এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • আর জি কর গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • r2h | 134.238.***.*** | ০৬ জুলাই ২০২৫ ০৮:৫২539934
    • <>  | ০৬ জুলাই ২০২৫ ০২:৫৫
    • ... হয়ত বাঙালী গোষ্ঠীচেতনা , তার লোকাচার আর বিশ্বাস নিয়ে ওনার যা ধারণা, সেসবকে শিল্পে কীভাবে উপস্থাপিত করা উচিত, সেই মনোভাব হয়ত জড়িয়ে আছে। ব্যাপারটা নিতান্তই অসূয়া নয়, বা সিনেমার ডিটেলের দিক দিয়ে সমালোচনা নয়, জীব আর শিল্পের দিক দিয়ে ওনার মন্তব্য।
     
    স্বীকার করি, কমলকুমারকে নিয়ে ভাবতে গেলে তাঁর দর্শন বা চিন্তার গতি বিষয় থেকে তৎকালীন বঙ্গসমাজের বৈঠকী আড্ডার জিনিসপত্র ভাবনাকে আচ্ছন্ন করে। সেই ভাবনা বা দর্শনে একমত নই কিন্তু কাউন্টার বা রিফিউট করার মত জ্ঞানগম্যি নেই। কিন্তু হ্যাঁ, অসূয়া বা ছিদ্রান্বেষন না, গভীরতর চিন্তা থেকে এইসব, তাই সম্ভব।
     
    • অরিন  | ০৬ জুলাই ২০২৫ ০৪:১৬
    • "সাহেব থেকে বাঙালী হয়ে যাওয়া, "
      সে কীরকম ব‍্যাপার মশাই? কে হয়েছেন? 
    অরিনদা, কমলকুমার। ফরাসী ভাষা ও সাহিত্যে পাণ্ডিত্য, পাশ্চাত্য দর্শনে বুৎপত্তি ইত্যাদিকে পাশে রেখে রামকৃষ্ণের চৈতন্য হোক - এই কামনায় মনোস্থাপন - এইসব।
    বহিরঙ্গ বাদেও আরকি।
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ০৬ জুলাই ২০২৫ ০৪:৩৮539933
  • এত এত কথা হচ্ছে কিন্তু ডিসির দেখা নেই - খুব অস্বস্তিকর লাগছে। 
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:c079:469f:3950:***:*** | ০৬ জুলাই ২০২৫ ০৪:১৬539932
  • "সাহেব থেকে বাঙালী হয়ে যাওয়া, "
    সে কীরকম ব‍্যাপার মশাই? কে হয়েছেন? 
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৬ জুলাই ২০২৫ ০৩:৪৭539931
  • সাদাকালো সিনেমাতে সমালোচক লাল শাড়ি খুঁজছিলেন !!!! এ যে সেই নাসিরুদ্দিনের গল্পের মত কেস হয়ে গেল! ঃ-)
  • agantuk | 76.133.***.*** | ০৬ জুলাই ২০২৫ ০৩:১৭539930
  • :) | 103.244.***.*** | ০৫ জুলাই ২০২৫ ১২:৩৩ - "কোনো এক সীনের শুটিঙের সময় লাল পেড়ে শাড়ি নিয়ে আপত্তি শুনে যে কারণে সত্যজিৎ বলতে পারেন, সাদাকালো সিনেমায় পাড়টা লাল না কালো কীভাবে বোঝা যাবে!"
     
    এখানে একটু ভুল হয়ে গেছে। শুটিং-এর সময় না, সিনেমায় বিয়ের দৃশ্যে কালো শাড়ি দেখানো নিয়ে সমালোচনার উত্তরে সত্যজিৎ বলেছিলেন যে শাড়ির রং আসলে লালই ছিল, সাদাকালোতে কালো দেখিয়েছে। 
  • <> | 2405:201:802c:7858:cd0b:5b1b:2446:***:*** | ০৬ জুলাই ২০২৫ ০২:৫৭539929
  • * জীবন আর শিল্পের দিক দিয়ে
  • <> | 2405:201:802c:7858:cd0b:5b1b:2446:***:*** | ০৬ জুলাই ২০২৫ ০২:৫৫539928
  • সাহেব থেকে বাঙালী হয়ে যাওয়া, সাহেবী পোষাক ছ্ড়ে বাঙালী পোশাক, রাধাপ্রসাদকে বলা সেই গল্প, আদতে ওনার লেখা আর চিন্তা চেতনার বদলের কথাই বলে। ১৯৩৪ - ৪৮ , মোটামুটি এই সময় জুড়ে লেখা বন্ধ করে দিয়েছিলেন, ১৯৪৮ এ 'জল' গল্পটি, সাধারণ মানুষের গল্প, তাদের চেতনার গল্প, ভাষাবদল এইসব ঘটছিল। সময়টাকে দেশ স্বাধীন হওয়ার সঙ্গেও হয়ত মিলিয়ে দেখা যায়, ঐ সাহেবী পোশাক ত্যাগ করা, আবার করে লেখায় ফিরে আসা, দেশের মানুষের গল্প বলার চেষ্টা করা। অপিচ, সত্যজিতের সিনেমা নিয়ে মন্তব্য, সেসবের সঙ্গেও হয়ত বাঙালী গোষ্ঠীচেতনা , তার লোকাচার আর বিশ্বাস নিয়ে ওনার যা ধারণা, সেসবকে শিল্পে কীভাবে উপস্থাপিত করা উচিত, সেই মনোভাব হয়ত জড়িয়ে আছে। ব্যাপারটা নিতান্তই অসূয়া নয়, বা সিনেমার ডিটেলের দিক দিয়ে সমালোচনা নয়, জীব আর শিল্পের দিক দিয়ে ওনার মন্তব্য।
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:b195:8628:72a2:***:*** | ০৬ জুলাই ২০২৫ ০২:৫১539927
  • "আত্মসংযম" হবে। 
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:b195:8628:72a2:***:*** | ০৬ জুলাই ২০২৫ ০২:৫০539926
  • "পাটিসাপ্টার মত ওমলেট করে নিয়ে তারপরে ঝোল করা শুনে "
     
