এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • আর জি কর গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • r2h | 134.238.***.*** | ০১ মে ২০২৫ ২১:০৭537774
    • &/ | ০১ মে ২০২৫ ০৭:০০
    • ...মূল আদর্শ যদি বেদ উপনিষদের পদ্ধতিতে পড়ানো হবে- এইরকম করে শুরু হয়ে থাকে আর পরে সিলেবাস ও পঠনপদ্ধতি আধুনিক অন্যান্য জায়্গার মতই হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে সেটা হল কেন? কখন হল?... 
     
    এটার উত্তর কিন্তু মনে হয় সোজা।
    বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে ১৯৫১ সালে দেখলাম। 
    ভারত স্বাধীন হয়েছে ৪৭-এ, ইউনিভার্সিটি এডুকেশন কমিশন তৈরি হয়েছে ১৯৪৮এ, ১৯৪৫ এ তৈরি ইউজিসি ১৯৪৮-৪৯ এ নানান চিন্তা ভাবনার মধ্য দিয়ে গেছে। একটা স্বাধীন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হচ্ছে, বিশ্বভারতী এইসবের অংশ হবে - এটা ধরেই নেওয়া যায়।
    নেহেরু গান্ধী রবীন্দ্রনাথ ইত্যাদিরা পরস্পরের চিন্তা ভাবনা ও কাজকর্ম বিষয়ে আগ্রহী ছিলেন, সদ্য স্বাধীন দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অগ্রগতিতে বিশ্বভারতী/ শান্তিনিকেতন অংশ নেবে - এটাই স্বাভাবিক না?

    উপনিষদ টিষদ ঠিক আছে, কিন্তু জীবনের মূ,আদর্শ বেদ উপনিষদের পদ্ধতিতে - এটা বোধয় একটু ফেসভ্যালুতে নেওয়া হয়। মানে, রবীন্দ্রনাথ তো খুবই আধুনিক মানুষ ছিলেন, উনি হাজার বছর আগের আশ্রম জীবন ফিরিয়ে আনতে চেয়েছিলেন - এমন ভাবা ভুল বলেই মনে হয়। পাশ্চাত্য মত, বিজ্ঞানচর্চা- সবেতেই তাঁর আগ্রহ ছিল। ইংরেজি পদ্ধতিতে কেরানী তৈরির শিক্ষা, ইঁদুর দৌড়, অগভীর বিদ্যা চর্চা- এইগুলির বাইরে বেরুতে চেয়েছিলেন। 
  • সুতীর্থ | 23.106.***.*** | ০১ মে ২০২৫ ২০:৩৮537773
  • যাক স্যান্ডির কাছে ইনফর্মেশন পাওয়া গেল। হ্যাঁ, হায়দ্রাবাদ বা অন্যান্য সেন্ট্রাল ইউনির বাজেট অবশ্যই বিশ্বভারতীর তুলনায় অনেক বেশি। তবে যাদবপুরের টোট্যাল বাজেট বিভার কাছাকাছি (সামান্য বেশী)। NIRF data দেখলাম:
    Hyderabad: https://gadmin.uohyd.ac.in/nirf-documents/#
    JNU: https://www.jnu.ac.in/nirf
    Delhi: https://www.du.ac.in/index.php?page=DU-NIRF
    Visvabharati: https://www.visvabharati.ac.in/NIRF.html
    JU: https://jadavpuruniversity.in/national-institutional-ranking-framework-nirf/

    আরও যেটা দেখলাম NIRF Score অনুযায়ী ইউনিভার্সিটিগুলোর মধ্যে টপে Indian Institute of Science (83.16), দুইয়ে জেএনইউ (68.92), চারে যাদবপুর (66.07) রয়েছে। যাদবপুরের দ্বিগুণ বা চারগুন বাজেটওয়ালা হায়দ্রাবাদ (62.09) ও দিল্লি ইউনিভার্সিটি (61.45) রয়েছে দশ ও এগারো অবস্থানে। বারোতে কলকাতা ইউনিভার্সিটি (61.14)।  বিশ্বভারতীর অবস্থান সেখানে সাতানব্বই নম্বরে! NIRF Score 43.11.
    https://www.nirfindia.org/Rankings/2023/UniversityRanking.html

    তো এর কারণ খুঁজতে গিয়ে দেখলাম ছাত্রবিক্ষোভ, ঘেরাও এবং ঠাকুরসাহেবের আদর্শ থেকে বিচ্যুতিকে কারণ হিসেবে ধরা হয়েছে। এবার বিক্ষোভ-টিক্ষোভ যাদবপুর বা জেনেইউর চাইতে বিভায় বেশি বললে ঘোড়ায় হাসবে।

