বড়েস এটাও বলেছেন না যে সেটার এগজিসটেন্স ছিল?
রঞ্জনাবাবু, আপাতত এটা পেলাম --- On behalf of the Depressed Classes, Ambedkar signed it; and on behalf of the caste Hindus, Pandit Madan Mohan Malaviya signed it. The other signatories were Jayakar, Sapru, G. D. Birla, Rajagopalachari, Dr. Rajendra Prasad, Rao Bahadur Srinivasan, M. C. Rajah, Devdas Gandhi, Biswas, Raibhoj, P. Baloo, Gavai, Thakkar, Solanki, C. V. Mehta, Bakhale and Kamat. More signatures were added to the list in Bombay.
ধনঞ্জয় কীর - ড. আম্বেদকর লাইফ অ্যান্ড মিশন, পৃ. ২১৪
মদনমোহন মালব্য, সাভারকর ও ঘনশ্যামদাস বিড়লার মধ্যে এখানে দুজনের নাম পাচ্ছি। সাভারকরটা আরেকটু খুঁজতে হবে। ইয়ে মানে এখনও হেরে যাইনি আর কি!
‘জাতীয় গৌরবেচ্ছা সঞ্চারিণী সভা’-র প্রস্তাবে রাজনারায়ণ লেখেন --- অধুনা ইউরোপীয় জ্ঞানালোক বঙ্গদেশে প্রবিষ্ট হইয়া এতদ্দেশীয় জনগণের মনকে চির নিদ্রা হইতে জাগরিত করিয়াছে। বঙ্গীয় সমাজে অবিশ্রান্ত আন্দোলন চলিয়াছে। পরিবর্তন ও উন্নতির স্পৃহা সর্বত্রই দৃষ্টিগোচর হইতেছে। নব্য-সম্প্রদায় প্রাচীন রীতি-পদ্ধতিতে বীতরাগ হইয়া সমাজ সংস্করণার্থ একান্ত উৎসুক হইতেছেন। ইতিমধ্যেই একদল যুবক হিন্দুসমাজ হইতে এককালে বিচ্ছিন্ন হইতে এবং হিন্দু নাম পর্যন্ত পরিত্যাগ করিতে ইচ্ছা প্রকাশ করিয়াছেন। আমরা পূর্বপুরুষদিগের নিকট হইতে যে সকল সুরীতি ও সুনীতি লাভ করিয়াছি তাহাও পাছে এই পরিবর্তনের স্রোতে ভাসিয়া যায় আশঙ্কা হইতেছে। যাহাতে শিক্ষিত দলের মধ্যে জাতীয় গৌরবেচ্ছা সঞ্চারিত হইয়া এই ভয়ঙ্কর অমঙ্গল নিবারিত হয় এবং সমাজ সংস্কার সকল জাতীয় আকার ধারণ করে, তন্নিমিত্ত এতদ্দেশীয় প্রভাবশালী মহোদয়গণ একটি সভা সংস্থাপন করুন। জাতীয় গৌরবেচ্ছার উন্মেষণ ব্যতীত কোন জাতি মহত্ত্ব লাভ করিতে পারে নাই। সমগ্র ইতিহাস এই সত্যের সাক্ষ্য প্রদান করিতেছে।
এখানে 'এতদ্দেশীয় জনগণ' মানে এ দেশের হিন্দু জনগণ।
পরে বিপিনচন্দ্র পাল অবশ্য এই হিন্দু ভাবধারার প্রতি প্রকট আসক্তি ও প্রবল হিন্দু ধর্মোন্মাদনার বিষয়টিকে সমালোচনা করেন এই কথা বলে --- আজিকালি আমরা স্বাদেশিকতা বলিতে কেবল হিন্দুয়ানী বুঝি না। কিন্তু চল্লিশ-পঞ্চাশ বৎসর পূর্বে এদেশের নব্যশিক্ষিত সম্প্রদায়ের মধ্যেও এভাবটা ফুটিয়া উঠে নাই। সেকালে এই ভারতবর্ষটা কেবল হিন্দুরই দেশ, মুসলমান খৃষ্টীয়ান প্রভৃতির এদেশের উপরে কোনও বিশেষ দাওয়াদাবী আছে, ইহা শিক্ষিত সমাজের মনে উদয় হয় নাই। ইংরাজ যেমন পরদেশী, পঞ্চাশ বৎসর পূর্বে এদেশের নব্যশিক্ষিত লোকেরা এদেশের মুসলমান এবং খৃষ্টীয়ানকেও সেইরূপ পরদেশী বলিয়া মনে করিতেন। ... আর এই সঙ্কীর্ণ স্বাদেশিকতার প্রেরণাতেই স্বর্গীয় রাজনারায়ণ বসু মহাশয়ের হিন্দুধর্মের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিপাদক বক্তৃতা লিপিবদ্ধ হয়। সেই সঙ্কীর্ণ স্বাদেশিকতার প্রেরণাতেই মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ব্রাহ্মসমাজকে হিন্দুত্বের গণ্ডীর মধ্যে আবদ্ধ রাখিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন; এবং তাহারই জন্য কেশবচন্দ্রের ব্রাহ্ম বিবাহবিধির প্রতিবাদ করেন। আর সেই স্বাদেশিকতার আদর্শের প্রেরণাতেই নবগোপাল মিত্র মহাশয় হিন্দু মেলার প্রতিষ্ঠা করেন।
আমি ভুল বুঝতেই পারি কিন্তু বিপিন পালও কি ভুল বুঝেছিলেন? কী জানি, গুরুর রেসিডেন্ট নিননিছারা নিয্যস ঠিকটা বুঝতে পারবেন।