    সাংঘাতিক রকমের আত্মশংযমের পরীক্ষা যাকে বলে। কোথায় লাগে সায়েবের শিশুদের সঙ্গে করা marshmallow test। 
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৬ জুলাই ২০২৫ ০২:৪৬539925
  • পাটিসাপ্টার মত ওমলেট করে নিয়ে তারপরে ঝোল করা শুনে সেদিন এক বন্ধু কইলেন যে তিনি শুকনো এবং ঝোল দু'রকমই খেতেন। মানে ঝোলে দেবার আগেই এক দেড়খান পাটিসাপ্টাঅম্লেট কচ কচ করে সাবড়ে দিতেন। ঃ-) অনেকে যেমন ভাজা বড়ি বা ডালের বড়া ঝোলে দেবার আগে কিছুটা এমনি এমনি খাবার জন্য রেখে দেন।
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:b195:8628:72a2:***:*** | ০৬ জুলাই ২০২৫ ০২:৪১539924
  • "পাটিসাপ্টার মতন  করে  অমলেটগুলো  করে নিয়ে  তারপরে  ঝোল . খুব এফেক্টিভ "
    মানে ফ্লাইটে যেমন অমলেট দেয় ঐরকম অমলেট নয়। 
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৬ জুলাই ২০২৫ ০২:৩৮539923
  • সুকৃতীবাবু তিন রকমের আলোচনার কথা নাকি কয়ে গিয়েছেন। উত্তম আলোচনা হল আইডিয়া নিয়ে আলোচনা, মধ্যম আলোচনা হল ঘটনাবলি নিয়ে আলোচনা, আর তারও পরে তৃতীয় ধরণের আলোচনা হল লোকজনকে নিয়ে আলোচনা।
    অর্থাৎ কিনা উত্তম হল স্থানকালনিরপেক্ষ, মধ্যম হল স্থানকাল নিয়ে আর তারপরে আসে পাত্র নিয়ে।
    এ ভাটে পাত্র নিয়ে আলোচনা চলছে বটে, তবে স্থানকাল কি আর নেই? নানা আইডিয়াও যে উঁকি দিচ্ছে না, তাও তো নয়! ঃ-)
  • <> | 2405:201:802c:7858:cd0b:5b1b:2446:***:*** | ০৬ জুলাই ২০২৫ ০২:৩৭539922
  • সন্দীপনের ডায়েরির যে অংশটা দেওয়া হয়েছে সেখানে কতজন ছিল ? ডায়েরি থেকেও এটা জানা যায় না, কিন্তু গজল্লাটি যে সন্দীপনের ছোট ফ্ল্যাটে হয়েছিল, উনি মনে হয় তখন চেতলায় সেটা জানা যায়। শক্তি ছিল না বোঝাই যায়, সুনীলের থাকা নিয়ে সন্দেহ আছে। লেখার ঐ অংশটিতে কতজন কথা বলছে, ২ - ৩ - ৪ ? যতজনই বলুন না কেন, কমলকুমারকে নিয়ে বিবিধ রকমের কথা বলা হচ্ছে, পরষ্পরবিরোধী। এই একাধিক ধরণের বক্তব্যই ওনাকে নিয়ে মিথ তৈরী করেছুল, মিথ শুধু ওনার প্রসংসাই নয়, মিথের মধ্যে কমলকুমারের সমালোচনাও ঢুকে ছিল। সন্দীপন ডায়েরি লেখার সময়ে এই অংশে সেটি সচেতনভাবে করেছিলেন কিনা জানা যাবে না, কিন্তু মিথ মেকিং আর কমলকুমারের বিবিধ দিক বেরিয়ে এসেছে, এবও সেসব এসেছে কমলকুমারের ক্ষমতা, আচরণ আর কথাকে ভিত্তি করেই। কমলকুমারের লেখা নিয়ে যখন আলোচনা হয়েছে, তখনও একঈ সথে বলা হয়েছে যে প্রান্তিক মানুষের উপস্থাপনা ওনার গদ্যে উনি নিরতিশয় বাস্তবতার সঙ্গে করেছেন আবার এও বলা হয়েছে যে সেই কাজ করতে গিয়ে উনি ভাষাকে অনাবশ্যক দুরূহ করেছেন। বলা হয়েছে উনি হিন্দু রক্ষণশীল আবার বলা হয়েছে সেই রক্ষণশীলতার উল্টোদিকে উনি বৈজু চাঁড়ালকেই দাঁড় করিয়েছেন। শুধু গল্প - উপন্যাসই নয়, প্রবন্ধগুলি থেকেও এই পরষ্পরবিরোধিতার অনেক উদাহরণ বার করা যায়, করা হয়েছে। কিন্তু এটা হয়ত নিঃসন্দেহ উনি প্রোগ্রেসিভ ছিলেন না, কিন্তু সমসময় নিয়ে ধারণা যে অম চিল সে বলা যায় না। ৪৩ র মন্বন্তর নিয়ে গল্প - উপন্যাস নিয়ে যেমন লিখেছেন তেমন চিঠিতে এই উক্তিও করেছেন, নকশাল আমলে, বাড়ির বাইরে যখন ভায়োলেন্স, টেবিলে তখন ট্রাঙ্কুলাইজার পড়ে থাকে, আর সেই অমোঘ উক্তিদ্বয়, 'কলিকাতায় ক্রন্দনের স্থান নাই' অথবা ' খবরের কাগজ আমাদের ক্রন্দন শুষিয়া নিয়াছে'। উনিশ শতকের বাংলা লেখাপত্তরকে খুব বড় করে দেখেছেন, কেশব সেন - অমৃতলাল - গিরীশ ঘোষ - রামকৃষ্ণ বার বার করে ফিরে আসে, মধুসুদনের প্রতিটি ছত্র ওনার পছন্দ, অথবা রামমোহন ও বঙ্কিমের গদ্য। এই সব লেখার মধ্যে দিয়ে উনি বাঙালী ভাব, কোম্পানি আর ইংরেজী আমলের মধ্যে রয়ে যাওয়া বাঙালী ভাবকে উনি খুঁজেছেন, ঐ সব লেখা কীভাবে ইমোশন আর সমপর্কের কথাকে কমিউনিকেট করে, সে নিয়ে লিখে গেছেন আর উপন্যাসগুলোতে ঐ বাঙালে ভাবেরই অন্বেষণ করেছেন। নিতান্ত অমূলকভাবে অন্তর্জলি যাত্রার ভূমিকায় রামকৃষ্ণ বা রামপ্রাসাদের উল্লেখ করেননি, মনে করতেন সাধারণ বাঙালীর মধ্যে, প্রাকৃতজন যাদের বলতেন, তাদের মধ্যে ঐ দুজনের ভাব রয়ে গেছে । অথবা ঐ দুইজনেই প্রধান কারিগর বিশেষ ঐ ভাব তৈরী করতে, রামপ্রসাদ যদি হয় ইংরেজ শাসনের প্রথমদিকে কোম্পানি আমলে, তো অন্যাজন আরো পরে রিনাইসান্সের সময়ে, শহুরে মধ্যবিত্তের মধ্যেও ঐ ভাব চাড়িয়ে দিয়েছিলেন। অন্তর্জলি যাত্রা এই মনোভাবের সমর্থক উদাহরণ যেখানে কমলকুমারের লেখার মূল বিষয়গুলি উঠে এসেছে, বাঙালী ভাব আর প্রাকৃতজন, যা ইংরেজী শাসন (আজ বললে বলা হবে ঔপনিবেশিকতা) আর আলোকপ্রাপ্তির মধ্যেও রয়ে গেছিল, অথবা ঐ ভাবকে আজ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করা উচিত। যেহেতু সমাজতাত্বিক দৃষ্টি দিয়ে গদ্য লেখেননি বা লেখাকে বিচার করেননি, অতএব ধর্ম - লোকাচার - দর্শন- বিশ্বাস এই সবের মধ্যে দিয়েই বাঙালীর চেতনা বা বিশেষ গোষ্ঠীচেতনাকে খুঁজে বেরিয়েছেন। প্রচুর সমালোচনা হয়েছে, হয়ত anachronistic, কিন্তু এই গোঁ উনি ছাড়্নেনি যে লেখক হিসেবে ওনার একটা কাজঈ হল ঐ গোষ্ঠীচেতনার খনন। নিতান্ত হাড়হাভাতে বা ভিখিরীদের নিয়ে খেলার প্রতিভা উপন্যাসও যখন লিখেছেন, তখন তাদের অসহায় না খেতে পাওয়ার মধ্যেও লিখে দিয়েচেন তাদের বিশ্বাস আর চেতনার কথা। আমি সরলভাবেই লিখতে চাই বা আমর লেখা তো সরলই এই কথা যেমন বলেছেন তেমন এও জানতেন যে অনেক লেখাই ওনার কাছের লোকেদেরও মনঃপূত হয়নি।নিতান্ত সাধারণ মানুষের সরল গল্প বলতে চেয়েছেন কিন্তু যেহেতু উনি আর্টিস্ট বা নভেলিস্ট, সেই কাজের প্রতি যে দায়, সেই দায় তাকে বাধ্য করেছিল নতুন ভাষা তৈরী করতে (সুনীলকে বলা ঐ বাগদেবীর সংগে কথা বলা আদতে ঐ নতুন ভাষা খোঁজা)। এই নতুন ভাষা উনি উনিন্হবিতেদ শতকের বাংলা থেকে যেমন নিয়েছেন তেমন নিয়েছেন ফরাসে সিম্বলিসটদের কাছ থেকে, সুহাসিনীর পমেটমের প্রথম পাতায় যা বিশেষভাবে ধরা আছে। দানবিক প্রতিভা ছিল বলেই, অর্টিস্ট হিসেবে অন্যথা করবেন না বলেই, উনি এটা কখনই ভেবে উঠতে পারেননি যে প্রাকৃতজনের কথা খবরের কাগজের ভাষাতে লিখতে হবে, যেন মনোভাব এটাই যে প্রাকৃতজন আর ভিখিরী বলে যাদের বলছি তারা অনেক কিছুর আকর, তারা অনেক কিছু ধরে আছে, সৌন্দর্য্য তার মধ্যে একটা বড় দিক, অতএব সেই অনেক কিছুর কথা বলতে গেলে ভাষাকে সম্পূর্ণ বদলে ফেলতে হবে। কোন রকম উপনিবেশবাদবিরোধী রাজনীতির কথা না বলে, উপনিবেশের মধ্যে থাক সাধার্ণ মানুষের গল্পের মধ্যে দিয়ে ঔপনিবেশিক চেতনার বিরুদ্ধে উল্টো স্রোত তৈরী করার চেষ্টা, ক্রিয়েটিভ গদ্যের মধ্যে দিয়ে, এত ব্যাপকভাবে আর কোন বাঙালী লেখকই করেননি।
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৬ জুলাই ২০২৫ ০২:৩২539921
  • তিনিই কি অপর্ণা সেনের পিতা?
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:b195:8628:72a2:***:*** | ০৬ জুলাই ২০২৫ ০২:১৪539920
  • "আবার ওমলেট!!!! যেখানে ককুম সেখানেই ওমলেট!"
     