    গাছতলার ব্যাপারটা এমনিতে কাটিয়ে দেওয়া যায়। পশ্চিমি দেশের গথিকছাদের ইউনিভার্সিটিগুলোর বিল্ডিং তো বেশ ডিপ্রেসিং। তাতে জ্ঞানচর্চা আটকেছে বলে মনে হয় না। কিন্তু বিভার গাছতলার সঙ্গে উপনিষদ এসে পড়ে। তার পিছুপিছু আসে গুরুবাদ। স্বরলিপি, কপিরাইট ইত্যাদি নিয়ে বিশ্বভারতীর ইতিহাস দেখলে কিন্তু মনে হয় গুরুবাদ বেশ গেড়ে বসেছিল। এই গুরুবাদের কালচার মোটামুটি একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে অচলায়তন বানিয়ে তোলার জন্য যথেষ্ট। গুরুবাদ রোধ করার জন্য ঠাকুরসাহেব কি কি কাউন্টার মেজার নিয়েছিলেন জানতে আগ্রহী।
  • kk | 72.24.***.*** | ০১ মে ২০২৫ ১৯:২৮537771
  • স্যান্ডি (১৮ঃ৩০),
    লাইফ্সায়েন্স বিষয়ে তুমি ঠিকই বলেছো। বটানী ও জুলজি দুইয়েরই স্টুডেন্টদের 'কোর' বলে যেটা থাকতো তাতে ঐ দুটো বিষয়ই পড়তে হতো। আর অন্য পার্টটাকে বলতো 'ইলেক্টিভ'। তাতে যার যাতে মেজর তারা সেই বিষয়ের এক্স্ট্রা কিছু পেপার পড়তো।
    প্রাইভেট টিউটরের নোটস ছাড়া পড়াশোনা ও গাছের তলায় ক্লাস নিয়ে যা লিখেছো তার সাথে একমত।

    একটু অন্য প্রসঙ্গে -- স্যান্ডি, এবার 'আপনি'টা কাটিয়ে দিলে হয়না? 'তুমি' শুনতে বেশ ভালোই লাগবে।
  • syandi | 2401:4900:88ac:30b1:8888:eb30:577f:***:*** | ০১ মে ২০২৫ ১৮:০৩537770
  • আচ্ছা এই গাছতলায় ক্লাস হওয়ার ব্যাপারটা নিয়ে এত মাথাখারাপ হওয়ার কি আছে? এটা সেই টিপিক্যাল স্টিরিওটাইপিং ছাড়া আর কিছু নয়। কিছু বিদেশি যেরকম ভারতীয় জানলেই জিজ্ঞাসা করে বাড়িতে কতগুলো হাতি আছে ইত্যাদি। অনেকেই হয়ত জানেন না বা জানলেও তাঁদের এই স্টিরিওটাইপিং-করতে সুবিধা হয় বলে ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করেন যে গাছতলায় ক্লাস হয় শুধুমাত্র স্কুল সেকশনে অর্থাৎ ক্লাস টেন পর্যন্ত। হায়ার সেকেন্ডারী বা উচ্চতরশিক্ষা ক্লাসরুমেই হয় বরাবর। আমি জানিনা এই স্টিরিওটাইপিং কলকাতাকেন্দ্রিক উন্নাসিকতাজাত নাকি রবীন্দ্রবিদ্বেষজাত। কয়েকবছর আগে বাবার বয়সী আমেরিকাফেরত এক ভদ্রলোক আমার বিভা ব্যাকগ্রাউণ্ড জেনে বললেন "তোমার বন্ধুরা কি সব অ্যাই গরু সড় না টাইপের?"

    কেকে যেটা বললেন বিভার সিলেবাস সম্পর্কে সেটা খুব ইম্পর্ট্যান্ট। কেমিস্ট্রি B. Sc. -তেই আমরা কোয়ান্টাম মেকানিক্সের প্রাথমিক পাঠ এবং স্পেক্ট্রোস্কপি বেশ ভালোভাবে পড়েছিলাম। বর্ধমান বা ক্যালকাটা ইউনির B. Sc. কারিকুলামে এসব ছিল না তখন। এছাড়া জুলজি বা বটনি মেজর করত তাদেরকে ডিগ্রী দেওয়া হত লাইফ সায়েন্সে। জুলজির ষ্টুডেণ্টের অনার্স পেপারের পার্ট হিসাবে অনেকটা বটনি থাকত এবং বটনির ছাত্রছাত্রীদের অনার্স পেপারের পার্ট হিসাবে বেশ কিছু জুলজি থাকত। Core আর কি একটা বলত যেন? কেকে, কিছু ভুল বললে শুধরে দেবেন প্লীজ।

    বিভাতে পড়ার আরো একটা চ্যালেন্জ ছিল (যেটা যদুপুরের জন্যেও খাটে) কোন টিউশান ছাড়া সাবজেক্টটা শেখা। এটাতে অসুবিধা ছিল নিশ্চয়ই, তবে কিছু শিক্ষক ছিলেন যারা প্রথম দিন থেকে বিদেশি অথরের বই পড়তে বলতেন। এতে আমার মত বাঙলা মিডিয়ামে পড়াশোনা করা ষ্টুডেণ্টদের ইংরাজী শেখাটা কিছুটা হলেও সুবিধা হয়েছিল। অপরদিকে M. Sc ক্লাসে যখন অন্য়ান্য ইউনি থেকে  কিছু লোকজন পড়তে এল তাদের দেখলাম টেক্সটবুক পড়তে বেশ অসুবিধা হচ্ছে, কারন তারা টিউশান টিউটরের কাছে নোটস পেতে অভ্যস্ত এবং বিদেশী অথরের লেখা বই পড়ে বোঝার অভ্য়াস নেই। ক্যালকাটা, বর্ধমান, নর্থ বেঙ্গল ইত্যাদি ইউনির আণ্ডারগ্র‍্যাড লেভেলের পড়াশোনা একেবারেই ট্যুইশান নামের external impetus নির্ভর। এটা কিন্তু  মোটেই স্বাস্থকর নয়, সেটা ইউরোপ-আমেরিকার ইউনির পঠন-পাঠনের দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন।
     
  • আমাদের | 116.206.***.*** | ০১ মে ২০২৫ ১৭:৫১537769
  • জেভিয়ার্সে স্ট্যাট ডিপে একজন ম্যাম আছেন, বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী। বিশ্বভারতীর এমএসসি স্ট্যাট এন্ট্রান্স দেব ভেবেছিলাম আগের বছর, আর দিইনি, কিন্তু সেই সূত্রে ম্যামের সাথে কথা হয়েছিল। তারপর ওখানকার কয়েকজন অধুনা পাঠরত আর সদ্য স্নাতক প্রাক্তনীর সাথেও কথা হয়েছে, আমাদের ব্যাচমেট একটি মেয়ে শান্তিনিকেতন থেকেই আমাদের সাথে জেভিয়ার্সে আন্ডারগ্র্যাড পড়তে এসেছিল, বিভাতে পাওয়া সত্ত্বেও। 
     
    ওখানে স্ট্যাটের ফ্যাকাল্টিরা বেশ যোগ্য (সংখ্যায় কম), রিসার্চ ও হয়‌। এম‌এসসি র সিলেবাস দেখেছিলাম মোটামুটি স্ট্যান্ডার্ড সিলেবাস, বেইসিয়ান ইনফারেন্স, মেজার থিওরি থেকে বায়োস্ট্যাট-ইকোনোমেট্রিকস-অপারেশন রিসার্চ-ডাটা সায়েন্সে স্পেশাল পেপার পড়ানোর ব্যবস্থা আছে। কিন্তু সমস্যা হল সবকটি উল্লেখযোগ্য কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে স্ট্যাট পড়ানো হয়, তাদের মতোই অবস্থা- অর্থাৎ ছাগলের তিন নং বাচ্চা বা দুয়োরানীর ছেলে। দিল্লী ইউনিতে লোকে যায় ভালো প্লেসমেন্টের আকর্ষণে পড়াশোনার মান ভালো না খুব একটা, বাইরে রিসার্চের সুযোগ ও কম , বিএইচ‌ইউতে পড়ানোর মান ভালো, রিসার্চ করার সুযোগও পায় অনেকেই বাইরে। হায়দ্রাবাদে দুজন মাত্র ফ্যাকাল্টি অবশিষ্ট পুরো মাস্টার্স কোর্স পড়ানোর জন্য, তাও একজন রিটায়ার করবেন বা বাইরে চলে যাবেন। পন্ডিচেরি তো ছেড়েই দিলাম। সুতরাং বিশ্বভারতীতে ও অন্যন্য কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে পড়ানোর মান মাঝারি মাপের, ফ্যাকাল্টির শূন্যপদ পূরণ না হ‌ওয়া বা পূর্ণসময়ের শিক্ষক নিয়োগ না হ‌ওয়া এর বড়ো একটা কারণ। আর প্লেসমেন্টের অবস্থা বড়োই করুণ ওই আইএসআই, দুটি আইআইটি আর দিল্লি-পুনে ইউনি ছাড়া- কলকাতা, কল্যাণী বা অধুনা প্রেসিডেন্সি ইউনি (একমাস ক্লাস করেছি) থেকেও স্ট্যাট এ চাকরি‌ বা রিসার্চ ওয়ার্কের সুযোগ খু‌ব‌ই কম।
  • Bratin Das | ০১ মে ২০২৫ ১৭:১৬537768
  • ডেটা সায়েন্সের ৬৫-৭৫% হল স্ট্যাট আর লিনিয়ার আলজেবরা। বাকি ১০-১৫% একটা কোডিং  টুল।  আকাডেমিক্স হলে R, ইন্ডাস্ট্রি হলে পাইথন। ১০-১২% SQL আর বাকিটা একটা ভিসিলাইজেশন টুল এক্সেল, পাওয়ার বিআই  বা ট্যাবলো। 
  • syandi | 2401:4900:88ac:30b1:8888:eb30:577f:***:*** | ০১ মে ২০২৫ ১৭:০৭537767
  • পাশাপাশি রাখলে যদুপুরকে বেশী সাকসেসফুল বলে মনে হতে পারে, তবে এই মনে হওয়াটা মনে হওয়া মাত্র। কারণটা অরিন, ফুটিচার, এবং শান্তিনিকেতন নিক বলেছেন বা বলার চেষ্টা করেছেন। আপনি যেটা উপেক্ষা করেছেন সেটা হল দুটো ইউনির ফ্যাকাল্টির সাইজ। আপনি যে কোন ডিপার্টমেন্ট তুলনা করলে দেখবেন যে বিভার ঐ ডিপার্টমেন্টে প্রোফেসরের সংখ্যা যদুপুরের অর্ধেক বা ক্ষেত্রবিশেষে তারও কম। স্বাভাবিকভাবেই বিভার রিসার্চ আউটপুট যদুপুরের চাইতে কম হবে। আমাদের সময়ে সায়েন্সের এক একটা ডিপার্টমেন্টে গড়ে 14-15 জন শিক্ষক ছিলেন। এত কম শিক্ষক নিয়ে B. Sc, M. Sc- এর পাঁচটা ইয়ারের পঠন-পাঠন, তার সঙ্গে সাবসিডিয়ারি  (পাসকোর্স) সাবজেক্ট পড়ানোর পরে রিসার্চের জন্য আর কতটা এনার্জি বাঁচে? আর বিভা নামেই সেন্ট্রাল ইউনি, সেন্ট্রাল গভ: যা টাকা পয়সা দেয় তাতে বিভার দশা ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চার মত। হায়দ্রাবাদ সেন্ট্রাল ইউনি সেখানে অনেক বেশী টাকা পয়সা পায় কেন্দ্রের থেকে। আর যাদবপুরের টোট্যাল বাজেট বিভার থেকে অনেক বেশী। আপনি ভাববেন না যে আমি শান্তিনিকেতনের প্রাক্তনী বলে বিভাকে টেনে খেলাচ্ছি। আমার স্বীকার করতে বাধা নেই যে বিভা মুলত পঠন-পাঠন ইউনি, রিসার্চ এখানে গৌণ। যাদবপুরও মোটামুটি তাই, তবে রিসার্চ পারফর্মেন্স আর একটু বেশী ভাল কারণ বেশী ফাণ্ড পায়, আর IACS, IICB-এর মত ইনস্টিটিউটগুলো ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে হওয়ায় ওদের ইন্স্ট্রুমেন্টগুলো ব্যবহার করতে পারে। ইদানিং বিভার কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্টের রিসার্চ আউটপুট অনেকটাই হালো হচ্ছে, বছরচারেক আগে তো JACS পাবলিকেশনও হয়েছে।

    আমাদের সময়ে রিসার্চের কথা বললে সায়েন্স ইন্সটিতে একমাত্র জুলজিতে ফাণ্ড আসত। ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ডিপে পঠন-পাঠন ভালো হত, এই দুটো ডিপার্টমেন্ট থেকে অনেক ছেলেমেয়ে GATE এ দুর্দান্ত র‍্যাংক করত, NET qualify করত, JEST পেত। তুলনামুলকভাবে ম্য়াথস ডিপ ছিল খারাপ, এই ডিপের ছেলেপিলেরা ছিল চরম গাঁইয়া টাইপের এবং এরা SSC-এর বাইরে কিছু ভাবতে পারত না। এখন নাকি বিভার ম্য়াথস ডিপ দুর্দান্ত, এখন ম্য়াথস ডিপ থেকে GATE, NETতো পায়ই, এমনকি NBHM-ও পায়। আর ফিজিক্স, কেমিস্ট্রিও আগের মতই আছে। কেমিস্ট্রি ডিপ থেকে প্রতিবছর একঝাঁক ছেলেমেয়ে IISC, IIT চলে যায়,  একগাদা ছেলেমেয়ে JAM-ও qualify করে।

