ও হ্যাঁ আমি এখানে লিখে দিচ্ছি। যেকোনও জায়্গাতেই মাইনরিটিদের উপর অত্যাচার হলে আমি বেশি সেনসিটিভ হবো। এক্দম লিখে দিলাম আজকে।
গুলি চালানোর স্বপক্ষে পুলিশ/কেন্দ্রীয় বাহিনী যে যুক্তি খাড়া করছে যে অনেক লোক নাকি ঘিরে ফেলেছিল, দা, কাটারি, খুন্তি নিয়ে তাড়া করছিল, বন্দুক কেড়ে নিচ্ছিল এইসব যদি সত্যি বলে মেনেও নিই তবু সরাসরি গুলি চালানোটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। লাঠি, রবার বুলেট এসব কোথায় গেল ? যদি শেষমেষ গুলি চালাতেই হয় কোন যুক্তিতে শূন্যে ফায়ারের পর বুকে গুলি চলে ? আগে তো নন ফ্যাটাল যেমন পায়ে বা মাটিতে গুলি চালানো যেত।
ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি।
কাউন্টার ফ্যাক্চুয়াল ভেবে কি লাভ? আজকে যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী না হয়ে রাজ্যের পুলিশ গুলি চালাতো, তাহলে কি জবাব হত সেটা কি আমরা কেউ ভাবছি?
পিরিয়ড বললেই তো আর পিরিয়ড হয়না। বামেদের নাহয় প্রচুর স্বার্থ ছিল। তিনোরা কেন দিলোনা? এক্জন উকিলের ঐ চুক্তি পড়তে ১৫ মিনিটের বেশি সময় লাগার কথা নয়। আমিও সত্যিই চাই যে সেই চুক্তি লোকেদের সামনে আসুক। অথচ যে দল এই সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম হাতিয়ার করে সরকারে এলো, তারা তদন্তই করতে চায় না।
বুঝলাম।
কিন্তু তারপরে ভাবছি যে ২০২১ এ পব-তে রাষ্ট্র কে? তিনো আর বিজেপি দুজনেই তো। বিজেপি জওয়ান পাঠিয়েছে তিনোর পুলিশের সহযোগীতায় আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য।
শিয়াল বললে, "এ তো ভারি গোলমালের কথা হল দেখছি। আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। কি বললে? বাঘ বামুনের ভিতরে ছিল, আর খাঁচা পথ দিয়ে যাচ্ছিল?"
তবে কিনা এ বেলায় দু-চারটে মোচোলমান মরলে তিনোর ভোট আরো একটু একজোট হয়। ওদিকে বিজেপির হিন্দু ভোটাররা দেশের ভেতরের মস্তিস্স্ক প্রক্ষালিত মিনি পাকিস্থানের বিনাশে আরো গোদিভক্ত হয়ে ওঠে।
কেন? সারা পব-র ওই একটা বুথেই সংখ্যালঘু ভোটার ছিলেন বলে? মারা যাওয়ার পরে যদি জানতেন তাঁরা ধর্ম পরিচয়ে সংখ্যালঘু নন, তাহলে কোন যুক্তি দিতেন জানার ইচ্ছে রইল।
পার্থবাবু কী করেছিলেন জানতে আগ্রহী নই, চুক্তিটা জানতে আগ্রহী। তার কপি সিপিএমও দিতে পারত। দেয়নি। পিরিয়ড।
এলেবেলে যদিও আজকে এই আলোচনাটা করতে ইচ্ছা করছে না। তবুও দুটো কথা বলে দিই। এক, অবশ্যই কেন্দ্রীয় বাহিনী যাদের মেরেছে, তাদের ধর্ম পরিচয় খুব গুরুত্বপূর্ণ। সারা রাজ্যে আজকে বিভিন্ন জায়্গায় গোলমাল হয়েছে, কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী এক জায়্গাতেই গুলিটা চালিয়েছে। কেন? দুই, সিঙ্গুরের চুক্তিটা দেখিয়ে তো পার্থবাবু টিভি ক্যামেরার সামনে সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে এইযে চুক্তি, আমরা পড়েই আপনাদের দিয়ে দেবো। কেন? জেরক্স করে দেওয়া যেত না? আপনার মনে হয় যে সেই চুক্তি তিনি না পড়েই সবাইকে দেখাতে ছুটেছিলেন?
