'ভোর সাড়ে চারটের সময়ে বিছানা থেকে ঠেলে তুলে দেবে' - এমন প্রচার করলে সে ওষুধের বিক্রি কমে যেতে পারে, ঐ সময়টায় সবচেয়ে আরামের ঘুম হয়
আর এক বন্ধু ছিল সোনাম পালদেন ভুটিয়া। তাকে স্কুল থেকে বের করে দিয়েছিল। কেন? না, ক্লাস টুয়েল্ভের পরীক্ষায় চোথা নিয়ে গেছিল, তার থেকে একটাও কমন আসেনি। তাই রেগে গিয়ে চোথাগুলি ছুঁড়ে ফেলছিল। তখন ইনভিজিলেটর এসে নকল এনেছো কেন বলে পাঁয়তারা করায় তার আরো মাথা গরম হয়ে যায়, একেই তো চোথা কমন আসেনি তার ওপর সেই নিস্ফল চোথা নিয়ে হয়রানি, তাই ইনভিজিলেটরকে ডান পটকান দিয়ে হলের বাইরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল। তারপর আরো কয়েকজন ইনভিজিলেটরকে একই রকম ভাবে এদিক ওদিক ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ায় শিক্ষা দপ্তর নিরুপায় হয়ে তাকে কী একটা ভয়ানক রকমের রাস্টিকেট করে।
সে অবশ্য বড়লোকের ছেলে, কোন অসুবিধে হয়নি।
গয়থা আর গেঁটের মাঝামাঝি একটা ব্যাপার যা বুঝলাম। গেঁটে বাতের ব্যথা সারানোর জন্যে গোটা গোটা গাঁঠি কচুর গিঁট দেওয়া মালা গেঁথে পরার নিদান বিষয়ে কিছু বলেননি মহান জার্মান কবি জন ডাব্লিউ জি। কায়দা করে কঠিন শব্দ দুটো বাদ দিলাম, জন নিয়ে কোন সমস্যা হবে না আশা করি।
আমার এক বন্ধু ছিল বেথে জমাতিয়া। আমাকে বলেছিল বেথে মানে হলো ভাঁজ করা। কারো নাম ভাঁজ করা কেন কে জানে। তাও আবার আসলে তার নাম বেথে না, খজেন। তার দাদা ছিল বেথে, তাকে উগ্রপন্থীরা বাধ্যতামূলক শিক্ষানবিশ করে ধরে নিয়ে গেছিল। সেই ব্যাপারটাকে কভার আপ করার জন্যে সে বেথে হয়ে যায়। কিন্তু তাহলে আসল বেথে কাগজ কলমে গেল কই? সেটা নিয়ে কেউ বিচলিত ছিল না, কারন কাগজ কলমে বেথের সঙ্গে তো কোন সন্ত্রাসবাদী যোগসাজশ ছিল না। খজেন বেথে হয়ে শিলংয়ে পড়তে চলে গেল, সেখান থেকে নানান রকম মার্শাল আর্ট শিখে ভয়ানক পারদর্শী হয়ে ফিরে এল, কিন্তু প্রচন্ড শান্ত হাসিখুশি স্বল্পভাষী ছেলে। সেই যুগে ফোন টোন ছিল না বলে কত লোকের সঙ্গে আর যোগাযোগ থাকলো না।
https://annebonnypirate.org/2021/08/17/afghanistan-the-end-of-the-occupation/amp/
লেখাটা বড়ো, ধৈর্য ধরে পড়তে হবে।
সাত হাজার কিলো মানে সত্তর লক্ষ গ্রাম। পয়ঁত্রিশ হাজার দিয়ে ভাগ দিলে ২০০ গ্রাম মাথাপিছু। এমন কিছুবেশি নয়। আমাদের মফঃস্বলে কবিরাজ সুধীর কুমারের অব্যর্থ ওষুধ জংলা শক্তি অমৃত চূর্ণ (`বিপদে বন্ধুর মত কাজ করবে', 'ভোর সাড়ে চারটের সময়ে বিছানা থেকে ঠেলে তুলে দেবে' ইত্যাদি ) বিক্রির সময়ে এ কথা বলা হত যে, প্রতি পূর্ণবয়স্ক মানুষের দিনে সাড়ে সাতশো গ্রাম করে হওয়া উচিৎ ।
এটা ভাল খবর @সোমনাথ । স্টান স্বামী-র সাথে ভারভারা রাও প্রভৃতি অন্য যারা ভিত্তিহীন অভিযোগে আটক , তাদের কথাও নজরে আসবে
রবি ঠাকুরকে ছেলেবেলায় কেউ কোলে নেন নি, ট্রমাটিক চাইল্ডহুড, শাস্তি তো তখনই হয়েছে
অরণ্যদা, দেখুন রবীন্দ্রনাথও কখনো কোথাও গেটের উচ্চারন সম্বন্ধে কিছু লেখেননি। কাজেই কানমলা ওনারই প্রাপ্য।
মানুষটা যে দেশপ্রেমিক ছিলেন দেশদ্রোহী নন, সেটা প্রমাণ করার প্রয়োজন আছে।
এই ভিডিওগুলোর কোনও ইয়ে নেই। খিক্ :-)
বইঅ দ্য অওয়ে --- দুবাই-এর বুর্জ খলিফা বিল্ডিং এর ট্রাকে করে পুপ নিয়ে যাওয়ার ভিডিওটা দেখলাম। বলছে ঐ বাড়িতে ৩০-৩৫ হাজার লোক থাকতে পারে, দিনে ৭০০০ কিলো বর্জ্য পদার্থ । এটা শোনা থেকে একটু ইয়ে হয়ে আছি -- ওইরকম উঁচু বাড়িতে থাকলে বোধহয় কনস্টিপেশন সেরে যায় - একবার ঐ ট্রিটমেন্টটাই দেখতে হবে।
অন্য ডিপার্টমেন্টের এক কোলিগ একবার বলেছিলেন - ওনার বাবা-মা ছিলেন সুইশ/জার্মান - কথা হচ্ছিল যে অনেক বিদেশীরা ভারতীয় নাম ঠিক করে বলতে পারে না - সেসব নিয়ে এক জন ভারতীয় খুবই অনুযোগ করছিলেন।
তাতে উনি বলেছিলেন যে জার্মান নামও বেশির ভাগ ইংলিশ স্পিকিং দুনিয়ার লোকেরা ঠিক উচ্চারণ করতে পারে না। গোয়েথে কে গ্যেথে বা গ্যোথে বা গ্যেটে বলা - এ খুবই কমন।
একজন ছিলেন যার শ্বশুরবাড়ি ফ্রেঞ্চ - এসব শুনে তিনি মুচকি হাসছিলেন, বললেন এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে চাই না, যখনই মুখ খুলেছি বাড়িতে ছোটখাটো ঝগড়া হয়েছে ঃ-)
ডিসি তাইলে উরুশ্চারণের ভুল লিংক দিয়েছে, আবার গেঁটে বলে মস্করাও করছিল, কানমলা প্রাপ্য :-)
বাই দ্য ওয়ে, রবীন্দ্রনাথের মতো জার্মান জানার ব্যাপারটা দেখে চৌরঙ্গী সিনেমার স্যাটা বোসের কথা মনে পড়ল।
সে বা স্যানডির কথাই আপ্তবাক্য হিসেবে মানা ভালো।
যা খুশি বলুন আমার কিস্যু এসে যায় না। আমি গোয়েথে সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত এবং গত দুদশক যাবদ জার্মানভাষা মাধ্যমে কাজ করি বসবাসও করেছি। লিখিত জার্মান এবং কথ্য জার্মান ও তার কয়েকটি ডায়ালেক্টের সঙ্গে পরিচিত। দৈনন্দিন জীবনে ও কর্মক্ষেত্রে ইংরিজির স্থান নেই। ভাল জার্মান জানা কেউ থাকলে তার সঙ্গে আলোচনায় যেতে পারতাম। রুশ যেমন আমার মাতৃভাষার সমতূল্য, জার্মানও ক্রমে সেরকম হয়ে দাঁড়িয়েছে।
যারা এই ভাষা জানে না, তাদের সঙ্গে খামোখা তর্ক করার কারন দেখছি না।
আবার শুনলাম। গ্যয়থা নয়, গ্যয়ঠা
অকস্মাৎ পালোয়ান কিশোরী সিং “উহ বয়ঠা’ বলিয়াই একলাফে একেবারে বারান্দার উপর ।
ডিসির ভিডিও শুনে আবার আমার 'গ্যয়ঠা' মনে হল।
জার্মান th এর মনে হয় না থ উচ্চারণ। আদি জার্মানে ব্যবহার হত কিন্তু পরে গিয়ে বানান সংস্কার হয়ে th আর বিশেষ ব্যবহার হয় না, t হয়, অর্থাত উচ্চারণটা ট। oe টাও সোজা নয়। বানান অনুযায়ী সোজাসুজি গোয়েথে মনে হয় না বলা যায়, এরকম বুঝলাম।
আমারও গ্যয়থা মনে হল, গ্যথা বললেও হয়। বড় ব্যাথা এই উশ্চারণ
বাঙালী এখন যেটা লেখে সেটা ফলো করাই ভালো। যে সময়ে যে রকম। মোক্ষমুলার বলেছে আর্য তাই শুনে সব ছেড়েছি কার্য - রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং লিখে গেছেন।
আমার তো শুনে গ্যথা মনে হল বা মাঝে হালকা য় আছে, গ্যয়থা।
নিন।
থ্যাঙ্কিউ সে।
Johann Wolfgang von Goethe
এই হচ্ছে পুরো নাম। ইয়োহান ভোল্ফগাং ফন গোয়েথে।
গেটে বলে কেহ নাই, বাঙালিরা ওরকম লেখে, কেউ আবার গ্যেটে লেখে। দুটোই ভুল। সম্ভবত সঠিক উচ্চারণটা শুনে বুঝতে পারে না।
dc ভুল লিখলেন। উচ্চারণ শুনে মোটেই গেটে মনে হলো না।
দেখুন, গেটেটাই সেফ। য- ফলা দিয়ে নয় লিখে ফেললেন, উচ্চারণ করতে পারবেন ?
চোপ! ফাইজলামি না সিরিয়াস প্রশ্ন।
গেঁটে।