অরিন,
আপনি সাতটা পয়েন্ট দিয়ে একদম সলিড লিখেছেন।
গত বছরে, এই ২০২০-র মার্চের শেষের দিকে, ফাউচি এস্টিমেট করেছিলেন যে ২ লাখ আমেরিকান মারা যেতে পারে, বলেছিলেন এটা ছিল মিড-লেভেল এস্টিমেট, ওয়ার্স্ট কেস সিনারিও তে আরও বেশি, ৩ গুণ বেশিও হতে পারে।
তখন স্বাভাবিকভাবেই মনে হয়েছিল - যে এটা কীভাবে বলছেন, নিশ্চয়ই কোনো ডেটা পয়েন্ট এবং অ্যানালিসিস আছে। জন্স হপকিন্স ইউনিভার্সিটি করোনা ভাইরাসের প্রচুর ডেটা কালেক্ট করে কন্টিনিউয়াস অ্যানালিসিস করবার একটা সিস্টেম তৈরি করে। ফাউচির নাম্বারের বেসিস ছিল জন্স হপকিন্সের বিশ্লেষণ।
তো জেনারেলি কাউন্ট এস্টিমেট করার জন্য যে সব স্ট্যান্ডার্ড স্ট্যাটিস্টিক্যাল রিগ্রেশন মডেল - যেমন, পয়ঁজা ডিস্ট্রিবিউশন মডেল, বা, নেগেটিভ বায়োনোমিয়াল রিগ্রেশন, যেটার কথা আপনি বলেছেন, সেগুলো ইউজ করেছে। আরও নানারকম পদ্ধতি নিশ্চয়ই ব্যবহার হয়েছে। যাই হোক, এভাবে কিছু অনুমান করা হয়েছিল।
ইন্ডিয়ার বর্তমান পরিস্থিতিতে, এমন ধরনের অ্যানালিসিস নিশ্চয়ই হচ্ছে। NYT-র আর্টিকলটায় কি হলে কি হতে পারে তার চারটে অপশন দিয়েছে, এই একটাতে বলছে
A Conservative Scenario :
15 infections per reported case with an infection fatality rate of 0.15%
অর্থাৎ, একজনের করোনা পজিটিভ ইনফেকশন থেকে ১৫ জনকে ছড়াচ্ছে, এবং এরকম করতে করতে যখন ১০০ জনকে ছড়াচ্ছে তাদের মধ্যে ০.১৫ জনের মৃত্যু হচ্ছে - এটা হল এই কনজার্ভেটিভ সিনারিওর ব্যাখা। এবং এরকম হলে বলছে যে মোট ৪০ কোটি মানুষের ইনফেকশন হতে পারে এবং তা থেকে ৬ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে। এখনও পর্যন্ত (২৪শে মে) অফিসিয়াল হিসেব অনুযায়ী মোট ২.৭ কোটি মানুষের ইনফেক্শন হয়েছে এবং ৩ লাখ মানুষ মারা গেছেন।
এদের কিছু তথ্য এসেছে ইন্ডিয়াতে একটি সেরোসার্ভের ডেটা থেকে (আমি এই টার্মটা জানতাম না, দেখলাম - serosurvey : collection and testing of serum specimens from a sample population over a specified period of time) ।
আর একদম ঠিক বলেছেন, NYT-র আর্টিকল পড়া যায় না, আমার ফ্রি অ্যাকসেস শেষ হয়ে যাবে শিগগিরই, যাইহোক এই লেখাটা গুগল ড্রাইভে দিলাম -
https://drive.google.com/file/d/1pF4DYRfIi2rYwtYDLQsKoMkpVXvIkpE5/view?usp=sharing
লেখার নীচে অনেকের রেফারেন্স দিয়েছে, ভ্রমর-এর নামোল্লেখও আছে। ইন্ডিয়ার একটি কেন্দ্রীয় সংস্থা - Center for Disease Dynamics, Economics & Policy এর ডিরেক্টর ডঃ লক্ষ্মীনারায়ান এর বক্তব্য দিয়েছে।
খারাপ খবর, পাই।
খবর এবিপি আনন্দ দেখাবেনা
শুধু তাই না, আমাদের দেশ গৌমাতা ও পবিত্র গঙ্গার দেশ, তাই এখানে গৌমাতারা মারা গেলে তাদের গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়, তাঁরা সোজা স্বর্গে গিয়ে হাজির হন। ডেথ কাউন্ট ফাউন্ট ম্লেচ্ছ দেশে করা হয়, ওসব আমাদের জন্য না।
সুমিতদা পরশু মারা গেছেন, বি দা।