পরিকল্পিত হত্যা এই কারণে যে যাঁরা মারা গেছেন তাদের প্রত্যেকের পিঠে গুলি, পায়ের নীচে নয়। এবং গুলি - ফাইবার স্টিক, কাঁদানে গ্যাস কিস্যু নয়।
ছিপিয়েম লোক মারবে আর লোকে গিয়ে ছিপিয়েমকে ভোট দেবে? বেশ করেছে লোকে ছিপিয়েমকে লাথি মেরে ফেলে দিয়েছে। দেখাই যাচ্ছে গণতন্ত্রের লাথিটা দশবছরেও ছিপিয়েমের হজম হয় নাই।
আমি অবাক হয়ে দেখছি যাঁরা আজকের ঘটনায় মারা গেছেন, তাঁদের ধর্মপরিচয় নিয়ে বড় বড় হ্যাজ নামছে এখানে। আপনারা বিজেপিকে ঠেকাবেন? আপনাদের মনে বিজেপি ঢুকে বসে আছে। ছিঃ।
স্যার, সব সত্যি জানা যায় না। যেমন আজ অবধি জানা যায়নি সিঙ্গুরে রাজ্য সরকারের সঙ্গে টাটাদের চুক্তির শর্তাবলী। কাজেই তাপসী-নন্দীগ্রামের যেমন উল্লেখ করছেন, তেমনই এটারও উল্লেখ করুন প্লিজ।
@এলেবেলে
হত্যাকে ধিক্কার জানাচ্ছি।
কিন্তু আমি অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে জানতে চাইছি এটা যে "রাষ্ট্রের পরিকল্পিত" হত্যা সেটা ঠিক কিভাবে এই কয়েক ঘন্টার মধ্যে জানা গেল?
@হেহে
এরে কয় ঘাঁটা ইতিহাসের শিক্ষা।
তাহলে আরেকটু পিছিয়ে গিয়ে জরুরী অবস্থার বিরুদ্ধে বাম ও জনসঙ্ঘিদের এক অবস্থান নেওয়ারও নিন্দে করতে হয়। তাহলে অবিশ্যি ধরে নেব যে আপনি জরুরী অবস্থার সমর্থক।
তার পরেও ইতিহাস আছে। বাবরি মসজিদ ধ্বংস আর গুজরাটের গণহত্যা। অনশন মঞ্চে উপস্থিত রাজনাথের হাতে বাবরির অপমান আর গোধরার রক্ত লেগেছিল।
দু ক্ষেত্রে একই অবস্থান নিয়ে থাকলে আপনার তো রাজনীতি নিয়ে আলোচনার অধিকার নিজের থেকেই লুপ্ত হয়ে যায়।
(গালিয়া মিত্রঁ)
পিটি এবং ছিপিয়েম নন্দীগ্রামের গণহত্যা জাস্টিফাই না করে মোদীশার বিরোধিতা করতে পারবেনা।
আর এগুলোই বা কেমন ধারার আলোচনা? কলকাতা থেকে শীতলখুচি প্রায় ২৬ ঘন্টার রাস্তা। এক পাশে বাংলাদেশের বর্ডার (চৌপথি থেকে মাত্র কিলোমিটার চারেক), অন্য পাশে এক ঘন্টার রাস্তায় প্রান্ততম সীতাই। সেখানে চারজন মারা গেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে।
এই প্রসঙ্গে ২০১১-তে কারা বুজি ছিলেন, তাঁদের তৎকালীন রাজনৈতিক অবস্থান কী ছিল - এগুলো কি খুব জরুরি? মানে যাবতীয় তলোয়ার ঘোরানো ওই বুজিদের নিয়ে? যাঁরা বুজি নন? যাঁরা কোনও 'উস্কানি'-র সাফাই দিচ্ছেন না? যাঁরা এই রাষ্ট্রের পরিকল্পিত হত্যাকে ধিক্কার জানাচ্ছেন? সবাই বিলকুল বাদ?
The demolition of the Babri Masjid was illegally carried out on 6 December 1992 by a large group of activists of the Vishva Hindu Parishad and allied organisations.
@এলেবেলে
আপনার কি মনে হয় সত্যিটা কি কখনো জানা যাবে? যেমন ধরুণ নন্দীগ্রাম বা তাপসীর ক্ষেত্রে ঘটেছে?