    কুমারপ্রসাদের কফিহাউসের বিবরণ পড়ে মনে হয় কমলকুমার মজুমদার চিদানন্দ দাশগুপ্ত সম্বন্ধে অমলেট নিয়ে মন্তব‍্যটি করেছিলেন। 
  • মজুমদার | 173.62.***.*** | ০৬ জুলাই ২০২৫ ০২:০৯539919
  • আপ্নেরা এসব আলোচনাই যখন করছেন, স্বশিক্ষিত মজুমদার নিয়ে আলোচনাই যখন করছেন, অমিয়ভূষণ মজুমদার নিয়েও করেন না ক্যান? আমরা নাহয় সর্ষের তেলে গরগরে করে ভাজা ওমলেট খেতে খেতেই শুনব! 
    রাজকাহিনীর কেবল পেছনের প্রচ্ছদ পড়লেই গায়ের রোম খাড়া হয়ে যায়! 
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৬ জুলাই ২০২৫ ০২:০৮539918
  • হঠাৎ সরকারী নিষেধাজ্ঞায় ভারতীয় পুরুষদের (একটি সম্প্রদায় বাদ দিয়ে) বহুবিবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যা কান্ড হল, সেসব নিয়ে লেখাপত্র কই? ফিকশন, নন-ফিকশন? এক শুধু 'আনন্দীবাঈ' গল্পটা পাই, সেও হিউমারের মোড়কে মুড়ে।
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৬ জুলাই ২০২৫ ০১:৫৭539917
  • 'লক্ষ্মণের শক্তিশেল' এ ছিলেন মন্ত্রী জাম্বুবান। নাটকগুলো এঁরা যদি রেকর্ড করে রাখতেন...
  • Ranjan Roy | ০৬ জুলাই ২০২৫ ০১:৫৬539916
  • ভাটে কিছু লুজ টক কিছু রেফারেন্স কিছু আলটপকা মন্তব্য থাকবে না?
    তাহলে ভাটে আর --টে তফাত কী রইল?
     
    অবশ্য ব্যক্তি আক্রমণ বর্জনীয় এবং নিন্দনীয়।
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৬ জুলাই ২০২৫ ০১:৫২539915
  • সত্যজিৎ, সুনীল, শক্তি প্রভৃতিদের লেখাপত্র তো মূলধারার বড় পত্রিকায় বলতে গেলে নিয়মিত বের হত, বইপত্র হয়েও বের হত তাদেরই হাউস থেকে। ককুমদের বা সন্দীপনদের কাজকর্ম তো সেখান থেকে ... মানে তেমন তো ... বের হত কি?
  • Ranjan Roy | ০৬ জুলাই ২০২৫ ০১:৫০539914
  • জমে গেছে ভাট,
    ভাঙে নি  তো হাট,
    গুণীজন দিল সাড়া।
     