    হিউম্যানিটিজে যদুপুর আর বিভাকে তুলনা করার মত বিদ্যেবুদ্ধি আমার নেই, হাতের কাছে ডেটাও নেই।
     
  • PRABIRJIT SARKAR | ০১ মে ২০২৫ ১৩:১১537766
  • আজকাল ইউজিসি কলেজ বিশ্ব বিদ্যালয়ের এমনকি ডিপার্টমেন্ট এর মূল্যায়ন করছে। ন্যাক ভালুয়েশন।ওই টিমের লোকজনকে যত্ন করে কিছু হের ফের করা গেলেও ওই রেটিং ফেলে দেওয়া যায় না।
  • lcm | ০১ মে ২০২৫ ১১:৫৫537765
  • আমাকে কলকাতার এক ছোকরা জলের মতন বুঝিয়ে দিয়েছিল... কোন কোন কলেজ বা ইউনিভার্সিটি ভালো, এই আলোচনায় ও বার বার "এলপিএ" বলে একটি শব্দ বলছিল, যে অমুক কলেজে এলপিএ এত, এইসব... তো, আমি যখন জিগ্গেস করলাম যে এলপিএ টা কি ব্যাপার, সে তো আকাশ থেকে পড়ল - আপনি এলপিএ জানেন না! এলপিএ হল - লাখ পার এনাম। কোন কলেজ থেকে ডিগ্রি নিয়ে বেরিয়ে কত লাখ টাকার চাকরি পায় স্টুডেন্টরা - সেই সংখ্যা... বলল এটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি...
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:24b3:ff10:f589:***:*** | ০১ মে ২০২৫ ১১:৩২537764
  • "তাছাড়া যদি আপনার আগ্রহ থাকে আপনি নিজেও বার করে নিতে পারবেন। আমি আর এই আলোচনার মধ্যে নেই। নমস্কার।"
     
    আসলে এই আলোচনা বা বিতর্ক বোঝা মুশকিল ।   বিশ্ববিদযালয়, পড়াশোনা এসবের কি তুলনা করা যায় মশাই? তাও আবার কোন প্রাক্তনী কি করেছেন তার হিসেবনিকেশ করে? :-)
    চতুর্মাত্রিক তাও খানিক লড়ে গিয়ে হাল ছেড়ে দিলেন দেখছি। 
  • :|: | 2607:fb91:8810:c662:94e7:9444:58cd:***:*** | ০১ মে ২০২৫ ১১:০৭537763
  • না বাবা -- তথ্যফথ্য ওইসব ব্যাপারে অত জ্ঞান আমার নেই! যারা এসব বিষয়ে চর্চা করেন তারা অধিকারী মানুষ এবং তারা বলতে পারবেন। তাছাড়া যদি আপনার আগ্রহ থাকে আপনি নিজেও বার করে নিতে পারবেন। আমি আর এই আলোচনার মধ্যে নেই। নমস্কার। 
  • সুতীর্থ | 23.106.***.*** | ০১ মে ২০২৫ ১১:০০537762
  • আরে খচে যান কেন? আর্গুমেন্টের আগুপিছু কাটিয়ে দিয়ে সুবিধেমতো কোট করলে হবে? তথ্যটথ্য চাইলাম তো। অমুক অমুক লোক এই এই একাডেমিক গবেষণা করেছেন। বিশ্বভারতীর রিসার্চ আউটপুট সংক্রান্ত তথ্য। এনেকডোট না।
  • :|: | 2607:fb91:8810:c662:94e7:9444:58cd:***:*** | ০১ মে ২০২৫ ১০:৪৮537761
  • ধারণা করতে গেলে বিভার বিভিন্ন যুগের কাজ নিয়ে আগ্রহ থাকতে হবে। সেকালের ঢাবির মতো বিভার ইতিহাস (গসিপে নয়) জানতে হবে তো! 
  • :|: | 2607:fb91:8810:c662:94e7:9444:58cd:***:*** | ০১ মে ২০২৫ ১০:৪৫537760
  • ঠিক। একমত -- "কথা শোনা যায়" থেকে "ধারণা"-র ব্যাপারে "যাউগ্গা"-টাই ঠিক। 
  • সুতীর্থ | 23.106.***.*** | ০১ মে ২০২৫ ১০:৩৫537759
  • নাঃ কৃতিত্ব জেএনইউর কেন হবে যদি বিশ্বভারতীতে থাকাকালীন এনারা কেরিয়ারের শ্রেষ্ঠ কাজগুলি করে থাকেন। সত্যেন বোসের সঙ্গে তো ঢাকা ইউনিভার্সিটির নামই আসে। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচার ব্যাপারটি বেশ লংটার্ম জিনিস। ওটি তৈরী হয় যদি একদল স্কলার লোক একটি ডিপার্টমেন্টকে জ্ঞানচর্চার ক্ষেত্র হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন। যেমন ধরুন প্রেসিডেন্সির ফিজিক্স ডিপার্টমেন্টে একসময় এরকম ঘটেছিল। সেখানে বহু বাঘা-বাঘা ছাত্রঅধ্যাপকের কন্ট্রিবিউশন ছিল। বিশ্বভারতী দীর্ঘদিন স্রেফ ঠাকুর সাহেবের প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রচারের আলো পেলেও এবং ঠাকুর সাহেবের চেষ্টায় নক্ষত্রসমাবেশ ঘটলেও শেষপর্যন্ত কোনো ডিপার্টমেন্টই তুখোড় জ্ঞানচর্চার জায়গা হয়ে ওঠেনি। ব্যক্তিগত দ্বন্দ্ব নিয়েই বেশি কথা শোনা যায়। মোটকথা একাডেমিক কালচার তৈরির জায়গায় বিশ্বভারতী পিছিয়ে বলেই ধারণা হয়েছে। যাউগ্গা।
  • :|: | 2607:fb91:8810:c662:94e7:9444:58cd:***:*** | ০১ মে ২০২৫ ১০:১১537758
  • "জেএনইউ যেরকম সোশ্যাল সায়েন্সের চর্চায়" ইত্যাদি। প্রচার একটা বড় ব্যাপার। বিভার ক্ষেত্রে সব আলোটাই পড়েছে তাঁর মুখের 'পরে। বিভাই বলুন বা তাঁর আত্মজ -- সকলেই আলোর পিছনে স্থান পেয়েছে। নইলে ধরুন জেনুর সোশ্যাল সায়েন্সের সেকালের বিডি চ্যাটার্জি অশীন  দাশগুপ্ত বা সদ্য অবসর পাওয়া রণবীর চক্রবর্তী এঁরা বিশ্বভারটিরও অধ্যাপক ছিলেন। এমনকি ওখানকার সব্যসাচী ভট্টাচার্যও বিভারই উপাচার্য হয়ে এসেছিলেন। এখন এই ব্যক্তি প্রতিভার কৃতিত্ব জেনুর কি পুরোটাই দাবী করা উচিৎ?  
  • :|: | 2607:fb91:8810:c662:94e7:9444:58cd:***:*** | ০১ মে ২০২৫ ০৯:৪৪537757
  • "এখনো হয়ত আছে। কে জানে?"
    -- পড়ে একটু পুরোনো দিনের মজা করতে ইচ্ছে করছে। ডিডি বলতেন আমাদের সময় পিরিয়ডিক টেবিলে হাইড্রোজেন থাকতো। এখনও আছে কিনা কে জানে! ;)
  • সুতীর্থ | 23.106.***.*** | ০১ মে ২০২৫ ০৯:৪২537756
  • দেখুন ফাইন আর্টস বা পারফর্মিং আর্টস বা ক্রিয়েটিভ রাইটিং কতটা ইউনিভার্সিটির ডিসিপ্লিন হিসেবে দেখব তা একটু চাপের। বিশেষত হাতের কাছে যখন সেইরকম নোবেল লরিয়েটের উদাহরণ আছে যিনি মূলত অটোডাইডাক্ট হিসেবেই পরিচিত। কিন্তু হিউম্যানিটিজ, বিজ্ঞান বা প্রযুক্তিবিদ্যা একাডেমিক ডিসিপ্লিন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। দেশবিদেশের অক্সফোর্ড-হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির তুলনা ওগুলো দিয়েই হয়। তো জেএনইউ যেরকম সোশ্যাল সায়েন্সের চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে, বা আইএসআই সংখ্যাতত্ত্বে, যাদবপুরের কথা আগেই বল্লাম, বিশ্বভারতী সেই অর্থে ঠাকুরসাহেবের লম্বা ছায়া থেকে বেরোতে পারল কোথায়? একাডেমিক জগতে খুব দিকপাল কাজ বিভা থেকে হয়েছে কি? এম্পিরিক্যালি বলছি।
  • অরিন | 119.224.***.*** | ০১ মে ২০২৫ ০৯:৩৩537755
  • "ডাটা সায়েন্সে এম.টেক আছে, কিন্তু স্ট্যাট পড়ানো হয়না। কেন, বুঝিনা"
     
    ডাটা সায়েনস আর স্ট‍্যাটসের মধ্যে এককালে ভয়ানক বৈরিতার সম্পর্ক ছিল, এখনো হয়ত আছে। কে জানে?
  • অরিন | 2404:4404:4405:700:24b3:ff10:f589:***:*** | ০১ মে ২০২৫ ০৯:২৯537754
  • বিষয়ের নাম বাদ দিলে ইনি ঠিক কিসের সঙ্গে কিসের কিসের তুলনা করতে চাইছেন, সেই ব্যাপারটিও বোধগম‍্য হল না। প্রথমত, দুটো ভিন্ন বিশ্ববিদযালয় (যাদবপুর আর বিশ্বভারতী), দ্বিতীয়ত, তাদের মধ‍্যেও ভিন্ন বিষয় ( humanities ধরে নেওযা যাক তাই বোঝাতে চাইছেন) বনাম প্রযুক্তি। তার পরে তুলনা হচ্ছে প্রাক্তনীদের "গড়" কৃতিত্ব নিয়ে। এখন সে খবর পেতে গেলে কোন ছাত্র কবে পাশ করে কী করছে তার বিস্তারিত তালিকা লাগে, সে আর কোন বিশ্ববিদযালয় কোথায়ই বা রাখে? তার থেকেও বড় কথা, মানুষের জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে কাজের কৃতিত্ব শুধু তো বিশ্ববিদযালয়ের ওপর নির্ভর করে না। 
    কাজেই বিশ্ববিদযালয়ের "সাকসেস" মাপার ব্যাপারটি আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না ইনি কী বলতে চাইছেন। 
    বাদবাকি প্রাকৃতিক পরিবেশে পড়ানোটাই বা খারাপ কিসে সে প্রশ্ন আর তুললাম না। 
  • শান্তিনিকেতনে | 116.206.***.*** | ০১ মে ২০২৫ ০৯:২১537753
  • কিন্তু ফাইন আর্টস ও পারফর্মিং আর্টস এর পাঠ দেওয়া হয়, যেটা যাদবপুরে নেই। আর সেইক্ষেত্রে তো বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীরা খুবই সফল। আরেকটা কথাও মনে হল এ সূত্রে, বিশ্বভারতীতে স্ট্যাট পড়ানো হয়া, মানে আলাদা ডিপার্টমেন্ট খুলে বিএসসি, এম‌এসসি- যাদবপুরে কেন নেই বুঝিনা। ডাটা সায়েন্সে এম.টেক আছে, কিন্তু স্ট্যাট পড়ানো হয়না। কেন, বুঝিনা।
  • :|: | 2607:fb91:8810:c662:94e7:9444:58cd:***:*** | ০১ মে ২০২৫ ০৯:১০537752
  • নটা দুই -- অ! তাহলে মানবিক বিজ্ঞানটা কাছাকাছি অনুবাদ হতো। 
    হ্যাঁ। ওখানে দর্শন, সাহিত্য, ইতিহাস (প্রাচীন এবং আধুনিক), প্রাচ্যচর্চা (চীন জাপান ইত্যাদি), এবং অর্থনীতি -- রীতিমতো ভালো ছিলো বলেই জানি। কদিন আগেই আবাপ একটা স্ট্যাট দিয়েছিলো। খুঁজে পেলে লিং  দেবো। 
  • &/ | 107.77.***.*** | ০১ মে ২০২৫ ০৯:০২537751
  • হয়তো উনি হিউম্যানিটিজ বোঝাতে চাইলেন
  • :|: | 2607:fb91:8810:c662:94e7:9444:58cd:***:*** | ০১ মে ২০২৫ ০৮:৫৮537750
  • "মানবীবিদ্যায় বিশ্বভারতীর গড় প্রাক্তনীরা তেমন হন কি?"
    বিশ্বভারতীতে উইমেন স্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট আছে বলেই জানতামনা। 
  • সুতীর্থ | 23.106.***.*** | ০১ মে ২০২৫ ০৮:১০537749
  • পাশাপাশি রাখলে বিশ্বভারতীর তুলনায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় অনেক বেশি সাকসেসফুল মনে হয়না কি? এইটে শান্তিনিকেতনকে আঘাত দেবার জন্য বলছিনা। প্রযুক্তিবিদ্যায় যাদবপুরের গড় প্রাক্তনীরা যেরকম সফল হন, মানবীবিদ্যায় বিশ্বভারতীর গড় প্রাক্তনীরা তেমন হন কি? গড় কথাটা লক্ষ্য করবেন, কেননা অমর্ত্য সেনের উদাহরণ চাইছি না। সত্যি বলতে ঐরকম ব্যক্তিকেন্দ্রিক উদ্যোগের বদলে যাদবপুরের মত একদল লোকের যৌথ উদ্যোগে তৈরী প্রতিষ্ঠান বেশি টেকসই হয় বলে মনে করি।ওরকম গাছতলায় শিক্ষাদান গোছের ভুলভাল আইডিয়া সেক্ষেত্রে ইমপ্লিমেন্ট হবার সুযোগও কমে।
  • :|: | 2607:fb91:8810:c662:94e7:9444:58cd:***:*** | ০১ মে ২০২৫ ০৭:৪০537748
  • "রবীন্দ্রচর্চা" বলে একটি বিষয় আছে। শান্তিনিকেতনে পড়াশোনা করা ছেলেপিলেদের আবশ্যিক পাঠ্য। রীতিমত পরীক্ষা দিতেও হয় এবং পাশ করা বাধ্যতামূলক -- সে যে বিষয়েই মেজর হোকনা কেন। কিন্তু সুখের বা দুঃখের কথা হলো ক্লাসটা না পড়েই পাশ করে যাওয়া যায়। সেইজন্য ... 
    যাগ্গে যাক। 
  • kk | 72.24.***.*** | ০১ মে ২০২৫ ০৭:১০537747
  • অ্যান্ডর,
    আমার যেটা মনে হয়, একটা আদর্শ নিয়ে, আইডিয়া নিয়ে শুরু হয়েছিলো। কিন্তু তারপর রবীন্দ্রনাথ বুঝতে পেরেছিলেন যে ওভাবে চললে হবেনা। অনেক নতুন জিনিষ করার সময়েই তো আমরা ভাবি এই এই ভাবে করবো। পরে করতে করতে দেখা যায় ওটা হলে বেশি ভালো হবে। কিম্বা আরে ওরা তো এত সুন্দর করছে তাহলে আমিও ইনস্পায়ার্ড হয়ে কেন না অমনি করি? যদ্দুর মনে আছে লীলা মজুমদারের লেখাতেই পড়েছিলাম (সম্ভবত "নানা নিবন্ধ : শান্তিনিকেতন") -- কবি বুঝেছিলেন সারা বিশ্বের থেকে আধুনিক ব্যাপার স্যাপার নিয়ে আসতে হবে নাহলে চলবেনা। তখন হিন্দী ভবন, চীন ভবন পত্তন হলো। আরো কী কী সব হলো। ঠিক কোন সময়ে চেঞ্জ হলো তা অবশ্য আমি বলতে পারবোনা। কিন্তু কেউ হয়তো পারবেন।
  • &/ | 151.14.***.*** | ০১ মে ২০২৫ ০৭:০০537746
  • ঠাট্টা তামাশা নয়, আসলে উৎসুক এইটা জানতে যে মূল আদর্শ যদি বেদ উপনিষদের পদ্ধতিতে পড়ানো হবে- এইরকম করে শুরু হয়ে থাকে আর পরে সিলেবাস ও পঠনপদ্ধতি আধুনিক অন্যান্য জায়্গার মতই হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে সেটা হল কেন? কখন হল? একটা পর্যায়ে কি তাহলে ওঁরা বুঝতে পারলেন আগের পদ্ধতিটা চলবে না?
  • kk | 72.24.***.*** | ০১ মে ২০২৫ ০৫:৪৬537745
  • শান্তিনিকেতন নিয়ে ঠেস দেওয়া, ঠাট্টা করা, গাছের তলায় ক্লাস নিয়ে হাসাহাসি, "অ্যাই গরু সর, ফুল ছুঁড়ে মারবো" জাতীয় খোঁচাটোঁচা তো খুব চালু জিনিষ। কিন্তু কী জানি, পড়াশোনা তো বেশ ভালোই হতো বলে আমার মনে হয়েছিলো। অন্তত আমাদের সময়ে, আমাদের বিষয়ে বর্ধমান কি কলকাতা ইউনিভার্সিটির সিলেবাসের থেকে আমাদের সিলেবাস অনেক মডার্ন ও ফাংশনাল ছিলো। প্রচুর ছেলেমেয়ে পাশ করে রীতিমতো ভালো জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছে ও এখনও নানা ফিল্ডে অনেক ভালো কাজ করছে। অবশ্য ঠাট্টা-তামাশা চিরকালই নানা কিছু নিয়ে হয়েই থাকে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত