র2হ, আমি মন্তব্য করার পর অপনার লেখাটা দেখলাম। আপনি ঠিকই বলেছেন। যে কোনো পরিস্হিতি তেই মানুষকে জন্তুর পর্যায়ে নামিয়ে আনা টা সত্যিই মেনে নেওয়া যায় না। যে অপরাধ করেছে বাঙালি রা সেটা সত্যিই খারাপ। কিন্তু ব্রিটিশ রা ভারতীয় দের ওপর অত্যাচার করে ছিল বলে আজ চীনারা যদি তাদের ওর অত্যাচার করে আমরা উৎসাহ দিতে পারি না, এটাও খারাপ ওটাও খারাপ ছিল।
দেখুন আমি মানুষ কে মানুষ হিসেবে ই ট্রিট করার পক্ষ পাতী। এই যে এখন অবাঙালি দের বিরুদ্ধে বললাম, আমার যথেষ্ট খারাপ লাগল বলতে গিয়ে। কারন অনেক ভালো অবাঙালি কেও দেখেছি তাদের ভদ্রতা, কালচর, অন্যকে সম্মান দেওয়া , ইত্যাদি নিয়ে খুব ভালো মানুষ। সবাই খারাপ নয়। যেসব মানুষ গুলো খারাপ, নোংরামি করে চলেছে দিনের পর দিন এই আর্থ সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সঠিক লেবার ল প্রণয়ন ও এনফোর্স করতে হবে। তবেই সিস্টেম শোধরাবে।
সুযোগ পেলে বাঙালীরা অন্য জনগোষ্ঠীকে কেমন অপমান করে সেটা আশির দশকে ত্রিপুরায় দেখেছি। কলকাতার লোকেরা বিপদে পড়া পূর্ববঙ্গীয়দের নিয়ে যে খিল্লী শুরু করেছিল সে তো এখন নর্মালাইজ হয়ে গেছে।
হরেদরে মানবচরিত্র।
আসামের ছাত্র ইউনিয়ন।
আসু কে ?
বাংলায় যে কোনো জাতি বা ধর্মের মানুষের ইউনিটি সাধারণ বাঙালির থেকে বেশি। তাই বাঙালিরা ওলা, উবের চালাতে গিয়ে, ফুটপাথের দোকান চালাতে গিয়ে, ময়দানে খেলতে গিয়ে, চাকরিতে, হসপিটালে, রেস্তোরাঁয় কাজ করতে গিয়ে, বেসরকারি স্কুল কলেজে পড়াতে গিয়ে, সাধারণ ব্যবসা করতে গিয়েও হামেশাই নাকাল হচ্ছে, আর লাভের গুড় খাচ্ছে অবাঙালি রা। এমনকি বাংলা ফিল্মের বৃহৎ দুই প্রযোজক ও অবাঙালি - ভেঙ্কটেশ ও ধনুকা।
রমিতের এই বক্তব্য আসু-র খুব পছন্দ হবে।
আগে বলা হতো প্রাদেশিকতা ভালো না, ওপেন কালচর, বিশ্ব ভ্রাতৃত্ববোধ হ্যানা ত্যানা।
এখন বুঝতে পারছি, নিজেদের মেরুদন্ড টুকু ধরে রাখতে প্রাদেশিক মানসিকতা আনা দরকার হয়ে পড়েছে। আমার কথা খুব খারাপ লাগতে পারে। কিন্তু বাংলার বাঙালির বর্তমান হাল দেখে তার চেয়েও খারাপ লাগছে। দায়িত্ব নিয়ে বিহারী, মারওয়ারী কে তাড়াতে হবে। রাজস্থানের মরুভূমি তে তো এদের শৌচ কর্ম করার জল টুকুও জুটত না, এখানে এসে দাস ব্যবসা করছে। মানুষের ন্যুনতম সম্মান টুকু এরা আর দিচ্ছে না।
@সে
ইকো পার্ক ও নিকো পার্ক সম্পূর্ণ আলাদা। ইকো পার্ক হয়েছে রাজার হাটে, বিশাল জায়গা জুড়ে। পুরো কথাটা ইকো ট্যুরিজম পার্ক। সুন্দর জায়গা।
সরকারী স্কুল তিনভাগে ভাগ করা দরকার।
১) সাধারণ (General): সবার জন্য খোলা। সিট সংখ্যা অ্যাপলিক্যান্টের সংখ্যার সমান হলে সবাইকে অ্যাডমিশন দেয়া উচিত । না হলে লটারি দিয়ে অ্যাডমিশণ। সাধারণ শিক্ষা হাজার হোক মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে।
২) আদর্শ (Ideal, Magnet): ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে ঢুকতে হবে। সাধারণের চেয়ে একধাপ উপরে। ধরা যাক সংখ্যায় ৫/১ বা ৭/১ অনুপাত । একটা নির্দিষ্ট একাডেমিক মান বজায় রাখতে হবে। নাহলে এক্সপেল করা হবে। এবং তারা সাধারন স্কুলে ভর্তি হবে।
৩) বিশেষ (Special Needs): যাদের শারিরীক মানসিকভাবে বিশেষ যত্ন দরকার।
https://www.anandabazar.com/editorial/essays/evaluation-of-examinations-like-madhyamik-and-hcs-needs-more-practical-method-during-pandemic/cid/1298094
মনে রাখা ভাল, আমরাই কেবল ছেলেমেয়েদের মূল্যায়ন করি না। তারাও অনবরত আমাদের নম্বর দিয়ে চলে। যে শিশুটি বিদ্যালয়ের নিরাপদ অঙ্গন ছেড়ে মায়ের সঙ্গে বাসাবাড়ির কাজ করছে, বা পথের ধারে আনাজ বিক্রি করছে, তার শিশুমন প্রতিনিয়ত আমাদের বিচার করে চলেছে। এই লেখা লিখতে লিখতেই মেসেজ এল সপ্তমী দাসের। “স্যর, আমরা শেষ বারের মতো এক দিন ইস্কুল যেতে চাই। ইস্কুলের জামাটা পরতে চাই। হেডস্যরকে একটু বলবেন?” ওর উচ্চ মাধ্যমিকের মার্কশিট আলো করে আসেনি কোনও স্বপ্নের সংখ্যা। কিন্তু সেই খেদকে ছাপিয়ে উঠেছে স্কুলের প্রতি ভালবাসা। এই সম্মানের যোগ্য কি হয়ে উঠছে আমাদের স্কুলগুলো?
...শিক্ষাদীক্ষাও নিজেদের পকেটে পুরেছে। বাঙালি মধ্যবিত্ত এমনকি নিম্নমধ্যবিত্তও ছেলেপিলেদের টেকনো ইন্ডিয়া টাইপের প্রাইভেট স্কুলে পাঠাতে বাধ্য হচ্ছে কারণ সরকারী স্কুলগুলো চোখের সামনে একেবারে লঙ্গরখানায় পর্যবসিত হয়েছে। সেখানকার পড়াশোনা, পরীক্ষা বা ডিগ্রিও মিনিংলেস হয়ে গেছে জীবিকার বাজারে।
ডিগ্রি মিনিংলেস হয়েছে মানে?
হ্যাঁ, সিসিডি তো অনেক পুরনো। বিশ্রী দাম তবে স্টারবাকস আসার পর আর কী। আমি অবশ্য দামী জায়গায় যাই না, তবে আমি যে আপিসে কাজ করি, সেই ফেসিলিটিটার মালিক আর সিসিডির মালিক এক গোষ্ঠী, তাই সর্বত্র সিসিডির কফি। মোটেই ভালো না।
আজকাল বৈষ্ণবঘাটা পাটুলি ইত্যাদি অঞ্চলে দেখি কোন পাড়ার মধ্যে হঠাৎ একটা ক্যাফে, বেশ সাজানো গোছানো খোলামেলা। লোকজনও হয়। কোন চেন না, ব্যক্তিগত।
মাঝে নিউটাউনে একটা কফি হাউস হল তাতে অনেক লোক সেলফি তুললো, ওটা নিয়েও আমার কৌতুহল। পার্কস্ট্রিটে একটা চমৎকার ক্যাফে খুলেছিল, সেও অনেক দিন আগে, এসি কিন্তু বিশাল এগজস্ট ফ্যান চালানো থাকতো, ভেতরে সিগারেট খাওয়া যেত। বছর খানেক চলে বন্ধ হয়ে গেল।
ওহ! লিন্ড্ট, ওদের একটা সেই মিউজিয়াম আছে ভুপৃষ্ঠ থেকে প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার ওপরে, উয়াংফ্রাউ তে, সেখানে স্যাম্পল এক পিস খেয়েছিলাম, আহা তার কি স্বাদ।
হ্যাঁ সেই ভদ্রলোক সুইসাইড করেছিলেন।
দোকানটাকে প্রথমবার দেখে মনে হয়েছিল বলতে চেয়েছে - কাপে কফি দে।
এই সিসিডি র মালিকই সুইসাইড করেছিলো না কয়েক বছর আগে ?