তাহলে পন্ডিতেরা গুলি চালানোর তীব্র নিন্দা করে ক্ষান্ত দিলে আর কোন সমস্যা থাকে না। সমস্যা হচ্চে যে ঘটনার শতহস্ত দূরে থেকে নানাবিধ কনস্পিরেসি তত্ব খাড়া করা নিয়ে।
তাতে যদি তিনোদের ভোট বাড়ত তাও নাহয় বোঝা যেত। এই ঋতুতে কোন মোমবাতি মিছিল হবে বলেও মনে হয়্না।
জুতাবোস আর বাজপেয়ীর একমঞ্চে থাকা নিয়েও যা স্ট্যান্ড মমতা রাজনাথের একমঞ্চে থাকা নিয়েও সেইম স্ট্যান্ড। ফেরেব্বাজ মতলববাজ সব কটাই।
আমার পোঁয়ে আঙুল ঢুকিয়ে কি নিজের ভন্ডামী চাপা পড়বে?নাহ পড়বে না।
ও মানে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীর তিন কি চারজন জওয়ানের একজন পকেটে একটা ফর্ম নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে যেখানে যথেচ্ছ গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া আছে আর প্রিসাইডিংকে 'চাপ দিয়ে' তাতে সই করিয়ে নেওয়া হচ্ছে? মানে এমনটা শোনা যাচ্ছে? কোথায়? সোশ্যাল মিডিয়ায়?
তাহলে এটা থাকুক --- If the CPF Jawan at the entrance of the polling station discovers violation of the election proces as above or observes something unusual going on inside the polling station, he shall not interfere in the poll process but report the same to the officer-in-charge of the CPF party at polling station or to the observer. The officer-in-charge of CPF party will in turn bring it to the notice of the Returning Officer and also Observer immediately in writing for further necessary action.
সাফাই গাওয়ার আগে অন্তত এটুকু জেনে নিলে ভালো হয়।
আর উস্কানি এই প্রথম? সেই উস্কানির কারণেই গুলি? এ তো সুজ্জিমামার লাইন!
তাহলে আপনিই ধরতাইটা দিন। কোথা থেকে শুরু করব। প্রথমে হায়নাদের ডেকে আনলাম আর এখন শুধুই কান্নাকাটি করব যে হায়নারা কেন কাঁচা মাংস চিবিয়ে খাচ্ছে?
তারপরে হায়নাদের যারা ভোট দিয়ে হাত শক্ত করবে (বা ক্ষমতায় পাঠাবে) তাদের ছাগল বলা যাবে না। তখন ৭% বা আরো কম সংখ্যাক ভোটার যাদের পক্ষে তাদের বাপ-বাপান্ত করব যে কেন তারা হায়নাদের ঠেকাতে পারেনি!!!!
এই চিত্রনাট্য তো বহু পুরনো। নতুন কিছু ছাড়ুন ভাই।
তারও আগে দেখতে হবে সাদা রুনু কালো রুনুর শাস্তি নিয়ে ট্রোলবাবাজি কি বলেছিল?
সেসব নাহয় নাই করলাম। কিন্তু একবার বলুন তো এর আগে আমাদের রাজ্যের কোন ইলেকশানে কেন্দ্রীয় বাহিনী ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মাইনরিটিদের একদম টার্গেট করে গুলি চালিয়েছে।
না চুপ করে থাকবেন না। আসুন আমরা সবাই মিলে অনেক বছর আগে কোন কোন মঞ্চে কারা ছিল সেই গুরুগন্ভীর আলোচনা করি, আসুন আমরা সবাই কেশপুর, নানুর, সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম থেকে কসবা,-ব্রিজে ফেরত যাই। বা তারও আগে, মরিচঝাঁপি, সাইবাড়ি। বা তারও আগে ৫৯ এর খাদ্য আন্দোলনে চলে যাই।
এসব করলে ভাল টাইম পাস হয়, আর নিজেদের রাজনৈতিক প্রাজ্ঞতা নিয়ে বেশ গর্ববোধ ও হয়। আসুন সমবেত চর্বিত-চর্বন করি।
@হে,হে
অনশনমঞ্চে বিজেপি নেতাদের উপস্থিতি নিয়ে আপনার কি স্ট্যান্ড ছিল সেদিন?
নন্দীগ্রামে গুলি চলানোর বহু আগেই উস্কানি শুরু হয়েছিল। এই সব আট ভাট অসত্য তত্ব খাড়া করে সব ঘেঁটে ঘ করার দরকার কি?