    উইট হিউমারে
    গলাগলি করে
    আমি যে বাক্যহারা।।
     
    বৈকুণ্ঠ মল্লিকের একলব্য ছাত্র প্রণীত। 
  • . | ০৬ জুলাই ২০২৫ ০১:৪৯539913
  • আমরা হ‍্যামলেট নিয়ে যখন পড়ছিলাম, বদমাইশি করে ওমলেট বলতাম। ওমলেটের বহর দেখে সেইটে বারেবারে মনে পড়ছে।
  • r2h | 165.***.*** | ০৬ জুলাই ২০২৫ ০১:৪৫539912
    • :) | ০৫ জুলাই ২০২৫ ২১:২৮
    • ... ব্যক্তিগত পরিসরের রঙ্গরসিকতা লিপিবদ্ধ করে পাবলিক পরিসরে আনার সম্ভাবনা যে সংযম দেখিয়ে সুনীল গাঙ্গুলী 'উচিত হবে না' বোধে সংবরণ করলেন, সেই সংযম না দেখানোর দায় কুমারপ্রসাদ গোছের স্মৃতিলেখকদের। 
    একমত।

    কিন্তু কোলাহল বারণ হলে, আমার কৌতূহল হয়, এই যুগেও কি ঐ মাপের প্রতিভা আর হয়, নাকি সেসব সত্তর আশিতে শেষ হয়ে গেছে; একরকমের জীবনধারা চর্যা, স্বাতন্ত্র‌্য- ইত্যাদির যুগ কি একেবারেই শেষ, না এখনও কোথাও কোথাও হয়ে উঠতে পারে।

    স্ববিরোধিতা বদরসিকতা কুচুটেপনা ছিদ্রান্বেষণ এইসব নিয়ে ব্যক্তিগত ট্রেট নিয়ে আমার ব্যক্তিগত বিরাগ আছে, কিন্তু একটা লোক পথিকৃৎ লেখক, শিল্পী, শিল্পনির্দেশক, সঙ্গীতবোদ্ধা, অনিশ্চিত উপার্জন, বিশ্ব সাহিত্য সংস্কৃতি বিষয়ে অবিসংবাদিত অথরিটি এরকম মাপের মানুষের যে কিছু বড়সুলভ লীলেখেলা থাকবে তাতে তো আশ্চর্যের কিছু নেই।
    নিন্দেমন্দ সন্দেহ সমালোচনা আছে, কিন্তু বিস্ময়ও আছে।
     
    তবে লুজ টক আর রেফারেন্সবিহীনতা তত খারাপ কিছুও না, সেসব না থাকলে গত দুইদিনের চমৎকার রেফারেন্স ও আলোচনাগুলি আসতো না!
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৬ জুলাই ২০২৫ ০১:১৪539911
  • 'হরবোলা'র ওঁদের 'মুক্তধারা' নাটকের অভিনয় যদি রেকর্ড করা থাকত, কী যে ভালো হত! বিভূতি চরিত্রে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিনয় দেখতে ইচ্ছে করে।
  • &/ | 151.14.***.*** | ০৬ জুলাই ২০২৫ ০১:০৭539910
  • আবার ওমলেট!!!! যেখানে ককুম সেখানেই ওমলেট! ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের মত বেজে চলেছে ওমলেট ওমলেট ওমলেট। ঃ-)
  • :) | 103.244.***.*** | ০৬ জুলাই ২০২৫ ০০:৪৬539909
  • হরবোলা”র যে সাংস্কৃতিক পরিমগুলে আমি বর্ধিত হচ্ছিলাম, তা লুপ্ত হয়ে গেল অকস্মাৎ। অর্থাভাবের কোনও প্রশ্নই ছিল না, উৎসাহেরও অভাব ছিল না, তবু এই সংস্থাটি বন্ধ হয়ে গেল কমলকুমার মজুমদার ও দিলীপকুমার গুপ্ত নামে দুই প্রবল ব্যক্তিত্বের সংঘর্ষে। এরকম ব্যক্তিত্বসম্পন্ন পুরুষরা বেশিদিন অন্যদের সঙ্গে সহযোগিতা চালাতে পারেন না, সহ্য করতে পারেন না বিরুদ্ধ মত বা সমালোচনা। যেমন রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন, “দুই বনস্পতি মধ্যে রাখে ব্যবধান/লক্ষ লক্ষ তৃণ একত্রে মিশিয়া থাকে বক্ষে বক্ষে লীন।” আমাদের মতন তৃণদলের মাঝখানে কমলকুমার ও ডি কে ছিলেন দুই বনস্পতি, কিছুদিনের জন্য দু'জনের গাঢ় বন্ধুত্বও ছিল, কিন্তু নাটক পরিচালনার ব্যাপারে অতি সামান্য কারণে এঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। একটিও কটু বাক্য উচ্চারিত হয়নি, তবু এক সন্ধেবেলা দু'জনে দু'দিকে মুখ ফিরিয়ে চলে গেলেন। ওঁদের মধ্যে মিলন ঘটাবার অনেক চেষ্টা করেছি আমরা, পলাতক ও আত্মগোপনকারী কমলকুমারকে ধরে এনে ডি কে-র সামনে দাঁড় করিয়েছি, দু'জনেই দারুণ ভদ্রতার সঙ্গে সহাস্যে আলিঙ্গন করলেন, কিন্তু মাঝখানের ফাটল আর জোড়া লাগল না। “লক্ষ্মণের শক্তিশেল", “মুক্তধারা” নাটক বেশ সাফল্যের সঙ্গে মঞ্চস্থ করার পর অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “লম্বকর্ণ পালা'-র রিহার্সাল দিতে দিতে মাঝপথে 'হরবোলা” ভেঙে গেল।

    তারপর ডি কে-র সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ কমে গেলেও আমরা রয়ে গেলাম কমলকুমারের প্রায় প্রতিদিনের সঙ্গী, বা ছায়াসঙ্গী বা অনুচর বা চেলা। ......
    কোনও রহস্যময় কারণে কমলদা সেসময় তাঁর বাসস্থানের কথা গোপন রাখতেন। রাত্তিরের দিকে শ্যামবাজারের মোড়ে দাঁড়িয়ে আড্ডা দিতে দিতে হঠাৎ চলি বলেই লাফিয়ে উঠে পড়তেন একটা চলন্ত বাসে। পরে অবশ্য, ডি কে-র সঙ্গে বিবাদের সময় আমরা গোয়েন্দাগিরি করে তাঁর বাড়ি খুঁজে বার করেছিলাম। সেই সময় তিনি থাকতেন পাতিপুকুরে, নিজের স্ত্রীকে করে রেখেছিলেন অন্তরালবর্তিনী এবং তাঁকে সম্বোধন করতেন বড় বউ! কথাবার্তার মাঝখানে একসময় তিনি বলতেন, বড় বউ, এদের চা-টা দাও! তখন পর্দার আড়াল থেকে একটি ফর্সা হাত ওমলেট ও চায়ের কাপ বাড়িয়ে দিত। আমাদের মতন ছোটদের কাছেও কমলদা তাঁর স্ত্রীকে কেন লুকিয়ে রাখতেন, তা কোনও দিনই জানতে পারিনি। বহুকাল পরে বউদি দয়াময়ী মজুমদারকে সামনাসামনি দেখি, তিনি অত্যন্ত রূপসী তো বটেই, বুদ্ধিমতী ও বিদূষী, শেষ জীবনে লিখতেও শুরু করেন।.....
    আমরা কমলদার পাতিপুকুরের বাড়ি আবিষ্কার করায় তিনি খুশি হননি, অচিরেই বাসস্থান বদল করে তিনি আবার অজ্ঞাত স্থানে চলে যান। এরকমভাবে তিনি বহুবার বাড়ি বদল করেছেন, শুনেছি। সুতরাং, তাঁর সঙ্গে দেখা করার একমাত্র উপায় ছিল খালাসিটোলার পানশালায় হানা দেওয়া। এটা “হরবোলা” ভেঙে যাবার পরের কথা।

