কবিতার গুঁতা
============
গুভদিনে' বঙ্গ ছাড়ি গেলা ধনখড়ে,
অমনই কাহারও পেটে প্রজাপতি নড়ে।
তাহা জানি ফোন করে আমাদের হুতো,
-- গুরুতে আসিয়া দিন কবিতার গুঁতো।
ইহা শুনি দময়ন্তী করে সাবধান,
নতুন কাহাকে আর নাহি দিব স্থান।
কবিতে কবিতে ইঁহা মহা ছয়লাপ,
ছন্দ-মিল-ব্যাকরণে বাল্মীকির বাপ।
প্রতীকে-অলংকারে অর্থ বোঝা দায়,
হার মানে, হাংরি কবি ও তুষার রায়।
ফরিদা কহেন শুনি - "ক্যানে কর রাঢ়?
বিদ্যাসুন্দরের সনে সে গোপাল ভাঁড়।
সাহিত্যের একাসনে সবে বসিয়াছে,
কবিতা কি অবশেষে ফলিবেক গাছে"!
হেনকালে আসিলেন কবিরাজ ডিডি,
ঝোলাভরা ছিল তাঁর কবিতার সিডি।
বলে - কেন মধ্যরাতে কবিতা আসিয়া
নারীদের গুঁতা মারি দেয় জাগাইয়া?
ইহার কারণ খোঁজ, কর সবে ধ্যান,
নচেৎ কবিতা লেখা করে দাও ব্যান।।