হায় সেই পুরানো হলধরে ছেয়ে গেল গুরু। এনারা কারা যারা সিসিডি চেনেন না? সিসিডি না হোক কুড়ি বছর ধরে চলছে। গোটা ভারতে।
Abhyu | 47.39.151.164 | ১৩ আগস্ট ২০২১ ০৭:৩১
এপারে পাওয়া যায় না।
ভুলভাল ছেলে? ভুলভাল? ভাল রেসাল্ট করতে পারে না তাই ভুলভাল? বাহ হাত্তালি হাত্তালি
আমি এদের চকলেট কিনে দেখেছি - বেশ ভালো https://tonyschocolonely.com/us/en
জ্জিও। খেয়ে নাও চটপট :)
অভ্যুর জন্য ছবি দিই। আজ কিনলাম
বাঙলাদেশের একটা ইউনিভার্সিটি র সাথে আমার যোগাযোগ আছে। ওদের বেশীরভাগ প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি। ড্যাফোডিল। ছাত্রসংখ্যা প্রায় 20,000 +
রাজার পুণ্যে প্রজার পুণ্য, নইলে খরচ বাড়ে।
সরকারী স্কুল গুলো কে ইচ্ছা করে নষ্ট করলো। আমাদের ছোটবেলায় সরকারী স্কুলের মান বেশ ভালো ছিল। ক্লাশ 1,3 তে রীতিমতো টাফ আডমিশন টেস্টের বেড়া পার করে স্কুলে ঢুকতে হতো। অসাধারণ বেশ কিছু টিচার পেয়েছি। অবশ্য তাদের কেউ কেউ চুটিয়ে টিউশনি করতো। এখন লটারী সিস্টেম। নো আডমিশন টেস্ট। ভালো স্কুল গুলো ক্লাশ 7/8 নাগাদ একটা শক্ত পরীক্ষা নিয়ে ভুলভাল ছেলে দের ছেটে ফেলে। যাতে ওভার অল রেজাল্ট ভালো
হয়।
ইন্ডিয়াও উন্নতি করছিলো মোটামুটি ঠিকভাবেই । তারপর ২০১৪ এ উনিজি এলেন। তারপর শুধু আদানি - আম্বানিদের উন্নতি হতে থাকলো। বাকিদের বাদ দ্যান। ধরতায় আসেনা।
:) :)
বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করছে।
বাংলাদেশ কিন্তু আসলেই উন্নতি করছে। এর পেছনে অনেক কারন আছে। যদিও চুড়ান্ত দরিদ্র লোক আছে বাংলাদেশে। তবে ক্রমশ উন্নতি হবে। অশিক্ষা, বহুবিবাহ, নিজের নাগরিক অধিকার না জানা, করাপশন, পাচার হয়ে যাওয়া (নারী পুরুষ নির্বিশেষে), প্রাকৃতিক দুর্যোগের আধিক্য, সমান্তরাল ধর্মীয় শিক্ষাব্যবস্থা, এসব যেমন আছে, তেমনি বেশ কিছু উদ্যোগও রয়েছে। এই শেষেরটা কিন্তু সবটাই সরকারি আনুকুল্যে নয়।
প্রচুর সমস্যা থাকলেও শহরগুলোতে উন্নতি হচ্ছে।
ফ্লুরিজে তো খুব ভালো কোয়ালিটির চা দিত, তাও পটে করে দিত। যে কোয়ালিটির চা সেই রকমই দাম নিত - তবে সে অনেকদিন আগের কথা - কাবলিদার সাথে বসে...
সেখানে তো শুনছি নতুন করে রক্ষণশীলেরা ফুঁড়ে উঠছে। বহু বছর মেয়েরা খোলা মাথায় বেরোতে পারতেন, কাজকর্মে স্কুলেকলেজে সমানে সমানে পারফর্ম করতেন। এখন শুনি হিজাব পরছেন, বোরখা পরছেন। বাধ্য হচ্ছেন। আর ওখানে স্কুলের অবস্থা তো আরো সাংঘাতিক। প্রাইভেট স্কুলের রে রে ব্যবসা তো আছেই, তারপরে আছে বড় বড় প্রাইভেট কলেজ। ইয়াম্মোটা গাঁটগচ্চা দিয়ে সেখানে পড়তে হয়।