আমাদের দেশ সত্যের দেশ, এখানে কোনোরকম তথ্যবিকৃতি হয় না। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সত্যের প্রতি অসীম আগ্রহ, তাই উনি সত্যাগ্রহ করেন।
"না না, অরিন। বেসিস তো দিয়েছে আর্টিকলটায়। আর এই প্রতিবেদক ভদ্রলোক, মানে জেমস গ্ল্যান্জ, ইনি কিন্তু ইন্টার্ন নন, ইনি তো লেখেন, প্রিন্সটন থেকে অ্যাস্ট্রোফিজিক্স এ ডক্টরেট করেছিলেন, বহুদিন ধরে টাইমস এর সাংবাদিক, এখন মূলত সায়েন্স রিপোর্টার।
এই যে এনার পাতা, আমি তো পড়েছি এর লেখা আগে -"
ধন্যবাদ @lcm, সেক্ষেত্রে আমারই ভুল হয়েছে, করজোড় করে ক্ষমা চাইছি, মাফ করবেন। আমি NYT পড়িনি, কারণ ও পত্রিকাটি paywall এর পশ্চাতে, গরীব মানুষের নাগালের বাইরে, এবং আমাদের এখানকার লাইব্রেরীগুলো থেকে পড়া যায় না। যাই হোক, এনারা যে সংখ্যাগুলো দিয়েছেন সেগুলো কোন হিসেবে করেছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে না | এঁদের নিশ্চয়ই এমন ভাবার গুরুত্বপূর্ণ কারণ আছে।
ভারতে কেস সংখ্যা কম দেখাচ্ছে তার একাধিক কারণ থাকতে পারে। প্রথমত, ভারতে টেসট কম হয়েছে এবং এখনো তাই, কাজেই অসুস্থ মানুষের সংখ্যাও আসলের তুলনায় কম দেখা যাচ্ছে। দ্বিতীয়ত, একটা সময় যখন টেসটের সংখ্যা বাড়তে শুরু করল, ততদিনে যেহেতু বহুদিন ধরে বিভিন্ন রাজ্যে বেশ কিছুদিন ধরে লকডাউন ইত্যাদি হয়েছে, কেস কমতে শুরু করেছে, ফলে এক্ষেত্রেও কেসের সংখ্যা কম দেখাচ্ছে। তৃতীয়ত, সাধারণভাবে ৪৫-৫৯% কেসে অসুখের লক্ষণ নেই এমন মানুষ (Asymptomatic) দেখা যাচ্ছে | এখন এঁদের সন্ধান পেতে গেলে Random Test করে দেখার প্রয়োজন ছিল, ভারতে হয়েছে কিনা আমরা নিশ্চিত নই, হলেও কতটা হয়েছে জানা নেই | চতুর্থত, মানুষ বহু ক্ষেত্রে নিজেরা টেস্ট করাতে চাননি, এবং নানা কারণে। পঞ্চমত, ভারতে কোনদিনই সেভাবে ক্লাসটার অনুসন্ধান হয়নি, এখনো হচ্ছে বলে মনে হয় না। করোনাভাইরাসের গতিপ্রকৃতি এবং ডিস্ট্রিবিউশন ওভারডিসপার্স্ড, নেগেটিভ বাইনোমিয়াল যার ডিসপারশন প্যারামিটার ০.১ - ০.২ যার জন্য প্রায় দেখবেন ১০-২০% মানুষ ৮০-৯০% ইনফেকশনের জন্য দায়ী এবং প্রচুর ক্লাসটার এবং সুপারস্প্রেডিং ঘটনা পরম্পরা ধরে ইনফেকশন ছড়ায়। ফলে কখনোই আসল সংখ্যাটিকে ভারতের ক্ষেত্রে মাপা যায়নি। যা দেখানো হয়েছে সততই আসল সংখ্যার থেকে অনেক কম। ষষ্ঠত, অনেক সময়ে ঠিকমতন স্যাম্প্লিং করা হয়ে ওঠা সম্ভব হয় না, ফলে পিসিআর টেস্টে নেগেটিভ আসে। সপ্তমত, অনেক সময়ে হয়ত কম সেনসিটিভিটি কিন্তু খুব ভাল স্পেসিফিসিটির টেসট দিয়ে দেখা হয়েছে, ফলে আসলে যতজন, তার চেয়ে কম টেসট করে ধরা পড়েছে।
মৃত্যুর সংখ্যা কম দেখানো আরো গোলমেলে। ২০০১ সাল থেকে এ নিয়ে কম গবেষণা হয়নি, এবং যত মানুষ মারা যান, তার দেশজুড়ে ২২% (২০১৭ সালের হিসেব) মেডিকালি সারটিফায়েড | এই সংখ্যাটি বিহার আর উত্তরপ্রদেশে ৬-৮% এর কাছাকাছি। কাজেই, এমনিতেই ৫-১০ গুণ মৃত্যুর কারণ কম দেখানো হয়, কোভিডের ক্ষেত্রে সে কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে কে জানে?
এবার প্রশ্ন উঠতে পারে, সবটাই কম বটে, কিন্তু সব মিলিয়ে দু ক্ষেত্রেই কতটা কম? সেইটা আন্দাজ করা প্রায় অসম্ভব কারণ এতগুলো ফ্যাকটর বিচার বিবেচনা না করলে তো আন্দাজ করা যাবে না। কাজেই এ স্পেকুলেটভ নম্বরগুলো গোলমেলে হতে বাধ্য।
গীতবিতান ডট নেট এর কর্ণধার সুমিত রায়কে ব্যাক্তিগতভাবে কেউ চেনেন? উনি কি ঠিক আছেন? একটা অদ্ভুৎ মেসেজ আসছে হোমপেজে। ।
ইন্ডিয়ায় জল মেশাচ্ছে ডেটাতে। এটা বাইরের কেউ বললেই ভক্তরা খচে ব্যোম। চীন কত জল মিশিয়ে জানেন। আগে চীনের জল মাপুন তারপরে আমাদের জল মাপতে আসবেন।
আপনাদের ওদিকে তবু দেখা গেল গ্রহণ। এদিকে তো ছায়া পড়তে পড়তে সকাল হয়ে গেল, চাঁদ ডুবে গেল। ঝপ্পাস। ঃ-)
অ্যান্ডর,
হ্যাঁ, ছবিগুলো ভোরে তোলা
অভ্যু, তুই কি ইমেইল পাঠিয়েছিস কিছু, পাই নি।
এসএম,
একটা চার্ট আছে ফেব্রুয়ারির, গায়েব না, ওটা ফ্রেব্রুয়ারির ডেটা, ওটা আমি দিয়েছি ডেথের % এজ অনুযায়ী দেখানোর জন্য । আর আর একটা ঐ আর্টিকল থেকে।
না না, অরিন। বেসিস তো দিয়েছে আর্টিকলটায়। আর এই প্রতিবেদক ভদ্রলোক, মানে জেমস গ্ল্যান্জ, ইনি কিন্তু ইন্টার্ন নন, ইনি তো লেখেন, প্রিন্সটন থেকে অ্যাস্ট্রোফিজিক্স এ ডক্টরেট করেছিলেন, বহুদিন ধরে টাইমস এর সাংবাদিক, এখন মূলত সায়েন্স রিপোর্টার।
এই যে এনার পাতা, আমি তো পড়েছি এর লেখা আগে -
https://www.nytimes.com/by/james-glanz
নিউ ইয়র্ক টাইমসের ইন্টার্ণ :)
ল্যাদোশদা আছো? একটা প্রশ্ন ছিল।
sm মোটামুটি অনেকটাই লিখে দিয়েছেন। আসলে এই ধরণের স্পেকুলেটিভ নম্বরের কোন বেসিস নেই তো, এগুলোকে নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামানোর কিছু নেই (নিউ ইয়র্ক টাইমসের ইনটারন আর কিছু উৎসাহী পাঠককে বাদ দিলে) ।
lcm, এর দেওয়া চার্ট গুলোতে কিছু অসঙ্গতি চোখে পড়লো।ফেব্রুয়ারি ২১ অবধি মোট ডেথ কাউন্ট দেখাচ্ছে চার লাখ এক্ষট্টি হাজার মতন। ওদিকে ওয়ার্ল্ড ও মিটার দেখাচ্ছে ছ লাখ পনেরো হাজার !অর্থাৎ দেড় লাখ গায়েব!!
দুই, ওয়ার্লড ও মিটার অনুযায়ী টোটাল কেস সংখ্যা ভারতে পৌনে তিন কোটি ও আম্রিকায় সাড়ে তিন কোটি মতন। এই হিসাবে তুলনামূলক মৃত্যুহার আম্রিকার ক্ষেত্রে অনেক বেশি।
যদি,এন ওয়াই টাইমস এর ওয়ার্স্ট কেস সিনারিও ধরি,তাহলে ভারতের মোট কেস সংখ্যা সত্তর কোটি মতন। এখানেও পরিষ্কার ব্যাক ক্যালকুলেশন আছে।কারণ সত্তর কোটি সংক্রমিত হবার অর্থ সমগ্র দেশ বাসীর ৬০ শতাংশ সংক্রমিত হয়ে গেছে, অলরেডি। এর বেশি নাম্বার গুঁজতে পারে নি।কারণ হার্ড ইমিউনিটি তত্ব কে অস্বীকার করতে হবে। সুতরাং ধরে নেওয়া যায়,এন ওয়াই টাইমস এর রিপোর্ট টি কোন সাংবাদিক এর মস্তিষ্ক প্রসূত।এবং একটি বোগাস রিপোর্ট!
