অভ্যু দেখেছি। দ্য ওয়্যার এর আরফা খানম শেরওয়ানি এবং রেবতী লাল অতি সাবধানী হয়ে খেলছেন।
কিন্তু স্টোরিটা সত্যি। গতবার বিজেপি ৯% মুসলিম ভোট পেয়েছিল। সেটা এবার ৩% এর বেশি হবেনা।
কোন কম্যুনিটিই ১০০% একদিকে যাচ্ছেনা। কিন্তু অনেকগুলো গ্রাউন্ড রিপোর্টিং দেখে যা বুঝছি -- পশ্চিম ইউপি (আজ এবং ১৪ তারিখের ভোট) তে জাট ভোট গতবার মুজফফরনগর দাঙ্গার পর ১০০% বিজেপি ছিল। ফলে লোকদল বোধহয় ১টাও সীট পায়নি। এবার কৃষক আন্দোলনের ফলে এবং গন্নাচাষিদের কোটি কোটি টাকার পেমেন্ট দেড় বছর ধরে আটকে থাকার ফলে জাঠদের ৭০% বিজেপি বিরোধী মোর্চায়। কিন্তু শহরের জাঠ (বিজনেস ম্যান ও মিডল ক্লাস) বিজেপির সংগে। মুসলমানদের মধ্যে আশরফ আতরাফ বিভেদ, সৈয়দ ও আন্সারি ইত্যাদি রয়েছে। যেমন শিখদের মধ্যে রামগড়িয়া শিখ নীচু জাতের হিন্দুদের থেকে এসেছে। তাই রণধাওয়া শিখদের সংগে এদের বিয়েশাদি হয়না ইত্যাদি।
মুসলমান ইউপিতে এখন ১৯ থেকে ২০%। কিন্তু পশ্চিম ইউপির অন্ততঃ সাতটি জেলায় এরা ৩০ থেকে ৫০%। এখানে ওরা এন ব্লক মায়াবতীকে ছেড়ে সোজা সপা+ লোকদল। কারণ বিজেপিকে হারাতে হবে। অস্তিত্বের প্রশ্ন। কিছু জায়গায় বা পাড়ায় যেখানে ওরা খুব অল্প, সেখানে বিজেপিকে দেবে।
বিজেপির সংগে রয়েছে ব্রাহ্মণ, ঠাকুর ও দলিতের একটা উল্লেখযোগ্য অংশ --যেমন কাশ্যপ। কিন্তু জাটভদের মধ্যে কিছু বিজেপি , বেশির ভাগ মায়াবতী। ব্রাহ্মণদের একটা ছোট অংশ আদিত্যনাথের ঠাকুরবাদের বিরুদ্ধে কংগ্রেস ও মায়াবতী। দলিতের গ্রামের দিকে বেশির ভাগ মায়াবতী, ও বিজেপি। অল্প কিছু সমাজবাদী।
সমাজবাদীদের জেতার আশার বড় কারণ ওরা বিজেপির ২০১৪, ১৭, ১৯শের একচেটিয়া ওবিসি ভোটের বড় অংশ নিজেদের দিকে টানতে পেরেছে। পশ্চিম ইউপিতে জাঠ, পূর্ব অঞ্চলে ওবিসি এবং মুসলিমদের ধরুন ৮৫%।
বঙ্গে বিজেপি ৩৮% পেয়েও ১০০ ছুঁতে পারেনি। কারণ, বলতে গেলে ওয়ান টু ওয়ান ফাইট হয়েছে।
কং+ বাম+ ফুরফুরা কিছু মুসলিম ভোট পেলেও তা মোট মুসলিম ভোটের ভগ্নাংশ। এবার ইউপিতেও বিজেপি হারাও এর কল গুরুত্বপূর্ণ। ফলে ওয়ান টু ওয়ান ফাইট। কংগ্রেস যেখানে নিজেরা উইক সেখানে গোপনে সপাকে দিতে বলছে। প্রিয়ংকা খোলাখুলি অখিলেশকে বলছে -- সরকার গড়তে কিছু কম পড়লে আমরা সাপোর্ট দেব। ওদিকে মায়াবতী ও ওবেইসিকে সবাই বিজেপির বি-টিম বলছে। গুলি চালানোকে সাজানো ভাবছে-- নইলে সামনা সামনি দাঁড়িয়ে গাড়ির চাকায় গুলি করে!
এবার বাঙলার মত ইউপিতে মেয়েরা ও অল্পবয়েসিরা গেম চেঞ্জার। গতবার এরা ঢেলে বিজেপিকে দিয়ে ছিল । মেয়েরা উজ্বলা যোজনা ও বাড়ির পাশে পায়খানা প্রশ্নে। অল্পবয়েসিরা সীমান্তে স্ট্রং অ্যাকশনের প্রচার, ডিমনিটাইজেশনের ফলে কালাধন উদ্ধার, বিকাসের ফলে চাকরির প্রতিশ্রুতি। আশা অনেক জাগানো হয়েছিল। তাই ফ্রাস্টেশনও তেমনই।
এখন আবার কাঠ দিয়ে উনুন জ্বালাতে হচ্ছে, তেল ও ডালের এবং তরিতরকারীর দাম বেড়ে গেছে। গত দু'বছরে ২৫০০০ আত্মহত্যা হয়েছে। বেশির ভাগ চাকরি হারিয়ে বা দোকান বন্ধ হয়ে। এটা রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কালকে জানিয়েছেন।