নরওয়ের আফগান দূতাবাসের অফিসার আমার বহুকালের প্রিয় বান্ধবী। ৩৫ বছর ধরে আমরা পরস্পরের সুখ দুঃখের সাথী। ওর চাকরি থাকবে কি না সে বিষয়ে চিন্তা হচ্ছে।
আমাদের এখানেও বাসগুলো হয় ইলেকট্রিক নয় হাইব্রিড।
মহা প্র্যাগমাটিক , মহা বাস্তববাদী লোকেরা আগে আফগানিস্তান টা সল্ভ করে আসুন। বিনয়ের চোটে মূর্ছা
জার্মানিতে কিন্তু রিনিউয়েবল এনার্জির রমরমা। উপতন্তু নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোকে স্টেপ ডাউন করতে করতে প্রায় বন্ধ করে এনেছে।
এল সিএম দা, যেরকম বলছিল পেট্রল চালিত এর বদলে বিকল্প শক্তি চালিত যানবাহন এখন আর খুব কষ্ট কল্পনা নয়। খুব শিগগির ই এর ইমপ্লিমেন্টেশন দেখা যাবে। অলরেডি কিছু কিছু শুরুও হয়ে গেছে ভারতেও।
তেলের ওই রমরমা কমলে পরিস্থিতি র পরিবর্তনগুলো হবে আশা করি।
রমিত,
এই তথ্যটা বোধহয় ঠিক নয়।
In 2007, Dubai had 1,200 km of sewerage pipeline network.
অমিত :-)
বেশিনা ষোল বছর ধরে মিডল ইস্টই আমার বেস।
কেসিদা, আমারও মনে হচ্ছিল ব্যাপারটা সেরকমই দাঁড়াবে। শুধু কিছু লোকের অনন্ত, অর্থহীন সাফারিং।
দুবাই সম্মন্ধে একটা জিনিস জানেন বোধয়, বুর্জ দুবাই এত বড় বাড়ি, অথচ তার কোন সুয়ার সিস্টেম নেই। বড় বড় পুপ ট্রাক যায় আর কিলো কিলো পুরিষ তুলে নিয়ে আসে যারা এই সভ্য যুগে বসে এইসব করে, তারা একটা দেশ ?
এরা আরব আর ইউরোপীয় ছাড়া বাকিদের মানুষ বলেই মনে করেনা। উপমহাদেশের লোকেরা এদের চোখে ইতর আবর্জনা মাত্র। তেলের দাম পড়ে গেলে তখন এদের সব ফুটানি বেরিয়ে যাবে।
কেসি বাবু কি মিডল ইস্ট ? বছর তিন ছিলাম ওদিকপানে। মনে হতো সাবকন্টিনেন্ট লোকেদের আরব গুলো ঠিক মানুষ হিসেবে ধরতো না হিন্দু মুসলিম নির্বিশেষে, ক্রীতদাস ই বেশি ভাবতো মনে হতো। আমার নিজের কোনো বাজে অভিজ্ঞতা নেই যদিও . তবে তার অবশ্য আর একটা কারণ ছিল যে টেকনিকাল সাইড এ একটাও আরব ছিলোনা. শুধু ওয়েস্টার্ন আর ইন্ডিয়ান . এটা দোকান পত্তর এ বা রাস্তা ঘাটের অভিজ্ঞতা দেখা , বিশেষ করে লো ইনকাম কাজ করা লোকেদের সাথে। এখন একটা লেখা আসছে গুরুতে। খুব রিলেট করতে পারি। জাস্ট হরিবল।
জানিনা আপনার অভিজ্ঞতা কি রকম . হয়তো এখন পাল্টাচ্ছে।
সেই আর কি। ছোটবেলা থেকে সমানে ব্রেনওয়াশ করা হলে অন্য কেও ধর্মের রিফর্ম র কথা বললেই আগে এদের চাপাতির কথাই মাথায় আসে। বিদ্যাসাগর এরও একই হাল হতে পারতো। নেহাত ই ভাগ্যের জোর।
আলিয়া ইউনিভার্সিটি তে পড়ানোর সময় আমার এক ছাত্রী র সাথে মাঝেমাঝে ই সাঙ্ঘাতিক তর্ক হতো। মেয়ে টা টেকস্ট ব ই এর বাইরেও বেশ পড়াশুনা করা।লেখার হাত বেশ ভালো। ডিবেট প্রতিযোগিতা য় পুরষ্কার পেতো।
তার সাথে যখন মুসলিম সমাজে মেয়েদের স্হান বা তাদের চেপে রাখার বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা হতো তখন নানা যুক্তি দিয়ে বোঝাতো এটা লোকের ভুল ধারণা আসলৃ ইসলাম নারী কে খুবই উচু স্হান দেয়।মেয়েদের চেপে রাখার কোন ব্যাপার ওখানে নেই।
তারপরে একদিন স্বীকার করলো স্যার আপনাদের হিন্দু ধর্মেও তো সতীদাহ, বহুবিবাহ, বাল্যবিবাহ এসব ছিল। আপনারা একজন রামমোহন একজন বিদ্যাসাগর পেয়েছেন। আমরা কাউকে পাইনি। এটা আমাদের দুর্ভাগ্য। আমাদের ধর্ম সেই হজরত মহম্মদের সময়ের। এ কেউ পরিবর্তন করার চেষ্টা বা সাহস করে নি। কারণ আমাদের ধর্ম নিয়ে কেউ কিছু বললে বা করলে তা আমরা মানতে পারি না।
হানুবাবু এত জানেন, শিপিয়েমকে ভোট পাবার উপায়টা বাতলে দেন না কেনো?
এলেবেলে
আপনার মিলনসাগর লিংকে সরোজ দত্তের কবিতাগুলোর মধ্যে আমার প্রিয় (আমার মতে কাব্যগুণে শ্রেষ্ঠ কবিতা) "পূর্ণিমার চূর্ণ চতুর্দশী" দেখলাম না। কিছু লাইন মনে পড়ছে, কিছুটা ভুলভাল হতে পারে।
"আজিকে উর্বশী তার হাসিয়া খুলেছে বক্ষবাস,
আজিকে অর্জুন শিরে উদ্যত নটীর অভিশাপ।
------------ -------------------------------
এসেছে দোলের রাত্রি নিয়ে তার ব্যথা আর লোভ,
নিঃস্বের শিরায় জাগে বঞ্চিতের ব্যথা আর ক্ষোভ"।।
অপু
এখন দেখলাম, থ্যাংকু!
ভাটে আজ আমার প্রাপ্তি ১৯ বছর আগে গার্ডিয়ানে অরুন্ধতী রায়, আফগানিস্তানে আমেরিকা নিয়ে চমস্কি ও বিজয় প্রসাদ, এবং তালিবান নিয়ে জিজেক। লিং দাতা সবাইকে ধন্যবাদ।
অরুন্ধতী পড়লাম, বাকি দুটো আজ হয়ে যাবে। রিটায়ার্ড বুড়োদের এই মজা। কেউ বাজার থেকে কী আনতে হবে বলে ধ্যাতায় না। কোন দায়িত্ব নেই, কোন মতামত চাওয়ারও বালাই নেই। একেবারে মার্জিনালাইজড। তাই অলস অনন্ত অবসর। আর কে না জানে এগুলিই হোল শয়তানের কারখানা।
ফলে না পড়া বই, নতুন বই যাপাও পড়ে ফেল। নইলে মাথায় কোন ক্যারা কখন চাড়া দেবে যে-----।
দেশপ্রেম বা কেন মানুষ মরতে মারতে মোটিভেটেড হয় -- তা নিয়ে আমার চিন্তা হুতোর সঙ্গে বেশ খাপ খায়, হয়ত দুজনেই ময়মনসিং বলে!
অভ্যু, বিন্দুমাত্র রিঅ্যাকশন নেই। গরীব দেশদের নিয়ে এরা কিছু ভাবেনা। হেলদোলও নেই কোনও। বিজনেস অ্যাজ ইউজুয়াল।
**তোমাদের
কেসিদা, তোমার কথা ভাবছিলাম। তূমাদের ওখানে রিয়্যাকশন কী রকম?
হানুদা, ভালো বলেছ কাল রাতে।
ওই আরকি। জিলিপি প্যাঁচমারা কথা কইতে শিখেছে, সুন্দর সুন্দর গোল গোল কথা। সেইগুলো সাজিয়ে বক্তব্য পেশ করা হয়। ওসব উপরের পর্দা। ভেতরে ভেতরে সেই আদিম জিনিস। স্বার্থে স্বার্থে সংঘাত, লাগাতার কুরুক্ষেত্র।
রিনিউয়েবল এনার্জী নিয়ে রিসার্চ অনেক লেখাপত্তর চলছে তো ভালোই । কিন্তু তার প্রাকটিক্যাল এপ্লিকেশন বা কারেন্ট ফিজিবিলিটি সব নিয়ে জিগালেই লেখকেরা এক্কেরে খেপে ওঠেন আর ট্রাম্পের চেলা ইত্যাদি বলে গাল পাড়তে শুরু করে দ্যান।
ধুস। তখন আর এখনের তফাৎ কোথায় আবার দেখছেন ? তখনও সেই হয় যুদ্ধ, নয় এর মেয়ে ওর ছেলের ওর বোনের বিয়ে দিয়ে এলায়েন্স। কার কটা বৌ সে হয়তো নিজেই জানেনা। আর দেশে দুর্দশা বাড়লেই অন্য দেশ এটাক করে দাও, দেশপ্রেমের জিগিরে দিব্যি লোকে বাকি সব ভুলে যাবে এর ভুলতে না চাইলে বাপের নাম ভোলানোর ব্যবস্থা হবে। সব এক। কিচ্ছু পাল্টায়নি।
ওদিকে চীনের ভেতরে কী হচ্ছে কেউ জানে? বাইরে তো ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট ইত্যাদির আক্রমণ চলছে। চীনের কী খবর? যেসব খবর আসে বাইরে, তাও তো আদৌ বিশ্বাসযোগ্য না।
পরিবেশ লবির চাপে রিনিউয়েবল এনার্জী সোর্স ট্যাপ করা বাণিজ্যিকভাবে সফল হয়ে আসতে শুরু করলেই তেল তোলা অর্থহীন হয়ে পড়বে। তখন আরেক কুরুক্ষেত্র শুরু হবে।
এর চেয়ে বরং প্রাচীনকাল একদিকে ভালো ছিল। এত প্যাঁচ মারা কায়্দা, এত নলচের আড়াল ছিল না। সোজাসুজি বলে দিত, 'দিগ্বিজয়ে বাহির হইলেন' । এইসব বড়দারাও তো তাই করছে। শুধু নানারকম প্যাঁচমারা কায়্দা, 'মানুষের মুক্তির জন্য আমরা' হ্যাঁ হ্যাঁ আমরা জানপ্রাণ লড়িয়ে হ্যাঁ হ্যাঁ---হ্যানো ত্যানো।
মার্কিন স্পন্সরড মিলিশিয়া দের এটাক থেকে নাজিবুল্লা র কমুনিস্ট রেজিম কে বাঁচানোর জন্যেই সোভিয়েতরা ট্যাঙ্ক ঢুকিয়েছিল। যেমন হাঙ্গারি পোল্যান্ড রুমানিয়া আরো একগাদা দেশে ঢুকেছিলো ৫০-৬০ এ । একদিকে ডেমোক্রেসির আর ক্যাপিটালিজম এর ঝান্ডা দেখানো । অন্যদিকে সর্বহারা শ্রেণীর জয়ের ঝান্ডা দেখানো।
সবই বিগ ব্রাদার দের জিওপলিটিক্স এর পাওয়ার গেম। ম্যাংগো পিপল এর জীবনের দাম কানাকড়িও নয়। ওসব হিউমান রাইটস ওমেন রাইটস-টইটস ওগুলো একটু মিডিয়ায় ছাপা হলে দেখতে একটু ভালো লাগে -ব্যাস। ঐটুকুই। যে আমেরিকা আফগান মহিলাদের জন্যে নাকি এতো চিন্তিত , তারাই আবার সৌদির বোরখা চোখেই দেখতে পায়না গত ৫০-৬০ বছর ধরে । একবার সস্তার তেল তোলা বন্ধ হলেই তখন দেখা যাবে কেকার কথা ভাবে।
আপনারা লিখুন, পরতে পরতে খুলে দেখান ইতিহাসের ফাঁকফোকড়গুলো। খুবই মূল্যবান।