"এটা লেভেল প্লেয়িং গ্রাউন্ডে ভোট হচ্ছেনা।"
হে, হে,..... ২০১১-র টা বাদ দিয়ে তার পর থেকে পব তে যত ভোট হয়েছে, বিশেষতঃ পুরসভার শেষ ভোট, সেসব বুঝি লেভেল প্লেয়িং গ্রাউন্ডে হয়েছিল?
বলেভহিলাম কিনা। মিথ্যেবাদিটা কথা ঘুরিয়ে মুকুল শুভেন্দুতে চলে গেছে। এ মালটাই ঋতব্রতর চাকরি খাবার হুমকিকেঅ জাস্টিফাই করে গেছিল ততদিন যতদিন না ঋতব্রত সাসপেন্ড হয়।
সিরিয়ার লোকেরা আমাদের রাজ্যের আজকের ইলেকশান দেখে ভাববেন যে তাঁদের দেশে নিশ্চই গণতন্ত্রই চলছে রোজ।
"অনশনমঞ্চে কে থাকবে" সেটা রাজনৈতিক অবস্থান। ট্রায়ালের কোন প্রয়োজন নাই। by the way সেদিনের বিজেপি নেতাদের উপস্থিতি নিয়ে আপনার কি স্ট্যান্ড ছিল সেদিন?
গণতন্ত্র চলছে, সবাই চুপ
অথরিটির নিন্দা, সমালোচনা মিডিয়া ট্রায়াল, এ খুবই ইন্টারেস্টিং পার্সপেক্টিভ।
নন্দীগ্রাম, মইদুল মিদ্যা বা সুদীপ্ত, বা শীতলকুচি, বাহিনি গুলি চালালে ক্ষোভ হবেই, অন্তত হওয়া উচিত এবং হলে সেটা সংগত। সেই ক্ষোভ যেন না হয়, পুলিশ যেন মানুষ শিকার না করে তা দেখা এবং ক্ষোভ প্রশমন সরকারের দায়। আর বিরোধী দলের দায়িত্ব সেই ক্ষোভকে সংগঠিত ও চ্যানেলাইজ করা।
এবং খুনি বাহিনির হয়ে - তা রাজ্যের পুলিশই হোক বা কেন্দ্রের আধা সামরিক - উস্কানির সাফাই গাওয়া নিতান্ত দালালি।
PT আইনের শাসন চান। গুজরাটের ব্যাপারে কোর্টের রায় মেনে মোদীকে দায়ি করেননি, সিঙ্গুর অধিগ্রহণ কোর্টের রায় মত বেআইনি মনে করেন, অম্বিকেশ সম্পর্কে আইনি মীমাংসা না হওয়া অবধি কিছুই বলবেন না, মইদুল মিদ্যার বিষয়েও তাই, অনশনমঞ্চে কে থাকবে তা নিয়ে মিডিয়া ট্রায়াল করেন না।
আমি সার্টিফিকেট দেওয়ার কে?
তবে কিনা গত ১৫ বছরে আপনি একবারো গুলী চালানোর SOP নিয়ে কোন শব্দব্যয় করেননি নি তাই আশ্চর্য হলাম আরকি!! (এমনকি মইদুলের মৃত্যুর পরেও SOP-র কথা লিখেছিলেন বলে মনে করতে পারছি না।)
কোনটা নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন বা তুলবেন না সেটা আপনার পছন্দ। এক কবি তো বলেই দিয়েছেন যে তিনি রকমারি রোলের দোকান খোলেননি।
খেটে খাওয়া মানুষেরাই মরে। চিরকাল। কিন্তু যারা মরেছে তারা শুধু মাইনরিটি কমিউনিটির কেন? কারণ যারা তাদের উস্কেছে আর যারা তাদের গুলী করিয়েছে (কন্সপিরেসি তত্ব মেনে নিয়ে) তারা দুদলই সাম্প্রদায়িক কার্ড খেলছে।
নন্দীগ্রামে আজকের শাসকেরাই বিরোধী হিসেবে এই একই উস্কানির কার্ড খেলেছিল সিদ্দিকুল্লাকে দিয়ে। তখন এখানে অনেকেই তাতে বিপ্লবের খোয়াব দেখেছিল।
আজকে যা দেখছেন তা ঐ ভয়ংকর খেলা শুরুর পরিণতি। তখন কার কি অবস্থান ছিল তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা চলতে পারে।