কেসি, খুব ভালো খবর। আপনারা নিজেরাই সত্যিটা দেখে নিন।
১ মর্লি-মন্টেগু রিফর্মের পর সাভারকর মাফিনামায় লিখলেন -- এমন রিফর্মের পর সবার সাংবিধানিক পথেই দেশের উন্নতির জন্যে কাজ করা উচিত। এরপরেও যদি কেউ সশস্ত্র বিপ্লবের কথা ভাবে তা হলে সেটা হবে অমার্জনীয় অপরাধ। আমাকে ছাড়লে আমি অনেক বিপ্লবীকে বুঝিয়ে সশস্ত্র সংগ্রামের পথ থেকে সরিয়ে আনব।
২ শচীন্দ্রনাথ সরকারকে কোন চিঠি দিয়ে মাফ চান নি। নিজের ভাইকে একটা পোস্টকার্ডে লিখেছিলেন যে ওই রিফর্মের পরে মনে হচ্ছে নিয়মতান্ত্রিক পথে কাজ করা যাবে।
১৯১৯ সালে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ জয়ের আনন্দে ইংরেজ সম্রাটের 'ক্ষমাদান" (ক্লেমেন্সি) প্রোগ্রামে বারীন্দ্র, ইত্যাদি বোমার মামলার সবাই এবং গদর পার্টির অধিকাংশ শিখ বিপ্লবী ও শচীন্দ্র। বাদ পড়লেন সাভারকর ভাইয়েরা, পণ্ডিত পরমানন্দ (ঝাঁসিওয়ালে) এবং হাতে গোণা ক'জন।
৩ কোলকাতায় ফিরে কপর্দকহীন শচীন গেলেন ওঁর ব্যারিস্টার চ্যাটার্জির বাড়িতে। উনি কংগ্রেসের অহিংস পথের পথিক হলেও বিপ্লবীদের মামলা লড়তেন, আশা করতেন এঁরা একদিন ভুল পথ ছেড়ে দেবে।
তখন ব্যারিস্টার চ্যাটার্জি ভাইকে লেখা ওই পোস্টকার্ড শচীনকে দেখিয়ে দিলেন। ওনার মনে হল শচীন বোধহয় বিপ্লবের পথ ছেড়ে দেবে।
শচীন পোস্টকার্ডটি পড়ে বললেন - আরে, আমিও তো চিঠিতে নিয়মতান্ত্রিকতার পথের কথা লিখেছি। সাভারকরও তাই লিখেছিল। আমাকে ছাড়ল, ওকে কেন ছাড়ল না!
এই লাইনটি তুলে বলা হয় -- শচীন্দ্রনাথও চিঠি লিখেছিলেন, একা সাভারকর নয়।
বিকৃত করা হয় যে উনি ভাইকে একটা পোস্ট কার্ড লিখেছিলেন, সরকারকে নয় -- তাতে ক্ষমা চাওয়ার কোন কথা ছিল না।
সাভারকর লিখেছিলেন হোম ডিপার্টমেন্টকে - দীর্ঘপত্র।
৪ শচীন আবার সংগঠন গড়লেন, সংগ্রামে নাবলেন, ফের কালাপানি। উনি সমাজতন্ত্রের পক্ষধর হলেন, কিন্তু মার্ক্সের অর্থনৈতিক ব্যাখ্যা মেনে নিতে পারেন নি। এবং কম্যুনিস্ট রাষ্ট্রের একদলীয় শাসনের বিরুদ্ধে কলম ধরলেন।
সাভারকর গৃহস্থ হলেন এবং বাকিজীবন ইংরেজের বিরুদ্ধে কোন লড়াইয়ের কথা বললেন না; গড়ে তুললেন হিন্দু মহাসভা।