আমার দু'পয়সাঃ১ সাক্ষীদের শিখিয়ে পড়িয়ে পেশ করা।
--যে কোন উকিল কোর্টে যাওয়ার আগে তার সাক্ষীদের কী বলতে হবে না হবে এবং কোন জায়গাটা চেপে যেতে হবে সেসব ভাল করে শিখিয়ে পড়িয়ে তবেই কাঠগড়ায় তোলে।
কেন? কারণ কোর্টে গুড ফেইথ চলে না। সাক্ষীর পরীক্ষা এবং পালটা জেরা যথেষ্ট টেকনিক্যাল ব্যাপার। যেগুলো পেশাদার উকিল জানে, সাধারণ মানুষ জানে না।
দিল্লি দাঙ্গা কেসে জাজেরা অনেক বার কমেন্ট করেছেন যে পুলিশ সাক্ষীদের মুখস্ত করিয়ে এনেছে বা একই বয়ান সবাইকে দিয়ে দাঁড়ি কমা সমেত সাইন করিয়ে পেশ করেছে।
তার জন্যে সম্পর্কিত পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী প্রসিড করার নির্দেশ কোন কোর্ট দেয় নি।
প্রশ্ন হচ্ছে যে বয়ানগুলো সাক্ষীরা দিয়েছে (দিল্লি পুলিশের পক্ষে হোক কি গুজরাতে তিস্তার পক্ষে) সেগুলো কি ক্রস এগজামিনেশনে বা তথ্যের ভেরিফিকেশনে ফলস প্রমাণিত হয়েছে কিনা।
২ এনজিওর সাহায্য ছাড়া কোন একা পীড়িত সাধারণ মানুষের পক্ষে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নিয়মিত আদালতে গিয়ে মামলা করা, বছরের পর বছর, অসম্ভব।
মুজফফর পুর দাঙ্গায় পীড়িতা প্রায় চল্লিশ জন মেয়ে (যারা হয় ধর্ষিত, বা যাদের পরিজন নিহত) কেস করেছিল। একে একে সবাই কেস ফেরত নিয়েছে একজন বাদে। সবাইকে ভয় দেখানো হয়েছে, কাউকে কাউকে পয়সা দিয়ে মুখ বন্ধ করা হয়েছে।
একই অবস্থা গুজরাতেও । অনেকের মনে পড়বে ১৯ বছরের মেয়েটি কেস লড়ছিল, একসময় বয়ান পালটে তিস্তার বিরুদ্ধে আঙ্গুল তোলে। কিন্তু তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কী করে কয়েক লক্ষ টাকা এলো তার ব্যাখ্যা দিতে পারেনি।
৩ গুজরাতের ব্যাপারে সেই সময় কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন সুয়ো মোটো সুপ্রীম কোর্টে গিয়ে এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে বলেছিল। ২০০৪ এ সুপ্রীম কোর্ট তাঁর একটি রায়ে নীরোর তুলনা করে বলেছিল যে মনে হচ্ছে প্রশাসন জাস্টিসের চেয়ে অপরাধীদের বাঁচাতে বেশি ইচ্ছুক।
সুপ্রীম কোর্ট অনেকগুলো কেস গুজরাতের বাইরে অন্য রাজ্যে পাঠিয়েছিল এই কথা বলে যে সেখানের পরিস্থিতি জাস্টিসের অনুকূল নয়।
৪ ফোর্ড ফাউন্ডেশনের টাকা তো লুকিয়ে আ্সে না। হোম ডিপার্টমেন্টের নজরাদারিতে আসে ।
৫ তিস্তা যে বাড়িটায় জুহুতে নিজের ভাইবোনের পরিবারের সঙ্গে থাকে সেটি ওর প্রপিতামহ চিমনলাল শেতলবাদ ১৯৩৩ সালে বানিয়েছিলেন এবং উইল করে দিয়ে যান। ৯০ বছর আগের খোলামেলা জুহু আর আজকের প্রাইম এরিয়া জুহু এক নয়।