    কমলকুমারের সঙ্গে ভালোমতো পরিচয় হবার আগে যারা প্রথম প্রথম তাঁর বাক্যালাপ শুনবে, তাঁরা আঁতকে আঁতকে উঠবে। যেমন, কথায় কথায় তিনি উঁচু জাত, নিচু জাতের প্রসঙ্গ তোলেন, ছোটলোক-ভদ্রলোকের তফাত করেন, কোনও মুসলমানের মুখের ওপর বলেন ব্যাটা মোছলমান, দেশ স্বাধীন হবার বদলে ইংরেজ আমল ভালো ছিল, এখনও আবার ইংরেজদের ডেকে এনে এ দেশ শাসন করার কন্ট্রাক্ট দেওয়া উচিত, এরকম মতামত ব্যক্ত করতে দ্বিধা করেন না। এ সবই যে এক ধরনের তির্যক রসিকতা, তা বুঝে উঠতে সময় লাগে। খালাসিটোলায় একাধিক মুচি, মেথরের সঙ্গে তাঁর গলাগলি, অনেক বিখ্যাত, উচ্চবংশীয়দের নাম শুনলেই তিনি নাক সিঁটকোন, হুমায়ুন কবীর, আতাউর রহমান কিংবা বেলাল চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর দারুণ বন্ধুত্ব! তিনি রামকৃষ্ণ ভক্ত বলেই ব্রাহ্মদের বিরোধী, সে কারণেই রবীন্দ্রনাথকেও “বেহ্ম' বলে অবজ্ঞার ভাব দেখান, অথচ “মুক্তধারা” অভিনয়ের সময় তিনি স্থির করেছিলেন, একটি শব্দও বাদ বা বদল করা চলবে না! একাত্তর সালে বাংলাদেশ যুদ্ধ শুরু হবার সময়ে তিনি গভীর বিস্ময়ে ভুরু তুলে বলেছিলেন, আ্যাঁ, মোছলমানরাও বাঙালি হতে চায়, বলে কী? তাঁর মতে, শুধু পশ্চিমবাংলার কায়স্থরাই বাঙালি, হিন্দু ব্রাহ্মণরাও বাঙালি হবার যোগ্য নয়! বলাই বাহুল্য, এর সঙ্গে ইতিহাস-ভূগোলের কোনও সম্পর্ক নেই, এসব কথা সেভাবে গ্রহণ করাও উচিত নয়, এসব কমলকুমার মজুমদার নামে এক সম্পূর্ণ স্বাতন্ত্র্যমণ্ডিত, অসাধারণ মানুষের চমকপ্রদ উক্তি! অন্য কারওর সঙ্গেই তাঁর তুলনা চলে না। সঙ্গী-সাথীদের কাছ থেকে শ্রদ্ধাভক্তি আদায়ের বিন্দুমাত্র বাসনা তাঁর ছিল না, কেউ সেরকম ভাব দেখালেই তিনি হা হা করে হেসে উঠে একটা অতি আদি রসাত্মক রসিকতা করে বসতেন। বাঙালি মুসলমানদের সম্পর্কে ওই ধরনের উক্তি করা সত্বেও এ তথ্য এখানে জানিয়ে রাখা ভালো যে মুক্তিযুদ্ধের সময় ওদিক থেকে আগত অনেক লেখক-বুদ্ধিজীবীকে তিনি সাদর আলিঙ্গন দিয়েছিলেন এবং অন্য অনেক সময় কথাপ্রসঙ্গে বারবার বলতেন, মুসলমানদের মতো আতিথেয়তা দিতে হিন্দুরা জানে না।

    কমলকুমারের বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি ছিল না, তিনি সম্পূর্ণ স্বশিক্ষিত, বহু বিষয়ে ছিল গভীর জ্ঞান, তাঁর মুখের ভাষা ও লেখার ভাষায় আকাশ-পাতাল তফাত বলতে গেলে। তাঁর কথ্যরীতি খুবই চটুল, তারই মধ্যে হঠাৎ হঠাৎ ঝলসে উঠত প্রজ্ঞা, ইংরিজি করে বলতে গেলে প্রফাউন্ড ও প্রফেনের এমন সংমিশ্রণ অতি দুর্লভ। মানুষটি সব সময় জীবনরসে ভরপুর, তাকে কখনও গম্ভীর কিংবা সত্যি সত্যি ক্রুদ্ধ হতে দেখিনি। তাঁর আর একটি বৈশিষ্ট্য, তিনি কোথাও বসতে চাইতেন না, খালাসিটোলায় টেব্‌ল-বেঞ্চ থাকলেও কমলকুমার মদ্যপান করতেন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আগাগোড়া। তখনকার খালাসিটোলা ছিল কলকাতার সবচেয়ে শস্তা দিশি মদের পানশালা, টিনের ছাদ ঘেরা বিশাল জায়গা, বাইরে থেকে কিছু বোঝাই যেত না। পরবর্তীকালে কোনও কোনও সাহেব, যেমন বিখ্যাত কোনও ফরাসি শিল্প সমালোচক কিংবা ইংরেজ কবি কমলকুমারের সম্পর্কে জেনে তাঁর সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করলে তাঁদের আসতে হত ওই খালাসিটোলাতেই, কমলকুমার গেলাস হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কথা বলতেন তাঁদের সঙ্গে। এরা কেউ কেউ বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, একসঙ্গে এত মানুষকে এক জায়গায় শুধু মদ্যপান করতে তাঁরা আর কোথাও দেখেননি। .... এক নম্বরের বাংলা মদ অতি কড়া, যাকে বলে তরল-গরল, তা এক গেলাস ভর্তি করে, জল বা সোডা এক বিন্দু না মিশিয়ে, কমলকুমার আগে তাঁর হাতের একটি আংটি গেলাসে ছুঁইয়ে নিতেন, (সে আংটিতে শ্রীরামকৃষ্ণের নাম লেখা!) তারপর ঢক ঢক করে এক চুমুকে শেষ করে ফেলতেন সবটা। আমাদের মধ্যে শক্তিই একমাত্র কমলদার এই দৃষ্টাস্তের অনুসরণ করত, আমি দু'-একবার চেষ্টা করেও পারিনি, আমায় সোডা মেশাতে হতই। এক গেলাস শেষ করার পর দ্বিতীয় গেলাস নেবার আগে কমলদা একটা কলে খুব ভালো করে মুখ কুলকুচো করতেন। তাঁর মতে, এতে নাকি দাঁত ঠিক থাকে। লিভারের কী হবে, তার চিস্তা নেই, দাঁতের জন্য চিন্তা!

    খালাসিটোলা রাত ন'টায় বন্ধ হবার পর বাইরে বেরিয়ে সরষের তেলে ভাজা গরম গরম ওমলেট খাওয়া ও তার পরেও বহুক্ষণ ওয়েলিংটনের মোড়ে পুরনো বইয়ের দোকানগুলির 
    সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আড্ডা। এক প্রসঙ্গ থেকে প্রসঙ্গান্তরে, পৃথিবীর বহু বিষয়ে কথা বলতেন কমলদা, আমরা মুগ্ধ শ্রোতা। সক্রেটিস যেমন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কিংবা চলতে চলতে তাঁর ভক্তদের জ্ঞানের কথা বলতেন, তাঁর অনুগামীদের বলা হত পেরিপাটেটিক ফিলোজফার, কমলকুমারও সেরকম, তিনিই আমাদের সক্রেটিস। তিনি দার্শনিক তো অবশ্যই।

    কমলকুমার শারীরিকভাবেও বেশ শক্তিশালী পুরুষ। অত মদ্যপান করেও কখনও তাঁকে বেচাল হতে দেখিনি। তিনি উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তান হলেও তখন তাঁর আর্থিক অবস্থা ভালো নয়, অনিশ্চিত উপার্জন, তবু আমরা বয়েসে অনেক ছোট বলে মদের বোতল কেনার টাকা তিনিই জোর করে দেবেন। তিনি টাকা রাখতেন তাঁর হাতে ধরা বইয়ে, প্রতিদিনই কোনও না কোনও ফরাসি বই থাকত, সেই বইয়ের ভাঁজে। আড্ডার শেষে তিনি একাই ট্রামে চেপে চলে যেতেন তাঁর অজ্ঞাত. বাসস্থানে। পরের দিকে অবশ্য তা জানা হয়ে যায়। তখন ইন্দ্রনাথ মজুমদার, কমলদার আপত্তি সত্বেও, জোর করে ট্যাক্সিতে তাঁকে বাড়ি পৌছে দিয়ে আসত। কমলদা নিঃসস্তান, ইন্দ্রনাথ মজুমদার শেষের কয়েক বছর যেভাবে নিঃস্বার্থভাবে কমলদার দেখাশুনো করেছে, তা অনেকের নিজের সন্তানও করে না।

    কমলদার চরিত্রের আর একটি বৈপরীত্যের উদাহরণও দেওয়া দরকার। সিগনেট প্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ হবার পর জীবিকার জন্য তিনি “তদন্ত' নামে একটি গোয়েন্দা-রহস্য পত্রিকা বার করেছিলেন, তাতে প্রিয়নাথ মুখোপাধ্যায়ের 'দারোগার দপ্তর'-এর মতন পুরনো লেখা পুনর্মুদ্রিত হত, অনেক লেখা কমলদা নিজে লিখতেন, আমরাও দু'-একটা লিখেছি কাঁচা হাতে। অতি দীনভাবে ছাপা, বাজে কাগজ, মলাটে রগরগে ছবি নেই, সেরকম রহস্য পত্রিকা চলবে কেন? পুরোটাই লোকসান, বন্ধ হয়ে গেল অচিরে। কয়েক বছর পর তিনি আর একটি পত্রিকার সম্পাদক হন, নাম “অঙ্ক ভাবনা”, এরকম পত্রিকা প্রকাশের কথা এ দেশে আগে কেউ চিন্তাই করেনি, এর বিষয় গাণিতিক দর্শন, অতি দুরূহ সব প্রবন্ধ। বহু লেখক অঙ্ক জিনিসটাকেই ভয় পায়, তার ওপর তার দর্শন! এ পত্রিকার পাঠক যেমন দুর্লভ, লেখক পাওয়াও তেমনই কঠিন। কয়েক সংখ্যা পরেই পত্রিকাটির পঞ্চত্বপ্রাপ্তি হল। “অঙ্ক ভাবনা”-র সমস্ত দায়দায়িত্ব বহন করেছিল ইন্দ্রনাথ মজুমদার। একই ব্যক্তি একবার অতি লঘু রহস্য পত্রিকার সম্পাদক হন, আবার অতি গুরুগম্ভীর দর্শন-পত্রিকার, এর উদাহরণ কমলকুমারই একমাত্র!

    এক রবিবার সকালে কমলদা তাঁর প্রথম উপন্যাস উপহার দিলেন আমাদের। উপন্যাসটি সম্পূর্ণ ছাপা হয়েছে একটি সাধারণ পত্রিকায়, আমি তার নামও জানতাম না, কমলদা পত্রিকাটি ছিড়ে, শুধু তাঁর উপন্যাসের অংশটুকু সেলাই করে দিয়েছিলেন, নাম “অন্তর্জলী যাত্রা”, প্রথম লাইনটি আজও মনে আছে, “আলো ক্রমে আসিতেছে, আকাশ মুক্তাফলের ন্যায় হিম নীলাভ।” সে উপন্যাস পাঠের অভিজ্ঞতা, জীবনের কিছু কিছু ঘটনার মতন সম্পূর্ণ নতুন ও চিরস্থায়ী। ততদিনে সাধু বাংলা বিসর্জন দিয়েছে সমস্ত লেখক, কমলকুমারের রচনা শুধু সাধু বাংলায় নয়, তার বাক্যগঠনও আমাদের অপরিচিত, কোথাও কোথাও তা কঠিন দেওয়ালের মতন যেন ' অগম্য, তবু সেই দেওয়ালের ওপাশে যেন রয়েছে কী রহস্য, তাই বারবার পড়তে ইচ্ছে হয়, গোটা উপন্যাসটি অন্তত তিনবার পাঠের পর তার প্রকৃত মর্ম ও সৌন্দর্য হৃদয়ঙ্গম হয়। হীরকউদ্ধারের জন্য যেমন অনেক মাটি খুঁড়তে হয়, সেই রকমই কমলকুমার মজুমদারের উপন্যাস পাঠের পরিশ্রম সার্থক।

    তাঁর মুখের ভাষা হাটে-বাজারের, আর সাহিত্যের ভাষা এত জটিল কেন, এ প্রশ্ন অনেকবার করেছি। তিনি যা উত্তর দিয়েছেন, তা অভিনব ও চমকপ্রদ হতে পারে, ব্যাখ্যা নয়। তিনি বলতেন, সাহিত্য হচ্ছে বাগ্‌-দেবী সরস্বতীর সঙ্গে কথা বলা। আমরা যে ভাষায় মাছের বাজারে, মদের দোকানে, বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে কথা বলি, সে ভাষায় শব্দের অধিষ্ঠাত্রীর সঙ্গে কথা বলা যায় না, সে জন্য নতুন ভাষা তৈরি করে নিতে হয়। এই উপন্যাসটি গ্রন্থাকারে ছাপা হয়েছিল 
    একটি ছোট প্রকাশনী থেকে, কমলকুমার রসিকতা করে বলেছিলেন, এক বছরে আমার বইটা বিক্রি হয়েছে পনেরো কপি, আর সতেরো জন ফেরত দিয়ে গেছে! তবু, যতই ছোট গোষ্ঠীর মধ্যে পরিচিত হোন না কেন, এই সময় থেকে তিনি একজন পুরোপুরি লেখক।

    কমলকুমার কবিতা লেখেন না, আমরা কৃত্তিবাস পত্রিকায় তাঁর কোনও রচনা ছাপতে পারি না, কারণ তখনও কৃত্তিবাসকে বিশুদ্ধ কবিতা পত্রিকা হিসেবে রাখতেই বদ্ধপরিকর। সন্দীপনের মতন বন্ধুও কৃত্তিবাসের ঘনিষ্ঠ বন্ধু, তবু সে এ পত্রিকার লেখক নয়। হঠাৎ আমার মস্তকে এক দুঃসাহসিক পরিকল্পনা এসে গেল। একই সঙ্গে দুটি আলাদা পত্রিকা বার করা হবে, পৃথক মলাট, কিন্তু দুটিরই নাম কৃত্তিবাস, একটি কবিতা, অন্যটি গল্পের। কয়েকজন বন্ধু এতে সমর্থন জানাল। আমার স্কুলের ও বাল্য-বন্ধুরা, যেমন আশুতোষ ঘোষ, উৎপল রায়চৌধুরী, ভাস্কর দত্ত প্রমুখ, এরা কেউ লেখে না কিন্তু গোড়ার দিকে কৃত্তিবাসকে অনেক সাহায্য করেছে, অন্যরা আস্তে আস্তে সরে গেলেও ভাস্কর রয়ে গেল আজীবন কবি-লেখকদের সঙ্গী। ভাস্করের গড়া হল একটা তহবিল, শুরু হল দুই কৃত্তিবাসের কাজ। গল্পসংখ্যার জন্য নির্বাচিত হল দুটি মাত্র গল্প, কমলকুমার মজুমদারের “ফৌজ-ই-বন্দুক' এবং সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের “ক্রীতদাসক্রীতদাসী”, দুটিই অসাধারণ গল্প এবং বাংলা সাহিত্যে নতুন স্বাদের। শক্তি চট্টোপাধ্যায় স্বেচ্ছায় গল্প পত্রিকার দায়িত্ব নিতে চেয়েছিল, তার নাম মুদ্রিত হল সম্পাদক হিসেবে, কিন্তু সে এমনই অস্থির স্বভাবের যে সম্পাদকীয় পর্যস্ত লিখে উঠতে পারল না। সে সম্পাদকীয়ও লিখতে হল আমাকেই। সে সম্পাদকীয় থেকে কিছু কিছু বাক্য পরে অনেকে উদ্ধৃত করেছে দেখেছি। যথাসময়ে প্রকাশিত হল দুটি পত্রিকা, দুটির নাম কৃত্তিবাস, দু'রকম চেহারা, দুটিই পরিচ্ছন্নভাবে সুমুদ্রিত। পাঠক মহলে খুবই বিস্ময়ের সঞ্চার হয়েছিল। বাংলা ভাষাতে তো বটেই, আর কোনও ভাষাতেও এরকম অভিনব ব্যাপার ঘটেছে কি না জানি না।'

    দ্বিতীয় সংখ্যার জন্য কমলকুমার লিখে দিলেন “গোলাপ সুন্দরী" এ ছাড়া দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবেশ রায়, মতি নন্দী প্রমুখ বন্ধুরা গল্প দিয়েছিলেন স্বেচ্ছায়, কিন্তু গল্প-কৃত্তিবাসের আর দ্বিতীয় সংখ্যা বেরোতে পারেনি। কিছুটা অর্থাভাবে, কিছুটা বন্ধু-বান্ধবদের মধ্যে মতান্তরে ও কিছুটা আমার পারিবারিক দুর্যোগের কারণে এই উদ্যোগ আর নেওয়া যায়নি। কবিতার কৃত্তিবাসও সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায় বছরখানেকের জন্য। খুবই দুঃখের সঙ্গে কমলকুমারের “গোলাপ সুন্দরীর মতন অমর গল্পটি আমি “এক্ষণ” পত্রিকার জন্য তুলে দিয়েছিলাম নির্মাল্য আচার্যের হাতে। 
    অবশ্য কয়েক বছর পর, আগেকার নিয়ম ভেঙে, কবিতার কৃত্তিবাসেই প্রকাশিত হয়েছিল কমলকুমারের সম্পূর্ণ উপন্যাস, “সুহাসিনীর পমেটম"। 

    ----------------- অর্ধেক জীবন / সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় / পৃ ১৭২-১৭৯
     
    (এখানে সরা বা পপাঁ নেই, শুধুই ককুম)
  • সন্দীপন চট্টোপাধ্যায়ের ডায়েরি | 2601:5c0:c280:d900:212e:ab3c:110f:***:*** | ০৬ জুলাই ২০২৫ ০০:৩৩539908


  • (পৃঃ ১৭৬) 
  • test | 76.133.***.*** | ০৫ জুলাই ২০২৫ ২২:৪৬539907
  • :) | 103.244.***.*** | ০৫ জুলাই ২০২৫ ২১:২৮539906
  • সত্যজিৎ রায়কে তখনও আমরা ঘনিষ্ঠভাবে পাইনি, নিজের কাজ নিয়ে আসা-যাওয়া করতেন। যদিও হরবোলার ছাপানো প্যাডে তাঁর নাম উপদেষ্টা মণ্ডলীর অন্যতম, কিন্তু সম্ভবত সেই সময় থেকেই তিনি “পথের পাঁচালী" নির্মাণ নিয়ে ব্যস্ত, আমাদের নাটকের ব্যাপারে তিনি মন দিতে পারেননি। শুধু মঞ্চ সজ্জা পরিকল্পনার জন্য তাঁর সাহায্য চাওয়া হয়েছিল। কমলকুমারের সঙ্গে একদিন কথা বলার পর তিনি জানালেন যে কমলবাবু যে রকম ভেবেছেন, তার ওপরে তাঁর আর কিছু বলার নেই। সত্যজিৎ রায়কে কমলকুমার আড়ালে ডাকতেন ঢ্যাঙাবাবু। তার শারীরিক দৈর্ঘ্য নিয়ে নানান রঙ্গ রসিকতাও হত, যদিও সেই বয়সের সত্যজিৎ রায়ের মতন সুপুরুষ সারা পৃথিবীতেই দুর্লভ। তার সঙ্গে কমলকুমারের এক বিশেষ ধরনের বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। “পথের পাঁচালী” মুক্তি পাবার পর কমলকুমার ব্রত পার্বণ, বাস্তু সাপ ইত্যাদি খুঁটিনাটির কিছু ভুল ধরেছিলেন, তাতে সত্যজিতের অপ্রসন্ন হবারও কথা, হয়েওছিলেন। যদিও পরবর্তীকালে তিনি স্বীকার করেছিলেন, কমলবাবুকে খুশি করার মতন বাংলার সামাজিক জ্ঞান তাঁর নেই। কমলকুমার কিন্তু অন্য কারওর মুখে সত্যজিতের নিন্দে সহ্য করতে পারতেন না। সব বিখ্যাত ব্যক্তিদেরই বিরূপ সমালোচনা কিংবা অকারণ কটু-কাটব্য করার মতন কিছু লোক থাকে, একবার এক ব্যক্তি কমলকুমারের সামনে সত্যজিৎ সম্পর্কে অযৌক্তিক নিন্দে শুরু করতেই কমলকুমার চটে গিয়ে বললেন, ও কথা বলো না, বলো না। একটা পেঁপেগাছের তলায় দাঁড়িয়ে বললে পেঁপেগুলো পর্ষস্ত তেতো হয়ে যাবে।
    ---------- সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় / অর্ধেক জীবন / পৃ ১৪৮ 
     
