এ বিষয়ে আমার শেষ বক্তব্যঃ"এরকম পোশাক পরে আকছার ভদ্রমহিলারা ছবি তোলেন এবং সোশ্যাল মিডিয়াতে সেগুলো শেয়ার করেন"।
-- ১) যাঁরা নিজেরা শেয়ার করেছেন তাদের ছবি আপনি সার্কুলেট করতেই পারেন, যে পোশাকেই হোক।
২) কিন্তু কোন মহিলার ছবি তাঁর বিনা অনুমতিতে আপনি তুলতে বা সার্কুলেট করতে পারেন না।
"আকছার ভদ্রমহিলারা" মানে 'সব' এমনকি "বেশিরভাগ' ভদ্রমহিলারা ছবি তোলেন? তাই কি?
তাহলে ওই যুক্তিতে আপনি যে কোন মহিলার ওই জাতীয় ছবি তার বিনা সম্মতি পাবলিক ডোমেইনে সার্কুলেট করতে পারেন?
একটা গল্প বলি।
গতবছর ভোপালে রবীন্দ্রভবনে নাটক দেখতে গেছলাম। জয়া ভাদুড়ির বোন রীতা ভাদুড়ির এবং ভগ্নীপতির নাট্যদলের নাটক। তাতে দর্শকের আসনে ঠিক আমার সামনে জয়া , ওঁর মা এবং বড় বোন বসেছিলেন।
আমার পাশের সীটের এক মহিলা উঠে মোবাইলে জয়া ভাদুড়ির ছবিযে তুললেন।
জয়া টের পেয়ে প্রবল আপত্তি জানিয়ে বললেন-- কোন মহিলার অনুমতি না নিয়ে তাঁর ছবি তোলা যে ঠিক কাজ নয় সে বোধ নেই? তারপরে স্টেজে উঠে এটা নিয়ে বিস্তৃত বললেন।
দোষী মহিলাটি মাপ চাইলেন। প্রিন্স ডায়ানা এবং আরও অনেক সেলিব্রিটির ব্যাপারেও তাঁদের বিনা অনুমতি ছবি তোলা যে প্রাইভেসির উল্লংঘন এটা নিয়ে অনেক মামলা হয়েছে। এখন ভারতেও এভাবে ছবি তোলা --।
৩)
মর্ফিং প্রযুক্তি অপব্যবহার করে অর্ধনগ্ন/বিবসনা ছবি শেয়ার হলে আলাদা কথা ছিল।
এমনও হতে পারে ছবিগুলো উপলব্ধ হয়েছে ওদের প্রাইভেট ইনস্টা অ্যাকাউন্ট থেকে।
---শ্রীমতী দাসের দুটো ছবি কি? আপনি জানেন না ছবিগুলির উৎস কী? হতে পারে মর্ফ করা? আপনি কী করে নিশ্চিত হচ্ছেন?
পলিটিশিয়ান
-"ওদের দিক থেকে যদি এসব ছবি ফেক হয় তো কোর্টে যাওয়া উচিত। যদি ফেক না হয় তো কিভাবে ছবিগুলো লিক হল সেটা খোঁজ করুক"।
এটা কোন কথা হল? কারও কোন ছবি, যা তার ইন্সটাগ্রাম/ফেসবুক , তার পাবলিক অ্যাকাউন্ট ছাড়া পাওয়া , উৎস জানা নেই, সেটা আমরা সার্কুলেট করতে পারি?
এই যুক্তিতে তো যে কোন ফরওয়ার্ডেড নিউজ ভেরিফাই না করেই আমরা সার্কুলেট করতে পারি। বলতেই পারি, আমার কোন দায়িত্ব নেই। যে প্রথম করেছে তার দায়িত্ব।
যদিও আইন ওটা মানে না।
গ্রেফতার হওয়া নিয়ে আপত্তি তুললে (মানবাধিকার কর্মীদের কথা বলছি, যেমন স্ট্যান স্বামী, সুধা ভরদ্বাজ) বিজেপির লোকজন তাই বলে--কোর্টে নিজেদের নির্দোষ প্রমাণ করুক গে!
এ বিষয়ে আমার আর কিছু বলার নেই।