তিন,ভারতে প্রথম ওয়েভ চলাকালীন অধিকাংশ মৃত্যু হয়েছিল ৬০ বছর ও বেশি বয়স্ক দের। অনেক টা পশ্চিমী দুনিয়ার মতোন ই,চার্ট ছিলো । কিন্তু সেকেণ্ড ওয়েভ এর সময় হিসাব উল্টো পালটা হয়েছে বিলো পঞ্চাশ সংক্রমন ও মৃত্যু দুই ই তুুলোনা মূলক ভাবে বেশি।
কোভিডের চিকিৎসার জন্য নতুন ড্রাগ ককটেল ইন্ডিয়ায় পায়া যাচ্ছে। ডাক্তাররা বলছেন ভালো কাজ দিয়েছে।
মধুজা/AI এর নতুন লেখা বেরিয়েছে যে!
https://link.medium.com/VYOvh8OEAgb
লেখা ভুলভাল হলেও ছবিগুলো খাসা!
শঙ্করার থেকে আইডিয়া নিয়ে নিয়েছে । ঃ-)
আমরা সবাই এ আই। ম্যাট্রিক্স দেখেন নি?
এল সি এম, এই চন্দ্রগ্রহণ, এটা কি শেষরাতের সময়ে তোলা? সূর্যোদয়ের কিছুটা আগে?
নিউইয়র্ক টাইমস এর আর্টিকলের আনুমানিক সংখ্যাগুলোর ব্যাপারে অরিন এবং যদুবাবু কিছু আলোকপাত করেন
এসএম,
ইউএসএ এবং বেশ কিছু ইউরোপের দেশে - কোভিডে বেশি মৃত্যুর একটা ফ্যাক্টর বলছে হাই লাইফ এক্সপেকট্যান্সি - সোজা বাংলায় - এই সব দেশে মানুষের আয়ু বেশি, তাই বুড়ো মানুষের সংখ্যা বেশি, তাদের অনেকে মারা গেছেন।
ইউএস এর,
ইতালিতে এরকম
২৬ মে ২০২১ ২৩:১২
হেহে কি স্বপ্নদোষের রোগী? আজকাল আমাকে স্বপ্ন দেখছেন বুঝি? আহা রে, চিকিচ্ছে করান ভালো করে। কোভিডকালে এহেন রোগের কথা শুনে বড্ড খারাপ লাগল। ইশশ।
ওহ এসেমের ফেভারিট মেহুলমামা আবার কোথায় একটা পালিয়ে গেছে। রাস্তায় গাড়ি রেখে হাওয়া হয়ে গেছে।
lcm,যদি মোর লাইকলি সিনারিও ধরি।তাহলে ১৩০ কোটির দেশে,মৃত্যু হলো ১৬ লাখ।যেখানে ৩৩ কোটি জনতার দেশ ইউ এস এ মৃত্যু সংখ্যা ৬ লাখ।তুলনা করলে,ভারতের ডেথ রেট বা মর্টালিটি বেশ কম। এটা কি উন্নত চিকিৎসা গাইড লাইন ফলো করার জন্য?নাকি ইমিউনিটি বেশি বা তুলনা মূলক ভাবে ইয়ং পপুলেশন বেশি থাকার জন্য? অন্য একটি কারণ হতে পারে,ভাইরাস এর লেথালিটি কমে গেছে।অর্থাৎ এই বর্তমান মিউটেট করা স্ট্রেন টির সংক্রমণ ক্ষমতা মারাত্মক বেশি কিন্তু মেরে ফেলার ক্ষমতা সেই তুলনায় কম।
যদি ওয়ারস্ট কেস সিনারিও ধরি। তাহলে মৃত্যু সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে ৪২ লাখ। এক্ষেত্রও ভারতের মৃত্যু হার তুলনামূলক ভাবে পশ্চিমী দেশ গুলোর চাইতে সামান্য বেশি বলে মনে হচ্ছে।
যায় হোক, বেশ চিত্তাকর্ষক বিশ্লেষণ।