    ডি কে সাহেবি কোম্পানির বড় সাহেব, কিন্তু আমাদের সঙ্গে কথা বলার সময় পারতপক্ষে ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করেন না, তাঁর বাংলা পরিশীলিত, রসিকতার সময়েও একটিও অপ-শব্দ থাকে না, ওদিকে কমলকুমারের প্রায় সব রসিকতাই আদিরসাত্মাক, ডি কে তা উপভোগ করেন উচ্চহাস্যে।
    -------- ঐ
     
    কমলদা পরনিন্দা খুব ভালোবাসতেন। বলা যায়, পরনিন্দা ব্যাপারটাকে তিনি উন্নীত করতেন আর্টের পর্যায়ে। সমাজে যাঁরা অতি প্রসিদ্ধ ও শ্রদ্ধেয়, তাঁদের ভাবমূর্তি ভাঙার জন্য তাৎক্ষণিক গল্প বানানোর দারুণ দক্ষতা ছিল তাঁর, ইংরিজিতে যাকে বলে ডিবাংকিং, কিন্তু বিন্দুমাত্র তিক্ততা থাকত না, শুধুই রঙ্গরস। বঙ্কিমচন্দ্র আর শ্রীরামকৃষ্ণ ছাড়া কাউকেই বাদ দিতেন না, মৃত বা জীবিতও সমতুল্য। সে সব অনেক গল্পই আমার মনে আছে, কিন্তু এখানে লেখা উচিত হ 'উচিত হবে না' বে না, কারণ কমলকুমার মজুমদারকে যা মানায়, আমার মতন ক্ষুদ্র ব্যক্তির তো তা সাজে না! তাঁর এই রকম তামাসা-প্রবণতা বোঝাবার জন্য একটি তুলনামূলকভাবে নিরীহ উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে।... রানাঘাট স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে দাড়িয়ে আছেন দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, তিনি জমিদার ও বিরাট বিখ্যাত ব্যক্তি, তাঁকে দেখা মাত্র অনেক লোকের পদধূলি নেবার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ার কথা, কিন্তু সেখানে কেউ তাঁকে চিনতে পারছে না। তিনি একজন লোকের কাঁধে চাপড় দিয়ে বললেন, ওহে, আমি মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর! লোকটি পাশের অন্য একটি লোকের দিকে ফিরে বলল, আমাদের অনেকেরই অর্শ আছে, তা বলে এমন জাহির করে বেড়াই না!

    -------- ঐ / পৃ ১৪৯
     
    ব্যক্তিগত পরিসরের রঙ্গরসিকতা লিপিবদ্ধ করে পাবলিক পরিসরে আনার সম্ভাবনা যে সংযম দেখিয়ে সুনীল গাঙ্গুলী 'উচিত হবে না' বোধে সংবরণ করলেন, সেই সংযম না দেখানোর দায় কুমারপ্রসাদ গোছের স্মৃতিলেখকদের। তিনি খোলাখুলিই লিখেছেন, 
     
    "বড় আফশোস হয় কমলকুমার মজুমদারকে সৈয়দ মুজতবা আলির সঙ্গে ভিড়িয়ে দিতে পারিনি, পারলে শ'তিনেক পাতা ভরিয়ে ফেলতে পারতাম। যদিও কোনো প্রকাশক সাহস করে ছাপত না।"
    "মুজতবা আলির সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ কফি হাউসে প্রাক-পথের পাঁচালির যুগে। সম্ভবত শাঁটুলবাবুই ওঁকে পেড়েছিলেন। এসেই উনি আমাদের হৃদয় জয় করবার উদ্দেশ্যে একটি নোংরা গল্প ফেঁদে বসলেন। .....
    সত্যজিৎ রায়ের পিতৃপুরুষের পরিচয় শাঁটুলবাবু দিতে আলিসাহেব বললেন, 'তুমি তো মস্ত বড় বাপের ছেলে। ওই শতরঞ্চি মলাটের হযবরল আর তোমার বাপের ছবি আঁকা 'আবোল তাবোলে'র প্রচ্ছদ বদলালে কেন ভাই? শুনেছি সিগনেট প্রেসের সব বইয়ের মলাটের ছবি টবি তুমিই আঁকো।"
    --------- ম্যেহ্‌ফিল / কুমারপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় / পৃ ৩৩
     
    এই যে মুজতবা আলির বলা হযবরল-এ শতরঞ্চি মলাটের সত্যজিত কর্তৃক বদলের উল্লেখ, এ ও কমলকুমারের মুখে বসিয়ে লোকজন ফেসবুকে তো বটেই, কঠিন সাহিত্যিকেরা ছাপার হরফের পোবোন্ধে অবধি ঢুকিয়ে দিয়েছেন। অবিশ্যি এমন অনেক লেখক আছেন, যাঁদের মনের মাধুরী মেশানো সৃজনশীল রচনার সঙ্গে মননশীল প্রবন্ধ বা যথাযথ স্মৃতিআলেখ্যের প্রভেদ করা যথার্থই কঠিন।
     
    লুজ টক আর রেফারেন্সবিহীনতার এ জ্বালা সংশোধনের জন্য ক্রমাগত নানা পরিসরে কাউন্টার করে যাওয়া ছাড়া আর উপায় দেখিনা।
  • r2h | 208.127.***.*** | ০৫ জুলাই ২০২৫ ২০:২৫539905
  • স্যরি 'তখন কী হবে তাই ভাবি।'- এর পরের কোটেশনটা ইগ্নোর প্লিজ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত