।
    মেটারনিখ : আচ্ছা আপনার ব্যাঙ্ক আমাদের জাতীয় বন্ডে প্রতিশ্রুত টাকাটা কবে নাগাদ জমা করছে?
    এসকেলেস : একটু ভেবে দেখি।
    মেটারনিখ : ভেবে দেখার কি আছে?
    এসকেলেস : ভাবছি আমার পুত্র ইয়াকব একাই যদি কোন রাষ্ট্রের ভয়ের কারণ হতে পারে, তাহলে সে দেশের রাজাকে টাকা ধার দেওয়াটা কি সমীচীন হবে?

    বেরনহারড এসকেলেস (জন্ম মৃত্যু ভিয়েনা ১৭৫৩- ১৮৩৯) । পরে নাইট সম্মানে বিভূষিত হন- বেরনহারড রিটার উনড ফ্রাইহের ফন এসকেলেস।

    **********

    গোল্ডার্স গ্রিনে বসবাস ও বহুদিন জার্মানিতে থাকার সুবাদে ইহুদি সমাজ ও সংস্কৃতিকে একেবারে কাছ থেকে দেখতে পেয়েছেন লেখক হীরেন সিংহরায় ও জহুরির চোখ দিয়ে বেছে বাঙালি পাঠকের কাছে তুলে ধরেছেন ইহুদি জাতির ওঠাপড়ার ইতিহাস ও জীবনযাত্রার মাঝে লুকিয়ে থাকা অসম্ভব রসবোধ ও জীবন দর্শন। গুরুচণ্ডা৯ -তে এককালে ধারাবাহিক ভাবে প্রকাশ পাওয়া বিখ্যাত সিরিজ ইহুদি রসিকতা এবার বই হয়ে বেরচ্ছে গুরুচণ্ডা৯- থেকেই। 
     
    ইহুদি রসিকতা
    লেখক: হীরেন সিংহরায় 
    প্রকাশক: গুরুচণ্ডা৯
    প্রকাশ: আগস্ট, ২০২৫

    প্রচ্ছদ: রমিত চট্টোপাধ্যায়

    যাঁরা গুরুর বইপ্রকাশের পদ্ধতিটা জানেন, তাঁরা অবগত আছেন, যে, গুরুর বই বেরোয় সমবায় পদ্ধতিতে। যাঁরা কোনো বই পছন্দ করেন, চান যে বইটি প্রকাশিত হোক, তাঁরা বইয়ের আংশিক অথবা সম্পূর্ণ অর্থভার গ্রহণ করেন। আমরা যাকে বলি 'দত্তক'। এই বইটি যদি কেউ দত্তক নিতে চান, আংশিক বা সম্পূর্ণ, জানাবেন। এই লেখার নিচে। অথবা guruchandali@gmail.com -তে ইমেল করে।

    দত্তক বিষয়ে বিশদে জানতে >>
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:6483:ad86:3c44:***:*** | ০৩ আগস্ট ২০২৫ ০১:০৫540795
  • Edoras
     
    গতকাল, লর্ড অফ দ‍্য রিংস এর এডোরাস মানে এখানে মাউন্ট সানডের নদী উপত‍্যকায় গিয়েছিলাম। হাকাটেরে সংরক্ষিত এলাকা । আমার মনে হয়, এলাকা সংরক্ষিত না হলে মানুষের লোভের শিকার হবে। 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:e415:cb16:8244:***:*** | ০৩ আগস্ট ২০২৫ ০০:০৯540794
  • ঠিকই। যেখানে যতটুকু জঙ্গল এখনো টিকে আছে, সংরক্ষিত বলেই আছে 
  • asim nondon | ০২ আগস্ট ২০২৫ ২৩:৫৯540793
  • aranya 
    মানুষের পদচারণ যেখানে গেছে সেখানে ধ্বংসের তান্ডবও পৌঁছেছে। 
     
    তাই জঙ্গল এখন যতটুকু আছে তা সংরক্ষিত। বনবিভাগের গরজে এবং প্রকল্পে। অবশ্য হৃদয়ের মাঝ বরাবর জঙ্গল সাফ হয়ে গেছে। বসতি হয়েছে। হয়েছে কারখানা। হয়েছে আবাদি জমি।
  • aranya | 2601:84:4600:5410:e415:cb16:8244:***:*** | ০২ আগস্ট ২০২৫ ২৩:২৪540792
  • 'মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এলাকাটা মূলত শাল আর গজারির বনে ঘেরা' - জঙ্গল এখনও আছে, কেটে ফেলা হয় নি, ভাল 
  • Ranjan Roy | ০২ আগস্ট ২০২৫ ২১:৪৬540791
  • সীমানা দুই খণ্ড পুরো সংগ্রহ করে রাখার মত l
    শেখর বাবুর জন্যে কোন প্রশংসা যথেষ্ট নয় l
    রিসার্চ ও কলম দুটোই চমৎকার l
     
     
    ধন্যবাদ guruchandali কর্তৃপক্ষকে  --  দুই খণ্ড প্রকাশের জন্যে l এই বই থাকবে l
  • asim nondon | ০২ আগস্ট ২০২৫ ২১:১০540790
  • Ranjan Roy দাদা,  
    কখনো যাইনি বাজিতপুরের দিকে। 
     
    r2h 
    মধুপুর ও ভাওয়ালের গড় এলাকাটা মূলত শাল আর গজারির বনে ঘেরা। 
     
    রাজবাড়ী / জমিদারবাড়ি/ নবাববাড়ি আছে বেশ কয়েকখানা এদিকটাতে। যেমন ধরেন, ভাওয়াল সন্ন্যাসী রাজা'র ইতিহাস সম্পর্কে মেবি অবগত আছেন। সৃজিত বাবু তো সিনেমাও করলেন। রাজা
    রমেন্দ্রনাথ রায় চৌধুরী'র রাজবাড়ী আছে এই গড়ে। এখন তা জেলাপ্রশাসকের কার্যালয়! 
     
    সৈয়দ নবাব আলী চৌধুরীর নবাববাড়ি আছে। যা এখন নবাব প্যালেস। দর্শনীয় স্থান। 
     
    হেমনগরের জমিদারবাড়ি আছে। এটা নাকি সৌরভ গাঙ্গুলি'র মায়ের দিককার আত্মীয়দের। সঠিক জানা নেই। 
    এই ভিডিও কতটা সত্য জানি না... 
     
     
    ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা মজনু শাহ এই মধুপুর ও ভাওয়ালগড়ে আস্তানা গেড়েছিল বলে শুনেছি।
  • Guruchandali | ০২ আগস্ট ২০২৫ ২০:৫১540789
  •  
    এই বইয়ের একটি পর্বে শেখরনাথ মুখোপাধয়ায় লিখেছেন

    "বিদ্রোহী তকমা যার নামের সঙ্গে এঁটে যায় একবার, তার তো শত্রুর অভাব হয় না। শত্রু যদি না-ও হয়, তার বিরোধী তো হয় অনেকেই। বিরোধ তো আছেই, এবং যে-বিষয়ে বিরোধ তার প্রতিবাদ করে যে, সে-ই প্রতিবাদী, সে-ই বিদ্রোহী। কাজি নজরুলের নাম আর পাঁচজন বাঙালি জেনেছে তার সাহিত্যকর্মের মাধ্যমে। এবং সেই জানার এখনো এক দশকও হয়নি। এরই মধ্যে গড়পড়তা বাঙালি শুধু নয়, বাঙালিদের যাঁরা নেতৃস্থানীয়, তাঁরা সবাই মিলে তাকে জাতীয় কবি এবং বিদ্রোহী কবি দুটো উপাধিই দিয়ে ফেলেছেন। যাঁরা পছন্দ করেননি ব্যাপারটা তাঁরা হয়তো কাজিকে হুঙ্কারবাদী উপাধিতেও উল্লেখ করেন – সেটা অবিশ্যি খানিকটা স্বগতোক্তির মতোই; কারণ বাংলা সাহিত্যে যাঁর উপর আর কথা চলে না সেই রবীন্দ্রনাথও – জাতির জীবনে নজরুল বসন্ত এনেছে – এই কথা বলে নিজের হাতে ১০ই ফাল্গুন, ১৩২৯ তারিখ-চিহ্নিত স্বাক্ষরসহ তাঁর বসন্ত গীতিনাট্যখানা খোদ কারাগারে বন্দী কাজিকে উৎসর্গ করে তার কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন"

    এই উপন্যাস আবর্তিত হয়েছে এই মানুষটিকে কেন্দ্রে রেখে, যাঁর কর্মজীবন ব্যাপ্ত হয়েছে বিশ শতকের বিশ ও ত্রিশের দশক জুড়ে। বস্তুত, এই আখ্যানের নায়ক এই সময়কাল। লেখকের নিজের কথাতে - "রাজনৈতিক আন্দোলন ছাড়াও সমাজ শিল্প এবং সাহিত্যের নানা আন্দোলনের কারণে গত একশো বছরের ভারতীয় ইতিহাসে এই সময়কাল বিশিষ্ট। উপন্যাসটির নায়ক এই সময়কালই।"

    পাঠক সমাদৃত ৪৮ পর্বের উপন্যাসটির প্রথম ২৫ পর্ব নিয়ে গত বছর প্রকাশিত হয়েছিল, প্রথম খণ্ড। এবার বাকি পর্বগুলি নিয়ে প্রকাশিত হতে চলেছে দ্বিতীয় খণ্ড। দত্তকের জন্য যোগাযোগ করুন।

    বই: সীমানা, দ্বিতীয় খণ্ড
    লেখক: শেখরনাথ মুখোপাধ্যায়
    প্রকাশক: গুরুচণ্ডা৯
    প্রকাশ: ২০২৫
    যাঁরা গুরুর বইপ্রকাশের পদ্ধতিটা জানেন, তাঁরা অবগত আছেন, যে, গুরুর বই বেরোয় সমবায় পদ্ধতিতে। যাঁরা কোনো বই পছন্দ করেন, চান যে বইটি প্রকাশিত হোক, তাঁরা বইয়ের আংশিক অথবা সম্পূর্ণ অর্থভার গ্রহণ করেন। আমরা যাকে বলি 'দত্তক'। এই বইটি যদি কেউ দত্তক নিতে চান, আংশিক বা সম্পূর্ণ, জানাবেন। এই লেখার নিচে। অথবা guruchandali@gmail.com -তে ইমেল করে।

    দত্তক প্রসঙ্গে - কী ও কেন >>

    https://www.guruchandali.com/comment.php?topic=28892
  • যা শুনলাম | 103.27.***.*** | ০২ আগস্ট ২০২৫ ২০:৪২540788
  • পুরীতে নাকি এখন খাজা মানেই গাঙ্গুরাম।  ৫০০ টাকা কেজি।  নৃসিংহ কাকাতুয়া সব ব্যাকডেটেড।
  • Guruchandali | ০২ আগস্ট ২০২৫ ২০:৩৮540787
  • Guruchandali | ০২ আগস্ট ২০২৫ ২০:০৪540785
  •   বই: বেড়াল ও সেতারধ্বনি
    লেখক: দেবর্ষি সারগী
    প্রকাশক: গুরুচণ্ডা৯
    প্রকাশ: ২০২৫
    প্রচ্ছদ: রমিত চট্টোপাধ্যায়
  • . | ০২ আগস্ট ২০২৫ ১৭:০০540784
  • দেজ মেডিক্যালে আগুন লেগেছে 
  • আমরা ঋদ্ধ হই | 103.27.***.*** | ০২ আগস্ট ২০২৫ ১৪:৪০540783
  • একটা কাজ করা যাক, ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ডের ক্যাটেগোরিগুলোতে, যারা এই পুরস্কার প্রাপকদের প্রতি বিরক্ত তারা, নিজেদের পছন্দ জানান গতবছরের সিনেমার নিরিখে।
  • ইদানিং যা ঘটছে তাতে | 103.27.***.*** | ০২ আগস্ট ২০২৫ ১৪:৩৬540782
  • বাংলাপক্ষ কি এখন বুঝতে পারছে উগ্র প্রাদেশিকতা কী জিনিস? কেন মানুষের দিনে দিনে সংকীর্ণ হওয়ার বদলে ক্রমশ উদার হতে থাকা উচিত?
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ০২ আগস্ট ২০২৫ ১৪:২৭540781
  • আহা খাজা বলে কারোর ভালো লাগবে না এমন তো নয়। আমার যেমন নৃসিংহের খাঁটি ঘি -এ ভাজা খাজা তো ভালোই লাগে। তেমনি কমিটির লোকজনের ভালো লেগেছে হয়তো। এমনিতে তো ন্যাশনাল এওয়ার্ডের ফিল্ম ফেয়ারিফিকেশন কয়েক বছর ধরেই শুরু হয়ে গেছে।
  • agantuk | 209.237.***.*** | ০২ আগস্ট ২০২৫ ১১:০৬540780
  • এই তো কদিন আগেই আপনারা সবাই জওয়ান কে খাজা সিনেমা বললেন, আর এদিকে শারুক্ষান যে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার রাষ্ট্রীয় পুরস্কার রজত কমল পেয়ে গেল তার বেলা?
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত