নারায়ণ ব্যানার্জি টার্গেট?
এই নিন। দেখেশুনে মনে হল এবার দুই ভাই শিবের গাজনও গেয়ে ফেলবে।
আর এই অভিজিত চৌধুরী সব আমলেই গুচ্ছ সুবিধা পেয়েছেন। সব আমলেই সব কমিটিতে। এখন এদের মধ্যে কিছু ঘাপলা হয়েছে। সেসবও বাইরে আসবে নিশ্চয়।
কুণাল সরকারের বিরুদ্ধে অনেকদিনের অনেক অভিযোগ, অনেক পেশেন্টপার্টির। ক্লিনিকাল এস্টাব্লিশমেন্ট এক্ট হয়ে এইসব প্রাইভেট ডাক্তার, বেসরকারি হাস্পাতালের খুবই সমস্যা হচ্ছিল। বড় বেসরকারিগুলোর স্বাস্থ্যসাথী নিয়েও সমস্যা হচ্ছিল। যে রেট বাঁধা তাতে ওদের প্রসিডিওর হয়না। তিনু সরকার গুচ্ছ দুর্নীতি করেছে। সেটাকে প্রতিবাদের ঢাল বানিয়ে সরকারের ভাল কিছু পলিসি, স্বাস্থ্যসাথী, ক্লিনিকাল এক্ট, যা প্রাইভেট হস্পিটালের স্বার্থ বিঘ্নিত করছিল, সেগুলোকে সরাতে চায় এরা।
খেলা অনেক গভীরে। যাদের আসল খেলোয়াড় ভাবছি, তারা আসলে বোড়ে মাত্র।
আর সিনিয়র সিপিএম ডাক্তাররা মেডিক্যাল কাউন্সিল দখলকে এই আন্দোলনের মুখ্য উদ্দেশ্য করতে জুনিয়রদের বোড়ে বানাচ্ছিল। সিপিএম এর জবরদখল নিয়ে আন্দোলনের মধ্যে বিরাট ঝামেলা বেঁধেছে। জুনিয়র ডাক্তাররা সিপিএম কে হুলিয়ে খিস্তি করছে। বেশ কিছু বেরিয়েও গেছে। অনিকেতরাই গেছে। বুঝিয়ে সুঝিয়ে আনতে পারলে দেখুক।
এখন তো সিপিএম এর ডাক্তার এস ইউ সি আই র ডাক্তারের বিরুদ্ধেই মানহানির মামলা ঠুকেছে। কোথায় গড়ায় দেখুন।
এই যে টুকে পাস করে ডাক্তার বেরচ্ছে, এই নিয়ে এতদিন ডাক্তাররা মুখ খুলেছে? সিনিয়র ডাক্তারদের এত কিসের ভয় ছিল? যেসব বেসরকারি ডাক্তার রোজ ঘ্ণটাখানেক স্টুডিও আলো করে বসতেন, তাঁরাও বলেননি কেন কিছু? সবাই নাকি অনেকদিন ধরেই সব জানতেন! এই ডাক্তারদের নিজেদের মধ্যে কম ঘাপলা নেই। সাধারণ মানুষকে যে যার নিজের স্বার্থে ব্যবহার করছে।
সে ১০ দফা দাবি, তার প্রায় কিছু নিয়েই ডাক্তারদের আইনজীবী কোর্টে কিছু বললেন না ( ভোট নিয়ে বলতে গেছিলেন, কোর্ট দাবড়ানি দিল ওটা সুপ্রিম কোর্টের কাজ নয় বলে, অন্যগুলো নিয়ে স্পষ্ট বলল কাজের প্রগ্রেসের এফিডেভিটে সন্তুষ্ট, উকিলরা সোনামুখ করে তা মেনেও নিলেন), উলটে বললেন অনশন তোলানোর চেষ্টা করবেন! অন্যদিকে রাজ্যও দেখা গেল জুনিয়র ডাক্তারদের বাঁচাতে ব্যস্ত, সবাই কাজ করছে বলে টলে।
সারাদিন এত ডাক্তার অনশন মঞ্চে ভিড় করে, তাহলে কাজ কেমনে করছেন?
ব্রহ্মা জানেন।